Chhutir Thikana-ছুটির ঠিকানা

Chhutir Thikana-ছুটির ঠিকানা Tourist Information Centre Photographer

সুইজারল্যান্ড গ্রাম নয়, এটি জিসপা গ্রাম, ভারতের হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত একটি অসাধারণ সুন্দর গ্রাম।।এই গ্রামটি হিমাচল প্র...
07/12/2024

সুইজারল্যান্ড গ্রাম নয়, এটি জিসপা গ্রাম, ভারতের হিমাচল প্রদেশে অবস্থিত একটি অসাধারণ সুন্দর গ্রাম।।

এই গ্রামটি হিমাচল প্রদেশের লাহুল ও স্পিতি জেলার লেহ-মানালি হাইওয়ের উপর অবস্থিত। এই অপরূপ স্থানটি নদীর তীরে অবস্থিত।
fans Wings of Wild Tourism

ফেসবুক খুললেই পরোটা আর বিরিয়ানি র প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে পেতে যাদের মন বলছে ভাই নেট রিচার্জের বাজছে বারোটা আজ তাদের জন্য এ...
03/12/2024

ফেসবুক খুললেই পরোটা আর বিরিয়ানি র প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে পেতে যাদের মন বলছে ভাই নেট রিচার্জের বাজছে বারোটা আজ তাদের জন্য একটা নতুন জিনিসের সন্ধান দি, গত ১লা ডিসেম্বর থেকে নর্থ সিকিমে র একটা দিক পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে, লাচুং - নামটার সঙ্গে বা জায়গা টা র সঙ্গে অনেকেই পরিচিত আছেন বা হবেন.. আরো একটু ব্যাখ্যা করে দি - ইয়ুমথাং ভ্যালি, জিরো পয়েন্ট এই জায়গা গুলো যে জায়গা তে রয়েছে সেই ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম লাচুং, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের প্রায় এক বছর পর খুলে গিয়েছে, সেই লাচুং এ একটা নতুন লেক পর্যটনের মানচিত্রে জায়গা করে নিয়েছে সাংলাফু চু লেক, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় 16,600 ফুট ওপরে, গুরুদোংমার থেকে প্রায় 1200 ফুট কম.. কিন্তু নর্থ সিকিম বলতে যারা গুরুদোংমার লেক এর কথা ই জানতেন তাদের চিন্তাভাবনার এবারে একটা পরিবর্তন আসলেও আসতে পারে..চারিদিকে পাহাড়ে ঘেরা এই লেক লাচুং এর জিরো পয়েন্ট থেকে ওই 7 কিলোমিটার দূরে.. এই রাস্তা পুরোটাই অফরোডিং... গাড়ি যেখানে দাঁড়ালো সামনেই অদ্ভূত সুন্দর ভয়ংকর এই লেক..
তিনটে কথা কেনো বললাম? অদ্ভুত এই জন্যই কারণ উচ্চতার কারনে এই লেক এর জল পুরো জমে গিয়েছে, নিচের সব কিছু স্পষ্ট, আর ভয়ংকর এই জন্যই বললাম এই জায়গা খুব ঠান্ডা, আর অক্সিজেন এর কিছু সমস্যা রয়েছে আর সেটাই স্বাভাবিক কারন চারিদিকে কোন গাছ নেই.. আর সুন্দর কেনো বললাম সেটা র জন্য ছবি গুলো যথেষ্ট..
গুরুদোংমার কবে খুলবে এই মুহূর্তে আপডেট নেই, তবে যারা নর্থ সিকিমে আসছেন এই লেক টা মিস করবেন না
আর এখানে পৌঁছে যতটা সম্ভব শান্ত থাকার চেষ্টা করবেন, ছোটাছুটি বা শারীরিক কসরৎ না করাই ভালো, 30 মিনিট সময় দিন তারপর ফিরে আসুন, গ্যাংটক থেকে আসলে অক্সিজেন Can সঙ্গে Carry করতে পারেন, অতিরিক্ত নিরাপত্তার জন্য...

তথ্য: Travel With Koushik

বদ্রিনাথ থেকে খুব কাছেই রয়েছে একটি সুন্দর দ্রষ্টব্য স্থান। যার নাম হলো মানা গ্রাম। ভারত থেকে তিব্বতের পথে এটিই শেষ গ্রা...
02/12/2024

বদ্রিনাথ থেকে খুব কাছেই রয়েছে একটি সুন্দর দ্রষ্টব্য স্থান। যার নাম হলো মানা গ্রাম। ভারত থেকে তিব্বতের পথে এটিই শেষ গ্রাম। দূর থেকে গ্রামটিকে দেখতে যেন ছবির মত লাগে। এখান থেকেই যাওয়া যায় বসুধারা জলপ্রভাতে। অষ্টবসুর তপস্যাক্ষেত্র এই বসুধারা। বদ্রিনাথ থেকে মানা গ্রামের দূরত্ব প্রায় তিন চার কিমি। হেঁটেই যাওয়া যায়। সরস্বতী নদীর উৎপত্তিও এখান থেকেই। এখান থেকে ইন্টারন্যাশনাল বর্ডার খুব বেশি দূরে না।তাই গ্রামের কাছাকাছি গেলে চারপাশে সীমান্তরক্ষীদের দেখতে পাওয়া যায়। সরস্বতী নদী বরাবর এগোলেই মানা গ্রামে পৌঁছানো যায়। খুব বেশি মানুষের বসবাস এখানে নেই। তাই খুব একটা কোলাহল ও নেই। এখানকার অধিকাংশ মানুষেরই পেশা হচ্ছে মেষ পালন। এরা আরেকটি কাজেও বিশেষ ভাবে পারদর্শী। ভেড়ার লোম দিয়ে এখানকার স্থানীয়দের বানানো কার্পেট ও কম্বল খুবই বিখ্যাত।

মানা গ্রাম নিয়ে বহু ধরনের কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। বলা হয় মানা গ্রামের ইতিহাস শুরু হয় আজ থেকে পাঁচ হাজার বছর আগে যখন পঞ্চপান্ডব স্বর্গারোহনের পথে এই গ্রাম দিয়েই এগিয়ে গিয়েছিলেন। আবার এখানকার আরেকটি প্রচলিত গল্প হল, এই মানা গ্রাম যার আসল নাম ছিল মনিভদ্রপুরি এখানেই ঘন্টা কর্ণ বলে একজন শিবের উপাসক থাকতেন। ঘন্টা কর্ণ সব সময় তার কানের কাছে কয়েকটি ঘন্টা বেজে রাখতেন যাতে ভুল করেও কখনো তার কানে নারায়ণের নাম না আসে। একবার সে মুক্তি পাওয়ার জন্য দেবাদিদেব মহাদেবের দর্শন পেতে কঠিন তপস্যায় বসে। দেবাদিদেব মহাদেব তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দেখা দেন। এবং তাকে বলেন নারায়ণ ছাড়া তার মুক্তি সম্ভব না। সে মুক্তি পেতে পারে একমাত্র যদি সে ভগবান বদ্রিনাথকে সন্তুষ্ট করতে পারে। ঘন্টা কর্ণ প্রাথমিকভাবে এটা শুনে অবাক হলেও শেষ অবধি সে ভগবান নারায়ণের তপস্যা শুরু করে। এবং নারায়ন তার তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাকে বদ্রিনাথ ক্ষেত্রের ক্ষেত্রপালক হিসেবে নিযুক্ত করেন।
এই মানা গ্রামের কাছেই রয়েছে আরেকটি বিখ্যাত জায়গা ব্যাস গুম্ফা। সরস্বতী নদীর তীরেই এই ব্যাস গুম্ফা রয়েছে। মানাগ্রাম আর ব্যাস গুম্ফার মাঝে মানুষের সে রকম বসবাস দেখা যায় না।। কথিত আছে এই ব্যাসগুম্ফায় বসেই ব্যাসদেব গনেশ কে সঙ্গে নিয়ে মহাভারত রচনা করেছিলেন। এখানে এই গুহাতেই ব্যাসদেব থাকতেন আর সঙ্গে আরেকটি গুহায় নাকি গণেশ বাস করতেন। এখানে দুটি গুম্ফাই রয়েছে যাতে দর্শনার্থীদের ঢল নামে। এখানকার এই রুক্ষ পরিবেশে পাথরের মাঝে ইতিউতি কিছু বার্চ গাছের দেখাও পাওয়া যায়। কথিত আছে এই বার্চ গাছের ছালেই ব্যাসদেব তার মহাভারত রচনা করেছিলেন। এখান থেকে আরেকটু এগুলোই দেখা যায় ভীমপুল। সরস্বতী নদীর উপর একটি বিশাল পাথর দিয়ে তৈরি এই ভীমপুল এখন চারপাশ রেলিং দিয়ে ঘেরা। এখানকার স্থানীয় মানুষদের বিশ্বাস পঞ্চপান্ডবের দ্বিতীয় পাণ্ডব ভিম নিজের হাতে এই ব্রিজ স্থাপন করেছিলেন। বলা হয় যে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের পর এই পথ ধরেই পঞ্চপান্ডব মহাপ্রস্থানের পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন। মহাপ্রস্থানে যাওয়ার পথে পঞ্চপান্ডব সরস্বতী নদী পার হয়ে গেলেও দ্রৌপদী অতিক্রম করতে পারেননি। তখন ভীম একটি পাথর ফেলে নদীর উপরে এই সেতু প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ভারতবর্ষের একমাত্র এই জায়গা থেকেই সরস্বতী নদীর দর্শন পাওয়া যায়। এখান থেকে কিছুদূরে গিয়ে সরস্বতী নদীর স্রোত পাতালে প্রবেশ করেছে। এখান থেকে দেখলে মানাগ্রাম এবং বদ্রিনাথ শহরটিকে খুবই ছোট বিন্দুর মতো দেখা যায়। এখান থেকেই আবার যাওয়া যায় সেই ছোটবেলায় পড়া আটে অষ্টবসুর তপস্যার স্থান বসুধারায়। ট্রেক করে বসুধারা ফলস অব্দি যাওয়া যায়। বদ্রীনাথ হয়ে গেলে এই মানা গ্রাম ব্যসগুম্ফা এবং বসুধারা একটি অত্যন্ত দর্শনীয় স্থান যা আপনাদের দেখে আসা উচিত। এছাড়া তপ্ত কুন্ড, মাতা মূর্তি মন্দিরের মতো দর্শনীয় স্থান ও এখানে আছে।

বদ্রিনাথ থেকে একদিন সময় নিয়ে আপনারা চাইলেই ঘুরে আসতে পারেন এই কয়েকটি জায়গা। এখানে যাওয়ার জন্য সেপ্টেম্বর অক্টোবর মাস হলো সবথেকে ভালো সময়। বদ্রীনাথে একটা বা দুটো দিন অতিরিক্ত রেখে এই জায়গাগুলো খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারবেন।

মরশুমের প্রথম তুষারপাত!সোর্স: টাইমস অফ ইন্ডিয়া
17/11/2024

মরশুমের প্রথম তুষারপাত!

সোর্স: টাইমস অফ ইন্ডিয়া

নেতারহাটকে বলা হয় ছোটনাগপুর মালভূমির রানী। এইনেতারহাট থেকেই বেতলা যেতে মাঝগাঁও বলে একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে টাঙ্গিনাথ ...
10/11/2024

নেতারহাটকে বলা হয় ছোটনাগপুর মালভূমির রানী। এইনেতারহাট থেকেই বেতলা যেতে মাঝগাঁও বলে একটা জায়গা রয়েছে, যেখানে টাঙ্গিনাথ ধাম বলে একটি মন্দির রয়েছে। স্থানীয়দের কাছে এই মন্দির খুবই জাগ্রত। প্রতিদিন এখানে সহস্রাধিক ভক্তদের আগমন দেখা যায়। এবার তাহলে নিশ্চয়ই জানতে ইচ্ছে করছে এই মন্দিরের গুরুত্ব বা বিশেষত্ব কোথায়! চলুন তাহলে এই মন্দির নিয়ে আরও কিছু বিশদ তথ্য জেনে নি।

বিষ্ণুর দশাবতারের মধ্যে ষষ্ঠ অবতার হচ্ছেন পরশুরাম। কথিত আছে যখনই পৃথিবীতে পাপ তথা দুষ্টদের প্রভাব বেড়েছে তখনই ভগবান শ্রীবিষ্ণু এক এক অবতার ধারণ করে পৃথিবীতে অবতীর্ণ হয়েছেন। তেমনিই ষষ্ট অবতার ছিলেন পরশুরাম। তার হাতে থাকত কুঠারের মতো এক বিশেষ অস্ত্র, যাকে বলা হতো টাঙ্গি। ঋষি জমদগ্নি এবং তার স্ত্রী রেণুকার পুত্র হয়ে জন্মগ্রহণ করেছিলেন পরশুরাম। অত্যন্ত কম বয়স থেকেই তিনি খুব ক্রোধী ছিলেন। জমোদগ্নি এবং রেণুকা কুঁড়ে ঘরে বাস করতেন। তাদের কাছে সুরভী হলে একটি গাভী ছিল, যার কাছে চাইলে সব কিছুই পাওয়া যেতো। এই সুরভী ছিল আসলে কামধেনুর মেয়ে। কার্তবীর্য অর্জুন (পাণ্ডব না) বলে একজন ক্ষত্রিও রাজা এই আশ্চর্য গাভীর কথা জানতে পারলে তিনি এটি পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং সেই উদ্দেশ্যে জমদাগ্নির দুয়ারে গিয়ে হাজির হন। জমদাগ্নির কাছে সেই গাভী দাবি করলে জমদাগ্নি রাজার প্রস্তাব নাকচ করেন। রাজা জোর করে সেই গাভী ছিনিয়ে নিয়ে যেতে চাইলে জমদগ্নি বাধা দিতে যান। রাজা কর্তবীর্য অর্জুন ঋষি জমদগ্নিকে হত্যা করেন এবং জোর পূর্বক গাভীটি হরণ করেন। বলা বাহুল্য এই গোটা ঘটনা ঘটাকালীন পরশুরাম তাঁর কুটিরে ছিলেন না। কুটিরে ফিরে তিনি পিতার মৃতদেহ দেখতে পান এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কুঠার ধারণ করেন এবং রাজা অর্জুনকে যুদ্ধে আমন্ত্রণ জানান। যুদ্ধে রাজাকে পরাজিত ও হত্যা করে পরশুরাম পিতার হত্যার প্রতিশোধ নেন। অর্জুনের মৃত্যুর খবর জানতে পারলে সমস্ত খত্রিয় রাজার একজোট হয়ে পরশুরামের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেন। পুরাণ মতে, একবার দুবার বা পাঁচবার নয়, পরশুরাম একুশবার পৃথিবী থেকে সমস্ত ক্ষত্রিয়দের নিশ্চিহ্ন করেন।

এবার তাহলে প্রশ্নটা আসতেই পারে, যে তাহলে এই টাঙ্গিনাথ ধামের সঙ্গে পুরাণের এই গল্পের কী সম্পর্ক! সম্পর্ক আছে! তাই তো এতো কথা। সমস্ত খত্রিয় নাশ করার পর পরশুরাম এক গহীন জঙ্গলে গিয়ে তার অস্ত্র রেখেছিলেন। সমস্ত গল্প গাথা এক করলে যা দাঁড়ায় সেটা হলো সেই জায়গা আর কোথাও নয়। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গুমলা জেলার মাঝগাঁও বলে এই জায়গাতেই পরশুরাম তার অস্ত্র, সেই বিশালাকার টাঙ্গি রেখেছিলেন। প্রমাণ? সেই আস্ত কুঠার খানা, অর্থাৎ সেই টাঙ্গিই এখনও বিরাজমান রয়েছে এখানে। সেই টাঙ্গির নাম অনুযায়ীই এই জায়গার নাম রাখা হয় টাঙ্গিনাথ ধাম। টাঙ্গিনাথ অর্থাৎ যিনি টাঙ্গি ধারণ করেন। টাঙ্গিনাথ ধাম মন্দিরের মূল দ্বারে প্রবেশ করে পাহাড়ি সিঁড়ি বেয়ে অনেকটা উঠে আসতে হয় মন্দিরের দিকে। সিঁড়ি বরাবর নীচের দিকে নেমে গেছে একটি পাহাড়ি ঝর্ণা! মন্দিরে পূজো দিতে যাওয়ার আগে ভক্তরা এই ঝর্ণার জলে স্নান করেন। ওপরে উঠে পোড় রয়েছে আরেকটা গেট। গেটের ভেতরে রয়েছে মূল মন্দির। মন্দিরের সামনেই রয়েছে গারদে ঘেরা একটা জায়গা। যেটার মাঝে রাখা রয়েছে সেই বিশালাকার কুঠার বা টাঙ্গি। এবং এই অস্ত্রই আমাদের মনে সেই ভাবনা বা চিন্তার উদ্রেক করে। এক নজরে দেখলে বোঝা যায় কুঠারের একটা অংশ রয়েছে মাটির ভেতরে, বাকি অংশ রয়েছে বাইরে। স্থানীয়দের বক্তব্য অনেক চেষ্টা করেও কেও কোনোদিন এই অস্ত্র মাটি থেকে তুলতে পারেনি। এবং এই অস্ত্র দেখলে মনে হয় যে কোনোভাবে খাপ ছাড়া অবস্থায় এটি রাখা রয়েছে। বিশেষ কোনো মন্ত্র বলে অথবা বিশেষ কোনও মানুষের ছোঁয়ায় হয়তো এই অস্ত্র আবার একত্রিত হয়ে তার আসল ফর্মে আসে। শুনতে শুনতে মনেহয় মার্ভেল বা ডিসি কমিক্সের সেই ঈশ্বরদের গল্প। সব থেকে আশ্চর্য লাগে দুটো কথা ভেবে। এক, এই বিশালাকার কুঠার আজকের দুনিয়ার কোনো মানুষের পক্ষে ধারণ করা বা হাতে তোলা কঠিন না, অসম্ভব ব্যাপার। দ্বিতীয়ত এতবড় লোহায় তৈরি একটা অস্ত্র এতদিন ঝড় বৃষ্টি বাতাসের মধ্যেমাটির ভেতরে গেঁথে থাকলেও কোথাও কোনো জায়গায় এত টুকু মরচে পড়েনি। এটাই সবথেকে আশ্চর্য হওয়ার মতো ব্যাপার। স্থানীয় তথা দূরদূরান্তের মানুষ বিশ্বাসে ভর করে এখানে আসেন, মনের অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করার আশা মনে রেখে প্রার্থনা করেন। বাবা টাঙ্গীনাথ সবার মনোকামনা পূরণ করেন সবাই এটা বিশ্বাস করে। জায়গাটার মধ্যেও অন্য ধরনের একটা আধ্যাত্মিক অনুভূতি পাওয়া যায়, যেটা কেও নিজে গিয়ে অনুভব না করলে বোঝা মুশকিল।

কারও কাছে মিথ, কারও কাছে লিজেন্ড। কেউ ভাবে ইতিহাস তো কেউ ভাবে কল্প পুরাণ! মোট কথা যার যাই বিশ্বাস হোক, টাঙ্গিনাথ ধাম আছে একগাদা প্রশ্ন নিয়ে। আস্থা বিশ্বাস সব এরপর নিজের নিজের ব্যাপার!

যাই হোক প্রচুর মানুষের তালিকায় থাকার ফলে আমাদের রাঁচি নেতারহাট বেতলা গ্রুপ ট্যুরের প্ল্যান এ এবার থেকে টাঙ্গিনাথ ধাম সাইটসিইং ও রাখা হচ্ছে।

গ্রুপ ট্যুর রয়েছে নিচের ডেট গুলোতে!

ডিসেম্বর 20-24
জানুয়ারি 11-15
ফেব্রুয়ারি 15-19
মার্চ 13-17

রাঁচি , নেতারহাট, বেতলা গ্রুপ ট্যুর নিয়ে জানতে আজকেই যোগাযোগ করুন আমাদের সঙ্গে।

Wings of Wild Tourism
Contact no: 7001064293/9475646510

এছাড়া আমাদের ওয়েবসাইটেও ডিটেলস পাবেন
www.wingsofwild.in

রাঁচি, নেতারহাট বেতলা ছাড়াও আমাদের ডমেস্টিক ও ইন্টারন্যাশনাল সমস্ত ধরনের কাস্টমাইজ ট্যুর করানো হয়।

#

fans

" উইঙ্গস অফ ওয়াইল্ড গ্রুপের সঙ্গে পুরুলিয়া ভ্রমণ "বেড়াতে যাওয়ার আগে আমাদের সামনে অনেক ধরণের সমস্যা এসে হাজির হয়। ধরু...
25/10/2024

" উইঙ্গস অফ ওয়াইল্ড গ্রুপের সঙ্গে পুরুলিয়া ভ্রমণ "

বেড়াতে যাওয়ার আগে আমাদের সামনে অনেক ধরণের সমস্যা এসে হাজির হয়। ধরুন পূজোর ছুটিতে অনেক গুলো প্ল্যান করেও শেষমেশ আপনি কোথাও যেতে পারেন নি? কর্মব্যস্ত জীবনেও একরকম একঘেয়েমি এসে গিয়েছে। মন যেন কয়েকদিনের ছুটি চাইছে। এদিকে হাতে বেশি সময় ও নেই! তাই বার বার ঘোরার প্ল্যান করেও বাদ দিতে হচ্ছে।

আবার কারো সমস্যা ধরুন এরকম, ঘুরতে যাওয়ার সদস্য মাত্র দুই বা তিনজন‌। নিজেরা ব্যবস্থা করে ঘুরতে গেলে একসঙ্গে অনেক গুলো টাকার ধাক্কা। ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছা ষোলো আনা থাকলেও আমাদের সবাইকে পকেটের দিকটাও মাথায় রেখে চলতে হয়। তাই এতসব সমস্যার কথা ভেবেই আমরা ঠিক করেছি আমাদের সদস্যদের নিয়ে এরপর বিভিন্ন জায়গার গ্রুপ ট্যুর রাখা হবে। সেই মতো আমরা আমাদের গ্রুপ ট্যুর গুলোর বিশদ তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।

নভেম্বর মাসের 21 থেকে 23 তারিখ আমরা যাচ্ছি পুরুলিয়ায়। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন যে আপনার মনের মনিকোঠায় এক দীর্ঘস্থায়ী ছবি তৈরী করবে একথা অনস্বীকার্য। তাই চলুন, অযোধ্যা পাহাড়, মুরগুমা, খয়রাবেড়া সহ গড়পঞ্চকোট, বড়ন্তি, জয়চন্ডি পাহাড় ঘুরে আসুন, আমাদের উইঙ্গস অফ ওয়াইল্ড ট্যুরিজম গ্রুপের সঙ্গে।

ট্যুর প্ল্যান: 20 তারিখ বুধবার হাওড়া স্টেশন থেকে রাতের হাওড়া - চক্রধরপুর এক্সপ্রেস ট্রেন উঠবো আমরা সবাই। আপনাদের সঙ্গে থাকবে আমাদের ট্যুর ম্যানেজার বা ক্যাপ্টেন। রাতের ট্রেনে চড়ে র ওনা দিয়ে সকাল সকাল আমরা নামবো পুরুলিয়া স্টেশনে। স্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে উঠে আমরা রওনা দেবো অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে। অযোধ্যা পাহাড়ের টপে থাকা হোটেলে হবে আমাদের থাকার ব্যবস্থা। হোটেলে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে চলে যাবো আজ অযোধ্যা পাহাড়ের নীচে থাকা বাঘমুন্ডি সংলগ্ন এলাকায়। এক এক করে দেখে নেবো ঠুর্গা লেক, খয়রাবেড়া লেক, ছৌ মুখোশের জন্য বিখ্যাত চড়িদা গ্রাম, পাখি পাহাড়,মাঠা পাহাড়, লহরিয়া শিব মন্দির ইত্যাদি। মাঝখানে হোটেলে দাঁড়িয়ে দুপুরের খাবার সেরে নেবো। সন্ধ্যায় হোটেলে ফিরে বনফায়ার ও‌ স্ন্যাক্স সহযোগে আড্ডা। তারপর ডিনার সেরে যে যার রুমে। পরদিন সকালে তাড়াতাড়ি উঠেই চলে যাবো উশুলডুংরি সানরাইজ পয়েন্টে সূর্যোদয় দেখার জন্য। তারপর হোটেলে ফিরে ব্রেকফাস্ট সেরে বেরিয়ে পড়বো সাইটসিয়িং এর জন্য। আপার ড্যাম, লোয়ার ড্যাম, বামনি ফলস, মার্বেল লেক দেখে ফিরে আসবো হোটেলে। দুপুরের খাওয়া সেরে একটু বিশ্রাম। তারপর বিকেলের দিকে দেখে নেবো ময়ুর পাহাড় ও মুরগুমা ড্যাম। হোটেলে ফিরে আসবো তাড়াতাড়িই। কারণ আজ সন্ধ্যায় থাকবে ছৌ নাচের ব্যবস্থা। অনুষ্ঠান শেষে রাতের খাওয়া সেরে আবার যে যার ঘরে। জিনিসপত্র গুছিয়ে রাখুন আজকেই। কারণ কাল সকালেই হোটেল ছাড়তে হবে। পরদিন সকাল সকাল ব্রেকফাস্ট সেরে অযোধ্যাকে বিদায় জানিয়ে গাড়ি ছুটবে গড়পঞ্চকোটের দিকে। মাঝে সত্যজিৎ রায়ের হীরক রাজার দেশের সেই বিখ্যাত জয়চন্ডি পাহাড়ের দর্শন মিলবে। সেখান থেকে বেরিয় দুপুরের খাবার সেরে চলে যাবো পাঞ্চেত ড্যাম ও গড়পঞ্চকোটের দিকে। সবার শেষে বড়ন্তি। শেষ বিকেলে সূর্যাস্তের সময় বড়ন্তিকে বড়োই মায়াবি লাগে। কিছুক্ষণ স্থির হয়ে নিশ্চিন্তে বসা যায় বড়ন্তি জলাধারের পাশে। তারপর ধীরে ধীরে সন্ধ্যা নামলে আমরাও উঠে পড়বো। এবার বিদায় জানানোর পালা পুরুলিয়াকে। আদ্রা স্টেশন থেকে আবার হাওড়া চক্রধরপুরে রিটার্ন। পরদিন সকাল সকাল হাওড়া।
এই হলো আপাতত আমাদের ট্যুর প্ল্যান।

✅ ট্যুরের সদস্য সংখ্যা: সর্বোচ্চ 24 জন। 24 জনের সিট বুক হয়ে গেলে আর বুকিং নেওয়া হবে না।

➡️ প্যাকেজ খরচ:
✅ 4999/- টাকা মাথা পিছু প্রতি ঘরে তিনজন থাকলে।
✅ 5299/- টাকা মাথাপিছু প্রতি ঘরে দু'জন থাকলে।
✅ 5499/- টাকা মাথাপিছু এসি রুম নিলে।

➡️প্যাকেজে যা যা থাকবে।
✅ পিক আপ-ড্রপ
✅ সাইটসিন
✅ পরিবার অনুযায়ী হোটেলে থাকার ব্যবস্থা
✅ প্রথমদিন ব্রেকফাস্ট থেকে শেষদিনের লাঞ্চ।
✅ বনফায়ার ও ছৌ নাচ

➡️প্যাকেজে যা যা থাকবে না
✅ যাতায়াতের জন্য ট্রেনের বা বাসের টিকিট(অতিরিক্ত খরচে উপলব্ধ)
✅ কোনো জায়গা টিকিট খরচ বা এন্ট্রি ফি।
✅ হোটেলে অতিরিক্ত খাবার/মিনারেল ওয়াটার/পানীয়ের খরচ।
✅ কুলি/টিপস/পোর্টার খরচ।

➡️ বুকিং পলিসি
✅50% অগ্রিম দিয়ে বুক করতে হবে।
✅ ট্যুর শুরু হবার সাত দিন আগে বাকি টাকা পে করতে হবে।

➡️ বাচ্চাদের খরচ
✅ 0-5 বছর বয়স হলে: কোনো খরচ লাগবে না।( গাড়িতে অতিরিক্ত সিট/হোটেলে খাবার থাকবে না)
✅ 5-8 বছর বয়স হলে: 50%
✅ 8 বছরের উর্ধ্বে হলে পুরো খরচ লাগবে।

বি.দ্র: চাইল্ড পলিসির সুবিধা নিতে চাইলে বাচ্চাদের বয়সের প্রমাণপত্র লাগবে।

➡️ক্যানসেলেশন পলিসি:
✅ 30 দিনের বেশি সময় থাকতে ক্যানসেল করলে: মোট খরচের 20%
✅ 30 থেকে 16 দিন সময় থাকতে ক্যানসেল করলে: মোট খরচের 35%
✅ 15 থেকে 8 দিন সময় থাকতে ক্যানসেল করলে: মোট খরচের 50%
✅ শেষ 7 দিনের ভেতর ক্যানসেল করলে: 100%

বি.দ্র: গেস্টদের তরফ থেকে অনিবার্য কারণ বশত ট্যুর ক্যান্সেল হলে সেক্ষেত্রে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে ন্যুনতম অতিরিক্ত খরচে একই ট্যুরে যোগ দেওয়ার সুযোগ থাকবে।

➡️ ট্যুর বুক করার আগে মাথায় রাখবেন।
✅ আমরা সবসময় আমাদের গেস্টদের সুবিধা অসুবিধার কথা মাথায় রেখে চলি।‌ তার জন্য প্রতিটি গ্রুপ ট্যুরে আমাদের টিম থেকে কোনো একজন অভিজ্ঞ সদস্য ট্যুর ম্যানেজার বা ক্যাপ্টেন হিসেবে থাকেন‌। ট্যুরে যাওয়া সমস্ত মেম্বার সহ ট্যুরের সমস্ত কিছুর দায়িত্ব সেই ক্যাপ্টেনের ওপরে থাকে। সুতরাং যে কোনো সময় যদি জরুরি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার থাকে সেক্ষেত্রে সেই ক্যাপ্টেন ই নেবেন। কেউ যদি তার কথা অমান্য করেন এবং নিজের ইচ্ছানুযায়ী চলার চেষ্টা করেন সেক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ তার জন্য কোনো দায় নেবে না। দরকার হলে সেই ব্যক্তির ট্যুর ক্যান্সেল ও করা হতে পারে।
✅ ট্যুর চলাকালীন নিজের লাগেজ সহ সমস্ত মূল্যবান দ্রব্য নিজের দায়িত্বে রাখবেন‌। আমাদের সমস্ত হোটেলে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো থাকে এবং রাস্তায় থাকাকালীন ড্রাইভার গাড়ির সামনে উপস্থিত থাকে। তবু সাবধানতা অবলম্বন করবেন।
✅বেশির ভাগ জায়গায় গ্রুপ ট্যুরের ক্ষেত্রে আমাদের টিম টেম্পো ট্র্যাভেলারে ট্যুর করায়। কিন্তু পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম সহ এরকম আরো কিছু অফবিট জায়গায় টেম্পো ট্র্যাভেলার না থাকায় স্করপিও বা বোলেরো গাড়িতে ট্যুর করানো হয়। এই ট্যুরেও বোলেরো বা স্করপিও গাড়ি থাকবে এবং প্রতিটি গাড়িতে ছ'জনের বসার ব্যবস্থা থাকবে। "First come , first serve" বেসিসে গাড়ির সিট অ্যালট করা হবে। বয়স্ক লোকজন অবশ্যই প্রেফারেন্স পাবেন।
✅ মনে রাখবেন আপনি একটা গ্রুপ ট্যুরে যাচ্ছেন। গ্রুপের সদস্যরা কেউ আপনার পরিচিত বা অপরিচিত হতে পারে।‌ পরিচিত হলে ভালো, অপরিচিত হলেই আপনার শত্রু হবে বা আপনার ক্ষতি চাইবে এই প্রকার মানসিকতা থাকলে আমাদের ট্যুর গুলো দয়া করে বর্জন করবেন।‌ আমরা বেড়াতে যাই মন ভালো করার উদ্দেশ্যে, পরিচিত অপরিচিত সবাইকে নিয়ে আনন্দ কয়েকটা দিন কাটাবো বলেই ট্যুরে যাওয়া। তাই পরিচিত হোক বা অপরিচিত, সবার প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভাব রেখেই চলবেন এই আশা রেখেই আমরা ট্যুরে বেরোবো।
✅ আমরা একটি পেশাদার সংস্থার হয়ে কাজ করি এবং এই কাজে পেশাদারীত্ব ও সততাই আমাদের মূলধন। তাই আপনাদের ট্যুর যাতে আনন্দদায়ক ও মনে রাখার মতো হয় তার জন্য আমরা সবদিক দিয়ে চেষ্টা করবো। যদি ট্যুরে কোথাও কোনো সমস্যা হয় তবে তার দায় জানবেন সামগ্রিক ভাবে আমাদেরই। তবু ব্যাপারটা যেহেতু পরিষেবা বিষয়ক তাই কোথাও একটা উনিশ বিশ হলেও হতে পারে, সেক্ষেত্রে আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে সেরকম কিছু হলে সঙ্গে সঙ্গে ট্যুর ম্যানেজারকে সে ব্যাপারে জানাতে। আমরা বিশ্বাস করি ভালো ব্যবহার এবং আলোচনার মাধ্যমে সবকিছুর সমাধান সম্ভব। অতীতের কয়েকটা ট্যুরে ছোটোখাটো ব্যাপারে কিছু অতিথিদের যে ভাবে অসভ্যতা করতে দেখেছি তাতে এই কথা মনে হলো আমাদের আগে থেকে জানানো দরকার। ছোটো খাটো ব্যাপার ধরে বিশৃঙ্খলা তৈরি করলে আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে বাকি সদস্যদের ট্যুরের আনন্দটাও মাটি হয়ে যায়। তাই আরেকবার বলছি, ছোটোখাটো ব্যাপারে আগে ম্যানেজারকে জানাবেন। আমরা ট্যুর চলাকালীন 24 ঘন্টা আপনাদের পরিষেবায় মজুত থাকবো।
✅ বুকিং করার আগেই সমস্ত ট্যুরের পুরো প্ল্যান সহ কোথায় কোন হোটেলে রাখা হবে, তার নাম, লোকেশন থেকে শুরু করে খাবারের মেনু সবকিছু আগে থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তাই আগে থেকে একশো শতাংশ নিশ্চিত হয়ে তবেই বুক করবেন।‌আগে কিছু না দেখে বুক করে গন্তব্যে গিয়ে সমালোচনা বা ঝামেলা করলে ব্যাপারটা আপনাদের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের জন্যেও বিড়ম্বনার‌ হবে।
✅ শেষ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এই গ্রুপ ট্যুর গুলো পারিবারিক পরিবেশ বজায় রেখে প্ল্যান করা হয় এবং এই ট্যুরগুলোতে বয়স্ক মানুষ ছাড়াও ছোটো বাচ্চা ও মহিলারা থাকেন। তাই এই ট্যুরগুলিতে মদ্যপান সহ যে কোনো রকমের মাদকদ্রব্যের ওপরে নিষেধাজ্ঞা থাকে। কাওকে এরকম কোনো বস্তু সেবন করতে বা বস্তু সমেত দেখা গেলে সাময়িক সতর্কীকরণ দেওয়া হবে। কিন্তু বাড়াবাড়ি হলে বা নিষেধাজ্ঞা না মানলে কর্তৃপক্ষ ট্যুর ক্যান্সেল ও করতে পারে।

বি.দ্র: ট্যুর চলাকালীন যে কোনো কারণবশত কোনো সদস্য ট্যুর ক্যান্সেল করলে কোনো টাকা ফেরত দেওয়া হবে না।

আশা করি ওপরের সমস্ত মন্তব্য পড়ে এই গ্রুপ ট্যুর সম্পর্কে আপনাদের ধারণা পরিস্কার হয়েছে।

তাহলে পুরুলিয়া ট্যুরে দেখা হচ্ছে আগামী 21 এ নভেম্বর। সবুজের মাঝে নিরালায় তিনটে দিন কাটিয়ে মন তো ভালো হবেই তার সাথে সাথে কদিনের জন্য মুক্তি পাবেন শহরের ট্রাফিক আর শব্দ দূষণের হাত থেকে।

তাহলে আর অপেক্ষা কিসের?
আজকেই কথা বলুন আমাদের ট্যুর কনসালটেন্টদের সঙ্গে। পুরুলিয়া সহ আরো অনেক জায়গার গ্রুপ ট্যুর রয়েছে আগামী দিনগুলোতে। অন্যান্য সমস্ত ট্যুরের তথ্য জানতে আমাদের ওয়েবসাইট চেক করতে পারেন।

যোগাযোগ করুন
Wings of Wild Tourism
ফোন নাম্বার: 070010 64293
মেইল আইডি: [email protected]
ওয়েবসাইট: www.wingsofwild.in

আমরা আছি,

কোলকাতা, রাঁচি ও পুরুলিয়ায়।

17/10/2024

প্রকৃতির লুকানো রত্ন!

সবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা। সকলে ভালো ও সুস্থ থাকবেন, মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।
13/10/2024

সবাইকে বিজয়া দশমীর শুভেচ্ছা। সকলে ভালো ও সুস্থ থাকবেন, মায়ের কাছে এই প্রার্থনা করি।

শুভ মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা সবাইকে।
11/10/2024

শুভ মহাষ্টমীর শুভেচ্ছা সবাইকে।

Team ❤️
11/10/2024

Team ❤️

30/09/2024

মা আসছেন!

দূরে চারিদিকে পাহাড়ের পরিখা, যেন সেইখানে পৃথিবী শেষ হইয়া গিয়াছে। সেই পরিখার নিম্নে গাঢ় ছায়া, অল্প অন্ধকার বলিলেও বল...
27/09/2024

দূরে চারিদিকে পাহাড়ের পরিখা, যেন সেইখানে পৃথিবী শেষ হইয়া গিয়াছে। সেই পরিখার নিম্নে গাঢ় ছায়া, অল্প অন্ধকার বলিলেও বলা‌যখয়। তাহার পর জঙ্গল ষ। জঙ্গল‌ নামিয়া কারণে স্পষ্ট হইয়াছে। জঙ্গলের মধ্যে দুই-একটি গ্রাম হইতে ধীরে ধীরে ধুম উঠিতেছে, কোনো গ্রাম হইতে হয়তো বিষন্নভাবে মাদল বাজিতেছে, তাহার পরে আমার তাঁবু, যেন একটি শ্বেত কপোতী, জঙ্গলের মধ্যে বসিয়া কী বাড়িতেছে। আমি অন্যমনস্কে এই সকল দেখিতাম; আর ভাবিতাম ' এই আমার দুনিয়া'।

"পালামৌ"
-সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

শতাব্দী পূর্বে সাহিত্যিক সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এইভাবেই নিজের লেখায় পালামু জঙ্গলের বর্ণনা দিয়েছেন। পালামু সহ ঝাড়খন্ডের সবুজে ভরা জায়গাগুলো আজ এতদিন পরেও পর্যটকদের কাছে সমান জনপ্রিয়। ঝাড়খণ্ড রাজ্য তৈরি হওয়ার অনেক আগে থেকেই পালামু, রাঁচি, হাজারিবাগ বিহারের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র রূপে খ্যাত। বাঙালি পর্যটকদেরও এই জায়গাগুলো নিয়ে নস্টালজিয়ার শেষ নেই। সত্যজিৎ রায় হোক বা বুদ্ধদেব গুহ, নিজেদের কাজকর্মে বারবার এই জায়গাগুলোর নাম ঘুরে ফিরে এসেছে । বর্তমান ঝাড়খন্ডের পাহাড় জঙ্গলের কোলে কয়েকটা দিন কাটিয়ে যাওয়া মানে শরীর আর মনে অন্যধরণের এক শান্তি খুঁজে পাওয়া। আগামী বর্ষা বা শীতে রোজকার ব্যস্ত জীবন থেকে বেরিয়ে কটা দিন শান্তিতে কাটাতে চাইলে অবশ্যই ঘুরে আসতে পারেন ঝাড়খণ্ড থেকে। ঘোরাঘুরির সঙ্গে সঙ্গে আদিবাসীদের জীবনযাত্রা ও তাদের ঐতিহ্য সংস্কৃতি যোগ করে বাড়তি আকর্ষণ। সঙ্গে রয়েছে আরণ্যক জীবনের হাতছানি। থাকার জন্য রয়েছে বেতলা, দলমা, মারোমার সহ বিভিন্ন জায়গায় বনদফতরের নিজস্ব পর্যটন আবাস। তার সঙ্গে বাড়তি আকর্ষন হিসেবে রয়েছে ট্রিহাউস। এছাড়া ঝাড়খণ্ড পর্যটন দফতরের নিজস্ব হোটেল রয়েছে, রয়েছে বিভিন্ন বেসরকারি হোটেল ও‌ রিসর্ট। সব জায়গায় রয়েছে খাওয়ার ব্যবস্থা। ঘোরার জন্য ঝাড়খণ্ডে বিভিন্ন সার্কিট রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে #রাঁচি_নেতারহাট_বেতলা_ম্যাকলাস্কিগঞ্জ, #ঘাটশিলা_গালুডি, #দলমা_চান্ডিল_জামশেদপুর, #দেওঘর_মধুপুর, #সারান্ডা_কিরিবুরু_মেঘাৎবুরু ইত্যাদি। আজকে থাকছে রাঁচি-নেতারহাট-বেতলা ও ম্যাকলাস্কিগঞ্জের প্যাকেজ।
চলুন আগে জেনে নি কোন কোন জায়গা আমাদের প্ল্যানে রয়েছে এবং সেখানে বিশেষ আকর্ষণ বলতে কি কি রয়েছে।

✅ রাঁচি: ঝাড়খণ্ডের রাজধানী এবং অন্যতম সেরা জায়গা হল #রাঁচি। জলপ্রপাতে ঘেরা এই শহরটিকে ভালোবেসে বলা হয় "সিটি অফ ওয়াটারফলস"। শহরের চারপাশে ঘিরে রয়েছে পাহাড়, জঙ্গল ও জলপ্রপাত। রাজ্যের যাবতীয় আধুনিক সুখ স্বাচ্ছন্দ্য রয়েছে এখানে।সমতলভূমি, মালভূমি ও পার্বত্য ভূমির সমন্বয় ও দেখা যায় এখানকার ভূমিরূপে। শহরে ভেতরে রয়েছে বেশ কিছু কৃত্রিম হ্রদ। তার মধ্যে অন্যতম হলো কাঁকে ও ধুরবা হ্রদ। হ্রদগুলিতে নৌচালনার সুবিধা রয়েছে। ধুরবা ড্যামের পাশে রয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দ্বারা তৈরী ওয়াটার পার্ক। এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যও অসাধারণ। কাঁখে জলাধারের পাশেই উঁচু পাথুরে টিলার উপর সাজানো রয়েছে 'রক গার্ডেন'। 1908 সালে রাঁচিতে বেড়াতে এসেছিলেন জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর। শহরের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে ‘মোরাবাদী পাহাড়’-এর উপর তিনি একটি বাড়ি তৈরি করেছিলেন। তারপর থেকেই সেই পাহাড়ের নাম হয়ে যায় 'টেগোর হিল'।এছাড়া শহরের ভেতরে রয়েছে বিখ্যাত কিছু মন্দির, পূজোর সময় যেগুলোতে ভক্তদের সমাগম ঘটে। সূর্য মন্দির, জগন্নাথ মন্দির,পাহাড়ি মন্দির, দেউড়ি মন্দির হলো রাঁচির কিছু বিখ্যাত মন্দির। শহরের পূর্ব দিকে রয়েছে বিরসা মুণ্ডা চিড়িয়াখানা।

#রাঁচি শহরের বাইরে আছে বেশ‌ কিছু জলপ্রপাত। দশম, হুড্রু, সীতা, জোনহা জলপ্রপাত হলো তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। রাঁচি শহর থেকে প্রায় 50 কিলোমিটার দূরে কাঞ্চি নদীকে ঘিরে রয়েছে দশম জলপ্রপাত। প্রায় দেড়শো ফিট উঁচু থেকে কাঞ্চির জল দশটি ধারায় বিভাজিত হয়ে পড়ছে সুবর্ণরেখার বুকে। জলের বুকে দেখা যায় রামধনুর সাতটি রং। পাহাড়, জঙ্গল মিলিয়ে দশম জলপ্রপাতের সৌন্দর্য অসাধারন। দুশো সিঁড়ি বেয়ে নেমে এখানে ভিউ পয়েন্ট পাওয়া যায়।

#রাঁচি থেকে উত্তর পূর্বে প্রায় 42 কিলোমিটার দূরে সুবর্ণরেখা নদীতে প্রায় 320 ফুট ওপর থেকে ঝরনা হয়ে নেমে এসেছে বিখ্যাত হুড্রু জলপ্রপাত। ঘোরানো পাথরের সিঁড়ি দিয়ে নদীতে নামা যায়। প্রায় সাতশো‌ সিঁড়ি রয়েছে এখানে। এখানে যাওয়ার পথে পড়ে গেতলসুদ বাঁধ।

#রাঁচি শহর থেকে প্রায় চল্লিশ কিলোমিটার দূরে রয়েছে জোনহা জলপ্রপাত। স্থানীয় ভাবে এটি গৌতম ধারা নামে বেশি জনপ্রিয়। গৌতম বুদ্ধের নাম অনুসারেই এই জলপ্রপাতের নাম দেওয়া হয়েছে। প্রায় সাড়ে চারশো পাথুরে সিঁড়ি ভেঙে জলের কাছে যাওয়া যায়। বর্ষাকালে ঝর্নার উত্তাল গতি থাকে, ভিউ পয়েন্ট অব্দি জলের ঝাপটা গায়ে এসে লাগে। ছবি তোলার জন্যও এই জলপ্রপাতগুলি বেশ আদর্শ। এছাড়া আরো অনেক দর্শনীয় জায়গা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে রাঁচি শহরের এদিক ওদিক।

✅নেতারহাট- ঝাড়খন্ডের পশ্চিম সীমান্তে রয়েছে #লাতেহার জেলা। জঙ্গল ও খনিজে ভরপুর এই জেলায় রয়েছে ঝাড়খন্ডের সবথেকে সুন্দর জায়গা, নেতারহাট। ভালোবেসে এই জায়গাকে বলা হয় ছোটোনাগপুরের রানি। নেতারহাটের চারপাশটা ঘুরে দেখলে বোঝা যায় কেন একে ছোটো নাগপুরের রাণী বলা‌ হয়। একবার এলে বারবার আসতে ইচ্ছে করে। রাজধানী রাঁচি থেকে এর দূরত্ব প্রায় একশো ষাট কিলোমিটার। তিনদিন হোক বা পাঁচদিন অথবা এক সপ্তাহ, প্ল্যানে একটা বা দুটো দিন #নেতারহাট এর জন্য রাখতেই হবে‌। দেখার মধ্যে রয়েছে কোয়েল নদী ভিউ পয়েন্ট, পাইনের বন, ন্যাসপাতি বাগান, নেতারহাট রেসিডেন্সিয়াল স্কুল, ঘাঘরি ফল। দশ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ম্যাগনোলিয়া সানসেট পয়েন্ট, যা দীর্ঘ দিন ধরে বয়ে চলেছে এক অসম্পূর্ণ প্রেমের স্মৃতি। অসাধারণ সুন্দর এই জায়গা।অদূরেই রয়েছে অঞ্জন গ্রাম। ধর্মীয় বিশ্বাস, এই গ্রামেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন রামায়ণের বীর হনুমান। নেতারহাট থেকে প্রায় 65 কিলোমিটার দূরের জঙ্গল রয়েছে ঝাড়খন্ডের দ্বিতীয় উচ্চতম জলপ্রপাত লোধ জলপ্রপাত।

✅বেতলা: লাতেহার জেলাতেই রয়েছে ঝাড়খন্ডের অন্যতম আরেকটি আকর্ষণ বেতলা অভয়ারণ্য। নেতারহাট থেকে প্রায় একশো কিমি দূরে রয়েছে বেতলা‌। একটা দিন রাখতে হবে বেতলার জন্য। নেতারহাট থেকে বেতলা যাওয়ার পথে দেখা যায় মারোমার,কেচকি সঙ্গম, পালামু ফোর্ট। কেচকি সঙ্গমের কাছেই রয়েছে সত্যজিৎ রায়ের "অরণ্যের দিনরাত্রি" খ্যাত সেই বিখ্যাত বাংলো। এছাড়া বেতলা ফরেস্টের ভেতরে সাফারির সুবিধাও রয়েছে। বাইসন, হরিণ, ময়ূর সহ বিভিন্ন প্রাণী রয়েছে জঙ্গলের ভেতরে। বেতলা ফরেস্টের ভেতরে থাকার জন্য বনদফতরের নিজস্ব আবাস ও‌ ট্রিহাউস রয়েছে।

✅ ম্যাকলাস্কিগঞ্জ
ঝাড়খণ্ডের নিরিবিলি অ্যাংলো-সাহেবি পাড়া ম্যাকলাস্কিগঞ্জ, যাকে মিনি স্কটল্যান্ড ও বলা‌ হয়ে থাকে। এখানকার আবহাওয়া ও ভূমিরূপের জন্যই তৎকালীন ব্রিটিশ সাহেবরা নিজেদের ছুটি কাটানোর ঠিকানা রূপে এই জায়গাকে বেছে নিয়েছিলেন। পরে কিছু অ্যাংলো‌ ইন্ডিয়ান‌ পরিবার এসে এখানে পাকাপাকিভাবে বসবাস শুরু করেন। তবে ভারত স্বাধীন হওয়ার পর তারা অনেকেই ইউরোপ বা অস্ট্রেলিয়া চলে যান। বাংলা সাহিত্যে বিশেষ করে বুদ্ধদেব গুহর লেখায় বার বার এসেছে ম্যাকলাস্কিগঞ্জ। এখানে রয়েছে সাহেবদের পুরোনো বাংলো বাড়ি, সবুজমোড়া জঙ্গল আর নিস্তব্ধতা। ম্যাকলাস্কিগঞ্জের পাশেই রয়েছে চট্টি নদী। বর্তমানে এই অঞ্চলে মূলত বসবাস করেন মুণ্ডা, ওঁরাও আদিবাসী মানুষরা। জঙ্গল ছাড়াও রযেছে ডেগাডেগি নদী এবং কুমারপাত্র নদী। কুমারপাত্র নদীর কাছে রয়েছে অপূর্ব কলোরাডো ভূমিরূপ। হেসালাং ওয়াচ টাওয়ার থেকে ম্যাকলাস্কিগঞ্জের অপূর্ব ভিউ দেখা যায়। গাড়ি ভাড়া করে এই গঞ্জ ভালোমতো ঘুরে আসা যায়। এখানকার দুল্লি গ্রামটি পায়ে হেঁটে ঘুরে আসা যায়। মায়াপুর জঙ্গল ভেদ করে নাট্টা পাহাড় ঘুরে আসা যায়। এছাড়া রয়েছে জাগৃতি বিহার, সর্বধর্মস্থল, ক্রিশ্চিয়ান সিমেট্রি, সেভেন্থ ডে চার্চ। তবে এতকিছু এক্সপ্লোর করতে হলে ম্যাকলাস্কিগঞ্জেও একদিন থাকতেই হবে। অবশ্য গোটা ঝাড়খণ্ড ঘুরতে না চাইলে শুধু ম্যাকলাস্কিগঞ্জেই একটা পুরো উইকেন্ড কাটিয়ে দেওয়া যায়।

✅ রাঁচি, নেতারহাট, বেতলা ও ম্যাকলাস্কিগঞ্জ নিয়ে মোটামুটি পাঁচ থেকে সাত দিনের একটা প্ল্যান হতে পারে। রাঁচির সমস্ত ফলস ও দর্শনীয় স্থানগুলোর সঙ্গে পুরো নেতারহাট, বেতলা ও ম্যাকলাস্কিগঞ্জ ঘুরে শেষ করা সম্ভব।

✅ আনুমানিক প্যাকেজ খরচ:
পাঁচদিন/চার রাতের জন্য
➡️ 9999/ মাথাপিছু, কমপক্ষে চারজনের জন্য।
➡️ 8999/ মাথাপিছু, কমপক্ষে ছয়জনের জন্য।
➡️ 8199/ মাথাপিছু, কমপক্ষে আটজনের জন্য।

পাঁচদিন/চার রাতের জন্য
➡️ 11999/ মাথাপিছু, কমপক্ষে চারজনের জন্য।
➡️ 10999/ মাথাপিছু, কমপক্ষে ছয়জনের জন্য।
➡️ 9999/ মাথাপিছু, কমপক্ষে আটজনের জন্য।

✅প্যাকেজে যা যা থাকে: রাঁচি স্টেশন থেকে পিক আপ ও স্টেশনে ড্রপ, প্যাকেজ অনুযায়ী স্ট্যান্ডার্ড অথবা সেমি ডিলাক্স হোটেলে থাকার ব্যবস্থা, প্রতিদিন ব্রেকফাস্ট ও ডিনার অথবা ব্রেকফাস্, লাঞ্চ ও ডিনার (প্যাকেজ অনুযায়ী), গ্রুপ অনুযায়ী সেডান অথবা এস.ইউ.ভি গাড়িতে সাইটসিন( পার্কিং ও টোল ইনক্লুড)।

❎প্যাকেজে যা যা থাকে না: ট্রেন/‌বাস/ প্লেনের টিকিট, প্যাকেজ পানীয়, অন্য কোনো পানীয়, কোনো জায়গায় এন্ট্রি ফি বা গেট পাস এবং প্যাকেজে না থাকা বাকি সবকিছু।

✅ বুকিং পলিসি: বুকিং এর সময় 50% এডভান্স পেমেন্ট। বাকি 50% প্রথমদিন হোটেলে চেক ইন করার পর‌।

✅ ক্যানসেলেশন‌ পলিসি:
➡️এক মাস বা তার বেশি সময় থাকতে বুকিং ক্যানসেল‌ করলে: প্যাকেজের 20% কাটা হবে‌।
➡️ 30-20 দিন সময় থাকলে: প্যাকেজের 30 % কাটা হবে‌।
➡️ 20-10 দিন সময় থাকলে: প্যাকেজের 40% কাটা হবে। অর্থাৎ বুকিং এমাউন্ট পুরোটাই কেটে নেওয়া হবে।
➡️ 10 দিন বা তার কম সময় থাকলে: 50% অর্থাৎ পুরো বুকিং এমাউন্ট কেটে নেওয়া হবে।

✅ বাচ্চাদের খরচ
➡️0-5 বছর বয়স হলে: কোনো খরচ লাগবে না‌।
➡️5-8 বছর: 50%
➡️ 8+ : পুরো খরচ লাগবে।

✅✅ ওপরের প্যাকেজ ছাড়াও ওপরে জায়গাগুলো নিয়ে কাস্টোমাইজ প্ল্যানের অপশন রয়েছে। অর্থাৎ আপনি চাইলেই রাঁচি বা নেতারহাট অথবা শুধু রাঁচি কিংবা শুধু নেতারহাট বা আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোনো প্ল্যান করতে পারেন, সেক্ষেত্রে আপনি দিনসংখ্যাও নিজের মতো করে বাড়িয়ে বা কমিয়ে নিতে পারেন।

✅✅ ওপরের জায়গা গুলো ছাড়াও ঘাটশিলা, দেওঘর, উড়িষ্যা, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া-বিষ্ণুপুর, দীঘা-মন্দারমণি, দার্জিলিং অফবিট, সুন্দরবন, গোয়া, আন্দামান-নিকোবরের প্যাকেজ ও রয়েছে।

✅✅✅✅✅ বিশদে জানতে/বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুন।

Wings of Wild Tourism Wings of Wild Tourism
Contact No- 7001064293
Whatsapp No- 070010 64293

Head Office: Raghabpur more, Purulia
Nera Reliance smart, WB 723101

Branch Office: Tagore hill road, Morabadi
Ranchi, Jharkhand, 834005

Branch Office: Sec V, Salt Lake City, Kolkata
West Bengal

E-Mail: [email protected]
Website: www.wingsofwild.in

বেলপাহাড়ি, যা ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলমহলের অন্যতম সুন্দর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার, প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য ...
24/09/2024

বেলপাহাড়ি, যা ঝাড়গ্রাম জেলার জঙ্গলমহলের অন্যতম সুন্দর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আধার, প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য একটি অনন্য গন্তব্য। এখানে ঘুরে দেখার কয়েকটি প্রধান আকর্ষণ নিচে উল্লেখ করা হল:

১. গাডরাসিনি পাহাড় (Gadrasini Hill)

বেলপাহাড়ির অন্যতম সুন্দর এবং উচ্চতম পাহাড়। পাহাড়ের চূড়া থেকে বিস্তৃত বনাঞ্চল এবং নদীর অসাধারণ দৃশ্য দেখা যায়।

গাডরাসিনি পাহাড়ে ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা দারুণ এবং এর পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবে।

২. খন্দারানি লেক (Khandarani Lake)

একটি শান্ত ও মনোরম লেক যা প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য আদর্শ স্থান। লেকের আশপাশে পিকনিক করার সুবিধা রয়েছে।

এখানে জলক্রীড়া এবং মাছ ধরার অভিজ্ঞতা নিতে পারেন।

৩. ঘাঘরা জলপ্রপাত (Ghaghra Waterfall)

বেলপাহাড়ির আশেপাশে অবস্থিত এই সুন্দর জলপ্রপাতটি ভ্রমণকারীদের জন্য অন্যতম আকর্ষণ। এখানে বসে প্রকৃতির শব্দ এবং জলপ্রপাতের শীতল হাওয়া উপভোগ করা যায়।

বর্ষার সময় ঘাঘরা জলপ্রপাতের সৌন্দর্য যেন আরও বেশি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।

৪. কাঁকরাঝোর মন্দির (Kankraja Temple)

ঐতিহাসিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব সম্পন্ন একটি প্রাচীন মন্দির। এটি স্থানীয় মানুষের ভক্তির কেন্দ্রবিন্দু এবং একটি দর্শনীয় স্থান।

এই মন্দিরটি প্রাচীন স্থাপত্য এবং সংস্কৃতির জন্য বিখ্যাত।

৫. দুলুং নদী (Dulung River)

বেলপাহাড়ির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত একটি চমৎকার নদী যা এখানকার প্রকৃতির সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি করে।

দুলুং নদীর তীরে বসে প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার একটি মনোরম অনুভূতি পাবেন।

৬. কাঁকরাঝোর বন (Kankrajhor Forest)

কাঁকরাজোর বন বেলপাহাড়ির সবচেয়ে মনোমুগ্ধকর স্থানগুলির মধ্যে একটি, যেখানে বিভিন্ন প্রজাতির বন্যপ্রাণী এবং গাছপালা দেখতে পাওয়া যায়।

ট্রেকিং বা প্রকৃতির মাঝে হেঁটে চলার জন্য আদর্শ স্থান।

বেলপাহাড়ি ভ্রমণ প্রকৃতির প্রতি গভীর ভালোবাসা এবং শান্তি খুঁজে পাওয়ার জন্য চমৎকার গন্তব্য। ঝাড়গ্রাম সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন ট্র্যাভেল প্যাকেজ বুক করার জন্য যোগাযোগ করুন।

Wings of Wild Tourism
Contact number: 7001064293/9475646510
Email ID: [email protected]
Website: www.wingsofwild.in

24/09/2024

Visit Meghalaya with us,
Book now
Call 7001064293/9475646510
Log on to www.wingsofwild.in

Wings of Wild Tourism

পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য বিহার। এই বিহারেই আছে বৌদ্ধদের পীঠস্থান বোধগয়া। মূল শহর গয়া হিন্দুদের ও তীর্থস্থান।‌ প্রতিবছর...
24/09/2024

পশ্চিমবঙ্গের পড়শি রাজ্য বিহার। এই বিহারেই আছে বৌদ্ধদের পীঠস্থান বোধগয়া। মূল শহর গয়া হিন্দুদের ও তীর্থস্থান।‌ প্রতিবছর বহু মানুষ এখানে নিজের পূর্বপুরুষদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে পিন্ডদান করতে যান। ত্রিপুরাসুরের ছেলে গয়াসুরের নামানুসারেই এই জায়গায় নাম রাখা হয়। ঐতিহাসিক দিক দিয়ে দেখলেও এই জায়গার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রাচীন মগধ সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ ছিল এই জায়গা। ব্রক্ষ্মযোনী, রামশিলা ও প্রেতশিলা এই তিনটি পাহাড় দিয়ে ঘেরা রয়েছে গয়া শহর। গয়া থেকে বুদ্ধগয়ার দূরত্ব খুব একটা বেশি নয়। গয়া থেকে বোধগয়া যাওয়ার পথে দুদিকের রাস্তা, প্রকৃতি, পাহাড়ের সারি মনকে মুগ্ধ করবেই করবে। নেপালের লুম্বিনীতে গৌতম বুদ্ধের জন্ম হয়, সেখানে থেকে যুবক বয়সে বাড়ি থেকে বার হয়ে সিদ্ধিলাভ করেন, তারপর বারাণসীর অদূরে সারনাথে বৌদ্ধধর্মের প্রথম প্রচার করেন, গোরখপুরের কাছে কুশীনগরে মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন এবং বোধ গয়ায় তিনি বুদ্ধত্ব অর্থাৎ মোক্ষলাভ করেন। তাই এই চারটি জায়গা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে বিশেষ গুরুত্ব পেয়ে থাকে। প্রতিবছর অসংখ্য বিদেশি পর্যটক তথা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের আগমন হয় এখানে। কথিত আছে একটানা ৪৯ দিন অশ্বত্থ গাছের নীচে বসে তপস্যা করে বৈশাখী পূর্ণিমার দিন সিদ্ধার্থ সিদ্ধি লাভ করেন। তারপর থেকে সেই দিনটিকে বুদ্ধপূর্ণিমা বলা হয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জায়গা গুলোর চেহারা পরিবর্তন হয়েছে, নাম ও পরিবর্তন হয়েছে। তবে পর্যটনের দিক দিয়ে দেখতে গেলে গয়া ও বোধগয়া হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের কাছে এখনো অত্যন্ত প্রিয় একটা জায়গা হিসেবে খ্যাত। এখান থেকেই চাইলে রাজগীর, নালন্দা ও শাশারামের মতো জায়গা গুলো ঘুরে নেওয়া যায়।

কীভাবে যাবেন: কোলকাতা থেকে গয়া বা বোধগয়ার দূরত্ব প্রায় 450 কিমি। সড়কপথে যেরকম যাওয়া যায় তেমনি রেলপথ ও আকাশপথেও যাওয়ার সুবিধা রয়েছে। হাওড়া থেকে একাধিক ট্রেন রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি ট্রেনের মধ্যে যোধপুর এক্সপ্রেস, যোধপুর সুপার ফাস্ট, দুন এক্সপ্রেস, হাওড়া মুম্বাই মেইল রয়েছে। এগুলো সব রাতের বেলা ছেড়ে সকাল আটটা নটার দিকে গয়া পৌঁছায়। শেয়ালদা থেকেও আজমের সুপার ফাস্ট রয়েছে। ফ্লাইটে কোলকাতা থেকে গেলে সোজা গয়া এয়ারপোর্টে নামতে পারবেন।

থাকার ব্যবস্থা: গয়ার রাস্তাঘাট আপাতভাবে দেখতে হলে একটু ঘিঞ্জি। কিছু জায়গা ততোটা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন না। স্বরাজপুরী রোডের ওপর বেশ কিছু ভালো হোটেল আছে। বাজেট থেকে ডিলাক্স সব রকম রুম পাবেন। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানেও থাকার ব্যবস্থা করে নিতে পারেন। তুলনামূলক ভাবে একটু ভালো থাকার জায়গা চাইলে বোধগয়া বেটার। এখানে আপনি ভালো থেকে বিলাসবহুল রিসর্ট সব অপশন পাবেন।

কি কি দেখবেন?
হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশির ভাগ মানুষ গয়া পিন্ড দানের উদ্দেশ্যে যান। সেক্ষেত্রে যদি আপনারা নিজেরা যান তাহলে ভারত সেবাশ্রমের মাধ্যমে সবকিছু করার চেষ্টা করবেন। গয়ায় বিভিন্ন মন্দির রয়েছে যার মধ্যে মঙ্গলা গৌরী মন্দির, বিষ্ণুপদ মন্দির, কোটেশ্বরনাথ মন্দির, রামশিলা মন্দির উল্লেখযোগ্য। এছাড়া এখানে বৌদ্ধদের বেশ কিছু মঠ রয়েছে। এখানেই ফাল্গু নদী রয়েছে।

বোধগয়ায় সবথেকে আকর্ষনীয় জায়গা হলো মহাবোধি টেম্পল। এখানেই রয়েছে গ্রেট বুদ্ধা স্ট্যাচু, বোধি বৃক্ষ রয়েছে এখানেই। যদিও এই বোধি বৃক্ষ আসল নয়। তবে আজ থেকে প্রায় 2500 বছর আগে যে গাছের তলায় বসে গৌতম বুদ্ধ নির্বাণ লাভ করেছিলেন এটি ঐ গাছের ই শাখা বলে কথিত আছে। এখানে থাই মনাস্টারি, রয়্যাল ভূটান মনাস্টারির মতো বেশ কিছু বৌদ্ধ মঠ আছে। বুদ্ধরাম মন্দির, ডুঙ্গেশ্বরী পাহাড়, মুকালিন্দা লেক, আর্কিওলজিক্যাল সোসাইটির মিউজিয়াম মিস করবেন‌ না।

রাজগির গেলে বিশ্ব শান্তি স্তূপ, পান্ডু পোখর, বেনু বন, অশোক স্তূপ, হিউয়েন সাঙ মেমোরিয়াল, অজাতশত্রু ফোর্ট, বিম্বিসার জেল দেখবেন। রাজগীরের শেষতম সংযোজন হলো রাজগীর গ্লাস ব্রিজ। রাজগির গেলে এ জায়গা অবশ্যই যাবেন।

নালন্দায় দেখার মধ্যে আছে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধ্বংসাবশেষ, সারিপূত্র স্তূপ, নালন্দা মিউজিয়াম, জুয়ানজাং মেমোরিয়াল, ব্ল্যাক বুদ্ধ টেম্পল ইত্যাদি।

এর সঙ্গে চাইলে আপনারা একদিন অতিরিক্ত যোগ করে ঘুরে আসতে পারেন সাসারাম। যেখানে শাহ বংশের প্রতিষ্ঠাতা ও জি.টি রোডের প্রতিষ্ঠাতা শের শাহের সমাধি রয়েছে।

মোটমাট হাতে চার পাঁচদিন সময় যদি থাকে এবং একটু অন্যধরনের ভ্রমণের স্বাদ নিতে চান তাহলে বোধগয়া রাজগির নালন্দা আপনার পরের গন্তব্য হতে পারে। ইতিহাস যারা ভালোবাসেন তাদের জন্য তো এই জায়গা বিশেষ রূপে গুরুত্বপূর্ণ। তাহলে এর পর যদি ঘোরার প্ল্যান করেন তাহলে অবশ্যই নালন্দা রাজগীরের কথা ভেবে দেখবেন।

ভ্রমন সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তা বা ট্যুর প্যাকেজ বুকিং এর জন্য আমাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারেন।

Wings of Wild Tourism ,
Contact number: 7001064293/9475646510
Email ID: [email protected]
Website: www.wingsogwild.in

Address

C/20, Bapuji Nagar, Jadavpur
Kolkata
700092

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Chhutir Thikana-ছুটির ঠিকানা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share