Gramer Golpo

Gramer Golpo 'গ্রামে ঘুরুন গ্রামকে ভালোবাসুন'
(1)

গ্রামের পুজো পরিক্রমা ❤️গ্রামের গল্পের তরফ থেকে আমাদের সমস্ত বন্ধুদের জন্য থাকছে নতুন চমক ―নবমীর পূণ্য তিথিতে সকলে মিলে ...
14/10/2023

গ্রামের পুজো পরিক্রমা ❤️

গ্রামের গল্পের তরফ থেকে আমাদের সমস্ত বন্ধুদের জন্য থাকছে নতুন চমক ―

নবমীর পূণ্য তিথিতে সকলে মিলে দশঘরা গ্রামের বিভিন্ন বনেদি বাড়ির প্রতিমা দর্শন। ঠিক সকাল ৮টায় যাদবপুর থেকে এসি গাড়িতে যাতায়াত আর ব্রেকফাস্ট ও লাঞ্চে ভুরিভোজের ব্যবস্থা তো থাকছেই। এছাড়া থাকছে ― বিভিন্ন সদস্যদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা - গল্প - হইচই- ছবি তোলা দেদার মজা। সঙ্গে উপরি পাওনা হিসাবে পেয়ে যাবো কাশফুলের মনমাতানো সমারোহ, দিগন্ত বিস্তৃত চোখ জুড়ানো সবুজ ধানের মাঠ।
তাহলে আর দেরি কেন, চটপট যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে নিম্নলিখিত নম্বরে। দেখা হচ্ছে নবমীতে।
যোগাযোগঃ
শুভজিৎ চন্দ - 7003131362
হুঁকোমুখো হ্যাংলা - 7278447070

সবুজ দ্বীপ 💚   কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে বেহুলা ও হুগলি নদীর সংযোগস্থলে রয়েছে এক চর, নাম সবুজ দ্বীপ। হাওড়া থেকে কা...
10/10/2023

সবুজ দ্বীপ 💚

কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে বেহুলা ও হুগলি নদীর সংযোগস্থলে রয়েছে এক চর, নাম সবুজ দ্বীপ। হাওড়া থেকে কাটোয়া লোকাল ধরে সোমরা বাজার স্টেশনে নেমে টোটো করে ফেরি ঘাট তারপর নৌকা নিয়ে সবুজ দ্বীপ। এক কথায় বলা যায় সবুজ দ্বীপ হলো পাখির দেশ এই ছোট্ট দ্বীপে ওরা শান্তি তে বাস করে জলের মাঝে একটা ছোট্ট দ্বীপ তার চারপাশে সবুজে ঘেরা সেটা আবার যদি হয় পাখির দেশ তাহলে কি কারো আর গিয়ে ফিরে আসতে ইচ্ছা করে!
সবুজ দ্বীপ, হুগলি

চিত্র ও লিখন: Sagar Bose

কাশফুলের শোভা।।ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে কাশফুলের শোভা। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক  লীলাভূমি।বর্ষার জলে পুষ্ট ময়ূরাক...
27/09/2023

কাশফুলের শোভা।।

ময়ূরাক্ষী নদীর তীরে কাশফুলের শোভা। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমি।বর্ষার জলে পুষ্ট ময়ূরাক্ষী নদী, তখন তার রূপ ধারণ ভয়াবহ। কিন্তু শরতের নীল আকাশের সঙ্গে সঙ্গে নদীর দুই তীর ও মধ্যবতী জায়গায় শুধুমাত্র এই কাশফুলের দিগন্ত বিস্তৃত সাম্রাজ্য।। যার মুগ্ধতায় ভর করে এই ছবি গুলো তোলা।।

পাঁচথুপী, মুর্শিদাবাদ

লিখন ও চিত্রগ্রহণ:- Samrat Pal

শরতের শান্ত দুপুর ❤️আমাদপুর, বর্ধমানচিত্রগ্রহণ: Papia Sen
26/09/2023

শরতের শান্ত দুপুর ❤️
আমাদপুর, বর্ধমান

চিত্রগ্রহণ: Papia Sen

করম পরব 🌿🌿🌿পুরুলিয়ার করম পরব...বাংলার এক আদিম লৌকিক উৎসব। ভাদ্র মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে পালন করা হয় এই উৎসব। মূলত ক...
23/09/2023

করম পরব 🌿🌿🌿

পুরুলিয়ার করম পরব...বাংলার এক আদিম লৌকিক উৎসব। ভাদ্র মাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে পালন করা হয় এই উৎসব। মূলত করম কথাটির অর্থ 'কর্ম '। কৃষিজ অঞ্চলে মানুষের কাছে কৃষি আর তার থেকে উৎপাদিত ফসলই দেবতার মতো। তাই নতুন শস্য ফলনের আশায় এই উৎসবে মেয়েরা সারাদিন উপবাসী হয়ে নতুন শস্যের চারার ডালি সাজিয়ে নাচে গানে আকুতি জানান দেবতার কাছে। প্রার্থনা একটাই, সারাবছর যেন সবার ঘরে, ধানের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। ❤️

চিত্র ও লিখন: Shrabanti Brishti Maitra

পাল্লা ❤️এই নদীর সাথে গ্রামের সাথে আমার আলাপ বছর সাতেক আগে। আলাপ কি ভাবে? না কাশ ফুল খুঁজতে গিয়ে! কলকাতা থেকে এর দূরত্ব...
21/09/2023

পাল্লা ❤️

এই নদীর সাথে গ্রামের সাথে আমার আলাপ বছর সাতেক আগে। আলাপ কি ভাবে? না কাশ ফুল খুঁজতে গিয়ে! কলকাতা থেকে এর দূরত্ব নেহাত কম নয়, কাটায় কাটায় ১০০ কিলোমিটার। একবার গিয়ে উপস্থিত না হলে এই জায়গার সৌন্দর্য বলে বোঝানো মুশকিল। শরতে ভ্রমনের সেরা ঠিকানা। একবার যেতেই পারেন এই কাশ ফুলের রাজ্যে।

পথ নির্দেশ:- হাওড়া থেকে বর্ধমান কড লোকাল ধরে যেতে হবে "পাল্লারোড" স্টেশন, অথবা হাওড়া থেকে বর্ধমান যাওয়ার যেকোনো ট্রেনে উঠে নামতে হবে "রসুলপুর", সেখান থেকে টোটো করে যাওয়া যাবে পাল্লারোড।
পাল্লা, বর্ধমান

লেখা ও চিত্র: Subhajit Chanda

ঘাটশিলা ❤️  বুরুডি ড্যাম, গালুডি ব্যারেজ, ধারাগিরির বাইরে গিয়ে ঘাটশিলার আনাচে কানাচে অবস্থিত গ্রামেরই কিছু ঝলক।  চিত্র ...
20/09/2023

ঘাটশিলা ❤️


বুরুডি ড্যাম, গালুডি ব্যারেজ, ধারাগিরির বাইরে গিয়ে ঘাটশিলার আনাচে কানাচে অবস্থিত গ্রামেরই কিছু ঝলক।

চিত্র ও লেখন: Sudipto Patra

কাশফুলের দিনগুলো ❤️  কি!! এবার পুজো আসছে বলে মনে হচ্ছে তো?? ওই যে কাশফুল দেখা যাচ্ছে....😊 সত্যি বলতে পুজো আসার আগে এই মু...
13/09/2023

কাশফুলের দিনগুলো ❤️


কি!! এবার পুজো আসছে বলে মনে হচ্ছে তো?? ওই যে কাশফুল দেখা যাচ্ছে....😊 সত্যি বলতে পুজো আসার আগে এই মুহূর্তটা আমার দারুন লাগে। আসলে এই সময় থেকেই আমার ছবি তোলা শুরু। তাই যতবার এই এই সময়টা আসে ততবারই আমার ওই পুরোনো দিনের কথাগুলো মনে পড়ে যায়। সেই নতুন কেনা ফোন নিয়ে বেরিয়ে পড়া, পাগলের মত চারদিকে ঘোরাঘুরি করা.. সবকটা মুহূর্ত আবার জিবন্ত হয়ে যায় 😊

ঠিকানা - জায়গাটা আমার বাড়ির পাশেই, গিধনী স্টেশন থেকে পড়িহাটি যাওয়ার রাস্তায় পড়ে। ঝাড়গ্রাম।

চিত্র ও লেখায়: ভব ঘুরে

তেলকুপি ❤️  লাল মেঠো পথ , ছোট ছোট সাজানো গ্রাম , জল ডুবডুবে দীঘিতে চান করতে আসা মানুষজন , গ্রামঘরের উঠোনে খেলে বেড়ানো শি...
10/09/2023

তেলকুপি ❤️


লাল মেঠো পথ , ছোট ছোট সাজানো গ্রাম , জল ডুবডুবে দীঘিতে চান করতে আসা মানুষজন , গ্রামঘরের উঠোনে খেলে বেড়ানো শিশুর দল , ফাঁকা মাঠে চড়ে বেড়ানো গরু আর ছাগলের পাল , পলাশ আর আকাশমণির জঙ্গল পেরিয়ে দামোদর নদীর ঘাট .... সেখানে নদীকে আগলে রেখেছে দুটি জীর্ণ জৈন মন্দির ..... এ মন্দিরে বিগ্রহ নেই .... ভরা বর্ষায় নদীর জলের নীচে তলিয়ে যায় মন্দিরের চূড়ো .... বর্ষার পর থেকে জল নামতে থাকলে একটু একটু করে জেগে ওঠে মন্দির .... মন্দিরের বিগ্রহগুলো তাই স্থান পেয়েছে ওপারের কোনো মন্দিরে .... খাঁ খাঁ গরমে দুটো একটা মাছ ধরা জেলে নৌকো আর তাদের মাঝি , মহিষ চড়াতে আসা সাঁওতাল বুড়ো , পানকৌড়ি আর কিছু বক ছাড়া কারো দেখা মেলে না ....

তেলকুপি , পুরুলিয়া .....

চিত্র ও লেখনি: Prity Roy

বাংলার গ্রাম্য ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিপুরুলিয়ার ছৌঁ নাচ  চিত্র গ্রহণ: Sumit Chatterjee
04/09/2023

বাংলার গ্রাম্য ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি
পুরুলিয়ার ছৌঁ নাচ


চিত্র গ্রহণ: Sumit Chatterjee

কালিনগর ঘাট  মথুরাপুর গঙ্গা তীর ধরে উদয় গঞ্জ অভিমুখেমাত্র চার কিমি দূরে বর্ধমানের কালিনগর ঘাট,গঙ্গা এই জায়গায় বিস্তার...
30/08/2023

কালিনগর ঘাট


মথুরাপুর গঙ্গা তীর ধরে উদয় গঞ্জ অভিমুখে
মাত্র চার কিমি দূরে বর্ধমানের কালিনগর ঘাট,
গঙ্গা এই জায়গায় বিস্তার ও বৈচিত্রে অনন্য।

চিত্র: Md Abdullah

বনেদি বাড়ীর দূর্গা পুজো ❤️  কোলকাতার কাছে গ্রাম বাংলার অন্যতম তিনটি পুরোনো বনেদী বাড়ি বা রাজবাড়ীর দূর্গা পূজোর সন্ধান...
29/08/2023

বনেদি বাড়ীর দূর্গা পুজো ❤️


কোলকাতার কাছে গ্রাম বাংলার অন্যতম তিনটি পুরোনো বনেদী বাড়ি বা রাজবাড়ীর দূর্গা পূজোর সন্ধান। প্রতিটা পুজোই কম বেশী প্রায় ৩০০ বছরের পুরানো।

১. কালিকাপুর রাজবাড়ি 🌿

এই কালিকাপুর বর্ধমানের পানাগড় বা আউশ গ্রামের কাছে অবস্থিত। এই বাড়ির পুজো প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ বছরের পুরানো। এখানে নবমীর দিন খাওয়া দাওয়া হয়। এই রাজবাড়ীর কেয়ার টেকার এর নম্বর - ৬২৯৫৩৫৪৩৪৯। ভোগ খেতে চাইলে এই নম্বর এ যোগাযোগ করতে পারেন।

2. সূরুল রাজবাড়ি 🌿

বোলপুর শহরের কাছে সুরুল রাজবাড়ীর পুজোও প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ বছরের পুরানো।কালিকাপুর রাজবাড়ি থেকে এই রাজবাড়ীর দূরত্ব প্রায় ২০ কিমি।

3. চোঙ্গদার জমিদার বাড়ি 🌿

এই জমিদার বাড়ি বর্ধমানের গুসকরায় অবস্থিত। শোনো যায় এই জমিদার বাড়ির পুজো শেরশাহের আমলে প্রচলিত হয়েছিল।

কীভাবে আসবেন 👇

যদি নিজেদের বাইক অথবা গাড়িতে আসেন তবে কোলকাতা থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেস ধরে প্রথমে আসুন পানাগড়। পানাগড় থেকে মোরগ্রামের রাস্তা ধরে প্রথমে আসুন কালিকাপুর রাজবাড়ি। তারপর ওখান থেকে সুরুল রাজবাড়ি। তারপর শুরুর রাজবাড়ি থেকে গুসকরার চোঙদার বাড়ি। তারপর বাড়ি।

যারা ট্রেনে আসবেন তাদের জন্য 👇
প্রথমে হাওড়া থেকে সকাল সকাল বোলপুরগামী গণদেবতা এক্সপ্রেস ধরুন। বোলপুরে নেমে টোটো অটো গাড়ি ভাড়া করুন। তারপর সোজা চলে আসুন সুরুল রাজবাড়ি। সুরুল রাজবাড়ি থেকে চলে আসুন কালিকাপুর রাজবাড়ী। কালিকাপুর রাজবাড়ীতে পুজো দেখে তারপর আউসগ্রাম হয়ে চলে আসুন গুসকরার চোঙদার বাড়ি । গুসকরার চোঙদার বাড়িতে পুজো দেখার পর গুসকরা রেলওয়ে স্টেশন থেকে হাওড়া গামী বা বর্ধমান গামী ট্রেন ধরুন।

আরও বনেদী বাড়ির পূজোর খোঁজ নিয়ে আসছি সাথে থাকুন ❤️

চিত্র ও লিখন:- Goutam Das

খেপলা জালে মাছ ধরার কিছু মুহূর্ত ❤️পশ্চিম মেদিনীপুর, গড়বেতা  চিত্রগ্রহণ: Anirban Pan
29/08/2023

খেপলা জালে মাছ ধরার কিছু মুহূর্ত ❤️
পশ্চিম মেদিনীপুর, গড়বেতা


চিত্রগ্রহণ: Anirban Pan

~ কাশবনের দুগ্গা ~শরতে আগমনী বার্তা  জীবনপুর গ্রামের ছোট্ট মেয়ে উমা। তার বাবা ভোলানাথ, ভোলা নামেই পরিচিত গাঁয়ের পাঁচজনের...
28/08/2023

~ কাশবনের দুগ্গা ~
শরতে আগমনী বার্তা


জীবনপুর গ্রামের ছোট্ট মেয়ে উমা। তার বাবা ভোলানাথ, ভোলা নামেই পরিচিত গাঁয়ের পাঁচজনের কাছে। ভোলা ক্ষেতমজুর। তবে নিজের জমি নাই। নেশার চক্করে আজ শিকেয় উঠেছে তার কাজকম্ম। আর উমার মা গ্রামের নিতান্তই নিরক্ষর সাদাসিধা এক বউ। সংসারে তাদের এখন নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। ঋণ-ও হয়েছে বেশ খানিক। দক্ষিণা না দিতে পারায় এবছরের শুরুতেই পাঠশালা থেকে উমা হয়েছে বরখাস্ত। প্রথম প্রথম রোজ মা-কে জিজ্ঞাসা করত পাঠাশালার কথা, কিন্তু অপারক মা এর নিশ্চুপ মুখ দেখতে দেখতে এখন আর সেই প্রশ্নে যায়না সে। পাঠশালার আশেপাশে হাতে একটা বাঁশের কঞ্চি নিয়ে ঘুরে ঘুরে বেড়ায় আদুল পায়ে। কিন্তু ভিতরে যাওয়ার অনুমতি নাই তার। তাই এ-পাড়া সে পাড়া, খাজাঞ্চি খানার সামনের পুকুর পাড়, দামোদরের মরা-চড়ে কিম্বা গ্রামের বিশু রাখালের সাথে তেঁতুলতলার মাঠে ঘুরে ঘুরে দিন কাটে তার। সময়ক্রমে সমবয়সী আরো কিছু বন্ধু জোটে তার। তাদের বাড়িতেও অভাবের কালো মেঘ। আধপেটা হয়ে ঘুরে বেরানো কিম্বা লোকে তাড়ানোর অকৃপণ অভিসম্পাত যেন বিধাতা এই সব ফুটফুটে মুখ গুলোর জন্য লিখেছে খুব যত্ন করে।
এমনি ভাবে যায় দিন......
এভাবেই সময়ের কালচক্রে, বর্ষাস্নাত প্রকৃতির বুকে সাম্রাজ্য জয় করার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় শরৎ। তার সৌন্দর্য পরশে সমৃদ্ধ হয় বসুন্ধরা..ববর্ষণসিক্ত মাটির বুকে খোলা হাওয়াতে দুলে ওঠে কাশের সারি। জমিদার বাড়িতে রথের দিন কাঠামো পুজোর পরে এখন দো-মাটির কাজ চলছে। সূর্যের সোনাঝরা আভায় দামোদরের চড়ের বালি করে ওঠে চকচক। আর সেই বালির বুকে কাশের গোছা মাথা দুলিয়ে দুহাত ভরে যেন সূর্যকে করে আলিঙ্গন। আধপেটা সেই ছোট ছোট মুখেরা ঘুরে বেরায় এখন সেই কাশের বনে। উমা এখন তাদের দলের মাথা। প্রকৃতির এই অপার সৌন্দর্যে বিহ্বল হয়ে ছোট ছোট দুটো চোখে প্রাণ ভরে দেখে নেয় যেন সব কিছু। আধপেটা খিদেও ভুলতে পারে কিছুক্ষণ এই সৌন্দর্যের দিকে তাকিয়ে। এটাই হয়ত এই শরতের অপার মহিমা। ছোটছোট ছেলেমেয়ে গুলো সারাদিন হাঁ-করে দেখে জমিদার বাড়ির দুর্গা দালানের ঠাকুরের কাজ। ওদের ভারি মজা এই চেয়ে থাকাতে, এই অপেক্ষাতে....কিসের অপেক্ষা? পুজোর পাঁচদিন জমিদার বাড়ি থেকে বালক ভোজন করায় যে। মণ্ডা-মিঠাই, চাল-কলায় পেট ভড়বে যে তাদের এই ক'টাদিন। নতুন জামা নাই জুটুক, পেটের জ্বালা হবে নিবারণ। আলোতে ভরবে জমিদার বাড়ির উঠোন আর সেই আলোর কিছু কণাও এই পাঁচদিন তাদের জন্য হবে আশীর্বাদ স্বরূপ।
শুধু প্রকৃতির মাঝে অপার সৌন্দর্যই নয়, দুমুঠো খেতে পাওয়ার আর্তিও যেন মিশে থাকে এই ঋতুর বুকে...উমার দুচোখে...।
শিউলি মাখানো সুবাস বা কাশের বনের হিল্লোলে উচ্চারিত হয় মহামন্ত্রধ্বনি -
" যা দেবী সর্বভূতেষু ক্ষুধা রূপেণ সংস্থিতা.."

ছবি ও লিখন: শুভজিৎ দে

গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজো ❤️পুরুলে (পূর্ব বর্ধমান)  আমার আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খুব ছোট্ট একটা গ্রামে, নাম ছোট পুরুলিয...
27/08/2023

গ্রামের বাড়ির দুর্গাপুজো ❤️
পুরুলে (পূর্ব বর্ধমান)


আমার আদি বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের খুব ছোট্ট একটা গ্রামে, নাম ছোট পুরুলিয়া। এতই ছোট যে তার নামের আগে ছোট শব্দটা ব্যবহার করা হয়েছে। এই গ্রামটির সাথে পুরুলিয়া জেলার কিন্তু কোন সম্পর্ক নেই।
কর্মসূত্রে আমার ঠাকুরদাদা কলকাতা চলে এসেছিলেন বলে আমাদের গ্রামের বাড়ি যাওয়াটা বিয়ে পৈতে আর পূজা পার্বণ এর মধ্যে দিয়েই টিকে আছে। খুব ছোটবেলায় অবশ্য গরমের ছুটিতেও যেতাম। আমার ছোট দাদুর পরিবার এই গ্রামের বাড়িতেই থাকেন এবং চাষবাসের দেখাশুনা করেন। যদিও ছোট দাদু মারা গেছেন আজ বেশ কবছর হলো। আজকে সেই দুর্গা পুজোর সময় দেশের বাড়ি যাওয়ার গল্প শোনাই ।
এই গল্পের মূল প্রেক্ষাপটটা ১৯৯৭-৯৮ সময়কালের। তবে নিচের ছবিগুলো কিন্তু অত পুরোনো নয়। সেই সময় আমাদের কলকাতার বাড়িতে টেলিফোন ছিল না। আর দেশের বাড়িতে টেলিফোন তো দূরের কথা বিদ্যুৎ সংযোগই ছিল না। দুর্গাপুজোর একমাস আগে একটা চিঠি যেত গ্রামের বাড়িতে, অমুক দিন অমুক সময় স্টেশনে যেন গাড়ি থাকে, মানে গরুর গাড়ি আর কি। আরও একটা কি দুটো চিঠি যেত কলকাতারই বাকি আত্মীয়দের বাড়িতে, জানানো হতো যাওয়ার দিনক্ষণ । চিঠি পৌছবে ধরে নিয়েই নির্ধারিত দিনে আলো ফোটার আগে নিয়ে বেরিয়ে পড়তাম।খিদিরপুর থেকে প্রিন্সেপ ঘাট বাবুঘাট হয়ে গঙ্গার হাওয়া খেতে খেতে আপাত বিরল ট্যাক্সির বিলাসিতা উপভোগ করতে করতে হাওড়া স্টেশন পৌঁছে যেতাম।
মা যেত টিকিট কাটতে তার কারণ মহিলাদের লাইনটা ছোট থাকতো। আর বাকিরা বাবার নেতৃত্বে লট বহর নিয়ে ট্রেনের সিট ধরতে যেতাম। এই সিট বাছার কাজটা খুব সহজ ছিল না। কোনদিকে রোদ্দুর পড়বে, জানলার ছিটকিনি আর জানলা দুটোই কাজ করছে কিনা, চিরুনির সাহায্য ছাড়া পাখা চলছে কিনা, বেশিরভাগ স্টেশনে বগির সামনে খাবার জলের কলটা পড়বে কি পড়বে না এইরকম কত কি মাথায় রাখতে হতো। আমাদের বড় দলের বাকি সদস্যরা স্টেশনে এসে একত্রিত হতো। হাতে প্রচুর সময় রেখে বেরোনোর পরেও প্রত্যেকবারই ট্রেন ছাড়ার সময় একটা মারাত্মক হুড়োহুড়ি চলত। কেউ হয়তো এসে পৌঁছয়নি বা কেউ বগি খুঁজে পাচ্ছে না কিংবা কারো হয়তো টিকিট কাটা হয়নি। এইসব এর পরেও ঠিক ৬:৩৬ এ লাল রংয়ের আজিমগঞ্জ প্যাসেঞ্জার দুলে উঠতো সবাইকে নিয়ে , মা ঠাকুমার হাতটা জোড়া করে কপালে ঠেকত।
ট্রেন ছাড়ার পাঁচ মিনিটের মধ্যে চোখে হাওয়া লাগতেই ঘুমিয়ে পড়তাম, খুব ভোরে ওঠার ফল আর কি। ঘুম ভাঙতো ব্যান্ডেল স্টেশনের কোলাহলে। শহরতলী পার করে ট্রেন তখন ধান ক্ষেতের মধ্যে পড়বো পড়বো। কুন্তীঘাট এ নদীটা দেখতে পাওয়া, রকমারি স্টেশনের নাম চটজলদি পড়তে পারি কিনা, কাছের ইলেকট্রিক পোস্টগুলো কেন তাড়াতাড়ি সরে যাচ্ছে আর দূরের গাছগুলো কেন আস্তে আস্তে যাচ্ছে এইসব সাত পাঁচ দেখতে দেখতে আর ভাবতে ভাবতেই মিষ্টি ওয়ালা এসে যেত। সে এক জম্পেশ বাঁধাধরা লোক ছিল। সে জানতো পুজোর ঠিক আগের শনি-রবিবার কিংবা পঞ্চমীর দিন এই ট্রেনে আমরা থাকবোই । ট্রেনে ওঠা হরেক রকম খাবারের মধ্যে এই মিষ্টি আর বড়জোর বাদাম আমাদের খেতে দিত। খাওয়ার পরে ডালডার টিন কেটে বানানো অদ্ভুত দর্শন জলের জগ থেকে মিল্টনের বোতলে জল ভরে নেওয়া হতো। স্টেশনের ছাপোষা কল থেকেও নির্দ্বিধায় জল ভরে খাওয়া হতো। কল গুলো এখনো আছে তবে জলটা আমরা সবাই প্রায় কিনেই খাই।
অতঃপর প্রায় বারোটা নাগাদ আমরা কাটোয়ায় পৌছাতাম। এখানে ডিজেল ইঞ্জিন বদলে কয়লার ইঞ্জিন করা হতো। বাবার হাত ধরে সেটাই দেখতে যেতাম সঙ্গে এক হাঁড়ি মিষ্টি। আসলে আমরা যে স্টেশনে নামবো সেই শিবলুন একটা হল্ট স্টেশন ছিল। তার না আছে প্ল্যাটফর্ম আর না সেখানে ট্রেন দাঁড়াতো বেশিক্ষণ। তার মধ্যেই সমস্ত মালপত্র কাচ্চা বাচ্চা নিয়ে কাঠের ট্রেনের সিঁড়ি দিয়ে নামতে হতো সবাইকে। তাই মিষ্টির হাঁড়িটা গার্ডের হাতে দিয়ে বলা হতো দাদা বছরে একবার আসি, সঙ্গে অনেক মালপত্র , একটু বেশিক্ষণ দাঁড়াবেন।
কাটোয়া থেকে ট্রেন ছেড়ে অজয় নদী পেরিয়ে শিবলুন স্টেশন আসতো। শিবলুন পৌঁছে হুট পাট করে নেমে পড়তাম। ট্রেনটা স্টেশন থেকে বেরিয়ে গেলে শঙ্কা ভরা চোখে দেখতাম গরুর গাড়ি এসেছে কিনা। এক ছুটে পৌঁছে যেতাম গরুর গাড়ির কাছে। সে অবশ্য নামেই গরুর গাড়ি, আদতে মোষ দিয়ে টানা হতো। দুই চাকার ঠেলা গাড়ি, মাঝ বরাবর লাগানো থাকত নৌকার ছইয়ের মত টোপর আর তার নিচে কম্বল চাপা খড়ের গদি। মালপত্র পিছনে বেঁধে মোষের ঘাড়ে জোয়াল ফেলতেই দৌড় লাগাতো গাড়ি। সবুজ ধান ক্ষেতের বুক চিরে চলে যাওয়া ইউক্যালিপটাস এর ছায়া ঘেরা লাল মোরাম রাস্তা, পাশে শিবাই নদী। চলতি কথায় কাঁদর ।
সে আমলে আমাদের গ্রামে গুটিকয়েক পাকা বাড়ি ছিল মাত্র। বাড়িটা দৃষ্টিগোচর হলেই দেখতাম সোয়া ছ ফুট লম্বা আর সোয়া কুইন্টালের আমার ছোটদাদু, রোয়াক এর উপর দাঁড়িয়ে মাথার ওপর ছড়ি তুলে চিৎকার করে বলছে রাজা বাবু এসে গেছে ডুডুম কাঁইনানা। ঢোল কাঁসির এই শব্দটা দাদু মুখ দিয়েই করত চরম আনন্দের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে।
বাড়ি ঢুকে একছুট্টে সবাইকে প্রণাম করতে শুরু করে দিতাম। বড়োরা অবশ্য বাড়ি ঢোকার আগে পঞ্চাশ গজ দূরে ঠাকুরবাড়িতে প্রণাম সেরে আসতো।
এবার বাড়িটার একটু বর্ণনা দিয়ে দিই। পুব মুখো বাড়ির সামনে একটা পুকুর, নাম কালি সাগর। পাঁচ ফুট উঁচু রোয়াক, এর পরে ছিল বৈঠকখানা ঘর। বৈঠকখানা ঘর পেরিয়ে এলে পূর্ব-পশ্চিম বরাবর এক বিশাল দালান। তার উত্তর দিকে সার দেয়া ঘর আর দক্ষিণ দিকে উঠোন, রান্নাঘর, কলতলা ইত্যাদি। দুই কামরার রান্নাঘরে সারি সারি মাটির উনুন থাকতো। উঠোনের দক্ষিণ দিকে আছে ধানের গোলা আর গোয়ালঘর। সেখানে খুব সাপের উপদ্রব বলে আমাদের যাওয়া বারণ ছিল। বাড়ির সামনে একটা গরুর বাথান ছিল দিনের বেলা গরু মোষ রাখার জন্য। বৈঠকখানা ছাড়াও আরো একটা খিরকি আরেকটা দেউড়ি দরজা আছে বাড়িতে তবে সে দরজায় খিল পড়তে কোনদিন দেখিনি। দোতলার অর্ধেকটা জুড়ে ঘর আর বাকিটা খোলা ছাদ। বাড়ির পিছন দিকে ছোট কাঁদর আর তারপরই যতদূর চোখ যায় সবটাই ধানের জমি। গ্রামে তখনও কারেন্ট আসে নি তবে পূজা-পার্বণে জেনারেটর চলত, বাকিটা হ্যাজাক দিয়ে ম্যানেজ হতো। পাখার দরকার খুব একটা পড়তো না। বাড়ির একটু দূরে ছিল ঠাকুরবাড়ি যেখানে দুর্গা, জগদ্ধাত্রী সহ পুজো পর্বগুলো হত।
এবার আসি পুজোর কথায়। খুব অনাড়ম্বর আর ছোট হয়তো আমাদের বাড়ির পুজো কিন্তু নিষ্ঠার গুনে এ পূজার মহিমা আমাদের সবার মনের গভীরে থাকে। বাড়ির ছেলেরা খোলা ছাদে শুতাম। সূর্য ওঠার আগেই ঘুম থেকে উঠে উঠোনে দাঁড়িয়ে টিউবয়েলের গরম জলে স্নান সেরে পরিষ্কার ধুতি পরে পূজার জোগাড় করতে লেগে যেতাম। খুব ছোটতে নৈবেদ্যের থালা বওয়া, আরেকটু বড় হয়ে ফলমূল কাটা এই ছিল কাজ। এছাড়া ধুনো দেওয়া, কাঁসর ঘন্টা বাজানো, পুজো শেষে প্রসাদ বিতরণ সব মিলিয়ে কোথাও পাত্তা না বাবা আমি তখন ভীষণ ব্যস্ত। সপ্তমীর কলাবউ স্নান করাটা হয় পিছনের কাঁদরে। একটা পালকি আছে যাতে করে আমরা কলা বউ নিয়ে যাই। সকাল থেকেই গ্রামের সবাই এসে নিজের বাড়ির ফুল দিয়ে যায় পুজোর জন্য। অষ্টমীর দিন গ্রামের সবাই প্রসাদ খেতে আসে , তা প্রায় হাজারখানেক লোক। সে এক হই হই ব্যাপার। আগের দিন রাত্রে সবজি কেটে রাখা হয়। গ্রামের মহিলারা এসে আলু কুমড়ো কাটতে বসে । বঁটি অব্দি তারা বাড়ি থেকে নিয়ে আসে। গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষ কোন না কোন ভাবে পুজোয় অংশ নেয় আর কাউকেই তার কাজ বলে দিতে হয় না। কি এক অলিখিত বোঝাপড়ায় সবাই জানে তাকে ঠিক কি করতে হবে। সকলের সঙ্গে হাসিমুখে একসাথে বসে খাওয়া খিচুড়ি-ছেঁচড়া-পায়েস-চাটনির যৎসামান্য সেই প্রসাদই অমৃত সবার কাছে।
পুজোর কথা বললে যেটা না বললে নয় সেটা হল সন্ধিপুজো। মহাষ্টমীর পুজোতে সবাই খুব সচকিত থাকি, কম সময়ের ফেরে কোথাও যেন ভুল কিছু না হয়ে যায়। অবশেষে যখন পুজোর আচার সম্পূর্ণ হয় তখন সবাই চুপ করে প্রার্থনায় বসা হয়। খ্যানের সময়ে সেই নিস্তব্ধতা, সকলের একযোগে প্রার্থনা এবং সবশেষে ছোটদাদুর মা মা বলে ডেকে উঠে নীরবতা ভঙ্গ করে বলিদানের প্রতীকী ভঙ্গি রচনার মুহূর্তে উপস্থিত মানুষের চোখে জল চলে আসা ছিল অবশ্যাম্ভাবী। আমার মত নাস্তিক ছেলেরও গায়ে কাঁটা দিত সেই পরিবেশে ।
দশমীতে ভাসান করে তার পরের দিনই ফিরতাম আমরা। গরুর গাড়ির পিছন ধরে কাকারা অনেক দূর অব্দি হেঁটে আসতো। চোখ টলটল করত দুপক্ষেরই।
আবার সেই দীর্ঘ ট্রেন যাত্রার পর বাড়ি ফিরে পোস্টকার্ড ছাড়া হত নিরাপদে পৌঁছে গেছি।

কলমে ও ছবিতে: Kaustav Banerjee

করম পরব 🌿🌿🌿  মানভূম অঞ্চলের সাঁওতাল মাহলি ভূমিজ আদীবাসীদের প্রাণের ও জনপ্রিয় লোক‌উৎসব এই " করম "। বীরভূম জেলার বোলপুর এ...
27/08/2023

করম পরব 🌿🌿🌿


মানভূম অঞ্চলের সাঁওতাল মাহলি ভূমিজ আদীবাসীদের প্রাণের ও জনপ্রিয় লোক‌উৎসব এই " করম "। বীরভূম জেলার বোলপুর এ শান্তিনিকেতন সাহাপুর গ্রামে প্রতি বছর ভাদ্রমাসের শুক্লা একাদশী তিথিতে পালন করা হয় এই উৎসব । এইদিন গ্রামের পুরোহিত দের সঙ্গে জঙ্গলে গিয়ে "করম ঠাকুরের" ডাল এনে বাড়ির আঙ্গিনায় পুঁতে দিয়ে করম ঠাকুরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা করে গ্রামের কুঁচবরণ কুমারী রা । অবশ্য এর প্রস্তুতি শুরু হয় একসপ্তাহ আগে থেকেই ।
এই উৎসব নতুন ফসলের আবাহনের । এই উৎসব মূলত সৃষ্টির উৎসব ও সৃজনের উৎসব। রুখাশুকা মাটিতে সবুজ ফসলের আশায় এই উৎসব এর আয়োজন ।
নতুন পোশাক পরে সেজে ওঠে সমস্ত গ্রাম । লালপেড়ে শাড়ি পরে , মাথায় ফুলের আভাস নিয়ে মাদলের তালে তালে গেয়ে ওঠে লুপ্তপ্রায় "জাওয়া গান" যে গানে লুকিয়ে আছে নারীসমাজের প্রাত্যহিক জীবনচর্চার বেদনামধুর বর্ণনা । সারাদিন ধরে চলে নানান আচার ও আয়োজন শুধু মাত্র এই করম গাছ কে ঘিরেই । রাতভর নাচ গানের শেষে সকাল বেলায় গ্রামের মেয়েরা এই করম গাছ কে জলে বিসর্জন দিয়ে সম্পন্ন করে এই উৎসব । এরপর ঐ জাওয়া থেকে অঙ্কুরিত বীজ নিয়ে ভাগাভাগি করে নিজেদের বাড়িতে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে দেয় মঙ্গলকামনায় ।
গ্রামে ঘুরুন ও গ্রামকে ভালোবাসুন ❤️
বীরভূম, বোলপুর

চিত্র ও লেখায়: Subhra Basu

একটি সাঁকোর গল্পহুগলী চিত্র: Arun Kumar Sengupta
26/08/2023

একটি সাঁকোর গল্প
হুগলী


চিত্র: Arun Kumar Sengupta

পটচিত্র গ্রাম 🌿🌿🌿নয়া | পিংলা | পশ্চিম মেদিনীপুর   পটচিত্র একটি অতি প্রাচীন লোকশিল্প। প্রাচীনকালে কাপড় বা কাগজের উপর দেবদ...
25/08/2023

পটচিত্র গ্রাম 🌿🌿🌿
নয়া | পিংলা | পশ্চিম মেদিনীপুর


পটচিত্র একটি অতি প্রাচীন লোকশিল্প। প্রাচীনকালে কাপড় বা কাগজের উপর দেবদেবীর প্রচলিত কাহিনীর ছবি লিখে গ্রামে গ্রামে ঘুরে গান গেয়ে পট চালাতেন কিছু মানুষ, এটাই ছিল তাদের একমাত্র জীবিকা, লোকে তাদের বলতেন 'পটুয়া' এরা 'পটিদার' নামেও অনেকাংশে পরিচিত।এনাদের বেশিরভাগের পদবী সাধারণত 'চিত্রকর' হয়ে থাকে।

পটের কথা - 'পট' শব্দটি এসেছে সংস্কৃত শব্দ 'পট্ট' থেকে যার অর্থ কাপড়। উজ্জ্বল রঙের ছবি ও সহজ সুরের গানের মাধ্যমে প্রাচীন কাহিনীগুলো সহজ হয়ে ওঠে আমাদের কাছে। পটের গান পটচিত্রের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রধানত পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলা ব্লকের নয়াগ্রামে বসবাস এই পটুয়াদের। এই গ্রামের সবাই মূলত শিল্পী। অক্লান্ত পরিশ্রম করে ফুটিয়ে তোলেন নানা রঙের পট। কাপড়ের উপর আঠা দিয়ে শক্ত কাগজ জুড়ে তৈরি হয় পট,যা মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে।
এগুলো ৩ থেকে ১০ ফুট কিংবা তারও লম্বা হয়ে থাকে। কোনো ঘটনা বা কাহিনীর ধারাবাহিক বর্ননা তুলে ধরা হয় এই পটে। পটুয়ারা এই পটগুলি দেখিয়েই গান শুনিয়ে থাকেন সাধারণত। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল এই পটের গান যা জনমানবে বেশ প্রভাব বিস্তার করে থাকে, তাই বর্তমানে শিক্ষা - স্বাস্থ্য - পরিবেশ সচেতনতা ইত্যাদি বিষয়ে প্রচার করা হয় এই পটের গানের মাধ্যমে।

এছাড়াও 'আড়ে লাটাই' বা আয়তাকার পট এবং চৌকো বা বর্গাকার পট। সাধারণত এই পটে থাকে ঐতিহাসিক বা ধর্মীয় বা বিশেষ সামাজিক কোনো চরিত্র। রং হিসেবে আজকাল আধুনিক রং ব্যাবহার হলেও, ভেষজ রং এখনও অনেকে ব্যাবহার করে থাকেন।

মাছের বিয়ে - বাংলার পটশিল্পে লোককথা দূর্গাপট, মনসা পটের পাশাপাশি 'মাছের বিয়ে' একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। এখানে দুটি বিশেষ মাছে (দাঁড়িয়া) র বিয়ে দেওয়া হয়, খুব ধুমধাম করে,পরে দেখা যায় একটি বড়ো মাছ (বোয়াল) এসে বাকি ছোটো মাছকে খেয়ে নিচ্ছে কারণ তাকে বিয়েতে নিমন্ত্রন করা হয়নি তাই৷ সাথে রইল একটি পরিচিত মাছের বিয়ের গান যা সাধারণত পটুয়ারা গেয়ে থাকে পট দেখানোর সময় -

“দাঁড়িয়া মাছের বিয়ে করাতে
চলো গো রঙ্গিলা।
পুঁটি মাছ বলে আমি,
তোমার কানের পাশা হব লো রঙ্গিলা।।
দাঁড়িয়া মাছের বিয়ে করাতে
চলো গো রঙ্গিলা।
কাতলা মাছ বলে আমি,
তোমার পালকি নয়ে যাবো লো রঙ্গিলা।।"

কিভাবে যাবেন - হাওড়া থেকে খড়গপুরগামী বা মেদিনীপুরগামী লোকাল ট্রেনে বালিচক। সেখান থেকে নয়াগ্রাম বাস বা ট্রেকারে, ১ং স্টেশন থেকে নেমেই বাস পাওয়া যায়।
আর সরাসরি গাড়িতে এলে কলকাতা থেকে বম্বে রোড অর্থাৎ ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক (NH - 6)ধরে ডেবরা। সেখান থেকে বাঁ দিকের পথ ধরে মুন্দামারি, আবার বাঁ দিকের পথ ধরে পৌঁছে যান নয়া, দূরত্ব ১২০ কিমি।

লেখা ও চিত্র: পক্কা

বিষ্ণুপুর ভ্রমন ❤️  দিনকাল খুব ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। তা বলে কি একটু আধটু বেড়াবো না?!! আজকের গন্তব্যস্থল বাংলার ছোট্ট শহর...
24/08/2023

বিষ্ণুপুর ভ্রমন ❤️


দিনকাল খুব ব্যস্ততার মধ্যে কাটে। তা বলে কি একটু আধটু বেড়াবো না?!! আজকের গন্তব্যস্থল বাংলার ছোট্ট শহর বিষ্ণুপুর। অনেক দিন পর এমন খোলা মেলা আকাশ দেখে মনে পুলক ছুটছিল। এর আগেও অনেকবার এসেছি এখানে। প্রতিবার নতুন সৌন্দর্য দেখি টেরাকোটা নগরীর।
বাড়ি থেকে তাই শনিবার সকালে বেরিয়ে পড়েছিলাম। ঠাকুর থাকা মন্দির গুলো সব খোলা ছিল সবগুলো কভার করিনি সেই গুলো বাইরে থেকে ছবি তুলেছি।
কিছু ছবি তুললাম, আপনাদের কেমন লাগলো জানাবেন🙏

বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়া

চিত্র ও লেখা: Supratim Koley

পুরুলিয়া যেমন বসন্তে লাল পলাশী সুন্দরীতেমন শরতে কাশের শুভ্রতায় মোহিনীঠিক তেমনই বর্ষায় শ্যামলী।   চিত্র: Partha Chatterje...
24/08/2023

পুরুলিয়া যেমন বসন্তে লাল পলাশী সুন্দরী
তেমন শরতে কাশের শুভ্রতায় মোহিনী
ঠিক তেমনই বর্ষায় শ্যামলী।


চিত্র: Partha Chatterjee

এই পথ যেনো শেষ না হয়... ❤️গোচরন থেকে ধোষাহাট যাবার পথেদক্ষিণ ২৪ পরগনা  চিত্র: Izahar Hasan
23/08/2023

এই পথ যেনো শেষ না হয়... ❤️
গোচরন থেকে ধোষাহাট যাবার পথে
দক্ষিণ ২৪ পরগনা


চিত্র: Izahar Hasan

নেচার ট্রেল ❤️এবার বোটানিক্যাল গার্ডেনে  হাওড়ার শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে 'নেচার ট্রেল' নামে অরণ্য পথের উদ্বোধন হয়েছ...
23/08/2023

নেচার ট্রেল ❤️
এবার বোটানিক্যাল গার্ডেনে


হাওড়ার শিবপুর বোটানিক্যাল গার্ডেনে 'নেচার ট্রেল' নামে অরণ্য পথের উদ্বোধন হয়েছে, গভীর জঙ্গলে ঘোরার অনুভূতি এবার মিলবে ঘরের কাছেই।

বি- গার্ডেনে এবার থেকে জঙ্গলে ঘোরার অনুভূতি পাওয়া যাবে। নেচার ট্রেল' নামে এই জঙ্গল পথে। প্রবেশ করলে গভীর অরণ্যকে উপলব্ধি করতে পারবেন। গাছ,জলাশয়, পাখি ছাড়াও এই পথে পাবেন বাঁশের কুঁড়েঘর, বাঁশের সাঁকো। পরতে পরতে শিহরণ। প্রায় ১৫ একর জমিতে তৈরি এই বিশেষ পথে ঘোরার হাতে গরম অনুভূতি পেতে ভ্রমণার্থীদের অতিরিক্ত কোনো টাকা দিতে হবে না।
সময়: সকাল 8টা থেকে বিকাল 5টা।
টিকিট: 30টাকা।

লেখা ও চিত্র: Arindam Debnath

বর্ষায় বেনাপুর 💚হাওড়া জেলার রূপনারায়ণের তীরে অবস্থিত ছোট্ট সুন্দর এক জনপদ বেনাপুর 🌿আগামীকাল গ্রামের গল্প হাজির থাকবে ...
24/06/2023

বর্ষায় বেনাপুর 💚
হাওড়া জেলার রূপনারায়ণের তীরে অবস্থিত ছোট্ট সুন্দর এক জনপদ বেনাপুর 🌿

আগামীকাল গ্রামের গল্প হাজির থাকবে রূপনারায়ণ নদীর পাড়ে, বেনাপুরে। আমরা ছবি তুলবো, আড্ডা মারবো, জোয়ার এলে নদীতে পা ডুবিয়ে বসে থাকবো, খুব কাছের থেকে দেখবো জেলে মাঝিদের জীবনযাত্রা।
ইচ্ছা থাকলে টুক করে ফোন করে চলে আসুন।

Registration Fee ₹100/-

যোগাযোগ:-
Subhajit Chanda - 7003131362
হুঁকোমুখো হ্যাংলা - 72784 47070

22/06/2023

বর্ষার রাতে গ্রামের এক চেনা শব্দ......!


ভিডিও : সৌম্য ব্যানার্জী

গ্রামের গল্প!বড়দা মেজদা সেজদা ন দার চাকরি দিদির বিয়ে ছোড়দার টিউশন সবই বাড়িতে এই ঘরে আর ঐ বারান্দায়৷ বাবার চৌকি মায়ের কুল...
21/06/2023

গ্রামের গল্প!
বড়দা মেজদা সেজদা ন দার চাকরি দিদির বিয়ে ছোড়দার টিউশন সবই বাড়িতে এই ঘরে আর ঐ বারান্দায়৷ বাবার চৌকি মায়ের কুলুঙ্গি আরো কত
স্মৃতির ঝাঁপি নিয়ে একদম একা দাঁড়িয়ে আছে এই
মাটির দেয়াল৷ একে একে সবাই চলে গেছে সব বাঁধা কাটিয়ে৷ উঠোনের কোনায় শ্যাওলা ধরা চাপ
কলটা নিশব্ধে দাঁড়িয়ে থাকে একা চুপচাপ৷ পথ চলতি কোনো বাচ্চা টিউবয়েলের হাতলে চাপ দিয়ে
জল খেতে মুখ লাগায়৷ বুকের পাঁজর থেকে কান্নার মত আওয়াজ বেড়িয়ে আসে ক্যাঁআআচ কোঁচ৷

উঠোনের কতবেলের গাছ গোলাপ জামের গাছে প্রতি বছর পাতা ঝরে নতুন পাতা গজায় ফুল হয় ফল হয়৷ পাকা আম কাঁঠালের গন্ধে ঘরের চারপাশ ম ম করে৷ গন্ধরা ভেসে বেড়ায় এ দুয়োর ও দুয়োর আর ভেঙে যাওয়া মাটির দেওয়াল গভীর শোক চেপে অপেক্ষা করে৷ বৃষ্টির ছাট জং ধরা টিনের চালে আগের মতই ঝমঝম করে ঝরে পড়ে। বুকচাপা দীর্ঘশ্বাসেরা বাতাসে মিশে থাকে শ্বাস প্রশ্বাসের মতই ৷ মাটি মাটিতেই মিশে যায়।
শিমুলিয়া, উত্তর ২৪ পরগনা

কলমে ও চিত্রে: Anita Basu

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ❤️  কি ভাবে আসবেন:- এখানে আসতে গেলে আপনাকে আস্তে হবে হাওড়া কাটোয়া লাইনে গুপ্তিপাড়া স্টেশন। ট্রেনে এ...
19/06/2023

গুপ্তিপাড়ার রথযাত্রা ❤️

কি ভাবে আসবেন:- এখানে আসতে গেলে আপনাকে আস্তে হবে হাওড়া কাটোয়া লাইনে গুপ্তিপাড়া স্টেশন। ট্রেনে এসে স্টেশন এর বাইরে টোটো পাবেন। রথতলা যাবো বললে পৌঁছে দেবে আপনাকে জগন্নাথ দেবের সম্মুখে। এখানে একটা কথা অবশ্যই বলবো গুপ্তিপাড়ার এই উৎসবে এখনো কিছুটা মাটির গন্ধ পাবেন, যেটা শহরাঞ্চলের রথ যাত্রাতে পাওয়া যায় না। পুরোটাই মনে হয় কংক্রিটের খাঁচায় মোরা। সেটার কিছুটা ব্যতিক্রম এখানে পাবেন। আশপাশ অনেক ফাঁকা অনেক সবুজে মোরা।

আষাঢ় মাসের শুক্লা দ্বিতীয়া তিথিতে রথ যাত্রা উৎসব পালিত হয়। সকাল বেলা শ্রী মতি বৃন্দাবন চন্দ্র ও জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার বিশেষ পূজা সম্পন্ন হয়। তারপর চলে ভোগ। ভোগের পর বাদ্যভান্ড সহকারে প্রথমে সুভদ্রা, তারপর বলরাম ও শেষে জগন্নাথ দেবকে তিনবার রথ প্রদক্ষিণ করিয়ে রথে তোলা হয়। গুপ্তিপাড়ার রথ বাংলার সর্ববৃহৎ কাঠের রথ। তবে এখনকার রথ যেটা দেখা যায় সেটা প্রাচীন রথ নয়। সম্ভবত ১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মঠের নবম দন্ডিস্বামী স্বামী পিতাম্বরা নন্দ এই রথযাত্রা শুরু করেন। তখন নীলাচলে রথ দেখতে গিয়ে দস্যুদের আক্রমণ, রোগের প্রকোপ অনেকে প্রাণ হারাতেন। তখন মঠে জগন্নাথাদি ত্রয় দেবতার দারুমূর্তি প্রতিষ্টা করা হয়। আগে রথ ছিলো তেরো চূড়ার। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ উল্টো রথের দিন রথের তলায় ৭ জন যাত্রী মারা যায়। ১৮৭৮ সালে রথ তৈরি হয় আকারে আয়তনে অনেক ছোট করা হয়। তারপর ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ সেটি নচূড়া করা হয়। তারপর ১৯৫৭ সালে বন্যায় ক্ষতি হওয়ার ফলে ১৯৫৮ সালে আবার রথ তৈরি হয় মঠের আঠাশ তম দন্ডিস্বামী খগেন্দ্রনাথ আশ্রমের আমলে। সেই রথ চলে ২০১২ সাল পর্যন্ত। কিন্তু ১৯৭৮ আর ২০০০ সালের বন্যার ফলে ২৫/০৪/২০১৩ তে নতুন করে রথ নির্মাণ শুরু হয় সেই রথ এখনও গুপ্তিপাড়ার বুকে গড়িয়ে চলে। রথের সঙ্গে থাকে কাঠের পুতুল। এই পুতুল মাধ্যম দিয়ে তখনকার সমাজের একটা ছবি আজও অটুট হয়ে আছে রথের গায়ে।

রথে ঠাকুর ওঠার পরে একটা অভিনব দৃশ্য দেখা যায় সেটা ঘোড়া লাগানো। কাঠের তৈরি একটি সাদা আর একটি নীল ঘোড়াকে এনে লাগানো হয় রথের ওপরে। তাদের মুখে পড়ানো হয় দড়ির লাগাম।জনতার মুখে শোনা যায় যে সাদা ঘোড়া শান্ত আর নীল ঘোড়া উগ্র স্বভাব। ঘোড়ার সারথিও থাকে যে ঘোড়া গুলি কে নিয়ন্ত্রণ করে। রথে তিন দেবতার উদ্দেশ্য করে থাকে রথের তিন রশি। তার মধ্যে একটি রশি থাকে মহিলাদের জন্য। তারপর রথে চলে একপ্রস্ত পূজা অর্চনা, বর্তমান মঠ অধ্যক্ষ স্বামী গোবিন্দা নন্দ পুরী মহারাজ এর নির্দেশে শুরু হয় প্রথম টান সেটি দুপুর ১২.০০ টায়। আবার কিছুক্ষণ বিরতির পর শুরু হয় দ্বিতীয় টান বিকেল ৪.০০ টের সময়। গুপ্তিপাড়া রথ সবচেয়ে বেশি পথ অতিক্রম করে এবং রথ , উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম টান হয়। এই রথ যাত্রা উপলক্ষে লক্ষাধিক লোক হয়।
#গুপ্তিপাড়া,বর্ধমান

চিত্র ও লেখন: Syamantak Ganguly

গ্রামীণ বৃষ্টি 🌧️   সুন্দরবন সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ছোট্ট একটি গ্রাম যোগেশগঞ্জের বৃষ্টির কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হলো।যোগ...
19/06/2023

গ্রামীণ বৃষ্টি 🌧️


সুন্দরবন সংলগ্ন হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের ছোট্ট একটি গ্রাম যোগেশগঞ্জের বৃষ্টির কিছু মুহূর্ত তুলে ধরা হলো।

যোগেশগঞ্জ, উত্তর ২৪ পরগনা

চিত্র: Biswajit

কলিকাতা গ্রাম ❤️  কলিকাতা গ্রাম !!! হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন কলিকাতা গ্রাম।একটা পুরানো বই ঘাটতে গিয়ে হঠাৎ একটা জায়গার ন...
18/06/2023

কলিকাতা গ্রাম ❤️

কলিকাতা গ্রাম !!! হ্যাঁ হ্যাঁ ঠিকই পড়ছেন কলিকাতা গ্রাম।
একটা পুরানো বই ঘাটতে গিয়ে হঠাৎ একটা জায়গার নাম খুঁজে পেলাম কলিকাতা, নানা আমাদের সাধের কলকাতা শহর নয়, এটি হলো একটি গ্রাম যা হাওড়া জেলার আমতা থানার চার কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে দামোদর নদীর ধার ঘেঁষে অবস্থিত। আজ আমরা এসেছি এই কলিকাতা গ্রামে।
যখন থেকে শুনেছি কলিকাতা নামে নাকি একটি গ্রাম আছে তখন থেকেই এই স্থানটিতে আসার জন্য মনটা উৎসুক হয়ে আছে।
এখানে এসে এমন একটি সুন্দর জায়গা দেখা পাব তা কখনোই ভাবিনি। চারিদিক ঘুরে দেখলে গ্রাম বাংলার পল্লী সমাজের আদর্শ ছবিটাই চোখের সামনে ফুটে ওঠে।
এই কলিকাতা গ্রামে এলে আপনারা বুঝতে পারবেন যে, এত বছর পরও এই স্থানের প্রত্যেকটি কোনায় কোনায় পুরানো ঐতিহ্যর ছাপ স্পষ্ট।
এখানে অবস্থিত ধর্ম তলায় ধর্মরাজের মন্দির, নীলকুঠির ধ্বংসাবশেষ, অনেক পুরানো নিম কাঠের তৈরি কালিমাতার মূর্তি, এছাড়াও চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অনেক পুরানো বাড়ি এবং কিছু কিছু পুরানো বাড়ি ধ্বংসাবশেষ।
হাওড়া, আমতা

চিত্র ও লেখন: রাজা

15/06/2023

"শব্দ" যদি না থাকতো, তবে ঠিক কি হতো!!
জীবন থেকে এক বিশেষ কিছু হারিয়ে ফেলতাম, হারিয়ে ফেলতাম কথা বলা, হারিয়ে ফেলতাম অনেক সম্পর্ক, হারিয়ে যেতাম শুন্য কোনো গোলকধাঁধায়,

এক রুটিন মাফিক দিনের থেকে অল্প বদল অন্য মাত্রা আনে মনের সুখ আর তৃপ্তির, তেমনই বদল আনতে মাঝে মাঝে ছুটে যাই এমন এমন জায়গায়,

ব্যাস্ত ট্রাফিক, ব্যাস্ত সময়, কার্নিশের ভিড়ে রোদ্দুর আড়াল, ধূসর মানচিত্র সবুজ গাছগুলো কে গ্রাস করেছে, হারিয়ে আসছে পাখির বাসা, ফুরিয়ে যাচ্ছে নিশ্বাস ফেলার জায়গা টুকু, ফুরিয়ে যেতে চলেছে পানীয় জল, তার সাথে মুখোশের আড়ালে আবডালে গোটা সমাজ, মিথ্যে হাসির রাজ্যে নিজেকে বড্ড বেমানান লাগে,

এই সব কিছু পেরিয়ে সুখ অনুভব করতে হলে কোনো গ্রাম্য পরিবেশের সাথে নিজেকে কিছুটা সময় বিলিয়ে দিন, চোখ জুড়িয়ে মন ভরিয়ে নিন দুমুঠো রোদ্দুর, মেঘলা আকাশ, সবুজ পাতার ভিড়ে হারিয়ে যান, পাখির ঝাঁক, পাখির ডাক, নিরব গরু মহিষের ঘাস খাওয়ায় শব্দ, রাখাল দের বাড়ি ফেরা, সন্ধ্যায় তুলসিতলা শঙ্খ উলুধ্বনি, কাসর ঘণ্টা আরো কত কিছু, কানাউচুঁ এক থালা ধোঁয়া ওঠা ভাত, ডাল আর আলু ভাঁজায় তৃপ্তি খুঁজে পাবেন,

(শব্দ গুলো আমি মোবাইলের মাধ্যমে রেকর্ড করেছি, অনেক আগে থেকেই এটা আমার সখ ছিলো, তবে সেভাবে ভাগ করা হয়নি গ্রুপের ভিতর, অনেকের কাছেই শব্দ গুলো চেনা, তবে সত্যি বলছি, মুহূর্ত গুলো যারা একবার হলেও পেয়েছেন, তারাই জানে এগুলোর আসল স্বাদ, আর আমার পছন্দের তালিকায় কিছু আলাদা সময় তোলা থাকে গ্রাম কে নিয়ে, তার মধ্যে ভোরের গ্রাম, সকালের গ্রাম, আর বিকেলের গ্রাম তো আছেই, তবে মন মুগ্ধ করে গভীর রাতের গ্রাম।)

চেষ্টা করবেন "হেডফোনের" ব্যাবহার শব্দ গুলো শোনার ক্ষেত্রে।

সব শেষে এটাই বলার, গ্রামে ঘুরুন, গ্রামকে ভালোবাসুন,

লেখন ও শব্দ সংগ্রহে - হুঁকোমুখো হ্যাংলা

আনন্দময়ী কালি মন্দিরজায়গাটা হুগলী জেলার সোমরাবাজার গ্রামে। সামনে যে লাল রঙের মন্দির সেটা হলো আনন্দময়ী কালি মন্দির। এই...
15/06/2023

আনন্দময়ী কালি মন্দির

জায়গাটা হুগলী জেলার সোমরাবাজার গ্রামে। সামনে যে লাল রঙের মন্দির সেটা হলো আনন্দময়ী কালি মন্দির। এই বর্ষার সময় বিকেল বেলায় এই মন্দিরের অপুরূপ শোভা চোখে পরার মত।
এই মন্দিরের পাশেই রয়েছে ভগ্ন প্রায় জমিদার বাড়ি। যেখানে দুর্গা ঠাকুর তৈরি হয়। জমিদার বাড়িটি বিকেল বেলায় ঠাকুরের নিত্য পুজোর জন্য ১০ মিনিটের জন্য খোলে। তখন ঠাকুর মশাইকে অনুরোধ করে ভিতরে ঘুরে নিতে পারো। তাছাড়া দুর্গা পূজোর সবদিন খোলা থাকে।

হুগলী, সোমরাবাজার

চিত্র ও লেখন: Goutam Das

জনাই এর মনোহরা ❤️মন হারাল মনোহরায় ❤️আজকের গল্পে তুলে ধরলাম জনাই এর প্রসিদ্ধ মিষ্টির কথা। কৃষ্ণনগর যেমন সরপুরিয়া এবং সরভা...
14/06/2023

জনাই এর মনোহরা ❤️
মন হারাল মনোহরায় ❤️

আজকের গল্পে তুলে ধরলাম জনাই এর প্রসিদ্ধ মিষ্টির কথা। কৃষ্ণনগর যেমন সরপুরিয়া এবং সরভাজা, বর্ধমান যেমন মিহিদানা এবং সীতাভোগ, চন্দননগর যেমন জলভরা সন্দেশ, ঠিক তেমনই জনাই প্রসিদ্ধ এখানকার মনোহরা সন্দেশের জন্য। ছানা বা ক্ষীরের মিশ্রনের উপর চিনির স্তর দেওয়া গোলাকার মিষ্টির নামই মনোহরা। অনেকেই ঢাকার প্রাণহরার সাথে এর সাদৃশ্য খুঁজে পেতেন।

এই মিষ্টির ইতিহাস ঘাটলে দেখা দেখা যায় প্রায় দুশো বছর আগে বাংলায় এই মিষ্টি আসে। তবে এ নিয়ে দ্বিমত আছে।

প্রথম মতে, এক জনৈক ব্রিটিশ ব্যক্তি জনাই ঘুরতে এসে ওখানকার ময়রাদের (প্রকারান্তরে পরাণ চন্দ্র নাগ) এমন মিষ্টি তৈরি করতে বলেন যাতে সেই মিষ্টি চার পাঁচ দিন অনায়াসে রেখে দেওয়া যেতে পারে। তখন জনাই এর আরও দুটি মিষ্টি বোঁদে এবং নিখুঁতি এমনভাবে তৈরী করা হত যাতে তা বেশ কিছু দিন রেখে দেওয়া যায়, তাই তিনি বুদ্ধি করে মূল মিষ্টির উপর পুরু চিনির আস্তরণ তৈরি করেন যাতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ছাড়াই মিষ্টিটি তিন চারদিন রেখে দেওয়া যেতে পারে।

দ্বিতীয় মতে জনাইয়ের জমিদার বাড়ির জনৈক সদস্য স্থানীয় এক ময়রাকে সন্দেশ বানানোর নির্দেশ দিয়ে কাজে বেড়িয়ে যান। নির্ধারিত সময়ের আগেই যখন তিনি ফিরে আসেন সন্দেশ প্রস্তুতি তখন মাঝপথে। ময়রা তখন সন্দেশের মান নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি তাড়াতাড়ি সন্দেশ বানিয়ে তার উপর গাঢ় চিনির রস ঢেলে তাকে সুস্বাদু ও সুমিষ্ট করার চেষ্টা করেন। সেই মিষ্টি খেয়ে জমিদার বাড়ির জনৈক সদস্য এতটাই প্রীত হন যে তিনি মিষ্টির নাম রাখেন মনোহরা।

তাই মনোহারা কে আবিষ্কার করেন তা নিয়েও দ্বিমত আছে। লোকমুখে কেউ বলেন ললিত ময়রা তো কেউ বলেন ভীমচন্দ্র নাগের পিতা পরাণচন্দ্র নাগ। ললিত ময়রার দোকান জনাই ময়রাপাড়ায় এখনও বিদ্যমান। সাথে ভীমচন্দ্র নাগের ভীম ভবন।রাজবাড়িতে উত্তম কুমার, ছবি বিশ্বাস কোনো শুটিং এ জনাই এলে এই ময়রাপাড়া থেকে মনোহরা কিনে বাড়ি ফিরতেন। এমনকি বিদ্যাসাগরেরও খুব প্রিয় মিষ্টি ছিল এই মনোহরা,যার জনপ্রিয়তায় আজও ভাঁটা পড়েনি আপামর বাঙালির কাছে।

সবশেষে বলতে চাই মনোহরার সাথে এখানকার বোঁদে এবং নিখুঁতির কথাও।এখানকার বোঁদে কিন্তু একটু পৃথক। একটু বড় আকারের তবে গোল নয় অনেকটা লম্বা মতন। আর এখানে নিঁখুতি ল্যাংচার মতন রসে ডোবানো।ফেরার পথে নিজেও একটু আস্বাদন করে দেখলাম সবকটা মিষ্টি। সাথে ভীমনাগের আদি বাড়িটাও দেখে এলাম।
জনাই, হুগলী

চিত্র ও লেখন: Subhajit Dutta

মঙ্গলগঞ্জ নীলকুঠি  উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার অন্তর্গত মঙ্গলগঞ্জ নীলকুঠির ইতিহাসকে বহন করে। ইছামতী নদীর গা লাগোয়া...
13/06/2023

মঙ্গলগঞ্জ নীলকুঠি


উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানার অন্তর্গত মঙ্গলগঞ্জ নীলকুঠির ইতিহাসকে বহন করে। ইছামতী নদীর গা লাগোয়া এই সুন্দর সবুজ গ্রামে গেলে চোখে ক্লোরোফিল লেগে যায়। আমরা সকলেই নীল বিদ্রোহের কথা জানি ষ। আজও সেই সরল আদিবাসী সম্প্রদায় যাদের ইংরেজ সাহেবরা নীল চাষ করতে বাধ্য করতো , তাদের উত্তরসূরীরা সবুজ আঁকড়ে বেঁচে রয়েছে মঙ্গলগঞ্জ জুড়ে।

নিষ্ঠুর ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে, শত আদিবাসীর রক্তের দাগ শুষে নিয়ে আজ ভঙ্গুর হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই কুঠি। আজ আর করো রক্ত এর গায়ে লাগেনা। যৌবন গেছে, জৌলুস গেছে , প্রতাপ গেছে , এখন শুধুই বাদ্ধক্য। দেখলে বড্ড মায়া হয় সত্য! একেই ইতিহাস বলে।

এই মনকেমনের ইতিহাসকে দূরে সরিয়ে রাখলেও ইছামতী নদী , নদীকে ঘিরে রাখা বিশাল বিশাল পুরনো গাছের সবুজ ইছামতীকে শান্তি দিয়েছে। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর "ইছামতী" উপন্যাসটা এই নদী, নদীর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলকে কেন্দ্র করেই লিখেছিলেন। শহর মফস্বলের ভিড় এড়িয়ে এই জায়গা আপনাকে নিমিষে শান্ত করে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। যতদূর চোখ যায় শুধুই সবুজ আর সবুজ । নীল আকাশের নীলে সমুদ্র যেমন নীলচে, ঠিক তেমনভাবে গাছের সবুজে ইছামতী সবজে ঘাসের মতো।

চাঁদের ফালির মত সরু নদীটা পেরোলেই অভয়ারণ্য। নাম বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য। আর গাছ ভালোবাসা মানুষের জন্য অভয়ারণ্য আশীর্বাদের মত। ঘণ জঙ্গলে দিনের চকচকে আলোতেও যেন অমাবস্যা নেমে এসেছে মঙ্গলগঞ্জ জুড়ে। নানান প্রজাতির বিষাক্ত সাপ এই জংগলে লক্ষ করা যায়, যেটা খুব ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার। এই প্রথম সামনে থেকে চন্দ্রবোড়া দেখলাম। এছাড়াও নানান পতঙ্গ, হনুমান, হরিণ আরো নানান প্রাণী এই জংগলে জীবন যাপন করে চলেছে।

এখনও মানুষের বেশি যাওয়া আসা নেই বলে জায়গাটা সুন্দর, পরিচ্ছন্ন রয়েছে। জানিনা এটা কতদিন বজায় থাকবে। তবে আশা রাখি যারাই যাবেন জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। আমাদের ইতিহাসকে আগলে রাখা আমাদের কর্তব্য। মঙ্গলগঞ্জ সবুজ থাক, সরল থাক।

কিভাবে যাবেন : বনগাঁ স্টেশন থেকে অটো/ টোটো করে টাউনহল অটোস্ট্যান্ড, তারপর আবার অটো করে নাটাবেরিয়া। নাটাবেরিয়া থেকে টোটো করে নীলকুঠি, মঙ্গলগঞ্জ অথবা বনগাঁ স্টেশন থেকে বাসে করে নাটাবেরিয়া নেমে টোটো করে নীলকুঠি; মঙ্গলগঞ্জ.

মঙ্গলগঞ্জ, বনগাঁ, উত্তর ২৪ পরগনা
চিত্র ও তথ্য সজ্জায় - সিদ্ধার্থ কুন্ডু

Address

Jadavpur
Kolkata
700047

Telephone

+917003131362

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Gramer Golpo posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category


Other Travel Services in Kolkata

Show All