30/07/2022
চলো যাই
সুন্দরবন
ভ্রমণঃ খুলনা -সুন্দরবন -খুলনা
ভ্রমণের তারিখঃ ১,২,৩,৪ সেপ্টেম্বর ২০২২ ইং (বৃহস্পতি,শুক্র, শনি ও রবি)
ভ্রমনের সময়ঃ ৩ দিন-৩ রাত
সিজনের প্রথমে চলো যাই সুন্দরী, কেওড়া ও গোলপাতার দেশে। যেহেতু এটি সিজেনের প্রথম ট্যুর, এই সময় বনে পর্যটকদের আনাগোনা না থাকায় খুব কাছে থেকে বন্যপ্রানী দেখার এক অপূর্ব সুযোগ পাওয়া যায়।
যারা একটু এডভেঞ্চার পছন্দ করেন এসময় তাদের জন্য সুন্দরবন ভ্রমন হতে পারে আদর্শ জায়গা। কেননা স্বাশমূল ও কর্দমাক্ত ভূমি পেড়িয়ে বনের গভীরে ট্যাকিং রোমাঞ্চকর এক অভিজ্ঞতা দিবে আপনাদের।
সিজনের প্রথম ভ্রমণ মাথায় রেখে আমরা আমাদের ট্যুর প্লান আরো রোমাঞ্চকর করে তুলেছি। নদী ও সমুদ্র ভ্রমণ, বন্যপ্রকৃতি, বন্যপ্রাণী, গভীর বনে হার্ড ট্যাকিং, ক্যানেল রাইডিং সহ নানা আয়োজন থাকছে আপনাদের জন্য।
স্বাভাবিক ভাবে ৩রাত ২দিনের ট্যুর প্লান থাকলেও ভ্রমণ আনন্দ বাড়াতে সময় বাড়িয়ে ৩রাত-৩দিনের ভ্রমণ প্যাকেজ সাজানো হয়েছে। এতে ভ্রমণ স্পটগুলোতে আরো বেশি সময় দেওয়া যাবে এবং ভ্রমণ হবে আরো আনন্দদায়ক। ভ্রমণের সময় বাড়লও মোটেও এর প্যাকেজ মূল্য বাড়েনি বরং আকর্শনীয় মূল্য ছাড় দেওয়া হয়েছে এই প্যাকেজে।
যেসকল স্থানে ভ্রমণ করব আমরাঃ
১। হারবাড়িয়া। ২। হিরন পয়েন্ট।
৩। দুবলার চর। ৪। কটকা
৫। কচিখালি/ডিমের চর। ৬। করমজল।
ভ্রমন প্লান
★১ম রাত (বৃহস্পতিবার):
নির্ধারিত দিনে খুলনার জেলখানা ঘাট থেকে আমাদের সুন্দরবন ভ্রমণ শুরু হবে। আপনারা জেলখানা ঘাটে পৌছালে আপনাকে আমাদের ট্যুর গাইড রিসিভ করে ট্রলারে করে ভ্রমণ জাহাজে নিয়ে আসবে।
তারপর ফ্রেশ হয়ে রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে। এর মধ্যে আমরা জাহাজে করে সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে রওনা দিব।
★★২য় দিন-রাত (শুক্রবার) :
খুব ভোরবেলায় আমরা চাঁদপাই ফরেস্ট অফিস পৌছাবো। সেখান থেকে বন বিভাগের অনুমোদনপত্র ও সসস্ত্র ফরেষ্ট গার্ড নিয়ে হাড়বাড়িয়া ইকো ট্যুরিজম কেন্দ্রের উদ্দেশ্যে রওনা হব।
খুব ভোরে হাড়বাড়িয়া পৌছে সকালেন নাস্তা করেই আমরা ট্রলারে করে হাড়বাড়িয়া ট্যুরিজম কেন্দ্রে নামব। এসময় হাড়বাড়িয়ায় ঝুলন্ত ব্রিজ, লাল শাপলায় পরিপূর্ণ মিঠা পানির পুকুর ও কাঠের ট্রেইল ধরে গভীর বনে ট্রাকিং করব আমরা।
এরপর গভীর বনের ভিতর দিয়ে ছোট ছোট ক্যানেল পার হয়ে বঙ্গোপো সাগরের কুল ঘেষে জাহাজ নিয়ে হিরণ পয়েন্টের উদ্দেশ্যে রওনা হব। হিরণ পয়েন্ট যাওয়ার সময় দেখা মিলবে কেওড়া, গড়ান, গোলপাতায় ঘেরা সবুজ বন এবং বন্যপ্রাণীতে ভরপুর অসম্ভব সুন্দর ত্রিকোনা আইল্যান্ড।
দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা সমুদ্রে জাহাজ নোঙ্গর করে ট্রলারে করে আনুমানিক ৩টায় হিরন পয়েন্ট ভ্রমণ করব। হিরন পয়েন্ট বঙ্গোপো সাগরের কুল ঘেষে অবস্থিত হওয়ায় স্পটটি দেখতে ছবির মত সুন্দর। এখানে হরিণ, বানর, শুকোর, সাপ সহ নানা বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়া যাবে এবং হিরণ পয়েন্ট যেমন সুন্দর তেমনি বাঘের জন্য ভয়ংকরও বটে।
হিরণ পয়েন্ট ভ্রমণ শেষে আমরা দুবলার চরের উদ্দেশ্যে যাএা করবো আনুমানিক ৫ টার দিকে দেশের সবচেয়ে বড় শুটকি পল্লী দুবলার চরে নামবো।
নামে দুবলার চর হলেও এটি একটি সমুদ্র সৈকত। কেননা বঙ্গোপো সাগরের বুক চিরে গড়ে উঠেছে এই চরে সাগরের বড় বড় ঢেউ আছড়ে পরে । দুবলায় ঘোরাঘুরি শেষে পছন্দের শুটকি মাছ ক্রয় করবো, বিকালে সূর্য অস্ত দেখে আমরা ট্যুরিষ্ট শীপে চলে আসব।
জাহাজে রাতের খাবার পরিবেশন করা হবে। সমুদ্রের মাঝে জাহাজে সামুদ্রিক পরিবেশ উপভোগ করতে করতে আমরা সুন্দরবনের সবচেয়ে আকর্শণীয় ভ্রমণ স্পট কটাকার উদ্দেশ্যে রওনা হব। জাহাজেই রাত্রি যাপন করব।
★★ ৩য় দিন ও রাত (শনিবার):
কটকায় পৌছেই খুব ভোরে ট্রলারে করে কটকার আশেপাশের ছোট খালগুলোতে ক্যানেল রাইড করব। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে গভীরভাবে উপলব্দি করার জন্যে ট্রলার বন্ধ করে বিভিন্ন প্রকার প্রানী যেমন হরিন,মাছরাঙা, বানর, বনমোরগ, হরিণ, বন্য শূকর এবং বিভিন্ন প্রজাতির পাখির কলকাকলী উপভোগ করা হবে।
এরপর জাহাজে ফিরে এসে সকালের নাস্তা করে কটকায় নেমে কেওড়া বনের ভিতর যাব এখানে খুব কাছ থেকে ঝাকে ঝাকে হরিণ ও বানরের দেখা পাব। এর পর আমাদের যাত্রা শুরু হবে ভয়ংকর টাইগার টিলার দিকে, স্বাসমূল, কাদা ও গড়ান বন পেড়িয়ে ট্যাকিং করতে করতে টাইগার টিলায় যাব আমরা। ভাগ্য সুপ্রসন্ন থাকলে বাঘ ও দেখা যেতে পারে এখানে। ট্রাকিং শেষে কটাকা অফিসপাড়ে কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি ও রেষ্ট করে জাহাজে ফিরব।
দুপুরের খাবার খেয়ে। জাহাজে করে আমরা কচিখালীর দিকে রওনা করবো, কচিখালিতে অসংখ্য বন্য শুকোর, হরিন,বানর, গোলপাতা বন, ফরেষ্ট অফিস, বন ও নদীর পাড়ে ঘুরব আমরা। কচিখালি বাঘের বিচরন ক্ষেত্র হিবেবে পরিচিত। নদীর পাড়ে বালুতে মাঝে মাঝেই বাঘের পায়ের ছাড় পাওয়া যায়। এর পর পূর্বে ডিমের চর ( যদি আবওহা অনুকূল থাকে ডিমের চরে যাবো) ও বিকাল ৪ টায় ভয়ংকর কিন্তু সুন্দর কচিখালীতে ঘুরাঘুরি করে বিকাল নাগাদ ট্যুরিষ্ট শীপে চলে আসব।
রাতের আমরা জাহাজে বন্যপরিবেশের মাঝে বার-বি-কিউ ডিনার করব। খাওয়াদাওয়া শেষ করে জাহাজে রাত্রি যাপন। রাতেই আমাদের জাহাজ গভীর বন জঙ্গল আর সরু নদী পেড়িয়ে রওনা হবে করমজলের দিকে।
★★৪র্থ দিন (রবিবার) :
সকালের নাস্তা খেয়ে করমজল ইকো ট্যুরিজম স্পট পরিদর্শন। করমজল হল একটি বন্য প্রাণী প্রজনন কেন্দ্র। এখানে প্রচুর কুমির ও কুমিরের বাচ্চা দেখা যাবে সাথে প্রচুর বানর ও হরিন দেখতে পাওয়া যাবে। এরপর কাঠের ট্রেইল ধরে আমরা যাব ওয়াচ টাওয়ারের দিকে ওয়াচ টাওয়ার থেকে পুরো বনের ভিউ পাওয়া যাবে।
করম জল ভ্রমণ শেষে দুপুরে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হব। করমজল থেকে নৌ পথে যেতে যেতে দেখা যাবে মংলা সমুদ্র বন্দর, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র, খুলনা শীপ ইয়ার্ড, রুপশা ব্রীজ। আনুমানিক বিকেল ৫/৬ টা নাগাদ খুলনা ফিরব আমরা। এখানেই আমাদের ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটবে।
ভ্রমণের সমাপ্তি ঘটলেও ভ্রমণের যে স্মৃতি মনে গেথে থাকবে তার থাকবে সারাজীবন।
বিঃ দ্রঃ জোয়ার ভাটা ও প্রাকৃতিক পরিবেশের কারনে ২/৩ ঘন্টা সময় ব্যবধান হতে পারে।
যে সকল খাবার প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে
১ম দিন:
🔹রাতে : সাদা ভাত, সবজি,মুরগী কারী, ডাল,সালদ।
২য় দিন:
🔹সকালে: পরটা, সবজী, হালুয়া, ডাল, ডিম ভাজি, চা/কফি
🔹বেলা ১১ টা- কমলা/পেয়ারা, চা/কফি।
🔹দুপুরে: সাদাভাত, লাউ চিংড়ি,দেশী মাছ ,মুরগী কারী,ডাল, সালাদ।
🔹বিকেল:পুরি/পাকোড়া/চা/কফি।
🔹রাত্রে: এগ ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, চিংড়ি মাছ, চাইনিজ ভেজিটেবল, সালাদ,সফট ড্রিংস।
৩য়_দিন:
🔹ভোর বেলা: বিস্কিট/কেক।
🔹সকাল ৯ টা: ভুনা খিচুরি, বেগুন ভাজী, ডিমের কারি, আচার, সালাদ, চা/কফি।
🔹বেলা ১১টা: বিস্কিট/ পেয়ারা , চা/কফি।
🔹দুপুরে: সাদা ভাত,মিস্কড সবজী, রুই মাছ, গরু ভুনা/ খাশী ভুনা,ডাল, সালাদ।
🔹বিকেল: নুডুলস, চা/কফি।
🔹রাত্রে: পোরাটা,মুরগির বারবিকিউ, কোরাল মাছের বারবিকিউ, ডাল ভুনা, রাসিয়ান সালাদ, কোল্ড ড্রিংস।
৪র্থ_দিন:
🔹সকালে: পরটা, সবজী,ডাল,ডিম ভাজি, চা/কফি
🔹বেলা ১১টা- বিস্কিট, চা/কফি।
🔹দুপুরে- সাদা ভাত,মিস্কড সবজী,দেশী মাছ, মুরগী কারী,ডাল সালাদ।
🔹বিকেল: ৬ টা হালকা নাস্তা, চা/কফি।
★ খাবার: প্রতিদিন ২ বেলা স্নাক্স সহ ৫ বেলা ডবল মেনুর খাবার এবং পর্যাপ্ত চা/কফির ব্যাবস্থা।
বি দ্র: সিজেনের কারনে খাবারে সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
ভ্রমণ পলিসি
★শিশু পলিসি :
০-২ বছরের বাচ্চাদের জন্য চার্জ প্রযোজ্য নয়, ৩-৬ বছরের বাচ্চার জন্য ৩৫০০/- প্রযোজ্য।
★ বিদেশীদের জন্যে অতিরিক্ত ৫২০০/- টাকা ফরেষ্ট এন্ট্রি ফি দিতে হবে।
★নিরাপত্তা: নিরাপত্তার ব্যাপারে আমাদের কোন আপোস নেই। আপনাদের নিরাপত্তার জন্য সার্বক্ষনিক নিয়োজিত থাকবে বাংলাদেশ বনবিভাগ থেকে দুই জন সসস্ত্র নিরাপত্তা কর্মী । আবহাওয়া এবং অন্য যে কোন প্রয়োজনে রেডিওর মাধ্যমে ফরেস্ট, কোষ্ট গার্ড এবং নৌ-বাহিনীর সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন।
প্যাকেজে যা থাকবে নাঃ
★ ব্যক্তিগত কোন ঔষধ।
★ সফট বা হার্ড ড্রিংস্।
★ ক্যামেরা বা ভিডিও ক্যামেরার এন্ট্রি ফি।
📶 সুন্দরবনে একমাত্র টেলিটক এর নেটওয়ার্ক কাজ করে।
বুকিং মানি জমা দেওয়ার পদ্ধতিঃ
★ বুকিং মানি ৫,০০০ টাকা (জনপ্রতি)
★ সরাসরি অফিসে এসে জমা দেওয়া যাবে।
★বিকাশের করা যাবে।
★ ব্যাংক ডিপোজিট করা যাবে।
কর্পোরেট ও প্যাকেজ বুকিং এর জন্য যোগাযোগ করুনঃ
+8801712060609