20/10/2022
Green Zone Tours & Travels এর সাথে ৩ দিন ও ৪ রাতের ট্রিপে আমিয়াখূম ও নাফাকুম ভ্রমণ।।
যাত্রা ঃ ০৩ নভেম্বর ---রাত ১০.০০টা ঢাকা থেকে
ফেরা ঃ ০৬ নভেম্বর -- রাত ০৯.০০ টা বান্দরবান থেকে।।
**★--ইভেন্ট ফি
( ক) ৮০০০/==টাকা ( জনপ্রতি) নন-এসি বাস
যোগাযোগ ---০১৭১২৬৩৯৩৭০।
কনফার্ম করার ডেডলাইন == আসন খালি থাকা সাপেক্ষে ।।
**** চারদিকে বড় বড় পাহাড়। এরই মাঝে বয়ে চলেছে রেমাক্রি খালের একটি ধারা। এদিক সেদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে দানবাকৃতির বিশাল সব পাথরের চাঁই বা বোল্ডার। শত, হাজার বছর ধরে পাহাড়ের বুকে কুম্ভকর্ণের মত ঘুমিয়ে আছে এগুলো।
চারদিক নিস্তব্ধ। নেই কোন কোলাহল। কান পাতলে শোনা যায় অদ্ভুত এক নীরবতা।
সময় যেন এখানে এসে থমকে গিয়েছে। সৌন্দর্য যেন এখানে এসে আটকে গিয়েছে, বেড়ে গিয়েছে বহুগুণে।
নীরবতা ভেদ করে হঠাৎ কানে আসে জলের গর্জন। রেমাক্রি খালের ধারাটি আপন মনে বয়ে চলতে চলতে অধঃপাতিত হয়ে হঠাৎ করে আশ্রয় নেয় জমে থাকা নিচের জলধারায়। সৃষ্টি হয় গভীর এক খুমের। রচিত হয় খোদার এক অপূর্ব সৃষ্টির। নাম যার আমিয়াখুম।
আমিয়াখুম। সে এক ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের নাম, সে এক মুগ্ধতা ছড়ানো আবেশের নাম।
আমিয়াখুমের একটু আপস্ট্রিমে গেলেই সন্ধান মেলে আরেক চোখ জুড়ানো সৌন্দর্য সাতভাইখুমের। ডাউনস্ট্রিমে আছে ভেলাখুম।
******আমিয়াখুম, সাতভাইখুম, ভেলাখুমের অপার সৌন্দর্যে অবগাহন করতে Green Zone Tours & Travels এবার যাচ্ছে সেই সৌন্দর্যের রাজ্যে। সাথে থাকছে আরেক সুন্দরী নাফাখুমের দেখা।
***বিস্তারিত***
**** ০৩ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার ): ঢাকা থেকে রাতের বাসে বান্দরবানের উদ্দেশ্যে রওনা।
***** ০৪ নভেম্বর (শুক্রবার ): সকালে বান্দরবান পৌঁছে থানচির উদ্দেশ্যে রওনা। থানচি পৌঁছে নাম এন্ট্রি ও খাওয়া দাওয়া শেষ করে ইঞ্জিনচালিত নৌকায় পদ্মঝিরির উদ্দেশ্যে গমন। ঘন্টাখানেকের নৌকা ভ্রমণ শেষে পদ্মঝিরি পৌঁছানো। সেখান থেকেই ট্রেকিং শুরু। পদ্মঝিরি থেকে পাহাড়ি চড়াই উৎরাই পেরিয়ে হরিশচন্দ্র পাড়া হয়ে ৫ ঘন্টার ট্রেকিং শেষে থুইসা পাড়ায় / জিন্নাপাড়া পৌঁছানো। থুইসা পাড়া / জিন্নাপাড়া পৌঁছতে পৌঁছতে সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত হয়ে যেতে পারে। রাতে সেখানে রাত্রি যাপন।
***** ০৫ নভেম্বর (শনিবার ): খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে থুইসাপাড়া / জিন্নাপাড়া থেকে আমিয়াখুমের উদ্দেশ্যে গমন। কুখ্যাত, বিখ্যাত দেবতার পাহাড় বেয়ে আমিয়াখুম নেমে বেশ কিছু সময় সেই ভয়ঙ্কর সৌন্দর্য অবলোকন করে, পানিতে দাপাদাপি করে চলে যাবো আপারস্ট্রিমের সাতভাইখুমে। অনিন্দ্যসুন্দর খুম ধরে ভেলা বেয়ে নাইক্ষ্যংমুখ পার হয়ে দেখা মিলবে সাতভাইখুমের।
সবকিছু দেখে ভালো লাগার মুহূর্তগুলো সঙ্গী করে বিকালে আবার চলে আসব থুইসা পাড়ায়। আবার সেখানে রাত্রি যাপন। সঙ্গী হবে মস্ত বড় এক চাঁদ। পূর্ণিমার চাঁদের ঝরে পড়া রুপোলি আলোয় পাহাড় ও পাহাড়ি পাড়া যে কতটা মায়াবী ও রহস্যময় লাগতে পারে সেই অনুভূতির অভিজ্ঞতা হতে পারে সে রাতে।
****** ০৬ নভেম্বর (রবিবার ): খুব সকালে ঘুম থেকে উঠে ব্যাগপত্র গুছিয়ে ফিরতি পথে যাত্রা শুরু। থুইসা পাড়া থেকে জিনা পাড়া হয়ে প্রথম গন্তব্য আরেক পাহাড়ি সৌন্দর্য নাফাখুমের পানে। নাফাখুম পৌঁছে বেশ কিছুক্ষণ সময় কাটিয়ে, পানিতে দাপাদাপি, ঝাঁপাঝাঁপি সেরে রওনা দিবো রেমাক্রির উদ্দেশ্যে। রেমাক্রি এসে পেটপুজা সেরে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় রওনা দিবো থানচির উদ্দেশ্যে। সাঙ্গু নদীতে ঘন্টা দুয়েকের স্মরণীয় এক নৌকা ভ্রমণ শেষে, চলতি পথে বড় পাথর এলাকা, 'বাংলার ভূস্বর্গ' খ্যাত তিন্দু দেখে পৌঁছে যাবো থানচি। থানচি থেকে গাড়িতে বান্দরবান। বান্দরবান পৌঁছে রাতে ঢাকার ফিরতি বাস।
*****- ০৭ নভেম্বর (সোমবার ): ভোরে ঢাকায় পৌঁছানো।
***এক নজরে***
সময়কাল: ০৩- ১১- ২০২২ (রাত) থেকে ০৭ -১১-২০২২ (সকাল) পর্যন্ত।।
অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা: ২৪ জন
****যেসব স্থান যাওয়া/দেখা হবে:
--> আমিয়াখুম
--> সাতভাইখুম
--> ভেলাখুম
--> নাফাখুম
--> রেমাক্রি
--> বড় পাথর
--> তিন্দু
--> থানচি
********ইভেন্ট ফি: ৮০০০/- (জনপ্রতি)********
--> বুকিং ফি হিসেবে আগামী ২৫ অক্টোবরের মধ্যে ৪০০০/- প্রদান করে নিজস্ব অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
যোগাযোগ --০১৭১২৬৩৯৩৭০
খাবার ঃ--
১ম দিন -- সকাল -- পরাটা, সবজি, ডিম ও চা।
দুপুর -- ভাত, সবজি, গরূ বা মুরগী বা মাছ ও ডাল
রাত -- ভাত, আলু ভর্তা, মুরগী ও ডাল।।
২ য় দিন -- সকাল -- ভূণা খিচুড়ি ও ডিম ।
দুপুর -- সাথে থাকা শুকনা খাবার --খেজুর ও চিড়া
নুডুলস ইত্যাদি।।
রাত -- ভাত, আলু ভর্তা, মুরগী ও ডাল।।
৩য় দিন -- সকাল -- ভাত, ডিম, আলু ভর্তা ও ডাল।।
দুপুর -- ভাত, সবজি, গরূ বা মুরগী বা মাছ ও ডাল
রাত -- ভাত, মাছ বা মুরগী ও ডাল।।
ইভেন্ট ফি/বুকিং ফি জমা করে আমাদেরকে জানালে আমরা ইভেন্ট পেজে 'কনফার্ম লিস্ট' আপডেটের মাধ্যমে জানিয়ে দিব।
***ইভেন্ট ফি এর অন্তর্ভুক্ত যা যা থাকছেঃ
--> ঢাকা-বান্দরবান-ঢাকা বাসের টিকেট
--> বান্দরবান-থানচি-বান্দরবান গাড়ির খরচ
--> থানচি-পদ্মঝিরি, রেমাক্রি-থানচি নৌকা খরচ
--> গাইড ফি
--> থুইসা পাড়ায় রাত্রি যাপনের খরচ
--> ০৪ নভেম্বর সকাল থেকে ০৬ নভেম্বর রাত পর্যন্ত সকল প্রকার মূল বেলার খাবারের খরচ।
****ইভেন্ট ফি এর অন্তর্ভুক্ত যা থাকছেনা:
--> ব্যক্তিগত যেকোন প্রকার খরচ ঃ--
সিগারেট, সফট ড্রিংকস ও নিজস্ব চাহিদা মোতাবেক বিলাসী খাবার ও ফাস্টফুড ।
****যা যা সাথে নেয়া উচিত:
১/ প্রয়োজনীয় বস্ত্রাদি। যত কম কাপড় নেয়া যায় ততই উত্তম।
২/ শুকনা খাবার (চকোলেট, ম্যাংগো বার, খেজুর, কিসমিস, বিস্কিট, বাদাম ইত্যাদি)
৩/ ভালো মানের ট্রাভেল ব্যাগ। আরামদায়ক ট্রেকিং এর জন্য যা খুবই জরুরি।
৪/ ট্রেকিং স্যান্ডেল। কোন কেডস/বুট নেয়া যাবেনা।
৫/ টর্চ লাইট (অতি আবশ্যক)... রাতে হাঁটার জন্য অবশ্যই প্রত্যেকের টর্চ লাইট নিতে হবে।
৬/ লাইফ জ্যাকেট। যারা সাঁতার জানেন না তাদের জন্য অতি আবশ্যক।
৭/ গামছা, ক্যাপ, সানগ্লাস
৮/ মশার উপদ্রব থেকে বাঁচার জন্য অডোমস
৯/ ব্যক্তিগত ঔষধ
১০/ রেইনকোট
১১ / পাওয়ার ব্যাংক। যেহেতু কোন বিদ্যুৎ থাকবেনা সেহেতু মোবাইল বা অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চার্জ দেয়ার জন্য পাওয়ার ব্যাংক নেয়া জরুরি
****ইভেন্টে অংশগ্রহণের জন্য করণীয় বিষয়সমূহঃ
১/ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করার পূর্বে ইভেন্ট ডেসক্রিপশন আগাগোড়া ভালোভাবে পড়ে নেয়া বাঞ্ছনীয়।
২/ এই ইভেন্টে দৈনিক গড়ে ৫/৬ ঘন্টা বা তার বেশি সময় পাহাড়ি উঁচু নিচু পথে ট্রেকিং করতে হবে। হাঁটতে হতে পারে রাতেও। সবকিছু মিলিয়ে যা একটি পরিশ্রমসাধ্য ব্যাপার। এছাড়া এখানে বিলাসিতার কোন সুযোগ নেই। থাকতে হবে কোন এক পাহাড়ি পাড়ায়। আরামদায়ক কোন নরম বিছানা মিলবে না। পাওয়া যাবেনা পছন্দসই সব খাবার।
সুতরাং যারা এ পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারবেন তারা কনফার্ম করবেন।।
যোগাযোগ ***০১৭১২৬৩৯৩৭০