Move with Gargi

Move with Gargi This page is all about Travel, food, lifestyle, gardening and cooking.

যখন‌ নিস্তব্ধ পাহাড়ে অন্ধকার নামেবাইরে টুপটাপ বৃষ্টির সাথে সাথে শোনা যায় নাম না জানা কোনো এক পাহাড়ি ঝর্ণার শব্দ আর তখ...
27/08/2023

যখন‌ নিস্তব্ধ পাহাড়ে অন্ধকার নামে
বাইরে টুপটাপ বৃষ্টির সাথে সাথে শোনা যায় নাম না জানা কোনো এক পাহাড়ি ঝর্ণার শব্দ আর তখন অপরিচিত মানুষগুলো পরিচিত হয়ে ওঠে...
তাদের সাথে জমে ওঠে গল্প,আড্ডা
এমন একটা সন্ধ্যে কি ভোলা যায় বলুন...

কলকাতাকে তখন চল্লিশ ডিগ্রি চোখ রাঙাচ্ছে, হাস- ফাঁস গরমে প্রান যায় যায় অবস্থা। তার মধ্যে ভ্রমন তৃষ্ণা চাগাড় দিয়েছে সব মিলিয়ে অবস্থা পালাই পালাই। পালালাম কলকাতা ছেড়ে। কলকাতা থেকে ট্রেন ধরে সোজা এনজেপি আর তারপর সোজা নর্থ সিকিম। অসম্ভব সুন্দর ছবির মতো একটি গ্রাম আর সাথে কাঞ্চনজঙ্ঘা। জঙ্গু...

থাকার কথা ছিল একদিন কিন্তু এমনভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা কে আগে কখনও দেখিনি জানেন তাই ভাবলাম আর‌ও একদিন থাকি, প্রান ভরে তাকে দেখি আর অক্সিজেন স্টোর করে নিই অনেক অনেক...

ছিলাম লিংথেম লিয়াং হোমস্টে তে। চারপাশে পাহাড় আর মাঝে লিংথেম লিয়াং। সারাদিন সুন্দর রোদ, চা খেতে খেতে কাঞ্চনজঙ্ঘা কে দেখা, নাম না জানা পাখিদের কুজন, চেনা- অচেনা সবুজ গাছপালা আর বিকেল হলেই শুরু হয়ে যায় মেঘেদের আনাগোনা... সন্ধ্যা নামার সাথে সাথেই বৃষ্টির শব্দ যা আপনাকে একটা ঘোরের মধ্যে নিয়ে যাবে।
বৃষ্টি ভেজা এমন এক সন্ধ্যাতেই আমাদের আড্ডা জমে উঠলো কলকাতা থেকে আসা বেশ কয়েকটি মানুষের সাথে... কিছুক্ষন পরে বৃষ্টির শব্দ পাহাড়ি ঝর্ণার সাথে মিশে অসম্ভব সুন্দর একটা রিদম তৈরি করলো আর অপরিচিত মানুষগুলো পরিচিত হতে শুরু করলো। মনে হল তাদের চিনি কতোদিন ধরে...

পরের দিন গেলাম রংইয়াং নদী, মন্টাম লেক আর হ্যাঙ্গিং ব্রিজ দেখতে। নদীর সৌন্দর্য দেখে অবাক হবেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। আর রয়েছে একটা ছোট্ট ছবির মতো মনাস্ট্রি। যেদিন‌ গিয়েছিলাম কিছু একটা উৎসব ছিল। মহিলারা সুর করে প্রার্থনা করেছিলেন। মানে না বুঝলেও একটা আবেশ তৈরি হয়েছিল আর মুগ্ধ হয়েছিলাম ওখানকার পরিবেশ দেখে।

পাহাড়কে অনুভব করার, তাকে চেনার ও তাকে বোঝার সবথেকে ভালো উপায় ট্রেক করা। ঠিক করলাম ট্রেক করে যাবো বেশ কিছুটা উপরে যেখানে একটি অলিখিত ভিউ পয়েন্ট আছে। যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা কে আরও ভালো করে দেখা যায়। স্হানীয় একজনের সাহায্য নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। গ্রাম, মানুষ, স্কুল, জঙ্গল, পাহাড় সব কিছুকে দেখতে দেখতে এগোতে থাকলাম আর কাঞ্চনজঙ্ঘা কে দেখা সে তো উপরি পাওনা।

জঙ্গুর সৌন্দর্য আপনাকে মুগ্ধ করবে তার নিয়ে কোনো সন্দেহর অবকাশ নেই কিন্তু এইধরনের জায়গায় এসে খুব বেশি আয়েস আশা করলে ডিসএপোয়েন্টেট হবেন। খুব বেসিক খাওয়া দাওয়া এবং রুম ও খুব বেসিক। মন ভরে কাঞ্চনজঙ্ঘাকে দেখুন আর প্রকৃতিকে উপভোগ করুন।

প্রয়োজনীয় তথ্য ও রোড ম্যাপ পেতে আমার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে পুরো ভিডিও দেখে নিতে পারেন।
আর আমার লেখা ভালো লাগলে আমার ফেসবুক পেজ টিকে লাইক করতে পারেন।



https://youtu.be/3t6YuMcP69U?si=oKIoa-gHt7embv9u

https://youtu.be/MyY6qCBLPbw?si=8c3s-JGMUmj7SiN2

23/07/2023

'ভালো আছি ভালো থেকো
আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো'

অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা ঠিক যেন‌ ছবির মতো। নিজেকে খুঁজে পাওয়া যাবে নতুন ভাবে।আমার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে দেখে আসতে পার...
04/07/2023

অসম্ভব সুন্দর একটা জায়গা ঠিক যেন‌ ছবির মতো। নিজেকে খুঁজে পাওয়া যাবে নতুন ভাবে।
আমার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে দেখে আসতে পারেন ভিডিওটা।


জঙ্গু নর্থ সিকিমে অবস্হিত একটি অফবিট ডেস্টিনেশান। এটি ছোট ছোট কয়েকটি গ্রাম নিয়ে তৈরি লেপচাদের জন্য একটি সংরক্....

নতুন ভিডিও চলে এসেছে চ্যানেলে। তাহলে আর দেরি কিসের....
21/05/2023

নতুন ভিডিও চলে এসেছে চ্যানেলে। তাহলে আর দেরি কিসের....

21/05/2023

Puri Howrah Vande Bharat express 22896 injured and stopped due to thunderstorm and heavy rain before Bhadrak now (21-May-23). All passengers are safe.

হরিদ্বার গেছেন আর দাদা বৌদির হোটেলে খাননি এইরকম বাঙালি নেই বললেই চলে কিন্তু হরিদ্বারে দাদা বৌদির হোটেল কটা আছে সে খোঁজ ক...
01/05/2023

হরিদ্বার গেছেন আর দাদা বৌদির হোটেলে খাননি এইরকম বাঙালি নেই বললেই চলে কিন্তু হরিদ্বারে দাদা বৌদির হোটেল কটা আছে সে খোঁজ করেছেন কি কখনও? আমি আপনাদের দেবো সেই খোঁজ তার সাথে এই হোটেলগুলোর মেনু, খাবারের কোয়ালিটি আর রিভিউ। তাহলে আর দেরী কেন? আমার ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে দেখে আসুন ভিডিওটা।

ঢেঁকী স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে'...খাদ্যরসিক, ভ্রমন পিপাসু বাঙালি বেড়াতে যাবে আর সেখানকার খাবার চেখে দেখবে না তা কি হয়?!...
23/04/2023

ঢেঁকী স্বর্গে গিয়েও ধান ভাঙে'...খাদ্যরসিক, ভ্রমন পিপাসু বাঙালি বেড়াতে যাবে আর সেখানকার খাবার চেখে দেখবে না তা কি হয়?! যদি তা নিরামিষ ও হয় তাতে ক্ষতি কী! এই দেখুন না কেদারনাথ থেকে ক্লান্ত শরীরে ফিরে মোহনজি পুরীবালে থেকে গরম গরম দুপিস পুরী উদরস্ত করতেই শরীরে কেমন যেন এনার্জি খেলে গেলো। তারপর হরকিপৌড়ি ঘাটে ঢপ করে একটা ঢুব গেলে 'জয় গঙ্গা মাইকি' বলতেই ব্যাটারী ফুল চার্জড। মনটা আনচান করতে শুরু করে দিল কী খাই, কী খাই বলে। মাটির ভাড়ে এককাপ গরম স্পেশাল চা মনটা জুড়িয়ে দিলো।

বুঝতে কি পারলেন কোথায় আছি? আরে
বাবা 'সামাঝদারো কে লিয়ে ইশারাই কাফি হে'... এইতো হরিদ্বার। রাতের আস্তানা বাবা কালীকমলি আশ্রম থেকে বেরিয়ে উল্টোদিকে বৈষ্ঞই দুগ্ধভান্ডারের গরম দুধ বা লস্যি দিয়ে দিনটা শুরু। ঘন লস্যির উপরে আবার মালাই দেওয়া, দাম মাত্র চল্লিশ টাকা। দয়া করে সাথে একটা রুমাল রাখবেন। খাবার পরে সদ্য গজানো সাদা গোঁফের রেখাটা মুছে নিতে ভুলবেন না কিন্তু। বর গোঁ ধরেছে চটিবালাতে খাবে। আমি বললাম হরিদ্বার এসেছি আর দাদা- বৌদিতে খেলাম না তাহলে জীবন বৃথা। শেষমেষ জোর- জবরদস্তি করে টানতে টানতে নিয়ে গেলাম বিড়লা ঘাটের কাছে দাদা-বৌদিতে যাবো বলে। কিন্তু গিয়ে পড়লাম অথৈ জলে। সেখানে গিয়ে দেখি সারি সারি দাদা-বৌদি। দাদা-বৌদি পুরোনো, দাদা- বৌদি আদি, দাদা- বৌদি বাঁকুড়া, দাদা- বৌদির হোটেল আরো কতো কী...গোঁদের উপর বিষফোঁড়া বৌদির হোটেল, মাসীর হোটেল, মাসী হোটেল... একটু ধাতস্থ হয়ে দাদা- বৌদি পুরোনোতে ঢুকে পড়লাম। হরেক রকম থালির মধ্যে নিজের জন্য একটা স্পেশাল থালি আর বরের জন্য একটা নরমাল থালির অর্ডার দিলাম। খাবারে পেট ভরলেও মন কিন্তু ভরলো না। শুনলাম মতি বাজারে আর একটা দাদা- বৌদি আছে সেটা রাতের জন্য রেখে দিলাম।

ভাত ঘুম দিয়ে বিকেলে চললাম হরকিপৌড়িতে। আরে বাবা আরতিটাও তো দেখতে হবে শুধু খেলে হবে! রাস্তায় ফুচকা, আলুটিক্কা চাট, চানা মিক্সচার খেয়ে গঙ্গার ঘাটে আরতি দেখতে বসে গেলাম। আরতি শেষ হতেই হরকিপৌড়ির উল্টোদিকে কারি লিফে ঢুকে গেলাম সাউথ ইন্ডিয়ান খাবার চেখে দেখতে। নিলাম মশালা ধোসা। দাম পকেট কাটলেও টেস্ট বেশ ছিল। বেরিয়ে গেলাম বৃজবাসী মিষ্টির দোকানে। খেলাম মালাই সমোসা। ঘোরাঘুরি করতে করতে চোখে পড়লো এককড়াই টলটলে গোলাপজামুন। তারপর বাকীটা ইতিহাস...
মতি বাজারের দাদা- বৌদিতে ডিনারটা সেরে চলে গেলাম মথুরাবালে কি প্রাচীন দুকানে মিষ্টিমুখ করতে। কাঁলাকাদ খেলাম আর মনে হল হ্যাঁ, আমি হরিদ্বারেই আছি! পেট ভরা থাকলেও খাওয়ার নেশা মনটাকে পাগল করে দিল যখন দূরে দেখলাম প্রকাশলোক কুলফি। নিলাম স্পেশাল কুলফি রাবড়ি ফালুদা। তৃপ্তির ঢেঁকুর তুলতে তুলতে মনটা গুনগুনিয়ে উঠলো, আবার আসিব ফিরে...

পুরো ভিডিওটা দেখতে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একবার ঘুরে আসতে পারেন।



আমার লেখা ভালো লাগলে বা এইরকম আরও খোঁজখবর পেতে আমার ফেসবুক পেজটিকেও লাইক করে রাখতে পারেন।

Move with Gargi

অনেক তো সূর্যাস্ত দেখলেন বাড়ির ছাদ কিংবা ব্যালকনি থেকে। পুরী- দীঘাও তো বাদ দেননি। কিন্তু বাড়ির কাছেই এমন একটা এক বেলার...
16/04/2023

অনেক তো সূর্যাস্ত দেখলেন বাড়ির ছাদ কিংবা ব্যালকনি থেকে। পুরী- দীঘাও তো বাদ দেননি। কিন্তু বাড়ির কাছেই এমন একটা এক বেলার ডেস্টিনেশান আছে সেটা কি জানেন? যেখানে না আছে হোটেল খরচ আর না আছে গাদা গাদা বাস-ট্রেন ভাড়া।
আজ আপনাদের নিয়ে যাবো বাড়ির কাছেই একটা জায়গায় যেখানে গেলে একটা পারফেক্ট সূর্যাস্ত তো দেখতে পাবেনই আর পাবেন মুঠোভর্তি অক্সিজেন। বর্তমানে কৃত্রিম শহুরে জীবনে যার বড় অভাব।
ভনিতা অনেক করলাম এবার আসি কাজের কথায়। জায়গাটার নাম বেনাপুর। সাউথ ইস্টার্ন লাইনের ট্রেন ধরে যেতে হবে বাগনান এবং সেখান থেকে ম্যাজিক ধরে পৌঁছে যেতে পারেন বেনাপুর। যদিও আমরা পুরো জার্নিটা করেছিলাম বাইকে।
এটা মূলত একটি পিকনিক স্পট। মানুষজন যান পিকনিক করতে তাই ভীড়টা শীতকালেই বেশি। আর জানেনতো ভীড় বেশি মানেই খুব সহজেই একটা সুন্দর জায়গা অসুন্দর হয়ে যায়। তাই এই জায়গার সৌন্দর্যটাকে পুরোপুরি উপভোগ করতে এখানে আসতে পারেন অল্প শীতে কিংবা অল্প গরমে বা খুব গরমের একটা বিকেলে। যেহেতু এটা রূপনারায়ণের পাড়ে তৈরি হওয়া একটা চর তাই বর্ষাকালে জোয়ারে এই চরটা একদম ডুবে যায়। তখন গিয়ে চাষাবাদ ছাড়া কিছুই দেখতে পাবেন না। আবার এই জোয়ারের কারনেই এই বিশাল চর জুড়ে সবুজ ঘাসের সমারোহ দেখা যায় সেটাই এই জায়গার বৈশিষ্ট্য। আর রয়েছে বিচ্ছিন্নভাবে দাঁড়িয়ে থাকা কিছু গাছ। ছোটবেলায় এগুলোকে জিলিপি গাছ বলতাম কারন এই গাছের ফলগুলোকে জিলিপির মতো দেখতে হয়। আসল নাম জানি না। এই গাছগুলো এই জায়গার সৌন্দর্যটাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।
প্রিয় মানুষের হাত ধরে একটা পারফেক্ট সূর্যাস্ত কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে জমিয়ে ঝালমুড়ি খেতে খেতে আড্ডা কিংবা বাড়ির বড়দের সাথে একটা কোয়ালিটি টাইম স্পেন্ট করার জন্য এই জায়গায় যেতেই পারেন। কথা দিচ্ছি মন্দ লাগবে না।
পুরো বিষয়টিকে চাক্ষুষ করতে আমার ইউটিউব চ্যানেলে একবার ঘুরে যেতে পারেন।



আমার লেখা ভালো লাগলে বা এইধরনের জায়গার খোঁজ খবর পেতে আমার ফেসবুক পেজটিকেও লাইক করে রাখতে পারেন।

Move with Gargi

পয়লা বৈশাখ এলেই মনে পড়ে ছোটোবেলার কিছু টুকরো টুকরো কথা। নতুন জামা তো অবশ্যই কিন্তু নতুন গনেশ কিনতে যাওয়াও ছিল পছন্দের...
15/04/2023

পয়লা বৈশাখ এলেই মনে পড়ে ছোটোবেলার কিছু টুকরো টুকরো কথা। নতুন জামা তো অবশ্যই কিন্তু নতুন গনেশ কিনতে যাওয়াও ছিল পছন্দের একটি কাজ। দিদার(ঠাকুমাকেই দিদা বলতাম) সাথে পাড়ার এক কুমোর বাড়িতে যেতাম। সারি সারি গনেশের মধ্যে বেছে সুন্দর মুখওয়ালা একটি প্রতিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসা তারপর দিদা বসতো পুজোয়। চলতো ঠাকুরের প্রান প্রতিষ্ঠা ও বছরের নতুন দিনে লক্ষ্মী- নারায়ণকে নতুন পোশাক পরিয়ে পুজো। রান্নার বিশেষ আয়োজন যে হোত তা নয় কিন্তু আসল আকর্ষণ ছিল বিকেলবেলার হালখাতা। বায়না চলতো হালখাতা করতে যাওয়ার। এইভাবেই সাদামাটা একটা পয়লা বৈশাখ কাটিয়ে ফেলতাম। তবু যে কি প্রিয় ছিল সেইসব দিনগুলো।

এখনও পয়লা বৈশাখ বিশেষ বলেই মনে হয়। এই দিনটা এলেই মনে হয় কোথাও একটা রবি ঠাকুরের গান চলুক, একটা নির্জন জায়গায় গিয়ে গাছ ভর্তি কৃষ্ণচূড়া কিংবা অমলতাসকে দেখি-অনুভব করি আর প্রিয় কবির একটা কবিতা পড়ি আওয়াজ করে... পছন্দের একটু রান্নাবান্না করতেও বেশ ইচ্ছে করে।

সবটা তো হল‌ না। যেটুকু হল তার ঝলক রইল আপনাদের জন্য। সবাইকে জানাই নতুন বছরের শুভেচ্ছা।

তোমার ব্যস্ততায় পৃথিবী জুড়ে মেঘ করে।নিঃশব্দে একটা অভিমানী গল্প দানা বাঁধে।গল্পটাকে ছুঁলেই বৃষ্টি নামবে মুষলধারায়।
13/04/2023

তোমার ব্যস্ততায় পৃথিবী জুড়ে মেঘ করে।

নিঃশব্দে একটা অভিমানী গল্প দানা বাঁধে।
গল্পটাকে ছুঁলেই বৃষ্টি নামবে মুষলধারায়।

কথায় আছে 'তেত্রিশ কোটি দেবতা'...এই তেত্রিশ কোটি দেবতার নাম আমরা হয়তো অনেকেই জানি না কিন্তু মা কালীর নাম শোনেননি এমন মা...
11/04/2023

কথায় আছে 'তেত্রিশ কোটি দেবতা'...এই তেত্রিশ কোটি দেবতার নাম আমরা হয়তো অনেকেই জানি না কিন্তু মা কালীর নাম শোনেননি এমন মানুষ এই ধরাধামে নেই বললেই চলে। মা কালী কখনও শ্যামা কালী, কখনও দক্ষিনা কালী, কখনও শ্মশাণ কালী আবার কখনও বা ডাকাতে কালী হিসেবে পূজিত হন। এই রূপগুলো আমাদের কাছে অত্যন্ত পরিচিত। এবার যদি বলি 'শ্বেতকালী' কখনও শুনেছেন? তাহলে অনেকেই অবাক হবেন। আমিও হয়েছিলাম... সম্প্রতি একটি ওয়েব সিরিজের সৌজন্যে অনেক মানুষই শ্বেতকালী মূর্তির সাথে পরিচিত হয়েছেন এবং সাথে সাথে অবাকও হয়েছেন যথেষ্ট। প্রথম এই নামটি শোনার পরেই আমার মনে হয়েছিল আদৌ কি সাদা বর্ণের মা কালী হয়! ব্যাস! খোঁজ শুরু করলাম।হাতে গোনা কয়েকটি জায়গাতেই একমাত্র শ্বেতকালী মূর্তির পুজো হয়। তার মধ্যে হুগলি জেলার রাজবলহাট অন্যতম।
খুব পুরোনো একটি গ্রাম যেখানে একসময় ভুরশুট রাজ্যের রাজধানী ছিল। শনিভানগড়ের মৎসজীবি রাজা, চতুরানন্দ নামক এক ব্যক্তির কাছে পরাজিত হন। চতুরানন্দের নাতি কৃষ্ণ রায় ভুরশুট রাজ্য স্থাপন করেন।

বংশপরম্পরায় রাজা সদানন্দ রায় এই রাজ্যের ক্ষমতায় আসেন এবং পরবর্তীতে তিনিই এই রাজবল্লভী মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন। এই প্রসঙ্গে একটি লোককথা বা গল্প প্রচলিত আছে। চলুন আজ আপনাদের সেই গল্পটা শোনাই...

রাজা সদানন্দ রায়ের গৃহদেবী ছিলেন মাতা গৌরী। সেই গৃহদেবীর ফুলের দায়িত্বে থাকা মালিনীর ফুলের বাগান ছিল। এক জ্যোৎস্না রাতে সুন্দরী এক মেয়ে মালিনীর কাছে রক্তপদ্মের গয়না চায়। অবাক হলেও মালিনী সেই গয়না তৈরি করে দেন তখন সেই সুন্দরী মেয়েটি বলে আমি রাজবাড়ির গৌরির বড় দিদি এবং এই বলে পঞ্চবটীর নীচে গিয়ে নিজের রূপ ধারণ করেন। আশ্চর্যভাবে রাজা সদানন্দ রায় ও সেই রাতেই এই মন্দির স্থাপনের স্বপ্নাদেশ পান ও সকাল বেলায় মালিনীর কাছে সমস্ত ঘটনাও শোনেন। তারপর তিনি মন্দির নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন।

প্রথমে মন্দির চত্বর এতো বড় ছিল না। রুদ্রনারায়ণ রায় রাজা হলে তিনি মন্দিরের সংস্কার করেন।

এই মূর্তির রং সাদা এবং একটি পা মহাদেবের কাঁধে ও অন্যটি বিরূপাক্ষের বুকে কিন্তু সাধারণত আমরা জিভ বের করা কালীমূর্তি দেখতে অভ্যস্ত। এই মূর্তিটি কিন্তু তা নয়। যদিও কুলটিতে যে শ্বেতকালী মূর্তির পুজো হয় তাঁর গায়ের রং সাদা এবং জিভ বের করা। সে গল্প পরে কখনও বলবো।

এই মন্দিরের পুজোর ধরন কিন্তু বেশ আলাদা। যেমন দূর্গাপুজোর মহাঅষ্টমীতে হয় বিশেষ পুজো। সাতটি ডিঙিনৌকা বানিয়ে তা পাশের নদীতে ভাসানো হয়। নবমীর দিন এখনও মোষবলীর নিয়ম। আগে সেই রক্ত নিয়ে দেবীর হাতের রুধিরপাত্রে দেওয়ার নিয়ম ছিল। এখন অবশ্য সে নিয়ম নেই। প্রতিদিন যে ভোগ খাওয়ানো হয় তার মধ্যে ঘন্ট অন্যতম এবং এই ঘন্টতে কুঁচো চিংড়ি ও মাছের মাথা দেওয়া হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেবীর কাপড় পরিবর্তন করে দেওয়া হয় এবং প্রতিবারই নতুন কাপড় পরানো হয়। দেবীর একবার ব্যবহৃত কাপড় ফেলে দেওয়ার নিয়ম। শ্বেতকালী হলেও কালীপুজোর দিন কোনো পুজো এখানে হয় না।

তবে আমার মনে হয়েছে এই দেবী মূর্তিটির মধ্যে মা কালী ও‌ মা দূর্গা দুয়ের রূপই বিদ্যমান। একদিকে দেবীর পা মহাদেবের কাঁধে ও বিরূপাক্ষের বুকে থাকায় তা অবশ্যই কালীমূর্তির বৈশিষ্ট্য বহন করছে। আবার জিভ বের করা নেই এবং দূর্গা পুজোর দিন পুজোর প্রচলন ও কালী পুজোতে বিশেষ পুজোর প্রচলন না থাকায় তা মা দূর্গার বৈশিষ্ট্য বহন করছে।

যাই হোক, প্রথম দর্শনের সময় আমার বেশ গা ছমছম করছিল। বলা বাহুল্য তা ঐ ওয়েব সিরিজের সৌজন্যে। দুর্গাপুজোর দিন ভীড় সবথেকে বেশি হয়। তবে শীতকালে গেলেও মন্দ লাগবে না।

তালমিছরি খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি আর সেই বিখ্যাত তালমিছরির ব্যান্ড যে মানুষটির নামে অর্থাৎ দুলাল চন্দ্র ভড় ও কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় এর বাড়ি এই অঞ্চলে।

একই সাথে বেড়িয়ে আসতে পারেন আঁটপুর। সেখানে রয়েছে রামকৃষ্ণ মিশন, নরেন সরোবর ও মিত্রদের রাধাগোবিন্দ মন্দির সহ টেরাকোটার কাজ করা বিভিন্ন স্থাপত্য।

আর যেতে পারেন দারহট্টের রাজরাজেশ্বর মন্দির ও দ্বারিকাচন্ডীমাতার মন্দির। নিরিবিলি গ্রাম্য পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।

আমরা সমস্ত টুরটা কমপ্লিট করেছিলাম বাইকে। আপনারা কিভাবে যাবেন এবং পুরো টুরটার রোডম্যাপ পেতে আমার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।



এই ধরনের বেড়ানোর জায়গার খোঁজ- খবর পেতে আমার ফেসবুক পেজটিকেও লাইক করে রাখতে পারেন।

Move with Gargi

কোলকাতার মধ্যেই ছোট্ট একটা 'লক্ষ্নৌ শহর' আমার ঠিক এটাই মনে হয়েছে জাকারিয়া স্ট্রিটে গিয়ে। মিল আছে খাবার- দাবারের সাথে ...
10/04/2023

কোলকাতার মধ্যেই ছোট্ট একটা 'লক্ষ্নৌ শহর' আমার ঠিক এটাই মনে হয়েছে জাকারিয়া স্ট্রিটে গিয়ে। মিল আছে খাবার- দাবারের সাথে কিন্তু অমিলও আছে বেশ কতগুলো। যাক, সেসব কথা। সেসব না হয় অন্যদিন আলোচনা‌ করা যাবে। আজ প্রধানত জাকারিয়া স্ট্রিটের খাবার- দাবারের খবর দেবো আপনাদের।

রমজান মাস, রোজা, ইফতার, ঈদ এই শব্দগুলো মাথায় এলেই মনে হয় উৎসব আর এই উৎসবের সাথেই নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে খাওয়া- দাওয়ার। কয়েকটা খাবার ছাড়া তো ইফতার সম্ভবই নয় যদিও স্থান,কাল,পাত্র ভেদে খাবারের ধরন- ধারন অবশ্যই বদলায় তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে কিছু খাবার তো আছেই, যেমন- সরবত, ফল, ফালুদা, ছোলা ও মুড়ি, হালিম, শিরমল, বিভিন্ন কাবাব ও ভাজাভুজি আইটেম, মিষ্টি, চা ইত্যাদি ছাড়া অন্তত এই দেশে ইফতারের কথা মানুষ কখনই ভাবেন না। আর এইসব খাবারের বিপুল সম্ভার রয়েছে জাকারিয়াতে। অলিতে গলিতে খাবার... তাছাড়া রয়েছে নামকরা কিছু দোকান আর তাদের নামকরা সব খাবার। আর টেস্ট? সেটা আর আমার বলার অপেক্ষা রাখে না। যেমন- সুফিয়ার হালিম, তাসকিনের মুর্গ চাঙ্গেজি, বম্বে হোটেলের বিরিয়ানি সহ কাবাব আইটেম, দিল্লী সিক্সের আফগানী চিকেন, আদমস এর কাবাব, আল বাইকের ভেটকি ফ্রাই আরো কতো কী... এইরকম আরও যে কত দোকান আর কতরকমের যে আইটেম বলে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া যত্রতত্র ছড়ানো ফল,সরবত, সিমুই এর দোকান তো রয়েছেই। আর রয়েছে মিষ্টি। মিষ্টির কথা উঠলে হাজি আলাউদ্দিনের নাম তো বলতেই হয়। ওখানকার হালুয়া আর স্পেশাল লাড্ডুর কথা না বললে এই ফুড টুরটা অপূর্ন থেকে যাবে। সব মিলিয়ে জাকারিয়া জমজমাট।'জাকারিয়া' শব্দের অর্থ সৃষ্টিকর্তার স্মরণে... সেই জন্যই বোধহয় এখানকার খাবার এতো সুন্দর হয়।

নাখোদা মসজিদে যেতে কিন্তু কখনোই ভুলবেন না কারন এই মসজিদকে ঘিরেই সমস্ত আয়োজন। এখানে নামাজ পড়ে মানুষজন ইফতার সারেন জাকারিয়া থেকে। প্রসঙ্গত বলে রাখা ভালো, এই মসজিদটি পশ্চিমবঙ্গের সবথেকে বড় মসজিদ এবং এই মসজিদের ইমাম সাহেবের স্টেটমেন্ট ধরেই ঈদ পালন করা হয়।

ছবি তো রইলোই। যদি মনে হয় পুরো ব্যাপারটাকে অনুভব করবেন তাহলে একটা দিন হাতে থাকলে ঘুরে আসতে পারেন জাকারিয়া থেকে। তার আগে ঘুরে আসতে পারেন আমার ইউটিউব চ্যানেলে।



https://youtu.be/aEo2xX3s9dE

Address

Howrah

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Move with Gargi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Move with Gargi:

Videos

Share

Category


Other Tour Guides in Howrah

Show All