Ottoman Tours & Travels

19/04/2024

✨ Juma Mubarak to all! As the day dawns with the promise of blessings and peace, let's embrace the spirit of gratitude. Dive into the cultural treasure trove of Türkiye with our bespoke travel experiences.

🕌💙🌺 From the enchanting architecture of Istanbul to the tranquil beaches of the Aegean, every journey with Ottoman Tours & Travels is a chapter in your storybook of memories. Don’t forget to read Surah al-Kahf today, and may your weekend be as inspiring as the majestic landscapes of Türkiye.

For exclusive deals, slide into our DMs or give us a call! 🌟

10/04/2024

🌟🕌 Eid Mubarak from Ottoman Tours and Travels! 🕌🌟
As the crescent moon signals the end of Ramadan, we at Ottoman Tours and Travels extend our heartfelt Eid greetings to you and your family. May this Eid al-Fitr bring you unforgettable moments and the joy of new beginnings.

🎉 Special Eid Offer! 🎉 In the spirit of this festive season, we're delighted to present exclusive travel deals and packages exclusively within Turkey. Explore the rich heritage, dynamic culture, and stunning natural beauty of Turkey's most captivating destinations. Enjoy special discounts and tailor-made itineraries designed to showcase the best of Turkey, from the bustling streets of Istanbul to the serene landscapes of Cappadocia and the charming coastal towns of the Aegean and Mediterranean.

👪 Gather your loved ones and let’s transform your Eid celebration into a journey of discovery across Turkey. From exploring the historical wonders of Istanbul to unwinding in serene getaways along the Aegean and Mediterranean coasts, there’s a unique experience waiting for everyone.

🙏 As we honor this blessed occasion, let’s also embrace the spirit of kindness and joy. Remember, traveling through the diverse landscapes of Turkey not only enriches our understanding but also brings us closer in heart and spirit.
Eid Mubarak! Let's make this Eid an unforgettable journey of discovery and delight.

📞 Contact us today to plan your perfect Eid getaway!
Visit our website today: www.ottomantravels.com
or DM us for any inquiries : 0507 183 78 16

27/03/2024

We're thrilled to share that our esteemed guest, Mr. Bashir Ahmed, Business Director of ACI Fertilizer, had a fantastic experience with us! 🛫✨ Your satisfaction is not just our goal; it's our pride! 🏆

🔊 Hear it from Mr. Ahmed himself! Check out his glowing review. ✨ Your words inspire us to aim higher, Mr. Ahmed! ✨

💬 Want to create your own unforgettable journey?
📲 WhatsApp or DM us: +905071837816
🔍 Discover more about our adventures: www.ottomantravels.com

Let's make your travel dreams come true with Ottoman Tours & Travels , where every journey is a masterpiece! 🕌🌍✈️

26/03/2024

Through the Lens of History, We Gaze at the Triumph of Our Independence. Remember, Rejoice, and Celebrate. Happy Independence Day, Bangladesh!

Embark on a Journey of Discovery with the Best Travel Packages. Explore More on www.ottomantravels.com or Connect with Us on WhatsApp at 0507 183 78 16. This Independence Day, Let's Celebrate Freedom by Creating New Memories! 🇧🇩✈️

22/03/2024

OTTOMAN TOURS & TRAVELS İS THE BEST TOUR AND TRAVEL AGENCY.
OFFERİNG TOP -NOTCH SERVİCES İN TÜRKİYE.

21/03/2024

Explore the wonders of Turkey with a trusted guide! 🌟
Join Mr. Mahmud Al Fahad, Founder and Managing Director of Zubion Development Solutions Limited, as he shares his exceptional experience with Ottoman Tours & Travels. Discover why our tailored services are a traveler's delight. ✈️🕌🌅

Visit us at 🌐 www.ottomantravels.com or reach out:
📧 [email protected]
📞 0507 183 78 16 / +90 507 183 78 17
(Now also available on WhatsApp! 📲)

11/03/2024

Ramadan Mubarak everyone! ✨ This holy month, let's come together in kindness and generosity. May all your travels, be it for leisure or pilgrimage, be filled with peace and fulfillment.

✈️ We at Ottoman Tours & Travels are here to make your journey during this special time truly unforgettable and spiritually enriching.

✨

06/03/2024

Good Noon from Istanbul 🇹🇷.
Grab our reasonable price's tour pakeges and let us make your tour full of amazements, memorabile and fun🤩.

Please don't hesitate to contact us for more Details.

Our What's app 🔰
+90507 183 78 16
+90507 183 78 17
WebMail 🔰
📧 [email protected]
Wesite 🔰
🌐 https://ottomantravels.com

01/03/2024

25/02/2024

May this Night of Forgiveness bring peace, healing, and renewal to all.

06/01/2024

Thrilled to share the glowing review from esteemed Assistant Professor Md. Ragaul Azim of the University of Dhaka, Bangladesh!

🌟 Your feedback fuels our passion for excellence in travel.

Visit us at
🌐 https://ottomantravels.com

or reach out at:
📞+880 1746-900663
📧 [email protected]

01/01/2024

Hey everyone! Get ready to explore the wonders of Türkiye with us this year. We've got all the cool spots and stories lined up just for you. Whether you love ancient castles, sunny beaches, or tasty Turkish treats, we know where to find the best.

Here's why you'll love traveling with us:
🗺️ Great Guides: Our friendly guides know all about Türkiye's hidden gems and exciting tales.
📅 Your Plan, Your Way: Tell us what you like, and we'll make a trip that's just right for you.
🌟 Fun Experiences: Get ready for some real Turkish magic, from yummy food to cool cultural stuff.
Let's make 2024 a year to remember with adventures that'll have you smiling all the way. Come find out more about us!

Phone 🔰
📞+880 1746-900663
WebMail 🔰
🔗 [email protected]
Website 🔰
🌐 https://ottomantravels.com
Drop us a message or give us a call. Let's start this journey together!
Ottoman Tours & Travels

27/12/2023

We also provide VIP luxury transfer services.

✅ Airport transfer
✅ Istanbul city transfer
✅ Istanbul out-of-city transfer
✅ private transfer

In other words, we provide all kinds of transfers.

Contact for more details 📞 +90 553 971 86 43

26/12/2023

গ্রেট চামলিজা মসজিদ: আধুনিক ইস্তাম্বুলের স্থাপত্য আইকন

আধুনিক ইস্তাম্বুলের অন্যতম দর্শনীয় স্থান গ্রেট চামলিজা মসজিদ। সাত পাহাড়ের শহর ইস্তাম্বুলের সর্বোচ্চ পাহাড়ের উপর অবস্থিত এই মসজিদ তুরস্কের সবচেয়ে বড় জামে মসজিদ। ইস্তাম্বুলের যে কোন প্রান্ত থেকে দেখা যায় এই মসজিদ। মসজিদের প্রশস্ত আঙ্গিনা থেকে দেখা যায় নয়নাভিরাম ইস্তাম্বুল ও বসফরাসের ব্যস্ত নৌপথ।

মসজিদের শহর ইস্তাম্বুলে প্রতিটি সুলতান, যুবরাজ, রাজমাতা, উজির, নাজির অনেকেই নিজের নামে মসজিদ তৈরী করে গেছেন। এভাবে এক কালের খ্রীস্টান পৃথিবীর পরাশক্তি বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী কনস্টান্টিনোপল তিলে তিলে পরিবর্তন হয়ে ইসলামী সংস্কৃতিতে রূপান্তরিত হয়। ১৪৫৩ পরবর্তী ৫৫০ বছর মুসলমানরা দরদ আর ভালবাসা দিয়ে সাজিয়েছে এই শহরকে। ইস্তাম্বুলের একেকটি মসজিদ যেন একেকটি মাস্টারপিস। যেমন তার সৌন্দর্য তেমনি মসজিদগুলোয় রয়েছে মানবকল্যাণের নানা আয়োজন।

আধুনিক সেক্যুলার তুরস্কের প্রথম ইসলামপন্থী মেয়র রেজেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তিনি মেয়র হয়ে ইস্তাম্বুলের ইসলামি পরিচয়কে নতুন করে পুনরুজ্জীবিত করেন। তার একটি স্বপ্ন ছিল তুরস্কের সবচেয়ে বড় মসজিদটি তিনি করে যাবেন ইস্তাম্বুলে। প্রধানমন্ত্রী হয়ে এরদোয়ান অনেকগুলো প্রায় অসম্ভব মনে হওয়া মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করেছেন। যেমন বসফরাস প্রণালীর নিচ দিয়ে রেল ও সড়ক টানেল, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর, চানাক্কালে প্রণালীর উপর ঝুলন্ত সেতু, হাইস্পিড ট্রেন। ২০০০ সালের দিক থেকে তিনি ইস্তাম্বুলে একটি বড় মসজিদ কমপ্লেক্স করার স্বপ্নের কথা বলে আসছেন।

অবশেষে এই স্বপ্ন সত্যি হয় ২০১৯ সালে। পৃথিবীর সেরা ডিজাইনারদের দিয়ে প্রতিযোগিতা করিয়ে একটি ডিজাইন বাছাই করা হয়। শুরু থেকে নানা বাহানায় এই মসজিদের বিরোধিতা করে আসছিল সেক্যুলার বিরোধীদল। একরোখা এরদোয়ান সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রকাণ্ড এই মসজিদের নির্মাণ কাজ সফল ভাবে শেষ করেন। মসজিদটিতে একসাথে ৬৩ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারেন। জরুরী অবস্থায় আশ্রয় নিতে পারবে ১ লাখ মানুষ। মসজিদে কমপ্লেক্সে রয়েছে বিশাল একটি লাইব্রেরী, আর্ট গ্যালারী, শিশু পার্ক এবং কনফারেন্স রুম। এছাড়া ২০২২ সালে এই মসজিদে মিউজিয়াম অব ইসলামিক সিভিলাইজেশন নামে একটি জাদুঘর সংযুক্ত করা হয়েছে।

মসজিদের মুল গম্বুজ ৭২ মিটার উচ্চতার। এখানে ইস্তাম্বুলের বসবাস করা ৭২ জাতিগোষ্ঠীর কথা ফুটিয়ে তুলা হয়েছে। গম্বুজের মধ্যে এমন ভাবে নীল নকশা করা কাঁচের স্থাপন করা হয়েছে যেন মসজিদের ভেতর সবসময় একটি প্রাকৃতিক নীল আলোর আভা ছড়িয়ে থাকে। নীলাভ আলোয় স্নিগ্ধ এক ইবাদতের পরিবেশ তৈরী হয় দিনের বেলায়। রাতের বেলায় কৃত্রিম আলোকসজ্জায় সাজানো হয় মসজিদ। মসজিদের বাইরে এমনভাবে আলোকসজ্জার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে যে রাতের ইস্তাম্বুলের যে কোন স্থান থেকেই নজর কাড়বে পাহাড় চূড়ার এই প্রকাণ্ড মসজিদ।

৬ টি মিনার রয়েছে এই মসজিদে। চামলিজা মসজিদের মিনারের উচ্চতা ১০৭.১ মিটার। এখানে একটি রহস্য আছে। এখানে নোকতা ছাড়া পড়লে দেখবেন ১০৭১। এটি একটি ঐতিহাসিক সংখ্যা। ১০৭১ সালে পূর্ব তুরস্কের ভান লেকের পারে ঐতিহাসিক মালাজগির্ট যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে সেলজুক তুর্কি মুসলমানদের কাছে হেরে যায় বাইজেন্টাইন সম্রাটের বাহিনী। এভাবে তুর্কি মুসলমানদের আনাতোলিয়ার মূল ভূখন্ডে প্রবেশের সুযোগ হয়। ইসলামের এই বিজয়ের স্মৃতি ধরে রাখতেই এই মসজিদের মিনারকে ১০৭.১ মিটার উচ্চতার করা হয়েছে। মসজিদের কনফারেন্স রুমেও ১০৭১ টি আসন রয়েছে।

ওসমানী গ্রেট আর্কিটেক্ট মিমার সিনানের ডিজাইনকে অনুপ্রেরণা ধরে এই মসজিদের ডিজাইন করেছেন দুই নারী আর্কিটেক্ট। তারা এই মসজিদটিকে নারীবান্ধব মসজিদে রুপ দিয়েছেন। মসজিদের মুল নামাজ রুমে ৬০০ মহিলার নামাজের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। নারীদের জন্য এই মসজিদের আলাদা অজুখানা ও আলাদা লিফট রয়েছে। রয়েছে শিশু রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা কক্ষ।

২০১৯ সালে এই মসজিদের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন অনেক দেশের রাষ্ট্রপতি। ২০১৯ সালে ইন্তেকাল করেন প্রখ্যাত উসমানী ইতিহাসবিদ কাদির মিসিরঔলু। তাঁর জানাজায় হাজির হয় লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রতিদিন দেশ বিদেশের অনেক মুসল্লি এই মসজিদের নামাজ পড়তে আসে। আসে বিদেশী অমুসলিম পর্যটকরাও। ইস্তাম্বুলের উসকুদার থেকে সহজে আসা যায় এখানে।

কালের আবর্তে একদিন হারিয়ে যাবে এরদোয়ানের শাসন, বিগত হয়ে যাবে এই সময়। শত বছর পরও রয়ে যাবে চামলিজা মসজিদ। ইস্তাম্বুলের উচ্চতম পর্বতের চূড়ায় অবস্থিত চামলিজা মসজিদের ১০৭.১ মিটার উঁচু অভ্রভেদী মিনার থেকে বাতাসে ভেসে বেড়াবে সুমধুর আজান। আল্লাহু আকবর।

🌟 Ottoman Travels offers affordable tour packages that let you dive deep into Istanbul's charm. Our services include:
✌️ Tours and Travel Guides
✌️ Tailored Tour Packages
✌️ Premium Hotels & Residences
✌️ Efficient Transportation
Ready to embark on a journey through time?
✅ Visit our website: https://www.ottomantravels.com/
✅ Connect with us on Whatsapp: 0507 183 78 16
💌 Or drop us an email at: [email protected]

25/12/2023

প্রিন্সেস আইল্যাণ্ড: ইস্তাম্বুলের কপোলের কালো তিল

বিশ্ববিখ্যাত পারস্যের কবি হাফিজ সমরখন্দ ও বুখারার সৌন্দর্যের প্রশংসা করে লিখেছিলেন‘আগার আঁ তুর্কে শীরাজী বদস্ত আ রাদ দিলে মারা/ বখালে হিন্দওয়াশ বখশাম সমরকন্দ ও বোখারা রা।’ কবিতার অর্থ হলো সিরাজ শহরে যে তুর্কি তরুনী আমার হৃদয় ছিনতাই করে চলে গিয়েছে, যদি সে তা ফিরিয়ে দিতে রাজি হয়, তাহলে আমি তার গালের তিলের বিনিময়ে তাকে দুনিয়ার দুই শ্রেষ্ঠ নগরী বোখারা ও সমরকন্দ পর্যন্তও দিতে রাজি আছি।
এই কবিতার জন্য সমরখন্দের বাদশাহ তৈমুর লং ধরে নিয়ে গিয়েছিলো হাফিজকে। নিজের বুদ্ধিমত্তায় মুক্তি পেয়েছিল হাফিজ। সে এক মজার গল্প। প্রিয়ার কালো তিল যেমন সুন্দর। ইস্তাম্বুল শহরকে যদি প্রিয়তমা কল্পনা করা হয় তবে তার কালো তিল হলো প্রিন্সেস আইল্যান্ড।

মর্মর সাগরের বুকে কয়েকটি দ্বীপ নিয়ে গঠিত প্রিন্সেস আইল্যান্ড। তুর্কিস ভাষায় এর নাম আদালার। বাইজেন্টাইন থেকে অটোমান সব সময় তুরস্কের সবচেয়ে ধনী মানুষরা বাস করতো এখানে। সাগরের মাঝে পাহাড়ী দ্বীপের উপর অবস্থিত ভিলা গুলো থেকে নীল সাগরের যে সৌন্দর্য দেখা যায় তা এক কথায় অসাধারন।

ইস্তাম্বুল থেকে ফেরীতে ১ ঘন্টার পথ প্রিন্সেস আইল্যাণ্ড। মর্মর সাগরের পাখিদের কলকাকলিতে মুখরিত চমৎকার এক সংক্ষিপ্ত সমুদ্র যাত্রা। কয়েকটি আইল্যান্ডের মধ্যে সবচেয়ে বড়টি নাম বুয়ুক আদা। এটিই সবচেয়ে জনপ্রিয়। এখানে রয়েছে সমুদ্রের পাশে বসে তাজা মাছের বিভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়ার সুযোগ। চাইলে সমুদ্রে নেমে গোসলের সুযোগ। মটরচালিত গাড়িতে করে পুরো দ্বীপে ৩০ মিনিটের মধ্যে এক চক্কর ঘুরে আসা যায়। রয়েছে সাইকেলে করে ঘুরে বেড়ানোর ব্যবস্থা। দ্বীপের সবচেয়ে উচু পয়েন্ট থেকে সাগরের পাখিদের খেলা দেখতে ভালই লাগে। একদিনের ভ্রমনের জন্য চমৎকার এক গন্তব্য এটি। সকালের গিয়ে সন্ধ্যায় ইস্তাম্বুলে ফিরতে পারবেন। ফিরবেন চমৎকার এক ভাললাগা নিয়ে। পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখার জন্য চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান প্রিন্সেস আইল্যাণ্ড । বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন অটোমান ট্যুরিজমের সাথে।

🌟 Ottoman Travels offers affordable tour packages that let you dive deep into Istanbul's charm. Our services include:
✌️ Tours and Travel Guides
✌️ Tailored Tour Packages
✌️ Premium Hotels & Residences
✌️ Efficient Transportation
Ready to embark on a journey through time?
✅ Visit our website: https://www.ottomantravels.com/
✅ Connect with us on Whatsapp: 0507 183 78 16
💌 Or drop us an email at: [email protected]

16/12/2023

চামলিজা টাওয়ার: ইউরোপের সর্বোচ্চ টাওয়ার ইস্তাম্বুলে

কল্পনা করুন ৩৪ তলা ভবনের উপর থেকে ইস্তাম্বুল দেখছেন। হাতে এক কাপ তুর্কিশ কফিও আছে। প্লেনে ওঠা ছাড়াই পাখির চোখে ইস্তাম্বুল। শুধু এক দিকে নয় ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ দেখতে পারবেন। এই সুযোগকে সবার জন্য সম্ভব করেছে চামলিজা টাওয়ার।

আধুনিক ইস্তাম্বুলের নতুন আইকন চামলিজা টাওয়ার। ইউরোপের সর্বোচ্চ টাওয়ার এখন ইস্তাম্বুলে। টিউলিপ ডিজাইনের এই স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে ইস্তাম্বুলের এশিয়ান অংশে ছোট চামিলিজা পাহাড়ের উপর । ৪৯ তলার এই টাওয়ারটি ৩৬৯ মিটার উচ্চতার। টাওয়ারের ৩৩ ও ৩৪ তলায় রয়েছে দুটি পর্যবেক্ষন কেন্দ্র। এছাড়া ৩৯ ও ৪০ তলায় রয়েছে দুটি রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফে।

পূর্বে চামলিজা পাহাড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেকগুলো টিভি ও রেডিও এন্টেনা ছিল। এগুলো দৃশ্যদূষণ তৈরী করছিল। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এরদোয়ান ২০১১ সালে সিদ্ধান্ত নেন যে এমন একটি টাওয়ার নির্মাণ করবেন যাতে সবগুলো এন্টেনা একটি টাওয়ারে নিয়ে আসা যায়। ২০১৬ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২১ সালে উদ্বোধনের সময় এটি শুধু ইস্তাম্বুলের নয় পুরো ইউরোপের সর্বোচ্চ টাওয়ারের মর্যাদা লাভ করে। এটি বিশ্বের প্রথম টেলিভিশন টাওয়ার যেখান থেকে এক সাথে ১০০টি টিভির সম্প্রচার পরিচালনা সম্ভব।

প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভীড় জমায় চামলিজা টাওয়ারে। টাওয়ারের বেজমেন্টে রয়েছে একটি লাইব্রেরী ও প্রদর্শনী কক্ষ। প্যানারোমিক একটি লিফটে চড়ে আরোহন করা যায় ৩৩ ও ৩৪ তলার অবজার্ভেশন কেন্দ্র। দিনের বেলায় গেলে দেখা যাবে দিগন্ত বিস্তৃত ব্যস্ত ইস্তাম্বুল। মহাসড়কগুলো যেন সাপের মতো একে বেকে এগিয়ে চলেছে ইস্তাম্বুলের বুক চিরে। দূরে মর্মর সাগরে চলমান জাহাজগুলো চোখে পড়বে।
রাতের বেলা ইস্তাম্বুলের অন্য রকম রূপ ধরা পড়বে টাওয়ার থেকে। কোটি কোটি বিদ্যুৎ বাতিতে ঝলমল করে ওঠে পুরো শহর। রাস্তার সোডিয়াম আলোর মাঝে ছুটে চলা গাড়িগুলোকে জোনাকি পোকার মতো মনে হয়। চামলিজা টাওয়ার ভ্রমণ আপনার ইস্তাম্বুল দেখার সাধ মেটাবে ষোল আনা।

🌟 Ottoman Travels offers affordable tour packages that let you dive deep into Istanbul's charm. Our services include:
✌️ Tours and Travel Guides
✌️ Tailored Tour Packages
✌️ Premium Hotels & Residences
✌️ Efficient Transportation
Ready to embark on a journey through time?
✅ Visit our website: https://www.ottomantravels.com/
✅ Connect with us on Whatsapp: 0507 183 78 16
💌 Or drop us an email at: [email protected]

16/12/2023

16 December
Victory Day of Bangladesh

15/12/2023

মিনিয়া তুর্কঃ সমগ্র তুরস্ক ভ্রমণ মাত্র ৩ ঘন্টায়

প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক তুরস্কে ভ্রমণে আসে। ইস্তাম্বুল, আংকারা কিংবা আন্তালিয়ার মতো বাছাই করা কয়েকটি শহর ঘুরে চলে যায়। কিন্তু মূলতঃ আজকের তুরস্ক অনেক বড় দেশ, অনেক সভ্যতার উত্থান পতন দেখেছে আনাতোলিয়ার প্রান্তর। তুরস্কের প্রায় সর্বত্রই ছড়িয়ে আছে বিভিন্ন সভ্যতার নিদর্শন। তাই পুরো তুরস্কের সব দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখতে বছরের পর বছর সময় প্রয়োজন।

কিন্তু তুরস্ক তথা গ্রেট আনাতোলিয়ান তিন হাজার বছরের সভ্যতার সেরা নিদর্শনগুলো মাত্র ৩ ঘন্টায় অবলোকন করার অনন্য একটি মাধ্যম হচ্ছে মিনিয়াতুর্ক। মিনিয়াতুর্ক একটি ওপেন স্কাই মিউজিয়াম।
ইস্তাম্বুলের নান্দনিক গোল্ডেন হর্ণের তীরে ৬০ হাজার বর্গ মিটারের বিশাল একটি পার্ক মিনিয়াতুর্ক। এখানে খোলা আকাশের নিচে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তুরস্কের সেরা সব স্থাপনার মিনিয়েচার।

বাইজেন্টাইন, সেলজুক, ওসমানী ও আধুনিক তুর্কি সভ্যতার ১৩৬ টি বাছাই করা স্থাপত্যের ১/২৫ রেশিওতে মিনিয়েচার স্থাপন করা হয়েছে এখানে। মিনিয়াতুর্কে প্রবেশ করলেই পথের পাশে দেখতে পারবেন পুরো তোপকাপি প্রাসাদ আপনার সামনে। এক নজরে দেখে ফেলতে পারবেন কোথায় সুলতানের দরবার হল কিংবা কোথায় হারেম। একটু সামনে এগোলে চোখে পড়বে ব্লু মস্ক ও সুলতান আহমেদ ময়দান। চোখে পড়বে লাল ইটের আয়া সোফিয়া মসজিদ। হুট করে সামনে পড়বে তাকসিম স্কয়ার।

আরেকটু সামনে আগালে বসফরাস ব্রিজ সামনে পড়বে। আপনি পায়ে হেঁটে বসফরাস ব্রিজ দিয়ে ইউরোপ থেকে এশিয়ায় চলে যেতে পারবেন। এশিয়ায় গিয়ে বসফরাসের তীরে দেখতে পারবেন কুলেলী আসকারী লিসেসী। এটা আবার কী? ব্রিটিশ রয়েল মিলিটারি একাডেমি স্যান্ডহার্স্ট মিলিটারী একাডেমীর কথা হয়তো শুনে থাকবেন। পুরো ব্রিটিশ সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করা সেনা অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয় এখানে। ঠিক তেমনি তিন মহাদেশে বিস্তৃত অটোমান সাম্রাজ্যের মিলিটারী একাডেমির নাম কুলেলী আসকার লিসেসী।

এভাবে যতই সামনে যাবেন চোখে পড়বে ওসমানী সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রাসাদ, সেলজুক আমলে প্রতিষ্ঠিত মসজিদ, মাদ্রাসা, গ্রীকদের স্টেডিয়াম ও উপাসনালয়ের প্রতিকৃতি। যেহেতু ওসমানী সাম্রাজ্য বিস্তৃত ছিল তুরস্কের বাইরেও ইউরোপ ও আফ্রিকার বিস্তৃর্ণ অঞ্চলে তাই সেসব অঞ্চলে ওসমানীদের প্রতিষ্ঠিত কিছু কীর্তিও ফুটে তোলা হয়েছে এখানে। মিনিয়াতুর্কে ঘুরে ঘুরে পুরো তুরস্ক ঘুরে দেখার নেশা কমবে তো নাই বরং আরো বেড়ে যাবে।

এছাড়া এখানে শিশুদের খেলাধুলার জন্য রয়েছে শিশুপার্ক, ট্রয়-ট্রেন, বোট, ক্রিস্টাল ইস্তাম্বুল জাদুঘর, রিভার্স হাউজ, প্যানোরমা ভিক্টরী জাদুঘরসহ আরো অনেক আয়োজন।

পরিবার নিয়ে ঘুরে দেখার জন্য চমৎকার একটি দর্শনীয় স্থান মিনিয়াতুর্ক। বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন অটোমান ট্যুরিজমে।

🌟 Ottoman Travels offers affordable tour packages that let you dive deep into Istanbul's charm. Our services include:
✌️ Tours and Travel Guides
✌️ Tailored Tour Packages
✌️ Premium Hotels & Residences
✌️ Efficient Transportation
Ready to embark on a journey through time?
✅ Visit our website: https://www.ottomantravels.com/
✅ Connect with us on Whatsapp: 0507 183 78 16
💌 Or drop us an email at: [email protected]

12/12/2023

বেই লার বেই প্রাসাদ: সুলতানের শেষ নি:শ্বাস

১৯১৮ সাল। ওসমানী সালতানাতের শেষ স্বাধীন সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদ শুয়ে আছেন তার মৃত্যু সয্যায়। ৩৬ বছর ধরে আগলে রাখা বিশাল সাম্রাজ্যকে তছনছ করে ফেলছে বিদ্রোহী ইয়াং তুর্কের তিন জেনারেল। কারাবন্দি সুলতান বিষাদ ভরা নেত্রে তাকিয়ে আছেন বফফরাসের নীল জলরাশিরত দিকে। বসফরাসের তীরের এক সুরম্য প্রাসাদের তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে ৬ বছর ধরে। সেই প্রাসাদেরই শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন সুলতান আবদুল হামিদ। সুরম্য সেই প্রাসাদের নাম বেই লার বে প্রাসাদ।

সুলতানের জিন্দানখানা হিসেবে ব্যবহৃত এই বেই লার বে প্রাসাদটি এক সময় ছিল ওসমানী সুলতানদের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কেন্দ্র। বেই লার বে মানে হলো লর্ড অব লর্ডস। সুলতান হামিদের চাচা ও পূর্ববর্তী সুলতান আবদুল আজিজ ১৮৬৫ সালে এই প্রাসাদটি নির্মাণ করেন।

বফসরাসের তীরে ইস্তাম্বুলের এশিয়ান সাইডে অবস্থিত এই প্রাসাদ তার অতুলনীয় সৌন্দর্য ও চমৎকার লোকেশনের জন্য বিখ্যাত। এই প্রাসাদে রয়েছে ৬ টি রাজকীয় বৃহদাকার কক্ষ ও ২৬ টি ছোট কক্ষ। সব কক্ষ থেকেই উপভোগ করা যায় বসফরাসের অপরুপ সৌন্দর্য। প্রাসাদের হল রুমে রয়েছে ফ্রান্স থেকে আনা বিশালকার ঝাড় বাতি। প্রাসাদের সামনে ঝর্ণা। প্রাসাদের পেছনে বসফরাসের উপর ২ টি প্যাভিলিওন আছে। একটি পুরুষদের জন্য, আরেকটি মেয়েদের। এখানে আরো কাছ থেকে বসফরাস দেখা যায়।

এই প্রাসাদটি পরে ব্যবহার করা হতো সুলতানের রাজকীয় অতিথীদের আবাসন হিসেবে। বিশ্বের অনেক বিখ্যাত রাজা-বাদশাহ ও যুবরাজরা ওসমানী সুলতানের রাজ অতিথী হয়ে বেই লার বে প্রাসাদে বাস করেছেন।
১৯৬৯ সালে ফ্রান্সের সম্রাজ্ঞী ইউগেনী সুয়েজ খাল উদ্বোধন করতে যাওয়ার পথে বিশ্রাম নেন এই প্রাসাদে। প্রাসাদের জানালার ডিজাইন তার এতোটাই পছন্দ হয় যে তিনি এর একটি কপি সাথে নিয়ে
যান। পরে প্যারিসের তুইলেরিস প্রাসাদের নিজের শয়ন কক্ষের জানালা হুবহু এই ডিজাইনে তৈরী করান।

এছাড়া ইরানের সম্রাট নেসার উদ্দিন শাহ কাজার, ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যুবরাজ ডিউক অব উইন্ডসর আরো অনেক রাজকীয় মেহমান এই প্রাসাদের আতিথীয়তা গ্রহন করেন।

প্রাসাদটি এখন জাদুঘর। যে কেই টিকেট কেটে গাইডের সহায়তায় ঘুরে দেখতে পারে প্রাসাদটি। উসকুদার থেকে মাত্র ১০ মিনিটের পথ বেই লার বে। ইস্তাম্বুল ঘুরার যে কোন সুযোগে ঘুরে আসতে পারেন বেই লার বে প্রাসাদ।

🌟 Ottoman Travels offers affordable tour packages that let you dive deep into Istanbul's charm. Our services include:
✌️ Tours and Travel Guides
✌️ Tailored Tour Packages
✌️ Premium Hotels & Residences
✌️ Efficient Transportation
Ready to embark on a journey through time?
✅ Visit our website: https://www.ottomantravels.com/
✅ Connect with us on Whatsapp: 0507 183 78 16
💌 Or drop us an email at: [email protected]

09/12/2023

গালাতা ব্রিজঃ গোল্ডেন হর্ণের সোনার নোলক

অপরূপ ইস্তাম্বুলের সবচেয়ে সুন্দর জায়গাগুলোর একটি গোল্ডেন হর্ণ। বসফরাস থেকে মারমারা সাগরের একটি অংশ প্রশস্ত খালের মতো ইস্তাম্বুলের অনেক গভীরে প্রবেশ করেছে। গোল্ডেন হর্ণের প্রবেশ মুখে রয়েছে বিখ্যাত গালাতা ব্রিজ। দুই তলা এই ব্রিজ নিজেই একটি ইতিহাস। একটি পর্যটন কেন্দ্র।

গালাতা ব্রিজের উপর দিয়ে সড়কপথ। পথের মধ্য দিয়ে রয়েছে আবার ট্রামের লেন। রয়েছে পথচারীদের জন্য ফুটপাত। প্রতিদিন একদল লোক বড়শি দিয়ে মাছ ধরে এখানে। সব সময়ই এখানে মাছ পাওয়া যায়। গালাতা ব্রিজ থেকে একপাশে গালাতা টাওয়ার দেখা যায়, অন্য পাশে তাকালে সুউচ্চ পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে আছে সুলতান সুলাইমান মসজিদ। সামনের দিকে দেখা যায় মায়াবী রহস্যেঘেরা তোপকাপি প্রাসাদ।

গালাতা ব্রিজের নিচ তলায় রয়েছে অভিজাত রেস্টুরেন্টের সারি। তবে মাছের আইটেমের জন্যই বেশী বিখ্যাত এখানকার রেস্টুরেন্টগুলো। পানির কাছাকাছি বসে সামুদ্রিক পাখি দেখতে দেখতে সামুদ্রিক মাছের স্বাদ নিতে পারেন আপনিও। গালাতা ব্রিজের এক পাড়ের নাম এমিনঅনু। এখানেও গোল্ডেন হর্ণে ভাসমান রাজকীয় নৌকায় মাছের ‌স্যান্ডউইচ খুব বিখ্যাত। দিন-রাত সব সময় লোকে লোকারণ্য থাকে গালাতা ব্রিজ।

শত বছরের ইতিহাসের সাক্ষী এই স্থান। আপনি শুনে অবাক হবে ১৫ শ শতকে তুর্কির সুলতান যখন প্রথম গোল্ডেন হর্ণে ব্রিজ বানানোর ঘোষণা দেয় বিখ্যাত ইতালীয় চিত্রকর লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি নিজে একটি ব্রিজের নকশা পাঠান। যদিও সে নকশা চুড়ান্ত বিচারে অনুমোদন পায়নি।
আজকের গালাতা ব্রিজ ঠিক একই স্থানে তৈরী হওয়া পঞ্চম ব্রিজ।

গালাতাতে প্রথম ব্রিজ বানায় সুলতান আবদুল মজিদ তার মায়ের অনুরোধে ১৮৪৫ সালে। কাঠের তৈরী নান্দনিক সেই ব্রিজকে তখন বলা হতো জিসর -ই-জেদিদ বা নতুন ব্রিজ। অনেকে আবার বলতো সুলতান ওলিদে ব্রিজ বা রাজমাতা ব্রিজ। পরবর্তীতে আরো ৪ বার এই ব্রিজকে নতুন ব্রিজ দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়। সর্বশেষ ব্রিজটি একটি তুর্কিশ কনস্ট্রাকশন কোম্পানী ১৯৯৪ সালে নির্মাণ করে।

গোল্ডেন হর্ণের উপর নান্দনিক এই ব্রিজ ওঠে এসেছে তুরস্কের বহু গান, কবিতা ও উপন্যাসে। ব্রিজের একপাশে ফাতিহ তোপকাপি প্রাসাদ, অজস্র মসজিদ মাদ্রাসাসহ মুসলমানদের সভ্যতার তীর্থভূমি। অন্যদিকে ব্রিজের অপরপাশে কারাকোয়, বেইওলু ও তাকসিমে ছিল বিদেশী রাষ্ট্রদূতদের অফিস ও বাসস্থান। ১৮ শতকের দিকে তুরস্কের অমুসলিম অভিজাতদের একটি বড় অংশ এ দিকটায় বাস করতো। এই অংশটার নাম ছিল হারবিয়ে।

তুর্কিশ কবি পেয়ামী সাফা তাঁর ফাতিহ-হারবিয়ে উপন্যাসে বলেছেন, কেউ গালাতা ব্রিজ পার হয়ে ফাতিহ থেকে হারবিয়ে যাওয়ামাত্র একটি নতুন সভ্যতা ও সংস্কৃতির স্পর্শ অনুভব করবে। একসময় তাকসিমে ওসমানী সেনাবাহিনীর কয়েকটি ক্যান্টনমেন্ট ছিল। ওসমানী সেনাদল ঘোড়ায় চড়ে সামরিক কুচকাওয়াচের মাধ্যমে এই ব্রিজ পার হতো। হারিয়ে গেছে সেইসব দিন। তবুও কালের সাক্ষী হয়ে দাড়িয়ে আছে গালাতা ব্রিজ।

08/12/2023

দোলমাবাহচেঃ সোনায় মোড়ানো পতনের প্রাসাদ

আপনি যদি ইস্তাম্বুল ভ্রমণ করে থাকেন কিন্তু দোলমাবাহচে প্রাসাদ না দেখে থাকেন তাহলে ওসমানী শান-শওকত ও সৌন্দর্যের ১৫ আনাই আপনার অদেখা রয়ে যাবে। ওসমানী খেলাফতের শেষ রাজপ্রাসাদ দোলমাবাহচে।
বলা হয় যদি কোনদিন তুরস্কের সবগুলো ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে যায় শুধু দোলমাবাহচে প্রাসাদের সম্পদ দিয়ে ৩ বছর তুরস্কের সব মানুষকে খাওয়ানো সম্ভব। কি বিশ্বাস হচ্ছে না? শুনুন তাহলে এই প্রাসাদের ছাদের শিলিংয়ে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪ টন কাঁচা সোনা। প্রাসাদটি তৈরী করতে খরচ হয়েছিল সেসময়কার ৫০ লক্ষ উসমানী স্বর্ণমুদ্রা যা আজকের সময়ে ৩৫ টন স্বর্ণের সমান। এই একটি প্রাসাদ নির্মাণের ব্যয় বহন করতে যেয়ে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছিল ওসমানী সালতানাত। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঝাড়বাতিটি এখানকার বড় হল রুমটিতে শোভা পাচ্ছে। দুই তলা বিশিষ্ট প্রকাণ্ড এই প্রাসাদে রয়েছে ২৮৫ টি কক্ষ, ৪৬ টি হল রুম ও ৬ টি তুর্কিশ বাথ। প্রাসাদের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য বিশ্বের সেরা চিত্রশিল্পীদের এনে সুলতানদের তেল রংয়ের ছবি আকানো হয়েছিল। সেই ছবিগুলো এখন শোভা পাচ্ছে প্রাসাদের একটি অংশে। মূল প্রাসাদের একটি অংশে সুলতানের দরবার হল। যেখানে বিদেশী দর্শনার্থীসহ উজীর নাজিররা সুলতানের সাথে দেখা করতেন। আরেকটি অংশে প্রশাসনিক অফিস। সবার শেষে রাজকীয় হারেম।
প্রাসাদের ইতিহাসঃ
তরুণ সুলতান আবদুল মজিদের আদেশে ১৮৪৩ সালে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ৪০০ বছর ধরে ওসমানীদের ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত তোপকাপি প্রাসাদকে তৎকালীণ ইউরোপীয় রাজপ্রাসাদগুলোর তুলনায় সেকেলে মনে হয় সুলতান আবদুল মজিদের। তাই তিনি সে সময়ের সবচেয়ে আধুনিক ও সবচেয়ে সুন্দর রাজপ্রাসাদ নির্মাণের পরিকল্পনা করেন। যুদ্ধ ও বাণিজ্যের ময়দানে ক্রম ক্ষয়িষ্ণু শক্তিকে আড়াল করার আরেকটি ভুল প্রয়াস ছিল এটি। নির্মাণ শুরুর ১৩ বছর পর ১৮৫৬ সালে প্রাসাদের কাজ শেষ হয়। তবে সাদ্দাদের কথিত বেহেশতের মতো বড় সাধ করে বানানো প্রাসাদের বেশী দিন থাকতে পারেননি সুলতান। মাত্র ৫ বছর পর ১৮৬১ সালে টিবি রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩৮ বছর বয়সে মারা যান তিনি। পরবর্তী সুলতান আবদুল আজিজ দোলমাবহচে থেকে শাসনাকাজ পরিচালনা করলেও চক্রান্তকারী উজিরদের দ্বারা তিনি ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গুপ্ত হত্যার শিকার হন।

বিরান প্রাসাদঃ
সালতানাতের দায়িত্ব সুলতান দ্বিতীয় আবদুল হামিদের হাতে আসার পর তিনি ঘরের শত্রু বিভীষণদের উপর চোখ রাখা শুরু করেন। যেহেতু দোলমাবাহচে সমুদ্রের তীরে ছিল সুলতানের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে, সমুদ্র পথে গুপ্তঘাতকের দল সহজে আক্রমণের ছক কষছে। সুলতান দ্রুত নিজের জন্য বসফরাস থেকে অনেক ভেতরে পাহাড়ে উপরে ইলদিজ প্রাসাদ বানিয়ে সেখানে রাজপরিবার ও প্রশাসনিক অফিস সরিয়ে নেন। ফলে পরবর্তী ৩৩ বছর বিরান পরে থাকে দোলমাবাহচে প্রাসাদ। বছরে মাত্র ২ বার এখানে রাজকীয় অনুষ্ঠান পালন করা হতো। সুলতান আবদুল হামিদের ক্ষমতাচ্যুতির পর বিদ্রোহী সৈন্যরা লুট করে তার ইলদিজ প্রাসাদ। পরবর্তী সুলতানরা দোলমাবাহচে প্রাসাদকে আবার প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করেন।
কামালের শেষ নি:শ্বাসঃ
১৯২৪ সালে কামাল আতাতুর্ক ওসমানী খিলাফাত উচ্ছেদ করে। কামালের নেতৃত্বে ইতিহাসের পাতা থেকে ওসমানী খিলাফাতের সব স্মৃতি চিহ্ন মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। কামাল রাজধানী ইস্তাম্বুল থেকে আংকারা সরিয়ে নেয়। কিন্তু দোলমাবাহচে প্রাসাদের মায়া ত্যাগ করতে পারে নি। তাই এটিকে প্রেসিডেন্টের গ্রীষ্মকালীন অবকাশ কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করে। ১৯৩৮ সালে কামাল আতাতুর্কের মৃত্যুও হয় দোলমাবাহচে প্রাসাদের ভেতরেই।
লুট না হওয়া প্রাসাদঃ
মুসলিম বিশ্বের লুট না হওয়া একটি স্থাপনা যার সবকিছু শত বছর পূর্বের মতো অবিকল রয়ে গেছে। লাল কেল্লা কিংবা আগ্রার রাজপ্রাসাদ থেকে ব্রিটিশরা স্বর্ণগুলো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে নিয়ে গেছে। তাজমহলের যে সৌন্দর্যে সারা বিশ্ব আজ মুগ্ধ তা আসলে তাজমহলের কংকাল। কারন তাজের মহামূল্যবান রত্ন পাথর ইংরেজদের ভোগে চলে গেছে বহু আগে। সব স্বর্ণ, মনিমুক্তা, রত্নপাথরসহ রাজকীয় ঐশ্বর্য ধরে রাখতে সক্ষম রয়েছে শুধু দোলমাবাহচে প্রাসাদ।
একবার এখানে প্রবেশ করলে যে কারো মাথা ধরে আসবে। কী প্রকাণ্ড তার হল রুম! কী কারুকাজ তার সিলিংয়ে! কী মোহনীয় আলোকছটা তার শতর্বর্ষী ঝাড়বাতিতে। মনে হবে টাইম মেশিনে চড়ে চলে এসেছেন ওসমানীদের যুগে। সব আছে এখানে। দরবার হল, সুলতানের লাইব্রেরী, রাজমাতার কক্ষ, তার্কিশ বাথ। নেই শুধু সুলতান আর তাঁর সালতানাত।
বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর রাজপ্রাসাদের মধ্যে শীর্ষস্থানীয় দোলমাবাহচে। বসফরাস প্রণালীর কোল ঘেঁষে ৪৫ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে তৈরী রাজপ্রাসাদের রয়েছে দুটি রাজকীয় গেট। প্রধান ফটকটিই এখন দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত। প্রাসাদের সামনে রয়েছে সুউচ্চ ক্লক টাওয়ার ও একটি মসজিদ। প্রাসাদের গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে রয়েল গার্ডেন। কৃত্রিম লেকের মাঝখানে ঝর্ণা। প্রাসাদের দেয়াল ঘেঁষে ছোট আরেকটি প্রাসাদ রয়েছে। নাম আয়না প্রাসাদ। কাঁচে ঘেরা এই ঘরে থেকে সুলতান দর্শনার্থীদের সাথে কথা বলত।
পরবর্তীতে এটিকে তুরস্ক সরকারের মিল্লি সারাইলার অধিদপ্তরের আওতায় এটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়। সপ্তাহে সোম ও বৃহস্পতিবার বাদে বাকি দিনগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত এই প্রাসাদ। তবে ভেতরে ছবি তোলা সম্পূর্ণ নিষেধ। একা একা ঘুরতে দেয়া হয় না। সরকার কর্তৃক নির্ধারিত গাইডের সাহায্যে ঘুরে দেখতে পারবেন প্রাসাদটি।
কখনো ইস্তাম্বুল আসার সুযোগ হলে অবশ্যই ঘুরে দেখবেন দোলমাবাহচে প্রাসাদ। আপনাদের জন্য বাংলা ভাষায় গাইডসহ সব ধরনের সার্ভিস নিয়ে পাশে আছে অটোমান ট্যুরিজম।

🌟 Ottoman Travels offers affordable tour packages that let you dive deep into Istanbul's charm. Our services include:
✌️ Tours and Travel Guides
✌️ Tailored Tour Packages
✌️ Premium Hotels & Residences
✌️ Efficient Transportation

Ready to embark on a journey through time?
✅ Visit our website: https://www.ottomantravels.com/
✅ Connect with us on Whatsapp: 0507 183 78 16
💌 Or drop us an email at: [email protected]

30/09/2023

🏛️🌆 Discover the heart of Istanbul at Taksim Square! Istanbul 🇹🇷✨

🌍✨Join us on an unforgettable journey through history and culture with Ottoman Tours & Travels.

✌️✌️ Our services: Tours and Travels Guides, Tour Packages, Hotels & Residences and Transportation.

✅Visit our website: https://www.ottomantravels.com/
✅Whatsapp/Contact: 0507 183 78 16
💌 Email us at: [email protected]

Come explore the magic of this incredible city.