29/05/2017
আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’
দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল বন্ধ, নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে নির্দেশ
পায়রা ও মোংলা বন্দর, ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং অদূরবর্তী দ্বিপ ও চরগুলোতে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ঢাকা থেকে দূরপাল্লার সব নৌযান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সোমবার বেলা সাড়ে ১২টায় দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতে দুই নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি করা হয়েছে। বিআইডব্লিউটি-এর যুগ্ম পরিচালক জয়নাল আবেদিন জানান, এই সতর্কতায় ৬৫ ফুটের উপরের জাহাজ চলাচল করতে পারে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগপূর্ণ অবস্থা থাকায় ভোলা, পটুয়াখালী ও বরিশাল অঞ্চলে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। শুধু চাঁদপুর ও কাছের নৌ পথে লঞ্চ চলাচল করতে পারবে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’র কারণে উপদ্রুত এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে আনার ব্যবস্থা নিতে স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সোমবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের দায়িত্বে) গোলাম মোস্তফা এই তথ্য জানান।
গোলাম মোস্তফা বলেন, আজ সন্ধ্যার আগেই সবাইকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে আসা হবে। ঘূর্ণিঝড় মোরা মোকাবিলার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দের জন্যও বলা হয়েছে। এ ছাড়া একটি সার্বক্ষণিক নিয়ন্ত্রণকক্ষ খোলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়সংক্রান্ত যেকোনো ব্যাপারে নিয়ন্ত্রণকক্ষের ৯৫৪০৪৫৪, ৯৫৪৫১১৫, ৯৫৪৯১১৬ ও ০১৭১৫১৮০১৯২ নম্বরে ফোন করে যোগাযোগ করা যাবে।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি গত মধ্যরাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ করা হয়েছে মোরা। আগামীকাল মঙ্গলবার সকালে এটি চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর ও কক্সবাজার উপকূলকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় মোরা পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা থেকে কিছুটা উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার ছাড়াও উপকূলীয় জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং জেলাগুলোর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।