Himalayan Pride

Himalayan Pride Hold on to our HIMALAYAN PRIDE, s hands to emjoy the aroma of nature

কোলকাতার খুব কাছে। কি যাবেন নাকি?? ঘুরেই আসতে পারেন কিন্তু ঝটিকা সফরে। বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারেন এই লিংকে https://...
21/07/2021

কোলকাতার খুব কাছে। কি যাবেন নাকি?? ঘুরেই আসতে পারেন কিন্তু ঝটিকা সফরে। বিস্তারিত জানতে ঘুরে আসতে পারেন এই লিংকে
https://youtu.be/Rumg4qM79b4

DESCRIPTIONHi friends this is our chanel ROVER PALASH. This is BORTIR BILL's video,a mopst beautiful place in west bengal,a offbeat place near kolka...

https://youtu.be/hHM3NFX3CcQ
18/07/2021

https://youtu.be/hHM3NFX3CcQ

Hi Friends this is my 3rd vlog of my chanel rover palash. This is Basirhat Andulpota video.In this video I will try to show about andulpota basirhat,Near...

 # #  OF FLOWER # # #===================বন্ধুরা এই লকডাউনে জীবন টা অসহ্য হয়ে উঠেছে। তাই ভাবছিলাম কোথায় বেরোবো,কবে বেরোবো...
04/07/2021

# # OF FLOWER # # #
===================
বন্ধুরা এই লকডাউনে জীবন টা অসহ্য হয়ে উঠেছে। তাই ভাবছিলাম কোথায় বেরোবো,কবে বেরোবো? চলে এলো সুযোগ। তাই ঠিক করলাম আর বসে থাকা নয়। আগামী ৩ রা আগষ্ট বেরোচ্ছি ভ্যালী অফ ফ্লাওয়ার।চলুন ঘুরে আসি সবাই মিলে, একটু পাহাড়ের সোদা গন্ধ গায়ে মেখে মেঘের সমুদ্রে নিজেকে ডুবিয়ে নিতে।

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~ ★★চাঁদীপুর থেকে দীঘা ★★★★★★তৃতীয় পর্ব ★★★★~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~...
09/06/2021

~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~

★★চাঁদীপুর থেকে দীঘা ★★
★★★★তৃতীয় পর্ব ★★★★
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
সেদিন পায়ে ব্যথার কারণে মাঝপথেই থেমে যেতে হয়েছিল। কিন্তু উপায় নেই বাকি পথে চলতে হবে সবাইকে সাথে নিয়ে। আপনারা সবাই আছেন তো? তাহলে শুরু করি। এসে তো পৌছালাম বাহবলপুর পোর্টে। বিশ্রামের জায়গা দেখা হল। ভুটভুটি আসতে এখনো অনেক দেরি। তারপর ওপারে কাসফল পৌঁছে লাঞ্চ তৈরি করে খেতে অনেক দেরি হবে, ততক্ষণে পাকস্থলী যুদ্ধ শুরু করে দেবে। অল্প কিছু বাজার করার বাকি ছিল। উদ্দীপ্ত দা বাজার করতে গেল কয়েকজনকে নিয়ে। ওকে বলে দিলাম বাজারে পেট ভরার মত কিছু পেলে নিজেরা খেয়ে বাকিদের জন্য পাঠাতে। একটু পরেই চলে এলো ঘুঘনি পরোটা। যাক পেটের তো শান্তি হলো। এবার একটু দেরিতে খাওয়া হলেও আপত্তি নেই। আজকের ও কালকে দুপুরের মতো রান্নার বাজার করে ফিরে এলো ওরা। এদিকে ভুটভুটি আসার সময় হয়ে গেছে। ঘাটে যেতে হবে। আবার সেই নোংরা নালাটা পেরোতে হবে। যার মাঝে একটা কাট একটা ইট দেওয়া..। খুব সাবধানে পা ফেলে পার হতে হবে। ডান পায়ের জায়গা বাম পা বাম পা এর জায়গায় ডান পা পড়লেই ফুট খানিক নোংরা কালো পাকে পা বিসর্জন অনিবার্য। সবাই সাবধানে মজা করতে করতেই পার হচ্ছিল। অল্পস্বল্প পাক সবার পায়ে লাগছিল। বড় ভুলটা করে বসল পপিতা। বুঝতেই পারছেন ওর মুখের ভঙ্গি টা তখন কেমন হওয়া উচিত। তাকে দেখে সকলেই হেসে লুটোপুটি। সবাই বেশ মজা করতে করতে ঘাটে পৌঁছানো হল। পপিতার কালিমালিপ্ত পা তার স্বমহিমায় ফিরল নদীর জলের স্পর্শে। মিনিট পনেরো অপেক্ষা করার পর নৌকা এলো। ওই নৌকা তে অার একটি টিম ছিল। যারা উল্টোদিক থেকে ট্রেক করে আসছে। পরিচয় বিনিময়ের সাথে সাথে নৌকা বিনিময় হলো। নৌকাতে উঠে আমরা নাচ গানে মেতে উঠলাম। কিছু পরে আরও একটা টিম এলো। তারাও যাবে ওপারে। নৌকা তে বসে বেশ মজাই হচ্ছিল নাচে-গানে আড্ডায়। একটু পরে মাঝে এসে ভুটভুটি ছাড়লো। নদীর বুক চিরে তীক্ষ্ণ আওয়াজ করতে করতে এগিয়ে চললো আমাদের ভুটভুটি অপর পারে স্বর্গ সুখের খোঁজে। অল্প স্রোত, ধীর গতিতে এগিয়ে চলছি আমরা। দুপারের দিকে অবাক দৃষ্টিতে চেয়ে আছি। জানিনা আমি ভুল কিনা। প্রকৃতি হয়তো দূর থেকে বেশি সুন্দর। দু'পারে সৌন্দর্য সত্যি অবর্ণনীয়। এরইমধ্যে কখন যে আমরা পাড়ে পৌছে গেলাম। নৌকাটা যেন বড্ড কম সময়ে নিল ঘাটে পৌঁছাতে। চলতি পথে মাঝির সাথে বেশ সখ্যতা গড়ে উঠলো। তিনি আমাদের পথ চিনিয়ে দেখিয়ে দিলেন। ক্যাম্প করার জায়গা সমুদ্রের তীরে উঁচু বালির ঢিপির উপর ঝাউবন, তারমধ্যে হবে আমাদের আজকের নৈশাবাসের ব্যবস্থা। ওই ঝাউবনের মধ্যেই ফাঁকা জায়গা দেখে আমরা আম টেন্ট পাতবো। সবাই স্যাক নামিয়ে ফেললাম। একদল লাগলো টেন্ট করতে। অন্য দল ঝটপট রান্নার কাজে হাত লাগালো। এরই মধ্যে উদ্দীপ্ত একটা বড় ভেটকি মাছ এনে হাজির কম দামে পেয়েছে সে। শুরু মাছ কাটার পর্ব। সবাই গোল হয়ে বসে গেল মাছ কাটতে। 5kg খয়রা মাছ, সে যেন আর শেষ হতেই চায় না। এরইমধ্যে টেন্ট পাতা শেষ। যতটা মাছ কাটা হয়েছে সেগুলো নিয়ে কয়েকজন টিউবয়েলে গেল মাছ ধুতে। সবাই যেন তখন কর্মে ব্যস্ত, কেবল পায়ের যন্ত্রণা নিয়ে বসে আছি। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম কাল শু পড়ে হাঁটবো। হঠাৎ নজর গেল সুভেন্দুর দিকে। সে দুটো ঝাউ গাছের সাথে দড়ি বেঁধে দোলনার ব্যবস্থা করেছে। সময়-সুযোগ মতো সবাই সেটাই চেপে একটু ছোটবেলা থেকে ঘুরে আসছে। হাজার ব্যস্ততার মধ্যেও বেশ আনন্দে কাটছে। এরইমধ্যে মাছ ধোয়া শেষ করে রান্না শেষ হলো তখন সন্ধ্যা হবো হবো। এমন সময় ডাল, মাছ ভাজা, মাছের ঝোলে উদরপূর্তি হলো। এবার সবাই যে যার মতো বিচের দিকে ঘুরতে গেল। আমরা কয়েকজন লেগে পড়লাম রাতের রান্নার জন্য। এবার শুধু চিংড়ি মাছের পকোড়া আর ভাত হবে। আস্তে আস্তে অন্ধকার ঘনিয়ে এলো। কপাল খারাপ তাই সূর্যাস্ত দেখা গেল না। হালকা কুয়াশা ছিল। একে একে ফিরলো সবাই। চা আর মুড়ি মাখার সাথে জমে উঠলো গানের আসর। বেশ জমজমাট ছিল ক্যাম্পসাইটস। গরম গরম চিংড়ি পাকোড়া ধীরে ধীরে উধাও হতে থাকলো। আজ সন্ধ্যের আগে দুপুরের খাবার খাওয়া হয়েঋে অনেক দেরিতে,তাই সকলের আবদার মেনে 11 টায় রাতের খাবার খাওয়া হবে। আপনাদের তো বলাই হল না। এরই মাঝে বিপত্তি ঘটিয়ে বসে ছিল গুগি(অভিজিত)। সে কখন কাউকে না বলে কোন দিকে চলে গেছিল। খোঁজ পড়তেই তাকে আর পাওয়া যাচ্ছে না। সেদিন একটু মানসিকভাবে টেনশনে ছিল সে। কিছু বিপত্তি ঘটলো নাতো? সবাই চিন্তিত হয়ে পড়লাম। সবদিকে খোঁজ চলছে। ডাকাডাকি শুরু হয়ে গেছে। তার খোঁজ নেই, আমি আর অমিত দা বেরোলাম বিচের দিকে। শুক্লপক্ষের সমুদ্র তটে সৌন্দর্যের বদলে নিশুতি রাতের নির্জনতায় আমাদেরকে পেয়ে বসলো।কেমন যেন একটা অনুভূতি। দিগন্ত বিস্তৃত শুধু বালুচর বড়ই নির্জন। ডাক দিতে লাগলাম গুগির নাম ধরে। কোন সাড়া নেই। অনেক ডাকার পর দূর থেকে একটা আলো জ্বলে উঠলো দুলতে দুলতে। ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। এবার একটু বেশি করেই ভয়টা পেয়ে বসলো।মাঝি রাতে বিচে যেতে বারন করেছিলো। না ভুতের নয়, মানুষের ভয়। লাইটটা এগোচ্ছে তো এগোচ্ছেই। কিছুতেই যেন কাছে আসছে না। বারবার ডাক দিচ্ছি, কোন সাড়া নেই। অবশেষে আমি আর অমিতদা ফিরতে বাধ্য হলাম না ক্যাম্পসাইটে। সে আসেনি। সবাই চিন্তিত। প্রায় মিনিট 15 পর তার আবির্ভাব। কোন কিছুই সে বলল না। জোর ও করা হলো না তাকে। যেহেতু ওর মানসিক অবস্থা ভালো নেই। ও ফিরতে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সবাই আবার বিচে গেল। আমার পায়ে ব্যথার জন্য ক্যাম্পে থেকে গেলাম। ওরা ফিরলে রান্নার জিনিসপত্র গুছিয়ে যে যার টেন্ট এ গেল। এবার যে ঘুমানোর পালা। আর নয় আজকে এই পর্যন্তই।

প্রথম পর্বের লিংক -https://m.facebook.com/groups/228568864881794/permalink/478028753269136/

দ্বিতীয় পর্বের লিংক - https://www.facebook.com/113540767227728/posts/262896078958862/

TRAIL MAKER ও HIMALAYAN PRIDE  একযোগে পৌঁছে গেল নামখানার ইশ্বরীপুর। সত্যিই দুর্দশায় কাটছে তাদের। সবাই ত্রান নিয়ে পৌছে যা...
08/06/2021

TRAIL MAKER ও HIMALAYAN PRIDE একযোগে পৌঁছে গেল নামখানার ইশ্বরীপুর। সত্যিই দুর্দশায় কাটছে তাদের। সবাই ত্রান নিয়ে পৌছে যাচ্ছে নাম করা জায়গা গুলোতে। ত্রান সবার ই প্রয়োজন। কিন্তু তুলনামূলক অপরিচিত জায়গা গুলোতে সেরকম ভাবে ত্রান পৌছাচ্ছে না। অনুরোধ রইলো যারা ত্রান নিয়ে যাবেন ভাবছেন ওদের কে একটু দেখুন।অার একটা কথা সম্ভব হলে নেতা দের এড়িয়ে চলুন। লোকাল লোক জন কারো সাথে যোগাযোগ থাকলে ত্রান টা তাদের মাধ্যমে দিন। কিছুটা হলেও সঠিক জায়গায় পৌঁছাতে পারবেন। এগিয়ে অাসুন পাশে দাড়ান ওদের।

  ****দ্বিতীয় পর্ব ****চাঁদীপুর থেকে দীঘা==========================================================গত পর্বে অনেক বকবক কর...
04/06/2021


****দ্বিতীয় পর্ব ****
চাঁদীপুর থেকে দীঘা
==========================================================
গত পর্বে অনেক বকবক করেছি। জানিনা আজ ধৈর্য ধরে সবটা পড়তে পারবেন কিনা, তবুও এক বুক আশা নিয়ে আবার চলে এলাম। অধৈর্য হয়ে গেলে লাঠি নিয়ে তাড়া করবেন না দয়া করে। গতরাতে সব জিনিস গুছিয়ে ঘুমাতে একটু দেরি হয়ে গেছিল তবুও আজ সকাল সকাল উঠতে হলো। আজকের গন্তব্য কাঁশাফল। মাঝে দুটো নদী পেরোতে হবে অবশ্যই তাদের সময় মেনে। সুতরাং সময়ের আগেই ঘাটগুলোতে পৌঁছাতে হবে। সকালে উঠে সবাই তাদের প্রাতঃক্রিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। এর মধ্যে আমরা চা বানিয়ে ফেললাম। চা খেয়ে রওনা দেব। এক এক করে সকলে এল। চা খেয়ে টেন্ট গোটানোর পর্ব শুরু হলো। এবার সমস্ত জিনিস কমবেশি করে সকল সদস্যের মধ্যে ভাগ করে দিয়ে শুরু হল হাটা। সবশেষে আমার স্যাক কাধে তুলতে গিয়ে বুঝলাম আজ আমার স্যাকটা অসম্ভব রকমের ভারী হয়েছে। কিছুই করার নেই। সকল সদস্যকে তার সাধ্যমত ওজনের জিনিস দেওয়া হয়েছে। সুতরাং তুললো ঝোলা চলল ভোলা। সকালে তখন সূর্য উঠছে। কুয়াশার চাদরে সূর্যি মামা এখনো নিজেকে ঢেকে রেখেছে। ঘুম যেন তার ভাঙতে চায় না। গুটি গুটি পায়ে হাটা শুরু। সদস্যরা অনেকটা এগিয়ে গেছে। আমরা তিন চার জন হাঁটতে শুরু করলাম সবার শেষে। শীতের সকালে হিমেল হাওয়া গায়ে মেখে বেশ ভালই লাগছে হাটতে।দূরে ডানদিকে সমুদ্র দেখা না দিলেও গম্ভীর গর্জন তার অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। একটু দ্রুত পা চালিয়ে এগিয়ে যাওয়া সদস্যদের ধরে নিলাম। চলতে শুরু করলাম সবাই পায়ে পা মিলিয়ে। কিছুটা এগিয়ে বাঁ দিক ঘুরতেই দূরে নজরে এলো একটা ছোট্ট জনপদ। এগোতে থাকলাম সেদিকে। ওইদিকেই বলরামগোড়ি ঘাট। পেরোবো বুড়িবালাম। চলতি পথে নজরে পড়লো একটা হসপিটাল। হাহাহা। যারা ঐ পথে গেছেন, এই লেখাটা এখন পড়ছেন, এতক্ষণ হয়তো ভাবা শুরু করেছেন কি পাগলের প্রলাপ বকছে মানুষটা। না না এমন ভাববেন না। হ্যাঁ জানি একটু সিট আছে মাথায়। নইলে এই পাগলামি করতে আসে কেউ। হ্যাঁ পাগল আমি তবে প্রলাপ বকার মত অতটা নই। ওটা নদী বা সমুদ্রের মৎস্য শিকারী নৌকা ও ট্রলারগুলো হসপিটাল। কত ধরনের রোগী সেখানে আছে। রোগা-মোটা, বয়স্ক, পূর্ণ যৌবন /যৌবন (লিঙ্গ জানা নেই) বলাই হল না, এদের আবার অপারেশন থিয়েটার আছে। একটু সময় ব্যয় করে দেখে নিলাম খোলা আকাশের নিচে কিভাবে চলছে একটা দৈত্য কার টলারের অপারেশন। না আর দেরি করবো না। চলুন এগোই। সময়মতো বাজার করে নৌকাতে পৌঁছাতে হবে। হাঁটতে হাঁটতে বাজার এর মধ্যে দিয়ে পৌঁছে গেলাম ঘাটে। নৌকা আসবে আটটায়। আমাদের তার মধ্যেই আজকের জোগাড় মাছ কিনে নিতে হবে। বাজারে ঢুকে অবাক কত রকমের কত নাম-না-জানা মাছ। কোন মাছ কেমন হবে খেতে জানিনা। তাই কিনতে ভরসা ও পাচ্ছিনা। তার মধ্যে থেকে একটু বুঝে মাছ কিনলে উদ্দীপ্ত দা। তিন রকম মাছ। একটাই নাম মনে আছে আমার খয়রা। থাক আজকের মত, চল ঘাটে যাই। নৌকার সময় হচ্ছে। আমরা ঘাট এ পৌঁছে দেখি অন্য সদস্যরা মহানন্দে ফটোসেশনে ব্যস্ত। নৌকা এলো হাটু সমান জলে হেঁটে নৌকা তে উঠতে হবে। অগত্যা পায়ের জুতো হাতে নিয়ে এক এক করে নৌকায় ওঠা হল। এক নতুন অভিজ্ঞতা। নৌকার ধারে লাগানো অস্থায়ী লোহার নড়বড়ে সিঁড়ি। হাত ধরে এক এক করে সবাইকে তোলা হল নৌকাতে। সব যাত্রীরা উঠলে ভুটভুটি টা তার কর্কশ কন্ঠে আওয়াজ করতে করতে এগিয়ে চললো অপর পাড়ের উদ্দেশ্যে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এসে পড়লাম এপারে। আবার সেই ভয়ানক সিড়িই ভরসা করেই নামতে হবে। ছোট ছোট বোল্ডার বাঁধানো ঘাট। একে অপরকে সাহায্য করে সবাই উঠে এলো নদীর পাড়ে। আবার শুরু হল পথ চলা। প্রতিবার স্যাক তোলার সময় সে আমাকে জানান দিচ্ছে তার ওজনের। হাটা শুরু হলো লাল ইটের রাস্তা দিয়ে। সকালের মনোরম আবহাওয়ার নেই। সূর্যি মামা কুয়াশার চাদর থেকে মুখ বার করেছে যে। বুড়িবালাম কে ডাইনে রেখে হাঁটছি আমরা। সকালে চা-বিস্কুট ছাড়া কিছুই খাওয়া হয়নি। এবার তো পাকস্থলী ডাক পেড়েছে। তার ডাকে সাড়া দিতেই হবে। খাবার আমাদের সাথেই আছে। দরকার সুবিধামতো জায়গা। হাঁটতে হাঁটতে বুড়িবালামের মোহনার কাছে একটা ঝাউবনে পৌছালাম। ছায়াঘেরা শীতল পরিবেশ বিশ্রাম খাবার জন্য উপযুক্ত। হ্যাঁ তবে এখানেই নামাও বস্তা পেটরা। একটু উদর পূর্তি উৎসব করা যাক। নামলো বস্তা পেটরা। শুরু হলো উৎসবের আয়োজন। তৈরি হল চা। সাথে চানাচুর স্যালাড সহযোগে মুড়ি মাখা। দারুণ জমে ছিল ভোজ টা। কেউ কেউ ছাতু খেলো।খাওয়া-দাওয়া পর্বের সাথে শেষ হলো বিশ্রাম পর্ব। এবার উঠতে হবে। এমা নন্দিনীদির আনা মিষ্টি খেতে হবে তো এখনো। বলা মাত্রই শেষ। এবার শুরু পথ চলা। কয়েক মিনিটেই আবার বিচে এসে পড়লাম। না তবে এবার সমুদ্র দূরে নয় কাছেই।সমুদ্রকে দেখতে দেখতে হাটতে থাকলাম। রোদ বেড়েছে। আমার স্যাকটা আজ প্রথম থেকেই ভোগাচ্ছে, একটু অস্বস্তি নিয়েই হাটছি। বেশ কিছুক্ষন হাটার পর আমার ডান পা হঠাৎ বাদ সাধল। পায়ের পাতার জয়েন্টের নিচে হঠাৎ অসহ্য যন্ত্রণা। কাউকে কিছু না বলে হেটে চলেছি, সমুদ্রতটে প্রকৃতির কারসাজি দেখতে দেখতে। বালির ওপর জলের ধারা বয়ে গিয়ে কত বৈচিত্র্যময় কারু। প্রত্যেকটা প্রত্যেকটা থেকে আলাদা। বলে বোঝাতে পারব না তার রূপের বর্ণনা। পায়ের ব্যথার থেকে মন সরিয়ে হাঁটছিলাম। না এবার আর পারা যাচ্ছে না। অগত্যা খুঁড়িয়ে চলা শুরু। ধরা পড়ে গেলাম সবার কাছে। রৌদ্র টাও চড়েছে, প্রচন্ড কষ্ট হচ্ছে। কষ্ট হলেও চেষ্টা করছি দ্রুত হাঁটার। খোঁড়াতে খোঁড়াতে অনেককে পিছনে ফেলে এগিয়ে গেলাম। আমার আগেও আছে দুজন কি তিনজন। সমুদ্রের ধারে একজনকে দেখে জিজ্ঞাসা করতে বলে দিলো, ওই দূরের ঝাউবনের শেষ দেখা যাচ্ছে, ওখান থেকে আর একটু এগোলে বাহবলপুর পোর্ট। ঘড়িতে নজর দিয়ে পিছনের সদস্যদের হাক পাড়লাম-" একটু জোরে চালাও তাহলে আগের নৌকাটা পাবো"। সবাই চেষ্টা করতে লাগল। আমার তখন পা অার সাথ দিচ্ছেনা। ঝাউবন আর শেষ হয়না। যত বাহবলপুরের দিকে এগোচ্ছি, সমুদ্রতট দূর থেকেই লাল দেখাচ্ছে। একটা দুটো করে সমুদ্রতট লাল কাঁকড়া ভরে যেতে থাকলো। অসাধারণ তার সৌন্দর্য। আমাদের এগোনোর সাথে সাথে তাদের দৌড়োদৌড়ি, ঝটপট গর্তে ঢুকে যাওয়া, দারুন সে খেলা দেখতে দেখতে এগোতে থাকলাম। অনেকটা বাঁক নিয়ে ঝাউবন শেষ হলো। না আর পারছি না। এবার স্যাকটা নামাতেই হবে। ঝাউবনে ঢুকে স্যাক নামিয়ে যন্ত্রণায় ছটফট করতে লাগলাম। আগে কয়েকবার ভোলিনি স্প্রে করেছি, আবারো করলাম। আর একটু এগোলেই বাহবলপুর ঘাট। কয়েকজন এগিয়ে গেছে। আমি স্যাক এবারে তুলতে পারলাম না। শুভেন্দু এগিয়ে এসে সাহায্য করল। বিশ্রাম নিয়ে কি ভুল করলাম? আস্তে আস্তে ঘাটে পৌছালাম ঘড়িতে তখন 12:15। নৌকা চলে গেছে। অগত্যা ঘন্টা দুয়েক পর পরবর্তী নৌকা ভরসা। ঘাটে ঝাঁ ঝা রৌদ্র। সম্ভব না ওখানে দাঁড়িয়ে থাকা। একটু দূরে বাজারের আগে ঝাউ বনের ছায়ায় বসব সবাই। সেইমতো এগোতে থাকলাম। একটা নোংরা নালা পেরিয়ে ঝাউবন পৌছালাম। ছায়া জায়গা খুঁজে ডাক দিলাম সবাইকে। এবার সত্যিই আর পারছিনা। স্যাক নামিয়ে ম্যাট পেতে শুয়ে পড়লাম। পৌছালাম বাহবলপুর পোর্টে।যেতে হবে ওপারে কাশাফল। প্রচন্ড যন্ত্রণা করছে পা। আজ এই পর্যন্ত থাক। পায়ের ব্যথা কমলে আবার আসছি। কিরে সুভেন্দু শেষে কি একটু ইউটিউবারদের মত বলে নেব? "ভালো লাগলে লাইক কমেন্ট শেয়ার করতে ভুলবেন না" আপনারা কেউ শুনেন নি তো? আমি কিন্তু জোরে বলিনি।

প্রথম পর্বের লিঙ্ক-
https://www.facebook.com/groups/228568864881794/permalink/478028753269trek

রোডেডেনড্রন এর রঙ মাখতে চলুন যাই সান্দাকফুর পথে।
26/02/2021

রোডেডেনড্রন এর রঙ মাখতে চলুন যাই সান্দাকফুর পথে।

★★গুরাসের জঙ্গলে পা মেলাতে★★××××××××××××××××××××××××××××গুরাস বিছানো৷ লাল কার্পেট মোড়া জঙ্গল পথে অামাদের এবারের গন্তব্য ...
15/02/2021

★★গুরাসের জঙ্গলে পা মেলাতে★★
××××××××××××××××××××××××××××

গুরাস বিছানো৷ লাল কার্পেট মোড়া জঙ্গল পথে অামাদের এবারের গন্তব্য রোডেডেনড্রন স্যাংচুয়ারি। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন হিলি ভার্সের মনোরম ট্রেক রুটে অামাদের এবারের পথ চলা। পা মেলাতে চান অামাদের সাথে? ভিড়ে যান অামাদের সাথে।

OUR TREK & TOUR CALENDER***********************************Purulia,Sandakphu,Hilley,VerseyCome and join with us
05/02/2021

OUR TREK & TOUR CALENDER
***********************************
Purulia,Sandakphu,Hilley,Versey
Come and join with us

★★গুরাসের জঙ্গলে পা মেলাতে★★××××××××××××××××××××××××××××গুরাস বিছানো৷ লাল কার্পেট মোড়া জঙ্গল পথে অামাদের এবারের গন্তব্য ...
02/02/2021

★★গুরাসের জঙ্গলে পা মেলাতে★★
××××××××××××××××××××××××××××

গুরাস বিছানো৷ লাল কার্পেট মোড়া জঙ্গল পথে অামাদের এবারের গন্তব্য রোডেডেনড্রন স্যাংচুয়ারি। হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন হিলি ভার্সের মনোরম ট্রেক রুটে অামাদের এবারের পথ চলা। পা মেলাতে চান অামাদের সাথে? ভিড়ে যান অামাদের সাথে।

=======অফবীট মিনি হিমালয় ট্রেক ও ট্যুর=======~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~একেবারে নতুন পথে এবার আমাদের যাত্রা...
01/02/2021

=======অফবীট মিনি হিমালয় ট্রেক ও ট্যুর=======
~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~~
একেবারে নতুন পথে এবার আমাদের যাত্রা। অনাঘ্রাত জঙ্গল পথে হেঁটে পৌঁছাবো অযোধ্যা রেঞ্জের শীর্ষ চামটাবুরুতে। শুধু পাহাড়, জঙ্গলের ডাক নয়, নদীর জলে পা ডুবিয়ে পৌঁছে যাব মাচ্ছকান্দা ফলস্। শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে জঙ্গল অভিযান নয়, আমাদের মিনি হিমালয়ের বুকে যেসব দর্শনীয় স্থান আছে সেগুলো আমার ঘুরে দেখব পায়ে হেঁটে ও গাড়িতে। ঘুরে দেখার তালিকা মোটেও কম নয় রয়েছে অপার ড্যাম,লোয়ার ড্যাম,বামনী ফলস্, টুর্গা ফলস্, সীতাকুণ্ড,কাঠের দূর্গা, ও অনন্য আকর্ষণীয় মুখোশ গ্ৰাম চাড়িদা।

∆ আমাদের থাকার জায়গা খয়রাবেড়া ড্যামের ধারে টেন্টে।
সাথে থাকছে বনফায়ার।
∆∆ যাত্রা সংক্ষেপ :
হাওড়া স্টেশন থেকে পৌঁছে যান বরাভূম স্টেশনে। সেখানে আপনাদের জন্য রাখা অপেক্ষারত গাড়িতে চেপে বসুন আর উপভোগ করতে থাকুন দুপাশের সৌন্দর্য। কখন যে পৌঁছে যাবেন বুঝতেই পারবেন না। তারপর আমরা চলব আমাদের নির্দিষ্ট সূচি অনুযায়ী

=======Team ======= HIMALAYAN PRIDE Successfully completed °°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°★★COASTAL TREK★★CHANDIPUR TO DIG...
28/01/2021

=======Team =======
HIMALAYAN PRIDE
Successfully completed
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
★★COASTAL TREK★★
CHANDIPUR TO DIGHA
THANKS TO ALL MEMBER
23 to 26 January 2021

==================================দুয়ার খুলে একটুখানি বাহির যখন হলে,তোমার রঙের খেলায় অামার মন রাঙিয়ে দিলে। =============...
19/01/2021

==================================
দুয়ার খুলে একটুখানি বাহির যখন হলে,
তোমার রঙের খেলায় অামার মন রাঙিয়ে দিলে।
==================================
ধোত্রে - টংলু ট্রেক, ১১-০১-২০২১
৷৷৷৷।।৷৷ হিমালয়ান প্রাইড ।।।।।।।।

07/01/2021

HIMALAYAN PRIDE টিম সফল ভাবে ফোকটেদাড়া ট্রেক সম্পন্ন করে শ্রীখোলা নদীর ধারে camp fire এর মজায়।
Team Himalayan Pride Successfully completed photkedara trek.
Enjoying campfire, beside srikhola river

*****************************************************************                                                       ...
04/01/2021

*****************************************************************
PHOKTEYDARA,
SINGALILA TOP
SUCCESSFUL SUMMIT BY TEAM HIMALAYAN PRIDE.
27-12-2020 TO 01-01-2021
*****************************************************************

COASTAL TREK******************পাহাড় প্রেমী মানুষের মনে হঠাৎ স্বাদ জাগল নোনা বালিতে চলার ।সাগরে ভিজে নোনা বালিতে হাঁটতে ...
24/12/2020

COASTAL TREK
******************
পাহাড় প্রেমী মানুষের মনে হঠাৎ স্বাদ জাগল নোনা বালিতে চলার ।সাগরে ভিজে নোনা বালিতে হাঁটতে চলুন আমাদের সাথে । চাঁদিপুর থেকে দীঘা। পুরোটাই সমুদ্রকে পাশে রেখে হাটবো। আমরা দেখব সূর্যোদয় ,সূর্যাস্ত, ঢেউয়ের খেলা ,বালিতে নানান আঁকি-বুকি ।বিভিন্ন রঙের ঝিনুক ও সংকেত শঙ্খের দেখা পাবো পথের মাঝে ।সাথে দেখা হবে লাল কাঁকড়া ভরা সী বিচ ।
প্রথম দিন
**********
আজ আমরা চাঁদিপুরে রাত্রি যাপন করব তাবুতে ।পরদিন সকালে হাটা শুরু করব । ঊষাকালে সূর্যের প্রতিফলনে সমুদ্রের জলের রক্তিম আভার সাথে এগিয়ে চলবো আমরা। গন্তব্য কাসাফল । পথে পড়বে বুড়িবালাম নদী । পুরো যাত্রাতেই আমরা টেন্টে থাকবো । নিজেরা রান্না করে খাব। বলতে পারেন সার্ভাইবাল ক্যাম্প।
চাঁদীপুর থেকে দুইবার নদী পেরিয়ে আমরা পৌঁছাব কাসাফল। পথে সমুদ্রের পাড় থেকে কুড়িয়ে নেব রঙিন ঝিনুক। দ্বিতীয় দিন
***********
এদিন আমরা কাসাফল থেকে যাত্রা শুরু করব খুব সকালে। আজকে আমাদের গন্তব্য দোগারা। সমস্ত রাস্তাতেই সমুদ্রকে আমরা ডান দিকে রেখে এগিয়ে চলবো ।দেখব ঢেউয়ের খেলা ।
তৃতীয় দিন
*********
সকালের রক্তিম আলোয় স্নান করতে করতে দোগারা থেকে যাত্রা শুরু করে আমরা পৌঁছে যাব চন্দনেশ্বর/দীঘা। রাত্রি বাস হোটেলে/ টেন্ট। ( বিকালে ঘুরে আসুন দিঘা থেকে)।

দীঘা/চন্দনেশ্বরে রাত কাটিয়ে সমুদ্রের স্মৃতি নিয়ে পরদিন আবার ফিরবো যান্ত্রিক জীবনে। মনের মনিকোঠায় থাকবে নোনা বালি তীর ধরে হেঁটে আসার অমূল্য মুহূর্তগুলো।

ধোত্রের সূর্যোদয়৩০/১১/২০২০
19/12/2020

ধোত্রের সূর্যোদয়
৩০/১১/২০২০

TEAM HIMALAYA PRIDE AT DHOTREY VIEW POINT
08/12/2020

TEAM HIMALAYA PRIDE AT DHOTREY VIEW POINT

কুহু চললো।সান্দাকফুর পথেনভেম্বর ২০২০
29/11/2020

কুহু চললো।
সান্দাকফুর পথে
নভেম্বর ২০২০

নতুন টেন্ট।একটু বাড়িতে বকা শুনলাম
26/11/2020

নতুন টেন্ট।একটু বাড়িতে বকা শুনলাম

কালাপোখরির স্মৃতি গুলো pc- AVIJIT HALDAR
22/11/2020

কালাপোখরির স্মৃতি গুলো
pc- AVIJIT HALDAR

শ্রীখোলার পথে চা বিরতিতে ০২-১১-২০২০
19/11/2020

শ্রীখোলার পথে চা বিরতিতে
০২-১১-২০২০

কেদারতালের পথে।
16/11/2020

কেদারতালের পথে।

,মোহময়ী ধোত্রে
10/11/2020

,মোহময়ী ধোত্রে

Our tent at tonglu.
09/11/2020

Our tent at tonglu.

TEAM HIMALAYAN PRIDE AT AAHL02-11-2020
09/11/2020

TEAM HIMALAYAN PRIDE AT AAHL
02-11-2020

Address

North 24 Parganas
743401

Telephone

9734588003

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Himalayan Pride posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Himalayan Pride:

Videos

Share

Category


Other North 24 Parganas travel agencies

Show All