Mega Tours BD

Mega Tours BD Mega Tours BD Travel Agency
We Provide
Tour Package
Visa
Air Ticket
Hotel Booking

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৯৫)★"আনন্দ বেদনা পাশাপাশি চলে।" মিশর সফর করছি। এ সফরে ফেরাউনদের সম্পর্কে জেনেছি। মিশরের প্রতিটি পদক...
03/11/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৯৫)★

"আনন্দ বেদনা পাশাপাশি চলে।"

মিশর সফর করছি। এ সফরে ফেরাউনদের সম্পর্কে জেনেছি। মিশরের প্রতিটি পদক্ষেপে মনে হয় যেন, রামাসেস ২ মানে ফেরাউন, যিনি মুসা আ: এর সাথে আল্লাহ তালার বিরুদ্ধে কট্টর ভূমিকায় ছিলেন। তিনি এখনো জীবিত কারন, দেশের স্থানে স্থানে রয়েছে তার স্ট্যাচু। মোসা আঃ লোহিত সাগরের অলৌকিক রাস্তা অতিক্রম করলেন দলবল সহ, আর ফেরাউন সাগরের ওই রাস্তায় ডুবে মারা গেলেন। লুক্সরে যেখানে তার জন্মভূমিতে কবর খোঁড়া হয়েছিল, দেখলাম।কিন্তু তিন হাজার বছর পর্যন্ত লাশ খুজে পাওয়া যায়নি। সমুদ্রে পরে পাওয়া যায়, বর্তমানে তার মমি রয়েছে,মিশর মিউজিয়ামে।

লোক্সরে প্রাচীন ধ্বংসাবশেষ রাজপ্রাসাদ, পৃথিবীর দীর্ঘতম নীলনদ রাস্তার দু'ধারে অববাহিকা অঞ্চলে, কৃষি ভূমি মিশরকে সকল আফ্রিকার দেশ থেকে আলাদা করেছে। এই নদের তীরে বিশ্বের সবচাইতে প্রভাবশালী রানী ক্লিপেট্রার প্রাসাদ, পানির নিচে এবং উপরে এখনো কালের সাক্ষী হয়ে আছে।
পবিত্র কোরআনে হযরত ইউসুফ আ: এর স্মৃতি বিজড়িত দেশ মিশর, প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি দেখা, অতি সৌভাগ্যের বিষয়।

অনেকবার মিশরকে দেখেছি। প্রতিবারই নতুনভাবে দেখেছি, মিশরের পিরামিড সপ্তম আশ্চর্যের একটি। এর কাহিনী ছোট্ট পরিসরে লেখা সম্ভব নয়। ফারাও যুগের রাজাদের নাম সংরক্ষনে এই পিরামিড নির্মিত হয়েছিল। আলেকজান্দ্রিয়ায় কোথাও কোথাও মাটির নিচে প্যাঁচানো সিঁড়ি বেয়ে, অনেক নিচ পর্যন্ত তাদের স্মৃতি ধারণ করা আছে। রোমান থিয়েটার আশ্চর্য এক নিদর্শন। বিশ্বের প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয় আছে আল আজহার এবং বিশ্বের বৃহত্তম লাইব্রেরী শোভা পাচ্ছে ভূমধ্যসাগর তীরে।

আলেকজান্দ্রিয়ার প্রাচীন বাতিঘর, ক্যান্টনমেন্ট ভূমধ্যসাগরকে অলংকৃত করেছে। আলেকজান্দ্রিয়ার মুরতাজা গার্ডেন দেখতে আসেন প্রতি বছর বিশ্ব নেতৃ বৃন্দ। আলেকজান্ডার দি গ্রেট এর লুক্কায়িত কবর, আলেকজান্ডারীয়ায়। আসুয়ান ডাম, কায়রো, মিশরের রাজধানী এবং সুয়েজ খাল দেখে দেশের ফেরার কথা ভাবছি।

রওনা হবার দুই দিন আগে ঢাকায় খবর পেলাম, আমার স্ত্রী সাবেক বিএনপি'র এমপি নূর আফরোজ জ্যোতির বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে বগুড়া কোর্টে মামলা করা হয়েছিল। মামলাটিতে তিনি জামিনে ছিলেন। রাজনীতি বিদদের মতে ফর্মাইসি আদালত জামিন বাতিল করলেন। আদালতে সময় চাওয়া হলেও, না মঞ্জুর হল । সাফাই সাক্ষী চাওয়া হল, নামঞ্জুর হল।নিজে সাক্ষী দিতে চাইলেন, তাও না মঞ্জুর হলো।
ঢাকা থেকে উকিল নেয়া হল। তারিখের দিন উকিল কে, কোন কিছু বলতে অনুমতি দেয়া হলো না। তারিখের দিন আমাদের টিম কায়রো থেকে শারজাহ হয়ে ঢাকা পৌঁছে। এর মধ্যে টিমের কেউ বুঝতে পারেনি আমার বিষয়টি, আমার উপর দিয়ে প্রবাহিত ঝড়ের গতি।

এয়ারপোর্ট থেকে টিম চলে গেলেন, নিজ নিজ বাড়িতে। আমি স্ত্রীর খোঁজখবর নিতে বাসায় গিয়ে জানতে পারলাম, স্ত্রী জেলে। এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা করা সম্ভব নয়, প্রস্তুতি নিলাম হাইকোর্টে আপিল করতে। বগুড়ায় চেষ্টা নিলাম এমপি হিসেবে ভিআইপি মর্যাদা পাবার। প্রশাসন থেকে বলা হল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে, ইতোমধ্যে ভিআইপি আসনটি দেয়া হল এক হিজরাকে। আর ভি আই প্রাপ্যকে দেয়া হলো মেঝেতে। খামাখা সময় নষ্ট না করে হাইকোর্টে জামিনের চেষ্টা করি।

বন্ধুদের অনুরোধে, আমি টোয়াব নির্বাচনে অংশ গ্রহণের জন্য আবেদন করেছিলাম। প্রতিদিন নির্বাচন ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে হয়। ঢাকা, সিলেট, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, ময়মনসিংহ প্রতিটি অঞ্চলে সফর করতে হচ্ছে। সপ্তাহে একদিন বগুড়ায় জেলখানায় স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি। ঈদে চোখের পানিতে পরিবারকে নিয়ে কোরবানির মাংস খেতে বসি। প্রত্যেকের চোখের পানিতে খাওয়া হয় না। জেল খানায় মাংস পাঠানোর ব্যবস্থা করা হলেও তা ঠিকমতো পৌঁছেনি। অফিস, নির্বাচন, জেলখানায় খোঁজখবর, হাইকোর্ট সব জায়গায় দায়িত্ব পালনের জন্য শারিরীক অবস্থা অসহনীয়, খারাপ আকার ধারণ করে। তবু যেন কিছু হয়নি। নিকটতম বন্ধুরা জানলেও কিছুই তাদের করার ছিল না তাদের মুখে সান্ত্বনা দেয়ার ভাষা ছিল না। তারাও ভীষণভাবে মর্মাহত। হৃদয়বিদারক ঘটনা, সান্তনা দেবার ভাষা নেই বলে, তারাও স্বাভাবিক।

নির্বাচনে ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলাম।
আমার স্ত্রী বগুড়ায় একটি কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। ২০১০ সালে সাসপেন্ড করা হলো। কোন কারণ দর্শানো হয়নি। হাই কোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের রায় গুলো আমাদের পক্ষে, কিন্তু কলেজে যেতে দেয়া হয়নি গুন্ডাবাহিনী দিয়ে। ন্যায় সঙ্গত অধিকার আদায়ে বারবার গিয়েছেন, বারবার অন্যায় ভাবে প্রবেশে বাধা দেয়া হয়েছে। কলেজের বেতন ব্যক্তিগত হিসাব থেকে অন্যায় ভাবে তুলে নেয়া হয়েছে।

প্রশাসন সরকারি মদদে প্রমোশন এর আশায় যা তা খারাপ ব্যবহার করেছে। আইন আদালত কিছুই মানেনি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েরকে মিথ্যা ভাবে কাগজপত্র দেখিয়ে হয়রানি চরম সীমায় পৌছে। মাঝে মাঝেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বিভিন্ন আদেশ কে জালিয়াতি করে আমল আসল সত্যকে গোপন করা হয়। শিক্ষা অধিদপ্তরের আদেশে পাওনা বেতন আনতে গেলে কলেজ থেকে বিল করতে দেওয়া হয়নি। এমন অনেক অত্যাচারের কাহিনী যা সইতে হয়েছে।

মামলায় হাইকোর্টে জামিন হল। বিচারপতি শুনানিতে বলেন, শুধু কি বিএনপি বলেই ! ........।

৮৩ দিন জেলে থাকার একটি নির্মম বর্ণনা। এ ঘটনা শুধু বগুড়া, রাজশাহী নয়, পুরো দেশ জানে। এসব পত্রপত্রিকা টেলিভিশনেও সম্প্রচারিত হয়েছে। আজকে আল্লাহর নিকট প্রার্থনা আল্লাহ পরম শত্রুকেও এমন শাস্তি যেন না দেন।

মিশর ভ্রমণ পুরোপুরি আনন্দদায়ক হয়েছে। মানুষ নামে অমানুষের জুলুম বেদনাদায়ক হলেও আনন্দ ও বেদনা পাশাপাশি চলে। যারা বোঝে না, তারা ভুল করে।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৯৪)★"রাজনীতিবিদদের নিকট দেশবাসী কি চায়?" আমি রাজনীতিবিদ নই। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, সরকারি কর্মকর্তা,...
02/11/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৯৪)★

"রাজনীতিবিদদের নিকট দেশবাসী কি চায়?"

আমি রাজনীতিবিদ নই। অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, সরকারি কর্মকর্তা, সচেতন নাগরিক। আমার মনে পড়ে গোপাল ভাঁড়ের একটা গল্প। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কয়েকজন চিকিৎসক নিয়োগের জন্য, গোপাল ভাঁড় কে সাক্ষাৎকার নেয়ার আদেশ দিলেন। গোপাল ভাঁড় প্রথম প্রার্থীকে প্রশ্ন করলেন, চিকিৎসক হিসেবে এ যাবৎ কতজন রোগী মারা গেছেন? উত্তরে চিকিৎসক বললেন, এযাবৎ আমার কোন রোগী মারা যায়নি। দ্বিতীয় জনকে একই প্রশ্ন করলেন, তিনি উত্তরে বললেন, দুইজন রোগী মারা গেছেন। তৃতীয় জনকেও একই প্রশ্ন করলেন, তিনি বললেন ৫ জন। চতুর্থ জন ১০ জন, পঞ্চম জন 20 জন, এভাবে ১০ জন পর্যন্ত চিকিৎসকের সাক্ষাৎকার নিয়ে গোপাল ভাঁড় বললেন, ১০ জন চিকিৎসকের হাতে শহরের যত বাড়ি থেকে লোক মারা গেছেন , এই শহরের প্রতি পরিবারের গড়ে, একজন করে মারা গেছেন। বাকিদের হাতে আর মারার সুযোগ নেই। তাই পরীক্ষা বন্ধ।প্রতিজন চিকিৎসক ভাবতেন, ওর অল্প রোগী মারা যাওয়ায় পরীক্ষক সন্তুষ্ট নন । তাই বাড়িয়ে বলা যুক্তি সঙ্গত। এভাবে সবাই মৃতের সংখ্যা বাড়াতে গিয়ে অযোগ্য হয়ে গেলেন।

বাংলাদেশ পৃথিবীর মানচিত্রে এক গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান করছে। এর ঐতিহাসিক, ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান দৃঢ়। জাতি হিসেবে পৃথিবীতে সম্মানজনক স্থানে প্রতিষ্ঠিত হলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি। এটা ইতিহাসের নির্মম শিকার, এ দেশের ১৮ কোটি মানুষ এবং সাক্ষী বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষ।

সম্প্রীতি ৫ আগস্ট দেশের বৈষম্যহীন ছাত্রসমাজ ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার সরকারের পতন হয়েছে। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নিয়েছে।

দেশে জানামতে,৬১টি রাজনৈতিক দল রয়েছে। এর মধ্যে কিছু কিছু নাম সর্বস্ব হলেও জনগণের জন্য কথা বলেন। এজন্য সম্মান করি। এর চেয়ে বেশি দল থাকতে পারে, তাদের সকলের প্রতি সম্মান রেখে কিছু ভাবছি।

আমাদের রাজনীতিবিদদের ভাবনা থেকেই বলছি। ১৬ বছরের মহা সংগ্রাম পেরিয়ে ৫ আগস্ট থেকে কথা বলার সুযোগ পেয়ে কেউ কেউ বলছেন, আমরা ক্ষমা করে দিয়েছি। কিন্তু আপনি ক্ষমা করার কে? ক্ষমা করবে কোর্ট অথবা ভবিষ্যৎ আইন পরিষদ।

ক্ষমতায় থেকে বলা যায় না, এক স্বৈরাচার বিদায় করে দিয়েছি অন্য স্বৈরাচার আসতে দেবো না। কাউকে বহিষ্কার না করে, অভিযোগের মীমাংসার না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী বহিষ্কার বা রাজনীতি করার স্থগিত চিন্তা করা যেতে পারে, এটাই হওয়া উচিত। বিচার না হওয়া পর্যন্ত দল রাজনীতি করতে পারবে না।

একমাস পর সরকার উচ্ছেদ করব, এমন কথাও বলা উচিত নয়। মনে রাখতে হবে, এটা রাজনৈতিক সরকার নয়। সময় দিতে হবে।ধৈর্য ধরতে হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ সীমিত। তাদের প্রধান কাজ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। এজন্য আইন শৃঙ্খলা ও দেশের স্বাধীনতা ও সর্বভৌমত্ব বজায় রাখা। পরিবেশের মতো কোনো জটিল কাজে হাত দিয়ে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যায় হাত দেয়া, সেন্ট মার্টিন পর্যটনে হাত দেয়া সমস্যা বাড়ানোর সামিল। এ কাজ করতে হলে রাজধানীর বুড়িগঙ্গা নদী ও সদরঘাটের সর্বাগ্রে সংস্কার প্রয়োজন।

১৬ বছরের রাজনৈতিক মামলাগুলো খারিজ করা ও অপরাধীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করা।যারা জীবন দিয়েছেন, তাদের ক্ষতিপূরণ এবং যারা আহত তাদের চিকিৎসা করা একান্ত আবশ্যক।দেশের রাষ্ট্রপতিকে সরাতে বাঁধা থাকার কথা নয়। এটা বিপ্লবী সরকার। দেশের শাসনতান্ত্রিক সরকার নেই। প্রয়োজনবোধে এই সরকারকে সহযোগিতা করা আবশ্যক। শপথ ভঙ্গ কারী রাস্ট্রপতির ক্ষমতা থাকার আইনগত কোনো অধিকার নেই। সর্বাগ্রে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করে এ লক্ষ্যে এগিয়ে যান। দেশের পঞ্চম বাহিনী অবিরত কাজ করে যাচ্ছে। জনপ্রিয় কাজ নিয়ে এগিয়ে যান। পঞ্চম বাহিনী ধ্বংস হয়ে যাবে। শক্ত হাতে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করুন। অপরাধীরা অনুতপ্ত হোন, এই দেশ আপনারও। দেশকে ভালোবাসা ঈমানের অঙ্গ। দেশকে গড়ে তুলতে সহযোগিতা করুন।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম যাতে বৃদ্ধি না পেতে পারে, সেজন্য চাল ডাল তেল লবণ ইত্যাদি রেশনে দিন।

প্রতিদিন নিত্যনতুন দাবি নিয়ে, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মিটিং, মিছিল করে যাচ্ছে। রাজনীতিবিদদের সাথে অন্তরবর্তী কালীন সরকারকে ঘন ঘন মিটিং করতে হবে। তাদের পরামর্শ নিয়ে, জাতির প্রয়োজনে যা করা দরকার তাই করবেন। নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিন, নইলে ভবিষ্যতে সমস্যার সমাধান দুরুহ হয়ে উঠতে পারে।

অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে নিয়ে, বিচারের মাধ্যমে, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনুন। নির্বাচন দিতে বেশি সময় নিলে, নানা জন নানা, দাবী উঠিয়ে সরকারকে চাপের সম্মুখীন করবে।

সকল রাজনীতিবিদ ও দলকে বিশেষ অনুরোধ করবো, দেশবাসী চায়, জাতীয় স্বার্থে সর্বোচ্চ ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে। নির্বাচনে দলকে জনগণের নিকট মেনুফেস্টু ও ইশতেহার নিয়ে যথা সময় হাজির হবেন। নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারে ঐক্যবদ্ধ হন। নইলে ঈগল ছু দিতে পারে। গোপাল
ভাঁড়ের চিকিৎসকদের মতো হবেন না। কসাইয়ের ছুরি ব্যবহার করবেন না। ডাক্তারের ছুরি ব্যবহার করে দেশকে রাহু মুক্ত রাখুন।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৮)★"৮২১ বছর যাবত লক্ষন সেনের পদত্যাগপত্র খুজছি"আমার এক প্রাক্তন ছাত্র সিনিয়র বি.সি.এস অবসর প্রাপ্...
24/10/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৮)★

"৮২১ বছর যাবত লক্ষন সেনের পদত্যাগপত্র খুজছি"

আমার এক প্রাক্তন ছাত্র সিনিয়র বি.সি.এস অবসর প্রাপ্ত কর্মকর্তা, আমাকে ইনবক্স করে জানান, "পেছনে দরজা দিয়ে নদীয়া পালিয়ে যাওয়ায় লক্ষণ সেনের পদত্যাগ পত্র এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি "। সুতরাং, লক্ষ্মণ সেনই বাংলাদেশের বৈধ অধিপতি।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ৫ আগস্ট গণ অভ্যুত্থানে ভারতে পালিয়ে যান।যাবার সময় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির নিকট পদত্যাগপত্র পেশ করেন বলে, উক্ত তারিখে রাত ১১.২০ মিনিটে দেশবাসীকে জানান রাষ্ট্রপতি। পরবর্তীতে সুপ্রিম কোর্টের রেফারেন্সে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি । ২১ অক্টোবর তারিখ তিনি পত্রিকার এক সম্পাদক কে বলেন,রাষ্ট্রপতি অনেক খুঁজেছেন, পদত্যাগ পত্রটি, কোথাও পাননি। তার কাছে পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই।

মহামান্য রাষ্ট্রপতিকে ৫ আগস্ট এবং ২১ অক্টোবর " দু-দিন, দু চেহারায় দেখলাম"। গণতান্ত্রিক অধিকার হিসেবে বলতেই পারি, তিনি শপথ ভঙ্গ করেছেন। এজন্য অভি সংসন হতো যদি পার্লামেন্ট ভেঙ্গে দেয়া না হত এবং প্রধানমন্ত্রী স্বপদে থাকতেন। এখন তার কার্যকলাপে রাষ্ট্রপতি তার যোগ্যতা হারিয়েছেন।

যেহেতু বিপ্লবী সরকার, সেজন্য সংবিধান তো কার্যকরী নেই। এখন বিপ্লবী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, দেশ ও জাতির প্রয়োজনে যে কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

ধান নেই খড় ভেঙে লাভ নেই। এটা বিশেষ মহলের একটা কারসাজী, যারা গত তিনটে নির্বাচনে জাতিকে ঠকিয়েছে,এ কথা তাদেরই। সাবেক প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ দেন বা না দেন এটা প্রযোজ্য নয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রী কে আল্লাহর প্রতি শুকরিয়া করা উচিত। না পালালে তার কি পরিণতি হত,তা আল্লাহই ভালো জানেন।

লক্ষণ সেন ১২০৩ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মোহাম্মদ বখতিয়ার খিলজির আগমন বার্তায়, তিনি পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যান। ৮২১ বছর হয়ে গেল, কিন্তু কেউ তার পদত্যাগপত্র খুঁজে পায়নি।

এ খবরে পৃথিবীর অন্যতম স্বৈরাচারী উগান্ডার ইদি আমিন এর বংশধরগন নড়ে চরে উঠেছেন।ইদি আমিন পালিয়েছেন ১৯৭৯ সালে কিন্তু তার পদত্যাগ পত্র,আজ পর্যন্ত কেউ খুজে পাননি। তার কবর যাতে উগান্ডায় হয়, মৃত্যুর আগে দেশে আসার আকুল আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু দেশবাসী গ্রহণ করেনি তার আবেদন।

বাংলাদেশের বর্তমান খবরের বিস্মিত ইরানের রেজা শাহ পাহলবীর বংশধর। যদিও তার ছেলে বা মেয়ে উত্তরশুরী কেউ জীবিত নেই। জ্ঞাতি গুষ্টির লোকজন ভাবছিল, রেজা শাহ নিজেও পদত্যাগ পত্র দেননি। কাজেই ইরানের ময়ূর সিংহাসন নিশ্চয়ই তারা ফিরে পেতে পারেন।
এই ময়ূর সিংহাসন রক্ষার জন্য নিঃসন্তান রেজা শাহ রানী সুরাইয়ার ঘরে কোন সন্তান না হওয়ায়, তিনি মিশরের বাদশা ফারুকের বোন প্রিন্সেস ফারাহ ডিবাকে বিয়ে করেন।///

ফারাহ ডিবা এক পুত্র ও এক কন্যার জন্ম দেন ঠিকই, কিন্তু রাষ্ট্র ক্ষমতা হারান রেজা শাহ। পালিয়ে যাবার সময় এক ঝাঁপি রঙের মাটি নিয়ে গিয়েছিলেন তার কবরে দেওয়ার জন্য। তিনি জানতেন তাকে দেশে আসতে দেওয়া হবে না। রেজা শাহকে কেউ স্থান দেয়নি। সবশেষে ক্যান্সার রোগীকে মানবিক কারণে যুক্তরাষ্ট্র স্থান দেয়ার বিনিময়ে, পৃথিবীর সবচাইতে সাহসী কাজটি বিপ্লবী আয়তুল্লাহ খোমেনি সরকার করেন। ইরানের এম্বাসিতে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের ৩০জন কুটনৈতিককে বন্দী করে ইরানের জেলে পুড়েন।বন্দীদের মুক্ত করতে জাতিসংঘের সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়।১৯৭৯ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের মধ্যে আজ অবদি বৈর সম্পর্ক চলে আসছে।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যদি জিহবা উলটান শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি। মারাত্মক হুমকি।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৭)★"চেস্টা করবেন না মানুষকে বানর বানাতে। "দেশখ্যাত এক জাদুকরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। জাদুকর এক...
23/10/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৭)★

"চেস্টা করবেন না মানুষকে বানর বানাতে। "

দেশখ্যাত এক জাদুকরের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলাম। জাদুকর একটি বড় সিন্দুকে উপস্থিত জনতার সামনে একজন মেয়েকে প্রবেশ করতে বলেন। মেয়েটি যথারীতি কাঠের সিন্দুকে প্রবেশ করেন। দর্শকদের মধ্যে থেকে একজনকে যাদুকর সিন্দুকটি পরীক্ষা করে দেখতে বলেন। পরীক্ষা শেষে জাদুকর সিন্দুকটি তালা বদ্ধ করেন এবং চাবিটি একজন দর্শকের হাতে দিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর জাদুকর দর্শককে বলেন, সিন্দুকটি খুলুন। খুলে দেখা গেল মেয়েটি বাক্সের মধ্যে নেই। সিন্দুকটি কাত করে সকলকে দেখানো হলো, কিন্তু কেউ মেয়েটিকে দেখতে পেলেন না। এক দর্শক বলে উঠলেন, আফসোস দেখতে পেলাম না! দর্শকদের হাততালি আর কন্ঠে আফসোস, প্যান্ডেল ময় হয়েছিল।

কয়েকদিন পর আমার এক প্রতিবেশীর বাড়িতে গেলাম বেড়াতে। বাড়িতে প্রবেশ করতেই দেখি ৭/৮ বছরের এক কিশোর লজেন্স খাচ্ছিল।আমি ওর বাবা-মার উপস্থিতিতে জিজ্ঞেস করলাম, কি খাচ্ছ বাবা? ও সোজা উত্তর দিল, "আফসোস খাচ্ছি"। ওর বাবা-মা, আমি হেসে উঠলাম। ওর বাবা আমাকে বললেন, ভাই জাদুর অনুষ্ঠানে গিয়ে, কি ভুল না করেছিলাম! লজেন্স খেতেও যদি আফসোস খায়, তাহলে এর প্রভাব কোথায় পড়তে পারে?

চার্লস ডারউইন ১৮০৯ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৮৮২ সালের ১৯ এপ্রিল দেহত্যাগ করেন। তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রাকৃতিক প্রাণী তত্ত্ববিদ। তিনি বিবর্তনবাদের প্রবক্তা। তিনি বলেন, দীর্ঘকাল এক প্রাণীর অস্তিত্ব চলতে থাকলে, একসময় বিবর্তন শুরু হয়। তিনি মানুষের চিন্তা জগতে দারুন ভাবে প্রভাবিত করেন। অসংখ্য বিজ্ঞানী এই নিয়ে গবেষণা করেন। কোন গবেষণাই ফলপ্রসু হয়নি। কারণ তাদের ধারণা, ক্ষুদ্র প্রাণী বিবর্তনের মধ্যে দিয়ে উন্নত প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। তারা মনে করেন, মানুষ একসময় বানর ছিল। ধীরে ধীরে বিবর্তন হতে হতে আজ মানুষে উন্নীত হয়েছে। এভাবে মানুষ বানরের বংশধর। অন্যান্য প্রাণী ও বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজকের বিশ্বে স্থান করে নিয়েছে। স্থান করে নিয়েছে প্রাকৃতিক নির্বাচনের মাধ্যমে। মানুষ বিবর্তনের মাধ্যমে পরিবর্তন হয়ে যদি থাকে, তাহলে পরে কি হবে? বিবর্তন যদি হয়, তাহলে চলমান থাকার কথা এবং এতদিন তো কোন বানর,
"বানর" থাকার কথা নয়। মানুষও বিবর্তনের মাধ্যমে পরবর্তী লক্ষ্যে পৌঁছার কথা। শুধু বানর কেন? অন্য প্রাণীদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।

মানুষ বানরের সাথে মেশা মেশি শুরু করে অনেক অঘটন ঘটিয়েছে। যদি মেনে নেই মানুষ বানরের পূর্বপুরুষ, অনেক বানর ভক্তকে দেখি যারা বানর নিয়ে দিন কাটায়, কিন্তু ওরা একটি বানরকেও মানুষ বানিয়ে দেখাতে পারেনি। বানর যদি মানুষের পূর্বপুরুষ হয়ে থাকে, তাহলে সংসার করতে আপত্তি থাকার কথা নয়।

মতবাদে আপত্তি আছে বলেই, দেশের সচেতন মানুষকে প্রতিবাদ করতে দেখেছি। তারা বলতে চায়, কোমলমতি কিশোরদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা ছড়িয়ে, বিশ্বাসে চিড় ধরিয়ে, মানুষকে অমানুষ বানাতে চেষ্টা করবেন না। জনতার এই দাবির জবাব তারা দিতে পারেননি।
খোদ চার্লস ডারউইন নিজেই এই উদ্ভট বিশ্বাস উড়িয়ে দিয়েছেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে যে বিবর্তনবাদের জন্ম হয়েছিল, তা এই শতাব্দীতে সকল বিজ্ঞানী বাতিল করে গেছেন।

মানুষ সৃষ্টির সর্বশ্রেষ্ঠ জীব মানুষের আদি পুরুষ ও নারী হযরত আদম (আঃ) এবং বিবি হাওয়া( রাঃ)। ইহা অনুসরণ ও বিশ্বাস করে জ্ঞান চর্চা করছি। মানুষকে অমানুষ বানানোর ঘৃন্য চেষ্টা করে, ওই কিশোরের মত আফসোস খাই সুত্রে, কোমলমতি শিশুদের আফসোস খাইয়ে আর বিপথে চালাবেন না। ওদের সিলেবাসে আফসোস ডুকাবেন না। সারা পৃথিবী যে তথ্যকে মৃত বলেছে, তাকে জীবিত করার অপপ্রয়াস কেন? পৃথিবীর চারদিকে সূর্য ঘুরে, তত্ত্বটি গ্যালিলিওর যুগে চারশত বছর আগেই মৃত। সেটা আর জীবিত হবে না, জীবিত হবে না ডারউইন তত্ত্বও।

স্কুলের পাঠ্য থেকে বিবর্তন উঠান এবং চেস্টা করবেন না মানুষকে বানর বানাতে।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৭)★"তোরা মানুষ হবি কবে।"তোরা মানুষ হবি কবে ।লন্ডনের রাজপথের মাঝপথ দিয়ে এক যুবক হাত সম্প্রসারিত কর...
21/10/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৭)★

"তোরা মানুষ হবি কবে।"

তোরা মানুষ হবি কবে ।
লন্ডনের রাজপথের মাঝপথ দিয়ে এক যুবক হাত সম্প্রসারিত করে হাঁটছিল। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎ এক যুবক সামনে হাজির।তাকে দেখে হাত সম্প্রসারিত যুবক বলে উঠলো, কে তুমি আমার স্বাধীনতায় বাঁধা দিলে!আমি স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক,আমার চলায় বাঁধা দেবার তুমি কে? আগন্তক বললো, না বন্ধু না,তুমি যেমন ইংল্যান্ডের স্বাধীন নাগরিক,আমিও তেমনি ইংল্যান্ডের স্বাধীন নাগরিক। আমার নাক যেখানে,সেখানে তোমার স্বাধীনতা নেই।আর তোমার নাক যেখানে, সেখানে আমার স্বাধীনতা নেই।স্বাধীনতা প্রত্যেকের স্বাধীনতাকেই স্বীকার করে। তবে তা বিধিবদ্ধ নিয়মে। যদি আমি যা ইচ্ছা তাই করি,তুমিও যা ইচ্ছা তাই কর,তাহলে সর্বত্র অরাজকতা,বিশৃঙ্খলা শুরু হবে।সবাই বিপদের সম্মুখীন হবে।এজন্য প্রত্যেককেই পরিকল্পিত রুটিন মেনে চলে,সবার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চলার নামই স্বাধীনতা। যুবকটি বলে উঠল তাইতো, এ দেশে সব কিছু মেশিনের মত চলছে।কেউ কারো বাঁধা নয়। সবার স্বাধীনতা মেনে নেওয়ার মধ্যেই দেশের শান্তি, বিশ্ব শান্তি।

এক অধ্যাপক একটি প্রবন্ধ লিখতেছিলেন।পাশেই তিন বছরের তার ছোট শিশু পুত্র,দুষ্টুমি করছিল।বাবাকে কিছুতেই লিখতে দিচ্ছিল না। বাবা পুত্রকে থামাতে না পেরে দেয়ালে টানানো পৃথিবীর মানচিত্র নামিয়ে টুকরো টুকরো করে ছিড়ে ফেললেন। এবার টুকরো গুলো অবুঝ বাচ্চা কে দিয়ে বললেন, বাবা এগুলো মিলাও।পৃথিবী এখানে। প্রতিটি দেশকে সাজাবে। যে দেশ যেখানে থাকা দরকার,সেখানেই রাখবে।বাবা পুত্রকে বুঝিয়ে আত্মতৃপ্তিতে লিখতে শুরু করলেন। আর ভাবলেন ও তো পৃথিবী, দেশ কিছুই চেনে না। মেলাতেও পারবেনা, দুষ্টুমিও হবে না। কাজেই আমি লিখে যাব নির্দ্বিধায়। যাক বাঁচা গেল।বুদ্ধিটা ভালই হলো।
কিন্তু কি অবাক? অল্প কয়েক মিনিটের মধ্যেই ম্যাপ টা ঠিক আগের মত ঠিক ঠাক করে, বাবাকে দিয়ে দিলো। বললো দেখ বাবা।বাবা অবাক! কি করে সম্ভব হল?ও তো পৃথিবী চেনে না।কোন দেশ কোথায় আছে তাও জানে না। ব্যাপারটি কি?
বাবা পুত্রকে সস্নেহে বললেন, বাবা তুমি তো পৃথিবী চেননা কোন দেশ কোথায় তাও জানোনা,কিন্তু এত বড় পৃথিবী কি করে সাজালে। শিশু পুত্র বলল, আমি পৃথিবী চিনি না কিন্তু মানুষ চিনি। মানচিত্রের অপর পাশে, এক মানুষের ছবি ছিল। আমি ছবিটি দেখে হাতের স্থানে হাত, পায়ের জায়গায় পা, মাথার জায়গায় মাথা,যেখানে যা থাকে, আমি সাজালাম।
সব যখন সাজানো শেষ হলো দেখলাম, পৃথিবী ঠিক হয়ে গেছে।
বাবার বোধদোয় হল। শিশুটি পৃথিবী না চিনলেও মানুষ চেনে। ও মানুষ ঠিক করে সাজিয়েছে।মানুষ ঠিক হবার সাথে সাথে পৃথিবী ঠিক হয়ে গেল।অর্থাৎ মানুষ ঠিক হলে, পৃথিবী ঠিক হয়। আজ সবচেয়ে বড় প্রয়োজন,মানুষ ঠিক করা।
আমাদের ছেলেবেলায় দেখেছি,কারো সাথে কারো দেখা হলেই আবাল, বৃদ্ধ, বনিতা পরস্পরের প্রতি সালাম বিনিময় করতাম।শিক্ষককে দেখলে ভয়ে ভয়ে রাস্তা ছেড়ে, অন্য রাস্তায় যেতাম।দেখা হলে সালাম ও কদমবুচি করতাম। শিক্ষক প্রাণভরে দোয়া করতেন। নিচের শ্রেণীর ছাত্রদের আদর সোহাগ করতাম, বড়দের সালাম দিতাম।
বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন এলে খোঁজখবর নিতাম, কে কেমন আছেন? অজুর পানি দিতাম। বসতে দিতাম। অতিথি মহোদয়ও একাত্ব হয়ে আমাদের খোঁজ খবর নিতেন। পরস্পরের এই সৌহার্দ্য কোথায় গেল?

আজকের দিনে কেউ মেহমান হয়ে আসলে, বুড়ো বাবা-মা কেবল সঙ্গ দেন।আর ছেলে মেয়েদের বন্ধু-বান্ধব এলে শুধু তারাই সঙ্গ দেন।আগে যিনিই আসতেন, পরিবারের সকলে মিলে আনন্দে শেয়ার করতাম। বড়দের সাথে ছোটদের এবং ছোটদের সাথে বড়দের মিলন মেলায় কত যে ভালোবাসায় পরিপূর্ণ ছিল। তা বোঝানো যায় না এখন। আমার বাবা-মা,ভাই-বোন, চাচা-চাচি,ফুফা -ফুফু খালা-খালু,দাদা-দাদী, নানা-নানীর গল্প নিয়ে আজও একা একা জনসম্মুখের আড়ালে কল্পনায় আনন্দ করি। আর ভাবি, আজকের শিশুদের জন্য তোরা মানুষ হবি কবে ।

তোরা যদি সকলের মধ্যে ভালোবাসা, সংস্কৃতি ফিরিয়ে আনতে পারিস।তাহলে দেশ থেকে দূর হবে সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ। সবার মধ্য দিয়ে আসবে শান্তি, শান্তি,কেবলই শান্তি।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৬)★"দেশ প্রেমিকের ভাবনা।"বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এটা যে হঠাৎ করে হয়েছে ত...
19/10/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৬)★

"দেশ প্রেমিকের ভাবনা।"

বাজারে জিনিসপত্রের দাম বেশি। ক্রয়ক্ষমতার বাইরে। এটা যে হঠাৎ করে হয়েছে তা নয়। বাংলাদেশে মাঝে মাঝে এরকম হয়।বাজারে জিনিসপত্র যে নেই, তা নয়। বেশি টাকা দিলেই সব পাওয়া যায়। লক্ষ্য করে থাকবেন, রোজার সময় প্রতিটি নিত্য ব্যবহার্যের দাম বেড়ে যায়। রোজা শেষ হয়, দাম কমে যায়। এটা কেন??

একদল লোক স্বল্প সময়ে বেশি লাভের জন্য সিন্ডিকেট তৈরি করে। মাল থাকলেও আস্তে আস্তে ছাড়ে। কেউ কেউ গুজব ছড়িয়ে দাম বাড়ায়। সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় দেখতে কেউ কেউ নানা ছল চাতুরী করে দাম বেড়েছে বলে,জিকির তোলে।

এক শ্রেণীর লোক দাম বাড়বে বলে মালপত্র আটকে রেখে, গুদামজাত করে। আবার কেউ কেউ বাজারে দাম বাড়তে পারে অনুমান করে,প্রয়োজনে অতিরিক্ত দ্রব্য কিনে ঘরে স্টক করে।

গত শতাব্দীতে প্রায়ই মঙ্গা বা আকাল দেখা দিত।এমনই এক সময় এক ফকির(ভিক্ষুক) কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আপনার দিন কেমন চলছে? ভিক্ষুক উত্তর দিলেন,যেদিন ভিক্ষা পাই,সেদিন আল্লাহ চালান আর যেদিন পাইনা, সেদিন আমি নিজেই চালাই। যেদিন নিজে চালান সেদিন কষ্ট হয়না? কষ্ট মনে করলে হয়, আবার না করলে হয় না । কারণ ভিক্ষা পায় নাই, কি করব? পরেরদিন পাব, এই আশায় আশায় বেঁচে আছি।
ভিক্ষুকের ধৈর্য আছে, সবার সেই ধৈর্য নেই। সরকারের দায়িত্ব তো অবশ্যই আছে। এটা বিপ্লবী সরকার। তাই বিপ্লবী সরকারকে জরুরী ভিত্তিতে যা করা দরকার,

১। দেশব্যাপী টিসিবি এর মাধ্যমে নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বাজারে ছাড়া।
২। নিম্নবিত্ত মধ্যবিত্তদের মধ্যে রেশনিং চালু করা।
৩। প্রতিটি বাজারে বাজার মূল্য টানিয়ে দেয়া।
৪। বাজার ব্যবস্থা মনিটরিং করা।
৫। জিনিসপত্রের দাম যারা বাড়ায়, তারা জন শত্রু, দেশের শত্রু, এদেরকে আইনের আওতায় আনুন।
৬। যারা গুজব ছড়ায়, তাদের আইনে সোপর্দ করুন।
৭। একটি দ্রব্যের পরিবর্তে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করুন।
৮। প্রয়োজনের বেশি যাতে কেউ বাজারে কেনা কাটা না করে তা তদারকি করুন।
৯। দেশ প্রেমিক প্রিয় সেনাবাহিনী দেশব্যাপী টহল জোরদার করুন।
১০।বৈষম্যহীন ছাত্র সমাজকে সজাগ দৃষ্টি রাখুন।
১১। রাজনীতিবিদ, সমাজ সংস্কারক, সমাজ কর্মী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ বিপ্লবের সময় যে ভূমিকা রেখেছেন, অনুরূপ ভূমিকা পালনের জন্য সকলকে আহবান জানাচ্ছি।
১২। প্রিয় দেশবাসী আসুন সবাই মিলে এই অবস্থার মোকাবেলা করি। আল্লাহ আমাদের সহায়ক হোন

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৫)★"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক! আমি রহমতউল্লাহ বাঙ্গালি।" আমি আরবি নই,তুর্কি নই,পর্তুগিজ নই, ইংরে...
17/10/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৫)★

"দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক! আমি রহমতউল্লাহ বাঙ্গালি।"

আমি আরবি নই,তুর্কি নই,পর্তুগিজ নই, ইংরেজ নই, ফাঁরসি নই,পারস্য নই,মোঘল নই, ওদের কারো চেয়ে ছোট নই,আমি বাঙালি।
বাঙালি বলেই খেতাব পেয়েছি "what Bengal things today, India thinks tomorrow." বাঙালি বলে আলেকজান্ডার দি গ্রেট তার প্রধান সেনাপতি সেলুকাস কে বলেছিলেন,কি বিচিত্র এই দেশ।কত রং বেরঙের মানুষ।কেউ কালো,কেউ ফর্সা,কেউ লালচে,কেউ সাদাটে,কেউ নিগ্রোর মত, কত পরিবর্তন চেহারায়। কত ভাষায়, কত সুন্দর কথা বলে।

বাঙালি বলেই,আমাদের কাছে মোঘল সম্রাট হুমায়ুন ছুটে এলেন গৌড়ে,থেকে গেলেন জান্নাতাবাদ নাম দিয়ে।

বাঙালি বলেই সম্পদশালী দেশে পর্তুগিজরা এলো লুট করতে,লোটুয়াখালী থেকে হল পটুয়াখালী। ঘাঁটি ঘারল মনপুরা,রাজশাহী শহরে নির্মান করে বড় কুঠি,সম্পদের মোহে ইংরেজ বাণিজ্য করতে এসে ষড়যন্ত্র করে আমাদেরকে বানায় তাদের কলোনি,মোঘলদের বিতাড়িত করে। বনে গেল রাজা।

উইলিয়াম হান্টার দি ইন্ডিয়ান মুসলমান্স গ্রন্থে লিখেন, বাংলায় মুসলমানেরা( সিরাজদুল্লাহ ) ক্ষমতা হারানোর ১০ বছর আগে একজন অসচ্ছল মুসলমান ছিল না,ক্ষমতা হারানোর ১০ বছর পর একজন স্বচ্ছল মুসলমান পাওয়া গেল না।

বাঙালি বলেই ইংরেজ ভীষণ ভয় পেত। ১৭৫৭ সাল থেকে ১৯৪৭ সাল পর্যন্ত ১৯০ বছরই ভয়ে শাসন করেছে। ভারত বর্ষ দখলে নিতে বাংলার মীরজাফর আলী খান এবং হায়দ্রাবাদের সাদিক হোসেন। দু বিশ্বাসঘাতকের ষড়যন্ত্রে হিমালয় থেকে ভারত মহাসাগর পর্যন্ত যত রক্ত ঝরেছে, তার সূচনা এরা দুর্জন হলেও তার সঙ্গে লর্ড ক্লাউড, জগৎ শেঠ, উর্মী চাঁদ, ঘোষেটি বেগম তো ছিলোই ।

১৯৪৭ সালে ভারত বর্ষ ভাগ হলেও ষড়যন্ত্রে পাকিস্তান ও ভারত দুটি রাষ্ট্র ভাগ হবে বলে স্থির হল, সিন্ধু, বেলুচিস্তান,উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ ও পাঞ্জাব ক অঞ্চল এবং বাংলা আসাম খ অঞ্চল নিয়ে স্বাধীন রাস্ট্র হবে পাকিস্তান। দেশী রাজ্য সমূহ পাকিস্তান বা ভারত যে কোন রাজ্যে যোগদান করতে বা স্বাধীন থাকতে পারবে।হিন্দু প্রধান অবশিষ্ট গ অঞ্চলগুলো নিয়ে হবে হিন্দুস্তান।
কিন্তু আসলে তা হলো না। সিদ্ধান্ত হয় এক, ইংরেজ ভাইসার মাউন্ট ব্যাটেন করে আরেক। মুসলিম ভীতি ইংরেজের কাটেনি। তাই পাঞ্জাবকে দুভাগ করে এক ভাগ ভারতের অংশ অন্যভাগ পাকিস্তানের অংশে, একইভাবে বাংলাদেশকে দুভাগে ভাগ,
একভাগ পাকিস্তানে অন্যভাগ হিন্দুস্তানে এবং সাত বোনকে হিন্দুস্তানে ( ভারতে) সংযুক্ত করা হল। ভারতের বড়লাট হলেন মাউন্ট ব্যাটেন আর পাকিস্তানের মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ।

কাশ্মীর স্বাধীন থাকতে চাইলেও ভারত দখলে নিতে চাইলো। পাকিস্তান কাশ্মীরের পক্ষে মোজাহিদ বাহিনী গঠন করে। উভয়পক্ষে যুদ্ধ চলে। অসমাপ্ত যুদ্ধে ৬২% এলাকা ভারতের অধীনে এবং ৩৮% আজাদ কাশ্মীর দখলে রেখে সীমান্ত নির্ধারিত হয়। যদিও পরিপূর্ণ মীমাংসার জন্য ভারতের অনুরুধে জাতিসংঘের তত্তাবধানে কাশ্মীর স্বাধীন কিংবা পাকিস্তান বা ভারত নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারবে। ১৯৪৮ সালের অমীমাংসিত বিষয় জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে মীমাংসা হবে বলে সিদ্ধান্ত হলেও আগে যা ছিল, তাই আছে।
১৯৭১ সালে খন্ডিত বাংলা, "বাংলাদেশ" নামে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আলাদা অস্তিত্ব লাভ করে।
এ দেশকে টেনে হিচড়ে কেউ সুবিধা করতে পারেনি। যারা যেভাবেই হোক এদেশে এসেছে, তারা সবাই থেকে গেছে। ঐতিহাসিক গিবন বলেছেন, বাংলাদেশে প্রবেশের পথ বহু আছে, বেরোবার পথ একটাও নেই।

বাঙালি বিদেশী তাড়ানোর জন্য ওহাবী আন্দোলন, ফরায়েজি আন্দোলন,তিতুমীরের বাদশাহী আমিরাত আন্দোলন, সিপাহী বিদ্রোহ সমগ্র ভারতকে জাগিয়েছিল এবং ইংরেজকে কাঁপিয়ে তুলেছিল। এই পরিস্থিতিতে দেরিতে হলেও ইংরেজ বিদায় হয়েছিল।ইংরেজকে তাড়াতে গিয়ে দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময় আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠন করেছিল, নেতাজি সুভাষ বোস। এই ফৌজ হিটলারের পক্ষে হলেও, ভারত থেকে ইংরেজকে তাড়ানোর জন্য, ইংরেজের বিরুদ্ধে রাজশাহীর এক যুবক রহমত উল্লাহ বাঙালি চট্টগ্রাম হয়ে বার্মা গমন করেন।
আজাদ হিন্দ ফৌজের মূল উদ্দেশ্য হলো ইংরেজকে বিদায় করা। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান মিলে ভারত স্বাধীন রাষ্ট্র হবে। ইংরেজ ভয় পেল। মহাত্মা গান্ধী, জওহরলাল নেহেরু ইংরেজদের পক্ষ নিলেন। ইংরেজকে যাতে কেউ আক্রমণ না করে। ইংরেজ প্রতিশ্রুতি দিল, মহাযুদ্ধ শেষ হলেই ভারতের স্বাধীনতা দিয়ে দেয়া হবে। নেতাজি সুভাষ বোস সিঙ্গাপুরে চলে যান। ভক্তদের নিয়ে ১৯৪১ সালে ইংরেজ বিরোধী ভারতের স্বাধীনতার জন্য আলাদা হিন্দ ফৌজ গঠন করেন। বাঙালি যুবকরা দলে দলে এতে যোগ দিতে থাকে।জাপানের পক্ষে নেতাজি সুভাষ বোস, ভারত থেকে অগণিত জওয়ান পাঠাতে থাকেন। মহাযুদ্ধ রূপ নেয়, দেশে দেশে বিভিন্ন রূপে। এই যুদ্ধে প্রাণ হারায় প্রায় পাচ কোটি মানুষ। জাপানি বাহিনী মনিপুর, বার্মা পুরো দখলে নেয়। বার্মার মন্ডু থেকে টেকনাফে কামানের গোলা এসে পড়তে থাকে।টেকনাফের চম্পল পাহাড়ে (পরীর পাহাড়ে) আজও সেই চিহ্ন আছে।

এই বাহিনীতে যুদ্ধ করেন রাজশাহী শহরের এক জওয়ান, নাম তার রহমতুল্লাহ বাঙালি।রহমাতুল্লাহ বাঙালিকে অনেক খুঁজে খুঁজে বের করেছি। লম্বা শ্যামল গড়নের এই ব্যক্তি, এত বড় দেশ প্রেমিক যা কল্পনা করা যায় না। যুদ্ধে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ১৮৩ বছর অন্যায় ভাবে ষড়যন্ত্র করে আমাদের সম্পদ কেড়ে খাচ্ছে। আমরা অভুক্ত। শিক্ষাবিহীন, চিকিৎসা বিহীন, আমাদের টাকায় গড়ে উঠেছে লন্ডন। আমাদের চেহারা কংকাল সার। বিভিন্ন মনান্তরে থাকে আমাদের লাশের মিছিল।আর ওরা আমাদের দৈন্যতা প্রচার করে।
আর চলতে দেয়া যায় না। রহমত উল্লাহ বাঙালি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেছে কিনা জানিনা। তবে তার লেখা পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন সূরায় কাব্যিক প্রকাশ দেখলাম। হিটলার, সুভাষ বোস অক্ষশক্তির ভক্ত হলেও মূল বিষয় দেশের স্বাধীনতা। বার্মার বন জঙ্গলে চলাফেরা, প্রশিক্ষণ নিয়ে বহু ইংরেজকে সম্মুখ সংগ্রামে পরাজিত করলেও ১৯৪৫ সালে ৩০ এপ্রিলে হিটলারের পতনের মধ্য দিয়ে এবং ০৯ আগস্ট জাপানের আত্মসমর্পণে রহমতউল্লাহ বাঙালির যুদ্ধ থেমে গেলেও তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে কাজ করতে থাকেন। এরই মধ্যে সুভাষ বোস ১৯৪৫ সালের ১৮ই আগস্ট বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হন।

রহমত উল্লাহ বাঙালীকে প্রশ্ন করি, এখনও কেমন করে বেঁচে আছেন? সাহসী বিশ্বযুদ্ধের একজন দেশ প্রেমিক যোদ্ধা বলেন, আল্লাহর ইচ্ছায় যুদ্ধ করেই বেঁচে আছি। কারো কোন সাহায্য নেই না। ব্রিটিশের পক্ষে যারা যুদ্ধ করেছে, তারা এখনো পেনশন পাচ্ছেন। আর আমরা সুভাষ বসুর পক্ষে যারা যুদ্ধ করেছি তারা, এই দেখুন আমার লেখা চটি বই লিখে রাস্তায় রাস্তায় বিক্রয় করে চলছে আমার পরিবারের জীবন। মহান আল্লাহর নিকট কৃতজ্ঞতায় মাথা নিচু করে বলেন, যেভাবেই হোক ইংরেজ বিতাড়িত। আর বলতে পারি ছাত্র জীবনে নিজেকে বাঙালি বলে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করতাম।গর্বের সাথে আজও নামের সাথে বাঙালি লিখছি। পরাজিত সৈনিক নিজেকে কখনো ভাবি নি। কারণ পথ আলাদা হলেও দেশের শত্রুদের বিরুদ্ধে একই সংঙ্গে যুদ্ধ করেছি সবাই। ১৯৯০ সালে সস্ত্রীক এই বাঙালি বীর সেনানীর সাক্ষাতকার নেই। তাকে স্যালুট জানাই দেশকে ভালোবাসার জন্য। অনেক সুযোগ পেয়েও ভাগ্যকে বদলাননি।শেষ বয়সে জীবন সাথীকে নিয়ে সংগ্রামী জীবন মনের আনন্দে কাটাচ্ছেন।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫
পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৩)★"ছয় দিনে কসমসের সৃষ্টি! "আল্লাহ ছয় দিনে যে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেন, তাই Cosmos।এতে রয়েছে মহাবিশ্...
10/10/2024

★৫৮ সেকেন্ড এর গল্প (৮৩)★

"ছয় দিনে কসমসের সৃষ্টি! "

আল্লাহ ছয় দিনে যে মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেন, তাই Cosmos।এতে রয়েছে মহাবিশ্বের অগণিত বিলিয়ন বিলিয়ন গ্যালাক্সি, নক্ষত্র, গ্রহ, উপগ্রহ, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন, অন্যান্য গ্যাস, স্থান, কাল এবং আল্লাহর সৃষ্টির যাবতীয় কিছুর অস্তিত্বের এক নাম Cosmos। মহাবিশ্ব বা কসমস এর বৃত্তে আলো পৌঁছাতে সময় লাগে ৯৩ বিলিয়ন আলোক বর্ষ। যা কোনদিন সম্ভব নয়। পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে লাগে ১/৭ সেকেন্ডের একটু বেশি। অর্থাৎ আলোর গতি প্রতি সেকেন্ডে ১ লাখ ৮৬ হাজার মাইল। পৃথিবীর ব্যাস ২৫০০০ মাইল।

Cosmos আরবি শব্দ কাউন।বাংলা মহাবিশ্ব, গ্রিক প্রতিশব্দ Kosmos।কোটি কোটি বছর চলে যাবে কসমসের অনুসন্ধান শেষ হবে না।

মহাবিশ্ব সৌর জগতের এক ক্ষুদ্রতম অংশ। এই পৃথিবীতে ১৯৫টি স্বাধীন রাষ্ট্র। ১৭ টি জাতিসংঘের সদস্য নন। পাঁচটি মহাদেশ অসংখ্য পাহাড়-পর্বত নদীনালা খাল-বিল মালভূমি, সমভূমি লেক ইত্যাদির মধ্যে কসমস বিচরণ করেছে, আপনাকে নিয়ে এন্টাকটিকা বাদে সমগ্র বিশ্বে।

দেখুন আপনাদের নিয়ে মাত্র 12 বছরে কসমসের পর্যটক দুনিয়ার, এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশ, এক মহাসাগর থেকে আরেক মহাসাগর এক, দেশ থেকে আরেক দেশ, এক পর্বত থেকে অন্য আরেক পর্বত বিচরণ করে প্রমাণ করেছে কসমস হলিডে, আপনার হাতের মুঠোয় দুনিয়া।

আমরা শুরু করেছি, নিজ দেশ থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ স্থান নেপালের মাউন্ট এভারেস্ট,ধর্মীয় স্থান পশুপতি, কপিলাবস্তু, ভারতের মোগল সম্রাট শাহজাহানের ভালবাসার অমর কীর্তি তাজমহল, ভূস্বর্গ কাশ্মীর, ভালবাসার গার্ডেন নিশাতবাগ, শালিমার বাগ, শিখদের স্বর্ণমন্দির এবং হিন্দুদের মথুরা, ভুটানের থিম্পু চাঁদের মাটি, চীনের মহাপ্রাচীর, আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাপিটাল, টেম্পল অফ হেভেন বেইজিং, হংকং দ্বীপ, কুনমিং ২ কোটি ৭০ লক্ষ বছর পূর্বের সমুদ্র যা এখন হিমালয় পর্বত, রাশিয়ার ট্রান্স সাইবেরিয়ান রেল, বৈকাল লেক, সেন্ট পিটার্সবার্গ, ইউ ক্যাটেরিন বার্গ, ইউরাল পর্বত এশিয়া-ইউরোপ বর্ডার,রেড স্কয়ার, মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি, ভিয়েতনামের হাংলংবে,মালয়েশিয়ার টুইন টাওয়ার ও কে এল মিনারা, সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে ও সেন্ট্রোসা, ইন্দোনেশিয়ার বালি ও জাকার্তা, মিশরের পিরামিড, মিশর মিউজিয়ামে ফেরাউন এর মমি, পৃথিবীর দীর্ঘতম নীলনদ, ভূমধ্যসাগর সুয়েজ খাল,কেনিয়ার মাছাইমারার হিংস্র জীব জন্তুর সাথে বাস, উজবেকিস্তান এর তাসখন্দে পৃথিবীর বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম পবিত্র কোরআন শরীফ দেখা। ফারগানায় সম্রাট বাবুরের শৈশব স্মৃতি, আড়াল সাগর,খিবা,সিল্করোড কাজাকিস্তানের আলমাটি, কিরগিজিস্থানের বিশকেক, ছোট ছোট বাচ্চাদের চমৎকার সালাম বিনিময় প্রথা।

জর্ডানের সাহাবা ট্রি,সুরা কাহাফের গুহায় ৭ ব্যাক্তির কবর। রেড সী, লোহিত সাগর, হযরত মুসা (আঃ )মাজেজা পানির ঝরনা প্রবাহ, সৌদি আরবের পবিত্র মক্কাতে ওমরা পালন, আরাফাত, মিনা, মুজদালিফা ও তায়েফ এবং মদিনা শরীফ জিয়ারত ও ওহুদ যুদ্ধের ময়দান পরিদর্শন।

২৪০০ বছর পূর্বের পেট্রা সভ্যতা, ওয়াদিরাম, হযরত ঈসা (আঃ ) এর পাহাড়, সিটাড্রল, বৃহত্তম থিয়েটার, তুরস্কের অটোম্যানের টপকাপি, ক্যাপাডোসিয়ায় ১৫ লক্ষ বছর আগের মানব সভ্যতা, ব্ল্যাক সি বশফরাস প্রণালী (ইউরোপ এশিয়ার সংযোগস্থল) এডরিনে ইউরোপের প্রবেশ দ্বার, গ্রিস বুলগেরিয়া ও তুরস্কের সংযুক্ত স্থল, ম্যারীর পবিত্র স্থান ইফেসাস এবং আংকারা দর্শন।

জার্মান বার্লিন ও বন সিটি, হিটলারের ব্যাংকার, মিউজিয়াম, ভূস্বর্গ সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স আইফেল টাওয়ার, লুইবার মিউজিয়াম, মুনালিসার ভাস্কর্য, যুয়ান অফ আর্ক ফ্রান্সের জাতীয় নেত্রী।

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াসিংটন ডিসি,হোয়াইট হাউজ, জাতিসংঘের সদর দপ্তর নিউইয়র্ক, মানহাট্টান টাইম স্কয়ারে দিনরাত মেলা, আটলান্টিক মহাসাগরে স্ট্যাচু অব লিবার্টি, ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার ( টুইন টাওয়ার ) ধ্বংসপ্রাপ্ত পরিদর্শন।

যুক্তরাজ্যের বাকিংহাম,টাওয়ার হিল মিউজিয়াম (কোহিনূর হিরা), টেমোস নদীর উপর গিনিস মান টাইম +-ঘড়ি,

কানাডার অটোয়া পরিদর্শন শেষে টরেন্টোর সুন্দর ও মনোরম এবং বেশি জনপ্রিয় শহর দেখে, আড়াই ঘন্টায় পথ অতিক্রম করে নায়াগ্রা জলপ্রপাত দেখা। ইহা আমেরিকা থেকেও দেখা যায়। ভ্যানকুভার প্রশান্ত মহাসাগরের সি বিচ পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে, পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর টোকিও সঙ্গে যুক্ত মাঝখানে প্রশান্ত মহাসাগর। এলবার্টা ক্যালনভেরী সুন্দর লেক ও স্বচ্ছ পানির জন্য বিখ্যাত। লস এঞ্জেলসে হলিউড, ভিক্টোরিয়া জাহাজে কোস্টারিকা যাতায়াত চলে।

গ্রান্ডক্যালিয়ন বড় গিরিখাত। লাসভেগাস পৃথিবীর বড় ক্যাসিনো গ্রাউন্ড। ফ্লোরিডা পৃথিবীর বিখ্যাত সী বিচ মায়ামী।
মেক্সিকো চিচেন ইটজা পিরামিড, কোস্টারিকা পৃথিবীর বনভূমি ও সৌন্দর্যের লীলাভূমি। অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বিখ্যাত অপেরাহাউস,তিমি মাছের বাস। মেলবোর্ন দি গ্রেট ও ওসান ড্রাইভে ৭ স্টপেজ পাহাড়। এখানে মানুষের চেয়ে ক্যাঙ্গারো বেশি। রাস্তায় বনে জঙ্গলে সর্বত্র ক্যাঙ্গারো।
শ্রীলংকার এডাম ফিট পাহাড়ে হযরত আদম (আঃ) বেহেস্ত থেকে অবতরণ করেছিলেন।

মহাবিশ্বের তুলনায় পৃথিবী ছোট অথচ বৈচিত্র্যে ভরা।, অগণিত দর্শনীয় স্থানে আমরা আপনাদের নিয়ে পদচারণ করেছি। স্বচক্ষে দেখেছি। ভবিষ্যতে আপনাদের নিশ্চয়ই অবশিষ্ট স্থানগুলোও নিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ।

আপনারা শুনে খুশি হবেন যে, কসমস হলিডের প্রধান অফিস ধানমন্ডিসহ, বনানী ও উত্তরা থেকে ১০০ জন কর্মী একযোগে বিশ্বব্যাপী কসমসের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের দোয়া ও সহযোগিতাই আমাদের একমাত্র অবলম্বন। আপনারা আমাদের সাথে থাকুন, আমরা আছি আপনাদের সাথে ইনশাল্লাহ।

পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকোনো ভ্রমন সংক্রান্ত প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন -
০১৭১৪৩৯৫১৯৫ / ০১৯৭৪৩৯৫১৯৫

Address

Dhaka
1205

Opening Hours

Monday 10:00 - 18:00
Tuesday 10:00 - 18:00
Wednesday 10:00 - 18:00
Thursday 10:00 - 18:00
Saturday 10:00 - 18:00
Sunday 10:00 - 18:00

Telephone

8801974395195

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mega Tours BD posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mega Tours BD:

Share

Category

Nearby travel agencies