প্রিয় জঙ্গলমহল
05/03/2024
প্রথমে আই.আই.টি, পরে আবার I.A.S.
অথচ বাবা কাপড়ের ফেরিওয়ালা, সমস্ত
অনটনকে হারিয়ে ছেলে হলেন আই.এ.এস!
যার সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় স্থান ৪৫
বছর দশেক আগে প্রথম বার পরিচিত মহলের সকলকে চমকে দিয়েছিলেন অনিল বসাক। সে বছর তিনি সুযোগ পেয়েছিলেন দিল্লি আইআইটি-তে। কিন্তু এটা ছিল তাঁর সাফল্যের সিঁড়ির সবে সূত্রপাত। তারও বেশ কিছু বছর আগে, যখন তিনি বিহার থেকে দিল্লিতে এসেছিলেন, জানতেনও না একদিন তিনি ইউপিএসসি-র মেধাতালিকার প্রথম ৫০ জনের মধ্যে থাকবেন।
অথচ যাত্রাপথ খুব একটা মসৃণ ছিল না। বিহারের কিষাণগঞ্জের ছেলে অনিল ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রাথমিক পর্বও পার হতে পারেননি। পরীক্ষার ফলাফলে চুরমার হয়ে গিয়েছিল হৃদয়। কিন্তু স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় ইন্ডিয়ান রেভেনিউ সার্ভিস-এর পরীক্ষায় মেধাতালিকায় তাঁর স্থান ছিল ৬১৬ নম্বরে।
চমক অপেক্ষা করে ছিল তৃতীয় বারে। ইউপিএসসি পরীক্ষায় ৪৫ তম স্থান অনিলের। সংসারে অনটন-সহ একাধিক প্রতিকূলতা পেরিয়ে সাফল্য আসে তাঁর জীবনে। দিল্লি আইআইটি-র এই সিভিল ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘আমি উচ্ছ্বসিত। আমার বাবা মা আনন্দে ভাসছেন। তাঁরাই আমার সাফল্যের কারিগর।’’ বাবার কথা বার বার বলেছেন তিনি। বাবার জন্যই খবরের প্রতি, সাম্প্রতিক ঘটনার দিকে আগ্রহ তৈরি হয় তাঁর। টেলিভিশনে খবর দেখা ও শোনা ছিল বাধ্যতামূলক বাড়িতে। তখন স্বপ্নেও ভাবেননি একদিন আইএএস অফিসার হবেন।
চার ভাইয়ের মধ্যে সবথেকে বড় অনিলই। সংসার চালাতে নানারকমের কাজ করতে হয়েছে তাঁর বাবা বিনোদ বসাককে। অনিলের কথায়, ‘‘আমার বাবার পড়াশোনা চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত। কিন্তু একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারেন তিনি। সংসারের অভাব অনটন দূর করতে ফেরিওয়ালা, এক রাজস্থানি পরিবারে পরিচারক-সহ নানা কাজ করেছিন তিনি। তিল তিল করে অর্থ জমিয়ে কিষাণগঞ্জে জামাকাপড়ের একটা ছোট ব্যবসা চালু করেছেন।’’
অন্যের বাড়িতে ভাড়া থাকার পর নিজেদের কাঁচা বাড়ি থেকে অবশেষে পা রেখেছেন পাকা বাড়িতে। ‘‘বাবাই আমার অনুপ্রেরণা। একা হাতে ব্যবসা চালান। আমাদের জন্য রান্না করেন। বাড়ির কাজ করেন। বাবার উদ্যোগের ১০ শতাংশ পেলেও আমি আরও সফল হতাম।’’ বলছেন আইএএস অফিসার অনিল বসাক। তাঁর বাবা ছেলের জন্য যতটা গর্বিত, তার থেকেও বেশি সন্তান গর্বিত বাবাকে নিয়ে। কুর্নিশ জানাই অনিল বসাককে।
28/02/2024
“লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা, রাঙামাটির দ্যাশে যা..”💫🌿
এই বিখ্যাত গানটি শোনেননি, এমন মানুষ এই বঙ্গদেশে নিতান্তই হাতেগোনা। এই সুর শুনলেই গুনগুনিয়ে ওঠেন সঙ্গীতপ্রেমী বাঙালি। কিন্তু এই বিখ্যাত গানটির জন্যই চির অমর হয়ে থাকবেন বাঁকুড়ার ভূমিপুত্র, বিশিষ্ট লোকসঙ্গীত শিল্পী ঝুমুরিয়া #সুভাষ_চক্রবর্তী। একপ্রকার অন্তরালে থেকেই সারাজীবন ধরে সৃষ্টি করেছেন একের পর এক কালজয়ী গান। আজকের দিনেই তিনি ইহলোক ত্যাগ করেন সেই অন্তরালে থেকেই। বয়স হয়েছিল ৭১ বছর।🌻
বাঁকুড়ার ভাদু, টুসু, ঝুমুরকে ভালবেসে এই সঙ্গীতের জগতের এই ক্ষেত্রটিকেই বেছে নিয়েছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী। আর তাতেই এসেছিল আকাশছোঁয়া সাফল্য। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থেকে সুভাষ চক্রবর্তীর সুর ছড়িয়ে পড়েছিল গোটা গ্রামবাংলায়। একসময় তাঁর ‘বাঁকুড়ার মাটিকে পেন্নাম করি দিনে দুপুরে…’ গানটি তাঁকে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছিল। তেমনই তাঁর জীবনের শেষ গান সেই জন্মভূমি বাঁকুড়াকে নিয়েই। হাসপাতালে ভর্তির দিনকয়েক আগেই নিজের লেখা ও সুরে রেকর্ড করেন ‘বাঁকড়ি দেশের মানুষ আমি গাইবো ঝুমুর গান’।
জানা গেছে, গত কয়েক দিন ধরেই তিনি কলকাতার ঐ বেসরকারি হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে ছিলেন। বয়সজনিত কিছু অসুস্থতায় ভুগছিলেন। শনিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আজীবন বঞ্চনা বুকে নিয়েই গানের ওপারে যাত্রা করলেন ঝুমুরিয়া সুভাষ চক্রবর্তী। ভুগছিলেন লিভার সিরোসিসে।
১৯৫২ সালে বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড়ে জন্ম এই ঝুমুর শিল্পীর। ছোট থেকেই সঙ্গীতের পরিবেশেই বড় হয়ে ওঠা। সত্তরের দশকে লোকগানের দুনিয়ার উঠতি শিল্পী ছিলেন সুভাষ বাবু। সেইসময় অরুণ কুমার চক্রবর্তীর সঙ্গে আলাপ ঝুমুর গানের এক আড্ডায়। তাঁর লেখা ‘শ্রীরাম ইস্টিশনের মহুয়া গাছটা’ কবিতায় সুরারোপ করেন সুভাষবাবু, যা প্রজন্মের পর প্রজন্মের মধ্যে জনপ্রিয় ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা…’ নামে। এই বহুল প্রচলিত লোকগানের নেপথ্যের শিল্পীরা আজীবন থেকে গিয়েছেন প্রচারের আড়ালেই। লাল মাটির দেশ ছেড়ে কোনও দিনই কলকাতায় এসে সঙ্গীতের জগতে নিজের পরিচিত গড়ার চেষ্টা করেননি সুভাষ চক্রবর্তী, আক্ষেপের সুরে জানিয়েছিল তাঁর সুযোগ্যা কন্যা অর্পিতা চক্রবর্তী। প্রচারবিমুখ হওয়ার জেরেই ‘লাল পাহাড়ির দেশে যা',‘মরক পরবে’-র মতো গানগুলো জনপ্রিয়তা পেলেও খানিক অন্তরালেই থেকে গিয়েছেন সুভাষবাবু।
লোকগান ছিল সুভাষ চক্রবর্তীর প্রাণ। তিনি বলতেন, ‘লোকসঙ্গীত শিকড়ের গান। শেকড়কে বাদ গিয়ে হাঁটা যায় না। একটা বৃক্ষ যেমন শেকড়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকে, গোটা সংস্কৃতিটাই লোকসঙ্গীতের উপর দাঁড়িয়ে। ঝুমুর, ভাদু, টুুসু আমার রক্তে…’।
বাবার পদচিহ্ন অনুসরণ করে সুভাষ চক্রবর্তীর দুই সন্তানই লোকগানকেই বেছে নিয়েছেন। সারেগামাপা-র মঞ্চে প্রসংশা কুড়িয়েছেন সুভাষ কন্যা অর্পিতা। ছেলে অর্পণও বাংলা গানের জগতের পরিচিত নাম। অপর্ণ জানান,‘ আমার কাছে এটা ব্যক্তিগত ক্ষতি তো বটেই, তবে লোকসঙ্গীত নিয়ে যারা কাজ করে তাঁদের সবার জন্য এটা বড় ক্ষতি।’
সুভাষ চক্রবর্তীর প্রয়াণে শোকের ছায়া লোকগানের জগতে। তাঁর মৃত্যুর সঙ্গে লোকসঙ্গীতের একটি ঘরানা হারিয়ে গেল বলাই যায়..!🌼
আজ গোটা একটা বছর হয়ে গেলো তিনি আমাদের মাঝে আর নেই, তবুও তিন আছেন তাঁর গানে-কথায়.. তাঁর প্রয়াণ দিবসে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি..🌷
🙏 ওঁম শান্তি 🙏
© Belpahari.in
03/01/2024
you can visit digha by train in night know details: পর্যটকদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে দীঘাকে আরো সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলছে প্রশাসন। ইতিমধ্যেই একা.....
03/01/2024
🎄🎄AYAN EXPRESS 🎄🎄
RAIPUR 🌀JHARGRAM🌀PANIPARUL🌀DIGHA
ভায়া:- রাইপুর - মটগোদা - ফুলকুষমা - শিলদা - বিনপুর - দহিজুরি - ঝাড়গ্রাম - লোধাশুলী - গোপিবল্লভপুর - খড়িকা - ভসরাঘাট - কেশিয়ারি - বেলদা - ঠাকুরচক - খাকুড়দা - ললাট - জাহালদা - এগরা সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড - এগরা দীঘামোড় - কুদি - রাসন - মির্জাপুর - নেগুয়া - পানিপারুল - দেপাল - রামনগর - ঠিকরা মোড় - অলংকারপুর - ওল্ড দীঘা - নিউ দীঘা - দীঘা বর্ডার
🕣🕣💕Time Schedul💕🕣🕣
দীঘা যাওয়ার সময়
💟 Raipur - 4.00 AM
💟 Fulkushma - 4.25 AM
💟 Silda - 4.40 AM
💟 Binpur - 4.50 AM
💟 Jharghram - 5.30 AM
💟 Lodhashuli - 5.50 AM
💟 Feko - 6.10 AM
💟 Gopiballabpur - 6.30 AM
💟 Kharika - 7.30 AM
💟 Keshiary - 8.00 AM
💟 Belda - 8.25 AM
💟 Khakurda - 8.45 AM
💟 Egra - 9.15 AM
💟 Panipurl - 9.45 AM
💟 Depal - 9.55 AM
💟 Ramnagar - 10.10 AM
💟 Digha - 10.25 AM
রাইপুর যাওয়ার সময়
💐Digha Border - 12.25 PM
💐New Digha - 12.40 PM
💐Ramnagar - 1.10 PM
💐Depal - 1.25 PM
💐Paniparul - 1.35 PM
💐Egra - 2.05 PM
💐Khakurda - 2.35 PM
💐Belda - 2.55 PM
💐Keshiary - 3.35 PM
💐Kharika - 4.15 PM
💐Gopiballabpur - 5.25 PM
💐Lodhashuli - 6.10 PM
💐Jhargram - 6.30 PM
💐Binpur - 7.10 PM
💐Silda - 7.20 PM
💐Fulkushma - 7.40 PM
💐Raipur - 8.00 PM
WB - 49 - 2900 ⚙️ Built On Ashok Leyland Viking BS - 4 Chassis
Post Collected From :- Sayantan Maity ( West Bengal Bus routes Update)
30/08/2023
17/08/2023
বর্ষায় দূরন্ত হুদহুদি ঝর্ণা
ঢাঙ্গীকুসুম, বেলপাহাড়ি
28/07/2023
সরকারের নতুন প্রকল্প দুয়ারে মাছ 😃😃😃
13/06/2023
বেলপাহাড়ীর অন্দরমহলে
30/09/2022
খবর সৌজন্যে - সংবাদ প্রতিদিন
12/09/2022
বর্ষার জঙ্গলমহল
30/08/2022
আমি চেয়ে চেয়ে দেখি সারাদিন .......
(কাঁকড়াঝোর)
23/08/2022
উত্তরবঙ্গ নয়, এটা বর্ষার বেলপাহাড়ির প্রকৃতি
04/07/2022
চাষীর বর্ষাতি -পেখে/ পেখা/পেখিয়া । এগুলো এখনও কিছু গ্রামের মানুষ ব্যবহার করেন। ছোটবেলায় আমার গ্রামের বাড়িতে কয়েকবার বর্ষাকালে মাঠে চাষ করার সময় চাষীদের ব্যবহার করতে দেখেছি। গ্রামীণ এলাকার লোকেরা বর্ষাকালে ছাতার বিকল্প হিসেবে এই 'পাখিয়া' ব্যবহার করতো। তালপাতা ও বাকলের দড়ি দিয়ে বানানো। ছাতার বিকল্প হিসেবে কাজ করে। যদিও আধুনিক যুগে এর ব্যবহার নেই বললেই চলে ।
বর্ষায় আর কদর পায়না পেখে। তালপাতার পেখে যা বাংলার গ্রামীণ সংস্কৃতিতে 'চাষীর বর্ষাতি' নামে পরিচিত ছিলো। বর্ষা এলেই একসময় এই পেখে কেনার জন্য রথের মেলায় হুড়োহুড়ি পড়ে যেতো। বিশেষ করে চাষী পরিবার গুলোতে এদের কদর ছিলো খুব। কতোদিন বেঁচে থাকবে এই শিল্প তার প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি করেছে। নাকি লোকশিল্পের উপাদান হিসেবে সংগ্রহশালায় পেখা সংরক্ষিত থাকবে আগামী প্রজন্মের কাছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি মহকুমার 'রামনগর ২ নং ব্লকে্র 'মৈতনা গ্রাম পঞ্চায়েতের 'ডেমুরিয়ার ৩০০ বছরের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ দেবের রথের মেলায় সত্তরোর্ধ্ব এক বয়স্ক পেখা বিক্রেতার সাথে পরিচয় হয়ে অনেক কিছুই জানলাম ওনার কাছে। উনি বললেন এখন সেইভাবে কেউ নেয়না ফ্যাশনের যুগ তো তাই। তবুও এলাকায় কম বেশি নেন চাষী পরিবার গুলো। দাম বললেন ৬০-৭০ টাকা। একটা পেখা বানাতে ২ ঘন্টা সময় লাগে। যেহেতু আমাদের বাবা কাকু এনারা বিক্রি করতেন মেলায় তাই সেই ছোটবেলা থেকেই রথের মেলায় বিক্রি করতে চলে আসি। মা পরিশ্রম সেই তুলনায় মূল্য দেয়না কেউ। যাই হোক বাঁচিয়ে রাখতে হবে এই সব শিল্পকে। কেমন যেন সব ম্লান হয়ে যাচ্ছে সব গ্রামীণ সংস্কৃতি।।
© সুকমল প্রধান, হলদিয়া, পূর্ব মেদিনীপুর
30/06/2022
30 শে জুন অর্থ্যাৎ ভারতীয় ইতিহাসের উপজাতি বিদ্রোহের দুই নেতা সিধু ও কাণহু এই দুই ভাই কে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের মানুষ 'ধারতি আবা' অর্থ্যাৎ তাদের রক্ষাকর্তা রূপে পূজা করে আসছেন, এবং এই দিনটি হুল দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে, হুল দিবসে সিধু ও কাণহু এই দুই বীর বিপ্লবীর প্রতি রইলো শ্র্দ্ধাঞ্জ্লি🙏
26/05/2022
সুখী গৃহকোণ
(কাঁকড়াঝোর)
12/04/2022
বেলপাহাড়ীর আরো একটি সুন্দর জায়গা তুলসীবনি ঝিল (পোশাকি নাম গজপাথর সরোবর)
Google Location : https://goo.gl/maps/Uv4ANkFfi5aDoSjK6
04/04/2022
#গ্রামের_প্রকৃতি
আমলাশোল, বেলপাহাড়ি, ঝাড়গ্রাম
02/04/2022
বেলপাহাড়ী পেজের পক্ষ থেকে সমস্ত উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের জানাই শুভেচ্ছা ও আন্তরিক অভিনন্দন। 💐
ইশ্বরের কাছে তোমাদের সকলের সফলতা কামনা করি।
09/03/2022
সুপ্রভাত
বেলপাহাড়ি
03/03/2022
বেশ গরম পড়ে গেছে ....
(ঘাগরা, বেলপাহাড়ি)
19/01/2022
জঙ্গলমহল ও দেশী মুরগী
যারা বেলপাহাড়ির জঙ্গলে বেড়াতে গিয়েছেন, তারা নিশ্চই দেশী মুরগীর স্বাদ থেকে বঞ্চিত হন নি। কাঁচা মাংসের রঙ অনেকটা খাসি মাংসের মতো। আহা কি দারুন স্বাদ। ভালো করে তেল-মশলা দিয়ে রান্না করলে খাসি মাংসকেও হার মানাবে। এরকম একটা শীতের রাতে যদি থাকে ভাত বা রুটির সঙ্গে দেশী মুরগীর ঝোল তাহলে তো জমে ক্ষীর।
সুস্বাদু দেশী মুরগীর ঝোল খেতে হলে যেতে হবে বেলপাহাড়ীর ইন্দিরা চকের অভিনন্দন হোটেলে। হোটেলের বিশেষত্ব হল - সবসময় কাঁচা অথবা শুকনো শালপাতায় খাদ্য পরিবেশন হয়। খাদ্য তালিকায় - ভাত, ডাল, আলু/বেগুন ভাজা, দুটি সবজী, মুরগী মাংস, চাটনী ও পাঁপড়। দেশী মুরগী ছাড়াও, ব্রয়লার মুরগী, ডিম ও খাসি মাংস পাবেন।
আর হ্যাঁ যেটা না বললে অন্যায় হবে, হোটেল মালিক চন্দনবাবুর ব্যবহার অত্যন্ত ভালো। অতিথি আপ্যায়ন কাকে বলে, তাকে দেখে অন্যদের শেখা উচিত। আগে থেকে ফোন (9083497228/9647750371) করে দিলেও উনি খাবারের ব্যবস্থা করে দেন। কাঁচা মাংস কিনে দিলেও রান্না করে দেন।
22/12/2021
ঝাড়গ্রামের পরিবেশবান্ধব শাল পাতা
*********************************************
সুপ্রাচীনকাল থেকেই ভারতে বিভিন্ন উদ্ভিদের পাতা থালা-বাটি, সেলাই করা ডাইনিং লিফ প্লেট, খাবারের মোড়ক এবং খাদ্য প্যাকেজিং উপাদান হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এর মধ্যে বাংলায় কলা পাতা ও শাল পাতা বিশেষভাবে প্রচলিত। আর আমার জেলা ঝাড়গ্রামে সবচেয়ে জনপ্রিয় শাল পাতা। শাল (Shorea robusta) হল ডিপ্টেরোকার্পেসিয়ে পরিবারের অন্তর্গত একটি দীর্ঘাকার, পর্ণমোচী প্রকৃতির মূল্যবান গাছ। সংস্কৃত শব্দ 'শাল' (অর্থাৎ ঘর) থেকে এই গাছের নামকরণ হয়েছে। এই গাছ আবার 'শাখুয়া', 'শরাই' প্রভৃতি নামেও পরিচিত। শাল গাছ হিন্দু, জৈন এবং বৌদ্ধদের জন্য অপরিসীম ধর্মীয় গুরুত্ব বহন করে। ভারতীয় উপমহাদেশের একটি স্থানিক উদ্ভিদ প্রজাতি হল শাল এবং ঝাড়গ্রাম জেলায় ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়। জঙ্গলমহল অঞ্চলে শাল প্রধান বৃক্ষ, যার ধর্মীয় গুরুত্বও রয়েছে। শাল গাছ হল সত্যের প্রতীক। শাল গাছের নিচে মারাং বুরু, জাহের ইরা, তান্ডবারো, পিলচু হারাম, পিলচু বুড়ি, সিং বোঙ্গা সহ আদিবাসী জনজাতির ঠাকুর-দেবতার অধিষ্ঠান। প্রাচীন বিশ্বাস অনুসারে, সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য শাল গাছের নিচে শাল ফুল ও শাল পাতা দিয়ে পূজা করা হয়।
ঝাড়গ্রাম জেলা পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন গন্তব্যগুলির মধ্যে একটি এবং ঝাড়গ্রামের শাল জঙ্গল খুব জনপ্রিয়। আমরা যদি ঝাড়গ্রাম জেলার উপগ্রহ চিত্রটি দেখি, তবে দেখতে পাবো অধিকাংশ এলাকাই শাল-প্রধান অরণ্যাঞ্চল। তাই এই জেলার আরেক নাম 'অরণ্য সুন্দরী'। ঝাড়গ্রাম জেলার শাল বনাঞ্চল সংলগ্ন বসবাসকারী ভূমিহীন, প্রান্তিক এবং বন-নির্ভর উপজাতিদের জন্য সারা বছর বন থেকে শাল পাতা সংগ্রহ করা একটি রাজস্ব-উৎপাদনমূলক কার্যক্রম। তবে শুধুমাত্র ঝাড়গ্রাম নয়, জঙ্গলমহলের অন্যান্য জেলাগুলিতেও অরণ্যসংকুল গ্রামীণ জনগণের আয়ের উৎস হল শাল পাতা। ঝাড়গ্রাম জেলার প্রায় ৭০ শতাংশ শাল জঙ্গলের অন্তর্গত। অধিকাংশ প্রান্তিক মানুষ অল্প-স্বল্প চাষাবাদের সঙ্গে শাল পাতার প্লেট তৈরি করে বাড়তি আয়ের প্রচেষ্টা করেন। আর যাদের চাষ করার জন্য জমি নেই, তাদের জন্য একমাত্র ভরসা এই শাল গাছ। একটি শাল পাতার দৈর্ঘ্য ১০-২০ সেমি এবং ১০-১৫ সেমি চওড়া। শাল পাতা আকারে আয়তাকার, গোড়ায় ডিম্বাকৃতি এবং শীর্ষে সরু। পর্ণমোচী শাল গাছের পাতা ফেব্রুয়ারি-মার্চে ঝরে যায়। বেনে ঘাসের কাঠি দিয়ে শাল পাতা সেলাই করে প্লেট তৈরি করা হয়।
ঝাড়গ্রাম জেলার মোট জনসংখ্যা ১১.৩৬ লক্ষ (২০১১ জনগণনা অনুসারে)। শুধুমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলাতে সাড়ে ৬ লক্ষ এবং সারা রাজ্যে প্রায় ৩২ লক্ষ মানুষ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে শাল পাতার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঝাড়গ্রাম জেলায় প্রায় ৮ হাজার স্ব-সহায়ক দল রয়েছে যাঁরা শাল পাতা নিয়ে থালা-বাটি তৈরির কাজ করেন। ২০১৯ সালে মার্চ মাসে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার কর্তৃক প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ঝাড়গ্রামের বাঁদরভুলা মৌজায় ২১ হাজার ৭৫০ বর্গফুট এলাকা জুড়ে নির্মিত তিনতলা শাল ও সাবাই প্রশিক্ষণ ও উৎকর্ষ কেন্দ্র প্রদর্শনশালার উদ্বোধন করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে শাল পাতার গবেষণা থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, জিনিস তৈরি এবং বিক্রির ব্যবস্থা রয়েছে। ঝাড়গ্রামের তৈরি শাল পাতা আন্তর্জাতিক বাজারজাত করার জন্য অনলাইন ট্রেডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ট্রেডমার্ক, লোগো, বারকোডিং সকল প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বনজ সম্পদ শাল পাতা থেকে উৎপাদিত সামগ্রী বিপণনের জন্য 'শাল্বী'র ট্রেডমার্কের উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রতি হাজার শাল পাতার থালার ৭০০ টাকা দামও নির্ধারণ করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ খাদি দপ্তর খড়্গপুর আইআইটির প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে শাল পাতার হস্তশিল্প সামগ্রী এবং বুফেতে খাওয়ার জন্য শাল পাতার থালাকে শক্তপোক্ত করার চেষ্টা করছে। ভারতের বড়ো বড়ো শহরগুলিতে এবং বিদেশের বাজারে প্লাস্টিকের বিকল্প হিসেবে পরিবেশবান্ধব শাল পাতাকে তুলে ধরা হচ্ছে।
ধর্মীয় উৎসব-অনুষ্ঠানে শাল পাতার প্লেটে খাবার পরিবেশন করার প্রচলন রয়েছে। অন্নপ্রাশন-উপনয়ন-বিবাহ এবং শ্রাদ্ধানুষ্ঠানেও শাল পাতার প্লেটে খাবার পরিবেশনের প্রথা একটি বিশুদ্ধ ও উত্তম প্রথা হিসেবে বিবেচিত হয়। প্লাস্টিক আমাদের জীবন দখল করার আগে গ্রামীণ অঞ্চলে শাল পাতা ব্যাপকভাবে খাবার, কাঁচা মাংস এবং মুদির দোকানে মোড়কের কাজে বিশেষভাবে ব্যবহৃত হত। আজও ঝাড়গ্রাম জেলার কিছু গ্রামে এই প্রথা প্রচলিত রয়েছে। শাল গাছ ও শাল পাতাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য মানুষের জীবিকা। ঝাড়গ্রাম জেলার বিস্তীর্ণ বনাঞ্চলে শাল পাতা মা-বোনদের অন্যতম জীবিকা হয়ে উঠেছে। যদিও এটি প্রাচীন অখণ্ড ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় সূত্রে বাঁধা। দৈনন্দিন জীবনে শাল পাতার ব্যবহারিক গুণাগুণ পর্যবেক্ষণ করে তাঁরা একে জীবিকা বানিয়েছেন। মূলত অরণ্যকেন্দ্রিক গ্রামগুলিতে মহিলারা সহজেই পাতা সংগ্রহ করতে পারেন। তাছাড়া বনবিভাগ কর্তৃক গাছকাটা নিষেধ হলেও পাতা সংগ্রহে কোনো আপত্তি নেই। সাধারণত ছোটো শাল গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ করা হয়। তবে অনেকসময়, বড়ো গাছ থেকে আঁকশি ব্যবহার করে পাতা সংগ্রহ করা হয়। কাঁচা শাল পাতা সংগ্রহ থেকে শুরু করে পাতা তৈরির যাবতীয় কাজ মহিলারাই করে থাকেন। এতে সাধারণত পুরুষদের তেমন ভূমিকা নেই। প্রায় সব বয়সের কাজের মেয়েরাই এই জীবিকার সাথে যুক্ত। তবে অবিবাহিত মেয়েরা এবং নববধূরা পাতা আনতে জঙ্গলে যায় না। সাধারণত ৩৫-৫৫ বয়সী মহিলারাই জঙ্গল থেকে শাল পাতা তোলান কাজ করে থাকেন। পাতা বাড়িতে আনার পর দৈনন্দিন কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে বাড়ির সব মেয়েরাই একসাথে বসে পাতা সেলাই করে থাকেন। শাল পাতা তৈরির জন্য কাঁচা শাল পাতা এবং সূক্ষ্ম শক্ত কাঠির প্রয়োজন হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাতা সেলাই বেনে কাঠি ব্যবহার করা হয়।
কাঁচা শাল পাতার গুণমানের ওপর প্লেটের গুণমান নির্ভর করে। পুরু, মাঝারি শক্ত, পরিষ্কার ও চকচকে ভাবযুক্ত কাঁচা শাল পাতা প্লেট তৈরির জন্য উপযুক্ত। কচি পাতা ব্যবহার করলে সেলাইয়ের সময় প্লেটটি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। একদিনে একটি পরিবার গড়ে ১০০-৩০০ পাতা সেলাই করে থাকে। সেলাই করা পাতা হালকা রোদে কয়েকদিন ধরে শুকনো করা হয়। এরপর আধুনিক ডাইস মেশিন দ্বারা শাল পাতার প্লেট তৈরি করা হয়। শাল পাতার থালা-বাটি মহাজনের নিকট বা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়। পাতার চাহিদা এবং জঙ্গলে কাঁচা পাতার জোগানের ওপর শাল পাতার তৈরি প্লেটের মূল্য ওঠানামা করে। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনের মতো শপিং সাইটগুলিতে অনেক বেশি দামে শাল পাতার থালা-বাটি বিক্রি হয়। সে তুলনায় প্রান্তিক এই মানুষজন খুব বেশি দাম পান না। অরণ্য নির্ভর এই কুটির শিল্পকে আরও উন্নত ও লাভজনক করা দরকার। শাল পাতার থালা-বাটি পরিবেশ বান্ধব, যা প্লাস্টিক বা থার্মোকলের থালা-বাটির মতো পরিবেশ দূষণ করে না। বরং শাল পাতা ব্যবহার অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। এই কুটির শিল্প বিপুল সংখ্যক প্রান্তিক মানুষের উপার্জনের উৎস। আমরা প্লাস্টিক/থার্মোকলের পরিবর্তে এই শাল পাতা অধিক হারে ব্যবহার করলে, পরিবেশ দূষণ হ্রাসের পাশাপাশি প্রান্তিক অরণ্যকেন্দ্রিক মানুষদের জীবিকা উন্নততর হবে। আমাদের প্রাচীন সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে শাল পাতা আধুনিক জীবনেও উপযোগী ও ব্যবহার্য। আশা রাখি, আগামী দিনে ঝাড়গ্রামের পরিবেশবান্ধব শাল পাতা দেশবিদেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।
**********************************************
লেখিকাঃ- সোনালী দন্ডপাট (মানিকপাড়া, ঝাড়গ্রাম)
[লেখিকা ডায়মন্ড হারবার মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল স্নাতকোত্তর বিভাগের ছাত্রী]
তথ্যসূত্রঃ- এই সময় ; আনন্দবাজার পত্রিকা ; Wikipedia ; Official Website of Jhargram District / West Bengal ; স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে লেখিকা কর্তৃক সংগৃহীত তথ্য
15/12/2021
অভিনন্দন 💐
10/12/2021
ঝাড়গ্রাম জেলার সাঁকরাইল ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে মমতা হাঁসদা এবার সিনিয়ার মহিলা ফুটবল টিমে খেলার সুযোগ পেয়েছে। ইন্টার ন্যাশনাল টুর্নামেন্টের ১৪ জনের দলের এক অন্যতম সদস্য এই মিডফিল্ডার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নামবে।
Address
Belpahari
Jhargram
721501
Telephone
Website
Alerts
Be the first to know and let us send you an email when বেলপাহাড়ী - Belpahari.in posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Contact The Business
Send a message to বেলপাহাড়ী - Belpahari.in:
Shortcuts
Other Jhargram travel agencies
-
Dubrajpur Village
-
Jhargram
-
721102
-
Amlasole
-
Ranbania
-
Village & Po Garh Salboni
-
721507
-
Aishwarya