the T R A V E L E R S

the T R A V E L E R S " দ্যা ট্রাভেলার্স " প্রকিতি প্রিয় সমম?

17/12/2021
28/04/2021

S A N D A K P H U 2018

05/04/2021

Nature

19/06/2020
05/04/2020
বাংলাদেশে মোট ১৭টি ল্যাবে কোভিড শনাক্তকরণে কাজ চালু হচ্ছে। নাম ও ফোন নাম্বার দেওয়া হলো:-১। রোগতত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণ...
05/04/2020

বাংলাদেশে মোট ১৭টি ল্যাবে কোভিড শনাক্তকরণে কাজ চালু হচ্ছে। নাম ও ফোন নাম্বার দেওয়া হলো:-

১। রোগতত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (IEDCR), ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 02-9898796

২। ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ(জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট), মহাখালী, ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 02-8821361

৩। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস, চট্টগ্রাম।
📷যোগাযোগ: 031-2780426

৪। শিশু স্বাস্থ্য গবেষণা ফাউন্ডেশন (CHRF), ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 02-48110117

৫। আইসিডিডিআরবি (icddr,b), ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 09666-771100

৬। আইডিইএসএইচআই (ideSHi), ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 01793-163304

৭। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ল্যাবরেটরী মেডিসিন, ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 02-9139817

৮। রংপুর মেডিকেল কলেজ, রংপুর।
📷যোগাযোগ: 0521-63388

৯। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ, রাজশাহী।
📷যোগাযোগ: 0721-772150

১০। ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 02-55165088

১১। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ, ময়মনসিংহ।
📷যোগাযোগ: 091-66063

১২। ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সিলেট।
📷যোগাযোগ: 0821-713667

১৩। খুলনা মেডিকেল কলেজ, খুলনা।
📷যোগাযোগ: 041-760350

১৪। শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ, বরিশাল।
📷যোগাযোগ: 0431-2173547

১৫। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, কক্সবাজার।
📷যোগাযোগ: 01821-431144

১৬। আর্মড ফোর্সেস ইনস্টিটিউট অব প্যাথলজি, ঢাকা।
📷যোগাযোগ: 01769-016616

১৭। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা।
📷01866-637482

দয়া করে সবাই শেয়ার করবেন।
(কপি পোস্ট )

https://www.youtube.com/watch?v=twtBOk09Q84
10/01/2020

https://www.youtube.com/watch?v=twtBOk09Q84

This summer we were on an expedition in Spiti Valley, Northern India. This video is a short overview of the beautiful places we visited. Spiti Valley from ab...

https://www.youtube.com/watch?v=kO6Fci7Gd2U
24/11/2019

https://www.youtube.com/watch?v=kO6Fci7Gd2U

A TOUR OF OLD ISTANBUL- TURKEY দুই মহাদেশ জুড়ে বিস্তৃত এক প্রাচীন শহরের নাম ইস্তানবুল। এই শহরটি ইউরোপ এবং এশিয়াকে একসুতোই বেঁধে র....

https://www.youtube.com/watch?v=D5DNWNMXoKg
15/10/2019

https://www.youtube.com/watch?v=D5DNWNMXoKg

বিস্ময়কর জলপ্রপাত নায়াগ্রা - UNBELIEVABLE - NIAGARA FALLS - AMERICA পৃথিবীর সর্ববৃহৎ জলপ্রপাত নায়াগ্রা প্রকৃতির এক মহাবিস্ময়৷ এটি .....

চূড়ান্ত করা হলো ই-পাসপোর্টের ফি! থাকছে না সত্যায়ন করার ঝামেলা।গত ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ই-পা...
07/08/2019

চূড়ান্ত করা হলো ই-পাসপোর্টের ফি!
থাকছে না সত্যায়ন করার ঝামেলা।

গত ১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ ই-পাসপোর্ট এর ফি সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে। রোববার (৪ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে পরিপত্রটি আপলোড করা হয়।
তবে ই-পাসপোর্ট কবে আসবে সেই তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।

বাংলাদেশে আবেদনকারীদের জন্য ফি নিন্মরূপ :
৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ৩৫০০ টাকা,
জরুরি ফি ৫৫০০ টাকা ও
অতীব জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা

৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ৫০০০ টাকা,
জরুরি ফি ৭০০০ টাকা ও
অতীব জরুরি ফি ৯০০০ টাকা।

৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ৫৫০০ টাকা,
জরুরি ফি ৭৫০০ টাকা ও
অতীব জরুরি ফি ১০ হাজার ৫০০ টাকা

৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ৭০০০ টাকা,
জরুরি ফি ৯০০০ টাকা ও
অতীব জরুরি ফি ১২০০০ টাকা।

আবেদনের পর পাসপোর্ট পেতে সময় লাগবে :

# নতুন পাসপোর্টের ক্ষেত্রে :
অতীব জরুরিতে ৩ দিনে,
জরুরিতে ৭ দিনে ও
সাধারণ পাসপোর্ট আবেদনের ক্ষেত্রে ২১ দিনে।

# রি-ইস্যু করার ক্ষেত্রে
অতীব জরুরি পাসপোর্ট ২ দিনে,
জরুরি পাসপোর্ট ৩ দিনে ও
সাধারণ পাসপোর্ট ৭ দিনে।

বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারী, শ্রমিক ও শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা ই-পাসপোর্ট ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য

৪৮ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ১০০ মার্কিন ডলার ও
জরুরি ফি ১৫০ মার্কিন ডলার

৪৮ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ১২৫ মার্কিন ডলার ও
জরুরি ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে।

৬৪ পৃষ্ঠার ৫ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ১৫০ মার্কিন ডলার ও
জরুরি ফি ২০০ মার্কিন ডলার

৬৪ পৃষ্ঠার ১০ বছর মেয়াদি
সাধারণ ফি ১৭৫ মার্কিন ডলার ও
জরুরি ফি ২২৫ মার্কিন ডলার।

ই-পাসপোর্ট করতে যা লাগবে
পরিপত্র অনুযায়ী, ই-পাসপোর্টের আবেদনপত্র জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা জন্ম নিবন্ধন সনদ (বিআরসি) অনুযায়ী পূরণ করতে হবে। অপ্রাপ্ত বয়স্ক (১৮ বছরের কম) আবেদনকারী, যার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তার পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নম্বর অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে।

এতে আরো বলা হয়েছে,
দেশের অভ্যন্তরে অতি জরুরি পাসপোর্ট পেতে আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে অন্যান্য সব তথ্য ঠিক থাকলে ৭২ ঘণ্টা বা তিন দিনের মধ্যে পাসপোর্ট দেয়া হবে। দেশের অভ্যন্তরে জরুরি পাসপোর্ট পেতে আবেদনের সঙ্গে পুলিশ ক্লিয়ারেন্স দিলে অন্যান্য সব তথ্য ঠিক থাকলে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে পাসপোর্ট দেয়া হবে।

02/06/2019

যেখানে পদ্ম ফুলের মাথায়
ভ্রমর খেলা করে...

শুভ নববর্ষ !!!সবাইকে নববর্ষের প্রান ঢালা শুভেচ্ছা
14/04/2019

শুভ নববর্ষ !!!
সবাইকে নববর্ষের প্রান ঢালা শুভেচ্ছা

03/04/2019
01/04/2019

সাঙ্গু নদী ও ঋজুক ঝর্নাঃ

সাঙ্গু নদী বা শঙ্খ নদীঃ
সাঙ্গু নদী বা শঙ্খ নদী, বাংলাদেশের পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের চট্টগ্রাম ও বান্দরবন জেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ২৯৪ কিলোমিটার, গড় প্রস্থ ১১৯ মিটার এবং নদীটির প্রকৃতি সর্পিলাকার।
বাংলাদেশের প্রধান কয়েকটি পাহাড়ি নদীর মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম। বান্দরবান জেলা এবং চট্টগ্রামের দক্ষিণাঞ্চল এ নদীবিধৌত। বাংলাদেশের বেশির ভাগ নদী উত্তর হতে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। কিন্তু সাঙ্গু নদী বান্দরবানের দক্ষিণাঞ্চলে সৃষ্টি হয়ে উত্তর দিকে প্রবাহিত হয়ে পশ্চিমে বাঁক নিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে শেষ হয়েছে।
নদীটি দেশের দক্ষিণে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে অবস্থিত একটি পাহাড়ি নদী। কর্নফুলীর পর এটি চট্টগ্রাম বিভাগের দ্বিতীয় বৃহত্তম নদী। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে যে কয়টি নদীর উৎপত্তি তার মধ্যে সাঙ্গু নদী অন্যতম। মিয়ানমার সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার মদক এলাকার পাহাড়ে এ নদীর জন্ম। বান্দরবান জেলা ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে এটি বঙ্গোপসাগরে গিযে মিশেছে। উৎসমুখ হতে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত এই নদীর দৈর্ঘ্য ১৭০ কিলোমিটার।
সাঙ্গু নদী বান্দবান জেলার প্রধানতম নদী। বান্দরবান জেলা শহরও এ নদীর তীরে অবস্থিত। এ জেলার জীবন–জীবিকার সাথে সাঙ্গু নদী ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে এ নদী একটি অন্যতম মাধ্যম।

ঋজুক ঝর্ণা (Rijuk Waterfalls) ঃ
বান্দরবন (Bandarban) জেলার রুমা বাজার (Ruma Bazar) থেকে নদীপথে থানছি (Thanchi) যাওয়ার পথে পড়বে ঋজুক ঝর্ণা (Rijuk Waterfalls) । মার্মা ভাষায় একে রী স্বং স্বং বলা হয় । রুমা বাজার থেকে এর দূরত্ব প্রায় ৫ কিলোমিটার এবং বান্দরবন সদর হতে ৬৬ কিঃমিঃ । সাঙ্গু নদীর পাড়ে প্রায় ৩০০ ফুট উচু থেকে সারা বছরই এ জলপ্রপাতটির রিমঝিম শব্দে পানি পড়ে । এই জলপ্রপাতে সারা বছর পানি থাকে । তবে বর্ষার সময় ঋজুক সাঙ্গুর বুকে এত বেশি পানি ঢালে যে প্রবল স্রোতের তোড়ে জলপ্রপাতের ধারে পৌঁছতে এমনকি বড় ইঞ্জিনের নৌকাগুলোরও বেগ পেতে হয় । তখন ঋজুকের সৌন্দর্য একেবারেই অন্য রকম । তবে শুকনো সময়েও বেশ ভালো পরিমাণেই যৌবন থাকে তার, গতি, উদ্দমতা কোনো কিছুতেই কমতি থাকে না কখনো । জলপ্রপাতের কাছে গিয়ে দাঁড়াতেই বর্ষার ফলার মতো শরীরে এসে বিঁধে ঠান্ডা পানির ফলা । মিষ্টি একটা অনুভূতি ছড়িয়ে পড়বে পুরো শরীরে । যেখান থেকে নামছে পানির ধারা, সেখানে পাহাড়ের গায়ে গভীর হয়ে জন্মেছে গাছপালা । সবুজের আস্তর যেন চারিপাশে যা এই ঝর্নাকে দিয়ে ভিন্ন মাত্রা ।
সাঙ্গুতে পানি একবারেই কম, নিচের বালি পর্যন্ত পরিষ্কার দেখা যায়, টলটলে পানির নিচে ছোট ছোট নুড়িপাথর রাজত্ব করে চলেছে । এখানে নদীর হাঁটুজলে শামুক খুঁজছে মারমা কিশোরীরা । ডানে পাহাড়, বাঁয়ে বেশ কিছুটা জায়গা জুড়ে ফসলের ক্ষেত । এখন খুব একটা দেখা না গেলেও রুমা বাজারের দিকে আসার সময় প্রচুর বাঁশের চালি (ভেলা) চোখে পড়ছে সাঙ্গুর বুকে । ভেলা বানিয়ে নদীর স্রোতে ভাসিয়ে দূর-দূরান্তে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁশ ।
ঋজুকের উল্টো পাশে নতুন ঋজুকপাড়া নামে মারমাদের একটা পাড়া আছে । আর এ পাশে পাহাড়ের ওপর বমদের যে পাড়াটি এর নামও ঋজুকপাড়া। সময় করে ঋজুক দেখার সাথে সাথে এসব আদিবাসীদের জীবনধারাও অবলোকন করে আসতে পারেন । আতিথেয়তা আর আন্তরিকতার দিক থেকে মারমারা অতুলনীয় ।

Paragliding in Dello, Indiahttps://www.youtube.com/watch?v=Eg1lAadgfFE
28/03/2019

Paragliding in Dello, India
https://www.youtube.com/watch?v=Eg1lAadgfFE

Paragliding in Kalimpong starts from 9:00 am to 4:30 pm depending on wind conditions. Starting from the top of Dello hills, they offer two types of flights -...

SIKKIM Tour, 2019https://www.youtube.com/watch?v=j6QjEv8WTMI&t=2879s
22/03/2019

SIKKIM Tour, 2019
https://www.youtube.com/watch?v=j6QjEv8WTMI&t=2879s

সিকিম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয়তন....

21/03/2019
03/03/2019
03/03/2019
01/03/2019
25/02/2019

অমিতাভ বচ্চন ফলস, সিক্কিম, ভারতঃ
গ্যাংটক থেকে লাচুং যাবার পথে এই সুন্দর ঝর্নাটির দেখা মিলবে।

H A P P Y     V A L E N T I N E S     D A Y !!
13/02/2019

H A P P Y V A L E N T I N E S D A Y !!

শুভ বসন্ত !!!সবাইকে বসন্তের প্রান ঢালা শুভেচ্ছা.........!!
13/02/2019

শুভ বসন্ত !!!
সবাইকে বসন্তের প্রান ঢালা শুভেচ্ছা.........!!

সিকিম ভ্রমনঃ  সিকিম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয...
03/02/2019

সিকিম ভ্রমনঃ

সিকিম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী শহর গ্যাংটক। আয়তনে ভারতের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ । এর উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে চীনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তিব্বত, পূর্বে ভুটান, পশ্চিমে নেপাল এবং দক্ষিণে ভারতের অপর একটি রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। সিকিম বাংলাদেশের নিকটবর্তী ভারতের শিলিগুড়ি করিডোরের কাছাকাছি অবস্থিত। সিকিম ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা কম জনবহুল এবং আয়তনে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম। পূর্ব হিমালয় অঞ্চলের একটি অংশ সিকিম, আল্পাইন এবং উপক্রান্তীয় জলবায়ু সহ এর জীব বৈচিত্র্যের জন্য উল্লেখযোগ্য এবং সেইসাথে সিকিমে অবস্থিত কাঞ্চনজঙ্ঘা ভারতের সর্বোচ্চ পর্বত শিখর এবং পৃথিবীতে তৃতীয় সর্বোচ্চ পর্বত শিখর। সিকিমের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর গ্যাংটক। রাজ্যের প্রায় ৩৫% এলাকা কাঞ্চনজঙ্ঘা জাতীয় উদ্যান দ্বারা আচ্ছাদিত।
সিকিম রাজ্যটি ১৭ শতকের নামগিয়াল রাজবংশের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। রাজ্যটি চোগিয়াল নামে পরিচিত একজন বৌদ্ধ পুরোহিত রাজা দ্বারা শাসিত ছিল। ১৮৯০ সালে এটি ব্রিটিশ ভারতের অধীনে একটি জমকাল রাজ্য হয়ে ওঠে। ১৯৪৭ সালের পরে সিকিম ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অঙ্গরাজ্য হিসাবে ছিল। হিমালয় অঞ্চলের রাজ্যগুলির মধ্যে সিকিমে সাক্ষরতার হার এবং মাথাপিছু আয় সবচেয়ে বেশি। ১৯৭৩ সালে চোগিয়ালের প্রাসাদের সামনে রাজতন্ত্র বিরোধী দাঙ্গা শুরু হয়। ১৯৭৫ সালে জনগণ সিকিমীয় রাজতন্ত্রকে দমন করে। ১৯৭৫ সালে গণভোটের পরে সিকিম ভারতবর্ষের ২২ তম রাজ্য হিসেবে যুক্ত হয়।
আধুনিক সিকিম একটি বহুজাতিক এবং বহুভাষী ভারতীয় রাজ্য। সিকিমের ১১ টি সরকারি ভাষা রয়েছে: নেপালি, সিকিমিজ, লেপচা, তামাং, লিম্বু, নেওয়ারি, রায়, গুরুং, মগার, সুনওয়ার এবং ইংরেজী। ইংরেজি ভাষা স্কুলে পড়ানো হয় এবং সরকারী নথিতে ব্যবহৃত হয়। হিন্দুধর্ম এবং বজ্রায়ণ বৌদ্ধ ধর্ম হল সিকিমের প্রধান ধর্ম। সিকিমের অর্থনীতি মূলত কৃষি ও পর্যটনের উপর নির্ভরশীল এবং ২০১৪ সালের হিসাবে ভারতীয় রাজ্যগুলির মধ্যে এই রাজ্যটির তৃতীয়-ক্ষুদ্রতম জিডিপি ছিল,যদিও এটি বর্তমানে দ্রুত বর্ধমান অবস্থার মধ্যে রয়েছে।
সিকিম ভারতের বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক রাজ্য এবং গুয়াতেমালার পর এটি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এলাচ উৎপাদক। ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে সিকিম, তার কৃষিকে সম্পূর্ণভাবে জৈব পদ্ধতিতে রূপান্তরিত করে প্রথম ভারতীয় রাজ্য হিসাবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে। এটি ভারতের সবচেয়ে পরিবেশগতভাবে সচেতন রাজ্য, যার ফলে প্লাস্টিকের জলের বোতল এবং স্টাইরোফোম ইত্যাদি পণ্য এখানে নিষিদ্ধ।

কোন পোর্ট দিয়ে যাবেনঃ
সিকিম যাবার জন্য সবচেয়ে ভাল পোর্ট দুটি হল বাংলা বান্ধা (ভারতীয় ফুলবাড়ি) ও বুড়িমারী (ভারতীয় চ্যাংড়াবান্ধা)। আপনাকে প্রথমে শিলিগুড়ি যেতে হবে আর এই পোর্ট দুটো শিলিগুড়ি থেকে কাছে। ফুলবাড়ি থেকে শিলিগুড়ি ১৩ কিমি আর চ্যাংড়াবান্ধা থেকে শিলিগুড়ি ৮০ কিমি। ফুলবাড়ি দিয়ে গেলে আপনাকে ভেঙ্গে ভেঙ্গে বাংলাবান্ধা বর্ডারে পৌঁছাতে হবে এবং বর্ডার পার হয়ে অটোতে করে সিলিগুড়ি যেতে হবে। আর চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে গেলে সরাসরি ঢাকা- শিলিগুড়ি শ্যামলী পরিবহণের এসি বাসে করে যেতে পারবেন অথবা বুড়িমারি পর্জন্ত এসি/নন এসি বাসে গিয়ে ওপার থেকে বাসে করে শিলিগুড়ি যেতে পারবেন। এছাড়াও কেউ কলকাতা হয়ে যেতে চাইলে কলকাতা থেকে বাসে শিলিগুড়ি এসে বা ট্রেনে নিউ জলপাইগুড়ি এসে শিলিগুড়ি হয়েও যেতে পারবেন।

কিভাবে যাবেনঃ
১) বাসেঃ
i) ঢাকা – শিলিগুড়ি এসি ১৫০০/- সন্ধ্যা ০৭:৩০ টা – সকাল ০৭:০০ টা > শিলিগুড়ি – গ্যাংটক শেয়ার জীপ/রিজার্ভ জীপ ২৫০ রুপি/২৭০০-৩০০০ রুপি
ii) ঢাকা – বুড়িমারী এসি ৮০০/- সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত > চ্যাংড়াবান্ধা – শিলিগুড়ি (বাস) ৭০ রুপি সময় ২ঘন্টা > গ্যাংটক শেয়ার জীপ/রিজার্ভ জীপ ২৫০ রুপি/২৭০০-৩০০০ রুপি

২) ট্রেনেঃ
ঢাকা – পঞ্চগড় (দ্রুতযান এক্সপ্রেস) >
ষ্টেশন – বাস স্ট্যান্ড (অটো)ঃ ট্রেন থেকে নেমে অটোতে ১০ টাকা পার হেড করে বাসস্ট্যান্ডে চলে যাবেন।
বাস স্ট্যান্ড - বাংলাবান্ধা (বাস) বাসস্ট্যান্ডে প্রতি ১৪ মিনিট পরপর বাংলাবান্ধার বাস ছাড়ে। বাস ভাড়া ৭০ টাকা প্রতিজন।

৩) বিমানেঃ
সিকিমের নিকটবর্তী বিমানবন্দর ছিল বাগডোগরা যা জলপাইগুড়ি তে অবস্থিত কিন্ত সিকিমে এখন নতুন এয়ারপোর্ট হয়েছে যা অনেকেরই জানা নেই। কলকাতা থেকে প্রতিদিন স্পাইস জেট এয়ার চলে সিকিমের পাকইয়ং (pakyong) এয়ারপোর্ট এ। কলকাতা থেকে সময় লাগে ৫৫ মিনিট, ভাড়া ৩৬০০ রুপি (বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ৪০০০/-)। গ্যাংটক থেকে পাকইয়ং এয়ারপোর্ট এর দুরত্ব প্রায় ২৯ কিমি আর গাড়িতে যেতে সময় লাগে ১.৫ ঘণ্টা মত।

যাবার সম্ভাব্য সময়ঃ
মার্চ – মেঃ
মার্চ থেকে মে মাস সিকিম ভ্রমনের জন্য সবচেয়ে ভাল সময়। এ সময় শীত একটু কম থাকে আবার রাস্তা-ঘাট ও ক্লিয়ার থাকে। এটা বসন্ত কাল কাজেই প্রকিতি অনেক সুন্দর থাকে এ সময়।

অক্টোবর – মধ্য ডিসেম্বরঃ
হিমালয়ের ক্লিয়ার ভিউ পেতে চাইলে আর কাঞ্চনজংঘা কে কাছে থেকে দেখতে হলে এটি সবচেয়ে ভাল সময়।
ঢাকা থেকে সিকিম যাবার জন্য সধারনত সবাই ৬ দিনের প্ল্যান করে।

কোথায় কোথায় যাবেনঃ
১) গ্যাংটক
২) সাঙ্গু লেক
৩) লাচেন
৪) লাচুং
৫) ইয়ামথাং ভ্যালী
৬) জিরো পয়েন্ট

কোথায় কোথায় যেতে পারবেন নাঃ
বিদেশীদের জন্য নাথুলাপাস, বাবা মন্দির, গুরুদংমার লেক, কালাপাথর যাবার পার্মিশন নাই।

ইনার লাইন পার্মিটঃ
সিকিম এ যাবার জন্য ভিসার পাশাপাশি স্পেশাল পার্মিশন নিতে হয় যাকে “ইনার লাইন পার্মিট” বলে।

“ইনার লাইন পার্মিট” কোথা থেকে নিবেনঃ

i) আইভ্যাক বিডি (IVAC-BD)থেকেঃ ৭-১৪ দিন সময় আর ৩০০ টাকা খরচ হবে।
ii) শিলিগুরি জাংশনে এসএনটি (SNT-Sikkim National Transport)থেকেঃ ১০ মিনিটে বিনা খরচে।
iii) সিকিমে ঢোকার চেকপোস্ট রাংপো (Rangpo)থেকেঃ ১০ মিনিটে বিনা খরচে।

এ সকল জাইগা থেকে ইনার লাইন পার্মিট নিতে পারবেন।
*** ইনার লাইন পার্মিট যেখান থেকেই নেন না কেন, রাংপো দিয়ে ঢোকার বা বেরোবার সময় অবশ্যই অবশ্যই ‘ফরেনার রেজিস্ট্রেশন অফিসে’ নাম এন্ট্রি করে পাসপোর্টে সিল মেরে নিবেন। রাংপোতে চেকিং এর সময় আর্মি পারসনরা এ বিষয়ে কিছু বলবে না। তাই নিজ দায়িত্বে এন্ট্রি করে নিবেন।

কতজন যাবেন ও কিভাবে যাবেনঃ
গ্যাংটক বাদে অন্যান্য যায়গাগুলোতে যেতে ১দিন আগে আলাদা আলাদা পার্মিশন নিতে হয় এবং সেটা এজেন্সীর মাধ্যমে । প্লাস সাথে একজন গাইড থাকা বাধ্যতামূলক। কাজেই এই জায়গাগুলোতে যাবার আগেই একজন গাইড নিয়ে তার মাধ্যমে পার্মিশন আগের দিন নিয়ে রাখতে হবে। পার্মিশন এর জন্য ছবি, পাসপোর্ট এর কপি, ভিসার কপি ও ইনারলাইন পার্মিট এর কপি লাগবে। কাজেই এই কাগজ গুলো অন্তত ১০ কপি করে অবশ্যই সাথে রাখতে হবে।
পাহাড়ি এলাকা গুলোতে বেড়াতে গেলে একা একা না গিয়ে একসাথে কয়েকজন গ্রুপ করে যাওয়া সবচেয়ে ভাল। এতে সিকিউরিটি ও পাওয়া যায় নিজেদের আর খরচ ও অনেক কম হয়। সিকিমে বেশিরভাগ যায়গায় ঘুরতে হয় গাড়ি নিয়ে। যেহেতু পাহাড়ি এলাকা এখানে অন্যকোন লোকাল ট্রান্সপোর্ট নাই আর হেটে হেটে যাওয়া ও যায়না না। সো আপনি একজন হোন অথবা ৬ জন,একটা গাড়ির ভাড়া আপনাকে বহন করতে হবে। সিকিমের উচ্চবর্তী যে জায়গা গুলো আছে সেগুলোতে ছোট গাড়ি যেতে দেয় না। বড় গাড়ি নিতে হয়। এই গাড়িগুলোর সামনে এক সিট আর পিছনের দুই সারিতে ৩+৩=৬ সিট। মানে গাইডসহ ৭ জন সদস্য হলে গাড়ির সঠিক ব্যাবহার হবে। গাইডরা অনেকসময় ওই ৩ সিটে চারজন বসানোর কথা বলে। কিন্তু মোটা মোটা জামা পরে ৪ জন ওই ৩ সিটে বসে পাহাড়ে ৩/৪ ঘন্টার জার্নী করা মোটেও আরামদায়ক না। তাই খরচ বাচাতে চাইলে ৬ জনের গ্রুপ করে যাওয়া বেস্ট। দেশ থেকেই গ্রুপ করে যাবেন। কেউ সিকিমে গিয়ে কোন গ্রুপের সাথে যুক্ত হবার প্লান করে যাবেন না। কারন দেশের বাইরে গ্রুপ হওয়া ঝামেলা ও সময় সাপেক্ষ। মনে রাখবেন আপনি শুধু ফরেনারদের সাথে গ্রুপ করতে হবে, কারন বাংলাদেশি ব্যাতিত অন্য ফরেনাররা আসলে আপনাকে নিতে চাইবে না। আর ইন্ডিয়ান্দের সাথে গ্রুপ করে যেতে পারবেন না। কারন তাদের সিকিম যেতে কোন পার্মিশন লাগেনা। কাজেই যে সকল জাইগা থেকে পার্মিশন লাগে সেসব জাইগা দিয়ে তারা যাবেনা।

ট্যুর প্ল্যানঃ

ঢাকা টু শিলিগুড়িঃ

বাজেট ট্রাভেল (ট্রেন), পোর্ট বাংলাবান্ধাঃ

ধরে নিচ্ছি আপনাদের ৬ জনের গ্রুপ এবং সবার ভিসা ফুলবাড়ি পোর্ট দিয়ে করা। ভ্রমন শুরুর পুর্বেই ইমিগ্রেশনে ঝামেলা এরানোর জন্য সোনালী ব্যাংক(মতিঝিল হেড অফিস বা নিউ মার্কেট শাখা) থেকে প্রত্যেকের ৫০০ টাকা করে ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধ করে যাবেন। ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোদের জন্য সবাইকে যেতে হবে না। যেকোন একজন সবার পাস্পোর্টের ফটোকপি ও টাকা নিয়ে ব্যাংকে গেলেই হবে। ভ্রমন শুরুর ৫ দিন আগেই ঢাকা-পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস(ঢাকা থেকে রাত ৮ টায়) এর টিকেট কিনে ফেলবেন। শোভন চেয়ারের ভাড়া ৫৫০ টাকা। ফেরার দিন ফিক্সড থাকলে ফিরতি টিকিটও(একতা এক্সপ্রেস- পঞ্চগড় থেকে রাত ৯ টায় ছাড়ে) কেটে ফেলুন। বাসেও যেতে পারেন। বাস তেতুলিয়া পর্যন্ত যায়। বাস ভেদে বিভিন্ন ভাড়া।
 মনে রাখবেন, অনলাইনে ঢাকা-পঞ্চগড়ের টিকিট পাওয়া গেলেও পঞ্চগড়-ঢাকার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যায় না।
(পার্বতীপুর থেকে পাওয়া যায়। এই দুটি ট্রেনের ক্ষেত্রে পঞ্চগড় ডেস্টিনেশন যুক্ত হয়েছে রিসেন্ট। তাই এখনো অনলাইন হয় নাই।)।
এবার চলুন যাত্রা শুরু করি।
রাতের পঞ্চগড়গামী দ্রুতযান এক্সপ্রেসে উঠে পরুন। সবকিছু ঠিক থাকলে ট্রেন পরদিন সকাল ৬:৩০ টায় পঞ্চগড় পৌছানোর কথা।
খরচঃ ৫৫০ টাকা(ট্রেন) + ৫০০ টাকা (ট্রাভেল ট্যাক্স)=১০৫০ টাকা।

ট্রেন থেকে নেমে অটোতে(১০ টাকা পার হেড) করে বাসস্ট্যান্ডে চলে যাবেন। বাসস্ট্যান্ডে প্রতি ১৪ মিনিট পরপর বাংলাবান্ধার বাস ছাড়ে। বাস ভাড়া ৭০ টাকা প্রতিজন। বাস থেকে নেমে বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন সেন্টার। এখানে ৪০.৬৯ টাকার একটা প্যাসেঞ্জার স্লিপ দিবে। সেটা পরিশোধ করবেন। এছাড়া স্লিপ ছাড়া কোন টাকা চাইলে দিবেন না । টাকা চাইলে স্লিপ চাইবেন। জেনে রাখা ভালঃ আপনি সরকারি নিয়ম অনুযায়ি বৈধভাবে টাকা ১০০০০ এবং ইউএসডি ৫০০০ সাথে রাখতে পারবেন ইন্ডিয়া ভ্রমনের সময়।
বাংলাদেশ পার্টের ইমিগ্রেশোনের কাজ শেষ হলে সোজা হেটে জিরো পয়েন্ট পার হয়ে ইন্ডিয়ান ইমিগ্রেশোনে চলে যাবেন। এখানেও প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে বের হয়ে যাবেন। ইন্ডিয়ান পার্টে কিছু টাকা দিতে হতে পারে । এরা আরো বড় ছ্যাঁচড়া। ইমিগ্রেশন অফিসের উলটা পাসেই কিছু মানি এক্সচেঞ্জের দোকান আছে। আপনার বাংলা টাকা এখান থেকে রুপি করে নিন। বাংলাদেশ থেকে যাবার সময় কারো কাছে ভারতীয় সিম থাকলে সংগ্রহ করে নিন। সিম না পেলে এখান থেকে একটা সিম কিনে নিন এবং একটা ভালো টকটাইম ও নেটওয়ার্কের প্যাকেজ এক্টিভেট করে নিন। টাকা ভাঙ্গানো শেষে শিলিগুরি জাংশন পর্যন্ত একটা অটো ভাড়া করুন।ডিরেক্ট কেউ যেতে রাজি না হলে অটোতে করে ফুলবাড়ি বাজার পর্যন্ত চলে আসুন। দেন বাজার থেকে শীলিগুরি জাংশনের গাড়ি/অটো/ভটভটি পাবেন। পারহেড ৪০ রুপির মত খরচ হবে।

নরমাল ট্রাভেল (এসি/নন এসি বাস), পোর্ট বুড়িমারীঃ

ঢাকা শিলিগুড়ি শ্যামলী পরিবহণের ডিরেক্ট এসি বাস সন্ধ্যা ৭:৩০ এ কল্যানপুর থেকে ছেড়ে যায় ভাড়া ১৫০০/- টাকা। সকাল ৭টা নাগাদ আপনি বুড়িমারী পোর্ট এ পৌঁছে যাবেন। এছাড়া বিভিন্ন এসি ও নন এসি বাস বুড়িমারী পর্জন্ত চলে এসি ৮০০/- টাকা নন এসি ৬০০/- টাকা ভাড়া। ডিরেক্ট শিলিগুড়ির বাসে গেলে বাস থেকে নামার আগেই আপনার পাসপোর্ট ও ট্রাভেল ট্যাক্স এর টাকা + ১০০/- টাকা বোকশিস বাসের সুপারভাইজার এর হাতে দিয়ে দিন সে ট্রাভেল ট্যাক্স দিয়ে কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশনের বাকি সব কাজের জন্য আপনাকে সব ধরনের সহায়তা করবে। আপনার কোন ঝামেলাই পোহাতে হবেনা।
বুড়িমারী নেমে বাস কাউন্টার এর নিজস্ব কিছু রেস্ট রুম থাকে সেগুলোতে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে ফ্রেস হয়ে নিন। এরপর বুড়ির হোটেলে সকালের নাস্তা, চা। ৯টায় পোর্ট ওপেন হলে ইমিগ্রেশন শেষ করে নো ম্যান্স ল্যান্ড দিয়ে হেটে ওপারের চ্যাংড়াবান্ধা পোর্ট এ চলে যান ইমিগ্রেশন এর জন্য। সেখানে ১৫-২০ মিনিটের ভিতরেই আশা করি ইমিগ্রেশন হয়ে যাবে। এবার আপনার সাথে থাকা বাংলা টাকা বা ডলার রুপিতে ভাঙ্গিয়ে নিন শ্যামলীর কাউন্টার থেকে। কাজ আপাতত শেষ। মনে রাখবেন টাকা এখান থেকেই রুপি করে নিবেন। পরে রুপি করতে অনেক ঝামেলা হবে, রেটও কম পাবেন। এবার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা শ্যামলীর এসি বাসে উঠে পড়ুন।
যারা ডিরেক্ট বাসে যাবেন না তারা চ্যাংড়াবান্ধা থেকে বাসে বা জীপে করে শিলিগুড়ি জংশনে চলে আসুন।

শিলিগুড়ি টু গ্যাংটকঃ

শিলিগুরি জাংশন এ পৌছে এসএনটি তে যাবেন। ইনার লাইন পার্মিট বাংলাদেশ থেকে করা না থাকলে এখান থেকে করে ফেলতে পারেন।এখানে এক কপি ছবি,পাসপোর্ট ও ভিসার ১ কপি করে জেরক্স কপি দিতে হবে এবং ১ টা ফর্ম পুরন করতে হবে। এখানে কর্মরত ব্যাক্তিরা অনেক হেল্পফুল। পার্মিশন পেয়ে গেলে শেয়ার্ড জীপের টিকিট কেটে ফেলুন। ২৫০ রুপি করে টিকিট।বাসেও যাওয়া যায়। তবে বাসে অনেক সময় লাগে। জীপে করে রওনা দেবার আগে বলে রাখবেন আপনারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন এবং রাংপোতে কিছুক্ষন দাড়াতে হবে। রাংপো চেকপোস্টে পৌছালে আর্মিকে ইনার লাইন পার্মিট শো করুন এবং জীপ থেকে নেমে বাম পাশে ফরেনার রেজিস্ট্রেশন অফিসের দোতলায় গিয়ে এন্ট্রি করে পাস্পোর্টে সিল মেরে নিন। যারা ঢাকা অথবা শিলিগুরি থেকে ইনার লাইন পার্মিট নেননি তারা এখান থেকে তা সংগ্রহ করতে পারেন। প্রসিডিউর একি। রাংপোতে কাজ শেষ হলে আবার জীপে করে সোজা গ্যাংটক। গ্যাংটকে নেমে প্রথমেই ইনার লাইন পার্মিটের ১০ কপি করে জেরক্স করে নিন।

আমরা মোটামুটি ভালো মানের হোটেলে থাকবো। এমন একটা হোটেল নরইয়াং(Hotel Noryang)।পরিস্কার পরিচ্ছন্ন হোটেল।এই হোটেল এর বড় সুবিধা হচ্ছে এটি গ্যাংটকের সেন্টার এমজি মার্গের একদম কাছে। এখানে ১০০০/- টাকার ভিতরে আরো অনেক ভাল ভাল হোটেল আপনারা পাবেন।

হোটেল ঠিক হয়ে গেলে আপনাদের ঘুরাঘুরির জন্য এজেন্সির শরণাপন্ন হতে হবে। আর এজেন্সির ব্যাপারে চোখ বন্ধ করে যোগাযোগ করতে পারেন সোনম ওরফে ম্যাজিক ম্যানের সাথে। খুব ভালো ছেলে। চোস্ত ইংলিশ বলে। ও আপনাদের সব ধরনের হেল্প করতে পারবে। সোনমের ফোন নাম্বারঃ +৯১৮০০১৬৩০৪৭৫। ওকে ফোন দিয়ে বলবেন পরের দিন গ্যাংটকের আশেপাশে যে ১০ টা সাইট আছে সেগুলো ঘুরতে চান। তাহলে সে পরের দিন আপনাদের জন্য একটা গাড়ীর ব্যাবস্থা করে রাখবে। খরচ পরবেঃ ২৫০০-৩০০০ রুপি।

দিন ০২ঃ

সিকিমে ২য় দিন সকালে সাইট সিয়িং এ যাবার আগে পরের দিনের ইস্ট সিকিমে ছাঙ্গু লেকে ভ্রমনের পার্মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ সোনমকে দিয়ে দিন। সিকিমে বিদেশীদের ঘুরার নিয়ম হচ্ছে পরের দিন ঘুরার পার্মিশনের জন্য আগের দিন দুপুর ১ টার আগেই সকল কাগজ জমা দিতে হবে।
পার্মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজঃ
১) ৩ কপি ছবি
২) পাসপোর্ট ও ভিসার ২ কপি করে ফটোকপি
৩) ইনার লাইন পার্মিটের ১ কপি করে ফটোকপি
খরচঃ ৫০০(ঘুরাঘুরি)+৫০০(হোটেল)=১০০০ রুপী

দিন ৩ঃ

সিকিমে ৩য় দিন সকালে সাঙ্গু লেক ভ্রমনের পুর্বে পরের দুই দিন ইয়ামথাং ভ্যালী ভ্রমনের পার্মিশনের জন্য কাগজ গাইডের কাছে জমা দিয়ে যাবেন। সাঙ্গু লেক ভ্রমনের খরচ পরবে ৪৫০০-৫০০০ রুপী । ছাঙ্গু লেকে গেলে অবশ্যই কেবল কারে উঠবেন। খরচ পরবে ৩২৫ রুপী।
খরচঃ ৮৬০(ঘুরাঘুরি)+ ৫০০(হোটেল) +৩২৫(রোপ কার)=১৬৮৫ রুপী

দিন ৪ + ৫ঃ

সিকিমে ৪র্থ দিন নর্থ সিকিম ভ্রমণের পুর্বে হোটেল থেকে চেক আউট করতে হবে। কারন নর্থ সিকিমে ইয়ামথাং ভ্যালী ভ্রমণের জন্য এক রাত মাঝরাস্তায় লাচুং নামক গ্রামে কাটাতে হবে। এই প্যাকেজে ডিনার, ব্রেকফাস্ট ও হোটেলভারা ইঙ্কলুডেড থাকবে। টোটাল খরচ পরবে ১৯০০০-২০০০০ রুপী। নর্থ সিকিমে যাবার পথে বেশ কিছু ঝরনা ও সাইট সিয়িং পরবে। ভাগ্য ভালো থাকলে কাঞ্চনঝঙ্গার দেখা পেতে পারেন। ৫ম দিন ইয়ামথাং ভ্যালি ঘুরার পর একি রাস্তায় জিরো পয়েন্টো ঘুরে আস্তে পারেন। সেক্ষেত্রে ড্রাইভারকে অতিরিক্ত ৩০০০ রুপী দিতে হবে। তবে জিরো পয়েন্টে ঘুরার ডিসিশন নেবার পুর্বে অবশ্যই জেনে নিবেন জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তা ক্লিয়ার আছে কিনা। কারন বছরের বেশীরভাগ সময় এই রাস্তা বরফে আচ্ছাদিত থাকে। ড্রাইভাররা বারবার যাবার জন্যে প্ররোচিত করবে। কিন্তু অর্ধেক রাস্তায় যেয়ে বলবে আর যাওয়া যাচ্ছে না। তাই আগেই কনফার্ম হয়ে নিবেন।

খরচঃ (জিরো পয়েন্ট বাদে) ৩৩৩৪(ইয়ামথাং ভ্যালী)+ ৫০০(৫ম দিন রাত হোটেল)=৩৮৩৪ রুপী

দিন ৬ঃ

ষষ্ঠ দিন গ্যাংটক থেকে দেশের পথে ব্যাক করতে পারেন আবার কেউ ওয়েস্ট সিকিমে পেলিং ঘুরে একদিন পরে দেশে রওনা দিতে পারেন। আকাশ ক্লিয়ার থাকলে পেলিং থেকে কাঞ্চনঝঙ্গার সবচেয়ে সুন্দর ভিউ দেখা যায়। পেলিং গ্যাংটক থেকে ফেরার পথে পড়ে। পেলিং এ যেতে কোন পার্মিশোন লাগে না, কোন গাইডও লাগে না। পেলিং নিজেরা গাড়ি ভাড়া করে যেতে পারেন। খরচ পরবে ৩৫০০ রুপী। যারা পেলিং যাবেন না তারা সকালে গ্যাংটকে শিলিগুড়ি বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে শেয়ার্ড জীপের টিকিট কাটবেন। ভাড়া ২৫০ রুপী। ফেরার পথে যথারীতি রাংপোতে গাড়ি থামিয়ে ফরেইনার রেজিস্ট্রেশন অফিস থেকে পাসপোর্টে এক্সিট পাস নিয়ে নিন। শিলিগুরি পৌছে হাতে সময় থাকলে কসমস মল ও হংকং মার্কেট থেকে প্রয়োজনীয় শপিং করে নিতে পারেন।
দুপুর ০২:৩০ এর মধ্যে শিলিগুড়িতে শ্যামলীর এসি বাস কাউন্টারে চলে আসুন। যারা নন এসি বাসে বুড়িমারি বা বাংলাবান্ধা থেকে যাবেন তারাও আসার সময় যেভাবে এসেছেন একিভাবে বর্ডার ক্রস করে বাসে উঠে পড়ুন। এছাড়া ট্রেনে গেলে ফুলবাড়ি পৌছে যতদ্রুত সম্ভব ইমিগ্রেশন শেষ করে ৫ টার মাঝেই দেশে প্রবেশের চেষ্টা করবেন। দেশে প্রবেশ করে বাংলাবান্ধায় ইমিগ্রেশন এর কাজ শেষ করবেন। এখানে পুর্বের ন্যায় ৪০.৬৯ টাকা পরিশোধ করতে হবে। ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ হলে ইমিগ্রেশোন অফিসের সামন থেকেই পঞ্চগড়ের বাসে উঠে পড়ুন। দেড় থেকে দুই ঘন্টার মধ্যেই পঞ্চগড় বাসস্ট্যান্ডে পৌছে যাবেন। সেখান থেকে অটোতে করে স্টেশন। ট্রেন রাইট টাইম থাকলে রাত ৯ টার একতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ুন। সব ঠিক থাকলে ৭ম দিন সকাল ৬:৩০ টায় ঢাকা পৌছে যাবার কথা।

সর্বমোট খরচ ১৪০০০-১৫০০০ টাকা। আরো কম খরচে যেতে পারবেন যদি ডাবল বেডে ৩ জন থাকতে পারেন আবার গাড়িতে ৩ জনের সিটে ৪ জন যেতে পারেন(ইন্ডিয়ানরা এভাবে যায়)। তবে এ ধরনের লম্বা ট্যুরে যেটা অল্মোস্ট রোডট্রিপ, সেখানে গাড়ীতে মোটামুটি রিলাক্সে না বসতে পারলে কস্ট হয়ে যাবে।

H A P P Y  N E W  Y E A R  2 0 1 9সবাইকে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা............
31/12/2018

H A P P Y N E W Y E A R 2 0 1 9

সবাইকে ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা............

সবাইকে ৪৮ তম মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ......
16/12/2018

সবাইকে ৪৮ তম মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ......

01/11/2018

Celebrate and enjoy the festival of lights

06/08/2018

নিরাপদ সড়ক চাই
স্বস্তি তে বাঁচতে চাই
বিশ্ব ঘুরে দেখতে চাই ।।

এসো হে বৈশাখ, এসো এসোতাপস নিঃশ্বাস বায়েমুমূর্ষুরে দাও উড়ায়েবৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাকএসো এসো...সবাইকে বাংলা ...
13/04/2018

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো
তাপস নিঃশ্বাস বায়ে
মুমূর্ষুরে দাও উড়ায়ে
বৎসরের আবর্জনা দূর হয়ে যাক যাক যাক
এসো এসো...
সবাইকে বাংলা নববর্ষের প্রান ঢালা শুভেচ্ছা.........!!!

Address

Mirpur
Dhaka
1216

Opening Hours

Monday 09:00 - 17:00
Tuesday 09:00 - 17:00
Wednesday 09:00 - 17:00
Thursday 09:00 - 17:00
Friday 09:00 - 17:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 17:00

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when the T R A V E L E R S posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to the T R A V E L E R S:

Videos

Share

Category