22/05/2024
Kashmir A Heaven On Earth.
· Srinagar ·
#কাশ্মীরের_কিছু_অদেখা_অফবিট_জায়গা ❤️❤️
Some Offbeat Places Of Kashmir ❤️ ❤️
ভ্রমন পিপাসু
কাশ্মীর কে যে জন্নত বলা হয় সেটা একদমই সত্যি। কাশ্মীরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এমন সুন্দর সুন্দর জায়গা যার সৌন্দর্যকে ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। কাশ্মীরের এরকম কিছু লুকিয়ে থাকা জায়গা নিয়ে আলোচনা করবো এই পোস্টে , যে জায়গা গুলো এখনো পর্যটনদের পা সেভাবে পড়ে নি, আসুন তাহলে জেনে নি ভূস্বর্গের সেইসব অজানা জায়গা গুলো....
1. #লোলাব_ভ্যালি ও #কালারুশ_দুর্গ :- কাশ্মীরের কূপওয়ারা জেলায় অবস্থিত কাশ্মীরের অন্যতম সুন্দর জায়গা /অঞ্চল এই লোলাব ভ্যালি যাকে স্থানীয়রা বাদি-এ-লোলাব বলে থাকে।
লোলাব ভ্যালি বিখ্যাত তার সুন্দর সুন্দর সবুজ তৃণভূমি অঞ্চল, বিভিন্ন ঝিল (উলার হৃদ ট্রেক) এবং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিভিন্ন ধরণের ফলের গাছের জন্য বিখ্যাত। এই ভ্যালিতে আরু, খোয়ানী, চেরি, আপেল, আখরোটের মত ফলের গাছ খুব বেশি পরিমাণে পাওয়া যায়। এই ঘাঁটি চারিদিক প্রাকৃতিক আকর্ষন দ্বারা ঘেরা, তাই আপনি ভিড়ভাড় থেকে মুক্ত হয়ে শান্ত পরিবেশে এক থেকে দু দিন কাটাতে পারবেন।
লোলাব ভ্যালির আরো একটি আকর্ষণীয় জায়গা হলো কালারুশ গুহা। কুপওয়ারা জেলার মাধমাদু গ্রামের কাছে অবস্থিত একটি বিশাল পাথরের অংশ আসলে এটি গুহা। গুহায় সাতটি দরজা থেকেই এর নাম হয়েছে 'সাতবারন' এর ওখানকার মানুষের বিশ্বাস ও দাবি যে এই সাতটি পথই গিয়ে শেষ হয়েছে রাশিয়ায়, সেই বিশ্বাস থেকেই এর নাম দেওয়া হয়েছে কিলা-ই-রুস বা কালারুশ। একটু ট্রেক করে আপনাদের এই গুহার মুখ পর্যন্ত যেতে হবে।
শ্রীনগর থেকে প্রায় ৮৫ কি.মি দূরে অবস্থিত এই কূপওয়ারা, আর কূপওয়ারা থেকে ৮-৯ কি.মি দূরে এই লোলাব ভ্যালি। আপনি চাইলে শ্রীনগর থেকে গাড়ি ভাড়া করে সোপোর হয়ে এখানে পৌঁছে যেতে পারেন খুব সহজে সময় লাগবে প্রায় ২ ঘণ্টার কিছু বেশি। এছাড়া আপনি চাইলে বাসে ও আসতে পারেন কূপওয়ারা, তারপর কূপওয়ারা শহর থেকে গাড়ি ভাড়া করে আসে পাশে ঘুরে নিতে পারেন। থাকার অপশন খুব কম এখানে। যদিও J&K সরকারের ট্যুরিস্ট বাংলো এবং এক দুটো আরো বাংলো থাকার জন্য আপনারা পেয়ে যাবেন, এ ছাড়াও গ্রাম গুলিতে জিজ্ঞেস করলে হোমস্টে পেয়ে যেতে পারেন।
2. #দুধপাথরী :- পর্যটকরা কাশ্মীরে এসে গুলমার্গ, শোনমার্গ থেকে প্যাহেলগাম গেলেও এই জায়গাটিকে কেনো বাদ দেয় সেটা আমিও বলতে পারবো না। এই সুন্দর জায়গাটির নাম হলো দুধপাথরী বা দ্যা ভ্যালি অফ মিল্ক বলে। এই জায়গার সৌন্দর্য্য কিন্তু কোনো মতেই বাকি জায়গা গুলো থেকে কম না। চারদিক দিয়ে পাহাড় ও পাইন গাছ দিয়ে ঘেরা বিশাল বিস্তৃত সবুজের গালিচা, এবং তার মধ্যেই শয়ে শয়ে ভেড়ার পাল সত্যি দেখে অবাক হয়ে যাবেন। আপনি এখানে পৌঁছনোর পর আরো কিছু স্পটে ঘুরে নিতে পারেন কিন্তু তার জন্য আপনাকে হেঁটে অথবা ঘোড়া ভাড়া করতে হবে। ঘোড়াওয়ালা সাথে একটু ভালো মতোই দরদাম করতে হবে এবং কিছুটা সময় অপেক্ষা করলেই দেখতে পাবেন ঘোড়াওয়ালা আপনাকে ৮০০ টাকাতেই আপনাদের নিয়ে যাবে কারণ পর্যটক এখানে একটু কম, যদিও এখন অনেকেই আসছে এখানে। দেখার মত কিছু ঝর্ণা, দুধগঙ্গা নদী প্রভৃতি দেখতে পাবেন।
শ্রীনগর থেকে এখানে আসা খুব সোজা মাত্র ৪০ কি.মি দূরে এই জায়গাটি, খালি একটি গাড়ি ভাড়া করতে হবে আপনাদের তাহলেই হল।
3. #ইউসমার্গ :- ইউসমার্গ/Yusmarg, যার অর্থ হলো The Meadow Of Jesus, ইউসমার্গ নামটা এসেছে যীশু খ্রিস্টের প্রকৃত নাম Yashua থেকে। যার অবস্থান কাশ্মীরের বডগাম জেলায়, কাশ্মীরের আরো একটি সুন্দরতম অফবিট জায়গা।
ইউসমার্গ এমন একটা জায়গা যেখানে না আছে কোনো কোলাহল, না যানবাহনের শব্দ। শুধু আছে নিস্তব্ধতা, শান্তির পরিবেশ। কয়েক কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত সবুজ চারনভূমিতে বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিতে পারেন। ইউসমার্গ থেকে কয়েকটি ছোটো এবং বড় ট্রেক রুটও আছে। একটি হল দুধগঙ্গা ট্রেক, মোটামোটি দুঘন্টা সময় লাগে, এবং নীলনাগ ট্রেক যেটি করতে মোটামোটি ৩-৪ ঘন্টা সময় লেগে যায়। এই দুটি ট্রেক ছাড়া বাকি ট্রেকগুলি করতে আপনাকে এখানে থাকতে হবে, কিন্তু এখানে থাকার অপশন একদমই নেই, একটি খালি JKTDC গেস্ট হাউস আছে।
ইউসমার্গ হল একদিনের ডে ট্যুর জন্য ঠিক আছে, এখানে রাত্রিবাসের একদমই প্রয়োজন নেই। শ্রীনগর থেকে একটি গাড়ি ভাড়া করে দিনে দিনে ঘুরে নিতে পারেন, শ্রীনগর থেকে এর দুরত্ব প্রায় ৫০ কি.মি। সবচেয়ে বেস্ট সময় এখানে আসার এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর।
4. #গুরেজ_ভ্যালি :- কাশ্মীরের আরো একটা অজানা, অদেখা জায়গা নিয়ে এবার আলোচনা করবো যার নাম হলো গুরেজ ভ্যালি, যা অবস্থিত বন্দিপোতা জেলার একদম LOC লাগোয়া বর্ডার এলাকায় ৮০০০ ফিট উচ্চতায়। এই গুরেজ একদমই Untouch, মোটামোটি বিচ্ছিন্ন একটা এলাকা, নভেম্বর মাস থেকে একদমই বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই এলাকা। মাত্র কয়েকবছর আগেও এই এলাকার নাম ও কাশ্মীরের বাইরের কেউই জানতো না, বর্তমানে কিছু কিছু ট্যুরিস্ট এখানে আসা শুরু করেছে। সরকার থেকেও এই এলাকার পর্যটনের বিকাশের জন্য অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই এলাকাকে প্রমোট করার জন্য সরকার থেকে বর্তমানে Go-Gurez ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান আর্মি থেকেও আগে গুরেজ আসার জন্য অনেক পারমিট চেকপোস্টের ব্যাপার ছিল এখন সব উঠিয়ে আরো আসা সহজ করে দিয়েছে। আপনাকে এখন মাত্র ৩টে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে হবে এখানে আসার জন্য, কারণ এখানকার সৌন্দর্য এতোটাই একবার আসলে ফিরে যেতে সত্যিই ইচ্ছে করবে না।
গুরেজ আসলে আপনি একদিনের জন্য ডে ট্যুর করতে পারবেন না, কারণ এই গুরেজ ভ্যালি শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ১৪০ কি.মি দূরে, শ্রীনগর থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে এখানে পৌঁছতে প্রায় ৫ ঘন্টা লেগে যাবে কারণ রাস্তা সব জায়গায় এতোটা ভালো অবস্থায় নেই। যদিও রাস্তা তৈরি হচ্ছে রাস্তায় যেতে যেতে দেখে নেবেন কাশ্মীরের বিখ্যাত উলার লেক। এখানে আপনারা ২-৩ দিন কাটাতে পারেন। আপনাকে গুরেজ আসতে হলে রাজদান পাস অতিক্রম করতে হবে যা শ্রীনগর - গুরেজ রোডের সর্বোচ্চ স্থান, এই রাজদান পাস শীতে বরফের জন্য একদমই বন্ধ হয়ে যায়, যারফলে গুরেজের সাথে যোগাযোগ একদমই বিচ্ছিন্ন থাকে। রাজদান পাস অতিক্রম করে আপনি পৌঁছে যাবেন গুরেজ ভ্যালিতে।গুরেজ ভ্যালির প্রধান শহর বা মেন এরিয়া যাই বলুন না কেনো সেটা হলো ডেবর/Dewar, এই ডেবরকে কেন্দ্র করেই এবং থেকে আপনাকে গোটা ভ্যালিটা ঘুরতে হবে, গুরেজ ভ্যালি অবস্থিত কিশনগঙ্গা নদী পাশেই একদম, এই কিশনগঙ্গা নদীই পাকিস্তানে নীলম নদী নামে পরিচিত, কিছুদূর এগিয়ে এই নদী POK এবং কাশ্মীরের মধ্যে LOC হিসেবে কাজ করছে, পাকিস্তানে নীলম নামে একটি জেলার আছে। এই কিশনগঙ্গা নদীই এই ভ্যালির সৌন্দর্যকে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। এই গুরেজ ভ্যালি কিন্তু POK গিলগিট থেকে বেশী দূরে না, তাই গিলগিট অঞ্চলের ভাষা, পোষাক, সংস্কৃতির সাথে এই অঞ্চলের অনেক মিল আছে।
#গুরেজ_ভ্যালিতে_কি_কি_দেখবেন ? এই অঞ্চলকে ভালো করে এক্সফ্লোর করতে আপনাকে আপনাকে এই অঞ্চলে দুটো দিন ভালো করে দিতে হবে। প্রথমত এখানে ১৪-১৫ টি গ্রাম আছে গোটা ভ্যালিতে, সব গ্রামতো আর দেখা সম্ভব না, প্রথমত কিশনগঙ্গা নদী ও দুপাশের এলাকা এখানকার প্রধান আকর্ষন, এছাড়াও আপনি এখানকার বিখ্যাত হাব্বা খাতুন নামে একটি খুবই আলাদা পাহাড় আছে ওটা দেখতে পারেন, হাব্বা খাতুন একজন কাশ্মীরের কবি, এর একটা আলাদা ইতিহাস আছে। এই হাব্বা খাতুন পাহাড়ের পাশেই আছে হাব্বা খাতুন ঝর্ণা যেটা খুবই সুন্দর, এবং এটি গিয়ে মিশেছে পার্শ্ববর্তী কিশনগঙ্গা নদীতে, এছাড়া আপনারা যদি আরো একদিন থাকতে চান তাহলে এখান থেকে তুলেল ভ্যালি যেতে পারেন এবং শেষে বাদোয়াব পর্যন্ত পারেন, বর্ডারের খুব কাছে যাওয়া যায় যার জন্য আর্মির পারমিশন নিতে হবে।
গুরেজ ঘুরতে হলে দেবর হল প্রধান জায়গা, এখানে JKTDC গেস্টহাউস, কিছু হোটেল এবং হোমস্টে পেয়ে যাবেন, অগ্রিম বুকিং কোনো দরকার নেই, যদিও আপনারা ফোন করে শুনে নিতে পারেন আমি কিছু হোটেল নাম্বার নীচে দিয়ে দিচ্ছি -
1. হাজী গেস্টহাউস রেস্টুরেন্ট - 07006797703
2.Disson ECO lodge, mastan road, dewar.
3.কাকা প্যালেস গেস্ট হাউস।
4. Friends Enclave Residential Hut- 08825009298
5. Wood vibes - 09103365551.
5. #চটপল :- দক্ষিণ কাশ্মীরের অনন্তনাগ জেলায় অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ছোট্ট সুন্দর একটি গ্রাম চটপল। এই গ্রামে যদি আপনি আসেন তাহলে পর্যটকদের একদমই দেখতে পাবেন, একদমই হিডেন একটি জায়গা এই চটপল তার সাথে সুন্দর সুন্দর সব সুউচ্চ পর্বতের ভিউ সবুজে ঢাকা পুরো এলাকা, চারনভূমি ভেড়ার পাল, পরিষ্কার নদীর ধারা যা আপনাকে একটি আলাদাই জগতের অনুভব করাবে। এখানে এসে আপনার যা ইচ্ছা, সেটাই করতে পারবেন, যেমন ভাবে প্রকৃতিকে উপভোগ করতে চাইলে করতে পারবেন এতোটাই নিরিবিলি জায়গা এই চটপল।
চটপলে মোটামোটি ২,৩ ঘন্টা ঘুরলেই যথেষ্ট, আপনি চাইলে এখানে থাকতেও পারেন একটা রাত যার জন্য JKTDC এর কটেজ পেয়ে যাবেন কমের মধ্যে, চটপল দেখে নিয়ে আসে পাশের কিছু জায়গাও একসাথে ওইদিনই দেখে নিতে পারেন - যেমন একটি জায়গা হলো - আচাবল গার্ডেন,এছাড়াও কোকরনাগ, ৪৮ কিমি দূরে অবস্থিত ভেরিনাগ, এবং আপনি চাইলে ডাকসুম ও যেতে পারেন, এও সব গুলো জায়গা দেখার জন্য আপনার আরো একটা এক্সট্রা দিন লেগে যাবে।
শ্রীনগর থেকে এই চটপলের প্রায় ৮৫-৯০ কিমি, পাবলিক বাসে না এসে সবচেয়ে ভালো একটা গাড়ি রিজার্ভ করে নিয়ে শ্রীনগর থেকে এখানে চলে আসুন।
6. #দাচিগাম_ন্যাশনাল_পার্ক : - শ্রীনগরের খুব কাছেই কাশ্মীরের আরো একটি অদেখা জায়গা হলো এই দাচিগাম ন্যাশনাল পার্ক। এই ন্যাশনাল পার্ক প্রধানত বিখ্যাত হাঙ্গুল বা কাশ্মীরী হরিন এর জন্য, এবং হিমালয়ান ব্ল্যাক বিয়ার এছাড়াও এখানে ৫০০ ধরণের Specis পেয়ে যাবেন। এখানে আসার সবচেয়ে ভালো সময় এপ্রিল থেকে আগস্ট এমনি আপনি সারাবছরই এখানে আসতে পারেন। শ্রীনগর থেকে গাড়ি রিজার্ভ করে সোজা এখানে চলে আসতে পারেন।
7. ্রেক ( Kashmir great Lakes) :- আমাদের দেশের অন্যতম সেরা ট্রেক রুটের মধ্যে একটি - এই KGL ট্রেক ( Kashmir great Lakes)
কাশ্মীর গ্রেট লেক ট্রেক হল একটি 7 দিনের ট্রেক যা আপনাকে কাশ্মীর হিমালয়ের কেন্দ্রস্থলে নিয়ে যাবে। ট্রেকটি পাঁচটি উপত্যকা এবং ছয়টি আলপাইন হ্রদের মধ্য দিয়ে যায়, যা তুষার-ঢাকা পর্বত, তৃণভূমি এবং স্ফটিক-স্বচ্ছ জলের অত্যাশ্চর্য দৃশ্য দেখায়। এই ট্রেকটি শুরু হয় জনপ্রিয় পর্যটনস্থল - শোনমার্গ থেকে শ্রীনগর থেকে যার দূরত্ব - 90 কিমি।
ট্রেকের প্রথম দিন গন্তব্যস্থল নিচনাই গ্রাম, পরের দিন, ট্রেকের ছয়টি হ্রদের মধ্যে প্রথম, বিষ্ণুসার লেকে উঠে যায়।ট্রেকের পরের কয়েক দিনের মধ্যে আপনি , কৃষ্ণসার, গদসার, সাতসার এবং গঙ্গাবাল উপত্যকার মধ্য দিয়ে চড়াই উৎরাই পেরিয়ে ঝিলাম নদীর তীরে অবস্থিত একটি গ্রাম নারানাগে যাত্রার শেষ হবে, এরপর গাড়ি ধরে শ্রীনগর ব্যাক।
বর্ষাকাল এই ট্রেকের জন্য আদর্শ সময়, কাশ্মীর গ্রেট লেক ট্রেক কাশ্মীর হিমালয়ের সৌন্দর্য অনুভব করার একটি দুর্দান্ত উপায়। এই অঞ্চলের সংস্কৃতি এবং ইতিহাস সম্পর্কে জানার জন্য ট্রেকটিও একটি ভাল সুযোগ।
8. #ওয়ারওয়ান_ভ্যালি_ট্রেক :- কাশ্মীরের আরো একটি খুবই সুন্দর ট্রেক রুট হল এই ওয়ারওয়ান ভ্যালি ট্রেক। ১৪০০০ ফিট উচ্চতার এই ট্রেক প্রায় ৭৪ কিমি দীর্ঘ। এই ট্রেকে চলতে চলতে একসাথেই উপভোগ করতে পারবেন - বিস্তৃত সবুজ বেলাভূমি, ঝর্না, হিমবাহ, বরফে ঢাকা সুউচ্চ পর্বত, খরস্রোতা বয়ে চলা নদী, বিভিন্ন আঞ্চলিক ফুলের সমারোহ প্রভৃতি, আর সবচেয়ে ভালো ব্যাপার এই ট্রেক পর্যটকদের সংখ্যার একদমই কম অনেকটা নির্জন শান্ত পরিবেশ পেয়ে যাবেন।
কাশ্মীরের কিস্তওয়ার জেলায় অবস্থিত এই ওয়ারওয়ান ভ্যালি, শ্রীনগর থেকে যার দূরত্ব প্রায় ১৫০ কিমি। এই ট্রেকে যাওয়ার জন্য আপনাকে বাইরোড সর্বপ্রথম পৌঁছতে হবে - পানিখারে
পানিখারে একদিন রেস্ট নিয়ে পরের দিন থেকে আপনাদের ট্রেক শুরু হবে।
পানিখার থেকে ডেনোরা
ডেনোরা থেকে কালাপারি
কালাপারি থেকে Lomvilad Pass
কেইন্তল থেকে হামপেট
হামপেট থেকে শুখনাই
শুখনাই থেকে Choudraiman
Choudraiman থেকে বাইরোড শ্রীনগর।
এই নয় দিন ছাড়াও আসা যাওয়ার জন্য আরো ৫ দিন ধরে রাখুন। এই ট্রেকে আসার আদর্শ সময় হলো বর্ষাতে আগস্ট, সেপ্টেম্বর কারণ এই সময়ে বরফে ঢাকা সুউচ্চ পর্বত গুলো দেখতে পাবেন, এছাড়াও সবুজে মোড়া সতেজ,সবুজ কাশ্মীরকে দেখতে পাবেন।
ধন্যবাদ, www.totaltravellers.com 🙏🙏