Ostad Party

Ostad Party Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ostad Party, Tour Agency, Savar, Dhaka.
(1)

25/04/2023

পানির স্বচ্ছতা আপনাকে মুগ্ধ করবেই🥰

৩ ডিসেম্বর , ২০২১। ১৬ তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের বাছাইপর্ব (১৬.১ কিলোমিটার সমুদ্র পথ সাঁতার বাংলা চ্যানেল সাঁতার নামে পরি...
27/01/2023

৩ ডিসেম্বর , ২০২১। ১৬ তম বাংলা চ্যানেল সাঁতারের বাছাইপর্ব (১৬.১ কিলোমিটার সমুদ্র পথ সাঁতার বাংলা চ্যানেল সাঁতার নামে পরিচিত)।

ঘুম থেকে উঠে দেখি সকাল ৭ টা বাজে, দেরি হয়ে গেছে অনেক । এখন রওনা হলে পৌছানো যাবেনা সময়ের মধ্যে । ম্যাসেঞ্জারে ঢুকে দেখি নাঈম এখনই উঠেছে । নয়ন তখনও ওঠেনি । সাইফুল উঠে আবার ঘুমিয়ে গেছে । হলো না এবার বাছাইপর্বে অংশগ্রহণ করা । তখনই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম ২০ তারিখ শাহপরীর দ্বীপ থেকে দেখব বাংলা চ্যানেল সাঁতার । কিন্তু কথা হল ঢাকা থেকে যাব কিভাবে !
সম্পূর্ণ কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত টা হেঁটে দেখার ইচ্ছা ছিল আগে থেকেই । ব্যাস সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললাম মেইল ট্রেনে চট্টগ্রাম, বাসে কক্সবাজার, কক্সবাজার থেকে শাহপরীর দ্বীপ হেঁটে যাব।

১৬ ই ডিসেম্বর , ২০২১। শেষ পর্যন্ত যাচ্ছি ইনশাআল্লাহ আমরা ৩ জন । বিকালে রওনা হলাম কমলাপুরের উদ্দেশ্যে । কক্সবাজার থেকে শাহপরীর দ্বীপ প্রায় ৯০ কিলোমিটার । ভাবলাম কিভাবে এটাকে শতক বানানো যায় । বাস থেকে নেমে পড়লাম শ্যামলী । হেঁটে গেলাম কমলাপুর।

রাত প্রায় ৯টা, দুই নাম্বার প্লাটফর্মে অপেক্ষা করছি চট্টগ্রাম মেইল এর জন্য । আরও কিছু সফর সঙ্গী পেলাম আমরা । প্ল্যাটফর্মের শেষ অংশে দাঁড়িয়ে আছি সবাই । উদ্দেশ্য প্লাটফর্মে আসা অবস্থায় চলন্ত ট্রেনে ওঠে সিট দখল করা। (চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনের টিকিটে কোন সিট নাম্বার থাকে না। আবার সাধারণ মানুষের জন্য থাকে মাত্র ২-৩ টা বগি। এদিকে ভাড়া ১২৫ টাকা হওয়ায় ভীড়ও হয় অনেক। তো সিট যিনি ধরতে পারবেন গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত সিট তার।

ঐ তো ট্রেন দেখা যাচ্ছে, ঝকঝক করে এগিয়ে আসছে। সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছে লাফিয়ে উঠার। জনগণের জন্য বরাদ্দকৃত বগি কাছে আসতেই লাফিয়ে উঠলাম দুজন । ধরে ফেললাম সিট। সাড়ে ১০ টা নাগাদ শুরু হল আমাদের যাত্রা । বাসা থেকে আনা ভাত খেয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম । পরদিন চট্টগ্রাম পৌঁছে ধরলাম কক্সবাজারের বাস । ভাড়া ২০০ টাকা । রাতটা থেকে গেলাম কক্সবাজারের এক মসজিদে।

১৮ ডিসেম্বর , ২০২১। সাড়ে ৬ টা থেকে শুরু হল আমাদের বিচ হাইকিং শৈবাল বিচ পয়েন্ট থেকে । পরিকল্পনা প্রায় পুরো ১০০ কিলোমিটার সমুদ্র সৈকত স্বচক্ষে দেখা । পথে কোন খাল পড়লে রাস্তায় উঠে পার হওয়া । শুরুতেই পর্যটকদের ভিড় কিন্তু আজ খারাপ লাগছে না ভিড় টা কারণ একটু দূরেই অপেক্ষা করছে সম্পূর্ণ ফাঁকা সমুদ্র সৈকত । একটু সামনে যেতেই বড় হতে লাগল হিমছড়ির পাহাড় গুলো উল্টোদিকে পেছনে ছোটো হতে লাগলো হোটেল গুলো । পাশ দিয়ে উড়ে যাচ্ছে গাঙচিলের পাল । আকাশটা আজ দারুন সুন্দর , পানির রংটাও । একটু দূরে যেতেই দেখলাম বাচ্চারা ডাংগুলি খেলছে , দেখলাম স্টারফিশ , জেলিফিশ আর সামুদ্রিক সাপ । আরেকটু যেতেই পিছু নিল একটা মা কুকুর, আমাদের সাথে অনেক দূর হাঁটলো সে ।
জনমানব শূন্য সৈকত , ডানে দিগন্ত বিস্তৃত সাগর , বামে ঝাউবন আর পাহাড় । এর মাঝে হেটে চলেছি আমরা তিনজন ।

হুট করে নাঈম বলে উঠলো , " ক তো মানুষ এহন আমগো দেখলে কি কইবো ? হাতে ব্যাট দেইখা ক্রিকেটার কইবো ? নাকি মাথায় হ্যাট দেইখা টুরিস্ট কইবো ? হাতে বাজারের ব্যাগ দেইখা স্থানীয় কইবো? না ডেকচি দেইখা তাবলীগ জামাত কইবো ? " 😅

বাসা থেকে আনা শুটকি ভর্তা কিছুটা বেঁচে ছিল । দুপুরে চিড়া দিয়ে খেয়ে ফেললাম সেটুকু । হিমছড়ি বিচ পার করে চোখ আটকে গেল এক ঝাঁক লালে ।
" কাঁকড়া না ? "
" হ কাঁকড়াই তো ওডি!! "
" খাইছে রে , ল ল "

সারি সারি , শয়ে শয়ে লাল কাঁকড়া । কাছে যেতেই পুটুস করে গর্তে লুকিয়ে পরল সব ।
একটু এগোতেই দেখলাম প্যারাসেইলিং হচ্ছে , অনেক টাকা হলে একদিন করবো ইনশা আল্লাহ সিদ্ধান্ত নিয়ে সামনে এগোলাম । দেখা হল আমাদেরই মতন এক হাইকারের সাথে । তিনি একাই টেকনাফ থেকে রওনা হয়েছেন কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে , আজ তার দ্বিতীয় দিন । ইনশা আল্লাহ আজই পৌঁছে যাবেন কক্সবাজার ।

আর একটু এগোতেই পেলাম জেলেদের , জাল টেনে সৈকত থেকেই মাছ ধরছেন তারা । এমনকি কয়েকটা দলকে দেখলাম , কোথাওবা বাচ্চারা কয়েকজন মিলে ধরছে । একটা দলের জাল প্রায় উঠে এসেছে, উৎসুক মনে ছুটে গেলাম সেদিকে । হরেক কিসিম , হরেক রঙের মাছ । জেলেদের দেখলাম সামুদ্রিক বেলে মাছ ফেলে দিতে, আমরা চেয়ে নিয়ে নিলাম ওগুলো । মাছ গুলো কেটে লবন মরিচ দিয়ে মাখিয়ে রাখলাম । মাছ ধরা দেখতে দেখতেই সূর্য দিগন্ত রেখায় পৌঁছে গেল । দারুন ছিল ওই দিনের সূর্যাস্তটা। একদিকে সূর্য অস্ত যাচ্ছে, ঠিক বিপরীত দিকে পূর্ণ চাঁদ উঠছে, এক অপার্থিব দৃশ্য ।
পুরো বিকালটা কেটেছে জেলেদের সাথে, একটুও হাঁটা হয়নি । সূর্য ডুবতেই খেয়াল হলো এখনো বাকি প্রায় ৭০ কিলো পথ । একটানা সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত হেঁটে তাবু খাটালাম সৈকতের সাথে এক ঝাউ বনের মধ্যে । ভুতুড়ে থমথমে পরিবেশ , সামনে সাগরের গর্জন । ঝাউ পাতার ফাক দিয়ে দেখা যাচ্ছে পুর্ণ চাঁদটা । পিয়াজ মরিচ দিয়ে মুড়ি খেয়ে শীতে জড়াজড়ি করে শুয়ে পড়লাম তিনজন ।

১৯ ডিসেম্বর , ২০২১। সকালে ঘুম থেকে উঠেই চোখ আটকে গেল সাগরের দিকে। ঝাউ বনের ঠিক সামনেই সাগর। কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে সাগরটা । থমথমে, নিশ্চুপ। নাঈম বেরিয়ে পড়েছে , সাগরের দিকে যাচ্ছে , ফিরে এলো উত্তেজিত হয়ে । মাথার খুলির মতন কিছু একটা পেয়েছে ও । দেখে অনুমান করলাম হবে হয়তো কোন মাছের । পরে বুঝতে পারলাম ওটা খুব সম্ভবত ডলফিন এর খুলি ।

ঝাউবনে ফিরে শুকনো খড়ি জোগাড় করে ধরালাম আগুন , কালকের মাছগুলো ভেজে নিলাম । মুড়ি দিয়ে মাছ ভাজা খেয়ে আবার শুরু করলাম হাঁটা । এখন পুরো সৈকত লাল কাঁকড়ায় ভরা , ঢেউয়ে ভেসে এসে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য শামুক-ঝিনুক, কত বিচিত্র রঙের । পথে একটা খাল পরলো , রাস্তায় উঠতে হলো আমাদের । প্রবেশ করলাম টেকনাফ উপজেলায় । রাস্তার পাশেই একটা বাড়িতে দেখলাম সামুদ্রিক মাছ শুটকি দেয়া , এক কোনার তিনটা মাছের দিকে চোখ আটকে গেল ।
" হাঙ্গর না ? "
" হ, হাঙ্গরই তো !! "
তিনটা হাঙ্গরের বাচ্চার শুটকি !

আবার সৈকতে নামলাম আমরা । পার হলাম জেলেদের পাড়া , মোনাখালী সৈকত , সারি সারি সাজানো নৌকা , শত শত , হাজার হাজার লাল কাঁকড়া । দেখতে দেখতে এই সূর্যটাও অস্ত গেল । এখনো অনেকটা পথ বাকি । পায়ের অবস্থা ভালো না । তবে জোৎস্না সাথে, ডানে সাগরের গর্জন আর বামে পাহাড় নিয়ে খুব একটা কষ্ট হচ্ছিল না হাঁটতে । অদ্ভুত লাগছিল বামের পাহাড় গুলোকে , এক স্থানে মনে হচ্ছিল যেন শুয়ে আছে কোন এক যুবতী ‌। ঝিরিঝিরি বাতাসের মধ্য দিয়ে হাঁটছি , মনে হচ্ছে দীর্ঘ সময় পর পর আসছে একেকটা মাইলফলক । একেকটা মাইলফলককে মনে হচ্ছিল একেকটা প্রাপ্তি । মাইলফলকের আসল অর্থটা বুঝে আসছিল তখন। রাত দেড়টা পর্যন্ত একটানা হেঁটে টেকনাফ বিচের ২ কিলো আগে তাবু খাটালাম এক ঝাউবনে । দূরে মিটমিট করছে জেলেদের নৌকার লাল-নীল-সবুজ আলো । এখনো ১৪ কিলো বাকি শাহপরীর দ্বীপ , কাল সকাল দশটার মধ্যে যেতে হবে। রাতে আর দেরি না করে দিলাম এক ঘুম।

২০ ডিসেম্বর , ২০২১। বাংলা চ্যানেল সাঁতারের দিন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই ডানে বামে না তাকিয়ে হাঁটা শুরু করলাম কিছু মুখে না দিয়েই । নাঈম ব্যাগ থেকে বের করলো লাল সবুজের পতাকাটা , বেঁধে নিল পিঠে । কুয়াশার ফাঁক দিয়ে উঁকি দিচ্ছিলো সূর্য । আবহাওয়াটা একটু শীতল আজ , এর মধ্যেও ঘাম গড়িয়ে পরছে ঘাড় বেয়ে । পায়ের অবস্থা ভালো না , তবু থামার উপায় নেই । অনেকেই পিছু নিচ্ছে আমাদের , একটা বাচ্চা তো কয়েক কিলো হাঁটলো আমাদের সাথে ।
৯ টা ১৭ , আমরা তখন শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিম বীচের পাশে । এখনো প্রায় ৩-৩.৫ কিলো শাহপরীর দ্বীপের জেটি । হাঁপাচ্ছি আমরা , দেখতে পারবো তো সাঁতারের শুরুটা ? তখনই কেমন যেনো একটা জটলা চোখে পরলো বীচে । এক ছোকরা এসে জানালো এখান থেকেই এবার হচ্ছে বাংলা চ্যানেল সাঁতারের শুরু । বসে পড়লাম গা ছেড়ে দিয়ে , কি যে আনন্দ লাগছিলো । আল্লাহর সাহায্য ছাড়া আর কিছুই না , আমরা থেমেছিলাম এখানে , জেটিতে চলে যাইনি । তাহলে দেখতে পারতাম কিনা সাঁতারের শুরুটা আল্লাহই জানে।

সাগরটা আজ অশান্ত , বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে তীরে। কিছুক্ষন পরই শুরু হলো সাঁতার , অবাক চোখে তাকিয়ে দেখলাম প্রায় ৮০ জন অকুতোভয় সাতারুকে ছোট হতে হতে মিলিয়ে যেতে । তারা দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যাওয়ার পরও তাকিয়ে থাকলাম অনেকক্ষন । অংশগ্রহণ করতে না পারার কষ্টটা আরো গভীরভাবে আঘাত করলো তখন ।

শাহপরীর দ্বীপ থেকে চলে এলাম টেকনাফ । টেকনাফ থেকে পাওয়া যাবে সেন্টমার্টিনের লোকাল ট্রলারগুলো । আজ আর কোনো ট্রলার না থাকায় কালকের জন্য অপেক্ষা করতে হলো । রাতটা কাটিয়ে দিলাম টেকনাফের এক মসজিদে।
ওস্তাদিয়া চলবে....

শুরুটা বলতে গেলে এখান থেকেই। পাহাড়ের সাক্ষাৎ আর ঝর্ণার ছোঁয়া। ঐ উঁচু থেকে দূর পানে তাকিয়ে স্বচ্ছ দৃশ্য আর খানেক বাদে ...
25/01/2023

শুরুটা বলতে গেলে এখান থেকেই।
পাহাড়ের সাক্ষাৎ আর ঝর্ণার ছোঁয়া। ঐ উঁচু থেকে দূর পানে তাকিয়ে স্বচ্ছ দৃশ্য আর খানেক বাদে বাদে রৌদ্র মেঘের আলো ছায়ার খেলা দেখে ওস্তাদদের মুগ্ধতা। পাহাড় আর পাহাড়িদের সাথে তাদের সখ্যতা। পাহাড়ে পাহাড়ে ছুটে চলা, দৌড় ঝাপ আর প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়ার গল্পগুলোর শুরুটা ... হয়তো এখানে থেকেই...

বান্দরবান একটা ভালোবাসা 💚

15/01/2023

উলাই হাম্মাকালা ভুতুলুকু

Address

Savar
Dhaka

Telephone

+8801641189265

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ostad Party posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share