18/05/2024
🥰🥰🥰 আসসালামু আলাইকুম 🥰🥰🥰
🥰 👉 ইউরোপের ভিসা প্রসেসিং সব সময়-ই অনিশ্চিত। এই অনিশ্চিত গন্তব্যে নিশ্চিতভাবে পৌঁছাতে চান সবাই।কিছু মানুষ এই অনিশ্চিত গন্তব্যে, নিশ্চিতভাবে কাজ করে দিতে পারবেন বলে গ্যারান্টি দিয়ে মানুষের কাছ থেকে পাসপোর্ট এবং নগদ অর্থ গ্রহণ করেন। যার কারনে বাংলাদেশের প্রান্তিক পর্যায়ের সহজ সরল মানুষ গুলো সুদের উপর লোন করে, ভিটে জমি বিক্রি করে,বউ এবং মা,বা বোনের গয়না বন্ধক রেখে, হাঁস,মুরগি,গরু,ছাগল বিক্রি করে টাকা জমিয়ে,সেই টাকা ইউরোপের জন্য তুলে দেন তার পরিচিত,অথবা আত্মীয়,অথবা স্বল্প পরিচিত কোন মাধ্যমে।
👉 দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করতে গিয়ে আমার যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় হয়েছে। তার আলোকে আজকে আপনাদেরকে কিছু নির্দেশনা ও পরামর্শ দিচ্ছি যেগুলো পালন করলে অন্তত আপনি ক্ষতিগ্রস্ত বা প্রতারিত হবেন না।
👉 শর্টকাটে অথবা তাড়াতাড়ি যাওয়ার রাস্তা বাদ দিয়ে দেরি হলেও, বা বেশি সময় লাগলেও বিশ্বস্ত কোন প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছে আপনার দায়িত্ব দিতে পারেন।
👉 ইউরোপে যাওয়ার জন্য প্রথমেই সুদের উপর লোন করে বা ঋণ করে বা স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি বন্ধক রেখে নগদ টাকা সংগ্রহ করে জমা দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
👉 প্রথমেই কষ্ট করে কিছু টাকা সঞ্চয় করে সেটা জমা দিন। ভিসা হওয়ার পর নগদ অর্থ না থাকলেও আত্মীয় স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ গ্রহণ করে আপনার ব্যয় বহন করতে পারবেন।
👉 আবেদন জমা দেয়ার পর ভিসা কখন হবে বা পারমিট কখন আসবে বা কখন এম্বাসিতে জমা দিব এ বিষয়গুলোর আপডেট না নিয়ে বরং যেকোনো একটি কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন, বেকার না থেকে ছোটখাটো যেকোনো ধরনের কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। মাঝেমধ্যে কাজের আপডেট নিন। আপনার কাজ হলে বা কাজ সফলতার কাছাকাছি আসলে আপনার প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তি আপনাকে আপডেট জানিয়ে দিবেন।
👉 ইউরোপের জন্য যারা গ্যারান্টি দিয়ে দায়িত্ব নেয় তাদেরকে বর্জন করে যতটুকু সম্ভব দূরত্ব বজায় রাখুন।
👉 বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের দ্বারে দ্বারে না ঘুরে বরং নিজেকে যোগ্য হিসেবে প্রস্তুত করে গড়ে তুলুন,সেজন্য স্বল্পমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদি কারিগরি শিক্ষা বা হাতে কলমে শিক্ষা গ্রহণ করুন।
👉 সোশ্যাল মিডিয়ার বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট না হয়ে ব্যক্তির সম্পর্কে বা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে যাচাই বাছাই করে, ব্যাংকের মাধ্যমে লেনদেন সম্পন্ন করে আপনার আবেদন জমা দিন।
👉 আপনার আবেদন বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়ার সাথে সাথে চাকরি থেকে অবসর বা বিজনেস বন্ধ করে দেয়া থেকে বিরত থাকুন। কেবলমাত্র ভিসা হাতে পাওয়ার পর পর চাকরি বা ব্যবসা বন্ধ করে দিন। ভিসা হাতে পাওয়ার আগে আপনাকে যত ধরনের গ্যারান্টি দেয়া হোক না কেন ভুলেও সে সমস্ত কথায় আকৃষ্ট না হয়ে বর্তমান পেশায় নিজেকে নিয়োজিত রাখুন।