31/12/2022
# # # # # # # # সুন্দরবন ভ্রমণসূচি # # # # # # # #
(প্রথম দিন) : হাসনাবাদ লঞ্চ ঘাট থেকে সকালে যাত্রা শুরু। চা বা কফির সাথে সকালের জলখাবার খেতে খেতে এগিয়ে চলা পৃথিবীর সবথেকে বড় ম্যানগ্রোভ অরণ্য সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে। ডাসা,কালিন্দী,মাতলা, রায়মঙ্গল প্রভৃতি নদী ধরে ভাসতে ভাসতে আমরা দুপুরের আহার সেরে নেবো আর উপভোগ করবো সুন্দরবনের বিভিন্ন নদী তিরবর্তী গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্য্য। মরিচঝাঁপি জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে নদীপথ ধরে আমরা বিকালের সূর্যাস্তের শোভা চাক্ষুস করে পৌঁছে যাবো সুন্দরবনের প্রবেশপথ "পাখিরালয়"। সন্ধ্যাবেলা চা/কফির সাথে জলখাবার খেয়ে দেখে নেবো পাখিরালয়ের স্থানীয় বাজার। রাতে খাবার খেয়ে আমরা রাত্রিবাস করবো লঞ্চে অথবা পাখিরালয়ের হোটেলে।
(দ্বিতীয় দিন) : এদিন সুন্দরবন ঢোকার সরকারি অনুমতি আর সরকারি গাইড সঙ্গে নিয়ে সকাল সকাল লঞ্চ পাখিরালয়ের ঘাট থেকে রওনা দেবে সুন্দরবনের গহীন জঙ্গলের উদ্দেশ্যে। সকালের চা/কফি আর জলখাবার খেয়ে আমাদের প্রথম গন্তব্য হবে পাখিরালয়ের ঠিক বিপরীত প্রান্তে অবস্থিত "সজনেখালি"। সজনেখালি বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য পৌঁছে দেখে নেবো সজনেখালি ওয়াচ টাওয়ার,ম্যানগ্রোভ মিউজিয়াম।এরপর আমরা রওনা দেবো আমাদের পরের গন্তব্য "সুধন্যখালী" বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যাঘ্র প্রকল্প।এখানে পৌঁছে দেখে নেবো সুধণ্যখালী ওয়াচ টাওয়ার। এরপর এখান থেকে রওনা দিয়ে আমরা পৌঁছে যাবো পঞ্চমুখানি বা পাঁচটি নদীর সঙ্গমস্থলে। দিগন্ত বিস্তৃত পঞ্চমুখানি নদী পেরিয়ে আমরা পৌঁছে যাবো "দো-বাঁকি"। দো-বাঁকি পৌঁছে দেখে নেবো ক্যানোপি ওয়াক,ওয়াচ টাওয়ার, হরিণ অভয়ারণ্য। এখান থেকে রওনা দিয়ে আমরা নদীপথে দুপুরের আহার সেরে নিয়ে পৌঁছে যাবো "ঝড়খালী" পার্কে। এখানে আপনি দেখতে পাবেন সেই পৃথিবী বিখ্যাত "রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার"।সমস্ত দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে আমরা আবার ফিরে যাবো পাখিরালয়ের দিকে। পাখিরালয় পৌঁছে সন্ধেবেলা জলখাবার খেয়ে আমরা গান-বাজনা,খেলা করে অবসর সময় কাটাবো,আর রাতের আহার সম্পন্ন করে লঞ্চে অথবা হোটেলে রাত্রিযাপন করবো।
(তৃতীয় দিন) : এদিন আমাদের সুন্দরবন ভ্রমণের শেষ দিন। সকালের চা/কফি আর জলখাবার খেতে খেতে আর সুন্দরবনের বিভিন্ন ছোট বড় খাড়িপথ ধরে আমরা রওনা দেবো সুন্দরবনের আরও গভীর অরণ্য "বুড়িরডাবরী" ফরেস্ট ক্যাম্পের দিকে। এখানে দেখে নেবো ওয়াচ টাওয়ার,হরিণ প্রকল্প, বনবিবি মন্দির ইত্যাদি। এবার আমাদের ফেরার পালা। দুপুরের খাবার শেষ করে আমরা পৌঁছে যাবো হাসনাবাদ লঞ্চঘাটে।
(ভ্রমণ সমাপ্ত)
{(খাওয়া - দাওয়া)}
[প্রথম দিন] > চা/কফি, জলখাবার =ডিম,কলা,পাউরুটি, কেক,মিষ্টি।
দুপুরের খাবার = ভাত,ডাল,ঝুরো আলুভাজা,গোটা/চোকলা ভেটকি মাছের ঝাল,চাটনি,পাঁপড়।
সন্ধ্যার জলখাবার = চা/কফি,মুড়ি-বেগুনী/পেঁয়াজি।
রাতের খাবার = ভাত বা রুটি,ডাল,সব্জি,মটন কষা,চাটনি,পাঁপড়।
[দ্বিতীয় দিন] > চা/কফি,জলখাবার = লুচি,ছোলার ডাল,মিষ্টি।
দুপুরের খাবার = ভাত,ডাল,সব্জি,ট্যাংরা মাছের ঝাল, চাটনি,পাঁপড়,মিষ্টি।
সন্ধ্যার জলখাবার = চা/কফি,চিকেন পাকোড়া।
রাতের খাবার = ভাত বা রুটি,ডাল,সব্জি,পার্শে/পাবদা মাছ,চাটনি,পাঁপড়।
[তৃতীয় দিন] > চা/কফি, জলখাবার = কড়াইশুঁটির কচুরি,আলুর তরকারি/ঘুগনি/আলুর দম।
দুপুরের খাবার = ফ্রায়েড রাইস,সব্জি ডাল,ঝুরো আলুভাজা,চিকেন কষা,চাটনী,পাঁপড়।
# জনপ্রতি খরচ Rs.3700/- (5 বছরের উপরে সম্পূর্ণ খরচ লাগবে)
# # পাখিরালয়ে হোটেলে থাকতে চাইলে,তার খরচ আলাদা।