অনিন্দ্য সুন্দর টাঙ্গুয়ার হাওরে মেঘ,বৃষ্টি আর দিগন্তবিস্তৃত জলরাশি উপভোগের জন্য জলরঙে স্বাগতম!
এখানে বৃষ্টির ফোঁটাগুলো আলতো করে ছাদে চুম্বন করে, সদ্য তৈরি কফির সুবাস আপনাকে জাগ্রত রাখবে সারাবেলা। মিউজিকের মৃদু সুর বাতাসে ভর করে প্রশান্তির সিম্ফনি তৈরি করে ভেসে আসবে কানে।
প্রকৃতির অর্কেস্ট্রার দর্শন দেখুন,পাখিরা আয়নাযুক্ত পৃষ্ঠের উপরে চমৎকারভাবে গ্লাইড করছে।গাছগুলি সাদৃশ্যে দোল খাচ্ছে,দুপুরের গল্
প হচ্ছে ফিসফিস করে। এখানের দেয়ালগুলি নিজেরাই প্রাণের শ্বাস নেয়, সাথে পাকা হাতের রংতুলি।প্রাণবন্ত রঙে ফুটেছে সুগন্ধি ফুল
জলরঙ কে আমরা নাম দিয়েছি "আজব জলযান"
ভাসমান এই হায়জবোট আপনাকে কখনো মনে করিয়ে দিবে দুরন্ত শৈশব,রাঙ্গালো কৈশোর কিংবা ফেলে আসা কোনো মধুর স্মৃতি।চারপাশে জড়ো হওয়া আনন্দের হৈ হুল্লা, হাসি এবং গভীর ভালোবাসা হলো এই হাউসবোটের প্রাণশক্তি।
আসুন, জলরঙ- A Poetic water villa তে, জীবনের নকশী কাথা বুনতে আসুন, প্রেম, বন্ধুত্ব এবং অ্যাডভেঞ্চারের নতুন অধ্যায় তৈরি হোক জলরঙে। জলের উপর আমাদের পদচিহ্ন খোদাই করি একসাথে, লালিত মুহুর্তের উত্তরাধিকার রেখে যাই এই প্রান্তরে।
টাঙ্গুয়ার হাওরে এবার একই বোটে থাকা,খাওয়া আর ঘুরে বেড়ানো সবই হবে রাজকীয় আর বাঙ্গালিয়ানার সংমিশ্রণে।
সুনামগঞ্জ টু সুনামগঞ্জ সার্ভিস পরিচালিত হবে তাই সকাল সকাল সুনামগঞ্জ পৌঁছেই তাহিরপুর পর্যন্ত কষ্টকর জার্নি করা লাগছে না।
ভ্রমণ স্থান সমূহঃ
-ওয়াচ টাওয়ার,
-নীলাদ্রি লেক,
-যাদুকাটা নদী,
-শিমুল বাগান,
-বারিক্কা টিলা
- খরচার হাওর
-মাটিয়ান হাওর সহ পরিচিত সব টুরিস্ট স্পট।
জলরঙ প্রিমিয়াম হাউজ বোটে যা যা সুবিধা পাবেনঃ
★ ৬ টি কেবিন,যে কেবিনে শুয়ে বসে পাবেন মনের প্রশান্তি আর চোখের আরাম।
★ভাবুন তো,নৌকার ছাদে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে রিক্সার হুড তুলে কফি খাওয়া গেলে কেমন লাগবে?
★জলরঙে একটা ছোট্ট মিউজিক কর্ণার আছে, গিটারের টুকটাং আর কাহনের ধুমধাম শব্দে হারিয়ে যাবে শহুরে কিছু বিষাদ।এছাড়াও আরো আছে লোকাল বাদ্যযন্ত্র।
★লাউঞ্জে জল আর রঙ নামে দুটো বাজিগর পাখি আছে, আপনি চাইলে ওদের সাথে গল্প করেও কিছু সময় কাটাতে পারবেন,আর কিছুক্ষণ পর পর ওদের মিষ্টি কিচিরমিচির শব্দ কানে ভেসে আসবে।
★নৌকার লাউঞ্জ আর ছাদে আপনার পছন্দের অনেক গাছ পাবেন, সন্ধ্যার পর চেয়ারে হেলান দিয়ে যদি নাকে আসে হাস্নাহেনা,বেলী,গন্ধরাজের সুঘ্রাণ,কেমন লাগবে ভাবুন তো..
★নৌকা দুললে বাতাসে ভেসে আসবে একটা মিষ্টি আওয়াজ,কারণ একটা বড় বেল লাগানো আছে লাউঞ্জে।
★ভালো না লাগলে উনো,দাবা,লুডু না টুয়েন্টি নাইনে ডুবে থাকুন।
★পুরো নৌকা একদল পেইন্টারের রংতুলিতে আঁকা বিশাল ক্যানভাস।কোথাও ফোক আর্ট,কোথাও মিথলজি কোথাও বা চোখজুড়ানো আলপনা।
★লাউঞ্চে বসার জন্য পুরোটা জায়গা,কিছু চমৎকার টুল আর একটা লো বেইজ বেড,মাথার উপর ঝুলে থাকবে রংবেরঙের সুনিপুণ হাতের কারুকাজ।
★ওপেন লাউঞ্জে কয়েকরকম আলোর ব্যবস্থা। একদম ভালো না লাগলে সব বন্ধ করে একটা ল্যাম্প জ্বালিয়ে রাখুন।
★নৌকার সামনে একটা বড় বাগানবিলাস ফুল গাছ।ভাবুন তো লাউঞ্জে বসে আছেন আর সামনেই বাতাসে ঢেউ খাচ্ছে রঙ্গিন ফুল।
★ছাদে সবুজ কার্পেট বিছানো আছে,এবং বসার ব্যবস্থা।
★খাবার জন্য মাটির প্লেট,গ্লাস,মগ।শৈল্পিক একটা জায়গায় বসে মেলালাইন বা সিরামিক নিশ্চয়ই মানায়না।
★রুমে তিন ধরণের লাইট,চাইলে ধবধবে আলো অথবা মৃদু আলো,সেটাও ভালো না লাগলে সব বন্ধ করে রঙ্গিন ঝিকিমিকি আলো।
★জানালায় দুই ধরণের পর্দা দেয়া।একটা একদম ট্রান্সপারেন্ট পর্দা,রোদ লাগবেনা কিন্তু পর্দা ভেদ করে ঠিক দেখতে পারবেন সুবিশাল জলরাশি আপনার জানালার ঠিক পাশেই। আবার চাইলেই আরেকটা পর্দা টেনে প্রাইভেসি নিশ্চিত করতে পারবেন।
★ছাদে ডায়নিং স্পেস।ফ্লোরে কষ্ট করে খেতে হবেনা।
★প্রতিটা কেবিনে গ্রামীণ মায়েদের হাতে বোনা নকশিকাঁথা জুঁড়ে আছে একটা গল্প,সেই গল্প টেনে গায়ে জড়িয়ে বৃষ্টিমুখর রাতে আরামের একটা ঘুম।
★প্রতিটা কেবিনই ডোর লক,ভেতর এবং বাইরে থেকে লক করা যায়,বিশাল বড় বেড। একদম আরামেও তিনজন থাকতে পারবেন,আর বন্ধুবান্ধব হলে তো চারজনও।
★পুরো জলরঙে সোজা হয়ে হাঁটার মতো উচ্চতা।
★প্রতিটা রুমে আয়না আছে আর হাতে আর্ট করা পেইন্টিং,সাথে একটা রঙ্গীন মাথাল। চাইলে সে মাথাল পরে রিক্সায় বসে ছবিও তুলতে পারবেন।
★রুমে তিনটা চার্জিং পয়েন্ট। ল্যাপটপ বা ক্যামেরার ব্যাটারি চার্জ করার জন্য আলাদা পয়েন্ট।
★ প্রতিটি রুমে এবং ওয়াশরুমে ফ্যানের ব্যাবস্থা।
★ট্যুরে এসে এখানের স্থানীয় বাবুর্চির হাতে রান্না হাঁসভুনা,হাওরের তাজা মাছ,আখনি বিরিয়ানি দিয়ে হবে উদরপূর্তি।
★সার্বক্ষণিক ইলেকট্রনিক সাপোর্ট দেয়ার জন্য ডিজেল চালিত একটা জেনারেটর আছে।
★সার্বক্ষনিক চা-কফি আর সুস্বাদু নাস্তা।
★নিরাপদ সাঁতার কাটতে সবার জন্য লাইফ জ্যাকেট এবং লাইফ বয়া।
★ ছাঁদে উঠার জন্য ২ টা সিঁড়ি।
★ সাবান, শ্যাম্পু, হাইজেনিক উপকরণ।
★রুম ঠান্ডা রাখার জন্য ছাদ তৈরি করা হয়েছে ৬ টি লেয়ারের মাধ্যমে। ।
★ ফিল্টার পানির ব্যবস্থা।
★হাই কমোড,লো কমোড সহ বোটে মোট তিনটি ওয়াশরুম।
★ছবি তোলার জন্য হাওরের সবচেয়ে বেস্ট হাউজবোট "জলরঙ",যেদিকেই তাকাবেন শুধু রঙ আর রঙ।
আরো অনেক ছোট ছোট সুন্দর ব্যাপারের স্বাক্ষী হবেন জলরঙে। এবার হাওরে ঘুরতে আসলে নৌকাটা একবার দেখে আসবেন।
� বুকিং পলিসি-
ব্যক্তিগত বুকিং এর ক্ষেত্রে ভাড়ার তালিকাঃ
জনপ্রতিঃ ৭৫০০ টাকা (১ কেবিনে ২ জন)
জনপ্রতিঃ ৬৫০০ টাকা (১ কেবিনে ৩ জন)
গ্রুপ বুকিং এর ক্ষেত্রে ভাড়ার তালিকা
১৯-২৪ জনের জন্য জনপ্রতি ৬,০০০ টাকা।
১৬-১৮ জনের জন্য জনপ্রতিঃ ৬,৫০০ টাকা।
১৪-১৫জনের জন্য জনপ্রতিঃ৭,০০০ টাকা।
১২-১৪ জনের জন্য জনপ্রতিঃ ৭,৫০০ টাকা।
০৯-১১ জনের জন্য জনপ্রতিঃ ৮,০০০ টাকা।
০৮-১০ জনের জন্য জনপ্রতিঃ৮,৫০০ টাকা।
০৬-০৭ জনের জন্য জনপ্রতিঃ১০,৫০০ টাকা।
রবিবার -বুধবারে বোট ভাড়া নিলে অতিরিক্ত ১০% ডিসকাউন্ট করা হবে (সরকারি ছুটি ও পূর্ণিমা দিন ব্যতিত)।
যোগাযোগ:
01731470111
01713388493
সরাসরি অফিসে এসেও বুকিং করতে পারবেন।
৩২২,সাত মসজিদ সুপার মার্কেট,মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড,মোহাম্মদপুর,ঢাকা।