Jewel's Travelogue

Jewel's Travelogue পৃথিবীর মানচিত্র সবাই দেখেছে। কিন্তু বিশ্ব তাকে দেখেছে যে পুরো পৃথিবী দেখেছে......

04/09/2022

আমার মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় ভিডিও ...

"নবাব মনসুর উল-মুল্ক সিরাজ উদ্দৌলা শাহ-কুলী খান মির্জা মুহম্মদ হয়বৎ জঙ্গ বাহাদুর" সমাধির পাশে আরো কে কে শুয়ে আছেন এই খোশবাগে তা দেখুন এই ভিডিওতে ..

দীর্ঘ বিরতির পর Nishat Mazumder আপুর পরবর্তি অভিযান 'মানাসলু'তে।আগামী ২৯ আগস্ট নেপালে রওনা হবেন এই অভিযানের জন্য। নিশাত ...
28/08/2022

দীর্ঘ বিরতির পর Nishat Mazumder আপুর পরবর্তি অভিযান 'মানাসলু'তে।আগামী ২৯ আগস্ট নেপালে রওনা হবেন এই অভিযানের জন্য।

নিশাত আপুর সঙ্গে প্রজ্ঞা নামে আরো একজন যাচ্ছেন মানাসলু'র বেসক্যাম্প পর্যন্ত এই অভিযানে।

নিশাত আপু ও প্রজ্ঞা আপুর জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।

সুখবর সুখবর -শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশীদের জন্য “অন-এরাইভ্যাল মিসরীয় ভিসা”।
19/08/2022

সুখবর সুখবর -

শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশীদের জন্য “অন-এরাইভ্যাল মিসরীয় ভিসা”।

প্রীয় নবাবের সমাধি ..."নবাব মনসুর উল-মুল্ক সিরাজ উদ্দৌলা শাহ-কুলী খান মির্জা মুহম্মদ হয়বৎ জঙ্গ বাহাদুর" আমার মুর্শিদাবা...
18/08/2022

প্রীয় নবাবের সমাধি ...

"নবাব মনসুর উল-মুল্ক সিরাজ উদ্দৌলা শাহ-কুলী খান মির্জা মুহম্মদ হয়বৎ জঙ্গ বাহাদুর"

আমার মুর্শিদাবাদ ভ্রমণের সবচেয়ে আকর্ষণীয় পর্ব গুলো আজ থেকই ধারাবাহিক ভাবে আপনাদের কাছে তুলে ধরবো...ইন শাআল্লাহ ।

চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট -আজ সকালে নাস্তা করলাম পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশেই  ৪৭,নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত ১০০ বছরের...
17/08/2022

চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট -

আজ সকালে নাস্তা করলাম পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের পাশেই ৪৭,নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত ১০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী "চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট"। নর্থব্রুক হল রোড দিয়ে একটু এগুলোই চোখে পড়বে এই ঐতিহ্যবাহী চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্টটি ।

এতো পুরোনো রেস্তোরাঁ কিন্তু এখনো সেই স্টিল প্লেট এবং স্টিল গ্লাস দিয়েই খাদ্য পরিবেশ করা হয়। কালের পরিভ্রমনে অনেক কিছু পরিবর্তন হলে ও তারা তাদের ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এখনো।

জানা যায় এখানকার স্থানীয় বাসিন্দা গোবিন্দ লাল পাল এই চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্টটি খোলেন।রেস্টুরেন্ট লেখাটি থাকলেও এখানকার ঐতিহ্যবাহী খাবার লুচি-ডাল। প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই রেস্টুরেন্টটি ছিলো কবি,সাহিত্যিক,সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদদের আড্ডাস্থল।ভোজনরসিক লোকদের জন্য তৈরি হতো লুচি,বুটের ডাল,চা,ডিমের ওমলেট। এলাকার লোকজন ছাড়াও আশেপাশের এলাকার লোকজন এসে ভিড় করতো এ ই রেস্টুরেন্টে।

১৯৭৫ সালে গোবিন্দ লাল পাল মারা গেলে ব্যবসার হাল ধরেন তার সন্তান স্বপন কুমার পাল ও ভোলানাথ পাল। কিন্তু আগের সেই আড্ডা এখন আর নেই।

রেস্টুরেন্টটি সম্পর্কে বলতে গিয়ে রেস্টুরেন্টের মালিক স্বপন পাল বলেন, বাবা যখন দোকানদারি করতেন তখন এদেশের অনেক জ্ঞানী-গুণী,বিখ্যাত লোকজন এই দোকানে আসতেন এবং খাবারের পরও ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দিতেন। এটাই ছিলো তাদের সকলের আড্ডাস্থল।

তিনি বলেন, আমাদের রেস্টুরেন্টে ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী ব্রজেন দাশ, সঙ্গীত পরিচালক সমর দাশ, কবি নির্মলেন্দু গুণ, সৈয়দ শামসুল হক, অভিনেতা প্রবীর মিত্র, দৈনিক সংবাদের সাংবাদিক সন্তোষ গুপ্ত, বিখ্যাত গায়ক ফকির আলমগীর সহ অনেক নাম করা ব্যক্তিরা এখানে আসতেন। এছাড়া কবি জসীম উদ্দিন বাংলাবাজারে এলেই এখানে আসতেন এক কাপ চা খেতে।

স্বপন পাল জানান, গোবিন্দ লালের সাথে এসব বিখ্যাত ব্যক্তিদের একটা ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিলো আর সে কারণেই তারা এখানে আসতেন। বর্তমানে তারা অনেকেই এখন আর বেঁচে নেই। আবার অনেকে নতুন ঢাকায় চলে গেছেন । একে তো দূরের রাস্তা আবার অন্যদিকে এখানে দিনভর লেগে থাকা তীব্র যানজট, এ কারণেই তারা এখন আর আসেন না ।

রেস্টুরেন্টটিতে লুচি ও ডাল একসাথে দেয়া হয়। লুচির দাম ৫টাকা আর ডাল মাত্র ১০ টাকা। লুচি তৈরির মূল উপাদান হলো ময়দা। ক্রেতাদের চাহিদা সামাল দিতে আগে থেকেই তৈরি থাকে ময়দার খামি। দোকানে ঢুকলেই দেখা যাবে দুইজন কারিগর ব্যস্ত লুচি বেলতে আর একজন শুধু লুচি ভাজছেন। অন্যদিকে ওয়েটারদেরও বিশ্রাম নেবার ফুসরত নেই। সারাক্ষণই ব্যস্ত ক্রেতাদের অর্ডার নেয়ার জন্য। সকলের অর্ডার একটিই লুচি-ডাল।

চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট প্রতিদিন সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে।

চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্টের ইতিহাস বলতে গিয়ে স্বপন পাল বলেন, বাবা কিন্তু প্রথমে এখানে দোকানটি দেননি। সর্বপ্রথম দোকানটি ছিলো প্যারিদাস রোডে আর দোকানটি চালাতেন আমার ছোট চাচা কালাচান লাল পাল। যদিও দোকানটির কোনো নাম ছিলো না। পরে বাবা তাকে নিয়ে এসে আবার নতুন করে রেস্টুরেন্টটি খুললেন এবং নাম দিলেন ‘চৌরঙ্গী রেস্টুরেন্ট’।

রেস্টুরেন্টের নাম চৌরঙ্গী কেন রাখা হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমরা জানি না কখনো জিজ্ঞেস করাও হয়নি তিনি যেহেতু বেঁচে নেই এখন তো আর সম্ভব না।

খাবারের মান সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্বপন পাল বলেন, সবাই তার দোকানের খাবারের প্রশংসা করে। কিন্তু আমি কথায় বিশ্বাসী নই কাজে বিশ্বাসী। আমি শুধু বলবো আমার বাবার সম্মান যেনো কোনোভাবেই নষ্ট না হয় সেদিকেই লক্ষ্য রাখি।

এটা ছাড়া আর কোনো পেশার সাথে যুক্ত আছেন কী না?এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাবা মারা যাবার পর থেকে আমরা দুইভাই এই ব্যবসার সাথে জড়িত । এটা ছাড়া আমরা আর কিছু করি না। এটাই আমাদের দুই পরিবারের অর্থ আয়ের একমাত্র পথ।

পুরান ঢাকার যত ঐতিহ্য -পুরনো ঢাকার আলমগঞ্জের মিলব্যারাকে দেখা মিললো ধংসের দ্বার প্রান্ত দাড়িয়ে থাকা ১৮৪০ সালের অর্থাৎ ১৮...
13/08/2022

পুরান ঢাকার যত ঐতিহ্য -

পুরনো ঢাকার আলমগঞ্জের মিলব্যারাকে দেখা মিললো ধংসের দ্বার প্রান্ত দাড়িয়ে থাকা ১৮৪০ সালের অর্থাৎ ১৮২ বছরের পুরানো জাহাঙ্গীর বাদশা জামে মসজিদের,যদি ও এর ইতিহাস ঐতিহ্য সমন্ধে তেমন কোন তথ্য কেউ দিতে পারলো না। তেমন সঠিক কোন তথ্য ও কেউ দিতে পারলো না এই জাহাঙ্গীর বাদশা সমন্ধে।

এই মসজিদটি দাড়িয়ে আছে বুড়িগঙ্গার গা ঘেঁষে,এর অবস্থান দেখে এটা অনুমান করা যায় এটা বৃটিশ আমলে তৈরী করা হয়েছে অথবা ঐ আমলে এ দেশে ইসলাম প্রচার করতে এসে কেউ এটাকে তৈরি করে থাকতে পারে।

পুঠিয়া রাজবাড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী মৌজায় মোট চৌদ্দটি মন্দির এখনো পূর্ণঅবয়বে বিদ্যমান। মন্দিরগুলোর মধ্যে দুটি পঞ্চরত্ন, এক...
12/08/2022

পুঠিয়া রাজবাড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী মৌজায় মোট চৌদ্দটি মন্দির এখনো পূর্ণঅবয়বে বিদ্যমান। মন্দিরগুলোর মধ্যে দুটি পঞ্চরত্ন, একটি দোচালা, মিশ্ররীতির ত্রি-মনিদর, একটি অষ্টকোণা একরত্ন, দুটি সমতলছাদ বিশিষ্ট এবং বাকীগুলো পিরামিড আদলের চৌচালা ছাদ সংবলিত। মন্দিরগুলো নির্মাণে ইট ও চুন-সুরকি ব্যবহৃত হয়েছে।
অলঙ্করণ হিসেবে অধিকাংশ মন্দিরেই হিন্দু ধর্মীয় ও তদানীন্তন সামাজিক বিষয়বস্তু অবলম্বনে উৎকীর্ণ
পোড়ামাটির ফলক শিল্পের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

বড় আহ্নিক মন্দির :-
পুঠিয়া রাজবাড়ী লেকের প্রায় ১০০ মিটার পশ্চিমে জমিদার বাড়ীর বৃহৎ দিঘীর পশ্চিম পার্শ্বে পাশাপাশি তিনটি মন্দির আছে। এগুলোর মধ্যে দক্ষিণ দিকে অবস্থিত মন্দিরটি চারআনী বড় আহ্নিক নামে পরিচিত।

উত্তর দক্ষিণে লম্বা আয়তকার পরিকল্পনায়
নির্মিত তিন কক্ষ বিশিষ্ট মন্দিরের প্রবেশ পথ পূর্বদিকে অবস্থিত। এই মন্দিরের মাঝের কক্ষটিরছাদ দোচালা পদ্ধতিতে নির্মিত। দু’পাশের কক্ষ দু’টি বর্গাকার এবং চার চালা ছাদ দ্বারা আচ্ছাদিত। মন্দিরের পূর্বপার্শ্বে সম্মুখ দেওয়াল বিভিন্ন ধরণের পোড়ামাটির ফলক চিত্র দ্বারা সজ্জিত। স্থাপিত বিন্যাস অনুযায়ী স্থাপিত বিন্যাস অনুযায়ী মন্দিরটি খ্রিষ্টীয় ১৭/১৮ শতকে নির্মিত বলে অনুমিত হয় ।

পুঠিয়া বড় শিব মন্দির:-
পুঠিয়া বাজারে প্রবেশ করতেই হাতের বাম পার্শ্বে দিঘীর দক্ষিণ পাড়ে বড় শিব মন্দির অবস্থিত। ৪ মিটার উঁচু মঞ্চের উপর নির্মিত মন্দিরের প্রধান প্রবেশ পথ দক্ষিণ দিকে অবস্থিত। মন্দিরে উঠার জন্য দক্ষিণ দিকে সিড়ি আছে। মন্দিরের উপর চার কোণে চারটি কেন্দ্রস্থলে একটি চুড়া বা রত্ন আছে।

কেন্দ্রীয় চূড়াটি বিশ মিটার উঁচু। চতুষ্কোণাকৃতির কাঠামোর উপরে পিরামিড আকৃতির চূড়াগুলো নির্মিত হয়েছে। চার পার্শ্বে সন্নিবেশিত রয়েছে বিভিন্ন সতরে মোচার আকারে নির্মিত অসংখ্য ছোট ছোট চূড়া মন্দিরের দেয়ালের বর্হিমূখে হিন্দু দেব-দেবীর ষ্ট্যাকূ ছিল। যা বর্তমানে প্রায় ধংসপ্রাপ্ত মন্দিরের কেন্দ্রীয় অংশে ৩.০০ মিটার বর্গাকার কক্ষ এবং এক-চার কোণে চারটি কক্ষ। কোণের চারটি কক্ষের মধ্যবর্তী স্থানে বারান্দা সন্নিবেশিত রয়েছে। মন্দিরের কেন্দ্রীয় কক্ষে বৃহৎ আকারের শিবলিঙ্গ গৌরী পট্র রয়েছে, যাতে পূজারীরা এখনও পূজা অর্চণা করে থাকে। পুঠিয়ায় অবস্থিত মন্দিরগুলোর মধ্যে এটি একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি। ১৮২৩ খ্রিঃ পাঁচআনী জমিদার বাড়ীর রাণীভূবনময়ী দেবী এ মন্দির নির্মাণ করেন । এ মন্দির ভূবনেশ্বর মন্দির বলা হয়ে থাকে।

পুঠিয়া দোল মন্দির:-
পুঠিয়া রাজবাড়ীর সম্মুখস্থল মাঠের উভয় পার্শ্বে বর্গাকার পরিকল্পনায় নির্মিত চারতলা বিশিষ্ট মন্দিরে প্রত্যেক বাহুর পরিমাপ ২১.৫৪ মিটার। ইষ্ট চুন ও সুড়কীর তৈরী দোল মঞ্চ মন্দিরটি ছোট থাকে থাকে উপরে উঠে গেছে।
চতুর্থ তলার উপরে মন্দিরের গমবুজ আকৃতির চূড়া। চূড়ার শীর্ষদেশে ফিনিয়েল দ্বারা শোভিত। প্রত্যেক তলের চারদিকে টানা বারান্দা আছে। নীচতলায় প্রত্যেক বাহুতে সাতটি করে দ্বিতলের পাঁচটি, ত্রিতলের তিনটি এবং চতুর্থ তলের প্রত্যেক বাহুতে একটি করে প্রবেশ পথ আছে। পার্শ্ববর্তী সমতল ভূমি থেকে এ মন্দিরের উচ্চতা ২০ মিটার। মন্দিরটি উনবিংশ শতাব্দীর শেষ দশকে পুঠিয়ার পাঁচআনী জমিদার বাড়ীর হেমন্ত কুমারী দেবী কতৃক নির্মিত।

পুঠিয়া গোবিন্দ মন্দির:-
পুঠিয়া পাঁচআনী জমিদার বাড়ীর অঙ্গনে অবস্থিত গোবিন্দ মন্দির। গোবিন্দ মন্দির একটি গুরুত্বপূর্ণ পুরাকীর্তি। উঁচু বেদীর উপর প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটি বর্গাকার পরিকল্পনায় নির্মিত। মন্দির গাত্রে অসংখ্য পোড়ামাটির ফলক চিত্র আছে।

রামায়ন, মহাভারত পৌরাণিক কাহিনীর রুপায়ন ছাড়াও ফলক চিত্রের মাধ্যমে প্রাণী ও উদ্ভিদ জগতের ছবিও তুলে ধরা হয়েছে। এই মন্দিরটি ১৮ শতকে নির্মিত বলে ধারণা করা হয়।

বলে দাও -তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো, যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে, তাদের পরিণাম কী হয়েছিল....?— সুরা :-আনআম,আয়া...
10/08/2022

বলে দাও -তোমরা পৃথিবীতে পরিভ্রমণ করো, অতঃপর দেখো, যারা সত্যকে মিথ্যা বলেছে, তাদের পরিণাম কী হয়েছিল....?

— সুরা :-আনআম,আয়াত :- ১১

আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস / World Indigenous Peoples Day -জাতিসংঘ ১৯৯৪ সালে ৯ আগস্টকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস বা আন্তর্জাতিক ক্ষু...
09/08/2022

আজ বিশ্ব আদিবাসী দিবস / World Indigenous Peoples Day -

জাতিসংঘ ১৯৯৪ সালে ৯ আগস্টকে বিশ্ব আদিবাসী দিবস বা আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী দিবস গণ্য করায় ২০০৪ সাল থেকে বাংলাদেশেও দিবসটি উদযাপনে কিছু তৎপরতা লক্ষ করা যায়।কিন্তু আদিবাসী শব্দের সুর্নিদিষ্ট সংজ্ঞা ও তাদের অধিকার নিয়ে রয়েছে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক তর্ক-বিতর্ক এবং আমাদের সংবিধানে বিষয়টি মীমাংসাও করা হয়েছে। তবু অতি উৎসাহীরা বিশ্ব আদিবাসী দিবসকে কেন্দ্র করে যে অভিমতসমূহ ব্যক্ত করে থাকেন তা অযৌক্তিক।

আদিবাসীরা পৃথিবীর যে কোন ভূখণ্ডের শ্রেষ্ঠতম সম্পদ। অথচ প্রায় সবখানেই তারা নিগ্রহের শিকার হয়েছে এবং হচ্ছে নানা কারণে, মূল কারণ অবশ্যই দখলদারিত্ব এবং আধুনিক মানুষের সর্বগ্রাসী লোভ। আদিবাসী মানুষেরা ভালো নেই, এবং প্রকৃতিও ভালো নেই। তারাই নিসর্গের রক্ষক ছিল এবং এখনো স্বল্প পরিসরে আছে নানা দেশে।

পৃথিবীর সকল দেশেই আদিবাসী সংস্কৃতি, ভাষা, জীবনযাত্রা সেই দেশের মানুষের বৈচিত্রতা ধারণ করে। যখনই যে দেশেই গিয়েছি সে হোক ফিনল্যান্ড, পেরু, ভারত বা চীন- অতি আগ্রহ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছি আদিবাসীদের নিয়ে, পারলে চেষ্টা করেছি তাদের বাড়িতে যেতে। বারবারই জ্ঞান আর অভিজ্ঞতায় অবাক করে দিয়েছেন তারা, সমৃদ্ধ করেছেন এই অধমের জীবনকে।

অন্যের জীবনযাত্রা সম্পর্কে আর ও জানুন, সন্মান এমনিতেই আসবে। ভৌগোলিক অসহিষ্ণুতা যেন স্পর্শ না করে আমাদের। জগত জুড়ে ভালোবাসা থাকুক কেবল।

ছবি গুলো আমার তিন পার্বত্য জেলা ভ্রমণের সময়ে তোলা ...!!

পুঠিয়া রাজবাড়ী, রাজশাহী পর্ব নং -০১  রাজশাহী (Rajshahi) জেলার অন্যতম উপজেলা ও উপজেলা সদরদপ্তর পুঠিয়া। রাজশাহী শহর হতে ত্...
08/08/2022

পুঠিয়া রাজবাড়ী, রাজশাহী

পর্ব নং -০১

রাজশাহী (Rajshahi) জেলার অন্যতম উপজেলা ও উপজেলা সদরদপ্তর পুঠিয়া। রাজশাহী শহর হতে ত্রিশ কিলোমিটার পূর্বে এবং রাজশাহী-নাটোর মহসড়ক হতে মাত্র এক কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পুঠিয়া রাজবাড়ি (Puthia Rajbari)। পুঠিয়া রাজবাড়ি বাংলাদেশে বিদ্যমান অন্যান্য রাজবাড়িগুলোর চেয়ে মোটামুটি সুরক্ষিত এবং নজরকাড়া স্থাপত্যে সজ্জিত।

পুঠিয়া বাজারে দক্ষিণ পার্শ্বে দ্বিতল বিশিষ্ট আয়তাকার পরিকল্পনায় নির্মিত পুঠিয়া রাজবাড়িটি একটি আকর্ষণীয় ইমারত। বহুকক্ষ বিশিষ্ট রাজবাড়ীর প্রধান প্রবেশপথ সিংহ দরজা উত্তরদিকে অবস্থিত। জমিদার বা রাজারা এখান থেকে তাদের রাজ কর্ম পরিচালনা করতেন। এ রাজবাড়ীতে দোষী ব্যক্তিদের শাসিত দানের ব্যবস্থাসহ বন্দীশালার ব্যবস্থা ছিল। চুন সুড়কীর মসলনা ও ছোট আকৃতির ইট দ্বারা নির্মিত বাজবাড়ীর সম্মুখভাগে আকর্ষণীয় ইন্দো-ইউরোপীয় স্থাপত্য রীতির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। রাজবাড়ির নিরাপত্তার জন্য চারপার্শ্বে জলাশয়ের ব্যবস্থা ছিল। স্থানীয় জমিদার পরিবারের সদস্যদের দ্বারা উনবিংশ শতাব্দীতে এটি নির্মিত হয়েছিল। রাজবাড়ির প্রত্নতত্তণ অধিদপ্তরের নিয়মত্রণাধীন পুরাকীর্তির হলেও বর্তমানে এটি লস্করপুর ডিগ্রী কলেজ (Loshkorpur Degree College) হিসেবে ব্যবহ্নত হচ্ছে।

পুঠিয়া রাজবাড়ির চারিদিক পরিখা দ্বারা পরিবেষ্টিত। বর্তমানে পরিখাগুলো বিভিন্ন নামে পরিচিত যথা- শিব সরোবর বা শিবসাগর, গোপালচৌকি, বেকিচৌকি, গোবিন্দ সরোবর ও মরাচৌকি। এছাড়া রাজবাড়ি এলাকার মধ্যস্থলে রয়েছে শ্যামসাগর নামে একটি বিশাল পুকুর। পরিখা বেষ্টিত এই রাজবাড়ির মোট স্থলভাগের পরিমাণ ২৫.৯৩ একর (কেন্দ্রস্থলের ৬.০০ একর বিশিষ্ট শ্যামসাগর ব্যতীত)। পুঠিয়া রাজবাড়ি ও তার আশেপাশে এখানকার জমিদারদের নির্মিত বেশ ক‘টি নয়নাভিরাম মন্দির এখনো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শরীক বিভক্তির পর পাঁচ আনি ও চার আনি রাজপ্রাসাদ আলাদাভাবে নির্মিত হয়। এই দুটি প্রাসাদ ছাড়া অন্যান্য শরীকের ঘরবাড়ির কোন চিহ্ন বর্তমানে আর খুঁজে পাওয়া যায় না।

পুঠিয়া রাজবাড়ি ও তার পার্শ্ববর্তী মৌজায় মোট চৌদ্দটি মন্দির এখনো পূর্ণঅবয়বে বিদ্যমান। মন্দিরগুলোর মধ্যে দুটি পঞ্চরত্ন, একটি দোচালা, একটি মিশ্ররীতির ত্রি-মনিদর, একটি অষ্টকোণা একরত্ন, দুটি সমতলছাদ বিশিষ্ট এবং বাকীগুলো পিরামিড আদলের চৌচালা ছাদ সংবলিত। মন্দিরগুলো নির্মাণে ইট ও চুন-সুরকি ব্যবহৃত হয়েছে। অলঙ্করণ হিসেবে অধিকাংশ মন্দিরেই হিন্দু ধর্মীয় ও তদানীন্তন সামাজিক বিষয়বস্তু অবলম্বনে উৎকীর্ণ পোড়ামাটির ফলক শিল্পের ব্যবহার পরিলক্ষিত হয়।

চলবে .....

08/08/2022

হায় হায় কয় কি এই সব.....😭😥😢

07/08/2022

দুটি পাতা একটি কুঁড়ির দেশে ..

এমন পথ দিয়ে হাজার বছর ছুটে চলা যায়...!

৪২২ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী "বিবিকা রওজা" -গতকাল ঘুরে আসলাম পুরানো ঢাকার ফরাশগঞ্জের ৪২২ বছরের পুরানো সিয়া মুসলিমদের পবিত...
07/08/2022

৪২২ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী "বিবিকা রওজা" -

গতকাল ঘুরে আসলাম পুরানো ঢাকার ফরাশগঞ্জের ৪২২ বছরের পুরানো সিয়া মুসলিমদের পবিত্র স্থান "বিবিকা রওজা" থেকে,যা ১৬০০ সাথে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে,সামনে আসছে পবিত্র আশুরা তাই অনেক ভীড় ছিলো এখানে,আসুন জেনে নেই এই ঐতিহ্যবাহী স্থানটির সমন্ধে ...

রাজধানীর সবচেয়ে পুরনো ইমামবাড়া ওল্ড ঢাকার ফরাশগঞ্জের ‘বিবিকা রওজা’। যা নির্মিত হয় ১৬০০ সালে। এই মাজারটি অন্যান্য মাজারের মত নয়। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর কন্যা ও ইসলামের চতুর্থ খলিফা হযরত আলীর বিবি মা ফাতেমা (রা.)-এর নামে নির্মিত এই মাজার।

প্রতিবছর মহরম মাসের ১ ধেকে ১০ তারিখে আশুরা উপলক্ষ্যে জমজমাট হয়ে ওঠে বিবিকা রওজা মাজার। তখন এখানে নানা রকম আচার অনুষ্ঠান হয়। এই ‘বিবিকা রওজা’ থেকে শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা বের করেন বিশাল তাজিয়া মিছিল যা শহরের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

শত শত বছর ধরে বাঙালি শিয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা ইমাম সেন (রা.)-এর মৃত্যুকে স্মরণ করতে তাজিয়া মিছিলে কারবালার চিত্র দৃশ্যায়ন করে আসছে। ঢাকায় কবে থেকে তাজিয়া মিছিল শুরু,
তার সঠিক ইতিহাস না পাওয়া গেলেও লোকমুখে জানা যায়, ১৬০০ সালে প্রথম ইমামবাড়া হিসেবে বিবিকা রওজ’ নির্মিত হয়। আর তাজিয়া মিছিল শুরু হয় তারও প্রায় অর্ধশত বছর পরে।

এখানে একমাত্র দর্শনীয় জিনিস হিসেবে ইমামবাড়া বা বিবিকা রওজার কথাই প্রথমে বলতে হয়। মা ফাতেমা (রা.)-এর নামের অনুকরণে নির্মিত এই ইমামবাড়া। সকল মুসলমান শিয়া,
সুন্নী তথা নর-নারী, বৃদ্ধ সব বয়সের লোক এখানে আসেন বিবিকা রওজা দেখতে। সকলেই ব্যক্তিগত ভাবে নানা রকম মানত, মাজার নিয়াজ ও আত্মতৃপ্তির জন্য এখানে আসেন। মহিলা ও পুরুষদের আলাদা ব্যবস্থা থাকায় এখানে মহিলাদের আনাগোনা চোখে পড়ার মত। সবাই তাদের মানতের টাকা চেরাগী বাক্সে দেয়।

বিবিকা রওজা’র খাদেম ও মোতওয়াল্লী বেগম খোদেজা ইয়াসিন জানান, শত শত বছর ধরে ইমাম হোসেন (রা.) শহীদ হওয়ার দিনটি উপলক্ষে তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল মূলত শোক মিছিল। তার মৃত্যুতে শোক জানাতেই প্রতিবছর তাজিয়া মিছিল বের হয়। সেদিন মিছিল দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ওল্ড ঢাকায় ভিড় করেন।

ডলারের দাম টালমাটাল হবার কারনে দেশের বাহিরে ট্যুর দেওয়া আপাতত বন্ধ,এখন নতুন করে তেলের দাম বাড়ার কারনে ঢাকার বাহিয়ে যাচ্ছ...
06/08/2022

ডলারের দাম টালমাটাল হবার কারনে দেশের বাহিরে ট্যুর দেওয়া আপাতত বন্ধ,এখন নতুন করে তেলের দাম বাড়ার কারনে ঢাকার বাহিয়ে যাচ্ছি না,তাই বলে কি ট্যুর দেওয়া বন্ধ হয়ে যাবে ..?

না তাতো হতেই পারেন,তাইতো খুঁজে খুঁজে দেখছি পুরানো ঢাকার আদি জমিদার বাড়ি গুলো এরই ধারাবাহিকতায় আজ খোঁজ দিচ্ছি ....

সূত্রাপুর জমিদার বাড়ির -

প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকায় আছে নাম। আইন অনুযায়ী, যা সংরক্ষণের দায়িত্ব সরকারের। সেখানে সরকারি সংস্থারই কর্মচারীদের পরিবার বসবাস করছে। সংখ্যায়ও তারা ৫০ এর ওপর। সেই সঙ্গে তৈরি করা হয়েছে নতুন ভবনও।

এ চিত্র রাজধানীর সূত্রাপুরের ৩৩ রেবতী মোহন দাস রোডের সূত্রাপুর জমিদার বাড়ির। শতবর্ষী এ ভবনে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের অর্ধশতাধিক পরিবার দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছে। তাদের বসবাসের সুবিধার্থে সেখানে তৈরি করা হয়েছে টয়লেট ও রান্নাঘর।এর পাশাপাশি সেখানে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের জন্য তৈরি করা হয়েছে দ্বিতল ব্যারাক এবং ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রাখার জন্য তৈরি হয়েছে ছাউনিও। এসবের বাইরে সেখানে একটি ফায়ার সার্ভিস জাদুঘর নির্মাণেরও পরিকল্পনা করছে সরকার।

নাজির হোসেনের 'কিংবদন্তির ঢাকা' গ্রন্থ থেকে জানা যায়, ব্রিটিশ আমলের জমিদার রায় বাহাদুর সত্যেন্দ্র কুমার দাস এ ভবনটি নির্মাণ করেন। তার বাবা রেবতী মোহন দাসের নামানুসারে ভবনটির সামনের রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে আর এম দাস রোড।

জমিদার বাড়িটি পাশাপাশি দুটি আলাদা ভবনের সমন্বয়ে তৈরি। যার মধ্যে দক্ষিণ প্রান্তের ভবনটি বেশি প্রাচীন। প্রায় ৫০ ফুট উঁচু প্রবেশ মুখে আছে ৩টি করিন্থিয়ান স্তম্ভ। এর দুই অংশে লতা-পাতামণ্ডিত অর্ধবৃত্তাকার কাঠামো এবং এর নিচে গোলাকার নকশা দেখা যায়। পুরো দালানে বিভিন্ন আয়তনের প্রায় ৩৫টি কক্ষ আছে। উত্তর পাশের তিনতলা ভবনটি রেবতী মোহন দাসের কোনো এক আত্মীয় নির্মাণ করেন বলে জানা যায়। এতেও ৫০ ফুট উঁচু প্রবেশ মুখ এবং প্রায় সমান সংখ্যক কক্ষ আছে।

দেশভাগের সময় জমিদারদের বংশধররা বাড়িটি ত্যাগ করে চলে যান। শত্রু সম্পত্তি হিসেবে যা সরকারের অধিকারে আসে। বর্তমানে ভবনটি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কোয়ার্টার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এলাকাবাসীও বর্তমানে ভবনটিকে ফায়ার সার্ভিসের কোয়ার্টার হিসেবেই চেনেন এবং জানেন।

দক্ষিণ পাশের ভবনটির পাশে তৈরি করা হয়েছে দ্বিতল একটি ব্যারাক। সেই সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি ছাউনি। এর বাইরে আরও একটি ছাউনি তৈরির পরিকল্পনাও আছে।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সূত্রাপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ফায়ার সার্ভিসের ৫২ জন কর্মচারী এখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন। এখানে তারা দীর্ঘদিন ধরেই আছেন। তারা এখানে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়েই বসবাস করছেন।'
নতুন ভবন নির্মাণের বিষয়ে তিনি বলেন, 'এ ভবনটি আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগেই নির্মিত হয়েছে। আমার জানা মতে, অনুমতি নিয়েই ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এটি আসলে প্রয়োজনেই নির্মিত হয়েছে।'
প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকায় ভবনটির নাম থাকলেও, সূত্রাপুর জমিদার বাড়িতে কোনো সাইনবোর্ড দেখা যায়নি। বরং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের বিনা অনুমতিতে সর্বসাধারণের প্রবেশাধিকার না থাকা সংক্রান্ত একটি সতর্কীকরণ নোটিশ আছে।

এ বিষয়ে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (ঢাকা) রাখি রায় দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ওই এলাকায় কোনো ফায়ার সার্ভিসের কার্যালয় ছিল না। আমরা মানবিক দিক বিবেচনা করে সূত্রাপুর জমিদার বাড়িতে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন করার অনুমতি দিয়েছিলাম। এ অনুমতি আমরা বিশেষজ্ঞ কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেই দিয়েছিলাম। সেই সঙ্গে জরুরি প্রয়োজনে কয়েকটি পরিবারকে থাকারও অনুমতি দিয়েছিলাম। এর বাইরে একটি ফায়ার সার্ভিস জাদুঘর করারও পরিকল্পনা আছে।

আমার দেখা মুর্শিদাবাদ - পর্ব :- ০৪ ভারত বর্ষের সবচেয়ে বড় ইমামবাড়া-পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্বর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক নির্দশন ইমামবা...
05/08/2022

আমার দেখা মুর্শিদাবাদ - পর্ব :- ০৪

ভারত বর্ষের সবচেয়ে বড় ইমামবাড়া-

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের স্বর্ববৃহৎ ঐতিহাসিক নির্দশন ইমামবাড়া। মুর্শিদাবাদ জেলার লালবাগ মহকুমার অন্তর্গত। এই নিদর্শনটির নির্মাতা নবাব নাজিম ফেরাদুন জাঁ।নিজামত ইমামবাড়া বা হাজারদুয়ারী ইমামবাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে হাজারদুয়ারি প্রাসাদের উত্তরে (সম্মুখে) অবস্থিত। ইমামবাড়াটি কেবল পশ্চিমবঙ্গেই না, সমগ্র ভারতে এটি সর্ববৃহৎ (২০৭ মিটার)। প্রাথমিক পর্যায়ে ন়বাব সিরাজউদ্দৌলা ইমামবাড়াটিকে কাঠ দ্বারা নির্মাণ করেছিলেন। কিন্তু ১৮৪৬ সালে এক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ইমামবাড়াটি সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। পরবর্তীতে ১৮৪৭ সালে হুমায়ুন জাঁ এর ছেলে নবাব নাজিম মনসুর আলী ফেরাদুন জাঁ প্রায় সাত লাখ রুপি ব্যায়ে দ্বিতল ইমামবারাটি পুনঃনির্মাণ করেন।

ইমামবাডা় প্রাসাদের মধ্যবর্তী স্থানে নির্মিত হয়েছে একটি ছোট আকৃতির দরগা বা মদিনা মসজিদ। দরগার বারান্দা রঙিন টাইলস দ্বারা অলংকৃত এবং এর মধ্যে রয়েছে হযরত মহম্মদ (সা.) এর মদিনার রওজা মোবারকের অনুরূপ একটি প্রতিকৃতি।

প্রতি বছর ইসলাম বর্ষের মহরম মাসের এক থেকে দশ তারিখ পর্যন্ত ইমামবাড়াটি দর্শণার্থীদের জন্য খুলে দেয়া হয়।বহু দুরদূরান্তের মুসলমান ভক্ত ও পার্শ্বর্তী হিন্দুরা ও মুসলমানদের শিয়া সম্প্রদায় এই মহরমপর্ব দেখতে আসেন ।

সে সময় দশদিন যাবৎ অন্ধ ,খঞ্জ, দরিদ্র নবাবের আমলে এই মহরম-এ ইমাবাড়াতে অবস্থান করতেন সকলকে পেট ভরে খাওয়া ছাড়াও কিছু কিছু অন্ন বস্ত্র লাভ করে নবাবের গুনগান জয়গান করতে করতে স্বস্থানে ফিরে যেতেন। এজন্য নবাবের খাজাঞ্চিখানা থেকে প্রচুর টাকার বরাদ্দ থাকত। মহরমের শেষ দিন, অর্থাৎ কারবালা প্রান্তরে হাসান হোসেনের নকল মৃতদেহ বহন কালে ওতে বহু মুল্যবান বস্ত্র ,রত্ন অলংঙ্কার সবাধারে আচ্ছাদিত করে ইমামবাড়া থেকে কারবালা পর্যন্ত তিন কিমি রাস্তা অতিক্রম করত।সবযাত্রার অংশগ্রহণকারী সকলেই নগ্নপদে ও কালো পোষাক পরে বুক চাপড়াতে চাপড়াতে ''হায় হোসেন হায় হোসেন" আর্তনাদ সহকারে মাতাম করতে করতে পৈাছাতো উক্ত কারবালাতে। বর্তমানে এই মহরম পালিত হলেও অর্থাভাবের দরুন জৌলুস প্রায় ৮০% কমে গিয়েছে।

আগামী পর্ব - ক্লল টাওয়ার

আমার দেখা মুর্শিদাবাদ - পর্ব :- ০৩ বাচ্চাওয়ালি তোপ চালাতে ভয় পেতেন সেরা সেরা যোদ্ধারা:-মুর্শিদাবাদ শহর। এই জায়গা থেকে শু...
04/08/2022

আমার দেখা মুর্শিদাবাদ - পর্ব :- ০৩

বাচ্চাওয়ালি তোপ চালাতে ভয় পেতেন সেরা সেরা যোদ্ধারা:-

মুর্শিদাবাদ শহর। এই জায়গা থেকে শুরু হয়েছিল স্বাধীন বাংলার নবাবি শাসন, আবার ইংরেজ লুঠেরাদের কাছে বাংলা এবং তারপর সমস্ত ভারতের দাসত্বও এই শহর থেকেই আরম্ভ হয়েছিল। নবাবদের শহর বলে কথা! এখানকার দেওয়ালে দেওয়ালে কান পাতলে শোনা যায় প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের সেই টানটান রোমাঞ্চের গল্প, এখানকার প্রত্যেকটা ঘাসে স্মৃতি হয়ে লুকিয়ে আছে দক্ষ প্রশাসক নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ-র দাপট, বর্গি আক্রমণের সময়ে নবার আলিবর্লি খাঁ-র দুরন্ত চতুরতা কিংবা পলাশির যুদ্ধের পর বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার হাহাকার। এই শহরের অলিতে গলিতে ইতিহাস যেন কথা বলে। তারই অমোঘ আকর্ষণে পর্যটকরা বারবার ছুটে যান মুর্শিদাবাদে – হাজারদুয়ারি প্রাসাদ, ইমামবাড়া, বাচ্চাওয়ালি তোপ, মতিঝিল পার্ক, জাহানকোষা কামান, জাফরাগঞ্জ প্রাসাদের মধ্যে নিজেদের নতুন করে আবিষ্কার করতে।

মুর্শিদাবাদের সবথেকে জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হাজারদুয়ারি প্রাসাদ। ভাগীরথী নদীর পুব দিকে তিন তলা বিশাল এক বাড়ি। এটা সিরাজ-উদ-দৌলার সময়ে তৈরি হওয়া একমাত্র স্থাপত্যের নিদর্শন। মদিনা মসজিদের পাশেই রাখা আছে একটা বিশাল কামান। বিখ্যাতও বটে এই কামানের নাম বাচ্চাওয়ালি তোপ। যিনি হাজারদুয়ারি তৈরি করিয়েছিলেন, সেই নবাব হুমায়ুন জা-র আমলে এই বিরাট কামান ভাগীরথী নদীর গর্ভ থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল। বাচ্চাওয়ালি তোপ কবেকার, তা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে বিতর্ক আছে। কিছু মানুষ মনে করেন, এই তোপ সম্ভবত ১৩-১৪ শতকের গৌড়ের কোনো সুলতানের আমলে বানানো হয়েছিল। কেউ বলেন, এটি ছিল বাংলার সুলতান ইলিয়াস শাহের কামান। তবে সব থেকে প্রচলিত মত হচ্ছে, ঢাকার বিশিষ্ট লোহার মিস্ত্রি জনার্দন কর্মকার এটা তৈরি করেছিলেন ১৬৪৭ সালে। এই জনার্দন কর্মকার আরেকটি বিখ্যাত কামান বানিয়েছিলেন, তার নাম জাহানকোষা।

বিশাল এই বাচ্চাওয়ালি কামান ১৮ ফুট লম্বা, ব্যাস ২২ ইঞ্চি আর প্রায় ৭৬৫৭ কিলোগ্রাম ভারী। এই কামান দাগার জন্য প্রয়োজন হত ১৮ সের মশলা বারুদ। তবে কামানটার নাম ‘বাচ্চাওয়ালি’ কীভাবে হল? এই নিয়ে একটা গল্প লোকমুখে প্রচলিত আছে। বলা হয়, এই কামান দাগা হয়েছিল মাত্র একবারই। কিন্তু সেই তোপ দাগার শব্দ এত তীব্র ছিল যে আশেপাশের বহু গর্ভবতী মহিলার গর্ভপাত ঘটে যায়। সেই কারণেই এর নাম দেওয়া হয় বাচ্চাওয়ালি তোপ। তারপর থেকে এই ভয়ংকর কামান আর ব্যবহার করা হয় না।

পরবর্তী পর্ব -ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ইমাম বাড়া ।

আমার দেখা মুর্শিদাবাদ,পর্ব :- ০১নবাবী ইতিহাসের কথা বলে হাজারদুয়ারি প্রাসাদ -মুর্শিদাবাদে দর্শনীয় স্থানগুলির তালিকায় মধ্য...
03/08/2022

আমার দেখা মুর্শিদাবাদ,পর্ব :- ০১

নবাবী ইতিহাসের কথা বলে হাজারদুয়ারি প্রাসাদ -

মুর্শিদাবাদে দর্শনীয় স্থানগুলির তালিকায় মধ্যে পর্যটকরা সবার আগে রাখেন হাজারদুয়ারি প্রাসাদকে। এই দুর্গপ্রাসাদ যেখানে অবস্থিত, সেই পুরো চত্বরটাকে বলে নিজামত কিলা বা কিলা নিজামত। হাজারদুয়ারি ছাড়াও ইমামবাড়া, ঘড়ি ঘর, মদিনা মসজিদ, চক মসজিদের মতো বেশ কিছু স্থাপত্য রয়েছে কিলা নিজামত এলাকায়। অনেকে মনে করেন, হাজারদুয়ারি প্রাসাদ নির্মাণ করিয়েছিলেন নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা। কিন্তু এটি একেবারেই ভুল ধারণা। সিরাজের প্রাসাদ ছিল হিরাঝিল। এখন তা ভাগীরথীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

নবাব নাজিম হুমায়ুন জা তৈরি করিয়েছিলেন হাজারদুয়ারি। ১৮২৯ সালে তিনি এই প্রাসাদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। গোটা স্থাপত্যের রূপকার ছিলেন ডানকান ম্যাকলিওড। দেখলেই বোঝা যায়, এই প্রাসাদের স্থাপত্যশৈলী ইউরোপীয় ঘরানার, বিশেষ করে ইতালীয় রীতির সৌধগুলোর সঙ্গে মিল প্রচুর। ১৮৩৭ সালে মুর্শিদাবাদের প্রধান আকর্ষণ হাজারদুয়ারির নির্মাণকার্য শেষ হয়।

৪১ একর জায়গা নিয়ে এই প্রাসাদ দাঁড়িয়ে আছে। ১ হাজারটা দরজা আছে বলে এর নাম হাজারদুয়ারি। অবশ্য দরজাগুলির মধ্যে ১০০টাই নকল। তবে চট করে দেখে নকল দরজাগুলোকে চিহ্নিত করা বেশ মুশকিল। দেওয়ালের মধ্যে এমনভাবে ডিজাইন করা, বাইরে থেকে দেখলে হুবহু আসল দরজা মনে হবে। দুর্গপ্রাসাদে যদি হঠাৎ করে শত্রুরা আক্রমণ করে বসে, তাদের বিভ্রান্ত করার জন্যই নকল দরজাগুলো বানানো হয়েছিল। সাধারণভাবে প্রাসাদটি হাজারদুয়ারি নামে প্রচলিত হলেও, হুমায়ুন জা একে ‘বড়ো কুঠি’ নামেই ডাকতেন।

এখন ভারতীয় পুরাতত্ত্ব সর্বেক্ষণের তত্ত্বাবধানে প্রাসাদটির মধ্যে জাদুঘর গড়ে উঠেছে। বাংলার নবাব, অভিজাত এবং ব্রিটিশদের ব্যবহৃত ও শৌখিন নানা জিনিস স্থান পেয়েছে এখানে। রয়েছে তখনকার আসবাব, বাসনপত্র, বিখ্যাত শিল্পীদের আঁকা ছবি, নবাবি আমলের বই, পুঁথিপত্র।

আইন-ই-আকবরির পাণ্ডুলিপি এবং সোনা দিয়ে মোড়া কোরান শরিফ। ২ হাজারেরও বেশি অস্ত্রের সম্ভার আছে। তার মধ্যে পলাশীর যুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র যেমন দেখা যায়, তেমনই দর্শকদের জন্য রাখা হয়েছে সেই ছুরি, যা দিয়ে মহম্মদি বেগ সিরাজকে হত্যা করেছিলেন। আলিবর্দি খাঁ এবং সিরাজ-উদ-দৌলার তলোয়ারও সেখানে দেখতে পাবেন। আরো যে কত কিছু রয়েছে, বলে শেষ করা যাবে না। গোটা জাদুঘরটি ঘুরে দেখতে বেশ কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে। শুক্রবার বাদে প্রতিদিনই সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য জাদুঘর খোলা থাকে।

পরবর্তী পর্ব :- মদিনা মসজিদ

29/07/2022

পদ্ম বিলে একদিন....

চমৎকার মন মাতানো একটা বিল ,দেখেই চোখ জুড়িয়ে যাবে এবং মন সতেজ হয়ে যাবে ...!!!!

28/07/2022

মেঘের মাঝে ছুটে চলা ..

থিম্পু থেকে পারো যাবার পথে চোখে পড়বে এমন মেঘে ঢাকা পথ ..!!

25/07/2022

শেষ বিকেলে চলন বিলের অপরুপ সৌন্দর্য ।

ট্রেন থেকে ধারন করা.. ..!!!

23/07/2022

মেঘে ঢাকা পথে ছুটে চলা,নতুন কোন গন্তব্যে ..

মেঘালয় চেরাপুঞ্জির পথে পথে ..

22/07/2022
22/07/2022

নীল আকাশের নীচে আমি রাস্তা চলেছি একা !

থানচী - আলীকদম সড়ক ...!!!

22/07/2022
22/07/2022

Address

Jatrabari
Dhaka

Telephone

+8801914623541

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Jewel's Travelogue posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Jewel's Travelogue:

Videos

Share

Category