Ikha Tours & Travels

Ikha Tours & Travels To make your travel scrap-free with us.We provide trip related service with seemly.Welcome.
(1)

02/04/2023
A journey by business with Ikha
01/04/2023

A journey by business with Ikha

31/03/2023

ইখা হজ্জ ও ওমরাহ ২৩ইংরেজী
আলহামদুলিল্লাহ
ঈদের পরবর্তী ওমরাহ বুকিং চলছে....
যোগাযোগ ০১৮১৯১৫৬১৪৪

প্লিজ সাবস্ক্রাইব করুন,বাংলাদেশের  নিত্য নতুন পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে তথ্য জানুন
31/03/2023

প্লিজ সাবস্ক্রাইব করুন,বাংলাদেশের নিত্য নতুন পর্যটন কেন্দ্র সম্পর্কে তথ্য জানুন

https://www.facebook.com/IKHACS?mibextid=ZbWKwL

31/03/2023

TikTok

 #মাইনী_ট্যুর ( পর্ব ৫)সংগৃহিত সত্যি কথা বলি খাবারটা আমার একদম ভালো লাগেনি।কিন্তু তারপরও পরিতৃপ্ত।এমন কথার ব্যাখ্যা দেয়...
30/03/2023

#মাইনী_ট্যুর ( পর্ব ৫)
সংগৃহিত

সত্যি কথা বলি খাবারটা আমার একদম ভালো লাগেনি।
কিন্তু তারপরও পরিতৃপ্ত।

এমন কথার ব্যাখ্যা দেয়ার মত ভাষা জ্ঞান আমার ভান্ডারে নেই। আপনি আপনার যোগ্যতায় যতটুকু বুঝে নিবেন সেটাই আমার বাড়তি পাওনা।

মাইনী রাঙ্গামাটি সফরের দ্বিতীয় দিনে আমাদের পাহাড়ি বন্ধু শতরং চাকমা নতুন পথে ঘুরতে নিয়ে যাবে শুনে আমরা রাজি হলাম।
আসলেই এই পথটা আমার জন্য নতুন।
রাঙ্গামাটি থেকে আসাম বস্তি হয়ে বাম দিকে কাপ্তাইয়ের লেক ফেলে উঁচু নিচু পাহাড়ি রাস্তায় নতুন কার্পেটিং যেন বাসন্তী উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভিপিআইপি'র আগমন অপেক্ষা।

আসামবস্তি নামকরণের যথার্থতা খুঁজে পেলাম না যদিও স্থানীয়রা নানান কথা বলে এর ব্যাখ্যা দেয়ার চেষ্টা করেছেন।

এখান থেকে নৌকা যোগে লেকে ঘুরতে যাওয়া যায়।
আমার কোনটায়ই "না" ছিল না। রোদের মধ্যে নাসিমের আপত্তিতে আর যাওয়া হলো না।

পাহাড়িদের একটা রেস্টুরেন্টে চা খেয়ে নিলাম।
অফিসিয়ালি আমরা তিনজনের সবাই নন স্মোকার।
কিন্তু সকাল সন্ধ্যায় নাসিমের হঠাৎ করে অল্প সময়ের জন্য চোখের আড়াল হয়ে যাওয়াটা আমাকে তার ধূমপানের ব্যাপারে সন্দিহান করে তুলেছিল।

আসাম বস্তির পাশে একটা বড় ব্রিজ। ব্রিজের উত্তর পাড়ে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট। তার পাশে রয়েছে খোলা বাজার। দক্ষিণ পাশে পুরোটাই চাকমা পাড়া। বিভিন্ন ধাঁচের ঘরবাড়ি রয়েছে। কিছু দালানকোঠাও চোখে পড়ল।

সেই উঁচু-নিচু ঢেউ খেলানো পাহাড়ি পথে ঘুরে ঘুরে নতুন রিসোর্ট দর্শন শেষে আবার আসাম বস্তিতে ফিরে এলাম।
খুব ক্ষুধা লেগেছিল।
আমরা কি শহরে গিয়ে খাব নাকি এখানেই খেয়ে নেব প্রসঙ্গ উঠতেই আমি সকালের রেস্টুরেন্টের পক্ষে মত দিলাম।

সবগুলো রেস্টুরেন্ট ঘুরে ঘুরে দেখলাম । রেস্টুরেন্ট গুলো পাহাড়িদের।
খাবারের মেনু প্রায় একই রকম।

আমি সকালের সেই হাবিল রেস্টুরেন্টে খাবার অর্ডার দিয়ে টেবিলে গিয়ে বসলাম।
ভাত, চাপিলা মাছ ফ্রাই ( সব রেস্টুরেন্টেই এটা স্পেশাল আইটেম), মিক্সড ভেজিটেবল, কাবলি বুটের ডাল, চিকেন।

টেবিলে মেজর নাসিম আমার মুখোমুখি বসে ছিল আর শতরং চাকমা আমার বাম পাশে।
ভেজিটেবিল চিকেন নিয়ে আমি বুঝতে পারলাম খাবারটা অত সুস্বাদু হয়নি। কিন্তু আমি এটাও বুঝতে পারছিলাম যে এটা ওদের রান্নার ভিন্ন স্টাইলের কারণে হয়েছে।
মশলা পাতির কম্বিনেশন ভালো না ।
ভালো না বলতে আমাদের মত করে না, কিন্তু কেন যেন মনে হচ্ছে ওদের কাছে এটা খুবই সুস্বাদু খাবার।
নাসিম কোন কথা না বলে আমার দিকে তাকাচ্ছিল আর ডাল ভাত নাড়াচাড়া করতেছিল। আর ফাঁকে ফাঁকে চাপিলা ফ্রাই মুখে দিচ্ছিল।
শুধু চাপিলা ফ্রাইই তো দুপুরের খাবারের মেনু হতে পারে।
মন খারাপ করার কিছু নেই--এমন অনেক সান্তনার ডায়লগ আমার মাথায় এসে কিলবিল করছিল।

আমি উঠে গিয়ে তিনটা কোকের অর্ডার করে আসলাম।
আর নানা ধরনের কথা বলছিলাম যাতে ওরা দুজনে কেউ কথা বলার সুযোগ না পায়।
আমি এটাও বুঝতে পারছিলাম যে নাসিমের এই খাবার যতই খারাপ লাগুক না কেন সে কোন নেতিবাচক মন্তব্য করবে না।

খাবার শেষে আমি চা নিলাম।
ওরা দুজন আবার আমার চোখের আড়াল হয়ে গেল।
শতরং চাকমার ফিরতে দেরি দেখে নাসিম ফিসফিস করে বলতে থাকলো।
"কালচার, ফুড হেবিট অনেক বড় একটা ব্যাপার স্যার।"
সে এবার আমাকেও তার দলে টেনে নিয়ে বললো -আমাদের মত সংস্কার মুক্ত উদারপন্থী মানুষরাও সর্বত্র খাপ খাওয়াতে ব্যর্থ হচ্ছি।
আমি তাকে একটু মুরুব্বিয়ানা স্টাইলে বললাম- খাবারের প্রথম গুণাবলী হচ্ছে তার মধ্যে যথেষ্ট পরিমাণ খাদ্য প্রাণ আছে কিনা! কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফ্যাট মিনারেল ভিটামিন এসব থাকলেই তো যথেষ্ট। তারপর এগুলো একেক দেশে একেক রকমের প্রসেসিং হয়, সেটা তোমার আমার মনপুত নাও হতে পারে। আমি তো বেশ ভালোই এনজয় করছি।
- স্যার চাপাবাজি রাখেন। দেখছি তো কি করছেন!!

শতরং ফিরে এলে আমরা একটা স্কুটার নিয়ে আরণ্যকের দিকে রওনা হলাম।

(ফুড প্রসেসিং প্রিপারেশন যার যার
কার্বোহাইড্রেড প্রোটিন ফ্যাট লাগে সবার)
নোট:লেখক আব্দুল ওয়াহাব মিনার। ফেসবুক টাইম লাইন থেকে সংগৃহিত।
Ikha Tours & Travels

 #মাইনী_ট্যুর ( পর্ব ৪)সংগৃহিত যাদের মধ্যে মানবিক গুনের সমাহার বিদ্যমান তাদের দেখে কিছুটা ঈর্ষান্বিত হই,  যখন দেখি সেই গ...
30/03/2023

#মাইনী_ট্যুর ( পর্ব ৪)
সংগৃহিত

যাদের মধ্যে মানবিক গুনের সমাহার বিদ্যমান তাদের দেখে কিছুটা ঈর্ষান্বিত হই, যখন দেখি সেই গুনটা অর্জনের প্রাণান্তকর প্রচেষ্টা চালিয়েও রপ্ত করতে ব্যর্থ হয়েছি তখন ঈর্ষার সাথে নিজের মধ্যে অতিরিক্ত এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করে।

চলতি মাসের ৯ তারিখ রাঙ্গামাটি থেকে কাপ্তাইয়ের পথে লেকের পারে ৫০ একর জমির উপর একটা নির্মাণাধীন রিসোর্ট দেখতে গেলাম। মালিকের ফুফাতো ভাই একুশে টেলিভিশনের প্রতিবেদক শতরং চাকমা আমাদের সেখানে নিয়ে গেলেন।
রিসোর্টের নাম " Rainya Tugun Eco Resort".

নতুন রাস্তা। বেশ স্মুথ। পাহাড়ি পথে চলতে বেশ লাগছিল। কখনো কখনো পাহাড়ের বেশ উঁচুতে উঠে গেলে বামদিকের কাপ্তাইয়ের লেক "উত্তম আশা অন্তরীপ" এর সেই অনাবিল প্রশান্তির বেলাভূমের কথা স্মরন করিয়ে দেয়। কোথাও রাস্তার দুধারেই ডানে বামে বয়ে গেছে প্রশান্ত লেক।

পথে পথে পাহাড়িদের দোকানপাট, টি স্টল।
কিছু ডাব -দেশীয় অন্যান্য ফল-ফলাদি। কাপ্তাই এর পথে শেয়ারের সিএনজি বলে থামাতে পারিনি।

আমরা পথে নেমে গিয়ে হেরিংবনের উঁচু নিচু রাস্তা ধরে গন্তব্যে পৌঁছার আগে বাতাবি লেবু, আম-লিচু ও সুপারি বাগানের দেখা পেলাম। এই বাগান ও বন বনানীর ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, সব ফুলের সংমিশ্রণে মাতাল করা একপ্রকার মৃদু গন্ধ।
সে সময় আমি কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে পরিচিত প্রিয় মুখগুলোকে স্মরণ করলাম যারা দেশ-বিদেশ থেকে এমন অচেনা জায়গায় আমার ভ্রমণ সঙ্গী হতে ইচ্ছুক।

মনলোভা বিভিন্ন দৃশ্যাবলীর ছবি তুলতে গিয়ে আমি পিছনে পড়ে যাচ্ছিলাম দেখে শতরং চাকমা বৃদ্ধের পশ্চাদ পদতার জন্য চিন্তিত মুখে বিচলিত হয়ে আমার কাছে ছুটে এলো। আমি তাকে আশ্বস্ত করে সামনে এগুতে বললাম।

পথে আমাদের আরো চোখে পড়লো রিসোর্ট এর নির্ধারিত পার্কিং, রিসোর্ট সমিতির অধীনে অত্র এলাকায় কি কি রিসোর্ট আছে তার লোকেশন ম্যাপ।
একটা দেশি বরৈ গাছে যখন পাতার চেয়ে লাল বরৈ সংখ্যা বেশি থাকে তখন তার নিজ দিয়ে নিশ্চুপ চলে যাওয়াটা বেমানান। গাছ ধরে হালকা ঝাঁকানিতে টপটপ করে প্রচুর পাকা বরৈ ভুপতিত হলো। রবীন্দ্রনাথের "দুই বিঘা"র পতিত আম তুলতে গিয়ে জমির মালিকের চোর সাজার গল্প মনে পড়ে গেল। একাকী হাসলাম।
পাহাড়ের ঢাল থেকে বরৈ সংগ্রহ ঝুঁকিপূর্ণ বিধায় হাতের নাগালের মধ্যে থাকা বরৈ সংগ্রহ করে রিসোর্টের বারবিকিউ পয়েন্টে পৌছলাম।

রিসোর্টের একজন সেবক এর সাথে পরিচিত হলাম যিনি আমাদের সবকিছু ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলেন।
স্বল্পভাষী সদা হাস্যময় এই ভদ্রলোকের নাম রিপন।
তার কাছ থেকেই জানলাম সরকারের কাছ থেকে একটা এনজিও এই জমি লিজ নিয়ে রিসোর্ট বানাচ্ছে। দূরে নির্মাণাধীন ছোট ছোট কটেজ দেখিয়ে রিপন জানালো মালিকের সাথে পার্টনারশিপে অনেকেই এই কটেজগুলো তৈরি করছে।

আমরা এখানে কিছু ছবি তুললাম।
লেকের ওপারের পাহাড় জুড়ে তরমুজের ক্ষেত। মেজর নাসিম বিস্ময় প্রকাশ করে জানতে চাইলো- কারা এই ক্ষেত বানিয়েছে। বাঙালিরা করেছে -এই তথ্য জানার পর ও বলল- ঠিক আছে। পাহাড়িদের পক্ষে এই কষ্ট করা সম্ভব না। তরমুজ খেতে যে পরিমাণ পানি লাগে আর তা এই লেক থেকে ঐ উঁচুতে তোলার জন্য যে শারীরিক শ্রম ও মানসিক দৃঢ়তা লাগে তা চাকমাদের নেই।
আমার এই ইউনিট অফিসার মেজর নাসিম একজন অবসরপ্রাপ্ত সাচ্চা দেশ প্রেমিক মিলিটারি অফিসার।
পার্বত্য অঞ্চল সম্পর্কে তার স্টাডি ও গবেষণা অনেক গভীরের। এ নিয়ে সে যেমন পড়ে তেমন তার লেখায় সবকিছু ফুটিয়ে তোলে।

লেকে ঘুরার জন্য নৌকা আছে কিনা জিজ্ঞেস করাতে রিপন জানালো- কাইকিং করার সুযোগ আছে।
আমি অতি উৎসাহী হয়ে কাইকিং এর জন্য গেলাম।
ওরা দুই সাংবাদিক কিছুক্ষণ পর চলে এলো ওপার পাহাড়ে তরমুজ খেতে।

ঘাটে বাঁধা বোটের কাছে দাঁড়ালাম।
রিপন বৈঠা নিয়ে এলে মন পুড়িয়ে প্রায় ৪০ মিনিট লেকে ভাসলাম।
আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে বিধায় রিপন দুশ্চিন্তায় পড়তে পারে এমন আশঙ্কা কাজ করছিল । ফিরে দেখি রিপন ঘাটে নেই। লেক পাহাড়ের দৃশ্যগুলি ছাড়া অন্য কোন উত্তেজক আমাকে বিরক্ত করতে পারে এমন কোন সুযোগই রাখলাম না। মোবাইলটা রিপনের হাতে ধরিয়ে দিয়ে গিয়েছিলাম।
আমার ডাকাডাকি শুনে আমার মোবাইলসহ রিপন অন্য একজনকে ঘাটে পাঠালো।
সে কিছু দুর্লভ ছবি তুলে দিল।

রিসোর্টের ওপেন ডাইনিং এ গিয়ে বসলাম।
রিপন আমাদের জন্য গাছপাকা বেলের শরবত নিয়ে প্রস্তুত ছিল। আমি যতটা মজা করে তৃপ্তি সহকারে খেলাম আমার সাথীরা তেমনটা আগ্রহ দেখালো না।

বিদায়ের সময় চলে এলো।
বেলের শরবত ও স্প্রাইটের বিল দিতে গেলে রিপন পাহাড়ি কৃষ্টিতে সকল সরলতা উজাড় করে দিয়ে একগাল হেসে বলল- "না না স্যার না না, আপনারা মেহমান।"

চিকি চিকি চোখের দরদ ভরা সে কি আন্তরিক চাহুনি যা প্রসূতির কোলের কাছে নবজাতকের দিকে তৃপ্তির চাহনিকেও হার মানায়!!
নোট : লেখক আব্দুল ওয়াহাব মিনার ফেসবুক টাইম লাইন থেকে সংগৃহিত।
২৭.০৩.২০২৩

30/03/2023

#মাইনী_ট্যুর (পর্ব ৩)

সংগৃহিত

গ্রামে বাল্যকাল কাটার সুবাদে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মাখামাখা করে দেখার সুযোগ হয়েছে।
বাংলার আবহ কৃষ্টি অন্তর জাপটিয়ে ধারণ করে আছি।
বাংলার একজন খাঁটি সন্তান হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেছি।

খালে ডোবা নালায় প্রচুর গলদা চিংড়ি অনায়াসেই পাওয়া যেত। আম গাছের ডাল ফেলে রাখলে লাল ছোছ ওয়ালা মাছগুলো ভেসে ভেসে বেড়াতো আর আমরা পুচকা কাদা মাখা বালক ঝাঁক কচি নরম হাতে ধরতে গেলে ঝামটা মেরে অবশেষে ধরা দিতো।
আমাদের এই বিজয়ে সে কি যে আনন্দ। প্রাচুর্যতার কারণে সবল দুর্বল, আচ্ছাদিত অনাচ্ছাদিত বালকদের সবাই কমবেশি মাছ নিয়ে ঘরে ফিরত। তখন বলতে গেলে মাছ মারাটা যতোটা না ছিল খাবারের জন্য তার চেয়ে বেশি ছিল খেলা ও বিনোদনের জন্য।
আমার কৈ মাছ মারার জাল ছিল। পূবের বাড়ির খালে সন্ধ্যায় পেতে রাখতাম। রাতে জোয়ারের পানিতে কৈ বেলে শিং পাবদা বাইন শর পুঁটি মাছ আটকে থাকতো ।
পানি নেমে গেলে শুকনো জালে এভাবে মাছ আটকে থাকতে দেখার মজাটাই অন্যরকম।‌ স্মার্ট ফোন না থাকার কারনে সে দৃশ্য ধারন করে আজ দেখাতে পারলাম না- মনের ক্যামেরায় সবাই দেখে নিন। হায় আফসোস!!

তদ্রুপ--
রাঙ্গামাটির প্রকৃতির মাঝে এত বেশি সুখ প্রশান্তি ছড়িয়ে আছে যে, যে কোন চিত্ত সেখানে পদার্পণ করলে নিমিষেই নগর জীবনের ক্লান্তি দূর হয়ে প্রশান্তির সরোবরে প্রবেশ করবে। ‌
নির্মাণাধীন রিসোর্টের পাদদেশের লেকে পাক্কা আধা ঘন্টা কাইকিং করার পরেও কোন মানুষের সাক্ষাৎ মিলেনি । শুধু লেকের নির্দোষ পরিষ্কার পানিতে বইঠা মেরে মেরে এক রঙিন বালিকাকে দূর থেকে নৌকা চালাতে দেখে আমি শহুরে স্মার্ট মেয়ে ভেবেছিলাম কিন্তু রিপনের কাছ থেকে বোট নিয়ে লেকে নামার পর দেখলাম সে এক পাহাড়ি তরুণী যে আমার সঙ্গীদের রিসোর্টের পাহাড় থেকে তরমুজ পাহাড়ে নামিয়ে দিয়েছে। বিনিময়ে এক ঝিলিক হাসি।

পাতলা নৌকা বৈঠা মেরে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলাম আর ভাবছিলাম কোন টিলার উপর ঘর বানালে সবচেয়ে সুন্দর হবে।
কল্পনায় বাড়ি বানাচ্ছি কে বাধা দেয়! এক একটা টিলার একেক রকম সৌন্দর্য। বিভিন্ন ডিজাইনের বিভিন্ন রকম বাংলো বানিয়ে লেকের সাথে ঘাট বানিয়ে দিলাম।‌ ফুলের বাগান- বাড়ির আঙিনায় গুছুর গ্রাস বোটল ব্রাশ, জামরুল লিচু গাছ।
কিছুটা দূরে কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়া শিমুল গাছ। লেবু বাগান।
নারকেল আমগাছ সমৃদ্ধ বাগানবাড়ি দেখতে খুব খারাপ লাগবে না। কল্পনা করতে করতে আমি পাহাড়ি পরিবেশে হারিয়ে গেলাম।

স্থির পানি এতো টলমলে ছিল ডুব দেয়ার ইচ্ছা থাকলেও সে আয়োজন ছিল না। এমন একটা নিরাপদ ও নিরিবিলি জায়গায় এক খন্ড জমিতে ছোট্ট একটা বাংলো থাকলে নগর জীবনের জঞ্জাল থেকে যেমন মুক্ত থাকা যাবে তদ্রুপ পাহাড়িদের চিকিৎসা দেয়া যাবে এবং সর্বোপরি স্রষ্টার সান্নিধ্য লাভ সহজ হবে।

একুশে টেলিভিশনের সঙ্গীরা পার্বত্য চট্টগ্রামের কৃষি বিপ্লব নিয়ে প্রতিবেদনের জন্য পাহাড়ের উপরে তরমুজ ক্ষেত পরিদর্শন ও বাঙালি কৃষকদের সাথে কথা বলতে গিয়েছে।

না, লেকের এই টলমল জল ক্ষনিকের জন্য যে ভালো লাগবে না-স্থায়িত্ব পাবে- তা আমি মাইনিমুখে তিন বছর থেকে টের পেয়েছি।

ভালোলাগার এই বিশেষ অনুভূতিটা আল্লাহর দান।

সেজন্য রহমানুর রহিম এর কাছে সীমাহীন শোকর।

নোট : লেখক আব্দুল ওয়াহাব মিনার ফেসবুক টাইম লাইন থেকে সংগৃহিত।

২৭/০৩/২০২৩

 #মাইনী_ট্যুর (পর্ব ২)সংগৃহিত রিসোর্টের নাম আরন্যক। অবস্থান রাঙ্গামাটি শহর।পরিচালনায়- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।বাংলাদেশ সেনা...
30/03/2023

#মাইনী_ট্যুর (পর্ব ২)

সংগৃহিত

রিসোর্টের নাম আরন্যক। অবস্থান রাঙ্গামাটি শহর।
পরিচালনায়- বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাধারণত তার প্রতিষ্ঠানগুলো খুবই দক্ষতা ও সক্ষমতার সাথে পরিচালনা করে থাকে।
এ ব্যাপারে তাদের সুনাম সুবিদিত।
সেনা কল্যাণ সংস্থা, রাওয়া, ক্যান্টনমেন্ট স্কুল ও কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, ব্যাংক, গলফ ক্লাব গুলো, এবং বিভিন্ন রিসোর্ট উৎকৃষ্ট উদাহরণ।
চাকরিরত এবং অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্যদের এসব সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ সুবিধা থাকে।

এসব সুবিধা অসুবিধা নিয়ে এই আলোচনায় আমি কিছু বলছি না। শুধু এটুকু আগাম বলে রাখি নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরা সাধারণত সেনাবাহিনীর মতো এইসব প্রতিষ্ঠানে চাকরি করে। ইদানিংকালে তাদের একটা বড় অংশ পেশাগত দায়িত্বের বাইরে এসব সুযোগ-সুবিধাকেই বড় করে দেখছে।

এসব প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনা করতে চাকরিরত অফিসার ও অন্য সেনা সদস্যদের দায়িত্ব দিতে হয়।
যে সকল অফিসার বা অন্য পদবীর সৈনিকরা এর সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে তারা দোকানদারি করতে করতে পেশার কাম কাজ ভুলে যান। বড় কথা হচ্ছে তাদের সৈনিক সুলভ এটিচিউডের ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে।
তখন গোলগাল নাদুসনুদুস চেহারা নিয়ে পিটি প্যারেড বা পেট্রোলিং করতে ভালো লাগেনা। ফলশ্রুতিতে যা হবার তাই হয়।
সেনা কল্যাণ সংস্থার মতো এই সমস্ত জায়গায় অবসরপ্রাপ্ত অফিসার ও সৈনিকদের কাজে লাগানো যেতে পারে। তাতে প্রতিষ্ঠানগুলোও ভাল চলবে এবং চাকরিরত সেনা সদস্যরা এসব ঝুটঝামেলা থেকে রেহাই পাবে। কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়টি গভীরভাবে ভেবে দেখতে হবে।

আরণ্যকের বর্তমান অবস্থান খুবই সুন্দর। দুইটা ভিআইপি রুম আর সাতটা সাধারণ ফ্যামিলির রুম রয়েছে। সামনে পিছনে বামে লেক দিয়ে পরিবেষ্টিত। সারি সারি ফুলের বাগান, আম গাছ- জাম গাছ, বিশাল আকৃতির পাম গাছ ছিমছাম অ্যাটেনশন হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
বামের লেকের ওপারে টিলায় রয়েছে সুইমিং পুল ও জলকেলি। গত বছর এই সময় লেকে এতটা পরিমাণ পানি ছিল যে নৌকা চালিয়েছে এখন সেখানে সবুজ ধান গাছের বারন্ত শরীর।
লেকে ভ্রমণের জন্য জেট স্কি ও কাইকিং এর ব্যবস্থা আছে। টিলার ঢালে দুর্বা ঘাসে বসে পূব গগনে চাঁদ ওঠার দৃশ্য দেখতে অপার তৃপ্তি লাগে। কিন্তু সন্ধার পরে সাধারণ পর্যটকদের এখানে থাকতে বারণ।

সামনের লেকের ওপারেই রয়েছে প্রাক্তন এক মন্ত্রীর বিশাল প্রাসাদসম রিসোর্ট। এর বিশেষত্ব হচ্ছে তাদের নিজস্ব নৌযান দিয়ে স্থলভাগের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। বাহিনীর নিরাপত্তা বেষ্টনীর কাছাকাছি হওয়ায় শান্তি বাহিনীর অত্যাচারের কোন ভয় নেই। কি কপাল!!

২০ টাকার টিকিট কেটে যেকোনো পর্যটক এখানে ঢুকে ঘোরাফেরা করতে পারে, ছবি তুলতে পারে, রেস্টুরেন্টে খেতে পারে। কিন্তু সন্ধ্যা হবার সাথে সাথে তাদের এই স্থান ত্যাগ করা বাধ্যতামূলক। এমন টাইট ফিট নিয়ম থাকার কারণে বাণিজ্যিকভাবে পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুব সুবিধা করতে পারে বলে মনে হয় না।

আমি তিন বছর ধরে এই বসন্তকালে এখানে অবকাশ যাপনের জন্য আসি। সব আলোচনা সমালোচনার ঊর্ধ্বে কথা হচ্ছে - আমার এখানে ভীষণ ভালো লাগে।

চিটাগং থেকে মুভ নিয়ে রাঙ্গামাটি আগমন,
রাঙ্গামাটি অফিসার্স মেসে অবস্থান, ব্রিগেড হেডকোয়ার্টারে কামে আকামে গমন, সিনিয়রদের ধমক সোহাগ, জুনিয়রদের শ্রদ্ধা কখনো চাপাবাজি, স্কট নিয়ে চাকমা পাড়ায় গমন-ভিডিও ক্যাসেট সংগ্রহ করা পরিশেষে জলযান ঘাটে স্পিড বোটে উঠে মাইনীমুখে উদ্দেশ্যে গমন। স্পষ্ট মনে আছে সোনালী ব্যাংক থেকে বিশেষ অনুরোধে ঢাকায় এক দুই মিনিটের জন্য কথা বলা এই চৈত্র মাসের ইফতারের চেয়েও বেশি তৃপ্তিদায়ক ছিল।
অজস্র অফিসারের চেহারা আমার এই মুহূর্তে ভেসে উঠছে যাদের সান্নিধ্য আমাকে একজন দায়িত্ববান মিলিটারি অফিসার হতে সহায়তা করেছে। রাঙ্গামাটিতে তখন ছিল ১৭ বেঙ্গল। তাদের আয়োজনে ৩০৫ ব্রিগেডের অধীনস্থ সকল অফিসার পরিবারসহ রাঙ্গামাটি লেকের মাঝে একটা ছোট পাহাড়ের উপর পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠানের যোগ দেয়। শিক্ষিত মার্জিত আর্কিটেক্ট সিও ভাবী ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে গতানুগতিকতার ব্যতিক্রম।

সেনাবাহিনীর বিচিত্র জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে দেশের বা দেশের বাইরে যে কোন প্রান্তেই যাক না কেন সেখানেই সেনানিবাসের সম্পূর্ণ ছোঁয়া থাকবেই থাকবে। লোকগুলো সব একই ডাইসে তৈরি বলে আচার-আচরণ কথাবার্তা, উত্তর- প্রতি উত্তর একই রকম।
ব্যক্তি পরিবর্তনে সচরাচর খুব একটা ঘাটতি পরিলক্ষিত হয় না।

রাঙ্গামাটি শহরটি পরিপাটি-যথেষ্ট পরিচ্ছন্ন। তবে এটিকে সুইজারল্যান্ড এর "জুরিখ" বানানো কোন ব্যাপারই না।
স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, প্রশাসন এবং পর্যটনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের একটু বিশেষ দৃষ্টি দেওয়া ছাড়া আর কিছুই লাগেনা। কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন্স, পার্বত্য বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি- পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে খুব সহজেই বিদেশি পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পারবে যদি কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে উদগ্রীব থাকেন।

খুবই খারাপ লাগে যখন দেখি আমাদের দেশের মেধাবী ছেলেমেয়েগুলো পড়াশোনা না করে সস্তার জিপিএ ফাইভ পেয়ে খুশিতে ডিগবাজি খায় আর চাকরি বাজারে চাকরি পায় না। অথচ এরা হচ্ছে ওয়ার্ল্ড ক্লাস মেধাবী সন্তান।তদ্রুপ এরকম সম্ভাবনাময় পর্যটন কেন্দ্রগুলো যখন অবহেলিত থাকে তখন তা দেখে কষ্টে বুকটা ফেটে যায়।

পাঠক সময় সুযোগ হলে পার্বত্য অঞ্চলে ঘুরে আসুন, রাঙ্গামাটির শুভলং মাইনী বাংলাদেশের জন্য আল্লাহর বিশেষ অবদান। কাপ্তাই লেকে চাঁদনী রাতে ভাসতে ভাসতে বুক ভরে অক্সিজেন নেবেন, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করবেন আর ইয়ারফোনের তার গরিয়ে গরিয়ে আপনার কানে প্রবেশ করবে - "চাঁদের হাসি বাঁধ ভেঙেছে উছলে পরে আলো"..... আপনার নিজের অজান্তে দু' ফোঁটা অশ্রু গড়াবে।‌
কত না বলা কথা লেকের এখানে সেখানে দূর পাহাড়ের কোলে গিয়ে আছাড় খাবে-আপনার মনে হবে এগুলো বলার জন্যই আপনি এখানে এসেছিলেন।

নোট: লেখক আব্দুল ওয়াহাব মিনার
ফেসবুক টাইম লাইন থেকে সংগৃহিত।
Ikha Tours & Travels
২৬/০৩/২০২৩

 #মাইনী_ট্যুর (পর্ব ১)সংগৃহিত রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ছিল আমার ৮৮-৯১'র কর্মস্থল। ছোট ছোট টিলা আর মাঝে মাঝে লে...
30/03/2023

#মাইনী_ট্যুর (পর্ব ১)

সংগৃহিত

রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমুখ ছিল আমার ৮৮-৯১'র কর্মস্থল। ছোট ছোট টিলা আর মাঝে মাঝে লেক-এর সমন্বয়েই আমাদের মাইনি মুখ ব্যাটেলিয়ান হেডকোয়ার্টারস।

সেনা জীবনের বর্ণাঢ্য ও বিচিত্র অভিজ্ঞতা আমি সঞ্চার করি পার্বত্য অঞ্চলের চাকরিজীবনে।
১৪ বেঙ্গল (ফেরোশাস ফর্টিন) ও ৪ বেঙ্গল (বেবি টাইগার্স ) এর রেজিমেন্টাল মেডিকেল অফিসার থাকার সুবাদে সিনিয়র জুনিয়র অনেক ইনফ্যান্ট্রি অফিসারদের সাথে পরিচিত হবার, সাব ক্যাম্পে জঙ্গলের মধ্যে ঝুমঝুম বৃষ্টিতে গল্প বলে‌ ও শুনে ঘনিষ্ঠ হবার সুযোগ হয়েছে।

মাইনীর নৈসর্গিক সৌন্দর্যে পর্যটকরা যেমন বিমোহিত হন আমরা আমাদের চাকরি জীবনের পুরো সময়টা প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রতিটা বিন্দু উপভোগ করেছি।

এখানে ব্রিটিশ আমলের বনবিভাগের রেস্ট হাউস টা উল্লেখযোগ্য। সেখানে সংরক্ষিত "ভিসিটরস ডায়েরি" দেখার মত একটি এন্টিক। মাইনী ক্যাম্পের
ডান দিকে রয়েছে এই দুর্গম এলাকার পাহাড়ীদের চিকিৎসার জন্য সৌদি আরবের টাকায় তৈরি করা একটি হাসপাতাল, রাবিতা হাসপাতাল। সেখানে এখন আম ও লিচু বাগানের বকুলের মৌ মৌ গন্ধ।

মাইনি লেকের দুদিকে উঁচু কালা পাহাড়ের ঢালে পাহাড়িদের বসতি- তাদের ভাষা কৃষ্টি, জুম চাষ- নিজেকে পবদেশী বলে মনে করিয়ে দিতে পারে। হেড ম্যান , কারবারিদের সাথে একাত্মা হয়ে সব উজাড় করে মিশতাম যাতে ওরা আমাদের সাথে সব কুসংস্কার ভুলে মিশতে পারে আর আমাদের মাঝেও বাঙালি পাহাড়ি- আপন পর কোন ফিলিংস কাজ না করে। অনেকটাই সফল হয়েছি। বাঙালি সেটেলররা একটা সমস্যা। এরা পাহাড়িদের আপন ভাবতে পারে না ।

এখানে চাকরি কালীন - বিয়ে করতে সক্ষম হই।
দুই দুইবার বিয়ের উদ্দেশ্যে ছুটি নিয়ে যখন সঙ্গী ছাড়া মাইনী পা রাখলাম তৃতীয়বার ছুটি বাড়িয়ে দিয়ে কমান্ডিং অফিসার বললেন এবার একাকী ফিরলে তোমাকে হিলে ঢুকতে দেয়া হবে না।
বিয়ে করে বউকে নিয়ে আসি। বাঁশ ছন ও সেগুন কাঠের আমার ছোট্ট বাংলোটার তিনদিক লেকে ঘেরা, গ্রিলহীন জানালা ভরে পাহাড়ি নরম বাতাসের আনাগোনা। দুরছড়ি থেকে বেত আনিয়ে ভট্টা সাজিয়েছিলাম। নতুন মেহমান সেই পাহাড়ি সাজগোজ দেখে অবাক।
সামনে এক চিলতে উঠোনের মত সবুজ চত্বরটি কয়েকটি জামরুল গাছের ছায়ায় আদৃত।

ডে পেট্রল, নাইট পেট্রোল ছাড়াও শান্তি বাহিনী ধরার বিশেষ অভিযানে অংশগ্রহণ ছিল মাতৃভূমির প্রতি দায়িত্ব পালনের নিদর্শন যে কারণে অক্লান্ত পরিশ্রম করেও অফিসার্স মেসে ফিরে ফুরফুরি মেজাজে মুভি দেখতে বসে যেতাম।

তখনকার বিডিআরের মেডিকেল অফিসার ছুটিতে থাকার জন্য আমাকে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে হতো।
কুকিছড়ার দুর্ঘটনাটা তখনই ঘটে।
একজন অফিসার ও ১১ জন বিডিআরের জোয়ান ১৩ জানুয়ারি ১৯৯০ কুকি ছাড়া অ্যামবুশে শাহাদাত বরণ করেন। ঐ লাশ ও আহত ব্যক্তিদেরউদ্ধারের জন্য তাৎক্ষণিক আমরা ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি সামাল দেই। মৃতদেহ গুলো নিয়ে আমরা ঘটনাস্থলে রাত যাপন করি। আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দিয়ে হেলিকপ্টারে পাঠিয়ে দেই।
ভয়ের সাহসের গৌরবের পরাজয়ের ঘৃণার ভালোবাসার সে এক বিচিত্র অভিজ্ঞতা।

১৪ বেঙ্গলের অধিনায়কের নেতৃত্বে নাইট পেট্রোল করে আমরা দুদিনের মাথায় মাইনী ক্যাম্পে পৌঁছি।
শাহাদাত বরনকারী অফিসারের আহত কুকুরটা আমাদের সাথে এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে আমাদের মেসের পাশে এসে আশ্রয় নেয়।

মাইনি মুখের সৌন্দর্য অবর্ণনীয়।
এক এক ঋতুতে ভিন্ন ভিন্ন সৌন্দর্যৈ আবির্ভূত হয় মাইনীমুখ ও সংলগ্ন জলাভূম।
এই বসন্তে বন জঙ্গলে পাতা ঝরে স্তুপ হয়ে আছে যা হালকা বাতাসেই শন শন উড়ে চলে যায়। গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়। ‌ আম লিচুর বকুলসহ অন্যান্য ফুলের ঘ্রানে সে কি এক অচেনা পরিবেশ নিমিষেই নিস্তব্ধ করে দিতে পারে। গ্রীষ্মে লেকের পানি আরো কমে যায়।
সেখানে বাঙালি পাহাড়িরা খুব দ্রুত চালাকি করে একটা ফসল নিয়ে নেয় বৃষ্টি আসার আগেই। এরপর আসে বৃষ্টি। পাহাড়‌ থেকে গড়িয়ে বৃষ্টির পানির ঢল নামে যা উপর থেকে নেমে আসা পানির সাথে মিলে নদীতে মিশে যায়। প্রথমদিকে এই ঢলের পানির স্রোত এতটাই মারাত্মক হয় যে বিপরীত দিকে কোন ইঞ্জিন চালিত নৌকা যেতে পারে না, ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায়।
আষাঢ় শ্রাবণে মেঘের আনাগোনা পার্বত্য অঞ্চলে এক বিশেষ দৃশ্যের অবতারণা করে।। পাহাড়ের উঁচু জায়গা গুলোতে মেঘ আটকে যায়। নওয়াপাড়া বা বামে লংগদুর মতো ক্যাম্পগুলোতে এই মেঘেনীদের অনাবশ্যক আলিঙ্গনে ভিজে যেতে হয়। একবার সেই আলিঙ্গনে ভিজলে বারবার সেই সান্নিধ্য ফিরে পেতে মন চাইবে।

শীতে অতিথি পাখিদের আগমনে দুই পাহাড়ের মাঝখানের লেকটি কালো হয়ে থাকে। আমরা যখন তিন-চারটি স্পিড বোট সহ ঐ পথ পাড়ি দিতাম পাখিগুলো দুদিকে উড়ে চলে যেত। কিছু অলস পাখি 🐦 কে আমাদের চলন্ত স্পিডবোটের অদূরে নির্ভয়ে ভাসতে দেখতাম। তারা এতদিনে বুঝে গেছে শান্তি বাহিনীর সন্ত্রাসীরা এই জলপাই ড্রেসের ফৌজ এর কাছে নিরাপদ না হলেও তারা অন্তত নিরাপদ।

পার্বত্য অঞ্চল এখনো সম্পূর্ণ নিরাপদ নয়।
নতুন করে সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে উঠেছে বান্দরবান।

অবিরত দেশবিরোধী প্রোপাগান্ডা সরল মনা পাহাড়িদের বিভ্রান্ত করছে। ‌ এসব সমস্যাকে রাজনৈতিকভাবেই সমাধান করা বুদ্ধিমানের কাজ।
লেখক আব্দুল ওয়াহাব মিনার
নোট: ফেসবুক টাইম লাইন থেকে সংগৃহিত।
২৬/০৩/২০২৩
Ikha Tours & Travels

বিশেষ বিজ্ঞাপ্তিসৌদি প্রবাসী
22/03/2023

বিশেষ বিজ্ঞাপ্তি
সৌদি প্রবাসী

বিশেষ বিজ্ঞাপ্তিই-পাসপোর্ট এবং এমআরপি পাসপোর্ট আবুধাবি প্রবাসী বাংলাদেশি
22/03/2023

বিশেষ বিজ্ঞাপ্তি

ই-পাসপোর্ট এবং এমআরপি পাসপোর্ট
আবুধাবি প্রবাসী বাংলাদেশি

Address

Muradpur CDA
Chittagong

Telephone

+8801841156141

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ikha Tours & Travels posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ikha Tours & Travels:

Videos

Share

Category