12/07/2022
ভোলার তজুমদ্দিনে বসতঘরে ডুকে ফিল্মী স্টাইলে হামলা আহত ১৪
তজুমদ্দিন থানার সোনাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের হাকিমদ্দিন হাওলাদার বাড়ির ছিদ্দিক পণ্ডিতের বাড়িতে লুটপাট,ভাংচুর ও নারী নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার ১১ জুলাই ২২ খ্রি: সকাল ৭ ঘটিকায় ঘন্টা ব্যাপী ভুক্তভোগী ছিদ্দিক পণ্ডিতের বাড়িতে এ হামলা, নারী নির্যাতন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী প্রবাসী ছিদ্দিক পণ্ডিতের ছেলে শাহিন অভিযোগ করে বলেন, একই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পাটোয়ারী বাড়ির নজমুল পাটোয়ারির ছেলে রুবেল (২৫), অদিউল্লাহ এর ছেলে সোনাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি হাসানের নেতৃত্বে আজগর, রাকিব,আকিব,শাকিল, সিফাত,ফরাদসহ প্রায় ৫০ জন বাড়িতে দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে লুটপাট, নারী নির্যাতন ও ঘরের গ্রীলের জানালা,খাট, চেয়ার, টেবিল, টিভি, ফ্রিজ,চুকেস, রান্না ঘরের টিনের তিন পাশের ভেড়া, সহ যাবতীয় আসবাবপত্র ভেঙ্গে দেয়,এতে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। পরে ঘরে ছোট বড় ছেলে ও নারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে ৬টি মোবাইল,৬টি চেইন,রুলি যাহার বাজার মূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা । অপরদিকে হামলাকারীরা নগদ ১লক্ষ ২৩ হাজার ৫শত টাকা নিয়ে যায়।
এতে ছিদ্দিক পণ্ডিত,শাহিন,আঁখি,বিল্লাল,নুরজাহান,রিয়াজ,
নোমান, মাহফিয়া খাতুন,জিয়া,আবদুর রহমানসহ
প্রায় ১৪ জন আহত হয়েছেন। আহতরা বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ভোলা হাসপাতালে ভর্তিরত অবস্থায় আছেন।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে ও আবু সাইদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, যখন তারা পোলাপাইন নিয়ে আসে তখন মোস্তফা পাটোয়ারি পুকুর পাড় ছিল। সে বাধা দিছে, ছেলেরা তার কথা শোনে নি ।
তজুমদ্দিনের সোনাপুর ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম নামক এক মেম্বারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অতর্কিত এ ঘটনা ঘটেছে।
ওসি ও চেয়ারম্যান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে উভয়ই পূর্বের ঘটনা ৮নং ওয়ার্ডের মেব্বার শাহাবুদ্দিনকে জানান,তিনি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেন নি। যারফলে অনাকাঙ্ক্ষিত এ ঘটনা ঘটে। তবে মেব্বার ব্যবস্থা গ্রহণ করলে এ ঘটনা ঘটতো না।
সোনাপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহাবুদ্দিন বলেন, ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার ও তার ভাই আলামীনসহ এ হামলা চালান। তিনি আরো বলেন,নজমুল পাটোয়ারির ছেলে নারী লোভী, বেয়াদব এর মধ্যে সে একটি মেয়েকে রেপ করে, ভুক্তভোগীর ছেলে জসিম এঘটনার স্বাক্ষী থাকায় পরিকল্পিত ভাবে তারা হামলা চালায়।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ বলেন,পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে এখনো কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেনি, অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।