20/04/2024
"দূরাদয়শ্চক্রনিভস্য তন্বী তমালতালীবনরাজিনীলা
আভাতি বেলা লবণাম্বুরার্শেদ্ধারানিবদ্ধেব কলঙ্করেখা।।"
লঙ্কা বিজয় সেরে পুষ্পক রথে ভারতবর্ষে প্রবেশরত রামচন্দ্রের চোখ দিয়ে কালিদাসের এই মানস দর্শন। অরণ্যবেষ্টিত সেই বেলাভূমির রূপের ডালি আজও অমলিন, শুধু একবার সামনে গিয়ে দাঁড়ানোর অপেক্ষা - তার সৌন্দর্য্যের হাতছানিতে মন যে মুগ্ধ হবেই তা হলফ করে বলা যায়।
কিন্তু প্রশ্ন হল আজ আমরা কথা বলছি কোন জায়গা নিয়ে? ঠিক ধরেছেন! আজকে আমাদের আলোচ্য গন্তব্য "ঈশ্বরের নিজের দেশ" কেরালা।
পশ্চিমে আরব সাগর আর পূর্বে পশ্চিমঘাট পর্বতমালার বেষ্টনী "চিরসবুজ" রাজ্য কেরালাকে অনিন্দ্য সুন্দর করে তুলেছে। প্রায় ৪৪টি নদী-জাল বেষ্টিত কেরালা রাজ্যটি বহুমূখী ভূ-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যে মোড়া। সুউচ্চ পর্বতশৃঙ্গ, গভীর উপত্যকা থেকে শুরু করে ব্যাকওয়াটার ও সুবিস্তৃত তটভূমি নিয়ে কেরালা রাজ্যের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সীমা নেই। প্রকৃতপক্ষে 'কেরা’ এবং ‘আলআম’ এই দুটি শব্দ নিয়েই হয়েছে 'কেরালা’। 'কেরা' শব্দের অর্থ নারকেল এবং 'আলআম' অর্থ স্থান। অর্থাৎ 'কেরালা' শব্দটির অর্থ দাঁড়ায় 'নারকেলের স্থান'।
কেরালার প্রধান দর্শনীয় জায়গা গুলির মধ্যে রয়েছে কোচিন, মুন্নার, কুমিল্লি (থেক্কেডি), আলেপ্পি, ত্রিভান্দ্রাম ইত্যাদি।
কোচিঃ শুরুটা করা যাক কোচিন বা কোচি দিয়েই। আরব সাগরের রানি কোচিকে আইল্যান্ড সিটিও বলা হয়। ভারতে নোনা জলের দ্বিতীয় বৃহত্তম হ্রদ ভেম্বানাদের ওপর অসংখ্য দ্বীপ নিয়ে তৈরি হয়েছে কোচি। কোচি শহর স্থলপথে অর্থাৎ বাস বা গাড়িতে করে ঘোরাই যায়। তবে আমি বলবো, জলপথে মানে বোটে করে ঘুরলেই অনেক বেশী উপভোগ করবেন। এর্নাকুলাম, যা কিনা কোচি রেল স্টেশনের পোশাকী নাম, সে নামেই কোচির বোট জেটি। তো এর্নাকুলাম বোট জেটি বা ফ্লাই ওভার পেরিয়ে মেরিন ড্রাইভ জেটি থেকে বোটে উঠে পড়তে হবে একেবারে সক্কাল বেলাতেই (জলখাবার সেরে)। কারন বেলা যত বাড়বে, রোদের তেজও তত বাড়বে। এমনিতেই কেরালা দক্ষিন ভারতের অন্যান্য জায়গার মতোই গ্রীষ্মপ্রধান। শীত প্রায় পড়েনা বললেই চলে। তাই কেরালা ভ্রমনের প্রকৃত সময় সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারী। যাইহোক, বোটে উঠেই আপার ডেকে জায়গা খুঁজুন। তাতে সাইট-সিয়িং যেমন ভালো উপভোগ করা যাবে, পাশাপাশি ছবি তোলাও সুবিধাজনক হবে। বোট মূলতঃ দাঁড়াবে ফোর্ট কোচি আর মাতানচেরি তে। বোট থেকে বলগাটি আইল্যান্ড, ভাইপিন আইল্যান্ড, উইলিংডন আইল্যান্ড (পুরোপুরি ম্যান মেড আইল্যান্ড এটি) এসব দেখা যাবে। এরপর একে একে মূল সাইট-সিয়িং শুরু। রোদ চশমা, টুপি ও সানস্ক্রিন লোশন অবশ্যই রাখতে হবে।
#ডাচ_প্যালেসঃ মাতানচেরিতে নেমে প্রথম ঘোরা হবে ডাচ প্যালেস। পনেরোশ শতাব্দীতে কোচিনে পর্তুগিজদের ব্যাপক প্রভাব ছিল। মাতানচেরির এই প্যালেস বর্তমানে জাদুঘর হিসাবে রাখা হয়েছে। এখানে দেখে নিন ভারতবর্ষে পর্তুগিজদের প্রভাব-প্রতিপত্তির নিদর্শন গুলি। টিকিট কেটে উঠে পড়ুন প্যালেসের দোতলায়। ভুল করেও ক্যামেরা বের করতে যাবেন না। ঘোরাঘুরি করবেন ভালো কথা, একটু কেনাকাটাও হতে পারে। প্যালেস থেকে বেরিয়ে দেখুন বাইরেই অ্যান্টিক সব জিনিশপত্রের দোকান, সাথে পাবেন হস্তশিল্প। কেনাকাটা করুন আর না করুন, দামাদামি করুন। এখানে এটাই আনন্দ। খুব অল্পদামের ছোট কিছু কিনলেও খুশী হবে ওরা।
#জিউ_টাউনঃ ভারতীয় বাণিজ্য প্রসারে জিউজ বা ইহুদীদের ভূমিকা ছিল অনন্য। পরবর্তীতে ইহুদীরা ভারত ছেড়ে ইসরায়েলে চলে গেলেও এখনো দেখা মিলবে হাতে গোনা গোটা ১০/১২ জন ইহুদী বৃদ্ধার। কথা বললে বুঝতে পারবেন সংখ্যায় অতি নগণ্য হলেও দেশভক্তিতে ওরা কতটা এগিয়ে। জিউ টাউনের রাস্তায় রয়েছে সব চেয়ে বড় হস্তশিল্প ও অ্যান্টিক সপ্ গুলো। পুরো কোচিনের সব চেয়ে বড় স্পাইস সপ্ বা মশলার দোকান গুলোও ছোট এই জিউ টাউন এরিয়ায়। বর্তমানে জিউ টাউনে অবশিষ্ট থাকা সবচেয়ে বড় আকর্ষন 'পরদেশী সিনাগগ্'। ১৫৫৫ সালে শেষ হওয়া ভারতীয় ইহুদীদের সবচেয়ে পুরানো ধর্মীয় উপাসনালয়।
#সান্তাক্রুজ_ক্যাথিড্রাল_বাসিলিকাঃ সিনাগগ্ থেকে মাত্র আড়াই কিলোমিটার দূরের পথ সান্তাক্রুজ ক্যাথিড্রাল। ফোর্ট কোচি এরিয়ার মধ্যে হওয়ায় টুরিষ্টদের আগমন একটু বেশিই। চার্চের সব চেয়ে আকর্শনীয় জিনিস এর ভেতরের ও বাইরের আর্কিটেকচারাল ডিজাইন। বেলা ১১টার পরে টুরিষ্টদের জন্য উন্মুক্ত। চাইলেই ক্যামেরা নিয়ে ঢুকতে পারেন। ঘোরাঘুরি শেষ করতে হবে প্রার্থনা শুরু হবার পূর্বেই। প্রার্থনায় শরিক হবার ইচ্ছে থাকলে নিশ্চুপ বসে পড়ুন। যে ধর্মেরই হোন না কেন, বেশ একটা 'হোলি' ভাব পাবেন। উৎসুকরা চাইলে ঘুরে আসতে পারেন পাশেই তিরুমালা আশ্রমে।
যাক, এই হোলি হোলি ভাব কাটিয়ে উঠতে চেখে নিন স্পাইসি কোন স্ট্রিট্ ফুড্ আইটেম। যেহেতু লিমিটেড টাইম, তাই এগুলো ঘুরে দেখতে কোন ভাবেই বেলা বারোটা বা সাড়ে বারোটার বেশি লাগাবেন না। প্রথম দিন বিকেলে নিজেদের মতো ঘুরে নিতে পারেন লুলু হাইপার মল বা মেরিন ড্রাইভ ওয়াকওয়ে।
মুন্নারঃ পরবর্তী গন্তব্য মুন্নার। কোচি হোটেলে লাঞ্চ সেরেই বেরিয়ে পড়তে হবে। সাধারণত ৪/৪.৫ ঘন্টা লাগে।
হয়তো মুন্নারের জন্যই কেরালাকে God’s Own Country বা 'ঈশ্বরের নিজের দেশ' বলা হয়। সৃষ্টিকর্তা প্রকৃতির সব অপরূপ সৌন্দর্য যেন মুন্নারে ঢেলে দিয়েছেন। যে ভাষাতেই মুন্নারের সৌন্দর্য বর্ননা করিনা কেন, তা কম মনে হবে। মুথিরাপুঝা, নাল্লাথান্নি এবং কুন্ডলা - এই তিন নদীর সঙ্গমস্থলে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত মুন্নার শহরটি ছিল তদানীন্তন দক্ষিণ ভারতের ব্রিটিশ শাসকদের গ্রীষ্মকালীন ঘাঁটি।
বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে চা বাগান, ঔপনিবেশিকদের সব বাংলো, ছোট ছোট নদী, জলপ্রপাত এবং শীতল আবহাওয়া, এই সবই এ অঞ্চলের বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও ট্রেকিং ও মাউন্টেন হাইকিংয়ের জন্য এটি একটি উপযুক্ত স্থান।
মুন্নার ঠান্ডার জায়গা। এখানে দুদিন থাকা।
মুন্নারে যে জিনিসটি আগে দেখবেন তা হল টি মিউজিয়াম। শহরের অদূরেই আড়াই কিমি দুরত্বে মুন্নারের সবচেয়ে বড় এই টি মিউজিয়ামটি ব্রিটিশ আমলে প্রতিষ্ঠিত। আশপাশের সব ধরনের চা পাতা এখানে প্রক্রিয়াজাত করা হয়। পুরো মিউজিয়াম ও ফ্যাক্টরি ঘুরে দেখতে পারেন। হ্যাঁ, ছবিও তুলতে পারেন। এর জন্য এক্সট্রা পে করতে হবে। ভিডিও করা নিষেধ। যদিও ডিএসএলআরের কল্যানে অনেকেই তা করছে। তবে ধরা পড়লে ডিলিট্ করতে হবে।
দ্বিতীয় দিন সকালে বেরিয়ে আমরা প্রথমে যাবো মাট্টুপেডি ড্যাম। ভাবছেন ড্যামের কি দেখবেন? দেখবেন তো ড্যাম লেক, তাও আবার স্পিড্ বোটে। অনিন্দ্য সুন্দর এই লেক শহরের কোলাহলে অভ্যস্থ কান দুটিকে একটু স্বস্তি এনে দেবে। পাঁচ ছয়জন মিলে বোট ভাড়া করে ঘুরে আসুন লেকের এমাথা থেকে ওমাথা অবধি। পাঁচশো টাকায় আধঘণ্টা চড়তে পারবেন।
মাট্টুপেডি ড্যাম থেকে আরও এগিয়ে ইকো পয়েন্ট। এখানেও বোটিং-এর ব্যবস্থা আছে। লেকের এপ্রান্ত থেকে চেঁচিয়ে কিছু বললে তা ইকো হয়ে ফেরত আসবে।
আরও কিছুটা এগিয়ে টপ ষ্টেশন। মুন্নারের সব চেয়ে আকর্শনীয় এই সাইটটি শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিমি দূরে তামিলনাড়ু বর্ডারের দিকে। এলিফ্যান্ট ট্রেনিং সেন্টার থেকে এদিকে আসার রাস্তা রয়েছে। টপ্ স্টেশন পাহাড়ের এমন এক জায়গা, যেখানে আপনি চাইলেই মেঘ ধরতে পারবেন। এখানে দেখা মিলবে নিলা কুরিঞ্জি ফুলগাছের, যা প্রতি বারো বছরে মাত্র একবার ফোটে। যদিও সেই ২০৩০ সালে আবার নিলা কুরিঞ্জির দেখা পাওয়া যাবে। তখন বিদেশী পর্যটকরা মুন্নারে ভিড় করবে নিলা কুরিঞ্জির নিল গালিচায় মোড়া মুন্নারের অপরূপ সৌন্দর্য্য চেটে পুটে নেবার জন্য।
কেনাকাটা: মুন্নারের হোম মেড চকোলেট আর চা অবশ্যই কিনবেন।
কুমিলি/থেক্কেডিঃ
থেক্কেডি শব্দটি শুনলেই যেন হাতির পাল, অসংখ্য পাহাড়ের সারি এবং সুগন্ধে ভরপুর মশলার বাগানের ছবি চোখের সামনে এসে হাজির হয়। থেক্কেডির পেরিয়ার বনাঞ্চলে রয়েছে ভারতবর্ষের অন্যতম শ্রেষ্ঠ এক অভয়ারণ্য। সমুদ্রতল থেকে হাজার তিনেক ফুট উচ্চতায় অবস্থিত এই অভয়ারণ্যের প্রধান বাসিন্দা হাতি। রয়েছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, সাদা বাঘ, গাউর, সম্ভর, বাইসন এবং আরও অনেক প্রজাতির প্রাণী। পেরিয়ার লেকে বোটে করে ঘণ্টা দুয়েকের সাফারিতে সৌভাগ্য হলে নজরে পড়তে পারে অভয়ারণ্যের প্রাণীকুল।
থেক্কেডি-কুমিলি অঞ্চল মশলার স্বর্গরাজ্য। চা-কফি ছাড়াও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মশলাবাগান।
এখানেও দু রাত থাকবো আমরা। থেক্কেডি থেকে অবশ্যই ঘণ্টা খানেকের এই প্ল্যান্টেশন ট্যুর করানো হবে। আর সন্ধ্যেয় উপভোগ করতে পারেন কথাকলী ডান্স ও মার্শাল আর্ট প্রোগ্রাম।
আলেপ্পিঃ
ব্যাক-ওয়াটার বা খাঁড়ির শহর আলেপ্পি বা আলাপুঝা 'প্রাচ্যের ভেনিস' হিসেবে পরিচিত।
কুমিলি থেকে বেরিয়ে নেডিমুডি বলে একটা জায়গা থেকে আমরা উঠে পড়বো বোটে/লঞ্চে। শুরু হবে আলেপ্পি পর্যন্ত ৪/৫ ঘন্টার ব্যাক ওয়াটার ক্রুজ। সে এক অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা।
আলেপ্পি পৌঁছে বিকেলে দেখে নিতে পারেন আলেপ্পি সমুদ্র সৈকত। এখানে রয়েছে লাইট হাউস, ১৮৬২ সালের তৈরি। প্রতি সোম থেকে শুক্রবার বিকেল তিনটা থেকে সাড়ে চারটা পর্যন্ত পর্যটকরা লাইটহাউসের ভেতরে যেতে পারেন।
তিরুবনন্তপুরমঃ
পরের গন্তব্য রাজধানী তিরুবনন্তপুরম। এখানে এক রাত থাকবো আমরা।
সকালে হোটেল চেক আউট করে দেখতে যাবো পদ্মনাভস্বামী মন্দির। তিরুবনন্তপুরম স্টেশনের কাছেই পদ্মনাভস্বামী মন্দিরটি অবস্থিত। ভারতের সবচেয়ে ধণী মন্দির। দ্রাবিড় শৈলীতে তৈরি এই মন্দিরে অধিষ্ঠিত দেবতা বিষ্ণু। মহিলাদের শাড়ি এবং পুরুষদের ধূতি অবশ্য পরিধেয়।
এরপর যাবো কোভালাম বীচ। তিরুবনন্তপুরম থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরত্বে কোভালাম বীচ অবস্থিত। কোভালাম একটি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সমুদ্র সৈকত, যেখানে লাগোয়া তিনটি অর্ধচন্দ্রাকার সৈকতভূমি রয়েছে। কোভালাম সেই ১৯৩০-এর দশক থেকেই পর্যটকদের প্রিয় বিচরণ ক্ষেত্র হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে, বিশেষত ইউরোপীয়দের কাছে। এই সৈকতে একটি ভীমকায় পাথুরে শৈলান্তরিপ রয়েছে যা একে সমুদ্রস্নানের পক্ষে আদর্শ একটি শান্ত-স্নিগ্ধ সৈকতের রূপদান করেছে।
কোভালাম থেকে মাত্র কয়েক কিমি দূরেই অবস্থিত পুভার। তামিলনাড়ু চেক পোষ্টের কাছেই। পুভার পর্যটকদের কাছে এখনও সেভাবে পরিচিতি পায়নি। প্রাইভেট্ স্পীড্ বোটে খাঁড়ি পথে ঘুরে নিতে পারেন পুভার গোল্ডেন বীচ, নেইয়ার নদী, অ্যানাকোন্ডা ফরেস্ট, ডিভাইন প্লেস বা এলিফ্যান্ট রক্। আরব সাগরের সী-মাউথ দেখতে পাবেন আর পাবেন অসংখ্য পরিযায়ী পাখি। এক কথায় 'ফোটোগ্রাফারস্ প্যারাডাইস'।
আমরা কেরালার সঙ্গে কণ্যাকুমারী টাও ঘোরাবো।
তাই পরবর্তী গন্তব্য কণ্যাকুমারী।
এখানেও দু রাত থাকা। প্রধাণ আকর্ষণ বিবেকানন্দ রক, থিরুভাল্লুভার স্ট্যাচু, ভগবতী আম্মান মন্দির, সুচিন্দ্রম থানুমালায়ান স্বামী মন্দির, কণ্যাকুমারী বীচ, গান্ধী মন্ডপম, ত্রিবেণী সঙ্গম, ওয়াক্স মিউজিয়াম, চার্চ, সানসেট পয়েন্ট ইত্যাদি।
মোট ১৪ দিনের প্যাকেজ। এসি গাড়ি ও এসি হোটেল (মুন্নার - কুমিলি বাদে)। নিজস্ব কেটারিং স্টাফ ও অভিজ্ঞ ট্যুর লিডার/ম্যানেজার তো থাকছেই আপনাদের পরিষেবা প্রদানের জন্য।
তাহলে Sweet Happy Journey-র সঙ্গে ঈশ্বরের নিজের দেশে কবে যাচ্ছেন?
যোগাযোগ করুন আজই। বুকিং চলছে।
ফোন নম্বর : 9073661975 / 9007198305 / 6290164062 / 033 2414 5040