24/09/2024
দাদার স্নেহ- ছায়ায় নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)।
আবওয়ায় মা আমেনার ইন্তেকালের পর বৃদ্ধ আব্দুল মুত্তালেব পৌত্রকে সঙ্গে নিয়ে মক্কায় পৌঁছলেন। পিতৃ - মাতৃহীন পৌত্রের জন্য তাঁর মনে ছিল ভালোবাসার উত্তাপ। তিনি নতুন করে আঘাত পেলেন তা অতীত আঘাতের কথা জাগিয়া তোলে। পিতৃমাতৃহীন পৌত্রকে যতো ভালবাসতেন এত ভালবাসা তার নিজের পুত্র কন্যা কারো জন্যই ছিল না।
ভাগ্যের পরিহাস, বালক মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সে অবস্থায় ছিলেন একান্ত নিঃসঙ্গ কিন্তু আব্দুল মোত্তালেব তাঁকে নি:সঙ্গ থাকতে দিতেন না, তিনি পৌত্রকে অন্য সবার চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন এবং স্নেহ করতেন।
ইবনে হিসাম বলেন- আব্দুল মোত্তলেবের জন্য কাবা ঘরের ছায়ায় বিছানা পেতে দেয়া হতো। তাঁর সব সন্তান সেই বিছানার চারিদিকে বসতো। কিন্তু মোহাম্মদ গেলে বিছানায় বসতেন। তিনি ছিলেন অল্প বয়স্ক শিশু। তাঁর চাচা তাঁকে বিছানা থেকে সরিয়ে দিতেন।জ কিন্তু আব্দুল মোতালেব বলতেন, ওকে সরিয়ে দিও না। ওর মর্যাদা অসাধারণ। তারপর তাকে নিজের পাশে বসাতেন। শুধু বাসানোই নয় তিনি প্রিয় পৌত্রকে সব সময় নিজের সঙ্গে রাখতেন। বালক মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কাজকর্ম তাকে আনন্দ দিতেন।
বয়স ৮ বছর দুই মাস দশ দিন পর তাঁর দাদার স্নেহের ছায়াও উঠে গেল। তিনি ইন্তেকাল করলেন। মৃত্যুর আগে নিজের পুত্র আবু তালেবকে ওসিয়ত করে গেলেন- তিনি যেন তার ভ্রাতুষ্পূত্রের বিশেষ ভাবে যত্ন নেন। আবু তালেব এবং আব্দুল্লাহ ছিলেন একই মায়ের সন্তান।
আবু তালেব তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্রকে গভীর স্নেহমমতার সাথে প্রতি পালন করেন। তাঁকে নিজ সন্তানের অনৃতভুক্ত করে নেন। বরং নিজ সন্তানের চেয়ে বেশি স্নেহ করতেন। ৪০ বছরের বেশি সময় পর্যন্ত ভ্রাতষ্পুত্রকে সহায়তা দেন। আবু তালেব প্রিয় ভ্রাতুষ্পুত্রের সার্থপর প্রতি লক্ষ্য রেখেই মানুষের সঙ্গে শত্রুতা ও মিত্রতা বন্ধন স্থাপন করতেন।