Backpacker BD Hasib

Backpacker BD Hasib আমি একা ঘুরেফিরে বেড়াই।
মনের আনন্দে ঘ?

বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে কোনও ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যে দেশগুলিতে (NO VISA REQUIRED or NVR Countries with Bangladeshi Pas...
03/04/2024

বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে কোনও ভিসা ছাড়াই যেতে পারবেন যে দেশগুলিতে (NO VISA REQUIRED or NVR Countries with Bangladeshi Passport)
ভিসা ছাড়াও যে বিশ্বের অনেকগুলো দেশে যাওয়া যায়, তা হয়তো অনেকেই জানেন। তবে বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেই আপনি কোনো ধরনের ভিসার ছাড়াই ভ্রমণের সুযোগ পাবেন ২০টি চমৎকার দেশে আর এটি অবশ্যই যেকোনো ট্রাভেলারের জন্য দারুণ সুখবর। তবে ভিসা ছাড়াই তালিকায় থাকা ৪২টি দেশের যেকোনো একটিতে যেতে হলে আপনাকে শুধুমাত্র কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, যেমনঃ
আপনার পাসপোর্টটি অবশ্যই বৈধ হতে হবে। সাধারণত, বেশিরভাগ দেশের ক্ষেত্রেই বাংলাদেশী পাসপোর্টটি ডেস্টিনেশন থেকে এক্সিটের তারিখ , অর্থাৎ দেশটি ছেড়ে আসার তারিখের পর থেকে ৬ মাসের জন্য বৈধ হতে হয় এবং
ট্রাভেল করার আগে যে দেশে যাচ্ছেন সেটির জন্য সঠিক স্বাস্থ্য বীমা (Health Insurance) কিনে রাখা জরুরি। আপনি কোথায় যাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে বীমার ধরন এবং মূল্য ভিন্ন হতে পারে।
সব রিকোয়ারমেন্ট জেনে নেওয়ার পর বাংলাদেশি পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা ছাড়া যে ৪২টি দেশে খুব সহজেই যেতে পারেন
এশিয়া - ৬টি দেশ - ভুটান, কম্বোডিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পূর্ব তিমুর।
দক্ষিণ আমেরিকা - ১টি দেশ - বলিভিয়া।
উত্তর আমেরিকা (ক্যারাবিয়ান অঞ্চল) - ১১ টি দেশ - বাহামাস, বার্বাডোস, ব্রিটিশ ভার্জিন দ্বীপসমূহ, ডোমিনিকা, গ্রেনাডা, হাইতি, জামাইকা, মন্টসেরাট, সেন্ট কিটস এবং নেভিস, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, ট্রিনিডাড ও টোব্যাগো।
ওশিয়ানিয়া - ৮টি দেশ - কুক দ্বীপপুঞ্জ, ফিজি, কিরিবাস বা কিরিবাটি, মাইক্রোনেশিয়া, নিউয়ে, সামোয়া, ভানুয়াটু, টুভালু।
আফ্রিকা - ১৬টি দেশ - লেসোথো, গাম্বিয়া, বুরুন্ডি, কেপ ভার্দে, কমোরো দ্বীপপুঞ্জ, জিবুতি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, মাদাগাস্কার, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, রুয়ান্ডা, সেশেল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, টোগো।
তথ্যসূত্র: visaguide.world
--------------------------
বাংলাদেশি পাসপোর্ট থাকলে ভিসা অন-অ্যারাইভাল (Visa on Arrival বা VoA) নিয়ে ঘুরে আসতে পারবেন যেসব দেশে
আগে থেকে কোনও প্রকার ভিসা আবেদন ছাড়াই বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে উপভোগ করতে পারবেন অসাধারণ কিছু স্পট- এটা হয়তো অনেক ভ্রমণপ্রেমীরই শুধু কল্পনায় ছিল। ব্যাপারটা এখন পুরোপুরি সত্যি আর তা হয়তো অনেকে জেনেও থাকবেন। কিন্তু বাংলাদেশিদের জন্য অন এরাইভাল ভিসা ঠিক কোন কোন দেশে আছে তা নিয়ে বিভ্রান্তি থাকতে পারে। আজকে একনজরেই দেখে নিতে পারবেন সেই দেশগুলোর তালিকা আর চট করে প্ল্যান করে ফেলতে পারবেন আপনার পরবর্তি ট্রিপ।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলে ভিসা অন-অ্যারাইভাল (VoA) পাবেন যেসব দেশে
এশিয়া - মালদ্বীপ, ভুটান, নেপাল, টিমর-লেস্টে, শ্রীলঙ্কা
আফ্রিকা - কাবো ভার্দে, মৌরিতানিয়া, বুরুন্ডি, কমোরোস, গিনি-বিসাউ, মাদাগাস্কার, রুয়ান্ডা, সিশেলস, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া
দক্ষিণ আমেরিকা - বলিভিয়া
ওশিয়ানিয়া - টুভালু
তথ্যসূত্র: visaguide.world
------------------------------
ভিসা অন-অ্যারাইভাল এমন এক ধরনের ভিসা যেটির মাধ্যমে ডেস্টিনেশনে পৌঁছানোর আগে আপনাকে ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে না । অর্থাৎ, আপনাকে আগে থেকে কোনো ডকুমেন্ট সংগ্রহ করার দরকার নেই। আপনি যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানে পৌঁছে একটি অনুমোদিত পয়েন্টে প্রয়োজনীয় ফি দিয়েই আপনি আপনার ভিসাটি কালেক্ট করে নিতে পারবেন। এই সম্পূর্ণ প্রসেসটি দেশভেদে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনি আপনার আবেদন জমা দেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে আপনার ভিসা হাতে পেয়ে যাবেন। ভিসা অন-অ্যারাইভাল সাধারণত ট্যুরিস্টরাই ব্যবহার করে থাকেন এবং এর মেয়াদ থাকে ১৪ থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত। তবে ভিসা অন-অ্যারাইভালের যেকোনো শর্ত উক্ত দেশগুলোর সিধান্ত অনুযায়ী চেঞ্জ হতে পারে।

বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে ভিসা অন-অ্যারাইভালের জন্য আবেদন করার জন্য কি কি ডকুমেন্ট প্রয়োজন?


একটি বৈধ পাসপোর্ট
রিসেন্ট ছবি (সাধারণত ৩ মাসের বেশি পুরানো নয়)। ছবির সাইজ নির্ভর করবে যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানকার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী
ভিসা আবেদনপত্র (Visa Application Form)
প্রয়োজনীয় ফি দিতে ইন্টারন্যাশনাল ক্রেডিট কার্ড কিংবা ক্যাশ
ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি
ভ্রমণসূচী (Travel Itinerary) ইত্যাদি।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে ই-ভিসায় ঘুরে আসতে পারবেন যে দেশগুলো থেকে

বর্তমান সময়ে প্রায় সব ট্রাভেলারদের মধ্যেই ই-ভিসা বেশ পরিচিত। ই-ভিসা মূলত সাধারণ ভিসার একটি ইলেক্ট্রনিক ভার্সন । এটি একটি নিয়মিত ভিসার মতোই কাজ করে তবে নিয়মিত ভিসার তুলনায় কিছু এটির সুযোগ-সুবিধা কিছুটা বেশি, কেননা ই-ভিসার আবেদনের জন্য আপনাকে এম্বাসির লম্বা লাইনে মোটেই দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না। যেই দেশে যেতে চান, সেখানের এম্বাসির পোর্টালে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস আপলোড করলেই আপনার কাজ শেষ। অর্থাৎ, আপনাকে আর এম্বাসিতে সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে না বা ডকুমেন্টের কোনো হার্ড কপিও জমা দিতে হবে না। তাই বুঝতেই পারছেন, ই-ভিসা প্রক্রিয়াটি কতটা ঝামেলামুক্ত, সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী!

বাংলাদেশী পাসপোর্টে ই-ভিসা অনুমোদনকারী দেশের তালিকা


এশিয়া: বাহরাইন, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, কাতার, তাজিকিস্তান, ভিয়েতনাম
ইউরোপ: আলবেনিয়া
আফ্রিকা: বেনিন, বটসোয়ানা, বুর্কিনা ফাসো, ক্যামেরুন, কঙ্গো জাতীয় প্রজাতন্ত্র, আইভরি কোস্ট (কোট ডিভোয়ার), জিবুটি, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইথিওপিয়া, গাবন, গিনি, কেনিয়া, মালাউই, মোজাম্বিক, নাইজেরিয়া, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, দক্ষিণ সুদান, টোগো, উগান্ডা, জাম্বিয়া, জিম্বাবুয়ে
উত্তর আমেরিকা (ক্যারাইবিয়ান অঞ্চল): অ্যান্টিগুয়া এবং বারবুডা
দক্ষিণ আমেরিকা: সুরিনাম
তথ্যসূত্র: visaguide.world

-----------------------------
বাংলাদেশী পাসপোর্ট থাকলেও যেসব দেশ ভ্রমণ করতে আপনাকে ট্যুরিস্ট ভিসা নিতে হবে


নো-ভিসা, ই-ভিসা এবং ভিসা অন-অ্যারাইভাল নিয়ে সব প্রয়োজনীয় তথ্য জানার পর এবার পালা ভিসাসহ ট্রাভেল নিয়ে জানার। আপনার যদি একটি বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট এবং একটি ভিসা থাকে, তাহলে আপনি ঘুরে দেখতে পারেন পৃথিবীর অনন্য ১৬১টি দেশ! প্রকৃতির ভিন্ন ভিন্ন রূপ, চোখ ধাঁধানো আর্কিটেকচারসহ বিভিন্ন জনপ্রিয় স্পটের ছবিগুলো মডার্ন ডিভাইসটিতে ক্যাপচার করতে বেশ ভালোই লাগবে! চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক এই নিয়ে সব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

বাংলাদেশ থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য কিছু বেসিক ডকুমেন্ট


ভিসা আবেদনপত্র (Visa Application Form)
একটি বৈধ পাসপোর্ট (অন্তত ছয় মাসের বৈধতা) যেখানে পরিদর্শনকারী দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় কয়েকটি ফাঁকা পৃষ্ঠা রয়েছে।
পুরানো পাসপোর্ট (যদি থাকে)
রিসেন্ট ছবি (সাধারণত ৩ মাসের বেশি পুরানো নয়)। ছবির সাইজ নির্ভর করবে যেই দেশে যাচ্ছেন সেখানকার রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ী
ফ্লাইট টিকিট এবং হোটেল রিজার্ভেশনের কপি
ভ্রমণসূচী (Travel Itinerary) ইত্যাদি
আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমাণ (সাধারণত লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট)
ম্যারেজ সার্টিফিকেট

জেনে রাখা ভালো ...... মৃত্যু চিরন্তন সত্য, এটি প্রকৃতির নিয়ম। যারা বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় যায়, তাঁরা ইন্ডিয়ায় মৃত্যু বরণ...
20/03/2024

জেনে রাখা ভালো ......
মৃত্যু চিরন্তন সত্য, এটি প্রকৃতির নিয়ম।

যারা বাংলাদেশ থেকে ইন্ডিয়ায় যায়, তাঁরা ইন্ডিয়ায় মৃত্যু বরণ করলে, মৃতদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়াটা জেনে রাখা প্রয়োজন।

ইন্ডিয়া থেকে লাশ নেয়ার জন্য আপনাকে একটা লম্বা রাস্তা পাড়ি দিতে হবে, বেশ কয়েকটা অফিস ঘুরে প্রমান করতে হবে মৃতদেহ টি আপনার আত্মীয়ের এবং সে এখানে কোন #বেআইনি কিছু করেন নি৷

প্রতিটি ধাপ নিয়ে নিচে,
বিস্তারিত দেওয়া হল।......

ধাপ১(death certificate)
***************************
প্রথমে-ই হাসপাতাল থেকে ডেথ সার্টিফিকেট, খুব সিম্পল কাজ ।যে ডাক্তার এর আন্ডার এ ছিলেন সেই এই কাজটি করে দিবে। হাসপাতালের এডমিনেস্ট্রেশন থেকে এটা কালেক্ট করে প্রথমেই ১০ টা কপি করে নিবেন৷

ধাপ২( police N.O.C)
**********************************
ডেথ সার্টিফিকেট( অরজিনাল+ জেরক্স) এবং পেশেন্ট +তার যে কোন একজন এটেন্ডেন্ট (যে বডিটা ক্যারি করে দেশে নিয়ে যাবে) এর পাসপোর্ট (original+xerox) নিয়ে নিকটস্থ পুলিশ স্টেশন এ যান এবং সেখানে কথা বলে Entry করে N.O.C কালেক্ট করুন।
বলে রাখা ভালো, এতে কোন টাকা পয়সার দরকার নেই।

ধাপ ৩( passport cancellation+N.O.C)
************************************
উপরের পেপার + পাসপোর্ট ( অরজিনাল+জেরক্স) নিয়ে এবার চলে যাবেন নিকটস্থ হাই কমিশন এ (এর ২৪ ঘন্টা খোলা থাকে, যদিও সন্ধ্যা ৬ টার পর কল করলে বলবে এখন আইসেন না বন্ধ) গিয়ে পেশেন্ট এর মূল পাসপোর্ট টা ক্যান্সেল করে সিল মেরে সেখান থেকে আরো একটি N.O.C collect করবেন৷

ধাপ ৪-( FRO)
**************************************
এবার উপরের সব পেপার নিয়ে চলে যাবেন FRO তে, সেখানে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করলেই মোটামুটি কাজ শেষ। (বলে রাখা ভালো, FRO সকাল ১০ টার আগে খুলে না সো এর আগে যাবেন না)৷

ধাপ ৫- ( Embalming Certificat)
************************************
অনেক অরগানাইজেশান আছে যারা বডি preservation এর কাজ করে, peace heaven ইন্ডিয়ার সবচেয়ে পূরন অর্গানাইজেশন গুলোর মধ্যে ১ টা যারা লাস্ট ৭০ বছর ধরে এই কাজ অনেক স্বল্প মূল্যে করে যাচ্ছে ৷ এরকম যেকোন একটি অর্গানাইজেশন এর সাথে কথা বলে সব ফার্মালিটিস (মূলত উপরের চারটি ধাপের পেপার দেখাতে হবে) শেষ করে Embalming Certificate collect করবেন।

বাংলাদেশে বডি নেয়ার জন্য এই ৫ টি পেপার মাস্ট থাকা লাগবে, উপরের সবগুলো পেপার এর ৭ টি করে জেরক্স করে ৭ টি আলাদা সেট করে রাখবেন।

আপনি যদি বাই-রোড যান, তাহলে এম্বুলেন্স এর সাথে কন্টাক্ট করে অবশ্যই বিকাল ৫টার আগে বর্ডার পৌছাবেন, অন্যথায় ইমিগ্রেশন শেষ করে ৬ টার আগে বের হওয়া খুব টাফ হয়ে যাবে।

আর বাই এয়ার গেলে, যে এয়ার ওয়েজ এ যাবেন তার টিকেট কেটে টিকেটের একটা প্রিন্ট কপি+ উপরের সব পেপার নিয়ে এয়ারপোর্ট এর কার্গো ডিপার্টমেন্টএ চলে যাবেন এবং সে এয়ারওয়েজ এর কার্গো অফিসে গিয়ে কথা বলে বডি ডেসপ্যাচ করার পেপার কালেক্ট করে নিবেন৷ বাকি কখন কি করতে হবে ওরা ই করে দিবে৷

#বি. #দ্রঃ উপরের কোথাও কোন খরচ নেই জাস্ট বডি প্রিসারভেশন এর জন্য একটা চার্জ ধরা হয়, পিস হ্যাভেন ৭২ ঘন্টা বডি প্রিসার্ভ+ কফিন+১ দিন মর্গে রাখার জন্য ১৬২০০ টাকা নেয়৷ আর কোথাও কোন খরচ নেই৷

বডি কার্গোতে আনতে কোন টাকা লাগে না, জাস্ট এটেন্ডেন্ট এর এয়ার টিকেট লাগে৷ কাস্টস+ইমিগ্রেশন এ বডির জন্য কিছু টাকা লাগে বাট এয়ার ওয়েজ ও কোন টাকা লাগবে না।
কলকাতা থেকে বাংলাদেশে বডি নিতে কাস্টমস এ ৯০০০ রুপির মতো নেয়৷

************
ধন্যবাদ 🙏

বুড়িগঙ্গায় 'কালে খাঁ জমজম' ডুবে যাওয়ার পর লোকমুখে কুসংস্কার বেরিয়েছিল যে, 'বিবি মরিয়মে'র জন্য বুড়িগঙ্গা থেকে প্রায়ই গর্জ...
15/03/2024

বুড়িগঙ্গায় 'কালে খাঁ জমজম' ডুবে যাওয়ার পর লোকমুখে কুসংস্কার বেরিয়েছিল যে, 'বিবি মরিয়মে'র জন্য বুড়িগঙ্গা থেকে প্রায়ই গর্জন ভেসে আসতো। তারা বিশ্বাস করতেন, এ গর্জনের অর্থ হলো, কালে খাঁ তার সঙ্গিনী মরিয়মকে ডাকছে।

হারিয়ে যাওয়া বিখ্যাত কালে খাঁ জমজম কামান
একসময় ঢাকার পর্যটকদের আকর্ষণ লালবাগ দূর্গ বা বড় কাটরা নয়, ছিল মোগল যুগের একটি কামান। ১৭৭৬ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে এসেছিলেন রবার্ট লিন্ডস। তিনি লিখেছিলেন, 'ঢাকায় গর্ব করার মতো তেমন কিছু নেই। লালবাগ দূর্গ, বড় কাটরা, তাঁতিবাজার আর টঙ্গীর পুল কিছুই তাকে আকৃষ্ট করেনি। শুধু একটি জিনিসই করেছে। তা হলো, ঢাকার একটি কামান।'

মুনতাসীর মামুনের রচনাবলি ২য় খন্ড বইয়ের 'ঢাকার হারিয়ে যাওয়া কামান' শিরোনামের একটি অধ্যায়ে পাওয়া যায় এই বর্ণনা।

কোথা থেকে এলো এই কামান

এত বিশাল ও ওজনে ভারি জিনিস জলপথে হাজার মাইল দূর থেকে আনা প্রায় অসম্ভব।

১৭ শতকের গোড়ার দিকে মোগল বাদশাহ সম্রাট জাহাঙ্গীর ঢাকায় বাংলার রাজধানী স্থাপন করলে, এখানে গড়ে ওঠে নানা প্রশাসনিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান। সে সঙ্গে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে থাকে জলদস্যুদের উপদ্রবও। বিভিন্ন বই-পুস্তকে সেসময়কার জলদস্যুদের কথা উঠে এসেছে।

ঢাকার চারপাশ ঘিরে কয়েকটি নদী থাকায়, জলদস্যুরা সে পথ দিয়েই আসতো। বিশেষত মগ, পর্তুগিজ ও আরাকানি জলদস্যুদের উপদ্রব বেড়ে গিয়েছিল অনেক। তাই প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরদার করতে ঢাকায় বেশ কিছু কামান তৈরি করা হয়। এর মধ্যে দুটি কামান ছিল সুবিখ্যাত। মোগল নির্মাণশৈলীতে, বিশালত্বে ও সৌন্দর্যে এগুলো ছিল বিশ্বমানের কামান।

কামান দুটির একটির নাম কালে খাঁ জমজম ও অপরটির নাম বিবি মরিয়ম। ধারণা করা হয়, কালে খাঁ নামক কোনো বীর এবং তার স্ত্রীর নামে এই নামকরণ করা হয়েছিল। তবে কেউ কেউ দাবি করেছে, মীর জুমলাই এই কামানদুটির নাম রেখেছেন।

ব্রিটিশ রাজকর্মচারী ও পর্যটকেরা কালে খাঁ-কে দেখেই সবচেয়ে বেশি অবাক হতেন এবং এর বৃত্তান্ত লিখে রেখে যান। বিখ্যাত ভূগোলবিদ জেমস রেনেল তার স্মৃতিকথায় ঢাকার ঐ কামানের কথাই বিস্তারিতভাবে লিখে গেছেন। পরিমাপের দিক থেকে কালে খাঁ জমজমকে তিনি তুলনামূলক বেশি জমকালো এবং বিশাল হিসেবে আখ্যায়িত করে গেছেন।

নদী থেকে শোনা যেত গর্জন!

মীর জুমলা আসাম যুদ্ধে এই দুটি কামান ব্যবহার করেছিলেন। সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৬০ সালে মীর জুমলাকে বাংলার সুবেদার নিয়োগ করেন। মীর জুমলা ১৬৬১ সালে আসাম অভিযানের সময় ৬৭৫টি ভারী কামান ব্যবহার করেন। তার মধ্যে বিবি মরিয়ম ছিল সর্ববৃহৎ। যুদ্ধশেষে বিজয়ী হয়ে তিনি বিবি মরিয়মকে বড় কাটরার দক্ষিণে সোয়ারীঘাটে স্থাপন করেন। মীর জুমলার সময় বড় কাটরা ছিল ঢাকার বৈশিষ্ট্যময় একমাত্র জাঁকালো অট্টালিকা!

সৈয়দ মোহাম্মদ তাইফুর তার 'গ্লিম্পস অব ঢাকা' বইয়ে বলেন, সুবাদার মীর জুমলা কামানটিকে আসাম অভিযানের সময় ব্যবহার করেছিলেন এবং তারপর তা আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন ঢাকায়। হতে পারে, আসাম অভিযানের পর তিনি এটিকে কাটরার সামনে স্থাপন করেছিলেন যুদ্ধ জয়ের স্বারক বা দ্রষ্টব্য হিসেবে।
তখন থেকে কামানটি 'মীর জুমলার কামান' নামে পরিচিত লাভ করে। বুড়িগঙ্গার মোগরাই চরে রাখা হয় কালে খাঁ জমজমকে। পরবর্তীতে নদীভাঙ্গনে বুড়িগঙ্গায় বিসর্জিত হয় কালে খাঁ জমজম।

রবার্ট লিন্ডস ১৭৮০ সালের নদীভাঙ্গনে কালে খাঁ জমজমের ক্ষতির জন্য কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করে গেছেন। কিন্তু স্থানীয়দের কাছে তা এতটাই পূজনীয় ও আধ্যাত্মিক ছিল যে তারা মনে করতেন, স্বর্গ থেকে এটি এসেছিল, আবার স্বর্গেই তা ফিরে গেছে!

এমনকি তাদের এই কুসংস্কারের তীব্রতা বোঝা যায় নিচের ঘটনাটি পড়লে। মুনতাসীর মামুন লিখেছেন, বুড়িগঙ্গায় কালে খাঁ জমজম ডুবে যাওয়ার পর লোকমুখে কুসংস্কার বেরিয়েছিল যে, নদী থেকে বিবি মরিয়মের (পরবর্তীতে মীর জুমলা নামকরণ) জন্য বুড়িগঙ্গা থেকে প্রায়ই গর্জন ভেসে আসতো। তারা বিশ্বাস করতেন, এ গর্জনের অর্থ হলো, 'কালে খাঁ' তার সঙ্গিনী 'মরিয়ম'কে ডাকছে। এবং তারা হলফ করে বলতেন, যে ঐ গুরুগম্ভীর আওয়াজ তারা শুনেছেন!

১ম ছবি বিবি মরিয়ম কামান৷(গুলিস্তানের কামান)
২য় ছবি হারিয়ে যাওয়া বিখ্যাত কালে খাঁ জমজম কামান৷

পোস্ট সংগ্রহ : নেট থেকে৷

ছবিতে যে গাছের খুঁটিটি দেখতে পাচ্ছেন, এটি পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি মোবাইল টাওয়ার।টাওয়ারের মাথায় ফোন রেখে তারপর কথা বলতে হব...
13/03/2024

ছবিতে যে গাছের খুঁটিটি দেখতে পাচ্ছেন, এটি পাহাড়িদের নিজেদের তৈরি মোবাইল টাওয়ার।

টাওয়ারের মাথায় ফোন রেখে তারপর কথা বলতে হবে। জিন্না পাড়া থেকে ৪০ মিনিট ট্রেকিং করে দেবতা পাহাড়ে উঠে, এভাবেই আপনি যদি মোবাইল টা হাতে নেন, কথা বলতে পারবেন না। গাছের মাথায় মোবাইল রেখে, গাছের গোড়ায় বসে ডায়েল করে লাউডস্পিকার অন করে কথা বলতে হবে। একটু সরালেই নেটওয়ার্ক গায়েব হয়ে যায়। এভাবে চার, পাঁচটা গাছের খুঁটি রয়েছে সেখানে। কি অদ্ভুৎ তাদের আবিষ্কার তাইনা?

থুইসাপাড়া, বান্দরবান ❤

ডেভিড ল্যাটিমার এই গাছটি বোতলের ভেতরে লাগিয়েছিলেন ১৯৬০ সালে এবং গত ৪৭ বছর ধরে এর ছিপি কখনোই খোলা হয়নি। ফলে এই দীর্ঘ সময়ে...
11/03/2024

ডেভিড ল্যাটিমার এই গাছটি বোতলের ভেতরে লাগিয়েছিলেন ১৯৬০ সালে এবং গত ৪৭ বছর ধরে এর ছিপি কখনোই খোলা হয়নি। ফলে এই দীর্ঘ সময়ে এই বোতলের ভিতরে গড়ে উঠেছে একটি বাস্তুসংস্থান যা নিজেই নিজেকে রক্ষা করে চলেছে দীর্ঘ সময় ধরে। এই বোতলে বাইরে থেকে কোনো কিছুর আদান-প্রদান হয় না। গাছটি অক্সিজেন উৎপন্ন করে এবং মাটিস্থঃ হিউমাস থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে। গাছের ঝরে যাওয়া পাতা ও অন্যান্য অংশ মাটিতে পড়ে ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে পুনরায় সরল উপাদানে পরিণত হয় এবং এর ফলে জৈব বস্তু ভেঙ্গে গিয়ে কার্বন-ডাইঅক্সাইডও বায়ুতে আসে। প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় উৎপন্ন বাষ্প ঘনীভূত হয়ে মাটিতে জমা হয় এবং মূলের মাধ্যমে পুনরায় গাছ শোষন করে। ফলে একটি পানি চক্রও তৈরি হয়। গাছের প্রয়োজনীয় যাবতীয় উপদান গাছ আর মাটি হতেই রিসাইকেল হয় বলে এতে বাইরে থেকে কিছুই সরবরাহ করতে হয় না।

তবে একেবারে শুরুতেই বোতলের গাছটিকে সিল করে দেওয়া হয় নি। স্পাইডার ওর্টের চারটি বীজ লাগানো হয় বোতলে। এর মধ্যে একটি গাছ টিকে থাকে। একযুগ পরিচর্যার পর বোতলটিকে স্থায়ীভাবে সিল করে দেওয়া হয় এর এর পর থেকে বিগত ৪৭ বছর এটি বাইরের দুনিয়া থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন।

সুন্দরবনে এক থেকে দেড় হাজার বছরের পুরোনো মানববসতির নিদর্শন পাওয়া গেছে। নিদর্শনগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এই শ্ব...
19/02/2024

সুন্দরবনে এক থেকে দেড় হাজার বছরের পুরোনো মানববসতির নিদর্শন পাওয়া গেছে। নিদর্শনগুলো আবিষ্কৃত হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম এই শ্বাসমূলীয় অরণ্যের পাঁচটি জায়গায়। হাজার বছর আগে ব্যবহৃত মানুষের বিচিত্র ব্যবহার্য সামগ্রীও পাওয়া গেছে বনের নানা স্থান থেকে। সুন্দরবন ও যশোর-খুলনার প্রাচীন ইতিহাস নিয়ে লেখা কিছু বই পর্যালোচনা করতে গিয়ে ইসমে আজম নামে এক গবেষকের একাগ্র অনুসন্ধানে সাম্প্রতিক সময়ে এসব নিদর্শন নতুন করে উদঘাটিত হয়েছে।

সুন্দরবনের সাতক্ষীরার শ্যামনগর অংশ থেকে নদীপথে ৮৩ কিলোমিটার দূরে বঙ্গোপসাগর উপকূলের খেজুরদানা, আড়পাঙ্গাশিয়া ও শেখেরটেকে সন্ধান পাওয়া গেছে সবচেয়ে বড় স্থাপনাগুলোর। আরও কিছু স্থাপনার খোঁজ মিলেছে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা অংশের খোলপটুয়া নদীতীরে এবং খুলনা অংশের কটকায়। ঢেউয়ের তোড়ে নদীর পাড় ভেঙে মাটির আস্তরণ সরে যাওয়ায় পুরোনো এসব স্থাপনা বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে।

বখতিয়ার খলজির সমাধি... (গঙ্গারামপুর ) যিনি বাংলার লক্ষণ সেনকে পরাস্ত করে প্রথম বাংলা দখল করেন।বাংলা ও বিহার অঞ্চলে প্রথম...
27/01/2024

বখতিয়ার খলজির সমাধি... (গঙ্গারামপুর )
যিনি বাংলার লক্ষণ সেনকে পরাস্ত করে প্রথম বাংলা দখল করেন।
বাংলা ও বিহার অঞ্চলে প্রথম মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠা করেন তুর্কি সেনাপতি ও বীর যোদ্ধা ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি। তিনি ছিলেন তুর্কি জাতিভুক্ত খিলজি বংশের সন্তান। বখতিয়ার খিলজির পূর্বপুরুষ আফগানিস্তানের গরমশির অঞ্চলে বাস করতেন। অল্প বয়সে তিনি ভাগ্যান্বেষণে বের হন এবং বহু দরবার ঘুরে অযোধ্যার শাসক হুসামুদ্দিনের সেনাবাহিনীতে থিতু হন।

হুসামুদ্দিন তাঁকে ‘ভগবত’ ও ‘ভিউলা’ নামক দুটি পরগনার জায়গির দান করেন। এর পরই তাঁর জীবনধারা বদলে যায় এবং নিজেকে একজন শাসক হিসেবে প্রতিষ্ঠার সুযোগ পান।
একজন যোগ্য শাসক ও সেনাপতি হিসেবে বখতিয়ার খিলজির সুনাম ছড়িয়ে পড়লে দিল্লির শাসক কুতুবুদ্দিন আইবেকের সুদৃষ্টি লাভ করেন এবং তাঁর আনুগত্য স্বীকারের বিনিময়ে বিহার অভিযানের অনুমতি পান। বিহার বিজয়ের পর বখতিয়ার খিলজির ক্ষমতা ও সামর্থ্য আরো সংহত হয়।

তিনি বিশাল এক বাহিনী গঠন করেন এবং ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে রাজা লক্ষ্মণ সেনের শাসনাধীন বাংলার নদীয়া জয় করেন। আকস্মিক আক্রমণে রাজা লক্ষ্মণ সেন প্রধান রাজধানী বিক্রমপুর পালিয়ে যান। এভাবেই বাংলার মাটিতে মুসলিম শাসনের সূচনা হয়।
এরপর তিনি ধীরে ধীরে লক্ষ্মণাবতী, গৌড়সহ সমগ্র উত্তরবঙ্গ বিজয় করেন।

লক্ষ্মণাবতীর নাম পরিবর্তন করে লখনৌতি করে তাকে রাজধানী ঘোষণা করেন। ১২০৬ খ্রিস্টাব্দে বখতিয়ার খিলজি তিব্বত অভিযানে বের হন। কিন্তু উপজাতিদের বিশ্বাসঘাতকতা ও কূটকৌশলের কাছে পরাস্ত হন। এতে তাঁর সেনাদলের বৃহদাংশ ধ্বংস হয়ে যায়। তিব্বত বিপর্যয়ের পর ব্যর্থতার গ্লানি ও শোকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং দেবকোটে (বর্তমান দিনাজপুর) ফিরে আসেন।
এখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। তবে কেউ কেউ বলেন মীর মর্দানের হাতে নিহত হন।
ইখতিয়ার উদ্দিন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি ইতিহাসের পাতায় যতটা উচ্চারিত, যতটা চর্চিত, যতটা স্মরিত; ঠিক ততটাই অবহেলিত ও অজ্ঞাত বখতিয়ারের সমাধিস্থল। বখতিয়ার খিলজির কবর যে এখনো চিহ্নিত আছে তা-ও হয়তো বহু মানুষের জানা নেই। বাংলায় মুসলিম শাসনের প্রতিষ্ঠাতা বখতিয়ার খিলজি বর্তমান ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ঘুমিয়ে আছেন। জেলার গঙ্গারামপুর থানায় পীরপালে এখনো টিকে আছে তাঁর সমাধিসৌধ।

অযত্নে-অবহেলায় ধ্বংসের মুখে বখতিয়ার খিলজির সমাধিসৌধও। সমাধিস্থলে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের মধ্যে বারো দুয়ারি ও দীঘির ঘাট এরই মধ্যে বিলীন হয়ে গেছে। ধসে গেছে সমাধিসৌধের দেয়ালের একাংশ। ধারণা করা হয়, বারো দুয়ারি নামে চিহ্নিত স্থাপনাটি মূলত একটি মসজিদ ছিল। মসজিদের মুসল্লি ও কবর জিয়ারতকারীদের অজুর জন্য পাথর বাঁধানো ঘাট তৈরি করা হয়েছিল। সমাধি ও বারো দুয়ারি পাথরের দেয়াল দিয়ে ঘেরা ছিল। তবে ব্রিটিশ সার্ভেয়ার স্যার ফ্রান্সিস বুকানন হামিল্টন, যিনি ১৮০৭ খ্রিস্টাব্দে উত্তরবঙ্গ ও বিহারের জরিপকাজে নিযুক্ত হন। তিনি বখতিয়ার খিলজির সমাধির বিবরণ দেওয়ার সময় বারো দুয়ারির ভেতরে একটি কবর আছে বলে উল্লেখ করেছেন। স্যার হামিল্টনের ধারণা বারো দুয়ারির কবরটিই বখতিয়ার খিলজির এবং এখনো টিকে থাকা কবরটি বখতিয়ারের সহচর পীর বাহাউদ্দিনের। অবশ্য সমাধিসৌধের সামনে টানানো বতর্মান নামফলকে স্যার হামিল্টনের ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে এবং টিকে থাকা সৌধটিকেই বখতিয়ারের বলে দাবি করা হয়েছে।

বর্তমানে কালের নিয়মে বখতিয়ার খিলজির সমাধি অবহেলার পাত্র হলেও স্থানীয় সাধারণ মানুষের কাছে তিনি ‘দেবতুল্য’। কথিত আছে বখতিয়ার খিলজি মাটিতে শুয়ে আছেন বলে পীরপালের মানুষরা খাট বা চৌকিতে ঘুমায় না। তারা অনেকাংশে শত শত বছর ধরে মাটিতেই ঘুমিয়ে আসছে।

সংগ্রহ।

15/01/2024

বাংলা বিহার উড়িষ্যার স্বাধীনতা বিলুপ্ত হয়েছিলো মুন্নী নামক এক নটীর কারণে, যদিও ঐতিহাসিকগণ এবং আমরা দায়ী করি ঘষেটি বেগমকে।

মারাঠাদের বিরূদ্ধে যুদ্ধ করে মীরজাফর খ্যাতি লাভ করে। ধীরে ধীরে নবাবের সাথে তার সখ্যতা বাড়তে থাকে এবং নবাব তাঁর বৈমাত্রেয় বোন শাহ খানম সাহিবাকে তার সাথে বিবাহ দেন।

নিজের চেয়ে উঁচু পরিবারে বিবাহ করলে অধিকাংশ পুরুষের অবস্থা হয় ফান্দে পড়া বগার মতো। মীরজাফরের অবস্থাও ছিল সেরকম। আলীবর্দীর বোন শাহ খানম চোখে পড়ার মত অত সুন্দরী ছিলো না। তাঁর চেয়ে মহলের দাসীরা অধিক সুন্দরী ছিলো।

মীরন এবং ফাতিমার জন্মের পর থেকে তিনি প্রায় সময়ই অসুস্থ থাকতেন। অসুস্থ ঘোড়ায় চড়ে রাস্তা পার হওয়া যায়, কিন্তু যুদ্ধ জয় করা যায় না। অসুস্থ স্ত্রী নিয়ে সংসার করা গেলেও, কামনা পূরণ সম্ভব নয়।

আলীবর্দীর তিন মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর বড় ভাই হাজী আহমেদের তিন ছেলের সাথে। এর মাঝে বড় মেয়ে ঘসেটি বেগম ছিলেন নিঃসন্তান।

তিনি আমিনার ছেলে সিরাজউদ্দৌলার ভাই একরামুদ্দৌলাকে দত্তক নিয়েছিলেন। একরামুদ্দৌলার বিবাহ উৎসবে জৌলুস বাড়ানোর জন্য পারস্য থেকে নটীর দল আনা হয়।

ঐ নটী দলের সদস্য ছিলো মুন্নী বাঈ। আরো অনুষ্ঠানের আশায় নটীর দল মুর্শিদাবাদে থেকে যায়। অসম্ভব সুন্দর দেহবল্লবীর অধিকারিণী মুন্নী বাঈ।

তার রূপ মাধুরী আর নুপুরের নিক্কনে মহলের অনেক যুবা, বৃদ্ধ পুরুষেরই অন্তরে কাঁপন ধরে। সুন্দরী মুন্নী বাঈ আলীবর্দী খানের প্রধান সেনাপতি মীর জাফরেরও নজর কাড়ে। মীরজাফর প্রায়ই জলসা ঘরে গিয়ে মুন্নী বাঈয়ের সাথে খোশগল্প, ফূর্তিতে মেতে উঠতেন।

"কাম হতে হয় প্রেমের উদয়, প্রেম হইলে কাম থাকে না," মীরজাফরের জীবন যেন এর বাস্তবরূপ পাওয়া যায়। কাম বাসনা চরিতার্থ করার জন্য মীরজাফর মুন্নীর জলসাতে গেলেও এক সময় প্রেমে পড়ে যায়।

মীরজাফরের মরু হৃদয়ে সে যেন এক বহতা নদী। কিন্তু সে নদী যে কোন সময়ে গতিপথ বদল করতে পারে, তাই সে দখল করতে চাইলো।

তৎকালে রাজা, বাদশাহ, শাহজাদা, আমত্যদের জন্য ইন্দ্রিয়বিলাস দোষের কিছু ছিলো না। কিন্তু তখনকার প্রচলিত রীতি অনুযায়ী অভিজাত শ্রেণীর পুরুষেরা দাসীদের বিয়ে করতে পারলেও রং মহলের কোন নটীকে বিয়ে করা সম্ভব ছিলো না।

দাসীদের মর্যাদা অনেকটা বর্তমান সময়ের গৃহকর্মীর ন্যায়; আর নাচনেওয়ালী নটীদের মূল্য পতিতাদের চেয়ে বেশি না। বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায়ও অনেকে গৃহকর্মী বিয়ে করলেও, পতিতাকে সহজে বিয়ে করে না।

মুন্নী বাঈ মীরজাফরের কাছে শাহ খানমের চেয়ে প্রিয় হলেও তাকে বিয়ে করে সমাজকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখানোর মত হিম্মত মীরজাফরের ছিলো না।

সে একেতো নবাবের বোন জামাই, অন্যদিকে প্রধান সেনাপতি। তার নিজস্ব কোনো ঘরও নেই যে মুন্নীকে বিয়ে করে সে ঘরে তুলবে। বোনকে দেওয়া নবাবের জাফরাগঞ্জ মঞ্জিল ছিলো তার বাস।

সুতরাং মুন্নী বাঈকে ঘরে তোলার স্বপ্ন বুকে মাটি চাপা দিয়ে, অপেক্ষা করা ছাড়া তার সামনে আর কোন পথ ছিলো না।

নবাব আলীবর্দী খাঁ'র মৃত্যু এবং সিরাজউদ্দৌলার সিংহাসন আরোহন তার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার পথ সুগম করে দেয়। নবাব সিরাজউদ্দৌলা মাত্র পনেরো মাস মসনদে ছিলেন।

পলাশীর যুদ্ধে মীরজাফরের বিশ্বাসঘাতকতায় নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের পর সে তার খায়েশ পূরণ করে বাংলার নবাব হয়ে।

সকল লোক লজ্জাকে পায়ে ঠেলে পঁয়ষট্রি বছরের বৃদ্ধ নবাব মীর জাফর আলী খাঁ এক নটীকে বিয়ে করে।

মীরজফরই প্রথম ব্যক্তি যিনি নটীকে বেগমের মর্যাদা প্রদান করেছেন। শাহজাদা সেলিমের প্রেম যেখানে ব্যর্থ, মীরজাফরের প্রেম সেখানে সফল। তার এই প্রেম কাহিনী নিয়ে অমর প্রেমের গল্প, কবিতা, উপন্যাস রচিত হতে পারতো।

প্রেমিক প্রবরদের কাছে সে হতে পারতো আদর্শ কিন্তু তা হয়নি, কারণ যেভাবে সফল হয়েছে সেভাবে সফল হওয়া লোকদের মানুষ মুখে কিছু না বললেও মনে মনে ঘৃণাই করে। পরে মীরজাফর রব্বু বাঈ নামে আরেক নটীকে বিবাহ করে।

মীরজাফরের মৃত্যুর পর থেকে ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত এই দুই নটীর গর্ভজাত সন্তান এবং তাদের উত্তরাধিকাররা বাংলা বিহার উড়িষ্যার নবাব ছিল।

কিন্তু তাদের নিয়ে ঐতিহাসিকদের কাছে না তেমন তথ্য পাওয়া যায়, না জনগণের মুখে কোন কথা শোনা যায়।

কারণ, নটীর পোলাদের নিয়ে মাথা ঘামিয়ে ঐতিহাসিকগণ বা জনগণ সময় নষ্ট করতে চায়নি। নবাবের আসনে শত বছর বসে থাকলেও নটীর পোলা নটীর পোলাই থাকে।

২০১০ সালের জনপ্রিয় হিন্দি গান "মুন্নী বদনাম হুয়ি, ডার্লিং তেরি লিয়ে…", ১৯৯২ সালের পাকিস্তানি সিনেমার,"লাড়কা বদনাম হুয়া, হাসিনা তেরে লিয়ে…" গানের নকল। সঙ্গীত প্রিয় জনতা মুন্নীর বদনাম যতটুকু জানে লাড়কার বদনামের কথা ততটা জানে না।

আগামী ১০ই জানুয়ারী হতে চালু হতে যাওয়া ৮১৫/৮১৬ পর্যটক এক্সপ্রেস এর বিস্তারিত সকল তথ্য...... 😍 √ নামঃ পর্যটক এক্সপ্রেস। √ ...
09/01/2024

আগামী ১০ই জানুয়ারী হতে চালু হতে যাওয়া ৮১৫/৮১৬ পর্যটক এক্সপ্রেস এর বিস্তারিত সকল তথ্য...... 😍

√ নামঃ পর্যটক এক্সপ্রেস।
√ ট্রেন কোডঃ ৮১৫/৮১৬।
√ রুটঃ কক্সবাজার- ঢাকা।
√ সার্ভিসঃ ননস্টপ।
√ পরিসেবাঃ ব্র‍্যান্ড নিউ কোরিয়ান লাল-সবুজ স্নিগ্ধা ও শোভন চেয়ার কোচ৷
√ সাপ্তাহিক বন্ধঃ রবিবার।

√ সময়সূচিঃ

> ৮১৫ আপ পর্যটক এক্সপ্রেস কক্সবাজার থেকে ছাড়বে রাত ০৮ টায় ➡️ চট্টগ্রাম পৌঁছাবে রাত ১০.৫০ মিনিটে ➡️ চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে রাত ১১.১৫ মিনিটে ➡️ ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছাবে রাত ৩.৫০ মিনিটে ➡️ ঢাকা বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়বে রাত ৩.৫৩ মিনিটে ➡️ ঢাকা পৌঁছাবে রাত ৪.৩০ মিনিটে।

> ৮১৬ ডাউন পর্যটক ঢাকা থেকে ছাড়বে সকাল ৬.১৫ মিনিটে ➡️ বিমানবন্দর স্টেশন পৌঁছাবে সকাল ৬.৩৮ মিনিটে ➡️ বিমানবন্দর স্টেশন ছাড়বে সকাল ৬.৪৩ মিনিটে ➡️ চট্টগ্রাম পৌঁছাবে সকাল ১১.২০ মিনিটে ➡️ চট্টগ্রাম ছাড়বে সকাল ১১.৪০ মিনিটে ➡️ কক্সবাজার পৌঁছাবে দুপুর ০৩ টায়।

√ ঢাকা- কক্সবাজার রুটের চূড়ান্ত ভাড়া.....

> শোভন চেয়ার- ৬৯৫ টাকা, স্নিগ্ধা- ১৩২৫ টাকা।

√ চট্টগ্রাম- কক্সবাজার রুটের চূড়ান্ত ভাড়া.....

> শোভন চেয়ার- ২৫০ টাকা, স্নিগ্ধা- ৪৭০ টাকা।

√ বিস্তারিত সিটপ্লানঃ

> শোভন চেয়ারে উইন্ডো/জানালা নম্বর সমূহঃ ০১, ০২, ০৪, ০৫, ০৮, ০৯, ১২, ১৩, ১৬, ১৭, ২০, ২১, ২৪, ২৫, ২৮, (২৯, ৩২, ৩৩, ৩৬), ৩৭, ৩৯, ৪১, ৪৪, ৪৫, ৪৭, ৪৯, ৫১, ৫৩, ৫৬, ৫৭, ৫৯, ৬০৷ () টেবিল সিট।

> স্নিগ্ধা শ্রেণীর উইন্ডো/জানালা নম্বর সমূহঃ ০১, ০৩, ০৪, ০৭, ০৮, ১১, ১২, ১৫, ১৬, ১৯, ২০, ২৩, (২৪, ২৭, ২৮, ৩১) ৩২, ৩৫, ৩৬, ৩৯, ৪০, ৪৩, ৪৪, ৪৭, ৪৮, ৫১, ৫২, ৫৪, ৫৫। () টেবিল সিট৷

> ৮১৫ঃ কক্সবাজার- চট্টগ্রাম ৬০ থেকে ৩৬ যাত্রামুখী। চট্টগ্রাম- ঢাকা ১-৩৫ যাত্রামুখী৷
> ৮১৬ঃ ঢাকা- চট্টগ্রাম ৬০-৩৬ যাত্রামুখী। চট্টগ্রাম- কক্সবাজার ১- ৩৫ যাত্রামুখী।

√ এসি কেবিন কোচ বর্তমানে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে কমিশনিং হচ্ছে। এরপর ট্রায়াল হবে। এরপরে ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই এই ট্রেনের সাথে এসি কেবিন যুক্ত হবে।

√ অন্যান্য ট্রেনের ন্যায় এই ট্রেনেরও ১০০% টিকেট অনলাইন এবং কাউন্টার এর জন্য উন্মুক্ত। তাই চাপের এই পর্যটন মৌসুমে কাউন্টার এর চেয়ে বরং অনলাইনে টিকেট প্রাপ্যতা বেশি থাকবে।

ধন্যবাদ সকলকে। 😊😌

অনলাইনে রেজিষ্ট্রেশন এবং টিকেট সংগ্রহ করার নিয়মঃ 👇

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=314028908065700&id=100083757796601&mibextid=RtaFA8

সিটপ্ল্যান ছবিতে দেখুনঃ 👇

https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=314490701352854&id=100083757796601&mibextid=RtaFA8

তথ্য: রেলফ্যান গ্যালারি পেইজে।

১লা জানুয়ারী থেকে খুলনা-মোংলা-যশোররুটে একটি নতুন ট্রেন  চালু করবে রেলওয়ে।সকাল ১০ টা ৪৫ (মোংলা - যশোর)বিকাল ৪ টা ৫০ ( মোং...
11/12/2023

১লা জানুয়ারী থেকে খুলনা-মোংলা-যশোর
রুটে একটি নতুন ট্রেন চালু করবে রেলওয়ে।

সকাল ১০ টা ৪৫ (মোংলা - যশোর)
বিকাল ৪ টা ৫০ ( মোংলা - যশোর)
সকাল ৭ টা ৫৫ (যশোর - মোংলা)
দুপুর ১ টা ৫৫ (যশোর - মোংলা)

আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেই প্রাচীন মিশরীয়রা জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু পন্থা আবিষ্কার করেছিল। আসলে প্রাচীন মিশরীয় সমাজে অ...
28/05/2023

আজ থেকে কয়েক হাজার বছর আগেই প্রাচীন মিশরীয়রা জন্মনিয়ন্ত্রণের বেশ কিছু পন্থা আবিষ্কার করেছিল। আসলে প্রাচীন মিশরীয় সমাজে অবাধ যৌন স্বাধীনতা উপভোগ করার জন্যে এই পন্থা আবিষ্কারে তারা একরকম বাধ্যই হয়েছিল। এই পন্থাগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল মধু আর সোডিয়াম বাই কার্বনেটের এক বিশেষ মিশ্রণ। যৌন মিলনের আগে এই বিশেষ মিশ্রণ নারী দেহের যৌনাঙ্গের ভেতরে প্রলেপের মতন করে লাগানো হতো।

সেই প্রাচীন কালেই এলিট ক্লাসের মিশরীয় নারীরা যৌনতার বিষয়ে যথেষ্ট আধুনিক ছিলেন। শোনা যায় প্রথম যৌবনে ক্লিওপেট্রা নাকি নিজের একাকিত্ব দূর করতে এক রকম ভাইব্রেটর ব্যবহার করতেন। প্যাপিরাস পাতা দিয়ে বানানো এক ধরণের সরু ঠোঙার ভেতরে অসংখ্য জীবন্ত মৌমাছি ঢুকিয়ে দেওয়া হতো। মৌমাছিদের গুঞ্জনের ফলে যে কম্পনের সৃষ্টি হয় তাকে নিজের শরীরে উপভোগ করতেন ক্লিওপেট্রা।

প্রাচীন মিশরীয় সমাজ যৌনতা প্রসঙ্গে এতটাই আধুনিক ছিল যে অন্যান্য সভ্যতাগুলোর মতন তারা নারীর কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ বিব্রত হতো না। প্রাচীন মিশরীয় শব্দমালায় ‘ভার্জিন’ বলে কোনও শব্দের উল্লেখই পাওয়া যায় না। বিবাহের সময়ও প্রাচীন মিশরের পুরুষরা নারীদের কুমারিত্ব নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাত না। বিবাহের আগে কোনও নারী যদি স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে জড়িত থাকতো তবে তাকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হতো।
প্রাচীন মিশরে বিবাহের আগে শারীরিক মিলনকে সহজভাবে দেখা হলেও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক বেশ ঘৃণ্য কাজের মধ্যেই পড়তো, বিশেষ করে নারীর ক্ষেত্রে। বিবাহের পর অন্য পুরুষের সঙ্গে শারীরিক মিলনের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের শাস্তির উদাহরণও রয়েছে প্রাচীন মিশরীয় ইতিহাসে। তবে পুরুষের ক্ষেত্রে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হলেও সেই শাস্তি ছিল বেশ লঘু।

প্রাচীন মিশরে ডিভোর্সের প্রথা প্রচলিত থাকলেও তা চাইলেই সম্ভব হতো না। মূলত দুটি কারণে ডিভোর্সকে মেনে নিত প্রাচীন মিশরীয় সমাজ। সন্তানহীনতা এবং বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়া ছিল সেই দুটি কারণ।

পৃথিবীর ইতিহাসে সর্বপ্রথম ওরাল সেক্স’এর উদাহরণ কিন্তু প্রাচীন মিশরীয় মাইথোলজিতেই খুঁজে পাওয়া যায়। দেবতা সেথ তার ভাই দেবতা ওসাইরিসকে খুন করেছিলেন তাদের হাফ সিস্টার দেবী আইসিস’কে পাবার জন্যে। ওসাইরিসকে খুন করার পর তার শরীরকে অসংখ্য টুকরো করে নীল নদের উপত্যকায় ছড়িয়ে দিয়েছিলেন দেবতা সেথ। দেবী আইসিস অবশ্য নিজের ভালোবাসার মানুষ ওসাইরিসকে পুনরায় বাঁচিয়ে তুলেছিলেন। এই কাজ করতে গিয়ে তিনি নীল নদের বিস্তীর্ণ উপত্যকা জুড়ে ওসাইরিসের শরীরের অংশ খুঁজে একত্রিত করেছিলেন। তবে সব কিছু খুঁজে পেলেও ওসাইরিসের যৌনাঙ্গ খুঁজে পাননি তিনি। ফলে ওসাইরিসের শরীরে প্রাণের সঞ্চার সম্ভব হচ্ছিল না। তখন দেবী আইসিস নীল নদের তীরের পবিত্র মাটি দিয়ে একটি পুরুষাঙ্গ বানান। তারপর মাটির তৈরি সেই পুরুষাঙ্গকে নিজের দুই ঠোঁটের মাঝে রেখে তাতে উষ্ণতা প্রদান করেন এবং তা ওসাইরিসের শরীরে সঠিক জায়গায় স্থাপন করেন। সঙ্গে সঙ্গে দেবতা ওসাইরিস যৌন উত্তেজনা অনুভব করেন এবং তার শরীরে প্রাণের সঞ্চার হয়।

প্রাচীন মিশরে যৌনাঙ্গের মতন দেখতে অ্যামুলেট পরিধান করার রীতি ছিল। সাধারণত দেবতার মন্দিরে স্যাক্রেড প্রস্টিটিউশনের সঙ্গে যুক্ত নারীরা দেবতার যৌনাঙ্গের আকৃতির অ্যামুলেট পরতেন তাদের দুই বাহুতে।

চলবে...

14/04/2023

Address

Sadar Barishal
Barishal
8200

Telephone

+8801716188511

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Backpacker BD Hasib posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Backpacker BD Hasib:

Videos

Share