ZamZam Travels & Tours Ltd.

ZamZam Travels & Tours Ltd. সেবা সমূহঃ
১। এয়ার টিকিটিং, ২। ভিসা প্রসেসিং, ৩। হজ্ব ও ওমরা হজ্ব প্যাকেজ, ৪৷ ফ্যামেলি ভিসা,

24/01/2023

Islamia Overseas Ltd.
✈️Hot Offer =>Dhaka to Kuala lumpur

🔥26JAN DAC KUL Flight time 11:25pm

Air Asia-Direct Flight *8 Sit available
Fare= *46,000/-* only

With Food
*Bottled Water ,
*Chicken & Cheese Sandwich,
*Checked baggage 30kg

Contact: 01753730076

30/11/2022

৪র্থ পৃষ্ঠাঃ
যেসব কারণে দোয়া কবুল হয় নাঃ
০১। হারাম জিনিস খেলে ৪০ দিন পর্যন্ত ইবাদত কবুল হয় নাঃ
হারাম ভক্ষণকারীর চল্লিশ দিন পর্যন্ত আমল কবুল হয় না অর্থ হল, তার আমলটি আল্লাহর দরবারে সওয়াবের অধিকারী হয় না। কিন্তু আদায় করার দ্বারা উক্ত ব্যক্তি দায়িত্বমুক্ত ঠিকই হয়ে যাবে। তাই পরবর্তীতে আর উক্ত আমলকে পুনরায় আদায় করা লাগবে না। হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এ আয়াত “হে মানব মণ্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষণ কর।” [সূরা বাকারা-১৬৮] আয়াতটি তিলাওয়াত করা হল। তখন সাদ বিন আবী ওয়াক্কাস রাঃ দাঁড়ালেন এবং বললেন: হে আল্লাহ রাসূল!আপনি আমার জন্য দুআ করুন যেন আল্লাহ আমাকে মুস্তাজাবুদ দাওয়া [দুআ করলে সাথে সাথে কবুল হয় এমন] বানিয়ে দেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হে সাদ! তুমি তোমার খাবারকে পবিত্র রাখো,[হালাল ভক্ষণ কর] তুমি মুস্তাজাবুত দাওয়া হয়ে যাবে। যে সত্তার হাতে মুহাম্মদ [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] এর প্রাণ তার কসম! নিশ্চয় কোন বান্দার পেটে যদি হারাম এক লোকমা খাবারও প্রবেশ করে, তাহলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার আমল কবুল হয় না। আর ব্যক্তির যে গোস্ত পিণ্ড হারাম সম্পদ বা সুদের টাকায় বৃদ্ধি হয়েছে, তার জন্য জাহান্নামই উত্তম। [আলমুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৪৯৫, আততারগীব ওয়াত তারহীব, হাদীস নং-২৬৬০]
সতর্কতা হিসেবে উক্ত হাদীস অনুপাতে সদা সজাগ থাকা উচিত। যেন কোনমতেই কারো পেটে হারাম খাদ্য প্রবেশ না করে।
আমলের দুই অবস্থা। যথা-
ক) আমলের দায়িত্বমুক্ত হওয়া। খ) আল্লাহর কাছে উক্ত আমল মকবুল হওয়া।
হারাম ভক্ষণকারীর চল্লিশ দিন পর্যন্ত আমল কবুল হয় না অর্থ হল, তার আমলটি আল্লাহর দরবারে সওয়াবের অধিকারী হয় না। কিন্তু আদায় করার দ্বারা উক্ত ব্যক্তি দায়িত্বমুক্ত ঠিকই হয়ে যাবে। তাই পরবর্তীতে আর উক্ত আমলকে পুনরায় আদায় করা লাগবে না।
০২। শিরকমুক্ত দোয়াঃ
শর্তহীনভাবে শুধু আল্লাহর কাছেই বলা, মানুষকে দেখানো বা শোনানোর উদ্দেশ্য না থাকা। আল্লাহ্ বলেন, ‘দ্বীনকে (ইসলামকে) আল্লাহর জন্য একনিষ্ঠ করে শুধু আল্লাহকেই ডাকো।’ [সূরা গাফির, আয়াত: ১৪]
০৩। হারাম থেকে বেঁচে না থাকাঃ দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে হারাম খাদ্য, বস্ত্র, পানীয় ইত্যাদি পরিহার করা। হারাম উপার্জনে নিজেকে সম্পৃক্ত করে যতই দোয়া করা হোক, তা আল্লাহর দরবারে গৃহীত হয় না।
খাবার, পানীয় ও পোশাক হালাল না হওয়াঃ
হারাম খাওয়া ও হারাম উপার্জনের কারণে মানুষের দোয়া কবুল হয় না। দোয়া কবুল হওয়ার জন্য অবশ্যই হালাল ভক্ষণ করতে হবে। হালাল উপায়ে উপার্জন করতে হবে। জেনে রাখা উচিত যে, সফরে দোয়া কবুল হয়, হাত উঠিয়ে দোয়া করলে কবুল হয় এবং নিজেকে হীনজ্ঞান করে আল্লাহকে কায়মনো বাক্যে ডাকলেও দোয়া কবুল হয়; কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়— এতগুলো শর্ত লোকটি পূরণ করার পরও তার দোয়া কবুল হচ্ছে না। আর তা কেবল হারাম খাবার, পানীয় ও পোশাকের জন্য। (ইবনু রজব হাম্বলি, জামিউল উলুম ওয়াল হিকাম)
০৪। আত্মীয়তার বন্ধন ছিন্ন করাঃ আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা একটি বড় ধরনের পাপ। এই পাপের শাস্তি দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জায়গাতেই ভোগ করতে হবে বলে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
০৫। নিরাশ না হওয়াঃ দোয়ার পর আল্লাহর প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস রাখতে হবে যে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করবেন। নেতিবাচক কোনো চিন্তা করা যাবে না। অন্যথায় এ দোয়া কবুল নাও হতে পারে। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না। (বুখারি, হাদিস : ৬৩৪০)
০৬। নিষ্ঠুরতা ও নির্দয়তাঃ
কঠোর, নির্মম, নির্দয় ও নিষ্ঠুরদের দোয়া আল্লাহর নিকট কবুল হয় না। এ প্রকৃতির মানুষ অহংকারী হয়ে থাকে। ইখলাসের সহিত আল্লাহকে ডাকে না। নির্দয় মানুষের মনকে আল্লাহ তা’আলা পাথর কিংবা তার চেয়েও শক্ত বলে ঘোষণা করেছেন।
০৭। গুনাহে লিপ্ত বা অবিচলত থাকাঃ
আল্লাহর নিকট বান্দা এমন কিছু চেয়ে দোয়া করে যে, যদি তাকে সেটা দেওয়া হয় তাহলে পরবর্তীতে সে উক্ত বস্তুর মাধ্যমে গোনাহে লিপ্ত হবে। এ কারণে আল্লাহ তা’আলা ফেরেস্তাদের বলেন: 'তার চাহিদা পূরণ করো না! কেননা সে গুনাহের দিকে অগ্রসর হবে।' এ কারণে আমার পক্ষ থেকে দোয়া গ্রহণ হতে বঞ্চিত করা হয়েছে। (বিহারুল আনওয়ার) দোয়া কবুল হওয়ার অন্যতম শর্ত হলো, গুনাহ ত্যাগ করে আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা। অতএব, দোয়া কবুল হওয়ার জন্য গুনাহ ত্যাগ করে মহান আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা উচিত। কারণ যারা নিজেকে বদলায় না, মহান আল্লাহও তাদের বদলান না।
০৮। সৎকাজে আদেশ ও অসৎকাজে না করাঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, ‘শপথ সেই সত্তার, যার হাতে আমার প্রাণ! তোমরা অবশ্যই ভালো কাজের আদেশ দিবে ও অন্যায় কাজ হতে বাধা প্রদান করবে। নতুবা, অচিরেই এর ফলে আল্লাহ্ তোমাদের উপর শাস্তি পাঠাবেন। এরপর তোমরা তার কাছে দোয়া করবে, কিন্তু তোমাদের দোয়া সাড়া দেওয়া হবে না।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২১৬৯)
০৯। অন্যের প্রতি অত্যাচার করাঃ
অন্যের হক নষ্ট করা এবং অন্যের প্রতি জুলুম-অত্যাচার করা, দোয়া কবুল না হওয়ার একটি অন্যতম কারণ। আল্লাহ বলেন- জালিমদের কোনো অভিভাবক ও সাহায্যকারী নেই। (আশশুরা:৮)
আমিরুল মোমেনিন হযরত আলী রাঃ বলেন: আল্লাহ তা’আলা হযরত ইসা (আঃ) প্রতি এমর্মে ওহি নাজিল করেন যে, হে ইসা! বনিইসরাইলকে বলেন, "যতক্ষণ পর্যন্ত তারা আমার কোনো একটি প্রাণীর প্রতিও জুলুম করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমিও তাদের কোনো দোয়া কবুল করব না!" (এদ্দাতুদ্ দায়ি)
১০। আল্লাহপ্রদত্ত দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়াঃ হুজাইফা ইবনুল ইয়ামান (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী (সা.) বলেছেন, সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিশ্চয়ই তোমরা সৎ কাজের জন্য আদেশ করবে এবং অন্যায় কাজের প্রতিরোধ করবে। তা না হলে আল্লাহ তাআলা শিগগির তোমাদের ওপর তাঁর শাস্তি অবতীর্ণ করবেন। তোমরা তখন তাঁর কাছে দোয়া করলেও তিনি তোমাদের সেই দোয়া গ্রহণ করবেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ২১৬৯)
১১। দোয়ায় ইখলাস (পূর্ণ বিশ্বাস )ও নিষ্ঠাহীনতাঃ
মহান আল্লাহর দরবারে ইখলাসের সঙ্গে দোয়া করতে হয়। পরিপূর্ণ ইখলাস না থাকলে সে দোয়া বিফলে যাওয়ার আশঙ্কা বেশি থাকে। রাসুল (সা.) বলেছেন, দোয়াও একটি ইবাদত। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৪৭৯) ইবাদত করতে হয় একমাত্র আল্লাহর জন্য। ইখলাসহীন ইবাদত মহান আল্লাহর কাছে মূল্যহীন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা দু’আ কবুলের দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করো।’ [সহিহ আল জামে’: ২৪৫, হাদিসটি হাসান]
দোয়ায় পূর্ণ মনোযোগ না থাকাঃ দোয়ার সময় পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে দোয়া করতে। আল্লাহ অবচেতন মনের দোয়া গ্রহণ করেন না।
রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা কবুল হওয়ার পূর্ণ আস্থা নিয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া কোরো। জেনে রেখো, আল্লাহ অমনোযোগী ও অসাড় মনের দোয়া কবুল করেন না। (তিরমিজি, হাদিস : ৩৪৭৯)
১২। দোয়া কবুলের জন্য তাড়াহুড়া করাঃ
অনেক সময় মানুষ দোয়ার ফলাফল পাওয়ার জন্য তাড়াহুড়া করে। দোয়া করার পর দ্রুত ফলাফল না পেলে হতাশ হয়ে পড়ে। এমনকি এ রকমও বলতে শুরু করে যে আল্লাহ আমার দোয়া কবুল করেন না। এতে আল্লাহ অসন্তুষ্ট হন। ফলে তার দোয়া বিফলে যাওয়াই স্বাভাবিক।
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে। যদি সে তাড়াহুড়া না করে এবং এ কথা না বলে যে আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না।’ (বুখারি, হাদিস : ৬৩৪০)
১৩। সালাতে তাড়াহুড়া করাঃ
সালাতে তাড়াহুড়া করা আল্লাহ অপছন্দ করেন। তাড়াহুড়া করে সালাত আদায় করলে দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভবনা কম।
১৪। দ্রুত ফল না পাওয়ায় দোয়া বন্ধ করে দেওয়াঃ
রাসূলুল্লাহ্ (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ আল্লাহকে ডাকলে, তার ডাকে সাড়া দেওয়া হবে, যতক্ষণ না সে অধৈর্য হয়ে বলে ওঠে— ‘আল্লাহকে তো ডাকলাম, কিন্তু কোনো সাড়া তো পাওয়া গেলো না।’ (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৬৩৪০)
১৫। অন্তরকে সজাগ রাখা ও উদাসীনতা পরিহার করাঃ
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘…কোনো বান্দা অমনোযোগী অন্তরে দোয়া করলে, আল্লাহ তার দোয়া কবুল করেন না।’ [সহিহ আত তারগিব: ২/১৩৩, হাদিসটি হাসান] আল্লাহ্ যেকোনো দোয়া কবুল করতে পারেন, (বৈধ) যেকোনো কিছু দিতে পারেন, এই বিশ্বাস রাখা।
১৬। মহান আল্লাহর প্রজ্ঞাঃ
তিনি দোয়া সাথে সাথে কবুল না করে প্রার্থিত বস্তুর চেয়েও অধিক দেওয়ার জন্য রেখে দেন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যখনই কোনো মুসলিম পাপ ও আত্মীয়তা সম্পর্ক নষ্ট করা ছাড়া অন্য যে কোনো বিষয়ে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে, তখনই আল্লাহ তার প্রার্থনা পূরণ করে তাকে তিনটি বিষয়ের একটি দান করেন: হয় তার প্রার্থিত বস্তুই তাকে দিয়ে দেন অথবা তার দোয়াকে তার আখিরাতের জন্য সঞ্চয় করে রাখেন কিংবা দোয়ার পরিমাণ অনুসারে তার অন্য কোনো (অনাগত) বিপদ তিনি দূর করে দেন।’ (তিরমিজি, হাদিস : ৫/৫৬৬; আহমাদ, হাদিস : ৩/১৮)
১৭। আল্লাহর গুণবাচক নামঃ
দোয়ার শুরুতে এবং দোয়ার শেষে আল্লাহ তায়ালার সুন্দর সুন্দর নাম এবং তার মহিমান্বিত গুণাবলীর দ্বারা আল্লাহকে ডাকার মাধ্যমে আল্লাহর নিকটবর্তী হতে চাওয়া।
১৮। সুন্নাহ সম্মত পদ্ধতিতে দোয়া করাঃ
দোয়া করার ক্ষেত্রে স্পষ্ট এবং সংক্ষিপ্ত অথচ দ্যোতক অর্থবহ শব্দ নির্বাচন করা উচিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দোয়া হল সর্বোত্তম দোয়া। তবে একজন ব্যক্তি তার চাহিদা অনুযায়ী তার নিজস্ব ভঙ্গিতে দোয়া করতে পারবে।
১৯। দোয়া কবুলে কল্যাণ না থাকাঃ
যেসব দোয়ায় বান্দার কল্যাণ থাকেনা সেসব দোয়া আল্লাহ তা’আলা কবুল করেন না। আল্লাহ তা’আলা তাঁর মনোনীত ও অমনোনীত উভয় বান্দাদের পার্থিব কল্যাণ দান করেন। কিন্তু আখেরাতের কল্যাণ শুধুমাত্র মনোনীত বান্দাদের দান করেন। মোমিন ব্যক্তি স্বীয় অজান্তে পার্থিব জীবনে এমন কিছু চেয়ে থাকেন যা তার জন্যে অকল্যাণকর। সুতরাং আল্লাহ তা’আলা তাকে তা দেন না। অপরপক্ষে পারলৌকিক জীবনের জন্যে যা চান তাই দেন। আর কাফেরদেরকে পার্থিব জীবনে যা চায় তা চাওয়ার পূর্বেই দিয়ে থাকেন, কিন্তু বেহেস্তে তাদেরকে কিছুই দেবেন না।
২০। একদিন ইব্রাহিম ইবনে আদহাম (মৃত্য:১৬২ হিজরী) (রাহিমাহুল্লাহ) বসরা শহরের একটি বাজারের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। লোকজন তার পাশে সমবেত হয়ে জিজ্ঞাস করল:
ইব্রাহিম আঃ! আল্লাহ সুবহানাহু তা’আলা কুরআনে বলেন: “আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দিব” কিন্তু আমরা অনেক প্রার্থনা করার পরও আমাদের দোয়া কবুল হচ্ছেনা। সে (ইব্রাহিম) বললেন, “ওহে বসরার অধিবাসী, দশটি ব্যাপারে তোমাদের অন্তর মরে গেছে"।
১ম: তোমরা আল্লাহ সম্পর্কে অবগত কিন্তু তার প্রদত্ত কর্তব্যসমূহ পালন কর না।
২য়: তোমরা কুরআন পড় কিন্তু সে অনুযায়ী আমল কর না।
৩য়: তোমরা দাবী কর যে রাসূলুল্লাহ -সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ভালবাস কিন্তু
তার সুন্নাহকে পরিত্যাগ কর।
৪র্থ: তোমরা নিজেদেরকে শয়তানের শত্রু হিসাবে দাবী কর কিন্তু তোমরা তার পদাংক
অনুসরন কর।
৫ম: তোমার জান্নাতে যেতে উদগ্রীব কিন্তু তার জন্য পরিশ্রম কর না।
৬ষ্ঠ: তোমরা জাহান্নামের ভয়ে আতঙ্কিত কিন্তু পাপের ম্যাধমে প্রতিনিয়ত তার নিকটবর্তী হচ্ছ।
৭ম: তোমরা স্বীকার কর মৃত্য অনিবার্য কিন্তু তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত কর না।
৮ম: তোমরা সর্বদা অন্যর দোষ বের করতে সচেষ্ট কিন্তু নিজের দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে উদাসীন।
৯ম: তোমারা আল্লাহ’র অনুগ্রহ উপভোগ কর কিন্তু তার জন্য শুকরিয়া আদায় কর না।
১০ম: তোমরা মৃতদেহ’র দাফন সম্পন্ন করার পর তার থেকে শিক্ষা গ্রহন কর না।

30/11/2022

৩য় পৃষ্ঠাঃ
ইস্তিগফার করার সময়, পরিস্থিতি ও মুহূর্তগুলো [কুরআন ও সহিহ হাদিস থেকেঃ
১। প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর—
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (ফরজ) নামাজের পর তিনবার ইস্তিগফার পড়তেন। [সহিহ মুসলিম: ৫৯১]
২। শেষ রাতে, ফজরের পূর্বে—
আল্লাহ্ সৌভাগ্যবান ব্যক্তিদের প্রশংসায় বলেন, ‘‘তারা রাতে সামান্য সময়ের জন্যই নিদ্রায় যেত এবং রাতের শেষ প্রহরে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করতো।[সূরা যারিয়াত, আয়াত: ১৭-১৮]
৩। কোনো বৈঠক শেষে বা কুরআন তিলাওয়াতের পর—
৪। নামাজে সালাম ফেরানোর পূর্বে—
৫। দুই সিজদার মাঝখানে—
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝখানে পড়তেন: রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি। [সহিহ মুসলিম: ৭৭২]
৬। শক্তিমত্তা বৃদ্ধিতে—[দেখুন: সূরা হুদ, আয়াত: ৫২]
৭। হতাশা ও কষ্টের মুহূর্তে—
হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।” [বায়হাকি: ৬৩৬, মুস্তাদরাক হাকিম: ৭৬৭৭; সহিহ]
৮। গুনাহ করে ফেললে—
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “ইবলিস তার রবকে বললো: আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমি আদম-সন্তানকে পথভ্রষ্ট করতেই থাকব, যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন: আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমিও তাদের ক্ষমা করতেই থাকব, যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইসতিগফার করবে।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদিসটি হাসান]
৯। সম্পদ অথবা সন্তান চাইতে—
‘‘(নূহ [আ.] বলেন) অতঃপর আমি বললাম: তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’ [সূরা নূহ, আয়াত: ১০–১২]
১০। যে কোনো নেককাজ শেষে—
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেক কাজ ছিলো মক্কা বিজয় এবং আল্লাহর দ্বীনকে পূর্ণতা দেওয়া। এই কাজের পর তাঁকে ইস্তিগফার পড়তে বলা হয়েছে। [পড়ুন: সূরা আন নাসর, আয়াত: ১-৪]
১১। অন্তর কঠিন হয়ে গেলে—
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার অন্তর (আল্লাহর স্মরণ হতে) বাধাপ্রাপ্ত হয়, (তাই) আমি দিনে শতবার ইসতিগফার করি।’’ [সহিহ মুসলিম: ২৭০২]
১২। বিপদ ও আজাবের সময়—
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারিমে বলেন, ‘‘আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব দিবেন না, যতক্ষণ আপনি (নবীজি) তাদের মাঝে অবস্থান করবেন এবং তারা ইসতিগফার করা অবস্থায়ও তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করবেন না।’’ [সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৩]
১৩। লাইলাতুল কদরে—
১৪। পিতা-মাতা ও সকল মুমিনের জন্য—
ইস্তিগফারের সীমাহীন মর্যাদা ও লাভসমূহ [কুরআন-সুন্নাহর দলিলের আলোকে]
১। আযাব-গযব থেকে সুরক্ষা:
আল্লাহ তা‘আলা কুরআনুল কারিমে বলেন, ‘‘আল্লাহ কখনই তাদের উপর আযাব দিবেন না, যতক্ষণ আপনি (নবীজি) তাদের মাঝে অবস্থান করবেন এবং তারা ইসতিগফার করা অবস্থায়ও তাদের উপর আযাব অবতীর্ণ করবেন না।[সূরা আনফাল, আয়াত: ৩৩]
আযাব আসার প্রতিবন্ধক ছিলেন নবীজি। তিনি চলে গেছেন। এখন বাকি আছে ইসতিগফার। সুতরাং এর গুরুত্ব কত বেশি তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
২। দুনিয়া ও আখিরাতে উপভোগ্য জীবনের নিশ্চয়তা:
আল্লাহ্ বলেন, ‘‘আর তোমরা নিজেদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর, তাঁর দিকে ফিরে আসো। তাহলে তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত (দুনিয়াতে) উৎকৃষ্ট জীবন উপভোগ করাবেন এবং অধিক আমলকারীকে (আখিরাতে) বেশী করে দেবেন। আর যদি তোমরা বিমুখ হয়ে থাকো, তবে আমি তোমাদের উপর এক মহা-দিবসের আযাবের আশঙ্কা করছি।’’ [সূরা হুদ, আয়াত: ০৩] [তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৪৩৬]
৩। ইসতিগফার করলে গুনাহ মাফ করা হয় এবং আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত হয়:
হাদিসে কুদসিতে আল্লাহ্ বলেন, ‘‘হে আমার বান্দারা! তোমরা দিনে-রাতে গুনাহ্ করছো; আমি আমি তোমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করব; অতএব, তোমরা আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনা (ইসতিগফার) করো।’’ [সহিহ মুসলিম]
‘‘যে গোনাহ করবে অথবা নিজের উপর জুলুম করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, দয়াময় পাবে।’’ [সূরা নিসা, আয়াত: ১১০]
৪। ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি বৃদ্ধি এবং উত্তম জীবনের নিয়ামত লাভ:
‘‘(নূহ আ. বলেন) অতঃপর আমি বললাম: তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দিবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্যে বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্যে নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’ [সূরা নূহ, আয়াত: ১০–১২]
৫। শয়তানকে পরাজিত করার শক্তিশালী এক হাতিয়ার হলো ইস্তিগফার:
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “ইবলিস তার রবকে বললো: আপনার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমি আদম-সন্তানকে পথভ্রষ্ট করতেই থাকব, যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন: আমার ইজ্জত ও বড়ত্বের কসম! আমিও তাদের ক্ষমা করতেই থাকব, যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইসতিগফার করবে।” [মুসনাদ আহমাদ, হাদিসটি হাসান]
৬। ইস্তিগফার অন্তরের সংকীর্ণতা দূর করে এবং শক্তিমত্তা বৃদ্ধি করে:
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘আমার অন্তর (আল্লাহর স্মরণ হতে) বাধাপ্রাপ্ত হয়, (তাই) আমি দিনে শতবার ইসতিগফার করি।’’ [সহিহ মুসলিম: ২৭০২]
[আরো দেখুন: সূরা হুদ, আয়াত: ৫২]
৭। জান্নাতের নিশ্চয়তা: সাইয়িদুল ইসতিগফার (ইসতিগফারের শ্রেষ্ঠ দু‘আ) দু‘আটি মুখস্থ করে নিতে হবে। হাদিসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এ দু‘আটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে, অতঃপর সেদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পড়বে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ [সহিহ বুখারি: ৬৩০৬]
৮। শেষ রাতের ইসতিগফারকারীদের ব্যাপারে আল্লাহ প্রশংসা করেন:
আল্লাহ্ তা‘আলা কুরআনুল কারিমে বলেন, ‘‘আর আল্লাহ্ তাঁর বান্দাদের প্রতি (সু)দৃষ্টি রাখেন, যারা বলে, ‘হে আমাদের রব! আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের মাফ করে দাও এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করো।’ ’’ [সূরা আ~ল ইমরান, আয়াত: ১৫-১৬]
তাঁদের প্রশংসায় আল্লাহ্ বলেন, ‘‘তারা সবরকারী, সত্যবাদী, অনুগত, (সৎপথে) ব্যায়কারী এবং শেষ রাতে ক্ষমা প্রার্থনাকারী।’’ [সূরা আ~ল ইমরান, আয়াত: ১৭]
৯। দুনিয়ার সংকীর্ণতা, কষ্ট ও দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় হলো ইসতিগফার:
হাদিসে এসেছে, “যে ব্যক্তি বেশি বেশি ইস্তিগফার করবে, আল্লাহ তার সব সংকট থেকে উত্তরণের পথ বের করে দেবেন, সব দুশ্চিন্তা মিটিয়ে দেবেন এবং অকল্পনীয় উৎস থেকে তার রিযিকের ব্যবস্থা করে দেবেন।” [বায়হাকি: ৬৩৬, মুস্তাদরাক হাকিম: ৭৬৭৭;সহিহ]
১০। নারীদের জাহান্নাম থেকে মুক্তির অন্যতম দুই উপায় হলো সাদাকাহ ও ইস্তিগফার: একদিন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (মহিলাদেরকে সম্বোধন করে) বললেন, ‘‘হে নারীরা! তোমরা সাদকাহ করতে থাক এবং অধিক মাত্রায় ইসতিগফার করো। কারণ আমি তোমাদেরকে জাহান্নামের অধিকাংশ অধিবাসীরূপে দেখলাম।...(হাদিসটি দীর্ঘ)’’ [সহিহ মুসলিম: ৭৯, ৮০]
গভীর রজনীতে যারা কিছু সময় রাত জেগে আল্লাহ তাআলার হামদ, ছানা ও তাসবিহ পড়ে দোয়া করেন। আল্লাহ তাআলা তাদের দোয়া কবুল করেন। হাদিসে বিশ্বনবি তাঁর উম্মতের জন্য হামদ, ছানা ও তাসবিহ পাঠের পর দোয়ার বিষয়ে তাগিদ দিয়েছেন। যা উল্লেখ করা হলো- হজরত উবাইদাহ ইবনে সামিত রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেছেন, যে ব্যক্তি রাত জেগে পাঠ করে-
কুরআনের কিছু সূরা ও আয়াতের ফযীলতঃ
১। সূরা ফাতিহা: সূরা ফাতিহা কে আল্লাহ তাআলা তার ও বান্দার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন । বান্দা যখন নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠ করে প্রতিটি আয়াতের জবাব আল্লাহ তাআলা দেন । মুসলিম হা/৯০৪, মিশকাত হা/৮২৩ } (সব রোগের ওষুধ)
২। 'আয়াতুল কুরসী'
কুরআনের সবচেয়ে বড় মর্যাদাপূর্ণ আয়াত 'আয়াতুল কুরসী' । যে ব্যক্তি ঘুমানোর সময় ইহা পাঠ করবে তার জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে একজন রক্ষক নিযুক্ত করা হবে এবং সকাল পর্যন্ত তার কাছে শয়তান আসতে পারবে না বুখারী হা/২৩১১ এর পরবর্তী বাব যে ব্যক্তি প্রতি ফরয নামায শেষে আয়াতুল কুরসী পড়ে, তার জান্নাতে প্রবেশ করতে মৃত্যু ছাড়া কোন কিছু বাধা হবে না। (সহীহ আল্ জামে :৬৪৬৪)
৩। সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক্ব, সুরা নাস
সকাল-সন্ধ্যায় ‘ক্বুল হুওয়াল্লাহু আহাদ’ (সুরা ইখলাস) এবং ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবল ফালাক্ব’ (সুরা ফালাক্ব) ও ‘ক্বুল আঊযু বিরাবিবন্নাস’ (সুরা নাস) তিনবার করে পড়লে যেকোন(ক্ষতিকর) জিনিস থেকে নিরাপত্তার জন্য এটা যথেষ্ট হবে। তিরমিযী ৩৫৭৫, আবূ দাউদ ৫০৮২, নাসায়ী ৫৪২৮, ৫৪২৯, হাসান সহীহ বলেছেন। ইমাম তিরমিযী, শায়খ আলবানী। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দিন, আমীন ।
৪। মুক্তি সোপান: (সূরা ইখলাস, ফালাক, নাস)
আবদুল্লাহ ইবন খুবায়ব তার পিতা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এক বর্ষণমুখর রাতে গভীর অন্ধকারে আমাদের জন্য দোয়া করার উদ্দেশ্যে আমারা রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে তালাশ করতে বের হলাম। এক স্থানে গিয়ে আমি তাঁকে পেলাম। তখন তিনি বললেন, বলো। আমি কিছুই বললাম না। তিনি আবার বললেন, বলো। আমি কিছুই বললাম না। পুনরায় আমাকে বললেন, বলো। আমি জিজ্ঞেস করলাম, কি বলব? তিনি বললেন, ‘সকাল-সন্ধ্যায় কুল হুয়াল্লাহু আহাদ (সূরা ইখলাস) এবং মুআও’ওয়াযাতাইন (সূরা ফালাক, নাস) তিন বার পাঠ করবে; তবে তা সব কিছুর ক্ষেত্রে তোমার জন্য যথেষ্ট হবে।’ (তিরমিযী, হাদিস:৩৫৭৫; সনদ: হাসান)।
৫। সূরা ইখলাস
সূরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমতুল্য । 'কুল হুওয়াল্লাহু আহাদ' এর প্রতি ভালবাসা পাঠক কে জান্নাতে প্রবেশ করাবে । { মুসলিম হা/৮১২ , তিরমিযী হা/২৯০১
৬। সূরা কাফিরূন
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) এবং আনাস ইবনে মালিক (রা) বলেন, এটি কুরআনের চার ভাগের এক ভাগের সমান। (তিরমিযী)
৭। সূরা নসর
আনাস (রা) বলেন, এটি কুরআনের চার ভাগের এক ভাগ। (তিরমিযী)
৮। সূরা ওয়াকিয়া: (ধনাঢ্যতা লাভের উপায়)
‘যে ব্যক্তি সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করে, শেখে, তার নাম গাফেলদের তালিকায় লেখা হবে না, সে এবং তার পরিবার দরিদ্রতায় জর্জরিত হবে না।(সিলসিলা আহাদিস দ্বয়িফাহ (২৯১)।
যে কেউ প্রতি রাতে সূরা ওয়াকিয়া পাঠ করবেন, তিনি অভাবগ্রস্থ হবেন না।
৯। সূরা তাকাছুরঃ
আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা) জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা কি একদিনে এক হাজার আয়াত তিলাওয়াত করতে পার না? অতঃপর বললেন, তোমাদের কেউ কি সূরা তাকাছুর পড়তে পার না? (বায়হাকী)
১০। সূরা যিলযাল
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও আনাস ইবনে মালিক (রা) বলেন, এটি অর্ধেক কুরআনে সমান। (তিরমিযী)
১১। সূরা কাহাফ এবং সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত (দাজ্জালের ফিতনা থেকে মুক্তি)
যে সূরা কাহাফের প্রথম ১০ আয়াত মুখস্ত করে সে দাজ্জালের ফিৎনা হতে নিরাপদ থাকবে। শেষ ১০ আয়াতের ব্যাপারেও উল্লিখিত ফজিলতের বর্ণনা রয়েছে।(মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসাঈ ও মুসনাদে আহমদ)যে ব্যক্তি জুম’আর দিনে সূরা আল-কাহাফ পাঠ করবে, তার জন্য মহান আল্লাহ্ দুই জুম’আর মাঝে নূর আলোকিত করবেন।[ইমাম নাসাঈ ও বায়হাকী]
১২। সূরা মুলক: (ক্ষমা লাভের সূরা)
নবীজি (সা.) বলেন, কোরআনে কারিমের একটি সুরা। এটি ঊনত্রিশ নম্বর পারার প্রথম ও কোরআনের সাতষট্টি নম্বর সুরা। এ সুরা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিভিন্ন হাদিসে এসেছে, সুরা মুলক তেলাওয়াতকারীর জন্য আল্লাহর কাছে সুপারিশ করবে এবং তাকে জান্নাতে নিয়ে যাবে।
আবু হুরায়রা (রা) বলেন, এই সূরার ৩০টি আয়াত একজন মানুষের জন্য তার গুনাহ মাফ না হওয়া পর্যন্ত তার জন্য মধ্যস্থতাকারীর কাজ করে। (আহমাদ, তিরমিযী, আবু দাউদ)
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) বলেন, রাসূল (সা) বলেছেন, আমি এটা পছন্দ করি যে, প্রত্যেক বিশ্বাসীর অন্তরে এ সূরা স্থান পাক (হাকিম)।
১৩। সূরা হাশর: (জান্নাত লাভের মাধ্যমঃ শেষ ৩ আয়াতের বিশেষ কোন ফজিলত নেই।
‘যে ব্যক্তি দিনে অথবা রাতে সূরা হাশরের শেষ আয়াত পড়বে, সে যদি সেদিন অথবা সে রাতে মৃত্যুবরণ করে, তার জন্য জান্নাত আবশ্যক। (যইফ), আল-জামি আস-সাগীর: ৫৭৭০)।
১৪। সূরা ইয়াসীন (৪৮)
হযরত আনাস (রা) বলেন, প্রত্যেক জিনিসের একটি হৃৎপিন্ড আছে এবং কুরআনের হৃৎপিন্ড হচ্ছে সূরা ইয়াসীন। যে কেউ এটি পাঠ করলে আল্লাহ তার জন্য দশটি কুরআন খতম লিখবেন। (তিরমিযী) মাকিল ইবনে ইয়ামার (রা) বলেন, যিনি সূরা ইয়াসীন পড়েন এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করেন, আল্লাহ তার অতীতের গুনাহ মাফ করে দেন। সুতরাং তোমরা মৃত্যুকালীন সময়েও এটি পাঠ কর। (বায়হাকী)
১৫। সূরা বাকারা: (জিন শয়তানের অনিষ্ঠ থেকে রক্ষার হাতিয়ার)
নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের ঘরসমূহকে কবর সদৃশ করে রেখো না (অর্থাৎ নফল সালাতসমূহ বাড়িতে আদায় করবে)। কারণ, যে ঘরে সূরা বাকারা পাঠ করা হয় শয়তান সে ঘর থেকে পালিয়ে যায়।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস:১৭০৯)।
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেন, ‘কেউ যদি রাতে সূরা বাকারার শেষ দু’টি আয়াত পাঠ করে, সেটাই তার জন্য যথেষ্ট।’ (বুখাররি, হাদিস: ৫০০৯)।
সূরা বাকারার শেষ ২ টি আয়াত
যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ ২ টি আয়াত পাঠ করবে , তার জন্য সে দুটি যথেষ্ট হবে । সে রাতে অপ্রীতিকর জিনিসের মোকাবেলায় যথেষ্ট হবে বা তাহাজ্জুদের ছালাত থেকে যথেষ্ট হবে । {রিয়াযুস স্বলেহীন হা/১০২৪ , বুখারী হা/৪০০৮ }
১৬। সূরা আর-রাহমান (৫৫)
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, প্রত্যেক জিনিসেরই একটি অলংকার থাকে এবং কুরআনের অলংকার হচ্ছে সূরা আর-রহমান। (বায়হাকী)
১৭। সূরা আল ইমরান: (কেয়ামতের দিন মেঘ খণ্ড হয়ে আসবে)
নাওওয়াস ইবনু সাম’আন (রাযি.) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, আমি নবী (সা.)-কে বলতে শুনেছি কেয়ামতের দিন কোরআন ও কোরআন অনুযায়ী যারা আমল করত তাদেরকে আনা হবে। সূরা বাকারা এবং সূরা আলে ইমরান অগ্রভাগে থাকবে। রাসূলুল্লাহ সূরা দু’টি সম্পর্কে তিনটি উদাহরণ দিয়েছিলেন যা আমি কখনো ভুলিনি। তিনি বলেছিলেন, এ সূরা দু’টি দু’ খণ্ড ছায়াদানকারী মেঘের আকারে অথবা দু’টি কালো চাদরের মতো ছায়াদানকারী হিসেবে আসবে, যার মধ্যখানে আলোর ঝলকানি অথবা সারিবদ্ধ দু’ ঝাঁক পাখীর আকারে আসবে এবং পাঠকারীদের পক্ষ নিয়ে যুক্তি দিতে থাকবে। (মুসলিম, হাদিস:১৭৬১)।
১৮। যে সূরাগুলো নবীজিকে (সা.) সবচেয়ে ভয় পাইয়ে দিয়েছিল:
রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘সূরা হুদ, ওয়াকিয়া, মুরসালাত, নাবা এবং সূরা তাকভীর আমাকে বৃদ্ধ বানিয়ে দিয়েছে।’ (তিরমিযী, হাদিস:৩২৯৭; সহিহ)।
১৯। সূরা বনী ইসরাইল এবং সূরা যুমার: (নবীজির (সা.) রাতের আমল)
হজরত আয়েশা (রাযি.) বলেন, ‘নবীজি (সা.) সূরা যুমার এবং সূরা বনী ইসরাইল না পড়ে ঘুমাতেন না।’ (তিরমিযী, সিলসিলাহ সাহিহা, হাদিস: ৬৪১, আলবানী)।
২০। সূরা আল-আনআম (৪৮)
জাবির (রা) বলেন, এত অসংখ্য ফেরেশতা এ সূরা নাযিলের সময় অবতীর্ণ হন যে, তাদের দ্বারা আকাশের দিগন্ত ঢেকে যায়। (হাকিম)
২১। সূরা আল-ফাতহ (৪৮)
হযরত উমর (রা) বলেন, পৃথিবীতে যে কোন জিনিসের চাইতে আমি একে ভালোবাসি (বুখারী)।
২২। সূরা যিলযাল
আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা) ও আনাস ইবনে মালিক (রা) বলেন, এটি অর্ধেক কুরআনে সমান। (তিরমিযী)
২৩। সূরা আল-আলা (৮৭)
হযরত আলী (রা) বলেন, তিনি এ সূরাটি ভালবাসেন। (আহমদ)
----------------------
১। সূরা হাশর: (জান্নাত লাভের মাধ্যমঃ শেষ ৩ আয়াতের বিশেষ কোন ফজিলত নেই।
‘যে ব্যক্তি দিনে অথবা রাতে সূরা হাশরের শেষ আয়াত পড়বে, সে যদি সেদিন অথবা সে রাতে মৃত্যুবরণ করে, তার জন্য জান্নাত আবশ্যক।’ (যইফ), যইফ আল-জামি আস-সাগীর: ৫৭৭০)।
هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ عَالِمُ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ هُوَ الرَّحْمَنُ الرَّحِيمُ (22) هُوَ اللَّهُ الَّذِي لَا إِلَهَ إِلَّا هُوَ الْمَلِكُ الْقُدُّوسُ السَّلَامُ الْمُؤْمِنُ الْمُهَيْمِنُ الْعَزِيزُ الْجَبَّارُ الْمُتَكَبِّرُ سُبْحَانَ اللَّهِ عَمَّا يُشْرِكُونَ (23) هُوَ اللَّهُ الْخَالِقُ الْبَارِئُ الْمُصَوِّرُ لَهُ الْأَسْمَاءُ الْحُسْنَى يُسَبِّحُ لَهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ [الحشر:22-24]
উচ্চারণ : হুআল্লা হুল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়া, আলিমুল গাইবী ওয়াশ শাহাদাতি, হুয়ার রহমানুর রহিম। হুআল্লা হুল্লাজি লা-ইলাহা ইল্লা হুয়াল মালিকুল কুদ্দুসুস সালামুল মু’মিনুল মুহাইমিনুল আজিজুল জাব্বারুল মুতাকাব্বির। ছুবহানাল্লোহি আম্মা ইয়ূশরিকুন। হুআল্লাহুল খলিকুল বা-রিউল মুছাওওয়িরু লাহুল আসমাউল হুসনা। ইউছাব্বিহু লাহু মা ফিস-সামাওয়াতি ওয়াল আরদ্ব; ওয়া হুয়াল আজিজুল হাকিম।
২। সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত।
রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করলে তাহাজ্জুদ নামাযের সমান সওয়াব পাওয়ার আশা করা যেতে পারে।রাসুলুলাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যে ব্যক্তি রাতের বেলা সুরা বাক্বারার শেষ দুই আয়াত পড়বে সেটা তার জন্য যথেষ্ঠ হবে। বুখারি ৫০১০, মুসলিম ৮০৭। হজরত আবু মাসউদ (রাঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, “যে সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত রাতে পাঠ করবে, তার জন্য এ দুটি আয়াত যথেষ্ট হবে; অর্থাৎ সারারাত সে জিন ও মানুষের অনিষ্ট থেকে নিরাপদ থাকবে এবং প্রতিটি অপ্রিয় বিষয় থেকে তাকে হেফাজত করা হবে। সহীহ বুখারি ও সহীহ মুসলিম।
আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম।
آمَنَ الرَّسُولُ بِمَا أُنْزِلَ إِلَيْهِ مِنْ رَبِّهِ وَالْمُؤْمِنُونَ كُلٌّ آمَنَ بِاللَّهِ وَمَلَائِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ لَا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ وَقَالُوا سَمِعْنَا وَأَطَعْنَا غُفْرَانَكَ رَبَّنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
لَا يُكَلِّفُ اللَّهُ نَفْسًا إِلَّا وُسْعَهَا لَهَا مَا كَسَبَتْ وَعَلَيْهَا مَا اكْتَسَبَتْ رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا رَبَّنَا وَلَا تَحْمِلْ عَلَيْنَا إِصْرًا كَمَا حَمَلْتَهُ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِنَا رَبَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا أَنْتَ مَوْلَانَا فَانْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
উচ্চারণঃ
২৮৫. আমানুর-রাসুলু বিমা উংজিলা ইলাইহি মির রাব্বিহি ওয়াল মু’মিনুন। কুল্লুন আমানা বিল্লাহি ওয়া মালা-ইকাতিহি ওয়া কুতুবিহি ওয়া রুসুলিহি, লা নুফার-রিকু বাইনা আহা’দিম-মির রুসুলিহি। ওয়া ক্বালু সামি’না, ওয়া আত্বা’না, গুফরা নাকা, রাব্বানা ওয়া ইলাইকাল মাসির।
২৮৬. লা ইউ কাল্লিফুল্লাহু নাফসান ইল্লা উস-আ’হা। লাহা মা কাসাবাত ওয়া আ’লাইহা মাক তাসাবাত। রব্বানা লা-তু আখজিনা-ইন্না সিনা- আও আখত্বা’না। রাব্বানা ওয়ালা তাহ’মিল আ’লাইনা ইসরান কামা হা’মালতাহু আ’লাল্লাজিনা মিন ক্বাবলিনা। রব্বানা ওয়ালা তুহা’ম্মিলনা মা-লা ত্বাকাতালানা বিহ। ওয়াআ’ফু আ’ন্না, ওয়াগ ফিরলানা, ওয়ার হা’মনা। আংতা মাওলানা, ফানছুরনা আ’লাল ক্বাওমিল কাফিরিন। (আমিন)।
অর্থঃ
২৮৫. রসূল বিশ্বাস রাখেন ঐ সমস্ত বিষয় সম্পর্কে যা তাঁর পালনকর্তার পক্ষ থেকে তাঁর কাছে অবতীর্ণ হয়েছে এবং মুসলমানরাও সবাই বিশ্বাস রাখে আল্লাহর প্রতি, তাঁর ফেরেশতাদের প্রতি, তাঁর গ্রন্থসমুহের প্রতি এবং তাঁর পয়গম্বরগণের প্রতি। তারা বলে আমরা তাঁর পয়গম্বরদের মধ্যে কোন তারতম্য করিনা। তারা বলে, আমরা শুনেছি এবং কবুল করেছি। আমরা তোমার ক্ষমা চাই, হে আমাদের পালনকর্তা। তোমারই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে।
২৮৬. আল্লাহ কাউকে তার সাধ্যাতীত কোন কাজের ভার দেন না, সে তাই পায় যা সে উপার্জন করে এবং তাই তার উপর বর্তায় যা সে করে। হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না। হে আমাদের পালনকর্তা! এবং আমাদের উপর এমন দায়িত্ব অর্পণ করো না, যেমন আমাদের পূর্ববর্তীদের উপর অর্পণ করেছ, হে আমাদের প্রভূ! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।
অনেক মানুষ এমন রয়েছে যাদের দোয়া আল্লাহতায়ালা কবুল করেন না। দোয়া কবুল না পাঁচ কারণ নিম্নে দেওয়া হলো-

30/11/2022

২য় পৃষ্ঠাঃ
দোয়াঃ
০১। দুনিয়া আখিরাতের কল্যানের জন্য দোয়া-
رَبَّنَا آتِنَا فِي الدُّنْيَا حَسَنَةً وَفِي الآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
“রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাহ ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাহ ওয়া কিনা আজাবান্নার”
অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! আমাদেরকে ইহকালে কল্যাণ দান কর এবং পরকালেও কল্যাণ দান কর। আর আমাদেরকে আগুনের-যন্ত্রণা থেকে রক্ষা কর।’(সুরা বাকারা- আয়াত ২০১) কাতাদা (রাঃ) আনাস (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন কোন দোয়া রাসুল (সাঃ) বেশি পড়তেন তখন আনাস (রাঃ) উপরে দোয়াটির কথা বলেছিলেন (মুসলিম)
০২। رَبَّنَا ظَلَمْنَا أَنفُسَنَا وَإِن لَّمْ تَغْفِرْ لَنَا وَتَرْحَمْنَا لَنَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ
রব্বানা- যলামনা- আনফুসানা- ওয়া ইল্লাম তাগফিরলানা- ওয়া তারহামনা- লানা কু-নান্না মিনাল খসিরী-ন
হে আমাদের পালনকর্তা আমরা নিজেদের প্রতি জুলম করেছি। যদি আপনি আমাদেরকে ক্ষমা না করেন এবং আমাদের প্রতি অনুগ্রহ না করেন, তবে আমরা অবশ্যই অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যাব। (সুরা আরাফঃ ২৩)
০৩। رَبَّنَا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَكَفِّرْ عَنَّا سَيِّئَاتِنَا وَتَوَفَّنَا مَعَ الْأَبْرَارِ
[রব্বানা ফাগফিরলানা যুনুবানা ওয়া কাফফির ‘আন্না সাইয়্যিআতিনা ওয়া তাওয়াফফানা মা’আল আবরার]
হে আমাদের পালনকর্তা! অতঃপর আমাদের সকল গোনাহ মাফ কর এবং আমাদের সকল দোষত্রুটি দুর করে দাও, আর আমাদের মৃত্যু দাও নেক লোকদের সাথে।
(সুরা আলে ইমরানঃ ১৯৩)
০৪। জীবিত বা মৃত পিতামাতার জন্য দোয়া
رَّبِّ ارْحَمْهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرًا
উচ্চারণঃ রব্বীর হাম্হুমা-কামা-রব্বাইয়া-নী সগী-রা-
অর্থ :হে আমার রব, তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন (সূরা আল-ইসরা- আয়াত ২৪)
০৫। رَبِّ هَبْ لِي مِنَ الصَّالِحِينَ
উচ্চারণ : রব্বি হাবলি মিনাস সলিহি-ন।’
০৬। رَ‌بَّنَا وَلَا تُحَمِّلْنَا مَا لَا طَاقَةَ لَنَا بِهِ وَاعْفُ عَنَّا وَاغْفِرْ‌ لَنَا وَارْ‌حَمْنَا أَنتَ مَوْلَانَا فَانصُرْ‌نَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِ‌ينَ
রব্বানা ওয়া লা~ তু হাম্মিলনা মা লা~ ত্ব কতালানা- বিহ, ওয়া ‘আফু আন্না, ওয়াগফিরলানা, ওয়ানসুরনা ‘আলাল কওমিল কা-ফিরী-ন]
হে আমাদের রব! এবং আমাদের দ্বারা ঐ বোঝা বহন করিও না, যা বহন করার শক্তি আমাদের নাই। আমাদের পাপ মোচন কর। আমাদেরকে ক্ষমা কর এবং আমাদের প্রতি দয়া কর। তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর।(সুরা বাকারাঃ ২৮৬)
০৭। বিপদ থেকে মুক্তির জন্য দুয়া (ইউনুস আঃ-এর দুয়া) :
لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লা আন্তা সুবহা-নাকা, ইন্নী কুন্তু মিনায্ যা-লিমীন।
অর্থ: ‘(হে আল্লাহ) তুমি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই; তুমি নির্দোষ মহাপবিত্র, নিশ্চয়ই আমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছি’ (আম্বিয়া ৮৭)।
০৮। জ্ঞান, ইলম ও স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য দো‘আ :
رَبِّ زِدْنِي عِلْمًا. উচ্চারণ: রব্বি ঝিদনী ‘ইলমা.
অর্থ: ‘হে প্রভু! আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করে দাও’ (সুরা ত্বা-হা ১১৪)।
০৯। اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِىْ الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ-
আল্লা-হুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনী মিনান্ না-র (৩ বার)।
অর্থ : হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও! তিরমিযী, নাসাঈ, 📚মিশকাত হা/২৪৭৮ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আশ্রয় প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৮।]
১০। জাহান্নাম থেকে আশ্রয় এবং জান্নাত চাওয়ার দোআ
اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْجَنَّةَ وَأَعُوْذُ بِكَ مِنَ النَّارِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল জান্নাতা ওয়া আ’উযুবিকা মিনান্নার।
হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই
১১। দুই সিজদার মাঝে বৈঠকের দোয়াতে আপনার সব চাওয়া রয়েছে-
اَللّهُمَّ اغْفِرْلِيْ وَارْحَمْنِيْ (وَاجْبُرْنِيْ وَارْفَعْنِيْ) وَاهْدِنِيْ وَعَافِنِيْ وَارْزُقْنِيْ।
উচ্চারণ:- আল্লা-হুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়াররফা’নী ওয়াহহ্দিনী ওয়া আ-ফিনী ওয়ারযুক্বনী।
অর্থ- হে আল্লাহ! আমাকে ক্ষমা কর, দয়া কর, আমার প্রয়োজন মিটাও, আমাকে উঁচু কর, পথ দেখাও, নিরাপত্তা দাও এবং জীবিকা দান কর। (আবূদাঊদ-৮৫০, তিরমিযী-২৮৪, ইবনে মাজাহ্-৮৯৮,হাকেম, মুস্তাদরাক)
ক্ষমা, দয়া, সমস্ত প্রয়োজন মিটানো, নিচুতা দূর করে উচু করা, সঠিক পথে পরিচালনা করা, নিরাপত্তা দেওয়া, জীবিকা দেওয়া
১২। আনাস (রাঃ) বলেন, নবি সা: বলতেন-
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল- (বুখারী, ৭/১৫৮, নং ২৮৯৩)।
হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।
১৩। اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল হাম্মে ওয়াল হাযানে ওয়াল ‘আজঝে ওয়াল কাসালে ওয়াল জুবনে ওয়াল বুখলে ওয়া যালা‘ইদ দায়নে ওয়া গালাবাতির রিজা-লে।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ-বেদনা হ’তে, অক্ষমতা ও অলসতা হ’তে, ভীরুতা ও কৃপণতা হ’তে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের যবরদস্তি হ’তে’।[ মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, 📚মিশকাত হা/২৪৫৮(সহিহ) ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘আশ্রয় প্রার্থনা’ অনুচ্ছেদ-৮।]
১৪। اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ الْبُخْلِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিনাল জুব্নে ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিনাল বুখ্লে ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন আরযালিল ‘উমুরে; ওয়া আ‘ঊযুবিকা মিন্ ফিৎনাতিদ দুন্ইয়া ওয়া ‘আযা-বিল ক্বাবরে।
অর্থঃ ‘হে আল্লাহ! (১) আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ভীরুতা হ’তে (২) আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা হ’তে (৩) আশ্রয় প্রার্থনা করছি নিকৃষ্টতম বয়স হ’তে এবং (৪) আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফিৎনা হ’তে ও (৫) কবরের আযাব হ’তে’।[বুখারী, মিশকাত হা/৯৬৪। সহিহ ]
১৫। اللهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، وَعَذَابِ الْقَبْرِ
আল্লাহুম্মা! ইন্নি আউযুবিকা মিনাল কুফরি ওয়াল ফাকরি ওয়া আউযুবিকা মিন আযাবিল কবরি, লা-ইলাহা ইল্লা আনতা।
প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তিনবার পাঠ করা:
হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি, কুফরি ও দারিদ্র্য থেকে এবং আশ্রয় প্রার্থনা করছি, কবরের আজাব থেকে। তুমি ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোনো ইলাহ নেই। (নাসাঈ: ১৩৪৭)
১৬। اَللَّهُمَّ اكْفِنِىْ بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَأَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বিহালালিকা ওয়া হারামিকা ওয়া আয়িন্নি বিফাজলিকা আম্মান সেওয়াকা।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করুন! রাসূল (সা:) বলেন, এই দো‘আর ফলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন’।[ তিরমিযী, বায়হাক্বী (দা‘ওয়াতুল কাবীর), 📚মিশকাত হা/২৪৪৯, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৭ ; ছহীহাহ হা/২৬৬।
১৭। মহামারী, মারাত্মক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তির দোয়াঃ
اَللَّھُمَّ اِنِّیْ اَعُوْذُبِکَ مِنَ الْبَرَصِ وَالْجُنُوْنِ وَالْجُذَامِ وَسَیِّءِ الْاَسْقَامِ
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল বারসি ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি, ওয়া মিন সায়্যিইল আসকম।
অর্থঃ হে আল্লাহ্! আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি পাগলামী, কুষ্ঠ রোগ, শ্বেতরোগ এবং অতি মন্দ রোগ ব্যাধি হতে।(সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৫৪৯৩)
১৮। দ্বীনের উপর অটল থাকার দুয়া:
اللَّهُمَّ يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِيْ عَلَى دِيْنِكَ
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মা ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব, ছাব্বিত ক্বলবী আ’লা দ্বীনিক
অর্থ:- হে আল্লাহ! হে হৃদয়ের পরিবর্তন কারী! আপনি আমার হৃদয়-কে আপনার দ্বীনের উপর প্রতিষ্ঠিত রাখুন।
১৯। সুন্দর মৃত্যু লাভের দুয়া:
اَللَّهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ حُسْنَ الْخَاتِمَةِ.
উচ্চারনঃ আল্লহুম্মা ইন্নি আসআলুকা হুসনাল খ-তিমাহ
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে উত্তম মৃত্যু চাই।
২০। হিসাব সহজের দুয়াঃ
اللهُمَّ حَاسِبْنِىْ حِسَابًا يَسِيْرًا
(আল্লাহুম্মা হা-সিবনি হিসাবাই ইয়াসী-রা)
হে আল্লাহ! আমার নিকট হতে সহজ হিসাব নিও
২১। প্রত্যেক ফরয সালাতের পর এই দোয়াটি পড়ার জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মুয়ায (রাঃ) কে অসিয়ত করেন
اَللَّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلَي ذِكْرِكَ وَ شُكْرِكَ وَ حُسْنِ عِبَادَبِكَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আ’ইন্নী ‘আলা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ইবাদাতিকা ।
অর্থ : “হে আল্লাহ ! তুমি আমাকে সাহায্য কর , যেন আমি তোমার শুকরিয়া আদায় করতে পারি এবং ভালভাবে তোমার ইবাদাত করতে পারি ।”
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে জান্নাত চাই এবং জাহান্নাম থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। আবু দাউদ-৭৯২।
২২। اللهم أعني على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك
আল্লা-হুম্মা, আ‘ইন্নী ‘আলা- যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হুসনি ‘ইবা-দাতিকা
অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমাকে আপনার যিকর করতে, শুকর করতে এবং আপনার ইবাদত সুনদরভাবে করতে তাওফীক ও ক্ষমতা প্রদান করুন। মু’আয ইবনু জাবাল (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আমার হাত ধরে বলেন, মু’আয, আমি তোমাকে ভালবাসি। মু’আয, আমি তোমাকে ওসীয়ত করছি, প্রত্যেক সালাতের পরে এই দু‘আটি বলা কখনো বাদ দিবে না।
২৩। اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْألُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى
আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুক্বা ওয়াল ‘আফা-ফা ওয়াল গিণা।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে সুপথের নির্দেশনা, পরহেযগারিতা, পবিত্রতা ও সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।[📚মুসলিম, 📚মিশকাত হা/২৪৮৪ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘সারগর্ভ দো‘আ’ অনুচ্ছেদ-৯।
২৪। رَبَّنَا اصْرِفْ عَنَّا عَذَابَ جَهَنَّمَ ۖ إِنَّ عَذَابَهَا كَانَ غَرَامًا
[রব্বানাসরিফ ‘আন্না ‘আযাবা জাহান্নামা; ইন্না ‘আযাবাহা- কা-না গরা-মা- ]
“হে আমাদের রব! জাহান্নামের আযাব থেকে আমাদের বাঁচাও, তার আযাব তো সর্বনাশা।(সুরা ফুরকানঃ ৬৫)
২৫। নিজে এবং নিজের বংশধরদের সালাত কায়েমকারী হওয়ার জন্য দোয়া
ﺭَﺏِّ ﺍﺟْﻌَﻠْﻨِﻲ ﻣُﻘِﻴﻢَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓِ ﻭَﻣِﻦ ﺫُﺭِّﻳَّﺘِﻲ ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻭَﺗَﻘَﺒَّﻞْ ﺩُﻋَﺎﺀ
“রব্বিজ ‘আলনি মুকিমাস সলাতি ওয়ামিন যুররিইয়াতি রব্বানা-ওয়া তাকব্বাল দুয়া-
অর্থঃ “হে আমার রব! আমাকে তাদের একজন কর, যারা নিয়মিত সালাত কায়েম করে এবং আমার বংশধরদের মধ্যে থেকেও। হে আমার প্রভু তুমি আমার প্রার্থনা গ্রহণ কর।”(সুরা ইব্রাহিম- আয়াত
২৬। উত্তম স্বামী/স্ত্রী ও সন্তান পাওয়ার দোয়া-
رَبَّنَا هَبْ لَنَا مِنْ أَزْوَاجِنَا وَذُرِّيَّاتِنَا قُرَّةَ أَعْيُنٍ وَاجْعَلْنَا لِلْمُتَّقِينَ إِمَامًا
উচ্চারণঃ রব্বানা-হাবলানা-মিন আয্ওয়া-জ্বিনা- ওয়া যুররিইয়্যা-তিনা-কুররতা আ’ইয়ুনিঁও ওয়া জ‘আল্না-লিল মুত্তাকী-না ইমা-মা
অর্থঃ হে আমাদের রব, আপনি আমাদেরকে এমন স্ত্রী/স্বামী ও সন্তানাদি দান করুন যারা আমাদের চক্ষু শীতল করবে। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের নেতা বানিয়ে দিন। (সূরা আল-ফুরকান- আয়াত ৭৪)
২৭। اَللَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّىْ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুওউন তুহিব্বুল আফওয়া ফা’ফু আন্নি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে ভালোবাস। অতএব আমাকে ক্ষমা কর।’ (মুসনাদে আহমদ, তিরমিজি, মিশকাত)
২৮। اَللَّهُمَّ إِنِّىْ اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِىْ وَ دُنْيَاىَ وَاَهْلِىْ وَ مَالِىْ
আল্লা হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আফওয়া ওয়াল ‘আ-ফিয়াতা ফী দ্বীনী ওয়া দুন্ইয়া-য়া ওয়া আহ্লী ওয়া মা-লী। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, আমার পরিবারে ও বিষয়-সম্পদে তোমার ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি’।
২৯। রোগ মুক্তির দুয়াঃ (আয়্যুব আঃ-এর দুয়া) :
رَبِّ أَنِّي مَسَّنِيَ الضُّرُّ وَأَنتَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ
উচ্চারণ: রব্বাহু আন্নী মাসসানিইয়াদ দুররু ওয়া আন্তা আরহামুর রা-হিমীন।
অর্থ: ‘হে আমার প্রভু! আমি দুঃখ-কষ্টে পতিত হয়েছি, তুমিই তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু’ (আম্বিয়া ৮৩)।
৩০। رب قني عذابك يوم تبعث (تجمع) عبادك
উচ্চারণঃ রাব্বি ক্বিনী ‘আযা-বাকা ইয়াওমা তাব’আসু ইবা-দাকা।
অর্থঃ “হে আমার প্রভু, আমাকে রক্ষা করুন আপনার শাস্তি থেকে যেদিন আপনি পুনরুত্থিত করবেন আপনার বান্দাগণকে।”একবার
৩১। اَللَّهُمَّ اِنِّى اَسْئَلُكَ الْعَفْوَ وَالْعَافِيَةَ فِىْ دِيْنِى وَ دُنْيَاىَ وَ اَهْلِىْ وَ مَالِىْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল আফওয়া ওয়াল আফিয়াতা ফি দ্বীনি ওয়া দুনিয়ায়া ওয়া আহলি ওয়া মালি।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার দ্বীন ও দুনিয়ায়, আমার পরিবার ও বিষয়-সম্পদে তোমার ক্ষমা ও নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি।’ (আবু দাউদ, মিশকাত)
৩২। اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَما أَخَّرْتُ، وَما أَسْرَرْتُ وَما أَعْلَنْتُ، وَما أَسْرَفْتُ، وَما أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّي، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ
উচ্চারণ: আল্লা-হুম্মাগফিরলী মা- ক্বাদ্দামতু, ওয়ামা- আখখারতু, ওয়ামা- আসরারতু, ওয়া মা- আ‘অ্লানতু, ওয়ামা- আসরাফতু, ওয়ামা- আনতা আ‘অ্লামু বিহী মিন্নী। আনতাল মুক্বাদ্দিমু, ওয়া আনতাল মুআখখিরু, লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা।
অর্থ: “হে আল্লাহ, আপনি আমার জন্য ক্ষমা করুন আমি আগে যা করেছি এবং আমি পরে যা করেছি, আমি গোপনে যা করেছি এবং আমি প্রকাশ্যে যা করেছি এবং আমি বাড়াবাড়ি করে যা করেছি এবং যা আপনি আমার চেয়েও বেশি ভালো জানেন। আপনিই অগ্রবর্তী করেন, আপনিই পিছিয়ে দেন। আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।
৩৩। اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِن زَوَالِ نِعْمَتِكَ وَ تَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ وَ فُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ وَ جَمِيْعِ سَخَطِكَ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নিমাতিকা ওয়া তাহাওউলি আফাতিকা ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা।’
অর্থ : ‘হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি আমার থেকে তোমার নেয়ামত চলে যাওয়া থেকে; তোমার দেয়া সুস্থতার পরিবর্তন থেকে; তোমার শাস্তির আকস্মিক আক্রমণ থেকে এবং তোমার যাবতীয় অসন্তুষ্টি থেকে।’ (মুসলিম, মিশকাত)
৩৪। رَبِّ اَعِنِّىْ وَ لَا تُعِنْ عَلَىَّ وَانْصُرْنِىْ وَ لَا تَنْصُرْ عَلَىَّ وَاهْدِنِىْ وَ يَسِّرِ الْهُدَى لِىْ
উচ্চারণ : ‘রাব্বি আয়িন্নি আলা তুয়িন আলাইয়্যা ওয়াংছুরনি ওয়া লা তাংছুর আলাইয়্যা ওয়াহদিনি ওয়া ইয়াস্সিরিল হুদা লি।’
অর্থ : হে আমার প্রতিপালক! আমাকে সহায়তা দাও এবং আমার বিরুদ্ধে সহায়তা করো না। আমাকে সাহায্য কর এবং আমার বিরুদ্ধে সাহায্য করো না। আমাকে হেদায়াত দাও এবং আমার জন্য হেদায়েতকে সহজ করে দাও।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ, মিশকাত)
৩৫। اَللَّهُمَّ اِنِّى اَعُوْذُبِكَ مِن جَهْدِ الْبَلَاءِ وَ دَرَكِ الشَّقَاءِ وَ سُوْءِ الْقَضَاءِ وَ شَمَاتَةِ الْأَعْدَاءِ
উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন জাহদিল বালায়ি ওয়া দারাকিশ শাক্বায়ি ওয়া সুয়িল ক্বাজায়ি ওয়া শামাতাতিল আ’দায়ি।’
হে আল্লাহ! আমি তোমার আশ্রয় প্রার্থনা করছি অক্ষমকারী বিপদের কষ্ট থেকে; দুর্ভাগ্যের আক্রমন থেকে; মন্দ ফায়ছালা থেকে এবং শত্রুর হাসি থেকে।’ (বুখারি ও মুসলিম, মিশকাত)
৩৬। يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِى عَلَى دِيْنِكَ - اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ
উচ্চারণ : ‘ইয়া মুক্বাল্লিবাল কুলুবি ছাব্বিত ক্বালবি আলা দ্বীনিকা; আল্লাহুম্মা মুছার্রিফাল কুলুবি ছার্রিফ কুলুবানা আলা ত্বাআতিকা।
অর্থ : ‘হে হৃদয়সমূহের পরিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের ওপর দুঢ় রাখ। হে অন্তরসমূহের রূপান্তকারী! আমাদের অন্তরসমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।’ (তিরমিজি, ইবনে মাজাহ, মিশকাত, মুসলিম)
৩৭। ﺭﺿﻴﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﺭﺑﺎ ﻭﺑﺎﻹﺳﻼﻡ ﺩﻳﻨﺎ ﻭﺑﻤﺤﻤﺪ ﻧﺒﻴﺎ (‘রাদ্বীতু বিল্লাহি রাব্বা, ওয়াবিল ইসলামি দ্বীনা, ওয়াবি মুহাম্মাদিন নাবিয়্যা’) ৩ বার, ফজর ও মাগরিবের পর। রাসূলুল্লাহ (সা.) হাত ধরে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আল্লাহ উক্ত ব্যক্তিকে সন্তুষ্ট করবেন। (সুরা সাফফাত : আয়াত ১০০)
৩৮। লাইলাতুল কদরে ক্ষমা চাওয়ার বিশেষ দুয়াঃ
اللهم إنك عفو تحب العفو فاعفُ عني
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা’ফু আন্নী।
হে আল্লাহ। তুমি ক্ষমাশীল। তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ কর, তুমি আমাকে ক্ষমা কর।[আহমদ]
رَبَّنَا إِنَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا ذُنُوبَنَا وَقِنَا عَذَابَ النَّارِ
[ রব্বানা ইন্নানা আ-মান্না ফাগফিরলানা যুনু-বানা ওয়াকিনা ‘আযাবান নার]
হে আমাদের পালনকর্তা, আমরা ঈমান এনেছি, কাজেই আমাদের গোনাহ ক্ষমা করে দাও আর আমাদেরকে দোযখের আযাব থেকে রক্ষা কর।(সুরা আলে ইমরানঃ ১৬)
৩৯। رَبَّنَا أَفْرِغْ عَلَيْنَا صَبْرًا وَتَوَفَّنَا مُسْلِمِينَ
রব্বানা- আফরিগ ‘আলাইনা সবরাও ওয়া তাওয়াফফানা মুসলিমী-ন
হে আমাদের পরওয়ারদেগার আমাদের জন্য ধৈর্য্যের দ্বার খুলে দাও এবং আমাদেরকে মুসলমান হিসাবে মৃত্যু দান কর- (সুরা আরাফঃ ১২৬)
৪০। رَ‌بَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِن نَّسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا
রব্বানা লা~ তুওয়াখিজনা ইন নাসি-না আও আখ ত্ব-না
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না (সুরা বাকারাঃ ২৮৬)
৪১। رَ‌بَّنَا أَفْرِ‌غْ عَلَيْنَا صَبْرً‌ا وَثَبِّتْ أَقْدَامَنَا وَانصُرْ‌نَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِ‌ينَ
উচ্চারণ : রব্বানা আফরিগ আলাইনা সবরাও ওয়া সাব্বিত আকদামানা ওয়ান সুরনা আলাল কওমিল কাফিরিন।
অর্থ : “হে আমাদের রব! আমাদের সবর দান করো, আমাদের অবিচলিত রাখ এবং এই কাফের দলের ওপর আমাদের বিজয় দান করো।” —[সূরা আল বাকারাহ: ২৫০]
৪২। আল্লাহুম্মা ইন্নি আউযুবিকা মিনাল ফাক্বরি ওয়াল কিল্লাতি ওয়ায যিল্লাতি ওয়া আ’উযুবিকা মিন আন আযলিমা আও উযলিমা”। (আবু দাউদ-হা/১৫৪৪)।
অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার নিকট অভাব, স্বল্পতা ও অপমান হতে আশ্রয় চাই, আরো আশ্রয় চাই অত্যাচার করা ও অত্যাচার হওয়া থেকে।
৪৩। رَبَّنَا آمَنَّا فَاغْفِرْ لَنَا وَارْحَمْنَا وَأَنتَ خَيْرُ الرَّاحِمِينَ
[রব্বানা আ-মান্না ফাগফিরলানা ওয়ারহামনা ওয়া আনতা খইরুর রহিমী-ন]
হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা বিশ্বাস স্থাপন করেছি। অতএব তুমি আমাদেরকে ক্ষমা কর ও আমাদের প্রতি রহম কর। তুমি তো দয়ালুদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ দয়ালু (সূরা মু’মিনূনঃ ১০৯)
৪৪। رَبَّنَا لَا تَجْعَلْنَا مَعَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
উচ্চারণ : রাব্বানা- লা- তাঝআ’লনা- মাআ’ল ক্বাওমিজ জা-লিমিনি।
হে আমাদের প্রতিপালক, আমাদেরকে এ জালেমদের সাথী করো না।(সুরা আরাফঃ ৪৭)
৪৫। رَبَّنَا لاَ تَجْعَلْنَا فِتْنَةً لِّلْقَوْمِ الظَّالِمِينَ – وَنَجِّنَا بِرَحْمَتِكَ مِنَ الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ
উচ্চারণ : ‘রাব্বানা লা তাঝআলনা ফিতনাতাল লিল ক্বাওমিজ জ্বালিমিন। ওয়া নাঝ্ঝিনা বিরাহ্মাতিকা মিনাল ক্বাওমিল কাফিরিন।’ (সুরা ইউনুছ : আয়াত ৮৫-৮৬)
অর্থ : ‘হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদের উপর অত্যাচারি কওমের শক্তি পরীক্ষা করিও না। আর আমাদেরকে অবিশ্বাসী (জালিমদের) কবল থেকে অনুগ্রহ করে মুক্তি দাও।
৪৬। رَّبَّنَا عَلَيْكَ تَوَكَّلْنَا وَإِلَيْكَ أَنَبْنَا وَإِلَيْكَ الْمَصِيرُ
[রব্ববানা ‘আলাইকা তাওয়াক্কালনা, ওয়া ইলাইকে আনাবনা, ওয়া ইলাইকাল মাসী-র]
হে আমাদের পালনকর্তা! আমরা তোমারই উপর ভরসা করেছি, তোমারই দিকে মুখ করেছি এবং তোমারই নিকট আমাদের প্রত্যাবর্তন – (আল-মুমতাহিনাঃ ৪)
৪৭। رَ‌بَّنَا تَقَبَّلْ مِنَّا إِنَّكَ أَنتَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
(রব্বানা ওয়া তাকাব্বাল দুয়া)
হে আমাদের রব! আমাদের থেকে কবুল কর। নিশ্চয়ই তুমি শ্রবণকারী, সর্বজ্ঞ।
(সুরা বাকারাঃ ১২৭)
৪৮। দুয়া মাসুরাঃ
আল্লাহুম্মা ইন্নী যালামতু নাফসী যুলমান কাছীরাওঁ ওয়ালা ইয়াগ ফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইনদিকা ওয়ারহামনী, ইন্নাকা আন্তাল গাফুরুর রাহীম।
اللَّهُمَّ إِنِّي ظَلَمْتُ نَفْسِي ظُلْمًا كَثِيرًا وَلاَ يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلاَّ أَنْتَ فَاغْفِرْ لِي مَغْفِرَةً مِنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِي إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আমার নিজের প্রতি অনেক যুলম করে ফেলেছি। আর তুমি ছাড়া গুনাহ ক্ষমা করার কেউ নেই। অতএব তুমি তোমার পক্ষ থেকে আমাকে বিশেষভাবে ক্ষমা কর, আমার প্রতি দয়া কর। নিশ্চয়ই তুমি বড়ই ক্ষমাশীল ও অতিশয় দয়ালু রব।
ছোট -বড় ইস্তেগফার ও দোয়া সমূহঃ
০১। মৃত্যুর আগে তাওবা নসীব হওয়ার জন্য দুয়া:
اللَّهُمَّ أَرْزُقْنِيْ تَوْبَةً نَصُوحَةً قَبْلَ الْمَوتِ
উচ্চারনঃ আল্লাহুম্মারঝুক্বনি তওবাতান্নাসু-হাহ, ক্ববলাল মাউত
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে মৃত্যুর পূর্বে খাটি দিলে তওবা করার সুযোগ করে দিবেন।
০২। সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার বা ক্ষমা প্রার্থনার সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া
আন্তরিক বিশ্বাসের সাথে কেউ যদি প্রতিদিন সকাল (ফযরের পরে) ও সন্ধ্যায় (আসর বা মাগরিবের পরে) পড়ে আর সে ঐদিন মারা যায় ইন শা’ আল্লাহ সে জান্নাতে যাবে। এই গ্যারান্টি দিয়ে গেছেন স্বয়ং রাসুলুল্লাহ (সাঃ)। (বুখারী, তিরমিযী ৫/৪৬৬)
اللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّي لَّا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ، خَلَقْتَنِي وَأَنَا عَبْدُكَ، وَأَنَا عَلَى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ مَا صَنَعْتُ، أَبُوءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَيَّ، وَأَبُوءُ بِذَنْبِي فَاغْفِر لِي فَإِنَّهُ لَا يَغْفِرُ الذُّنُوبَ إِلَّا أَنْتَ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা আংতা রাব্বি লা ইলাহা ইল্লা আংতা খালাক্কতানি ওয়া আনা আবদুকা ওয়া আনা আলা আহ্দিকা ওয়া ওয়াদিকা মাসতাতাতু আউজুবিকা মিন শাররি মা সানাতু আবুউলাকা বিনিমাতিকা আলাইয়্যা ওয়া আবুউলাকা বিজাম্বি ফাগ্ফিরলি ফা-ইন্নাহু লা ইয়াগফিরুজ জুনুবা ইল্লা আংতা।'
অর্থঃ হে আল্লাহ! তুমি আমার প্রতিপালক, তুমি ছাড়া আর কোন উপাস্য নেই। তুমি আমাকে সৃষ্টি করেছো আর আমি তোমার বান্দা। আমি আমার সাধ্যানুযায়ী তোমার সাথে যে ওয়াদা করেছি তা পূরণ করার চেষ্টায় রত আছি, আমি আমার কর্মের অনিষ্ট থেকে পানাহ্ চাই, আমি স্বীকার করছি আমার প্রতি তোমার প্রদত্ত নিয়ামতের কথা এবং আমি আরো স্বীকার করছি আমার পাপে আমি অপরাধী, অতএব তুমি আমাকে ক্ষমা করো, তুমি ছাড়া ক্ষমা করার আর কেউ নাই।
০৩। أَستَغْفِرُ اللهَ আস্তাগফিরুল্লাহ অর্থ:— আমি আল্লাহ্’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
৫ ওয়াক্ত ফরজ সালাতে সালাম ফিরানোর পর রাসুলুল্লাহ্ (সা:) এই দোয়া ৩বার পড়তেন। [ মিশকাত— ৯৬১ ]
০৪। أَسْتَغْفِرُ اللهَ وَأَتُوْبُ إِلَيْهِ আস্তাগফিরুল্লাহা ওয়া আতুবু ইলাইহি।
আমি আল্লাহ্’র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি ও তাঁর দিকে ফিরে আসছি. রাসুলুল্লাহ্ (সা:) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তওবা ও ইস্তেগফার করতেন। সহীহ্ বুখারী ৬৩০৭
রাসুলুল্লাহ্ (সা:) প্রতিদিন ৭০ বারের অধিক তওবা ও ইস্তেগফার করতেন।( সহীহ্ বুখারী ৬৩০৭)
০৫। أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে’।
অর্থ : আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। আমি অনুতপ্ত হৃদয়ে তাঁর দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি’। এই দো‘আ পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়’।[📚তিরমিযী, আবুদাঊদ, 📚মিশকাত হা/২৩৫৩ ‘দো‘আসমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করা’ অনুচ্ছেদ-৪; 📚সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭২৭।] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দৈনিক ১০০ করে বার তওবা করতেন’।[ মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৫ [ আবু দাউদ— ১৫১৭, তিরমিযী— ৩৫৭৭, ] ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করা’ অনুচ্ছেদ
০৬। আল্লাহর কাছে হিদায়াত ও তাকওয়া চাওয়ার দোয়া-
‏ “‏اللهم إني أسألك الهدى، والتقى، والعفاف، والغنى‏”‏
“আল্লাহুম্মা ইন্নি আস-আলুকাল হুদা ওয়াত-তুকা ওয়াল আ’ফাফা ওয়াল গিনা।”
অর্থ: হে আল্লাহ আমি তোমার কাছে হেদায়েত, তাকওয়া, সুস্থতা ও সম্পদ প্রার্থনা করছি (সুনানে আত-তিরমিযী: ৩৪৮৯)
০৭। رَبِّ اغْفِرْ لِيْ رَبِّ اغْفِرْ لِيْ
রাব্বিগফিরলি, রাব্বিগফিরলি
অর্থ: হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। [সহিহ মুসলিম: ৭৭২]
নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুই সিজদার মাঝে বসা অবস্থায় পড়তেন
০৮। ﺭَﺏِّ ﺍﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻭَﺗُﺐْ ﻋَﻠَﻰَّ ﺇِﻧَّﻚَ ﺃَﻧْﺖَ ﺍﻟﺘَّﻮَّﺍﺏُ ﺍﻟﺮَّﺣِﻴﻢُ
(রব্বিগফিরলী ওয়াতুব ‘আলাইয়া ইন্নাকা আনতাত্ তাওয়াবুর রহীম)
অর্থাৎ ‘হে আমার রব, আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা গ্রহণ করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা গ্রহণকারী, অতি দয়ালু।’ – [আবু দাউদ : ১৫১৬]
০৯। أَسْتَغْفِرُ اللَّهَ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّومُ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে’। লা- হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহিল আলিয়্যিল আযীম
অর্থ : আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। আমি অনুতপ্ত হৃদয়ে তাঁর দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছি’। সর্বোচ্চ মহাশক্তিশালী আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোন কাজ সাধন করার কাহারও কোন শক্তি নেই।
এই দো‘আ পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়’।[📚তিরমিযী, আবুদাঊদ, 📚মিশকাত হা/২৩৫৩ ‘দো‘আসমূহ’ অধ্যায়-৯, ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করা’ অনুচ্ছেদ-৪; 📚সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭২৭।] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দৈনিক ১০০ করে বার তওবা করতেন’।[ মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৫ [ আবু দাউদ— ১৫১৭, তিরমিযী— ৩৫৭৭, ] ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করা’ অনুচ্ছেদ
১০। سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি, আসতাগফিরুল্লাহা ওয়া আতূবু ইলাইহি
অর্থ: আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। [সহিহ মুসলিম, রিয়াদুস সালেহীন: ১৮৮৬]
আয়িশা (রা.) বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর আগে এই ইস্তিগফারটি অধিক মাত্রায় পড়তেন
১১। اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ كَرِيمٌ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন কারীম, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা’অ্ফু ‘আন্নী
অর্থ: হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, মহানুভব! তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও। [তিরমিযি: ৩৫১৩, হাসান সহিহ] আয়িশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি যদি বুঝতে পারি, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে ওই রাতে কী বলব?’ নবীজি বলেন, তুমি বলো
১২। سُبْحَانَكَ اللّٰهُمَّ وَبِحَمْدِكَ، أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ أَسْتَغْفِرُكَ وَأَتُوبُ إِلَيْكَ
সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বি‘হামদিকা আশহাদু আল লা ইলাহা ইল্লা আনতা আস্তাগফিরুকা ওয়া আতূবু ইলাইকা]
অর্থ: হে আল্লাহ! তুমি পবিত্র; প্রশংসা কেবল তোমারই। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি—তুমি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। আমি তোমার নিকট ক্ষমা চাচ্ছি এবং তোমার নিকট তাওবাহ্ করছি। [তিরমিযি: ৩৪৩৩, হাসান সহিহ গারিব]
আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি এমন কোনো মজলিসে (বৈঠকে) বসলো, যেখানে সে অনর্থক অনেক কথা বলেছে, সে যদি ওই মজলিস থেকে ওঠার আগেই এই দু‘আটি বলে, তবে আল্লাহ্ তার ওই মজলিসের বিষয়াদির কাফফারা (প্রায়শ্চিত্য) করে দেবেন।’’ দু‘আটি যেকোনো সময় পড়তে পারবেন। এই দু‘আটিতে আল্লাহর প্রশংসা, পবিত্রতা, শাহাদাহ সব আছে। ফলে কবুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
১৩। সলাতের সালাম ফিরানোর পূর্বে পঠিত দু‘আ :
اَللّٰهُمَّ إِنِّىْ ظَلَمْتُ نَفْسِىْ ظُلْمًا كَثِيرًا وَّلَا يَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلَّا أَنْتَ فَاغْفِرْ لِىْ مَغْفِرَةً مِّنْ عِنْدِكَ وَارْحَمْنِىْ إِنَّك أَنْتَ الْغَفُورُ الرَّحِيمُ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা ইন্নী যলামতু নাফসী যুলমান কাসীরাওঁ ওয়ালা- ইয়াগফিরুয্ যুনূবা ইল্লা- আন্তা, ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ‘ইনদিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আন্তাল গাফূরুর্ রহীম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আমার নফসের উপরে অসংখ্য যুলুম করেছি। ঐসব গুনাহ মাফ করার কেউ নেই আপনি ব্যতীত। অতএব আপনি আমাকে আপনার পক্ষ হ‘তে বিশেষভাবে ক্ষমা করুন এবং আমার ওপর অনুগ্রহ করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল ও দয়াবান।
১৪। اَللّٰهُمَّ اغْفِرْ لِيْ مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ وَمَا أَسْرَرْتُ وَمَا أَعْلَنْتُ وَمَا أَسْرَفْتُ وَمَا أَنْتَ أَعْلَمُ بِهِ مِنِّيْ
আল্লাহুম্মাগফিরলি মা ক্বাদ্দামতু ওয়া-মা আখখারতু, ওয়া-মা আসরারতু ওয়া-মা আ’লানতু, ওয়া-মা আসরাফতু, ওয়া-মা আনতা আ’লামু বিহি মিন্নী]
অর্থ: হে আল্লাহ্, আমি আগে-পরে যত গুনাহ করেছি, তা মাফ করে দাও। যেসব গুনাহ গোপনে করেছি এবং যেগুলো প্রকাশ্যে করেছি (সব) মাফ করে দাও। যত বাড়াবাড়ি করেছি, সেগুলো ক্ষমা করে দাও এবং যেগুলো তুমি আমার চেয়ে ভালো জানো, সেগুলোও মাফ করে দাও। [সহিহ বুখারি: ৬৩৯৮]

Address

Naya Paltan
Dhaka
1000

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ZamZam Travels & Tours Ltd. posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ZamZam Travels & Tours Ltd.:

Share

Category