Cholo Jai Haoa Bodlai

Cholo Jai Haoa Bodlai Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Cholo Jai Haoa Bodlai, Tour Agency, Barasat.

12/06/2023

19 জুন_পূজার_অফার_Close_হচ্ছে,কারণ ট্রেন টিকিট ছাড়ছে , তাই নিজের নামে ট্রেন টিকিট পেতে অবশ্যই আজই মাত্র 50%দিয়ে অফার বুক করুন।

✅গোয়া- Rs.14,990/-(8N/9D) D.O.J 26&28Oct,04 Nov
✅কাশ্মীর - Rs. 16,990/-(8N/9D).D.O.J 29 Oct,03 Nov
✅হরিদ্বার-ঋষিকেশ-মৌসুরী- Rs.14,990/-(8N/9D)28Oct
✅মথুরা -বৃন্দাবন-তাজমহল Rs.14,990/-(5N/6D)26 Oct
✅ভাইজ্যাক - Rs.13,990/-(5N/6D) D.O.J 25 Oct,09 Nov
✅সিমলা মানালি - Rs.16,990/-(8N/9D) 25 Oct,01 Nov
✅কেদারনাথ - Ra.16,990/-(8N/9D)D.O.J 25 Oct Journey
➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖➖
Cholo jai Haoa Bodalai Tour's and Travels.✈️
For get details plz what's app on :-

Call & what app for booking details:

🏣 Branch Office Addrees:

✅ Barasat : 9088611612

যারা যারা রবীন্দ্র ভবন এ থাকতে চানmungpoo তে
09/06/2023

যারা যারা রবীন্দ্র ভবন এ থাকতে চান

mungpoo তে

07/06/2023

খুব জরুরী তথ্য...রেল যাত্রার বীমা করণ

মাত্র 35 পয়সায় ট্রাভেল ইনস্যুরেন্স। বালাসরের ভয়াবহ দৃশ্য দেখার পর এটা আরো বেশী জরুরি মনে হচ্ছে...
পরের বার থেকে ট্রেনের টিকিট কাটলে অবশ্যই এটা নেবেন। অনেকেই নিয়ে থাকেন, যদিও নমিনি অ্যাড করার সময় গাফিলতি করে ফেলেন।
নমিনি অ্যাড করে অ্যাকটিভ করতেই হবে, নাহলে এটা নেওয়া বেকার। কিভাবে অ্যাক্টিভেট করবেন,
কিভাবে ক্লেইম করতে হবে রইল

IRCTC তে টিকিট কাটার সময় 35 পয়সা তে যে ইন্সুরেন্স টা দেওয়া হয় সেটার ব্যাপারে।

আপনি যদি ইন্সুরেন্স টা নেন, তাহলে আপনার ইমেইল এ একটা মেইল আসবে ইন্সুরেন্স কোম্পানির থেকে আর সেখানে আপনার প্রথম কাজ হলো নমিনেশন আপডেট করার লিংকে ক্লিক করে নমিনি অ্যাড করা। চেষ্টা করবেন এমন কাও কে নমিনি করতে যিনি আপনার সাথে ট্রাভেল করছেন না।

Policy wordings এ ক্লিক করলে আপনাকে আপনার PNR আর মোবাইল নম্বর দিয়ে login করতে বলবে, সেটা করলে আপনি আপনার ডিটেইল পলিসি পেয়ে যাবেন, যাত্রার আগে সেটা আপনার ফ্যামিলি কে বা আপনার নমিনি কে দিয়ে যাবেন।
পলিসি তে নিম্নলিখিত দুর্ঘটনা গুলো কভার হয়
Death: 10 Lakh
Total permanent disability: 10 Lakh
Partial permanent disability: Upto 7.5 Lakh
Hospitalization Expenses: Upto 2 Lakh
Transport of mortal remains: 10000

দুর্ঘটনা হবার 4 মাসের মধ্যে claim intimate করতে হবে।
দুর্ঘটনার ফলে যদি কোনো ব্যক্তি injured/disabled হন, এবং সেই কারণে নেক্সট 12 মাসের মধ্যে মারা যান, তাহলে তাঁর ফ্যামিলি death claim করতে পারবেন। Disability বাবদ দেওয়া টাকা death claim এর সাথে অ্যাডজাস্ট করে নেওয়া হবে।

ইলোরা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আওরঙ্গবাদ শহর থেকে ৩০ কিমি (১৮.৬ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। রাষ্ট্...
29/05/2023

ইলোরা ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের আওরঙ্গবাদ শহর থেকে ৩০ কিমি (১৮.৬ মাইল) দূরে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন। রাষ্ট্রকুট রাজবংশ এই নিদর্শনের স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেছিল। এখানে রয়েছে প্রচুর স্মৃতি সংবলিত গুহার সারি। এটি বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থান মর্যাদায় ভূষিত হয়েছে।

ভারতের শিলা কেটে কোন কিছু তৈরি করার প্রাচীন প্রতিরূপ স্থাপত্যটি এখানে অনুসৃত হয়েছে। এখানে মোট ৩৪টি গুহা রয়েছে যেগুলো চরনন্দ্রী পাহাড়ের অভ্যন্তর থেকে খনন করে উদ্ধার করা হয়েছে। গুহাগুলোতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্মের মন্দিরের স্বাক্ষর রয়েছে। ৫ম থেকে ১০ম শতাব্দীর মধ্যে এই ধর্মীয় স্থাপনাগুলো নির্মিত হয়েছিল। এখানে বৌদ্ধ ধর্মের ১২টি হিন্দু ধর্মের ১৭টি এবং জৈন ধর্মের ৫টি মন্দির রয়েছে। সব ধর্মের উপাসনালয়ের এই সহাবস্থান সে যুগের ভারতবর্ষে ধর্মীয় সম্প্রীতির নিদর্শন বহন করে।

সরকার নির্ধারিত ভাড়া 1355/- সরকারী এ.সি. ভলভো বাসে এবার সরাসরি উত্তরবঙ্গ !!শুরু হয়ে গেলো নতুন সরকারী এ.সি. ভলভো বাস রুট....
21/05/2023

সরকার নির্ধারিত ভাড়া 1355/- সরকারী এ.সি. ভলভো বাসে এবার সরাসরি উত্তরবঙ্গ !!
শুরু হয়ে গেলো নতুন সরকারী এ.সি. ভলভো বাস রুট...
‼️ ACT-17 কোলকাতা হইতে শিলিগুড়ি ‼️
👉ভায়া এয়ারপোর্ট, মধ্যমগ্রাম, বারাসাত, কৃষ্ণনগর, মালদা, রায়সঞ্জ 👈
বাস ছাড়ার সময়সূচী :
কোলকাতা (ধর্মতলা বাস স্ট্যান্ড) থেকে ছাড়বে : 5.50PM
শিলিগুড়ি থেকে ছাড়বে : 5.50PM
পরিচালনায় : পশ্চিমবঙ্গ পরিবহন সংস্থা

মন থাকুক মুক্ত, পরিযায়ী বিহঙ্গের মত উড়ে ফিরুক দেশ থেকে দেশান্তর।
07/12/2022

মন থাকুক মুক্ত, পরিযায়ী বিহঙ্গের মত উড়ে ফিরুক দেশ থেকে দেশান্তর।

     গুজবে কান দেবেন না। কিছু সংবাদপত্র, ট্রাভেল রিলেটেড গ্রুপ এ বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম যে ভুটান নাকি ইন্ডিয়ানদের জন্...
25/10/2022





গুজবে কান দেবেন না। কিছু সংবাদপত্র, ট্রাভেল রিলেটেড গ্রুপ এ বেশ কিছুদিন ধরে শুনছিলাম যে ভুটান নাকি ইন্ডিয়ানদের জন্য বারোশো টাকা পার ডে পার হেড নিয়মটি তুলে দিয়েছে। এটি একেবারেই ভুল খবর, ভুটানে এখন যা যা এন্ট্রি রুলস চলছে তা আমি একে একে দিলাম,,,,

১. এন্ট্রি ফি:
ভুটানে যেতে গেলে পার ডে পার হেড বারোশো টাকা করে দিতে হবে। ধরুন আপনি যদি ছয় দিনের ট্রিপ করেন তাহলে আপনাকে মাথাপিছু সাত হাজার দুশো টাকা দিতে হবে। ১২ বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের জন্য ৬০০ টাকা দিতে হবে।

২. গাইড:
ভুটান বেড়াতে গেলে এখন গাইড কম্পালসারি। গাইড এর চার্জ পার ডে ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা। কিন্তু গাইড যেহেতু একদিন আগে থিম্পু বা পার থেকে আসবে তাই তাকে একদিনের চার্জ বেশি দিতে হবে। ধরুন আপনি ছয় দিনের জন্য বেড়াতে যাচ্ছেন সেক্ষেত্রে গাইডকে ৭ দিনের পয়সা দিতে হবে। যে গাড়িতে করে ভুটান ঘুরবেন গাইডকে সবসময় সামনের সিটে বসতে দিতে হবে।

৩. ট্রাভেল ইন্সুরেন্স:
ভুটানের এন্ট্রির জন্য এখন ট্রাভেল ইন্সুরেন্স কম্পালসারি। মাথাপিছু ৬০০ টাকা ট্রাভেল ইন্সুরেন্স করে যেতে হবে।

৪. হোটেল বুকিং:
এখন মিনিমাম থ্রী স্টার ক্যাটাগরি হোটেল আপনাকে বুক করতে হবে। তার নিজের কোন ক্যাটাগরি হোটেল বা হোমস্টে এলাও করা হচ্ছে না।

৫. এন্ট্রি ফি ফর টুরিস্ট প্লেস:
আগে যেমন কিছু কিছু জায়গা ফ্রি ছিল এখন একদম তা নেই। সব মনেস্ট্রি এন্ট্রি ফি ১০০০ টাকা করে দিতে হবে। পারো তে টাইগার নেস্ট মনেস্ট্রি এন্ট্রি ফি পার হেড ২০০০ টাকা করে দিতে হবে। সব টুরিস্ট স্পটেই এন্ট্রি ফি চার্জ করা হচ্ছে।

৬. কার এন্ট্রি রুলস ফ্রম ইন্ডিয়া:
ভুটানের গাড়ি নিয়ে ঘুরলে কোন অসুবিধা নেই কিন্তু অনেকেই আছেন যারা গাড়ি নিয়ে ভুটানে ড্রাইভ করে ঘুরতে যেতে চান তাদের জন্য বলি ইন্ডিয়ান গাড়ির জন্য আপনাকে পার ডে সাড়ে চার হাজার টাকা করে চার্জ দিতে হবে।

৭ ডকুমেন্টস:
পাসপোর্ট আর ভোটার আইডি কার্ড ভুটান ইমিগ্রেশন এর জন্য লাগবে। আধার কার্ড , ড্রাইভিং লাইসেন্স বা অন্য কোন ডকুমেন্টস এলাও করা হবে না । ১৮ বছরের নিচে যারা আছে যাদের ভোটার আইডি হয়নি বা পাসপোর্ট নেই তাদের ক্ষেত্রে অরিজিনাল বার্থ সার্টিফিকেট লাগবে। যেটি শুধুমাত্র ইংরেজিতে লেখা হতে হবে।

ভুটান এম্বাসির এজেন্ট, এসএসবি, কাস্টম, ট্রাভেল এজেন্ট এদের সাথে কথা বলে আপনাদের জন্য এই তথ্যটি তুলে ধরলাম ‌..

আজ আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো ৷ প্রথম ছবিটি লক্ষ্মী নারায়ণ এর যেটি চাল বাটা দিয়ে বানানো হয়েছে, শিম পাতার রস দিয়ে নারায়ণ এ...
24/10/2022

আজ আমাদের বাড়িতে লক্ষ্মীপুজো ৷ প্রথম ছবিটি লক্ষ্মী নারায়ণ এর যেটি চাল বাটা দিয়ে বানানো হয়েছে, শিম পাতার রস দিয়ে নারায়ণ এর গায়ের রং হয়েছে আর হলুদ দিয়ে লক্ষ্মীর ৷ পাশের টি অলক্ষ্মী বানানো হয়েছে, যাকে গোবর দিয়ে বানানো হয় এবং বাঁশ কুলুচিতে রাখা হয়। পূজোর পর অলক্ষ্মী বিদায় হয় ৷ আর লক্ষ্মী নারায়ণ এর নিরামিষ অন্ন ভোগ হয়।
বহু বছর ধরে এই পূজো হয়। আমার দাদুর পূর্বপুরুষেরাও এই পূজো করত। জানিনা next generation এই রীতি পালন করবে কিনা !

Yumthang valley...
02/09/2022

Yumthang valley...

Its True..♥️
10/07/2022

Its True..♥️

বোরং ।।সাউথ সিকিমে রাভাংলা থেকে মাত্র ১৩ কিমি দূরে একটি পাহাড়ী হ্যামলেট বোরং। ৫৮০০ ফুট উচ্চতায় সবুজে মোরানো ছোট্ট গ্রা...
04/07/2022

বোরং ।।

সাউথ সিকিমে রাভাংলা থেকে মাত্র ১৩ কিমি দূরে একটি পাহাড়ী হ্যামলেট বোরং। ৫৮০০ ফুট উচ্চতায় সবুজে মোরানো ছোট্ট গ্রাম এই বোরং। বরফ আবৃত মাউন্ট নরসিং এর অপূর্ব রূপ আর নিঃসর্গ প্রকৃতির নিঃস্তদ্ধ ভূমি বোং। আর পাহাড়ের অফবিট জায়গা গুলোতে ঘুরে বেড়ানোর প্রবণতা শেষ কয়েক বছরে বেশ বেড়েছে, তার সাথে সঙ্গতি রেখেই বোরং এর জনপ্রিয়তাও প্রকৃতি ও পাখি প্রেমিদের কাছে তুঙ্গে। প্রায় ১৫০ রকমের হিমালয়ান পাখির বাস এই অঞ্চল, ফলে পাখি প্রেমিরা সুযোগ পেলেই ভিড় জমাচ্ছেন বোরং এ। সঙ্গে প্রকৃতির নৈসর্গিক নিস্তব্ধতা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। অনেকেই রাভাংলার শহুরে কোলাহল থেকে দূরে এই নিরিবিলি জনপদ টিতে দু-তিন দিন কাটিয়ে যাচ্ছেন দৈনন্দিন জীবনের কোলাহল থেকে দূরে থাকতে। এছাড়া বোরং এর পুরনো ছোট্ট মনাস্ট্রী, পাহাড়ি ঝরনা, হ্যান্ডমেন্ড পেপার তৈরীর কারখানা টুরিস্ট আকর্ষণের অন্যতম কারণ। বোরং এ ছোট-ছোট হোমস্টে গুলি বেশ ভালো। সবুজ গাছ-গাছালী, রং-বেরং এর পাহাড়ি ফুল আর সঙ্গে বিভিন্ন রকম পাখির আনাগোনা এই হোমস্টে গুলির মূল টিআরপি। বুক করে বোরং এ কাটিয়ে যান দুদিন, উষ্ণ আতিথিয়তার মুগ্ধতা আপনাকে গ্রাস করবেই।

এখান থেকে একদিন ঘুরে আসুন রালং মনাস্ট্রি এবং রাভাংলা বুদ্ধ পার্ক। দিনে দিনেই ঘুরে আসা যায়। এছাড়া টাইটানিক ভিউ পয়েন্ট, হট ওয়াটার স্প্রিং ও ঘুরে আসতে পারেন। তবে লেইসার কাটানোর গন্তব্য হিসেবে বোরংয়ে এলেই ভালো। আর আপনি যদি বার্ড ওয়াচার হন তবে আপনার জন্য স্বর্গ এই অঞ্চল।

নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দূরত্ব- 140 কিমি, গাড়ীতে সময় লাগে প্রায় 6 ঘন্টা।
গাড়ী ভাড়া আনুমানিক- 5000/- থেকে 6000/-।

হোমস্টেতে থাকা ও খাওয়ার খরচ- 1200 - 1500 জনপ্রতি প্রতিদিন সমস্ত মিল সহ।

স্বাধীনতা প্রিয় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার 264 তম শহীদ দিবস।
02/07/2022

স্বাধীনতা প্রিয় বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার 264 তম শহীদ দিবস।

এই সমাধির কোনো ছাদ নেই, নেই কোনো রক্ষাকবচ।বাংলার গাছগাছালির বাতাস অহরহ বইছে তাকে ছুঁয়ে। তার উপর ঝাপটে পড়ছে বৃষ্টির ফোঁ...
23/06/2022

এই সমাধির কোনো ছাদ নেই, নেই কোনো রক্ষাকবচ।
বাংলার গাছগাছালির বাতাস অহরহ বইছে তাকে ছুঁয়ে। তার উপর ঝাপটে পড়ছে বৃষ্টির ফোঁটা, রোদের মায়া মমতা।
মীরমদন শুয়ে আছেন এই সমাধিতে দীর্ঘকাল। জানিনা তার নবাবকে ,বাংলাকে রক্ষা না করতে পারার হতাশা তার আত্মাকে এখনো শান্তিতে ঘুমাতে দেয় কিনা! অদূরের পলাশীর প্রান্তর থেকে হয়তো নিঝুম রাতে বয়ে আশা বাতাস তাকে সেদিনের কথা ভুলতে দেয় না!

আজকের দিনেই ভারতের পরাধীনতার মূল সূত্রপাত ঘটেছিল। ২৩শে জুন। আজ পলাশী দিবস। অন্য অনেক তারিখ ভুলে গেলেও কেন জানিনা এটা ঠিক মনে পড়ে যায়!

প্রতি বছর জ্বর হয় জগন্নাথের, জানেন কেন?প্রতি বছর জ্যেষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ নিজের ভাই এবং বোনের সঙ্গে ১০৮টি ক...
22/06/2022

প্রতি বছর জ্বর হয় জগন্নাথের, জানেন কেন?

প্রতি বছর জ্যেষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ নিজের ভাই এবং বোনের সঙ্গে ১০৮টি কলসির জলে পবিত্র স্নান করেন। অত্যধিক স্নানের কারণে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা অসুস্থ হয়ে পড়েন।
শাস্ত্র মতে, জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমা ভগবান জগন্নাথের জন্মতিথি। জগন্নাথ ধামে, ভগবান বিষ্ণু জগন্নাথ রূপে বিরাজ করেন। এটিই একমাত্র মন্দির যেখানে ভগবানের বিগ্রহ কাষ্ঠের আর এখানে জগন্নাথ নিজের দাদা বলভদ্র ও বোন সুভদ্রার সঙ্গে পূজিত হন। হাজার বছরের পরম্পরা অনুযায়ী, প্রতি বছর জ্যেষ্ঠ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে জগন্নাথ নিজের ভাই এবং বোনের সঙ্গে ১০৮টি কলসির জলে পবিত্র স্নান করেন।

পৌরাণিক ধ্যান-ধারণা মতে, অত্যধিক স্নানের কারণে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। যে কারণে একান্তবাসে থাকতে হয় তাঁদের। এর পর ১৫ দিনের জন্য মন্দির বন্ধ করে দেওয়া হয়। কয়েকজন পুরোহিত বৈদ্যের মতো ভগবানের সেবা করে তাঁর চিকিৎসা করেন। অসুস্থ হয়ে পড়ার পর রত্নজড়িত বস্ত্রের পরিবর্তে সুতির শ্বেত বস্ত্র পরিধান করেন তাঁরা, আভুষণও খুলে রাখা হয়। ভোজনে দেওয়া হয় ফল, ফলের রস, তরল পদার্থ। পঞ্চম দিন বড় ওড়িয়া মঠ থেকে ফুলেরি তেল আসে, যা দিয়ে হাল্কা মালিশ করা হয়। এর পর রক্তচন্দন ও কস্তুরির প্রলেপ লাগানো হয়। এ সময় তাঁকে হাল্কা খাবার, যেমন, দুধ, ফলের রস ও কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ওষুধ খাওয়ানো হয়।

দশম দিনে দশমুলারিষ্ঠে নীম, হলুদ, হরড়, বহেড়া, লবঙ্গ ইত্যাদি জড়িবুটির জল দিয়ে নরম মোদক বানিয়ে খেতে দেওয়া হয়।

শাস্ত্র অনুযায়ী, বিশ্বকর্মা (বুড়ো কাঠমিস্ত্রি রূপে) মূর্তি বানানোর সময় রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নর সামনে শর্ত রাখেন যে, তিনি দরজা বন্ধ করে মূর্তি বানাবেন। যতক্ষণ না তাঁর মূর্তি বানানো শেষ হচ্ছে, ভেতরে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। তাঁর কাজ শেষ হওয়ার আগে দরজা খুলে গেলে তিনি মূর্তি বানানো ছেড়ে দেবেন। বন্ধ দরজার পিছনে মূর্তি নিমার্ণের কাজ হচ্ছে কি না, তা তদারকির জন্য রাজা প্রতিদিন দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে মূর্তি তৈরির আওয়াজ শুনতেন।

এমনই একদিন কোনও আওয়াজ তাঁর কানে না-এলে, তিনি অধীর হয়ে পড়েন। ভাবেন যে, বিশ্বকর্মা নিশ্চয়ই মূর্তির কাজ ফেলে রেখে চলে গেছেন। এই ভেবে রাজা দরজা খুললে, শর্ত অনুযায়ী বিশ্বকর্মা সেখান থেকে অন্তর্ধান হয়ে যান। তখনও জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার মূর্তি অসম্পূর্ণই ছিল। তাই দেখে রাজা বিলাপ করতে শুরু করলে, বিষ্ণু রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নকে বিলাপ না-করতে বলেন। রাজাকে দর্শন দিয়ে জানান, তিনি নারদকে কথা দিয়েছিলেন, বাল্যরূপে, এই আকারেই পৃথিবীলোকে বিরাজ করবেন। এর পর তিনি রাজাকে ১০৮টি ঘটের জলে তাঁর অভিষেকের আদেশ দেন। সেই দিনটি ছিল জ্যেষ্ঠ পূর্ণিমা।

তখন থেকেই এই ধারণা প্রচলিত হয়ে পড়ে যে, যদি কোনও বালককে ঠান্ডা জলে অত্যধিক স্নান করানো হয় তা হলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে। সে জন্য সেদিন থেকে জ্যেষ্ঠ মাসের আমাবস্যা পর্যন্ত অসুস্থ শিশুর মতো ভগবানের সেবা করা হয়।

রথযাত্রার একদিন আগে, জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রা সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁদের মন্দিরের গর্ভগৃহে ফিরিয়ে আনা হয়। এর পর তাঁরা নিজের মাসির সঙ্গে দেখা করতে গুন্ডীচা মন্দির যান। এখানে বিভিন্ন প্রকারের ব্যঞ্জন তাঁকে ভোগে দেওয়া হয়। মাসির বাড়িতে ৯ দিন কাটিয়ে পুনরায় মন্দিরে ফিরে আসেন।

🙏🌸✨ জয় জগন্নাথ ✨🌸🙏

30/05/2022
  টুংলুর  সকাল। Booking open now..
28/04/2022



টুংলুর সকাল।
Booking open now..

পাহাড় নাকি সাগর ?  আমার তো  পাহাড় ভালো লাগে 🏞️🏞️🖤🖤Join- Cholo jai Haoa Bodlai tours & Travel...
07/04/2022

পাহাড় নাকি সাগর ?
আমার তো পাহাড় ভালো লাগে 🏞️🏞️🖤🖤

Join- Cholo jai Haoa Bodlai tours & Travel...

Kafergaon Retreat:   কালিম্পং থেকে ৫৫ কিমি এবং লোলেগাঁও থেকে ৩ কিমি দুরত্বে কাফেরগাঁও পাহাড় প্রেমিক দের জন্য একটি আদর্শ ...
06/04/2022

Kafergaon Retreat: কালিম্পং থেকে ৫৫ কিমি এবং লোলেগাঁও থেকে ৩ কিমি দুরত্বে কাফেরগাঁও পাহাড় প্রেমিক দের জন্য একটি আদর্শ জায়গা। মূলত লেপচা সম্প্রদায়ের বসবাস এখানে। শান্ত ,নির্জন পরিবেশে প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করতে করতে যারা পছন্দ করেন, তাদের অবশ্যই গন্তব্য এই পাহাড়ের গ্রাম টি। এছাড়াও Bird Watcher দের কাছে এই গ্রাম স্বর্গ। সাথে পাবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার প্যানোরামিক ভিউ।

বুকিং করার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন:
9091800667

lets go
09/03/2022

lets go

Booking has started .. for booking and further details ping me or call me at 9091800667 ...❤️ গ্যাং নিয়ে গ্যাংটক ❤️⚫ ••...
16/02/2022

Booking has started .. for booking and further details ping me or call me at 9091800667 ...

❤️ গ্যাং নিয়ে গ্যাংটক ❤️

⚫ •• প্রথম দিন - শিয়ালদহ স্টেশনে পৌঁছে কিছু সেলফি তুলিয়ে এবং ফেবুতে আপলোডিয়ে ট্রেনে চড়তে না চড়তেই ট্রেন এর ভোপু বেজে উঠলো। ট্রেন এ স্লিপার ক্লাস এর রাত টা ঠিক ডিজে নাইট এর মতো হয়। ভিন্ন ধরণের নাক ডাকার আওয়াজ, কিন্তু কোনটা ঠিক কোন দিক থেকে আসছে আপনি ধরতেই পারবেন না 🤣।

⚫ •• দ্বিতীয় দিন -

সকাল ৯ টা বেজে ৩০ মিনিটে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামতেই মানুষের ভিড় দেখে হা হয়ে যাওয়া টা অস্বাভাবিক কিছু হবে না । সেই ভিড় ঠেলে যখন ফুট ব্রীজ এ উঠে সামনের দিকে এগোতে গিয়ে দূরের আকাশে সুন্দরী কাঞ্চনজঙ্ঘা এর রূপ দেখে( যদি আপনার ভাগ্য ভালো থাকে😊) অবাক হয়ে যাওয়াটা নিতান্তই স্বাভাবিক । রেস্টুরেন্ট এ ব্রেকফাস্ট সারার সময় কেউ যদি ' শশধর বোস এর মত (ফেলুদা সমগ্র এর এক চরিত্র)' প্রশ্ন করেন " দাদা আপনারা কি ক্যাং , ড্যাং না গ্যাং ? ( ক্যাং - কালিম্পং , ড্যাং - দার্জিলিং , গ্যাং - গ্যাংটক )" তখন হতবাক না হয়ে নিশ্চিন্তে বলতে পারেন যে ' দাদা আমরা গ্যাং ' । ব্রেকফাস্ট সেরে সোজা পৌঁছে যাবো গ্যাংটক এ । সেবক রোড এ পৌঁছানোর পরে পরেই কান এ তালা ধরে গেলে পকেট থেকে চুইং গাম বের করে চেবাতে থাকবো । গ্যাংটক এ পৌঁছে স্নান - খাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম নিয়ে সন্ধ্যায় ' স্বচ্ছ ভারত অভিযান ' এর বিশেষ নিদর্শন মহাত্মা গান্ধী মার্গ বা গ্যাংটক ম্যাল এ ঘুরে সময় কাটিয়ে হোটেল এ ফিরে ডিনার শেষ এ ঘুম ।


•⚫ •• তৃতীয় দিন - আজ আমরা চাইলেই ছাঙ্গু আর নিউ বাবা মন্দির এর দিকে যেতে পারি । কিন্তু একটা ছোট্ট সমস্যা আছে । গ্যাংটক এর উচ্চতা ৫৫০০ ফিট এবং ছাঙ্গু লেক প্রায় ১৩২০০ ফিট । আর এই প্রায় ৮০০০ ফিট উঁচুতে উঠতে গাড়ি সময় নেয় মাত্র ৩ ঘণ্টা । আর লাচেন এর উচ্চতা প্রায় ৯৫০০ ফিট ছুঁই ছুঁই । সেই উচ্চতায় গ্যাংটক থেকে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় ৮ ঘণ্টা । তাই উচ্চতার এই ফারাক যাতে একটু বেশি সময় হাতে পেয়ে শরীর মানিয়ে নিতে পারে তাই আমরা আজ লাচেন যাবো ।
যাওয়ার পথে দেখে নেবো বাটারফ্লাই ফলস , নাগা ফলস এবং অমিতাভ বচ্চন ফলস ( ভিমা ফলস ) । সন্ধ্যায় পৌঁছে চা - বিস্কিট খেয়ে একটু আড্ডা চলবে , সাথে গা গরমের ঔষধি ( আমি মধু খাওয়ার কথা বললাম কিন্তু ) । রাতে জলদি জলদি ডিনার করে ঘুম ।

⚫•• চতুর্থ দিন - চলতি বাংলায় একটা কথা আছে। ' স্যাটা ভাঙা '। হ্যাঁ ঠিক পড়লেন। ঠিক এমন ঠান্ডায় সকাল 6 টার মধ্যে উঠে রেডি হয়ে যখন গুরুদংমার এর উদ্দেশ্যে বেরোতে হবে তখন মুখ থেকে এটাই বেরোবে। ' গুরুদংমার লেক, আ লাইফটাইম অপারচুনিটি ' দেখে আমরা হোটেলে ক্লান্ত এবং মুগ্ধ হয়ে ফিরেই লাঞ্চ সেরে ছুট দেবো (মানে গাড়ি ধরে ) লাচুঙ এর উদ্দেশ্যে। পৌঁছে যে যার মত করে সময় কাটিয়ে সকালের দৌড়ঝাপ এর জন্য নিজেদের চার্জ করতে শুয়ে পড়বো ।

⚫•• পঞ্চম দিন -

আগের দিন ঠান্ডায় ঘুম টা বেশ হোক বা না হোক আজ আমাদের সকাল সকাল উঠতে হবে । উঠে কাঁপতে কাঁপতে চটজলদি ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট করে ইয়ামথাং ভ্যালি এবং জিরো পয়েন্ট এর উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পরবো । সেখান থেকে অনেক খানি সেলফি ও স্লো মো ভিডিও রেকর্ড করে ফিরে যাবো লাচুং হোটেল এ । সেখানে লাঞ্চ সেরে ফিরে আসবো গ্যাংটক এ । সন্ধ্যায় যখন শরীর না বলে দেবে এমন সময় গ্যাংটক এ ফিরে স্নান করে চা ও স্ন্যাকস মেরে একটু বিশ্রাম । রাতে ডিনার করে লম্বা ঘুম ।

⚫•• ষষ্ঠ দিন -

আজ সকাল সকাল চা , বিস্কুট আর পেট ভরে ম্যাগি খেয়ে সোজা ছাঙ্গু লেক । রাস্তায় যেতে যেতে গাড়ি থেকে উঁকি মেরে দেখে নেবো পাশের পাহাড়ের গায়ে লেগে থাকা পাথর গুলো । এই পথেই শশধর বোস পাথর ফেলে আহত করেছিল মিস্টার শেলভাঙ্কার কে ( ফেলুদা গল্পে বিবৃত ) । ঘাবড়ানোর কিছু নেই । " এটা ওয়ান ইন অ্যা মিলিয়ন চান্স ( ফেলুদা টু তোপসে ) " । ছাঙ্গু পৌঁছে আর কিছু করুন বা না করুন দুটো জিনিস অবশ্যই খেয়াল করবেন । এক - রোপ ওয়ে চড়ার কথা , দুই - ইয়াক এর সাথে ইয়ার্কি না মারার কথা । ওখান থেকে চলে যাবেন নিউ বাবা মন্দির এ । দেখবেন এক অসম্ভব গল্পের সত্যি হওয়ার এক বিশ্বস্ত নিদর্শন । না , নাথুলা যাওয়া টা হয়ত হয়ে উঠবে না। যাই হোক এক দারুন স্মৃতি মাথায় নিয়ে আর পেট এর মধ্যে গুলিয়ে যাওয়া সকালের ম্যাগি নিয়ে ফিরে আসবো হোটেল এ । সন্ধায় আবার একবার এম.জি.মার্গ । তারপর ডিনার ।আর তারপরে মধু খেয়ে গা গরম করে ঘুমিয়ে যাবো 😁।

⚫ •• সপ্তম দিন - আজ আমাদের বাড়ি ফেরার পালা । আজ ব্রেকফাস্ট করে ব্যাগ প্যাক করে বাকি টাকা হোটেল এ মিটিয়ে 😁 নেমে আসবো নিউ জলপাইগুড়ি তে । ট্রেন ধরবো বাড়ির উদ্দেশ্যে। রাতটা ট্রেনে।

⚫ •• অষ্টম দিন - ট্রেন থেকে নেমে গেছেন? এবার আর আমার দিকে তাকাবেন না। প্যাকেজ শেষ। সবাই নিজের মত বাড়ি চলে যাবেন। আর হ্যাঁ, মুঠোফোনে যোগাযোগ রাখতে ভুলবেন না কিন্তু।

ভাবছেন হয়তো আমি কেন এমন ভাবে ট্যুর প্ল্যান টা লিখলাম । ঠিক আছে ভাবুন , ভাবা প্র্যাকটিস করুন 😊❤️❤️

এই গল্পটি আমার মুখে শুনতে আর বুকিং করতে ফোন করুন

9091800667

Cholo jai Haoa Bodlai Tour & Travels

অক্টোবর মাসে পরপর দুটি গ্রুপ ট্যুর সফলতার সহিত সম্পন্ন করবার পর এপ্রিল মাসে কাশ্মীরে টিউলিপ ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে য...
10/02/2022

অক্টোবর মাসে পরপর দুটি গ্রুপ ট্যুর সফলতার সহিত সম্পন্ন করবার পর এপ্রিল মাসে কাশ্মীরে টিউলিপ ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে যোগাযোগ করুন। সাথে থাকবে বাঙালি রাঁধুনি দ্বারা বিশুদ্ধ বাঙালি খাবার । থাকবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন স্ট্যান্ডার্ড রুম।

❤️ ট্যুর শুরু। :- 12 ই এপ্রিল
❤️ ট্যুর শেষ :- 23 শে এপ্রিল

❤️ ট্যুরের খরচ। :- 14,000/- ট্রেন টিকিট সহিত
টিকিট খুব সীমিত শিগগিরই যোগাযোগ করুন।

❤️ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে খরচ :-
১ থেকে ৪ বছরের বাচ্চা সম্পূর্ণ ফ্রী ।
৫ থেকে ৮ বছরের বাচ্চা ৭৫%
৯ থেকে পুরো পেমেন্ট ।

❤️আ্যডভান্স :- ট্রেন টিকিটের 1500/- + আ্যডভান্স বাবদ 3000/- । বাকি সমস্ত পেমেন্ট পৌঁছে । ট্রেন টিকিট নিজে কেটে নিলে পারহেড শুধু 3000/- পেমেন্ট করলেই হবে ।

❤️ যোগাযোগ :-9088511512/9091800667
( ফোন + হোয়াটসঅ্যাপ )

❤️ ট্যুরের বিবরন :-

❤️কাশ্মীর ভ্রমণ( ভূস্বর্গ)❤️
❤️ (পৃথিবীর নন্দনকানন❤️


# #একনজরে দেখে নেবো # # # #
#কাটরা, #বৈষ্ণবদেবী, #শ্রীনগর, #গুলমার্গ, #সোনমার্গ, #পেহেলগাম, #আরুভ্যালি, #বেতাবভ্যালি, #ডাললেক, #মোঘলগার্ডেন, #টিউলিপ_গার্ডেন ।



Day 1:- কলকাতা থেকে এক্সপ্রেস ট্রেন এ করে জম্মুর উদ্দেশ্যে যাত্রা।

Day 2:- আজ পুরো দিনটাই কাটবে ট্রেনে।

Day 3:- জম্মু পৌঁছে আমাদের প্রতিনিধিটির সাথে দেখা করে এবং পরিচয় পর্ব মিটিয়ে কাটরা উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবো। দূরত্ব প্রায় 50 কিলোমিটার, প্রায় 2 ঘন্টা, কাটরা আসার পরে আমরা হোটেলে গিয়ে লাঞ্চ করে রেস্ট নেবো। বিকেল বেলা কাটরা সহর পায়ে হেঁটে ঘুরে দেখবো। রাত্রিযাপন কাটরা।

Day 4 : #কাটরা - #বৈষ্ণোদেবী যাত্রা

খুব ভোরে আমরা ব্রেকফাস্ট সেরে বৈষ্ণবদেবীর পবিত্র মন্দিরটি দেখার জন্য যাত্রা শুরু করবো। এই মন্দিরটি পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত। এই মন্দিরটি দেখার জন্য আপনি একটি পালকি, ঘোড়া ভাড়া নিতে পারেন বা পায়ে হেঁটে ও যেতে পারেন। কাটরা থেকে বৈষ্ণো দেবী তীর্থযাত্রা প্রায় 14কিলোমিটার। মন্দিরটি দেখার পরে আমরা ওই দিন আবার কাটরা ফিরে আসবো। রাত্রিযাপন হোটেলে।

Day 5: - #কাটরা - #পাহেলগাম

হোটেল থেকে চেক-আউট করার পরে পাহলগামে এর উদ্দেশ্যে যাত্রা (শেফার্ডসের উপত্যকা) প্রায় 250 কিলোমিটার দূরত্বটি প্রায় 7 থেকে 8 ঘন্টা।পাহলগাম জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের শেশনাগ হ্রদ এবং লিডার নদী থেকে প্রবাহিত স্রোতের একত্রে অবস্থিত। পহলগাম এখন কাশ্মীরের প্রধান অবলম্বন; হোটেলে চেক ইন করে. রাত্রিযাপন হোটেলে।

Day 6: #পহলগাম

আজ আমরা ব্রেকফস্ট এর পরে পহলগাম এর দর্শনীয় স্থান গুলো ঘুরে ঘুরে দেখবো যেমন আরু ভ্যালি, বেতাব ভ্যালি, মিনি সুইজারল্যান্ড

Day 7: #পহলগাম - #শ্রীনগর

আজ আমরা সকাল সকাল যাত্রা শুরু করবো শ্রীনগর এর উদ্দেশ্যে। হোটেলে পৌঁছে ব্রেকফাস্ট সেরে শ্রীনগর এর দর্শনীয় স্থান গুলি দেখবো। ডাললেক, এক ঘন্টা সিকারা রাইড,মোগল গার্ডেন, নিশাত গার্ডে এবং তাঁর স্ত্রী সম্রাট নূরজাহানের জন্য জাহাঙ্গীরের দ্বারা নির্মিত শালিমার গার্ডেন ।

বিখ্যাত টিউলিপ গার্ডেন দর্শন হবে আজ।

সমস্ত উদ্যানগুলি পটভূমিতে জবারওয়ান পাহাড় সহ ডাল হ্রদের তীরে অবস্থিত। রাত্রিযাপন হোটেল।

Day 8: #শ্রীনগর - #গুলমার্গ - #শ্রীনগর

আজ সকালে ব্রেকফাস্ট এর পরে যাত্রা শুরু করবো গুল মার্গ (ফুলের চারণভূমি) 2730 মিটার সমুদ্রতল থেকে উপরে। 60 কিলোমিটারের দূরত্ব প্রায় 2 ঘন্টা। গুলমার্গে বিশ্বের সেরা স্কি opালগুলির একটি এবং 18 টি ছিদ্রযুক্ত সর্বাধিক গল্ফ কোর্স দেখে নিতে পারেন। আবহাওয়ার অনুমতি দিলে নাঙ্গা পার্বতের দৃশ্যও দেখতে পাবেন, খিলংমার্গ পর্যন্ত পাহাড়ের যাত্রার জন্য রুপয়ে গাড়ি (গন্ডোলা )ও উপভোগ করতে পারেন। সন্ধ্যায় শ্রীনগর ফিরে রাত্রিযাপন হোটেলে।

Day 9: #শ্রীনগর - #সোনমার্গ - #শ্রীনগর

সকালে ব্রেকফাস্ট এর পরে সোনমার্গের যাত্রা (সোনার ঘাট) প্রায় প্রায় 83 কিলোমিটার দূরত্বটি প্রায় 3 ঘন্টার। আমরা দেখে নেবো #জিরো পয়েন্ট, #কাশ্মীর লাস্ট ভিলেজ, আরো অনেক কিছু।সোনমার্গ সিঁদ উপত্যকায় অবস্থিত ফুলের সাথে প্রবাহিত এবং পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। উচ্চ উচ্চতা হিমালয়ান হ্রদগুলিতে কিছু আকর্ষণীয় ভ্রমণগুলির জন্য সোনমার্গও বেস্ট। সন্ধ্যায় সোনমার্গ থেকে ফিরে রাতের খাবার খেয়ে রাত্রিযাপন শ্রীনগর হোটেল।

Day 10: #শ্রীনগর - #জম্মু

সকালের ব্রেকফাস্ট এর পরে শ্রীনগর থেকে জম্মুর উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু। রাত্রে জম্মু থেকে ট্রেন ধরবো।

Day 11- আজ সারা দিন ট্রেনেই কাটবে।

Day 12:- আজ হাওড়া পৌঁছে কাশ্মীরের সব মধুর স্মৃতি কে আকড়ে ধরে নিয়ে যে যার বাড়িতে পৌছাবো।🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏

#অন্তর্ভুক্ত :

#স্লিপার ক্লাস ট্রেন টিকিট কলকাতা- জম্মু, জম্মু- কলকাতা।
#ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ইভিনিং স্নেকস ডিনার
#ডিলাক্স হোটেল
#ফ্যামিলি অনুযায়ী রুম
# সমস্ত সাইটসিন টেম্পো ট্রাভেলার

#বহির্ভূত:
#বিভিন্ন স্থানের এন্ট্রি টিকিট
#গাইড ও এন্ট্রান্স
#গুল মার্গ এ গন্ডোলা টিকিট
# সনমার্গ ট্যুর এ লোকাল গাড়ী
#ট্রেন যাত্রায় কোনো প্রকার খাওয়া।
# আরু ও বেতাব ভ্যালির গাড়ি
# শিকারা ভ্রমন

Booking gooing on .for package tour contact 9091800667..njp to njp.
28/09/2021

Booking gooing on .for package tour contact 9091800667..njp to njp.

HAPPY BIRTHDAY BABA JIToday 30th August  is the Birthday of Baba Harbhajan Singh. The Saint turns 75 today, he was born ...
30/08/2021

HAPPY BIRTHDAY BABA JI
Today 30th August is the Birthday of Baba Harbhajan Singh. The Saint turns 75 today, he was born in 1946

Baba Harbhajan Singh has been on duty both before and after death in Nathula border. Baba Harbhajan Singh who died in 1968 on duty in Sikkim still does his duty on Nathula Border between India and China in East Sikkim. Both Indian and Chinese Army worship him. During the flag meetings between the two nations at Nathula, the Chinese set a chair aside for the saint.
He died at the age of 22 at Nathula in Eastern Sikkim. But as per legends, he still does his duty in Nathula Border.

Some striking facts about Saint Captain as told by the Army officials I met at Nathu-La and Baba Mandir :
1. Baba warns the soldiers of any impending attacks atleast 3 days in advance. He is still guarding the international boundaries of the two countries.
2. During the customary flag meetings between the India and China, the Chinese army still sets a chair aside for Baba.
3. Baba Mandir today has three rooms, Baba’s office, store room and living room. In the living room every item of his need has been neatly kept. His bed, shoes, slippers, water bottle, ironed uniform, an umbrella - everything.
4. His room is cleaned every morning.
5. On some mornings, soldiers have found crumpled bedsheet and his muddy shoes in the room.
6. On a lot of occasions, soldiers have discovered that Baba still visits the camps and his post.
7. He still draws a Major’s salary every month.
8. He still gets 2 months of leave every year.
9. Every year on 11 September, his belongings are sent to his hometown. The train departs from New Jalpaiguri station, Siliguri, West Bengal.
10. A berth is reserved in his name and is left empty for the entire journey.
11. A team of soldiers accompanies him till his hometown.
12. The Army is on high alert when Baba is on leave.

Some soldiers never die .

👉 এটি হলো 🌿🌿"নবদ্বীপ-শান্তিপুর" লাইট রেলওয়ে🌿🌿.......🌿 সময়টা প্রায় গত শতকের 70 এর দশকের... নবদ্বীপের গঙ্গার অপর পাড়ে ছিল...
23/06/2021

👉 এটি হলো 🌿🌿"নবদ্বীপ-শান্তিপুর" লাইট রেলওয়ে🌿🌿.......

🌿 সময়টা প্রায় গত শতকের 70 এর দশকের... নবদ্বীপের গঙ্গার অপর পাড়ে ছিলো "স্বরুপগঞ্জ"... এই স্বরুপগঞ্জেই ছিলো ঝোপঝাড় আর বটের ঝুড়ির আবছায়ার ভিতর "নবদ্বীপ ঘাট" রেল স্টেশন... খেলনা বাড়ির মতো ছোট লাল স্টেশনঘরের সামনে সরু সরু দু-সারি রেললাইন... একটু দূরে গিয়ে মিলে গেছে আবার একসঙ্গে... এই লাইনের দৌড় ছিলো শান্তিপুর পয'ন্ত... মাঝে কৃষ্ণনগর সিটি জংশং, তার ওপাশে "দিগনগর" এপাশে "আমঘাটা" আর "মহেষগঞ্জ" স্টেশন... এই ছিলো প্রায় 28 কিলোমিটারের মতো ছোট্ট রেলপথের গতিপথ....

🌿 সময় মতো পৌছে যেতে পারলে দেখা যেতো লাইনের উপর দাঁড়িয়ে খয়েরি বা সবুজ রঙের তিন কামরার এই রেলগাড়িটিকে, অনেকে আবার এই গাড়িটিরে "মামার বাড়ি" যাওয়ার গাড়িও বলতেন... ইঞ্জিনের গায়ে লেখা থাকতো বড় বড় ইংরেজি অক্ষরের ER, আদতে এই গাড়িটি "মাটি'ন কোম্পানির" তৈরি হলেও, স্বাধীনতার পরে "ইস্ট্রান রেলওয়ের" আন্ডারে চলে গিয়েছিলো....

🌿 এই ছোটো রেললাইনের পোষাকী নাম ছিলো "ন্যারো গেজ" বা "লাইট রেলওয়ে"... খুব ধীরে ধীরে চলতো এই ট্রেনটি, সবোচ্চ' গতি ছিলো প্রায় ঘন্টায় 15 কিলোমিটারের মতো... যা চলন্ত গাড়ি থেকে একজন স্কুলবালকের নামাটা খুব একটা কঠিন কাজ ছিলো না.. অনেকেরই অনেক স্মৃতি হয়তো জড়িয়ে রয়েছে এখানে...

🌿 সমতল বাংলায় এই রেলের অস্তিত্ব এখন আর নেই, তবে এখনো টিকে রয়েছে "দাজি'লিং হিমালয়ান রেলওয়ে" যেটি চলে পাহাড়ি পথে....

🌿 দেশের স্বাধীনতার পরে যোগাযোগ ব্যবস্হাকে উন্নততর করতে এইগুলিকে ব্রডগেজে রুপান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিলো... সড়ক ব্যবস্হার উন্নতির ফলে মোটরচালীত যানবাহনের বারবাড়ন্তও এদের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছিলো ।।

Valparai, Coimbatore, Tamilnadu.
23/06/2021

Valparai, Coimbatore, Tamilnadu.

মেটিয়াবুরুজের নবাব......দ্য লাস্ট কিং ইন ইন্ডিয়া’মেটিয়াবুরুজের ইতিহাস কলকাতা থেকেও প্রাচীন। ভাগীরথী নদীর দুই তীরে দুটি ক...
13/06/2021

মেটিয়াবুরুজের নবাব......দ্য লাস্ট কিং ইন ইন্ডিয়া’

মেটিয়াবুরুজের ইতিহাস কলকাতা থেকেও প্রাচীন। ভাগীরথী নদীর দুই তীরে দুটি কেল্লা, একটি রাজা প্রতাপাদিত্য অন্যটি ডাচরা তৈরি করে। লর্ড ক্লাইভ এ অঞ্চল দখলের সময় কেল্লা দুটির দখল নেন। সেই সময় এ অঞ্চলে কেল্লা নির্মাণের প্রধান উপকরণ ছিল মাটি। কলকাতার পত্তনের সময় কেল্লা দুটি ধ্বংস হয়ে যায় এবং পড়ে থাকে বিশাল মাটির ঢিবি বা বুরুজ। আসলে কথাটা ছিল মাটিয়া বুর্জ, অর্থাৎ মাটির কেল্লা। গঙ্গার বাঁকে এক কালে কাঁচা ইটের এই কেল্লা থেকেই পাহারা চলত।

সেই মাটিয়া বুর্জ থেকেই মেটিয়াবুরুজ নাম। শ্রীপান্থ সেই মেটিয়াবুরুজকেই আরও নরম করলেন তাঁর ‘মেটিয়াবুরুজের নবাব’ বইয়ে।

মেটিয়াবুরুজ দিয়ে এগোলে আজও জ্বলজ্বল করতে দেখা যায় তার ওস্তাগর সাম্রাজ্য। সম্ভবত ভারতের সর্ববৃহৎ দর্জিপাড়া।

নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ, অযোধ্যার শেষ বাদশা তিনি। ইংরেজদের কাছে রাজ্য খুইয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন কলকাতায়। তখনও আশা ছিল, হয়ত একদিন ফেরত পাওয়া যাবে সেই হারানো আওধ। লিখেছিলেন, ‘দর ও দিওয়ার পর হসরত সে নজর করতে হ্যায়/ খুশ রহো আহলে বতন হম তো সফর করতে হ্যায়।’

‘দরজা আর জানলার দিকে অকাতরে তাকিয়ে থাকি/ খুশি থাকো আমার দেশের লোক, আমি যে সফর করছি।’ সেই সফর শেষ হয়নি আর। এই শহরেই তাই সাধের লখনউয়ের ছোট সংস্করণ বানাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন ওয়াজিদ আলি শাহ। আর কী না বানিয়েছিলেন তাঁর সাধের মেটিয়াবুরুজে।

দিল ক্যা করে যব কিসিসে কিসিকো প্যার হো গ্যয়া - হয়ত এই রকমই কিছু মনে হয়েছিল ওয়াজিদ আলি শাহের। মা জানাব-ই-আলিয়ার জাহাজ ভেসে গেল গঙ্গার বুকে। লক্ষ্য দূর লন্ডন, সেখানে রানী ভিক্টোরিয়ার কাছে সরাসরি এক রাজ্যচ্যুত সন্তানের মায়ের আবেদন জানাতে চললেন তিনি। সঙ্গে আরেক ছেলে সিকন্দর হাশমত। অথচ যার জন্য করা, সেই নবাবই রয়ে গেলেন কলকাতায়। সাল ১৮৫৬।

১৮৫৭ র সিপাহী বিদ্রোহ। ওয়াজিদ আলি শাহকে ইংরেজরা সাময়িক ভাবে বন্দী করে ফোর্ট উইলিয়ামে। জুন ১৮৫৭ থেকে জুলাই ১৮৫৯ অবধি তিনি নজরবন্দী থাকেন ফোর্ট উইলিয়ামের ভিতর, আরমহার্স্ট কুঠীতে। এদিকে লক্ষণৌতে ওয়াজিদ আলি শাহের এক বেগম হজরত মহল বিদ্রোহে যোগ দেন। এরপর আর বেগম জনাব-জানাব-ই-আলিয়ার আশা পুরণ হওয়ারও কোন সম্ভাবনা ছিল না - তাই দেশের পথে রওনা দিয়েছিলেন। পথেই মৃত্যু - প্যারিসের Père Lachaise তে সমাধি দেওয়া হয় তাকে। রাজ সম্মান জানাতে উপস্থিত ছিলেন তুর্কী আর পারস্যের সুলতানের প্রতিনিধি। দিনটা ২৪ শে জানুয়ারী, ১৯৫৮।

আসলে নবাবটি একটু অন্য ধাতের - যুদ্ধ বিগ্রহ রাজ্য শাসনের থেকে তাঁর মন বেশি গান- নাচ- কবিতা-প্রেম এই সবে। তিনি ছিলেন এক আদ্যন্ত শিল্পী। গায়ক, গজল লিখিয়ে, সুরকার, নাট্যকার, কত্থক নাচিয়ে, সাহিত্যিকও। চল্লিশটার ওপর বই লিখেছিলেন তিনি। রেখতা, শের, গজল, ঠুমরির পাশাপাশি লিখেছিলেন ভারতীয় মার্গ সঙ্গীতের ইতিহাস। আর তারই সঙ্গে নিজের আত্মজীবনী, পঞ্জিকা, নাটক। যদুভট্ট বা সৌরিন্দ্রমোহন ঠাকুরের মতো সঙ্গীতবেত্তারা ছিলেন তাঁর বন্ধু। পণ্ডিত বিরজু মহারাজের পূর্বপুরুষ পণ্ডিত দুর্গাপ্রসাদ ও ঠাকুরপ্রসাদের কাছে কত্থক নাচের তালিম নিয়েছিলেন তিনিই।

নজরবন্দী থেকে মুক্তি পাওয়ার পরে নবাবের ঠিকানা হল মেটিয়াবুরুজের পরীখানায় - বেগম, তওয়ায়েফদের সৌন্দর্যে সত্যিই সেখানে পরী নেমে আসত যেন। নবাব রইলেন তার পশু, পাখি, কবিতা, নাচ, গান আর হারেম সুন্দরীদের নিয়ে। বছরে বার লক্ষ টাকা পেন্সন। তারই মধ্যে সংসার চালান ৩৮৪ জন বেগম নিয়ে। লখনউ নগরীর আদলে গড়ে তুললেন ইমামবাড়া, মসজিদ, চিড়িয়াখানা। এই চিড়িয়াখানার থেকেই নাকি একবার এক বাঘ পালিয়ে গঙ্গা পেরিয়ে ওপারের শিবপুরের বোট্যানিকাল গার্ডেনে গিয়ে হানা দেয়!

ইতিহাসের বেশিটাই আর নেই, হারিয়ে গিয়েছে কালের গর্ভে। কারণ ১৮৮৭ সালে নবাবের মৃত্যুর পরে ইংরেজরা নবাবের সব সম্পত্তি দখল করে নিয়েছিল।

তাঁর উদ্যোগেই মেটিয়াবুরুজ হয়ে উঠেছিল এক অসামান্য নগরী। একদম পরিকল্পনামাফিক তৈরি করা হয়েছিল রাস্তা। সেই রাস্তা রাতের বেলা সেজে উঠত নিজস্ব গ্যাসের আলোয়। ছিল নিজস্ব বাজার, দুর্গ, মিনার।

আলিপুর চিড়িয়াখানার অনেক আগে, সম্পূর্ণ নিজের উদ্যোগে এই শহরের প্রথম চিড়িয়াখানাও তৈরি করেছিলেন তিনিই। বাঘ, সরীসৃপ, অসংখ্য পাখি – কী না ছিল সেখানে। শোনা যায়, এশিয়াটিক সোসাইটির কুইরেটর ব্লিথের মাধ্যমে সেই চিড়িয়াখানার জন্তুজানোয়ারের খোঁজ নিতেন নাকি খোদ চালর্স ডারউইন।

এই মেটিয়াবুরুজেই বই ছাপানোর জন্য নিজস্ব ছাপাখানারও নির্মাণ করিয়েছিলেন তিনি। শিক্ষার প্রসারে তৈরি করেছিলেন ‘মাদ্রাসা সুলতান এ আওধ’। সেখানে শুধু ইসলামের শিক্ষাই দেওয়া হত না মোটেও। বরং শেখানো হত প্রতীচ্যের বিজ্ঞান। ঘোড়সওয়ারি আর শরীর তৈরির কসরতের সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হত ক্যালিগ্রাফির তালিম।

বাদশা নিজে ছিলেন শিয়া মুসলমান। ধর্ম ভীরুও। কিন্তু সেই ধর্ম কারও ওপরে চাপিয়ে দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন না। বরং তিনি মনে করতেন ধর্মের আসল শিক্ষা হল মূল্যবোধ।

তাঁর এই ঐতিহ্য মুছে দিতে উদ্যোগ নিয়েছিল ইংরেজরা। এই দেশে তাঁদের শাসনযন্ত্র কায়েম করার জন্য ভীষণ জরুরী ছিল সেটা।

তারপর ধীরে ধীরে হারিয়ে গিয়েছে মেটিয়াবুরুজের সেই গৌরব। আজকের মেটিয়াবুরুজ শুধুই এই শহরের কোণে পড়ে থাকা সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের থাকার জায়গা। গরিব দর্জিদের কাজের জায়গা। খিদিরপুর ডকের ঠিক পাশে হওয়ায় অপরাধপ্রবণ এলাকা হিসেবেই কুখ্যাত। এই শহরের অন্য অংশের বাসিন্দারাও সেই অঞ্চলে যাওয়ার কোনও কারণ খুঁজে পান না।

আর বাদশা ওয়াজিদ আলি শাহ? তাঁকে মনে রেখেছে এই শহর শুধু আওয়াধি বিরিয়ানি আর তার অসংখ্য বেগমের জন্য।অথচ এই মেটিয়াবুরুজের ভেতরের ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ওয়াজিদ আলি শাহর নির্মিত অসংখ্য ইতিহাস।

নবাবি আমলের কোনো স্থাপত্য বা তার অবশেষ কোনো কিছুই রাস্তার দুই ধারে চোখে পড়বে না, যদিও মেটিয়াবুরুজকে বলা হতো দ্বিতীয় লখনউ । দূর থেকে ইমামবাড়ার বিশাল ফটক নজরে পড়ে। ১৮৬৪ খ্রিস্টাব্দে ইরান থেকে শিল্পী আনিয়ে এই ইমামবাড়া নির্মাণ করেন নবাব। বিশাল ফটক পেরিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই প্রথমেই খোলা চত্বর। তারপর খোলা বারান্দা পেরিয়ে ইমামবাড়ার মূল ভবন।বারান্দা পেরিয়ে মূল প্রার্থনাকক্ষে প্রবেশ করলে বাঁ দিকে গ্রিলঘেরা একটি অংশে নবাব ওয়াজেদ আলী শাহ চিরনিদ্রায় শায়িত। মেঝেতে কালো পাথরে তাঁর কবরের জায়গাটি চিহ্নিত, তার পাশেই একটি চেয়ার, যা সত্যজিৎ রায় তাঁর ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ ছবিতে ব্যবহার করেছিলেন। এ ছাড়া নবাবের বসার স্থান এবং নবাবি প্রতীক একপাশে রাখা। ভেতরে কিছু ছোট তাজিয়া। বাইরে দেয়ালে শ্বেত পাথরে খোদাই করে নবাবদের বংশতালিকা টাঙানো। প্রতিবছর ২৪ সেপ্টেম্বর নবাবের মৃত্যু দিবসে অনুষ্ঠান হয়, তখন নবাবের বংশধররা আসেন। ইমামবাড়ার তত্ত্বাবধানও তারাই করেন। আয়রন গেটের কাছেই নবাবের ব্যক্তিগত প্রার্থনাগৃহ।

এর পরের যে গন্তব্য সেটি নবাবের এক স্ত্রীর বানান এক ইমামবাড়া। নাম বেগম মসজিদ। ভিতরের দেওয়ালটি অসাধারণ সুন্দর - কাঁচের উপর রং দিয়ে মার্বেলের উপর ইনলে কাজের এফেক্ট আনা হয়েছে। সব জায়গাতেই বড় বড় ঝাড়-লণ্ঠন ঝোলানো। আমাদের আধুনিক ইন্টিরিয়রের চোখে এতটুকু জায়গায় এত বড় ঝাড়লণ্ঠন একটু বেমানান লাগে বটে। কিন্তু হয়তো সেই প্রাক ইলেক্টিরিসিটি যুগে সেটাই দস্তুর ছিল।

১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশরা নবাবদের ক্ষমতাচ্যুত করে ১২ লাখ টাকা পেনশন মঞ্জুর করে। প্রথমে নবাব তা গ্রহণ করেননি। ১৮৫৭ সালের মহাবিদ্রোহ-পরবর্তী সময় রাজ্য ফিরে পাওয়ার আশা নাই দেখে বাধ্য হয়ে পেনশন গ্রহণ করেন। ব্রিটিশরা ওয়াজেদ আলীকে কলকাতায় নির্বাসিত করে। সুরম্য মঞ্জিল, আসাদ মঞ্জিল ও সুলতানখানা—এই তিনটি ভবন নবাবকে প্রদান করে ব্রিটিশরা। তিনি লখনউয়ের অনুকরণে আরো ২০টি মঞ্জিল নির্মাণ করেন। সব মঞ্জিল মিলে একটি প্রবেশদ্বার, যার ওপর ছিল নহবতখানা, যেখানে সারা দিন সানাই বাজত। কোথায় সেই মঞ্জিল, কোথায় সেই সানাই। এখনো রয়েছে নবাবের ব্যক্তিগত প্রার্থনাগৃহ। নবাব এখানে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতেন। প্রার্থনাগৃহের চারপাশের জায়গাগুলো দখল হয়ে গেছে। সরু রাস্তা পেরিয়ে মূল প্রার্থনাগৃহ। বর্তমানে একে স্থানীয় লোকজন কমিউনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করে। মূল প্রার্থনাগৃহের অর্ধেক ধসে পড়েছে। একসময় নবাব এখানে বাঘ পুষতেন। নবাবের জীবজন্তু পোষার শখ ছিল, তিনি দেশ-বিদেশ থেকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করে বিভিন্ন প্রাণী সংগ্রহ করেছিলেন। এখনকার বিখ্যাত কলকাতা চিড়িয়াখানার অনুপ্রেরণা তিনি।

নবাবি স্থাপনা খুঁজে না পেলেও এখানে রয়েছেল
লখনউয়ের ধাঁচের পানের দোকান, ঘুড়ির দোকান , আতরের দোকান। নবাব ঘুড়ি ওড়াতে পছন্দ করতেন। এখনো মেটিয়াবুরুজে প্রচুর ঘুড়ির কারখানা রয়েছে। কলকাতায় যে বিরিয়ানি প্রসিদ্ধ, তা নবাব ওয়াজেদ আলী শাহের অবদান। নবাবের মৃত্যুর পর তাঁর বংশধররা সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারা করে সব বিক্রি করে দেন। ব্রিটিশরা নবাবকে জমি, ভবন ফিরিয়ে দেন। নবাবের প্রাসাদগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, যার কিছু অবশিষ্ট আছে, তা এখন সরকারি দপ্তর হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। বর্তমানে কলকাতার সংস্কৃতির সর্বত্র নবাবের অবদান থাকলেও ব্যক্তি নবাব কলকাতার কোথাও নেই।

নবাবের জীবনীকার রোজি লেওয়েলিন-জোন্স বলছেন, সে-মেটিয়াবুরুজ যেন শহরের মধ্যে গ্রামের এক সুন্দর নিদর্শন!কিংবা আরও তলিয়ে বুঝলে, আধুনিক বঙ্গের মধ্যে এক প্রাচীন ভারত।
১৮৭৪ সালের শরতে আমেরিকার বিখ্যাত একটি দৈনিকপত্রের এক প্রতিবেদন বলছে যে, কিছু আইনি ব্যাপার ছাড়া ব্রিটিশদের কোনও মাথা গলানো চলে না অবধের প্রাক্তন নবাবের গড়ে তোলা এই নকল রাজত্বে।

সে-রাজত্ব ছোট। কিন্তু আঁটোসাঁটো। ছ’হাজার প্রজা নিয়ে দিব্যি চলত রাজ্যপাট। মাসিক এক লক্ষ টাকার পেনশনে নবাবের খাইখরচার শেষ নেই। ফলে ধারকর্জও বেলাগাম। তাই ধার মেটানো, ভাতা বাড়ানো নিয়ে সাহেবদের সঙ্গে আকচা আকচিও অবধারিত।লখনউ ছেড়ে আসার সময় তাঁর অসংখ্য বেগমের একটা বড় অংশ নবাবের সঙ্গে কলকাতা পাড়ি দেন। পরেও চলে আসেন অনেকে (জীবনের শেষ অবধি ওঁর স্ত্রীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছিল ৩৭৫!)।সঙ্গী আমির-ওমরাহ, পাইক-বরকন্দাজ, খিদমদগার, গাইয়ে-বাজিয়ে-নর্তকীদের সংখ্যাও তাজ্জব করা।

কিন্তু এই ছোট্ট রাজত্বকে এক আরব্যরজনীর আবেশে বেঁধেছিল নবাবের নিজস্ব চিড়িয়াখানা।

সেই চিড়িয়াখানার পিছনেই ওয়াজিদ আলি শাহের মাস গেলে খরচ ন’হাজার টাকা। কারণ হাজার হাজার পাখপাখালি ছাড়াও (শুধু পায়রাই ২৪ হাজার) সেখানে পোষা হত তেইশটি বাঘ, সিংহ ও চিতা!

এর মধ্যে একটি বাঘ ও একটি বাঘিনী ফেরার হয়। তারা নদী পেরনোর তালে ছিল। বাঘটিকে গুলি করে মারা গেলেও বাঘিনী কিন্তু আধ মাইলটাক চওড়া গঙ্গা পেরিয়ে শিবপুরের বোটানিকাল গার্ডেনে হামলা করে!

মেটিয়াবুরুজ আজও কেমন জানি ইতিহাসের দু-দুটো সময়ে যাতায়াত করে। হয়তো’বা দু’দুটো সভ্যতাতেও। কারণ যা স্থানীয়দের মেটিয়াবুরুজ, তাই আবার সাহেবদের কাছে গার্ডেনরিচ।
সব দোকানের সামনেই সুবেশ ছেলেছোকরা। বড়দের জটলা। নবাববাড়ির সড়কের বাঁক থেকেও অনেক সাইনবোর্ডেই এখনও টিকে আছে গার্ডেনরিচ নামটা। যদিও এক দশক হল রাস্তার নাম বদলে হয়েছে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ সরণি।

নবাব যখন এসে উঠেছিলেন গার্ডেনরিচে তখন এই পল্লি সাহেবদের ছড়ানো বিছানো বাংলোয় বাংলোয় ‘প্রাসাদনগরী’ কলকাতার সঙ্গে টেক্কা দেয়। এখানে আসার সামান্য আগে, ১৮৫৫-য় কলকাতার চিফ জাস্টিসের পদ থেকে অবসর নিয়ে ইংল্যান্ড ফিরে গিয়েছিলেন স্যার লরেন্স পিল। তখনও তিনি গার্ডেনরিচে বসবাসের সুখে এতই বিভোর যে আইল অব ওয়াইট-এ তাঁর মনোরম বাড়িটির নামকরণ করেছিলেন ‘গার্ডেনরিচ’।

গঙ্গার দক্ষিণ কূলের দু’মাইল লম্বা পাড়া ধরে বেড়ে ওঠা সেকালের গার্ডেনরিচের শোভাই আলাদা। দুই বা তিন তলার বাংলোগুলোর পুরোভাগ হত ধনুকের মতো বাঁকানো।১৭৭০ সাল নাগাদ বাগানবাড়িগুলোর পত্তন শুরু। এর এক দশক পর জলপথে শহরে এসে শিল্পী উইলিয়াম হজেস এক সুন্দর বর্ণনা রেখেছেন গার্ডেনরিচের।—

‘‘জাহাজ যখন কলকাতা ছুঁচ্ছে নদীটা সরু হয়ে আসে। যাকে বলা হচ্ছে গার্ডেনরিচ, সেখান থেকে ধরা দেয় বাগানঘেরা সব সুদৃশ্য ইমারত। এ সব হল কলকাতার বড়লোক বাসিন্দাদের বিনোদভবন।’’

এই ‘ভিলাগুলো’র মেজাজ ও গড়ন কলকাতার চৌরঙ্গির বড়সড় বিল্ডিংগুলোর থেকে কিছু কম যেত না।

১৮৫৬-র ৪ ফেব্রুয়ারি জেমস উট্রামের হাতে তাঁর মাথার তাজ তুলে দিয়ে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহ আত্মীয়স্বজন সমেত লখনউ ছেড়ে কলকাতার পথে জাহাজ নিলেন।১৩ মে পৌঁছলেন শহরে। ৩ জুন তারিখে এলেন গার্ডেনরিচে।

তখ্ত গেছে, রাজ্য থেকেও সরে এসেছেন। তবুও একুশটি তোপধ্বনিতে তাঁর কলকাতা আগমনকে সম্ভাষণ জানানো হয়েছিল।তবে এই ‘গান স্যালুট’ ছিল তাঁর জীবনের শেষ গান স্যালুট; এর পর আর কখনও তাঁকে অভিবাদন জানানো হয়সে-সময়কার ভারতশাসক আর্ল মেয়োকে এক বার নবাব প্রস্তাবও দিয়েছিলেন, তাঁকে যেন সেই একুশটি গান স্যালুট থেকে বঞ্চিত করা না হয়। সে অনুরোধ কখনও রাখা হয়নি।

নবাবের ‘রানিমহল’। যার কোনও শোভা বলতে কিছু নেই আজ। শুধু তার একটা ভাড়া পান স্মৃতি সংরক্ষণ কমিটি। আরেকটা হোঁচট খেতেই হয়— তল্লাট জুড়ে জিনিসপত্রের দর হাঁকাহাকিতে। অথচ নবাব কিন্তু এখানেই প্রায় বানিয়ে ফেলেছিলেন তার দ্বিতীয় লখনউ! আসল লখনউ ছাড়ার শোক কখনওই মুছতে পারেননি, তবু!

লখনউ ছেড়ে তড়িঘড়ি যখন কলকাতা এসেছিলেন নবাব, তাঁকে তোলা হয়েছিল ইতিপূর্বে উল্লেখিত চিফ জাস্টিস স্যার লরেন্স পিল-এর ছেড়ে যাওয়া বাংলোয়।সে যেন এক ছোটখাট মেটকাফ হল। নবাবের পছন্দ না হয়ে উপায় ছিল না। বড় কথা, গঙ্গাপাড়ের বাড়ির নিজস্ব একটা ঘাটও ছিল।

নবাব চাইলে তাঁর নতুন বাড়ির উত্তরের বারান্দায় বসে লখনউয়ের গোমতী নদীর চেয়ে বড় গঙ্গা-দর্শন করতে পারতেন। যা ছিল স্যার লরেন্স পিল-এর ১১নং বাংলো (সাহেবদের বাংলোর কোনও নাম থাকত না, শুধু একটা করে নম্বর), তারই নতুন নামকরণ হল সুলতানখানা, বা রাজবাড়ি।

মেটিয়াবুরুজে ঘোরাঘুরি করলে চট করে সুলতানখানা এখন চোখে পড়ার নয়। তবে সাবেকি চেহারা এখনও ধরা আছে। অবশ্য তা বহিরঙ্গের, এটা এখনও বেশ সাহেবসুবো দর্শন। শুধু সুলতানখানা নয়, তার পাশের দুটো জমি ও বাড়ি নবাব কিনে নিয়েছিলেন সাকুল্যে তিন লাখ টাকায়। ইউরোপীয় স্টাইলের বাংলোকে গড়ে নিয়েছিলেন ভারতীয় স্টাইলে। পাশে নিজের নমাজের জন্য মসজিদ।

এই তিন জমি ও বাড়িতে ঠেসেঠুসে ভরে দিয়েছিলেন তাঁর বউ-ছেলেমেয়ে, অসংখ্য সভাসদ ও কাজের লোকদের। এর মধ্যে ছিল ৫০ জন আফ্রিকার দাস, ২৪৫ জন ‘বিশেষ রক্ষী’, ১২০ সশস্ত্র রক্ষী, ২০ জন দণ্ডবাহী, ১৮ জন খোজা। এ ছাড়াও ছিল কসাই, কামার, কুমোর, রসুইকর, জমাদার, ধোপা, নাপিত, ঘণ্টাপিটাই।

নবাবের প্রধানা স্ত্রী বা খাস মহলেরও একটা ছোট দরবার ছিল। সেখানে দর্জি, ধোপানি, ধাই। চাকরানি, হুকাবরদার, পঙ্খাওয়ালি, পানওয়ালি ছাড়াও ছিল গল্প শোনানোর মেয়েরা। অন্য রানিদের বন্দোবস্ত কিছু কম যায় না। তাতেও অজস্র রানিতে খেয়োখেয়ি, ঝগড়াঝাঁটি, লাগানো-ভাঙানো, মন্দ সম্পর্কের শেষ ছিল না।

একটা সময় এল যখন চার দেওয়ালের মধ্যে হাঁসফাঁস-করা অনেক বেগমই লখনউ ফিরে যাবার উদ্যোগ করেন। অনেকে আবার পরে ফিরেও আসেন, রাজ্যচ্যূত নবাবের যে কিছু কম আকর্ষণ ছিল না বেগমের কাছে। ১৮৫৯-এর শরতে প্রথম মেটিয়াবুরুজ ছাড়েন ছোটি বেগম।

আর ওই ১৮৫৯-এর ১৬ নভেম্বর ফোর্ট উইলিয়ামের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পাওয়ার আহ্লাদে একই দিনে তিনটে নতুন বিয়েও করেন নবাব।

মেটিয়াবুরুজে একত্রিশ বছরে কম বিয়ে করেননি তিনি। আর এই নতুন বেগমদের অনেককেই আনা হয়েছে ওঁর প্রিয় লখনউ থেকে।

আজ মেটিয়াবুরুজের নবাবপাড়ায় হাঁটলে জেমস ফ্রেজার-এর আঁকা খিদিরপুরের রাস্তার দৃশ্যের সঙ্গে মেলানো কঠিন হয়ে পড়ে। এক সেই শাহি ইমামবাড়া ছাড়া যুগের ছবি ধরে রাখার মতো কিছু পাওয়া ভার।সেই প্রাসাদকেও হেরিটেজ বিল্ডিং ঘোষণা করেও সরকারি টাকার জোগান থমকে আছে।

ম্যানেজার আখতার মির্জা বললেন, ‘‘যে এক লাখ টাকার মতো ভাড়া ওঠে তাই দিয়ে সামলেসুমলে চলছি। মেরামতিতেই বিশ-ত্রিশ হাজার লেগে যাচ্ছে। গোটা ইমামবাড়া করতে কয়েক কোটি। কোত্থেকে আসবে?’’

ইমামবাড়ার লাগোয়া একটা অংশে জেনানা-মহল ছিল। সে-অংশও এখন ভাড়ায় আছে ।ইমামবাড়ার গেটও এখন হকারদের দখলে। তাদের বলে কয়েই প্রায় ভেতরে ঢুকতে হয়। কিন্তু একবার ভেতরে ঢুকলে অবিচল প্রশান্তি। একেবারে অন্য এক সময়।

সেখানে নবাবের মসনদ, কোট অফ আর্মজ, তরোয়াল, সংগ্রহের পিকদানি, বাতিদানি, ঝাড়বাতি, পা-দানি, সাইডটেবল, বৃদ্ধবয়েসের ছবি, পুত্র বির্জিস কাদেরের কবর, মৌলবীদের তখ্ত হারানো দিনের দরবারি কানাড়ার মূর্ছনা ধরে রেখেছে।

নবাবের বৃদ্ধ বয়েসের একটি ছবিও সেখানে টাঙানো। গোঁফ, দাড়ি সব বেবাক সাদা। চাউনির মধ্যে কিন্তু একটা সাঙ্ঘাতিক রাজকীয় ভাব। শরীরটা বহরে প্রায় তেমনই আছে। কিন্তু কলকাতা নির্বাসনের ৩০টা বছরের ক্ষয়ক্ষতি মুখের ওপর ধরা।

মেটিয়াবুরুজের ইমামবাড়ায় তাঁর শতেক বেগমের মধ্যে কেবল একজনেরই প্রতিকৃতি শোভা পায়। ম্যানেজারের ঘরের দেওয়ালে। বেগম হজরত মহল।তাঁর প্রধান তিন বেগমের একজন। যিনি নবাব কলকাতা এলে তার সঙ্গী হননি, কারণ তত দিনে নবাব ওঁকে তালাক দিয়েছেন। নবাবকে সরিয়ে ব্রিটিশরা মহাবিদ্রোহ সামাল দিতে ব্যস্ত হতেই প্রস্তাব আসে নবাবের তখতে— নতুন কাউকে বসানোর। তাতে বেগম হজরত মহল তাঁর গর্ভজাত নবাবের বারো বছরের পুত্র বির্জিস কাদেরকে বসিয়ে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার তোড়জোড় শুরু করেন।

১৮৫৮-র ফেব্রুয়ারিতে ব্রিটিশ বাহিনী লখনউয়ের ওপর চড়াও হলে দু’সপ্তাহ ধরে মরণপণ যুদ্ধ চলে লখনউয়ের বুকে।শেষে শহরটা ইংরেজদের ফের কব্জায় আসতে হজরত মহল, বালক পুত্রকে সঙ্গে করে কাঠমাণ্ডু পালিয়ে যান। এবং সেখানেই বাকি জীবন কাটে।এই সেদিন নেপালের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে কাঠমাণ্ডুর অজস্র স্থাপত্যের সঙ্গে হজরত মহলের সমাধিটিও ধূলিসাৎ হয়।

পুত্র বির্জিস এক সময় চলে আসেন মেটিয়াবুরুজে এবং এখানেই প্রয়াত হয়ে পিতার সঙ্গে কবরস্থ আছেন এক ছাদের তলায়। অর্থাৎ গার্ডেনরিচের সিবতৈনাবাদ ইমামবাড়ায়।

ইমামবাড়ার প্রধান হল-এর বাঁ হাতের কাচ আর লোহার শিকে ঘেরা ঘরটায় কবরস্থ আছেন শেষ নবাব। যাঁকে তাঁর বইয়ে রোজি লেওয়েলিন জোন্স বলেছেন ‘দ্য লাস্ট কিং ইন ইন্ডিয়া’। হঠাৎ এক প্রদেশের শেষ নবাবকে ‘ভারতের শেষ রাজা’ বলা কেন? লেখিকার উত্তর, ‘‘মনে হল বইয়ের নামকরণে ওই বর্ণনাটাই বেশি মানায়।’’ আসলে নবাব ওয়াজিদ আলি শাহের সঙ্গে এই ‘শেষ’ কথাটা অদ্ভুত মসৃণতায় জুড়ে গেছে।

মাত্র ন’বছরের নবাবী সাঙ্গ করে রাজ্য ছাড়া হয়ে যিনি তাঁর অমরগীতি রচনা করলেন ‘যব ছোড় চলি লখনউ নগরী’, লখনউ হারিয়ে তিনিই আবার নতুন করে লখনউ গড়লেন গঙ্গার পাড়ে। ফোর্ট উইলিয়ামে দু’ বছরের কারাবাসে এক মসনবি বা দীর্ঘ কবিতায় নিজের পতন ও বেদনার বৃত্তান্ত লিখলেন। সে-রচনার নাম রাখলেন ‘হুজ্ন-ই-আখতার’ বা ‘আখতারের দুঃখ’। ভারতের শেষ বাদশাহ বাহাদুর শাহ দিল্লি থেকে বিতাড়িত হয়ে জাহাজে করে বর্মার রেঙ্গুনে আশ্রয় নিতে যাবার পথে তরী থামালেন গার্ডেনরিচে। সে-শুধু সুলতানখানার বারান্দায় দাঁড়ানো নবাবকে দূর থেকে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাবেন বলে।— এই ওয়াজিদ আলি শাহকে ‘শেষ রাজা’ বলে ডাকাটাই যেন তাঁর প্রতি সমীহের একটি ইতিহাস হয়ে আছে!

প্রেমচন্দের দুই দাবাড়ুর গল্পকে অবলম্বন করে এই শেষ রাজাকেই সেলাম জানিয়েছিলেন সত্যজিৎ রায় তাঁর ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ ছবিতে।🆑

Address

Barasat
700125

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Cholo Jai Haoa Bodlai posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share