
13/02/2025
যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার স্বপ্ন নিয়ে অনেক শিক্ষার্থী ভিসা সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুল ধারণা পোষণ করেন। এর ফলে অনেকেই সঠিক তথ্য না জানার কারণে ভিসা প্রক্রিয়ায় বাধার সম্মুখীন হন। নিচে কিছু সাধারণ ভুল ধারণা এবং তাদের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হলো, যা ভিসা প্রক্রিয়ায় সাহায্য করবে:
❌ভুল ধারণা ১: অফার লেটার বা I-20 ফর্ম পাওয়া মানেই ভিসা নিশ্চিত।
✅বাস্তবতা: I-20 ফর্ম হচ্ছে ভিসা আবেদন প্রক্রিয়ার একটি অপরিহার্য অংশ, যা যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি নিশ্চিত হলে প্রদান করা হয়। তবে এটি ভিসা পাওয়ার নিশ্চয়তা নয়। মূলত I-20 পাওয়া মানে আপনি ভিসা ইন্টারভিউ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রস্তুত। ভিসা প্রদানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে ইন্টারভিউয়ে আপনার প্রকৃত উদ্দেশ্য, আর্থিক সামর্থ্য, এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার উপর।
❌ভুল ধারণা ২: যুক্তরাষ্ট্রে F-1 ভিসার অনুমোদনের হার খুবই কম।
✅বাস্তবতা: F-1 ভিসার অনুমোদন হার অনেকটাই নির্ভর করে আবেদনকারীর নথিপত্র, পরিকল্পনা এবং উদ্দেশ্যের উপর। যদি আপনার শিক্ষার উদ্দেশ্য, আর্থিক সামর্থ্য এবং দেশে ফেরার পরিকল্পনা যথাযথভাবে উপস্থাপন করা হয়, তবে F-1 ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। তবে ভুল তথ্য প্রদান, ভুয়া নথি ব্যবহার, অথবা যুক্তিযুক্ত পরিকল্পনার অভাবে ভিসা প্রত্যাখাত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
❌ভুল ধারণা ৩: ভালো একাডেমিক রেজাল্ট থাকলেই সহজে ভিসা পাওয়া যাবে।
✅বাস্তবতা: ভালো রেজাল্ট অবশ্যই ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, তবে ভিসা অফিসাররা একাডেমিক রেজাল্টের পাশাপাশি আপনার উদ্দেশ্য, পড়াশোনার বিস্তারিত পরিকল্পনা এবং আর্থিক সামর্থ্য যাচাই করেন। ইমিগ্রেশন অফিসাররা দেখতে চান যে, আপনি সত্যিই পড়াশোনার জন্য যাচ্ছেন এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশে ফিরে আসবেন।
❌ভুল ধারণা ৪: ভিসা পাওয়া মানে যুক্তরাষ্ট্রে চাকরির সুযোগ।
✅বাস্তবতা: F-1 ভিসা মূলত শিক্ষার্থীদের জন্য নির্ধারিত, যা পূর্ণকালীন চাকরির সুযোগ প্রদান করে না। শিক্ষার্থীরা ক্লাস চলাকালে সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘন্টা এবং ছুটির সময় ৪০ ঘন্টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে পার্ট-টাইম কাজ করতে পারেন। Optional Practical Training (OPT) এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ পেতে পারেন, তবে তা নির্দিষ্ট শর্তাবলী পূরণের উপর নির্ভরশীল।