Bhon Katta - ভোঁ কাট্টা

Bhon Katta - ভোঁ কাট্টা We are traveller. Travel & explore our hobby

07/10/2024

How to order food in train?
ট্রেনে বসে খুব সহজে ই-ক্যাটারিং এর মাধ্যমে খাবার বুক করুন।

https://youtu.be/Jm5206e7m8w
20/09/2024

https://youtu.be/Jm5206e7m8w

# Attractiveness Destination ্রমণপিপাসু বাঙালির সপ্তাহ অন্তে মনটা কেমন ব্যাকুল হয়...

বদ্রিনাথ ও ভারতের প্রথম গ্রাম মানা। উত্তরাখণ্ড 2024
07/09/2024

বদ্রিনাথ ও ভারতের প্রথম গ্রাম মানা। উত্তরাখণ্ড 2024

এবারের গল্প সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১০,২০০ ফুট উচ্চতায় ঘাঙ্গরিয়া থেকে গো...

29/08/2024

ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স। উত্তরাখণ্ড

27/08/2024

এবারের গন্তব্য ঘাঙ্গারিয়া থেকে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স :
দেবভূমি উত্তরাখণ্ডের চামোলী জেলায় হিমালয় পর্বতমালার গাড়োয়াল অংশের মধ্যভাগে টিপরা গ্লেসিয়ার থেকে উৎপত্তি পুষ্পাবতী নদীর উপত্যকায় ৮৭.৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রায় ৬০০ প্রজাতির নাম জানা-অজানা সুসজ্জিত ফুলের বাগান এই "ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স"।
আমরা আগের পর্বেই বলেছিলাম ঘাঙ্গরিয়া পৌঁছানোর গল্প। এবারের গল্পে থাকবে ঘাঙ্গরিয়া থেকে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স পৌঁছানোর গল্প।
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১১.৫ থেকে ১২ হাজার ফুট উঁচুতে ঘাঙ্গরিয়া থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে পায়ে হেঁটে যেতে হয় এই ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স।
পাহাড়ি রাস্তার সৌন্দর্য্য বর্ণনা করার অবকাশ রাখেনা, সেই সাথে পাহাড়ি ছোট ছোট ফুলের দোলা আপনাকে অভ্যর্থনা জানাবে এই ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স -এ।
খরস্রোতা পুষ্পাবতী নদীর পাশ দিয়ে প্রায় ৭ কিলোমিটার যাবার পর আমাদের গন্তব্য ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স। রাস্তা সংকীর্ণ হলেও রাস্তার সৌন্দর্যে মোহিত হয়ে, ভয় কে কাটিয়ে এমনিই পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে।
রাস্তায় পাখির ডাক, খরস্রতা নদীর বহমান ধারার শব্দ, বৃষ্টির টুপুর টাপুর আওয়াজ, বহমান ঝর্নার কুল-কুল শব্দ আমাদের অস্তিত্বকে সব সময় জানান দিচ্ছে।
নৈসর্গিক সৌন্দর্য্য যদি আহরণ করতে হয় তাহলে এই ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্সে অবশ্যই একবার হলেও ঘুরে যাওয়া উচিত।

"ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স-এর আবিষ্কার ও ইতিহাস"
১৮৬২ সালে এডমন্ড স্মিথ প্রথম পুষ্পাবতী ভ্যালি আবিষ্কার করেন।
এরপর ১৯৩১ সালে ব্রিটিশ পর্বতারোহী ফ্রাঙ্ক স্মিথ, এরিক শিপ্টন, আর. এল. হোল্ডসওয়ার্থ, হিমালয়ের কামেট পর্বতমালার সফল অভিযানের পর ফেরার সময় দিক ভুল করে এই স্থানে এসে উপস্থিত হন। তখন এই স্থানের রূপ দেখে তারা মোহিত হয়ে যান। এরপর ১৯৩৩ সালে ফ্র্যাঙ্ক স্মিথ পুনরায় এই স্থানে আসেন এবং ১৯৩৪ সালে তিনি ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স নামে একটি বই রচনা করেন।
পরবর্তীকালে ১৯৩৯ সালে উদ্ভিদ বিজ্ঞানী লেডি মার্গারেট লেগে নাম না জানা উদ্ভিদ প্রজাতির গবেষণা কাজে এলে তিনি পাহাড় থেকে পা পিছলে পড়ে যান এবং তার মৃত্যু হয়। এরপর ১৯৪১ সালে তাঁর বোন এই স্থানে এসে তাঁর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি স্মৃতিসৌধ তৈরি করেন।
এরপর ১৯৮০ সালে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স কে ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
১৯৮২ সালে ন্যাশনাল পার্ক থেকে নন্দা দেবী ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এরপর ১৯৮৮ সালে যখন নন্দা দেবী ন্যাশনাল বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভ তৈরি করা হয় তখন এই বায়োস্ফিয়ার রিজার্ভের আন্ডারে দুটি পার্ক কে নিয়ে আসা হয় একটি হলেও নন্দা দেবী পার্ক অপরটি হল ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স।
এরপর ২০০৫ সালে ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স কে ইউনেস্কো থেকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট ঘোষণা করা হয়।

"ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ারসের প্রজাতি"
এখানে জানা-অজানা প্রায় ৬০০ প্রজাতির ফুলের সম্ভার। তবে সব ফুল একসাথে হয় না। সারা বছর ধরে পর্যায়ক্রমিকভাবে ফুল ফুটতে থাকে। একসাথে একটা সিজিনে কমবেশি ১২ থেকে ১৫ রকমের ফুল ফোটে।
এই স্থানের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফুল "ব্লু পপি", যাকে কুইন অফ হিমালয়ানস বলা হয়। এছাড়া এখানে বিলুপ্ত প্রজাতির ব্রম্ভ কমল আগে পাওয়া যেত, বর্তমানে হেমকুণ্ড সাহেবের রাস্তায় অল্প সংখ্যক দেখতে পাওয়া যায়।
এছাড়া এখানে স্নো লেপার্ড, পাহাড়ি ভল্লুক, বিভিন্ন রকম হিমালয়ান পাখি এখানে পাওয়া যায়।

"প্রবেশ মূল্য ও আনুষাঙ্গিক খরচা"
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স এর প্রবেশ মূল্য ভারতীয়দের জন্য ২০০ টাকা এবং বিদেশীদের জন্য ৮০০ টাকা। এই খরচাটা তিন দিনের জন্য। চাইলে আপনারা তিন দিন এই খরচায় ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স ঘুরতে পারবেন।
ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স আসার জন্য ভারতবর্ষের চারধাম যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আছে সেখানে বদ্রিনাথ যাবার জন্য অনলাইনে পারমিশন করিয়ে নেবেন (সেক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হবে)।
এখানে ক্যামেরার চার্জ আছে যদি আপনি কোন ডকুমেন্টারি বা কোন ফিল্ম করতে চান। সেক্ষেত্রে চার্জ ১০,০০০/- থেকে ১,০০,০০০/-
নন প্রফেশনাল কোন ব্যক্তির জন্য ক্যামেরার চার্জ নেই।
প্রফেশনাল কোন ব্যক্তি যদি ভিডিও করতে চান সে ক্ষেত্রে ক্যামেরার চার্জ ৭৫০/-(ভারতীয়দের জন্য), ২০০০/-(বিদেশীদের জন্য)
এখানে ড্রোন ফ্লাই আইনত অপরাধ, যদি ড্রোন ফ্লাই করতেই হয় তাহলে আগে থেকে বনদপ্তরের অফিসে যোগাযোগ করে নেবেন। (পারমিশন দেবে কি দেবেনা সেটা বলতে পারবো না।)

বিশদে ভিডিও আজ সন্ধ্যেবেলায় ৬ টার সময়
https://www.youtube.com/

আজকের গন্তব্য গোবিন্দঘাট থেকে ঘাঙ্গরিয়া। গোবিন্দ ঘাট থেকে ঘাঙ্গরিয়া যাবার জন্য আমাদের প্রথমে গাড়ি করে পৌঁছাতে হবে পুল...
25/08/2024

আজকের গন্তব্য গোবিন্দঘাট থেকে ঘাঙ্গরিয়া।
গোবিন্দ ঘাট থেকে ঘাঙ্গরিয়া যাবার জন্য আমাদের প্রথমে গাড়ি করে পৌঁছাতে হবে পুলনা। পুলনা থেকে ঘাঙ্গরিয়ার দূরত্ব কমবেশি ১২ থেকে ১৩ কিলোমিটার, আর এই পথটি আমাদের যেতে হবে পায়ে হেঁটে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে পুলনার উচ্চতা ৪৫০০ থেকে ৫০০০ ফুট, আর ঘাঙ্গরিয়ার উচ্চতা প্রায় ১০ হাজার ফুট। বেশ চড়াই আছে এই রাস্তায়। মোটামুটি এই রাস্তা অতিক্রম করতে সময় লাগবে সাত থেকে আট ঘন্টা।
এই রাস্তায় ক্রমাগত বয়ে চলেছে লক্ষণ গঙ্গা নদী, যেই নদী অলকানন্দা নদীর সাথে মিশছে গোবিন্দ ঘাটে। এই রাস্তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের মত অতি সাধারণ মানুষের ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। বর্ষায় পাহাড়ি রাস্তার সৌন্দর্য কবি কিংবা সাহিত্যিক এনারাই বর্ণনা দিতে পারবেন। সবুজ পাহাড়, মাঝে মাঝে একটা দুটো ওয়াটারফল, পাহাড়ের পাদদেশ থেকে বয়ে যাচ্ছে লক্ষণ গঙ্গা নদী, পাখির কলরব, বৃষ্টির টুপুর টাপুর আওয়াজ এই সব কিছু মিলেমিশে প্রকৃতি যে আমাদের কাছে একটা অনুভূতি উপস্থাপন করেছে এটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।
প্রকৃতির কাছে, প্রকৃতির মধ্যে নিজেকে হারিয়ে ফেলার জন্য এই পুলনা থেকে পায়ে হেঁটে ঘাঙ্গরিয়া যাবার রাস্তাটা যথেষ্ট।
উড়ন্ত মেঘের মতো কখনো কখনো মনে হবে ভেসে যেতে, আবার কখনো কখনো মনে হবে গভীর অরণ্যে হারিয়ে যেতে, এই অনুভূতি নিজে যতক্ষণ না আস্বাদন করতে পারছেন, বলে বোঝানো যাবে না।
এছাড়া এই রাস্তায় রয়েছে নাম না জানা কত ফুল, অর্কিড, পাহাড়ি ফল।
যদি আপনারা ঘাঙ্গরিয়া হেলিকপ্টারে করে যেতে চান তাহলে হেলিকপ্টার চলে গোবিন্দ ঘাট থেকে। হেলিকপ্টারের ভাড়া ৫,৯১৪/-(যাওয়া এবং আসা)। এই বছরে হেলিকপ্টারের বুকিং ১০ অক্টোবর ২০২৪ পর্যন্ত খোলা আছে। হেলিকপ্টারের বুকিং করতে গেলে আই.আর.সি.টি.সি. হেলি যাত্রা ওয়েবসাইট থেকে আপনাদের বুকিং করতে হবে।
https://youtu.be/_-fje_Pi_HA

24/08/2024

মন যখন পাহাড়ের জন্য ব্যাকুল

23/08/2024

পাহাড় যখন ডাকে

22/08/2024

উত্তরাখণ্ডের রক্ষাকর্ত্রী "মা ধারী দেবী"। উত্তরাখণ্ড। ভারতবর্ষ।

যেকোনো ভ্রমণের আসল মজা, সেই ভ্রমণের রাস্তায়; আর সেই রাস্তা যদি পাহাড় হয় তাহলে না চাওয়াকে হঠাৎ করে হাতে পাওয়ার মত এক...
22/08/2024

যেকোনো ভ্রমণের আসল মজা, সেই ভ্রমণের রাস্তায়; আর সেই রাস্তা যদি পাহাড় হয় তাহলে না চাওয়াকে হঠাৎ করে হাতে পাওয়ার মত একটি আনন্দের মুহূর্ত হাতে পাওয়া।
এবারে আমাদের এই ভ্রমণ পর্ব জুড়ে রয়েছে এই রকমই এক পাহাড়ী রাস্তার গল্প।
এবারের গন্তব্য হরিদ্বার থেকে গোবিন্দঘাট।
হরিদ্বার থেকে গোবিন্দঘাট যাওয়ার জন্য, হরিদ্বার বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস পাওয়া যায়, যদি বাস না পেয়ে থাকেন তাহলে হরিদ্বার থেকে ঋষিকেশ চলে আসতে পারেন। হরিদ্বার থেকে ঋষিকেশ আসতে অটো রিজার্ভ করলে ভাড়া পড়বে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। ঋষিকেশ থেকে বদ্রীনাথ গামী বাসে গোবিন্দঘাট চলে আসতে পারবেন। যদি বদ্রীনাথ গামী বাস না পান, তাহলে ঋষিকেশ থেকে যোশীমঠ গামী বাসে চেপে যোশীমঠ এসে অটো করেও গোবিন্দঘাট চলে আসতে পারেন।
আমরা যেহেতু একটি টুর অপারেটরের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম তাই আমাদের হরিদ্বার থেকে একটি গাড়ি নিয়ে গিয়েছিল গোবিন্দঘাট।

হরিদ্বার থেকে গোবিন্দঘাট এর দূরত্ব কমবেশি ৩০০ কিলোমিটার। গাড়িতে সময় লাগবে মোটামুটি ১০ থেকে ১১ ঘন্টা। (যদি কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় না থাকে)
এই রাস্তায় সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, পাশে পাহাড়, মাঝে রাস্তা, নিচে বয়ে যাচ্ছে খরস্রোতা অলোকানন্দা নদী, আর মাঝে মাঝে মিলিত হয়েছে নাম না জানা জলধারা, নদী ইত্যাদি। এখানেই রয়েছে পাঁচটা প্রয়াগ, যথা - "দেব প্রয়াগ", "রুদ্র প্রয়াগ", "কর্ণ প্রয়াগ", "নন্দ প্রয়াগ", "বিষ্ণু প্রয়াগ" সহ উত্তরাখণ্ডের রক্ষাকত্রী "ধারী দেবী" মন্দির।
প্রবাহমান অলোকানন্দা নদীর সাথে বিষ্ণু প্রয়াগে মিশেছে ধৌলি গঙ্গা, নন্দ প্রয়াগে অলকানন্দ নদীর সাথে মিশেছে নন্দাকিনী নদী (ইতিহাস থেকে জানা যায় যদু সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল এই নন্দ প্রয়াগ), কর্ণপ্রয়াগে অলকানন্দা নদীর সাথে মিশেছে পিন্ডার নদী, রুদ্র প্রয়াগে অলকানন্দা নদীর সাথে কেদারনাথ থেকে বয়ে আসা মন্দাকিনী নদী মিশেছে আর দেব প্রয়াগে অলকানন্দা নদীর সাথে মিশেছে ভাগীরথী আর এই প্রবাহ বয়ে এসেছে "মা গঙ্গা" নামে।
এই রাস্তাতে পড়বে উত্তরাখণ্ডের রক্ষাকর্ত্রী ‘ধারি দেবী’। যিনি আসলে দেবী দুর্গারই ভিন্ন রূপ। কালিয়াসৌরের ধারি বা ধারো গ্রামে অলকানন্দা নদীর তীরে শ্রীনগর ও রুদ্রপ্রয়াগের মাঝখানে এই দেবীর মন্দির। স্থানীয় বাসিন্দারা জায়গাটিকে বলেন ডাং চৌরা। এই দেবীকে অত্যন্ত জাগ্রত বলেই বিশ্বাস করেন উত্তরাখণ্ডবাসী। তাঁদের বিশ্বাস, দেবীর পাথরের মূর্তিটি সকালে কুমারী, দুপুরে যুবতী, সন্ধ্যায় বৃদ্ধার রূপ ধারণ করে। এই মন্দিরে কেবলমাত্র দেবীর মাথার পূজা করা হয়। দেবীর ধড়টি পাওয়া যায় রুদ্রপ্রয়াগের কালীমঠে। ওই মঠে দেবীকে ‘মৈঠানা’ রূপে পুজো করা হয়।

ধারি দেবীকে নিয়ে উত্তরাখণ্ডে একটি কাহিনি প্রচলিত আছে। তা হল- ধারি দেবীর সাত ভাই ছিল। তাঁদেরকে তিনি প্রাণের চেয়েও বেশি ভালোবাসতেন। মন-প্রাণ দিয়ে তাঁদের সেবাও করতেন। কিন্তু, সেই ভাইয়েরাই তাঁকে ভালোবাসত না। কারণ, দেবীর গায়ের রং ছিল কালো। আর, যেদিন ভাইয়েরা জানতে পেরেছিল যে ধারি দেবীর গ্রহদশা ভালো নয়, সেদিন থেকেই বেড়ে গিয়েছিল তাঁদের ঘৃণা। এই জানতে পারার কিছু বছর পর ধারি দেবীর মা ও তাঁর পাঁচ ভাইয়ের হঠাৎই মারা যান। এই ঘটনার পর ধারি দেবীর দুই ভাইয়ের ধারণা হয় যে ধারি দেবীর জন্যই তাঁরা মারা গিয়েছেন। বাকি দুই ভাই তখন ধারি দেবীকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার ছক কষতে শুরু করে।
ধারি দেবীর যখন ১৩ বছর বয়স, সেই সময় দুই ভাই ধারি দেবীর মাথা কেটে মাথা ও দেহটি নদীর জলে ভাসিয়ে দেয়। সেই মাথা ভেসে এসে পৌঁছয় কালিয়াসৌরের গ্রামে। ঘটনার সময় সকালে নদীতে স্নান করছিলেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। তিনি নদীর জলে মাথা ভাসতে ভয়ে স্নান করতে পারছিলেন না। হঠাৎই তিনি দেখতে পান, মাথাটি বলছে যে, ‘ভয় পাস না। আমাকে জল থেকে নিয়ে যা। আমি কথা দিচ্ছি যে তুই যেখানে পা দিবি, আমি সিঁড়ি তৈরি করে দেব।’ ওই ব্যক্তি ভয়ে সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে দেখেন যে মিথ্যে নয়। তিনি যেখানে পা দিচ্ছেন, সেখানেই সিঁড়ি তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে তিনি দেবীর কাটা মাথার কাছে পৌঁছন।
এরপর দেবী নাকি তাঁকে নির্দেশ দেন, ‘আমার মাথাটি তুলে কোনও একটি পাথরে স্থাপন কর।’ ওই ব্যক্তি সেই নির্দেশ পালন করার পর সেই স্থান দেবী ধারির স্থান হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বিশ্বাস, ১৮৮২ সালে স্থানীয় এক রাজা দেবীর মাথাটি সরিয়েছিলেন। তার জেরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছিল কেদারনাথ মন্দিরের। তারপরও সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় ২০১৩ সালের ১৬ জুন। কাহিনিতে অবিশ্বাস করে পাথর বেদী থেকে সরানো হয় ধারি দেবীর মাথা। এই কাজটি করা হয়েছিল ৩৩০ মেগাওয়াটের অলকানন্দা ড্যাম তৈরির জন্য। কিন্তু, তার কয়েক ঘণ্টা পর সাংঘাতিক বন্যা আর ভূমিধসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল উত্তরাখণ্ড। তাই এরপর ধারি দেবীকে তাঁর বেদীতেই পুনরায় স্থাপন করে তৈরি করা হয়েছে মন্দির।

সমস্ত রাস্তার পাহাড়ী সৌন্দর্য্য সহ ভারতের ইতিহাস ও সংস্কৃতির যে মেলবন্ধন তা এই রাস্তায় স্পষ্ট।

আমাদের এই হরিদ্বার থেকে গোবিন্দঘাট যাওয়ার যে সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা তার জন্য কৃতজ্ঞতা স্বীকার জানাতে হয় প্রমোদ ভাই ও জীবন ভাইকে।

সম্পূর্ণ ভিডিওটির জন্য নিচে লিঙ্ক দিয়ে দিলাম

যেকোনো ভ্রমণের আসল মজা, সেই ভ্রমণের রাস্তায়; আর সেই রাস্তা যদি পাহাড় হয় তাহলে না চাওয়াক.....

প্রাচীন কাল থেকেই হরিদ্বারের নাম শুনলেই একটা কথাই প্রথমে মনে আছে "দেব ভূমি"। মনসা মন্দির, চন্ডী মন্দির সহ আরো অনেক মন্দি...
20/08/2024

প্রাচীন কাল থেকেই হরিদ্বারের নাম শুনলেই একটা কথাই প্রথমে মনে আছে "দেব ভূমি"। মনসা মন্দির, চন্ডী মন্দির সহ আরো অনেক মন্দির, ধর্মশালা, আশ্রম সবকিছু একত্রিত করে গড়ে উঠেছে এই হরিদ্বার। যুগ যুগ ধরে বহন করে আসা বহু ইতিহাসের সাক্ষী এই হরিদ্বার। এই হরিদ্বার এর বুকের উপর দিয়েই বয়ে গেছে "মা গঙ্গা"। গোমুখ থেকে উৎপত্তি হয়ে পাহাড়ি পথ বেয়ে ২৫৩ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে এই হরিদ্বারে সমতলে নেমেছে "মা গঙ্গা"। কথিত আছে মা গঙ্গা নাকি ভগবান শিবের জটা থেকে এই হরিদ্বারেই মুক্তি পেয়েছে। প্রত্যেক বছর অগণিত ভক্তগণ আসেন এই হরিদ্বারে। আমাদের যে চারধাম অর্থাৎ কেদারনাথ, বদ্রীনাথ, গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী যেতে হয় তা এই হরিদ্বারের পথ পেরিয়ে যেতে হয়, তাই হরিদ্বারকে চারধাম এর প্রবেশপথও বলা হয়। শুধু কি তাই, এর সাথে হিমালয় পর্বতমালার বরফে মোরা পর্বত শৃঙ্গ দেখতে গেলেও আসতে হবে এই হরিদ্বার। এই হরিদ্বার কে "হরিদ্বার" বা "হরদ্বার" দুই নামেই ডাকা যায়। যেহেতু আমাদের চার ধামের মধ্যে কেদারনাথ ও বদ্রীনাথ রয়েছে, আর এই দুই ধাম যাবার জন্য হরিদ্বারই প্রবেশ পথ তাই যাঁরা শৈব আছেন, (অর্থাৎ যাঁরা শিবের ভক্ত) তাঁরা এই হরিদ্বারকে 'হরদ্বার' বলে আখ্যা দেন, যেহেতু ভগবান শিব কে 'হর' বলা হয়। আবার যাঁরা বৈষ্ণব আছেন (অর্থাৎ যাঁরা ভগবান বিষ্ণুর ভক্ত) তারা এই হরিদ্বার কে হরিদ্বারই বলেন। যেহেতু বদ্রিনাথে আছেন ভগবান বিষ্ণু, আর ভগবান বিষ্ণুকে আমরা 'হরি' বলে জানি।
এখানে রয়েছে ইতিহাস থেকে বহন করে আসা ঐতিহ্য পূর্ণ "হর-কি-পৌরি" ঘাট।
খ্রিস্টপূর্ব প্রথম শতকে রাজা বিক্রমাদিত্য এই ঘাট নির্মাণ করেন, কথিত আছে তাঁর ভাই ভরতহরি এই স্থানে এসে তপস্যা শুরু করেছিলেন, তাই তিনি এই ঘাটটি নির্মাণ করেন। সেই পুরনো দিন থেকে আজও এই ঘাটে বয়ে চলা "মা গঙ্গা" কে স্মরণ করে সন্ধ্যা আরতি হয়।
পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সমুদ্র মন্থন এর পর ভগবান বিষ্ণুর বাহন গরুড় দেব আকাশপথে যখন অমৃত কলসী নিয়ে যাচ্ছিলেন, ঠিক সেই সময়, অমৃত কলসী থেকে চার ফোঁটা অমৃত বিন্দু চারটি স্থানে পড়েছিল, তার মধ্যে অন্যতম এই হরিদ্বার। এছাড়া আরও তিন ফোঁটা অমৃত বিন্দু পড়েছিল উজ্জয়নী, নাসিক ও প্রয়াগরাজ -এ। আর সেই কারণেই এই চার জায়গায় পালা করে আজও কুম্ভ মেলা হয়। হরিদ্বারে যে অমৃত বিন্দু টি পড়েছিল সেটি হর-কি-পৌরি ঘাটে পড়েছিল। আর যে জায়গাটিতে পড়েছিল সেটি হল 'ব্রহ্মকুণ্ড'।

হরিদ্বার আসার জন্য তিনটি ট্রেন আছে আমাদের হাওড়া স্টেশন থেকে। একটি হলো দুন এক্সপ্রেস (১৩০০৯), এই ট্রেনটি প্রতিদিন রাত আটটা বেজে ২৫ মিনিটে হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে। দ্বিতীয়ত হল কুম্ভ এক্সপ্রেস (১২৩৬৯), এই ট্রেনটি মঙ্গলবার ও শুক্রবার বাদ দিয়ে প্রতিদিন দুপুর একটার সময় হাওড়া স্টেশন থেকে ছাড়ে। আরেকটি ট্রেন উপাসনা এক্সপ্রেস (১২৩২৭), এই ট্রেনটি মঙ্গলবার এবং শুক্রবার হাওড়া থেকে উপর একটার সময় ছাড়ে। দুন এক্সপ্রেস যায় হাওড়া থেকে যোগ নগরী ঋষিকেশ পর্যন্ত। অপরদিকে কুম্ভ এক্সপ্রেস এবং উপাসনা এক্সপ্রেস যায় হাওড়া থেকে দেরাদুন পর্যন্ত। এই তিনটে ট্রেনেই আপনি হরিদ্বার পৌঁছে যাবেন।

সম্পূর্ণ ভিডিওর জন্য লিংকটি দিয়ে দিলাম
https://youtu.be/R1ls19aJsoU

এবারের গন্তব্য বর্ধমান থেকে হরিদ্বার।হরিদ্বার যাবার জন্য সাধারণত তিনটি ট্রেন আছে। তবে সচরাচর আমরা দুটো ট্রেন প্রেফার করি...
20/08/2024

এবারের গন্তব্য বর্ধমান থেকে হরিদ্বার।
হরিদ্বার যাবার জন্য সাধারণত তিনটি ট্রেন আছে। তবে সচরাচর আমরা দুটো ট্রেন প্রেফার করি, একটা হল কুম্ভ এক্সপ্রেস (১২৩৬৯) অপরটি হল দুন এক্সপ্রেস (১৩০০৯)। আরেকটি ট্রেন আছে উপাসনা এক্সপ্রেস (১২৩২৭), এই ট্রেনটি মঙ্গলবার এবং শুক্রবার দুপুর একটার সময় হাওড়া থেকে ছাড়ে, অর্থাৎ যেদিন কুম্ভ এক্সপ্রেস চলে সেদিন উপাসনা এক্সপ্রেস চলে না। যেহেতু বর্ধমান এ কুম্ভ এক্সপ্রেসের স্টপেজ নেই তাই আমরা পছন্দ করেছিলাম দুন এক্সপ্রেস। কুম্ভ এক্সপ্রেসের সময় লাগে ২৬ ঘন্টার কাছাকাছি হাওড়া থেকে হরিদ্বার পৌঁছানোর জন্য, সেখানে দুন এক্সপ্রেসের সময় লাগে ৩১ ঘন্টার কাছাকাছি। অনেকটাই সময়ের ব্যবধান, তবু আমরা দুন এক্সপ্রেস কেই পছন্দ করেছিলাম। দুন এক্সপ্রেস এর টাইম বর্ধমান এ রাত্রিবেলা ১০:১৭ মিনিট। হরিদ্বারে পৌঁছানোর সময় সকাল ৪:২৫ মিনিট (ট্রেনে চরার তৃতীয় দিন)।
এই সমগ্র যাত্রা পথে আমরা পাঁচটা রাজ্য পেরোই; পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, যেটা অতিক্রম করতে মোটামুটি ১৮ থেকে ২০ ঘন্টা সময় লাগে। দুন এক্সপ্রেস বর্ধমান থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত মোট ১৩৯৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে। হাওড়া থেকে যোগ নগরি ঋষিকেশ পর্যন্ত চলে এই দুন এক্সপ্রেস (১৩০০৯)। এই সমগ্র যাত্রাপথ ১৫৩৪ কিলোমিটারের, অতিক্রম করতে সময় লাগে ৩৩ ঘন্টা। হাওড়া এবং ঋষিকেশ এর মধ্যবর্তী স্টেশন সংখ্যা ২৯২ টি তার মধ্যে ৬৬ টি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এই দুন এক্সপ্রেস দাঁড়ায়। এই ট্রেনে প্যান্ট্রি কার নেই। তবে অন বোর্ড ক্যাটারিং এবং ই-ক্যাটারিং এর ব্যবস্থা আছে।
লোকমুখে শোনা যায়, জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেস (১৩১৫১) হোক বা দুন এক্সপ্রেস (১৩০০৯), খুবই ধীরগতির ট্রেন। আমার তো বেশ ভালই লাগে। আমার মতে, আমরা সাধারণত পরিবার বা আত্মীয়-স্বজনের সাথে কাজের সূত্রে সেই ভাবে সময় কাটাতে পারি না, কিন্তু যখন কোন দূর গন্তব্যের ট্রেনে একসাথে উঠে আড্ডা মজা আনন্দর মাধ্যমে সময় কাটাই তখন এই ট্রেন জার্নি টা খুব একটা অপছন্দের হয় না।
এই মতটা সবাইকার সাথে নাও মিলতে পারে, যাদের সাথে মিলল না তাদের কাছে আগেই ক্ষমাপ্রার্থী, কিন্তু এই রকম ট্রেন জার্নি আমার খুবই পছন্দের।

https://youtu.be/WF48w7WvBlM

বর্ধমান থেকে হরিদ্বার। দুন এক্সপ্রেস (১৩০০৯)
17/08/2024

বর্ধমান থেকে হরিদ্বার। দুন এক্সপ্রেস (১৩০০৯)

ারের গন্তব্য বর্ধমান থেকে হরিদ্বার।হরিদ্বার যাবার জন্য সাধারণত তিনটি ট্রেন আছে। তবে সচ...

12/08/2024

Valley of Flowers, Uttarakhand 2024

চললাম ফুলের বাগান দেখতে। উত্তরাখণ্ড
04/08/2024

চললাম ফুলের বাগান দেখতে। উত্তরাখণ্ড

অমরনাথ যাত্রা ২০২৪
01/08/2024

অমরনাথ যাত্রা ২০২৪

অমরনাথ গুহা একটি হিন্দু তীর্থক্ষেত্র যা ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত। এটি একটি শৈব তীর্থ...

অমরনাথ যাত্রা ২০২৪
26/07/2024

অমরনাথ যাত্রা ২০২৪

অমরনাথ যাত্রা ২০২৪
23/07/2024

অমরনাথ যাত্রা ২০২৪

11/07/2024

বৃষ্টি ভেজা ট্রেন সফর

04/07/2024
https://youtu.be/mfSsUMVKGuo
14/06/2024

https://youtu.be/mfSsUMVKGuo

canyon view river কবির ভাষায়, “এখানে মেঘ গাভীর মতো চরে”। কোথায়? ভৌ...

Address

Bardhaman
Burdwan

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bhon Katta - ভোঁ কাট্টা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Tourist Information Centers in Burdwan

Show All