03/07/2022
বুকিং ঃ 01776848694
আলহামদুলিল্লাহ সুনামগঞ্জ এবং টাংগুয়া হাওরের বন্যা পরিস্থিতি আরো বেশ কিছুদিন আগে থেকেই নিয়ন্ত্রণ এ এসে স্বাভাবিক হাওর পরিবেশ বিরাজ করছে।
যেহেতু বন্যায় অনেকেরই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তাই এর অর্থনৈতিক প্রভাব রয়ে যাবে আরো লম্বা সময় হয়তো।
তবে এই প্রভাব থেকে হাওরবাসীরাও মুক্তি চান।
যেহেতু হাওর অঞ্চল টা মৌসুমি পর্যটন এর স্থান, তারা প্রায় সকলেই এই মৌসুমের জন্য অপেক্ষা করে।
কারণ পর্যটন এর চাকা সচল থাকলে তাদের অর্থনৈতিক চাকাও সচল থাকে। হাওর অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি পরিবারই পর্যটন এর সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত। মাঝি, বাবুর্চি, ইঞ্জিন মিস্ত্রি, লষ্কর (সার্ভিস ম্যান), বাবুর্চি সবই এই হাওরের মানুষজন। হাওরে যেই নৌকাগুলো পর্যটকদের নিয়ে কাজ করে এর বেশিরভাগ নৌকাই হাওরের স্থানীয়দের।
এছাড়া মুদির দোকান, কাঠের মিল, নৌকার মিস্ত্রি, হাস-মুরগির খামার/বিক্রেতা, মোটরসাইকেল চালক, অটো চালক, ছোট নৌকা চালক, টঙ দোকান; এমনকি ঝালমুড়ি বিক্রেতা, শরবত বিক্রেতা সহ সকলেই এই সিজনের অপেক্ষায় থাকে। আর হাওরের সিজন হচ্ছে বর্ষাকাল; জুন থেকে অক্টোবর এর শুরুর দিক পর্যন্ত।
অনেকেরই ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত, চাইলেও জনে জনে ক্ষতিপূরণ দেয়া সম্ভব না। কিন্তু পর্যটক আসলে তাদের আয়ের চাকা আবার সচল হবে, তারাও ঘুরে দাড়াতে পারবে। জেনে আশ্চর্যান্বিত হবেন যে এদের বেশিরভাগ মানুষের আয়ের উৎস এই পর্যটন মৌসুম যা দিয়ে প্রায় সারা বছর তারা ঘর-সংসার চালায়।
হাওর এখন আবার ভ্রমণ উপযোগী, আপনারাও ভ্রমণের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন।
হাওর অঞ্চলের মানুষজন আপনাদের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে!!
কপি ঃ জুয়েল ভাই