06/12/2019
হজ্বের সফর : কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
মহিউদ্দীন ফারুকী
হজ্বের সফর আর অন্য দশটা সফরের মত নয়। দেশ-বিদেশ ভ্রমণের মত ভ্রমণও নয়। শারীরিক কষ্ট, অর্থ ব্যয় করে শুধু মক্কা-মদীনা দেখা নয়। আরাফা-মুযদালিফায় বেড়ানো নয়। হজ্ব অত্যন্ত মহিমান্বিত ও পবিত্র সফর। এ যে তাকওয়া আর ইখলাছের রসদ নিয়ে সুন্নতে নববীর স্পৃহা নিয়ে আপন রবের সান্নিধ্য অর্জনের এক ‘রাব্বানী সফর’। এক ‘নুরানী সফর’। ঈমানকে বলিয়ান ও শক্তিশালী করার এক ‘ঈমানী সফর’। এই সফরে বান্দা শত ত্যাগ ও মুজাহাদার বিনিময়ে নিজ হজ্বকে হজ্জে মাবরূর করার চেষ্টা করবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূলের সুন্নাহর অনুসরণ করবে যথাযথভাবে। প্রতিটি ক্ষণ ও মুহূর্ত কাটাবে ইবাদতে, আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে। দুআ ও ইস্তেগফারের মাধ্যমে সমস্ত গোনাহ ক্ষমা করিয়ে, জীবনের কালিমা ধুয়ে মুছে পূতঃপবিত্র হয়ে সদ্য ভ‚মিষ্ঠ সন্তানের ন্যায় একটি সুন্দর, স্বচ্ছ ও পবিত্র জীবন নিয়ে ফিরে যাবে আপন দেশে। নিজ ভূমিতে। হজ্জে মাবরূরের প্রতিদান জান্নাতÑ সেই প্রত্যাশায় বুক বেঁধে কুরআন-সুন্নাহর আদর্শে পুরো জীবনটা কাটিয়ে দিবে। এই না হল হজ্বের সফর। এই না হল বায়তুল্লাহর মুসাফির।
অতএব হজ্বের সফর যেন অন্যান্য সফরের মত না হয়ে যায়। আসা হল আর যাওয়া হল কিন্তু জীবনকে পাল্টে দিল না, নিজেকে আল্লাহমুখী করল না, হজ্ব পূর্ববর্তী সময়ের চেয়ে পরবর্তী সময়টা সুন্দর ও পবিত্র হল না, তাহলে সে হজ্ব হজ্জে মাবরূর হল না। তাই হজ্ব যেন হয় হজ্জে মাবরূর সেই লক্ষ্যে এই সফরে কয়েকটি বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
এক. নিয়তকে পরিশুদ্ধ করুন। সমস্ত আমলই নিয়তের উপর নির্ভরশীল। তাই যেকোনো আমলের জন্য বিশুদ্ধ নিয়ত একান্ত প্রয়োজন। তবে হজ্বের ক্ষেত্রে সে বিষয়টি আরো অধিক গুরুত্ব বহন করে। সে জন্য রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজ্বের সময় বার বার বলতেন
“اللهم هذه حجة لا رياء ولا سمعة”
হে আল্লাহ! এই হজ্বকে এমন হজ্ব হিসেবে কবুল কর যাতে প্রদর্শন ও খ্যাতির ইচ্ছা নেই। তাই এখন থেকেই নিয়তকে পরিশুদ্ধ করুন। লোক দেখানো বা শোনানোর ইচ্ছে থাকলে, প্রদর্শন বা খ্যাতির নিয়ত থাকলে তা এখনই মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। হজ্বসহ সকল ইবাদত একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য করুন। এ ছাড়া আল্লাহ তাআলা কারো ইবাদত কবুল করবেন না। আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) ‘কাজেই আল্লাহর ইবাদত কর তাঁর আনুগত্যে একনিষ্ঠ হয়ে।’ (সূরা যুমার : ২)। হাদীসে কুদছিতে আল্লাহ তাআলা বলেন, (তরজমা) ‘যে ব্যক্তি কোনো আমলের ক্ষেত্রে আমার সাথে অন্যকে অংশীদার সাব্যস্ত করে আমি তাকে এবং তার অংশীদারকে ত্যাগ করি।’
দুই. প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জন করুন। হজ্ব বিষয়ে ধারণা নিন। কী হজ্ব করবেন, কীভাবে করবেন, হজ্বের হুকুম-আহকাম, হজ্বের প্রকার এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অধ্যয়ন করুন। কখন কোথায় থাকবেন, কেন থাকবেন- এজাতীয় বিষয়গুলো অধ্যয়ন করে অথবা আলেমের কাছে জিজ্ঞেস করে জেনে নিন। কারণ, আমলের পূর্বে ইলম অর্জন করা অত্যন্ত জরুরি।
আপনার হজ্ব যেন কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী হয়, রাসূলের হজ্বের মত হয়, আকাবির ও আসলাফের হজ্বের মত হয়, এখন থেকেই সেদিকে মনোনিবেশ করুন। আপনার হজ্ব কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী না হলে তা কবুল হওয়ার প্রত্যাশাও করা যায় না। আমাদের দেশ থেকে এমন অনেক ব্যক্তি হজ্বে আসেন যিনি কোন্ হজ্ব করতে এসেছেন তাও বলতে পারেন না। কোথায় কী করতে হবে তিনি জানেন না। মুআল্লিম-নির্ভর হাজ্বীর সংখ্যাই বেশী। কিন্তু সত্য কথা হচ্ছে, আপনি মুআল্লিম-নির্ভর হয়ে আসছেন ঠিক, কিন্তু সময় ও প্রয়োজনীয় স্থানে আপনি মুআল্লিমকে না-ও পেতে পারেন। অথবা লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে তাকে হারিয়ে ফেলতে পারেন। আর জেনে রাখা ভাল যে, হজ্ব হচ্ছে সময় ও স্থান নির্ভর একটি ইবাদত। সময় চলে গেলে অথবা সঠিক স্থানে না পৌঁছালে আপনার হজ্ব হবে না। এত বড় অংকের অর্থ ব্যয় করে এবং এত কষ্ট সহ্য করেও সঠিক পন্থায় হজ্ব করা থেকে বঞ্চিত হবেন, এটা হতে পারে না। তাই আপনি হজ্ব বিষয়ে সঠিক জ্ঞান ও যথাযথ প্রশিক্ষণ গ্রহণ করুন। সংশ্লিষ্ট মাসআলা ও হুকুম-আহকাম জেনে নিন।
তিন. নির্দিষ্ট দুআ মুখস্থ করুন। হজ্বের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রয়েছে নির্দিষ্ট দুআ। তাওয়াফে, সায়ীতে, আরাফায়। তাই কখন কোন দুআ কীভাবে পড়তে হবে তা এখনই জেনে নিন। সময় নিয়ে তা ভালোভাবে মুখস্থ করুন। এমন যেন না হয় যে, হজ্ব করিয়ে দেয়ার সাথে সাথে দুআও অন্যজন পড়িয়ে দিতে হয়। এটি দ্বীনের ক্ষেত্রে অসচেতনতা ও অবহেলা ছাড়া কিছুই নয়। তাই এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য আলেমদের লিখিত বই সংগ্রহ করুন। এখনই দুআগুলো মুখস্থ করুন। প্রয়োজনে নিকটস্থ আলেমের সহযোগিতা গ্রহণ করুন। তবে এ ধরনের দুআর সংখ্যাও খুব বেশি নয়। সুতরাং ঘাবড়ানোরও কিছু নেই। অল্প কিছু ছোট ছোট দুআই তো আপনাকে মুখস্থ করতে হবে, এটা কঠিন কোনো বিষয় নয়। একটু চেষ্টা করলেই আপনি পারবেন। আর সাধারণ দুআ তো নিজ ভাষায়ই করা যায়।
চার. প্রতিটি সুন্নতের ব্যাপারে গুরুত্ব দিন। হজ্বের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি চেষ্টা করুন যেন আপনার হজ্ব রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হজ্বের মত হয়। সকল স্থানে সকল ক্ষেত্রে সুন্নতের অনুসরণের মাধ্যমেই আপনার হজ্ব হতে পারে ‘হজ্জে মাবরূর’, যে হজ্বের প্রতিদান একমাত্র জান্নাত। এক্ষেত্রে একটি বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। যিলহজ্ব মাসের এগার ও বার তারিখে মিনায় মাবীত বা অবস্থান করা সকল মাযহাবেই ওয়াজিব। শুধু হানাফী মাযহাব মতে তা সুন্নত। কিন্তু সুন্নত বলে তা অবহেলার নয়। দেশে থাকাকালীন আমরা কত শত সুন্নত পালনে চেষ্টা করি, অন্যকে উদ্বুদ্ধও করি। আবার কখনও কখনও অধীনস্থদের উপর চাপও প্রয়োগ করি। কিন্তু হজ্বে এসে এই গুরুত্বপূর্ণ আমলটিকে সুন্নত ভেবে আমরা অনেকেই ত্যাগ করি। ওযর আপত্তি ছাড়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম করেছেন এমন আমল পরিত্যাগ করি। অবাক হতে হয়, যখন কোনো আলেম একাজটি করেন। যাকে দেখে সাধারণ মানুষও এ আমলটিকে অবহেলা করতে শুরু করে। একবারও কি ভেবে দেখেছি যে রাসূল এ দিনগুলোতে কী করেছেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি মাবীত ছেড়ে দিয়ে চলে গিয়েছেন? আমাদের পূর্বসূরীগণ কি এ দিনগুলোতে মিসফালা বা হারাম চত্বরে এসে গল্পে মেতেছেন? হানাফী আলেমগণ সুন্নত বললেও তাঁরা কি অবহেলা করতে সুন্নত বলেছেন? তাদের মতে এটি সাধারণ সুন্নত নয়, বরং সুন্নতে মুআক্কাদাহ। তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য হলÑ فإن تركه أساء ‘যদি বিনা ওযরে মাবীত ছেড়ে দেয় তাহলে মন্দ কাজ করলো’। আর আমরা সকলেই একথা স্বীকার করবো যে, কোনো মন্দ কাজ করার জন্য এত অর্থ ও কষ্ট করে হজ্বে আসিনি। অন্যদিকে হজ্বের সফরে তো সুন্নত আদায়ে আরো বেশী আগ্রহী হওয়ার সফর।
অতএব প্রিয় হাজ্বী সাহেব, আপনি আপনার বায়তুল্লাহর সফরে সকল সুন্নত যথাযথ পালন করার চেষ্টা করুন। আলেমদের জিজ্ঞেস করে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর হজ্বের মত হজ্ব করার নিয়ত করুন।
পাঁচ. ছবি তোলা থেকে বিরত থাকুন। সেলফী, হেলফীসহ বিভিন্নভাবে ছবি তোলা এখন মহামারির রূপ ধারণ করেছে। প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেও যেখানে ওলামায়ে কেরাম ছবি তোলার ব্যাপারে দ্বিমত করেন, সেখানে আজ অপ্রয়োজনে, অকারণে সকলেই ছবি তোলায় ব্যস্ত। হজ্বের সফরেও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না। ইহরামের কাপড় পরিধান থেকে শেষ পর্যন্ত ছবি তুলেই যাচ্ছে। অথচ একবারও ভাবছে না এতে আমার হজ্বের কোনো ক্ষতি হচ্ছে কি না? মক্কা-মদীনার উলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে সতর্ক করেই যাচ্ছেন। শায়খ হুযাইফী হাফিজাহুল্লাহ বিভিন্ন সময়ে ফরজ নামাযের পর ছবির ব্যাপারে সতর্ক করেন। দুদিন তো খুতবার মাঝেই ধমক দিয়েছেন এবং ছবি তুলতে সরাসরি নিষেধ করেছেন। অন্যদিকে আরবের প্রখ্যাত মুফতি শায়খ ছালেহ আল ফাওযান হাফিজাহুল্লাহ বলেছেন, ‘হজ্বের সফরে অযথা ছবি তুললে হজ্ব কবুল না হওয়ার সম্ভাবনা বেশী। কারণ এতে রিয়া বা প্রদর্শনেচ্ছা থাকে। যা ইবাদত কবুল হওয়া থেকে বিরত রাখে।’
অতএব ইখলাছ ও আত্মনিষ্ঠার দিকে লক্ষ্য রেখে, হজ্বের পবিত্রতার দিকে খেয়াল করে আপনি ছবি তোলা থেকে এবং এ কাজে অন্যকে সহযোগিতা করা থেকে বিরত থাকুন।
ছয়. হারামের অভ্যন্তরে সামনের কাতারে নামায আদায় করুন। হজ্বের সফরে এসে হারামাইন শরীফাইনে নামায আদায় করার একটি সুযোগ পাওয়া যায়। এই সুযোগটিকে অত্যন্ত সুন্দরভাবে কাজে লাগানো উচিত। পবিত্র ও মহিমান্বিত এই সফরে সামনের কাতারে নামায আদায়ের অভ্যাস গড়ারও একটি সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে আমাদের দেশীয় অনেক হাজী সাহেবকেই হারামের বাহিরে সাহাতে বা বারান্দায় নামায আদায় করতে দেখা যায়। অথচ ভিতরের কাতার এখনো অনেক ফাঁকা। আপনি বাহিরে বসে না থেকে হারামের ভিতরে চলে যান। সামনের কাতারে নামায আদায় করার ছাওয়াব হাসিল করুন। যে ছাওয়াবের ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যদি লোকেরা প্রথম কাতার ও আযানের ফযীলত কী তা জানতো, আর তা লটারি ছাড়া লাভ করা সম্ভব না হত, তবে তারা লটারির মাধ্যমে হলেও তা লাভ করার চেষ্টা করত।’ Ñসহীহ বুখারী, হাদীস ৪৩৭
সাত. শপিংয়ের জন্য এত সময় নয়। অনেক হাজ্বীর অবস্থা দেখে মনে হয় তারা মূলত কেনাকাটা করতেই মক্কা মদীনায় এসেছেন। কেনাকাটা আপনাকে করতে হবে। তবে লক্ষ রাখবেন শপিং করা, শপিংমলে যাওয়া আর কেনাকাটার জন্যই আপনি মক্কা-মদীনায় আসেননি। অতএব, অধিক পরিমাণে আমলে মনোনিবেশ করুন। কুরআন তিলাওয়াত, যিকির-আযকার, মক্কায় থাকাকালীন অধিক পরিমাণে তাওয়াফ, মদীনায় নফল নামায, দরূদ শরীফ পাঠ করে সময়কে কাজে লাগাতে পারেন। কিন্তু ‘আল মোল মাজ্জানান’ বা ফ্রী শপিংমলে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে আপনার সময়টা যেন সেখানেই শেষ না হয়ে যায়। মক্কা-মদীনার সফর ঈমানকে তাজা করার সফর। আত্মা ও নফসকে পরিশুদ্ধ করার সফর। হৃদয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালোবাসা বাড়ানোর সফর।
আট. হারামাইনের ফয়েয ও বরকত নিয়ে দেশে ফিরুন। হজ্বের সকল কার্যক্রম আপনি শেষ করেছেন। আপনি এখন পূতঃপবিত্র, গোনহমুক্ত। জীবনের এক নতুন অধ্যায় আপনি শুরু করতে যাচ্ছেন। এমতাবস্থায় দেশে ফেরার সময় কম্বলই যেন আপনার সম্বল না হয়, বরং দ্বীনের উপর অবিচল থাকার প্রতিজ্ঞা করুন। হজ্ব-পূর্ববর্তী অবস্থার থেকে হজ্ব-পরবর্তী অবস্থা যেন সুন্দর হয় সে চেষ্টা করুন। হজ্ব-পরবর্তী জীবনে দ্বীনের উপর চলার জন্য আলেমদের সোহবত এখতিয়ার করুন। যেকোনো কাজে দ্বীনী পরামর্শ গ্রহণ করুন।
এখানে ব্যতিক্রম কিছু আমল দেখে ভাববেন না যে, দেশে যা করেছিলেন তা ভুল ছিল। দেশে ফিরে আপনাকেও এগুলো করতে হবে, বা এর দাওয়াত দিতে হবে। বরং আপনি এক্ষেত্রে বুঝতে চাইলে আলেমদের মতামত গ্রহণ করুন। সে বিষয়ে জানতে চেষ্টা করুন। অযথা দেখেই দায়ী হওয়ার ভাব ধরবেন না, ভান করবেন না। শান্তির স্থলে তখন অশান্তি আর ফিৎনাই প্রকট হয়ে ওঠবে। শৃঙ্খলার স্থলে বিশৃঙ্খলা দানা বাঁধবে। ভাই ভাই সম্পর্কগুলো এধরনের কারণেই দিন দিন শত্রæ শত্রæ রূপ ধারণ করছে। মসজিদের মুসল্লিদের মুহাব্বতের সম্পর্কগুলো আজ দুশমনিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
তাই প্রিয় হাজী সাহেব, আপনি ফেরার পথে নবীর ভালবাসা, সুন্নতের প্রতি আগ্রহ এবং পরবর্র্তী জীবনটা আল্লাহর পথে, আলোর পথে এবং হেদায়েতের পথে অবিচল থাকার সংকল্প নিয়ে দেশে ফিরুন। আর দেশে ফিরে সেভাবে জীবন যাপন করার চেষ্টা করুন। আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে তাওফীক দান করুন। আমীন।
Holy Makkah Tours Ltd is a Hajj & Umrah provider you can trust, we have direct Flights, Hotels, Visa, Ground transfers and Ziyarath of both Makkah and Medina food will be complimentary. Our aim is to provide the best service for the guests of Allah SWT so we also gain rewards for Akhirah.
We will be able to give you the best rates Insha Allah from UK market. We pride ourselves on our ability to offer honest service If you would like to go for Hajj or Umrah with your family or by yourself. We try your smile to be appeared after journey.
🌟♥️🕋 🕋