পবিত্র বাইতুল্লাহ এর পাশেই অবস্থিত দৃষ্টি নন্দন ক্লক টাওয়ার।
রহস্যঘেরা জিনের পাহাড়!
ওয়াদি আল জিন কিংবা জিনের পাহাড়! যে নামেই পরিচিত হোক না কেন জায়গাটিতে পৃথিবীর অবাক করা ঘটনা ঘটে। সৌদি আরবের মদিনা শহর থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত জিনের পাহাড়।
এমন রহস্যময় জিনের পাহাড় ঘিরে নানা কৌতুহলের সৃষ্টি হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিনই হাজারো পর্যটক ছুটে আসেন এটি দেখতে।
প্রতি বছর হজ কিংবা ওমরা হজ করতে আসা মানুষও এই রহস্যঘেরা জিনের পাহাড় দেখার জন্য ভিড় করে। তবে দুনিয়া জোড়া জ্ঞান বিজ্ঞানের এত প্রসারের পরেও আজ অবধি এই অপার রহস্যের উদঘাটন করতে পারেনি কেউ। আজও বিস্ময় সৃষ্টি করে চলেছে এই অদৃশ্য শক্তির পাহাড়।
হযরত ফাতেমার (রা) এর বাড়ি!
বিবাহের পূর্ব পর্যন্ত হযরত আলীর কোন বাড়ি-ঘর ছিল না। তিনি রাসূলুলস্নাহ (সঃ)-এর সংসারেই থাকতেন।
বিবাহের পর মা ফাতেমাকে নিয়ে বাস করার জন্য যখন বাড়ির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিল, তখন হারেস বিন নো'মান আনসারী তাদের বাস করার মতো একটি বাড়ি দিলেন। হযরত ফাতেমাকে নিয়ে হযরত আলী সেই বাড়িতে বসবাস করতে লাগলেন।
বীরে গারস!!
ইন্তেকালের পর নবী করিম (সা.)-কে এই কূপের পানি এনে বরইপাতা মিশ্রিত করে পানি গরম করার পর গোসল দেওয়া হয়। তিনি এই কূপের পানি পান করতেন। মদিনার নিকটবর্তী কুবায় অবস্থিত বিখ্যাত এই কূপ গারস।
কূপের জায়গাটি মসজিদে কুবা থেকে দেড় কিলোমিটার উত্তরে। লোহার নেট দিয়ে আটকানো কুয়াটির চারদিক। এই কূপের পানি বেশ মিষ্টি। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নিয়মিত এখানে আসতেন। এই কূপের পানি দিয়ে গোসল ও অজু করতেন। এই কূপের পানি পান করতেন। তিনি একসময় হজরত আলী (রা.)-কে ডেকে বলেন, ইন্তেকালের পর যেন এই কূপের পানি দিয়ে তার শেষ গোসল করানো হয়। হজরত আলী (রা.) তার কথামতো এখানকার পানি দিয়ে রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে শেষ গোসল করিয়েছিলেন।
অশ্রুসিক্ত নয়নে রাসূলকে (সা) সালাম দিয়ে প্রানের মদীনাকে বিদায় জানিয়ে দেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। নিরাপদ সফরে দোয়ার মোহতাজ।
মদীনা আল মুনাওয়ারা!
রাসূলের (সা) রওজায় সালাম দিতে পেরে আনন্দে দু'চোখ অশ্রুশিক্ত হয়ে গেল। নিজেকে আজ সবচেয়ে বেশি সৌভাগ্যবান মনে করছি। হাজারো শুকরিয়া আল্লাহর প্রতি। কারণ, যেটি আমার সারা জীবনের স্বপ্ন ছিল, তা আজ পূরণ হয়েছে। যার জেয়ারতের আশায় দু'চোখ থেকে কত যে অশ্রু ঝরিয়েছি, তার হিসেব দিতে পারবো না। মদীনার প্রানে মন ছুটে যেত, হৃদয়ে না পাওয়ার বেদনা খুবই যন্ত্রনা দিতো, মহান আল্লাহ আজ তা কবুল করেছেন।
অশ্রুশিক্ত নয়নে পবিত্র কাবা শরীফকে বিদায় জানিয়ে মদীনায় রাসূলের (সা) কদমে রওয়ানা হলাম।
তায়েফ!!
যেখানে রাসূল (সা) এর শৈশব কেটেছে। তাঁর পদ ধূলিতে মুখরিত বরকতময় ভূমি। মক্কা আল মুকাররামা থেকে তায়েফ প্রায় ছয় হাজার ফুট উপরে অবস্থিত। দিনের বেলায় যদিও বুঝা যায় না, তবে রাতের বেলায় তা খুব সুন্দরভাবে দৃশ্যমান হয়।
জাবালে রহমত এর চুড়া!
আরাফাতের ময়দানে এই পাহাড়টি অবস্থিত। আল্লাহ তা'আলা যেখানে হজরত আদম (আ) ও হাওয়া (আ) এর তাওবা কবুল করেন।
আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহর ঘরকে সামনে রেখে নামাজ পড়ার অনুভূতি যে কত অসাধারণ!! তা প্রকাশ করার মত ভাষা আমার নেই।