Beautiful Bangladesh

Beautiful Bangladesh I also believe that someday Bangladesh would be called
"The Heart of Asia"

I dream that someday everyone in this world would 'become a fan' or 'like' Beautiful Bangladesh; I also believe that someday Bangladesh would be called "The Heart of Asia"

১৯৭১ সালে ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত ভারত সরকার অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গ...
29/10/2022

১৯৭১ সালে ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ

১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন অবিভক্ত ভারত সরকার অসম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড ও উত্তরবঙ্গের সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগ সহজতর করার লক্ষ্যে পদ্মা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব করে। পরবর্তীতে ১৯০৮ খ্রিষ্টাব্দে সেতু নির্মাণের মঞ্জুরী লাভের পর ব্রিটিশ প্রকৌশলী স্যার রবার্ট গেইলস সেতুটি নির্মাণের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে সেতু নির্মাণের সমীক্ষা শুরু হয়। ১৯১০-১১ খ্রিষ্টাব্দে পদ্মার দুই তীরে সেতু রক্ষার বাঁধ নির্মাণ হয়। ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে সেতুটির গাইড ব্যাংক নির্মাণের কাজ শুরু হয়। পাশাপাশি সেতুর গার্ডার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। গার্ডার নির্মাণের জন্য কূপ খনন করা হয়। ২৪ হাজার শ্রমিক দীর্ঘ ৫ বছর অক্লান্ত পরিশ্রম করে ১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দে সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। তৎকালীন অবিভক্ত ভারতের ভাইসরয় ছিলেন লর্ড হার্ডিঞ্জ। তার নামানুসারে সেতুটির নামকরণ করা হয় হার্ডিঞ্জ ব্রীজ। সেতুটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল ৩ কোটি ৫১ লক্ষ ৩২ হাজার ১ শত ৬৪ টাকা। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৫ হাজার ৮ শত ফুট। ব্রিজটিতে ১৫টি স্প্যান আছে। ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিযুদ্ধের সময় সেতুটিতে বোমা ফেলা হলে ১২ নম্বর স্প্যানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যেগুলো পরে মেরামত করা হয়েছে।

হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ঈশ্বরদী ভেড়ামারা সীমানায় পদ্মানদীর উপর অবস্থিত। সেতুটি দিয়ে শুধু ট্রেন চলাচল করে। বাংলাদেশ রেলওয়ে সেতুটির রক্ষণাবেক্ষণ ও নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে। ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে এই হার্ডিঞ্জ ব্রিজ নির্মাণের শতবর্ষ পূর্ণ হয়।

হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনী (রহ.) এর ৩৬০ জন সফরসঙ্গীর অন্যতম হযরত দাউদ শাহ কোরেশী (রহ.) এর মাজার শরীফ,সুগন্ধীয়া, ঝালকাঠী সদ...
24/09/2022

হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনী (রহ.) এর ৩৬০ জন সফরসঙ্গীর অন্যতম হযরত দাউদ শাহ কোরেশী (রহ.) এর মাজার শরীফ,
সুগন্ধীয়া, ঝালকাঠী সদর, ঝালকাঠী ।

বাকলা-চন্দ্রদ্বীপ অঞ্চলে ইসলাম প্রচারের আদিপর্বে যে সকল মহাপুরুষদের আগমন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো হযরত দাউদ শাহ কোরেশী রহমতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম।
ইতিহাস থেকে জানা যায় সিলেটে শায়িত হযরত শাহ জালাল ইয়েমেনী রহমাতুল্লাহি এর এদেশে হিজরত করার ক্ষেত্রে যে ৩৬০ জন সফরসঙ্গী ছিল তন্মধ্যে হযরত দাউদ শাহ কোরেশী রহমাতুল্লাহি আলাইহি অন্যতম।
তবে কারো কারো মতে, হযরত দাউদ শাহ্ কোরেশী (রহ.) সম্রাট শাহ সুজার আমলে ঝালকাঠিতে এসেছিলেন বলে অনুমান করা হয়।
তবে ঐতিহাসিক সিরাজ উদ্দীন আহমেদ বলেন, হযরত দাউদ শাহ কোন সময় চন্দ্রদ্বীপে ইসলাম ধর্ম প্রচার করতে আসেন তা নিয়ে মতান্তর আছে। কেউ বলেন তিনি সুলতানী আমলে সুদূর ইরান থেকে এসে খড়ম পায়ে সুগন্ধা নদী অতিক্রম করে এ অঞ্চলে আগমন করেন। আবার কেউ বলেন তিনি মোগল আমলে এ অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচার করেন। কাহিনী ও মসজিদের নির্মাণ কৌশল দেখে মনে হয় হজরত দাউদ শাহ মোগল আমলে প্রথম দিকে বাকলায় আগমন করেন। সুগন্ধিয়ায় সরদারদের পূর্বপুরুষ শ্রাবণ ঠাকুর দাউদ শাহের সমকালীন। সরদারের বংশতালিকা অনুসারে দেখা যায় দাউদ শাহ্ ১৬ শতকের শেষভাগে এ অঞ্চলে আসেন।

জনশ্রুতি আছে তিনি একজন শ্রমিকের ছদ্মবেশে শ্রাবণ ঠাকুরের বাড়িতে আশ্রয় নেন। একদিন শ্রাবণ ঠাকুরের স্ত্রী দেখতে পেলেন দাউদ শাহের হাতের ইশারায় নারিকেল গাছ নিচু হয়ে যায় এবং তিনি সে গাছ থেকে দাঁড়িয়ে নারিকেল পাড়েন। আর একদিন দেখা গেল দাউদ শাহ্ চুলায় কোন কাঠ না দিয়ে তার নিজের পা জ্বালিয়ে ধান সিদ্ধ করছেন। এঘটনা দেখে শ্রাবণ ঠাকুর ও তার স্ত্রী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন এবং তাঁর নাম হয় শ্রাবণ খাঁ। তারপর দাউদ শাহ শ্রাবণ খাঁ কর্তৃক নির্মিত খানকায়ে খোদার ধ্যানে মগ্ন হলেন। তিনি একদিন তাঁর ভক্তদের বললেন, তিনি কবরের মধ্যে তিন দিন ধ্যানে মগ্ন থাকবেন এবং এ সময় তাকে যেন ওঠানো না হয়। কিন্তু ভক্তগণ বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে পারলনে না। তারা কবরখোঁড়া শুরু করল। কবরে শব্দ শোনাগেল। দেখা গেল কবরে একচাপ রক্ত পড়ে আছে। ভক্তগণ রক্ত কবর দিলেন। সেই রক্তের উপরের কবরই হযরত দাউদ শাহ কোরেশী (রহ.) মাজার মাজার শরীফ।

এছাড়াও কথিত আছে গৌড়ের শাসনকর্তা হযরত দাউদ শাহ রহ. এর সাধনার কথা শুনে মুগ্ধ হন। তিনি রাজমহল ও রাজস্থান থেকে সাদা পাথর এনে মাজার নির্মাণ করেন। মাটি থেকে তিন ফুট উঁচু সাদা পাথর এবং কবরের মেঝে কালো পাথর দিয়ে বাঁধানো। দাউদ শাহের কবরের উপরে কালো পাথরে কোরানের বাণী যত বড় আকারে উৎকীর্ণ আছে, বাংলাদেশে অন্য কোনো মাজারে কোরানের বাণী এতবড় আকারে উৎকীর্ণ নেই। সামনে তার খাদেম মতান্তরে সর্দার বংশধর আলামত খাঁ ও নেয়ামত খাঁর কবর আছে। মাজারে দুই খন্ড পাথর আছে। প্রবাদ আছে পাথরগুলো এখানে ভেসে এসেছে। মাজারের সামনে মসজিদ আছে। পাশেই একটি দীঘি।

মাজারের তত্ত্বাবধানের জন্য মোগল সম্রাট লাখেরাজ সম্পত্তি প্রদান করেন। চেরাগী দাউদ শাহ (কিসমত চরামদ্দি, পরগণা চন্দ্রদ্বীপ) নামে লাখেরাজ সম্পত্তি ছিল। শ্রাবণ খার পুত্র আলামত খার পুত্র আহম্মদ খার নামে এই লাখেরাজ সম্পত্তি ছিল। আহম্মদের নামে চর আহম্মদিয়া বা চরামদ্দির নাম হয়েছিল। ইংরেজ সরকার এ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নেয়।ইতিহাস থেকে জানা যায়, সরদার দের নিকট ফার্সী ভাষায় লেখা দু’খানা দলিল আছে।
আর এই স্থানীয় সরদার বংশ তথা যাদের পূর্বপুরুষ ছিল শ্রাবণ ঠাকুর তথা শ্রাবণ খাঁ, তারা মাজারের তত্ত্বাবধায়ক তথা খাদেম হিসেবে ছিল।বর্তমানে অবশ্য সরদার পরিবার নয়, বরং খন্দকার পরিবার মাজারের খাদেম হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে।

তথ্যসূত্র অনুযায়ী হযরত দাউদ শাহ্ কোরেশী (রহ.) কর্তৃক এতদঞ্চলে তিন খানা মসজিদ নির্মাণ করার হয় বলে নজির পাওয়া যায়। ঝালকাঠি বন্দরে একখানি মসজিদ স্থাপন করেছিলেন এবং সেখানে বসে দ্বীনের দাওয়াতের জন্য মানুষদেরকে আহবান জানাতেন। ঝালকাঠির তাবলীগ মসজিদের ঠিক কাছেই তিনি এই পাকা মসজিদ নির্মাণ করেন। একটি ছোট্ট পাকা খুপরির মত নামাযের ঘর রূপে এই মসজিদ ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত দেখা গেছে। পরবর্তীতে সেই জীর্ণ ঘরটি ভেঙ্গে ঝালকাঠি মারকাজ মসজিদ নির্মিত হয়েছে।

এ ছাড়া হযরত দাউদ শাহ্ ঝালকাঠির শহরতলীর সুতালরীতে ও নলছিটিতে মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

ঝালকাঠী সদরের সুগন্ধিয়ায় অবস্থিত হযরত দাউদ শাহ্ কোরশী (রহ.) এর মাজারের পশ্চিম দক্ষিণ প্রান্তের কয়েকটি ভগ্ন কবর তাঁর সাথীদের বলে অনুমিত। হয়তো দাউদ শাহ্ (রহ.) দরবার ছিল এটা।
দার্শনিক হযরত কায়েদ সাহেব হুজুর (রহ.) বহুবার এ মাজারে এসে নির্ধারিত তারিখে ওয়াজ মাহফিল করে মাজার সংশ্লিষ্ট আচার-আচরণকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এর ধারায় পরিবর্তন করেন।

সংগ্রহেঃ বদরুল আলম সাইফী

Address

Dhaka

Telephone

+8801711159296

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Beautiful Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share


Other Tourist Information Centers in Dhaka

Show All