22/12/2022
আপনি যদি আমেরিকা যেতে ইচ্ছা পোষণ করেন
বা স্বপ্নের দেশ আমেরিকা থেকে ঘুরে আসতে চান তাহলে এই কলামটি অবশ্যই পড়ুন।
আমেরিকান ভিসার কথা শুনে ভয়ে চেষ্টা করাই বন্ধ করে দিই, আমরা হলো সেই প্রকৃতির মানুষ। অথচ এখানে বাস্তবতা ভিন্ন। অন্য দেশের তুলনায় আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা পাওয়া অনেক সহজ। সাহস করে সঠিক পদ্ধতি অবলম্বনে চেষ্টা করতে হবে। তাহলেই শুধু আপনার ভিসা পাবার সফলতা আসবে।
কি কি পন্থা অবলম্বনে আমেরিকার টুরিস্ট ভিসা সহজেই পাওয়া যায় তার একটি পরিস্কার ধারণা তুলে ধরা হলো। আমেরিকান টুরিস্ট ভিসা মুলত ৫ বছরের একটি মাল্টিপাল ভিসা যা ২ টি মাধ্যমের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়ে থাকে।
১. DS -160 ফর্ম অর্থাৎ এপ্লিকেশন ফর্ম এবং
২. ছোট একটি ইন্টারভিউ এর উপর।
আমেরিকা যেতে হলে আপনাকে অবশ্যই যুক্তি সংগত কারন দেখাতে হবে। ইন্টারভিউ তে ভিসা অফিসারদের বুঝাতে হবে আপনার আমেরিকার যাবার যুক্তি সংগত কারণ এবং যাবার পর আপনি অবশ্যই ফিরে আসবেন, তাহলেই আপনার ভিসাটি হয়ে যেতে পারে।
সাদা পাসপোর্টেও আমেরিকার ভিসা পাওয়া সম্ভব। কয়েকটি দেশ ভিজিট করা থাকলে সেটি অবশ্যই ভিসা পেতে একটি সাপোর্টের কাজ করে, কিন্তু তার মানে এই না যে কয়েকটি দেশ ভিজিট করা থাকলেই আপনি ভিসা পেয়ে যাচ্ছেন। সেজন্য সঠিক পদ্ধতি টা অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে।
আমেরিকার ভিসা সম্পূর্ণই ইন্টার্ভিউ ভিত্তিক। অনেকের ধারণা এই ভিসা করতে অনেক কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়, ঝামেলা পোহাতে হয়। এই ধারনাটি সম্পূর্ণ ভুল। অন্য দেশের মত এটি ডকুমেন্ট বেইসড ভিসা না। অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে ডকুমেন্ট না দেখলে কিসের ভিত্তিতে আমার যোগ্যতা যাচাই করা হয়? বা উনারা কিভাবে বুঝবেন যে আমি আমেরিকা গিয়ে ফেরত আসবো? প্রথমত এটা বিচার করা হবে আপনার এপ্লিকেশন ফর্ম অর্থাৎ DS 160 ফর্ম দেখে, এবং দ্বিতীয়ত ইন্টারভিউ এর সময় আপনার সাথে কথা বলে।
বাংলাদেশে ইন্টারভিউ সাধারণতো দুই ভাষায় হয়ে থাকে, বাংলা এবং ইংরেজী। চাইলে বাংলাতেও ইন্টারভিউ দেওয়া সম্ভব। ইন্টারভিউ এর স্থায়িত্ব ২ থেকে ১০ মিনিট হয়ে থাকে।
আপনি আমেরিকা যাওয়ার যোগ্য প্রার্থী কি না সেটা এম্বাসিকে বোঝাতে হবে আপনার এপ্লিকেশন ফর্ম এর মাধ্যমে অর্থাৎ Ds-160 এর ফর্ম এর মাধ্যমে। আপনার এপ্লিকেশন ফরমটি ই হচ্ছে Ds-160 ফর্ম। এই এপ্লিকেশন ফর্মটির গুরুত্ব অনেক বেশি। অনেকাংশেই আপনার ভিসা পাবার সম্ভবনা নির্ভর করে এই এই ফর্মটির ওপরে। সে জন্য অবশ্যই অভিজ্ঞ ব্যক্তি দ্বারা ফর্মটি পূরণ করাতে হবে। ভিসা পাবার পূর্বশর্ত হিসাবে বিবেচিত এই ফর্মটি। পূর্ব নিরীক্ষা থেকে বলা চলে ৭০% চান্স নির্ভর করে এই DS-160 ফর্ম এর উপর, বাকি ৩০% নির্ভর করে আপনার ইন্টারভিউ এর উপর।
এই দুইটির সঠিক এবং সফল কম্বিনেশন অবশ্যই আপনার ভিসা পাওয়ার চান্স নিশ্চিত করবে
অনভিজ্ঞ লোক মারফত ভিসা ফর্ম পূরণ করলে আপনার ভিসা হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। DS-160 ফর্ম এর তথ্য এবং আপনার ইন্টারভিউ এর তথ্য এই দুই এর মধ্যে চমৎকার একটি সমন্বয় থাকতে হবে।
অনেকেরই ধারণা আমেরিকার ভিসা কন্ট্রাক্ট এ করা যায়। কেউ যদি বলে থাকে আমেরিকা এম্বাসির সাথে তার লিংক আছে, তার মানে তিনি আপনাকে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে। আমেরিকার ভিসা কন্টাক্ট এ করা যায় না। ভুলেও এই কন্টাক্ট এ যাবেন না, কারণ আমেরিকা এম্বাসির সাথে কারও লিংক বা লবিং থাকার কোন প্রশ্নই আসে না
আত্মবিশ্বাসী হয়ে, সঠিক গাইড লাইন এবং সঠিক তথ্য দিয়ে DS -160 ফর্ম ফিলাপ করুন, তার সাথে সাথে ভাল মত ইন্টারভিউ এর জন্য প্রস্তুতি নিন, দেখবেন আপনার ভিস কেউ আটকাতে পারবে না।
ম্যাক্সিমাম ক্লায়েন্ট থেকে আমরা সবচেয়ে বেশি যে প্রশ্নবিদ্ধ হই সেটা হচ্ছে, “ভাই আমেরিকা যেতে কতো টাকা লাগে?”
এবার আসি খরচ এর বিষয়ে। আমেরিকার টুরিস্ট ভিসার ফী ১৬০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১৬,৮০০ টাকার কাছাকাছি হয়ে থাকে। এই টাকাটি EBL অর্থাৎ ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। এটিই মুলত আমেরিকান টুরিস্ট ভিসার মূল খরচ। এই টাকাটি জমা দেবার পর ইন্টারভিউ এর ডেট নিতে হয়। বাকি চার্জ গুলো একেক এজেন্সী একেক রকম নিয়ে থাকেন। যারা এ বিষয়ে পারদর্শী, তাঁদের ভিসা হওয়ার পার্সেন্টেজ ও অনেক বেশি। সে জন্য আমাদের পরামর্শ হলো এজেন্সী সিলেক্ট করার আগে ভাল মত যাচাই বাছাই করে, খোঁজ খবর নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। প্রয়জনে কয়েকটি এজেন্সী দেখে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। একটা কথা মনে রাখতে হবে যে ডাক্তার সব রোগের চিকিৎসা করে থাকেন, তিনি কিন্তু খুব একটা বেশি ভাল হন না। ঠিক তেমনি যে সব এজেন্সী সব দেশের ভিসা নিয়ে কাজ করে থাকেন তার কাছে না গিয়ে, যে এজেন্সী শুধুমাত্র আমেরিকা নিয়ে কাজ করে তাদের কাছেই কাজ করানোটাই শ্রেয়।
ফোন কলে আমারা একটি জিজ্ঞাসা হর-হামেশাই পেয়ে থাকি সেটি হচ্ছে ব্যাংক স্টেটমেন্ট বা ব্যাংক সলভেনসি লাগবে কি না? এসব ডকুমেন্ট আপনি ইন্টারভিউ এর সময় নিয়ে যেতে পারেন, ইন্টারভিউ অফিসার এসব ডকুমেন্ট দেখতেও পারে নাও দেখতে পারে।
অবশেষে ৩ টি কথা মাথায় রাখতে হবে, আপনার ভিসা তখন ই হবে যখন আপনি -
১. DS -160 ফর্মটি সঠিক ও নির্ভুল ভাবে পূরণ করবেন।
২. ইন্টারভিউ এর সময় আপনার আমেরিকা যাওয়ার যথেষ্ট যৌক্তিক কারণ দেখাতে পারবেন।
৩. আপনার আমেরিকা থেকে ফেরত আসার যথেষ্ট ভালো কারণ দেখাতে পারবেন।
আমরা যে সকল সাপোর্ট দিয়ে থাকি -
১. আপনার DS-160 ফর্ম সঠিক ও নির্ভুল ভাবে পূরণ করা।
২. আপনাকে ইন্টারভিউ এর জন্য ট্রেনিং দিয়ে পুরোপুরি তৈরী করা।
৩. ইন্টারভিউ এর জন্য যে সকল ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা গুছিয়ে দেয়া।
আপনি কি গেট আপে যাবেন, কিভাবে যাবেন, কি কি পেপারস নিয়ে যাবেন, এই ব্যাপারেও আমরা আপনাকে সঠিক ভাবে গাইড করবো।
আমরা বর্তমানে আমেরিকার ভিজিট ভিসা (B1/B2) প্রসেসিং করে থাকি।
দ্রুত রেসপন্স পেতে সরাসরি ফোন করুন আমাদের হট লাইন নম্বরেঃ ০১৯৬০০৯৯০০০ অথবা আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ এ মেসেজ করতে পারেন। ধন্যবাদ।