14/11/2023
*যাই চলো*
*হিমাচলে* - *2023*
পর্ব - ৩
মানালিতে আমাদের হোটেল ছিল একদম ম্যালের পাশে হোটেল অম্বিকা ইন্টারন্যাশনাল ফলে মানালি পৌঁছে বেরিয়ে পড়লাম ম্যালএর উদ্দেশ্য, সেরে নিলাম কিছু কেনাকাটা । তারপর হোটেলে ফিরে ডিনার সেরে পরদিন বেড়িয়ে পড়লাম হিরিমবা মন্দির, ঘটোৎকচ মন্দির, ক্লাব হাউস এবং বশিষ্ট্য মন্দির দেখার উদ্দেশ্যে , সবকিছু দেখে বিয়াস নদীর ওপর রিভার জাম্পিং সেরে ফিরে এলাম হোটেলে। দুপুরে খাওয়া-দাওয়া সেরে আবার চললাম ম্যাল এ কেনাকাটার জন্য, কেনাকাটা করে হোটেলে ডিনার সেরে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম ,কারণ পরদিন আমাদের যাত্রা হবে রোহতাং পাসের উদ্দেশ্যে।সকালে উঠে 7 টায় যাত্রা শুরু করলাম রোহটাং পাসের পথে ,কিছু দূর যাওয়ার পর চোখে পড়তে লাগল সাদা বরফের চাদরে ঘেরা পাহাড় ,যা দেখে এক অদ্ভুদ উত্তেজনা অনুভব করলাম। রোহটাং এ গিয়ে দেখলাম চারিদিকে বরফে ঘেরা পাহাড় আর নীল আকাশ। নীল আকাশের সাদা মেঘের ভেলা আর বরফ আবৃত্ত পাহাড়ের চূড়া মিলেমিশে একাকার ।এই অদ্ভুত সৌন্দর্য দেখে মন যেন হারিয়ে গেল এক আনন্দের মহাসাগরে। বর্ষার চাদরে ঢাকা পাহাড়ে স্কি এবং স্নো বাইক চেপে আরো বেশ কিছু আনন্দ মুহূর্ত উপভোগ করার পর যাত্রা শুরু করলাম অটল টানেলের পথে। অটল টানেলের সাউথ পোর্টাল দিয়ে প্রবেশ করে যখন নর্থ পোর্টালে পৌঁছলাম তখন শুরু হল বহুকাঙ্খিত স্নো ফলস , যা দেখে বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দে তুষার স্নাত হয়ে প্রাণে উঠল খুশির তুফান । সেই তুফানে ভাসতে ভাসতে পৌঁছে গেলাম সোলাং ভ্যালিতে, সেখানে রোপওয়ে চেপে আরো কিছুটা উপরে উঠে ,বরফ ডাকা পাহাড় আর তুষার পাতকে আরো কাছ থেকে অনুভব করলাম বলা ভালো স্বপনকে ছুঁয়ে দেখলাম। গরম কফিতে চুমুক দিয়ে এই আনন্দ মুহূর্তকে আরো কিছুটা সময় ধরে রাখলাম ,কারন জীবন মনে তো মুহূর্ত গুলোকে বাঁচা। তারপর সন্ধ্যা বেলা ফিরে এলাম হোটেলে একরাশ আনন্দ সঙ্গে নিয়ে।পরদিন বাড়ি ফেরার উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু হল কালকার পথে ,নেতাজি এক্সপ্রেসে চেপে 13 ই নভেম্বর হাওড়ায় পৌঁছলাম সকাল সাড়ে আটটায়।
*শেষ হল আমার সফর, সফরের সাথে ।* *সফর ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের* এই আয়োজন ও আন্তরিক আপ্যায়নে আমি ও আমার পরিবারের সকলে খুবই অভিভূত , আনন্দিত । আপনাদের সকলকে জানাই অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উৎসারিত ভালোবাসা ।সকলে ভালো থাকুন ।অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী সফরের , সফর ট্যুর এন্ড ট্রাভেলস এর সাথে ......
ধন্যবাদ 🙏
©Atanu M