10/04/2024
"ঈদ মোবারক"
সবাইকে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা।
It`s a Platform for Travelers. We assistance including trip guide, air ticketing, hotel booking and visa assistance. It`s a Platform for travelers
(7)
"ঈদ মোবারক"
সবাইকে ঈদ উল ফিতরের শুভেচ্ছা।
ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
CAMBODIA 🇰🇭 VISA :
থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে যেভাবে ১ দিনে কম্বোডিয়ার ভিসা করবেন :
💥 Document checklist :
১. থাইল্যান্ডের ভিসার ফটোকপি, অ্যারাইভাল সিল সহ।
২. পূরনকৃত ভিসা এপ্লিকেশন ফরম।
৩. এক কপি ছবি। (পাসপোর্ট সাইজ হলেও হবে)
৪. হোটেল বুকিং
৫. এয়ার টিকিট অনলি বুকিং।
৬. ভিসা ফি ১২০০-১৬০০ থাই বাথ।
৭. ব্যাংক স্টেটমেন্ট/ ক্রেডিট কার্ড ফটোকপি ।
সকাল ১০ টা থেকে ১১ টার মধ্যে জমা দিলে বিকেল ৪টায় নিশ্চিত ডেলিভারি পেয়ে যাবেন। ১ঘন্টায় ডেলিভারি পেয়ে যাবেন..যদি লোক কম থাকে..
কম্বোডিয়া এম্বাসীর ঠিকানা :
518 4 Pracha Uthit Rd, Wang Thonglang, Bangkok 10310, Thailand
ইন্ডিয়ান ভিসায় নতুন পোর্ট অ্যাড করার জন্য কোন অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেয়া লাগে না।
ডকুমেন্টস:-
১. অরিজিনাল পাসপোর্ট।
২. ২"*২" সাইজের ছবি।
৩. পাসপোর্ট ফটোকপি।
৪. ইন্ডিয়ান ভিসার ফটোকপি ( ভিসার মেয়াদ তিন মাস থাকতে হবে)
৫. পোর্ট অ্যাড করার আবেদন ফর্ম।
৬. পোর্ট অ্যাড ফী, 300 টাকা।
৭. যে IVAC থেকে মূল ভিসা পেয়েছেন সেখানেই পোর্ট অ্যাড করতে হবে।
*** বর্তমানে পোর্ট অ্যাড করার জন্য জমা দিলে ২০ দিন পরে ডেলিভারি ডেট দেয়।
এখন থেকে নেপাল যেতে ভিসা লাগবে।
https://www.dhakapost.com/country/211294
বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ্ডি পেরিয়ে যখন পরিবারের হাল ধরার কথা তখন নিজেই দুরারোগ্য ব্যাধি ফুসফুস ক্যানসারে আক্রান্ত আন...
যশোরের শার্শার বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে স্থলপথে চলাচল করা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের ভ্রমণকর শনি...
ইন্ডিয়ান_টুরিস্ট_ভিসা_করতে_কি_কি_ডকুমেন্টস প্রয়োজন :
১। ২*২ ল্যাব প্রিন্ট ছবি
২। এপ্লিকেশন ফর্ম
৩। এন আই ডি / স্মার্ট কার্ড / জন্ম নিবন্ধন কপি
৪। বর্তমান ঠিকানা অনুযায়ী আপডেট ইউটিলিটি বিলের কপি।
৫। লাস্ট ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট (মিনিমাম ব্যালেন্স ২০০০০৳) / ডলার এনডোর্সমেন্ট।
৬। পেশাগত প্রমাণপত্র (NOC/ট্রেড লাইসেন্স ইত্যাদি)
৭। লাস্ট ভিসা কপি (যদি থাকে)।
৮। পাসপোর্ট কপি
৯। নতুন এবং পুরাতন পাসপোর্ট (একসাথে পিনাপ করে দিবেন)
১০। ৮৪০৳ ফি (UPAY)
কাগজ গুলো উপরের সিরিয়াল অনুযায়ী সাজিয়ে দিবেন।
দেখে নিন আপনি কোথায় যেতে চাইলে কোন পোর্ট দিয়ে ভিসা করবেন??
সিক্কিম/দার্জিলিং/শিলিগুড়ি/ডুয়ার্স/সান্দাকফু/গোচেলা ট্রেক ইত্যাদি যেতে চাইলেঃ
চ্যাংড়াবান্ধা অথবা ফুলবাড়ি দিতে হবে। ফুলবাড়ি দিলে আপনি খুব সহজেই শিলিগুড়ি পৌঁছে যাবেন। তবে এই পোর্টে সুযোগ সুবিধা কম থাকায় বেশির ভাগ ট্যুরিস্ট চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে প্রবেশ করে। চ্যাংড়াবান্ধা দিয়ে প্রবেশ করলে আপনাকে ২ ঘণ্টার মত জার্নি করে শিলিগুড়ি যেতে হবে।
মেঘালয়/নাগাল্যান্ড/অরুণাচল প্রদেশ যেতে চাইলেঃ
আপনাকে ডাউকি পোর্ট দিয়ে ভিসা করতে হবে। যা আমাদের সিলেটের তামাবিল দিয়ে প্রবেশ করতে হয়।
ত্রিপুরা যেতে চাইলেঃ
আপনাকে আগরতলা পোর্ট দিয়ে ভিসা করতে হবে।
আগের নিয়মে উপরের যে কোন পোর্ট নিলে এডিশোনাল পোর্ট হিসেবে (বেনাপোল+গেদে+ট্রেন+এয়ার) পাওয়া যায় বিধায় আলাদা করে শুধু বেনাপোল পোর্ট নেওয়া লস।
বিঃদ্রঃ এছাড়া আপনি ভিসা করার পর মাত্র ৩০০ টাকা দিয়ে আরও ২টি পোর্ট সংযুক্ত করতে পারবেন ৭ দিন সময় এর মধ্যে।
আলহামদুলিল্লাহ সুদীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে অবশেষে লাদাখ সফরে রেস্ট্রিকটেড কান্ট্রি তালিকা থেকে বাংলাদেশের নাম মুছে গেলো। এখন থেকে সব বাংলাদেশী ট্রাভেলার-রা প্যাংগং লেক, নুব্রা ভ্যালি, খাড়দুংলা সহ লাদাখের সব কয়টা ট্যুরিস্ট প্লেসে যেতে পারবে । এটা খুবই রিসেন্ট খবর । এতো বেশি রিসেন্ট যে লেহ জেলার এডিসি ছাড়া ডিসি অফিসের বাকি স্টাফরা অবধি জানেনা এটা । খুব শীঘ্রই এটা গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে । যারা যারা এতোদিন ধরে স্বপ্ন দেখে এসেছেন এসব জায়গায় যাবার জন্য, দিস টাইম ইওর টার্ন । গেট ইওর ব্যাকপাক রেডি আর গো ফর ইট
Collected
ঈদ মোবারক।।।
ইন্ডিয়ান ট্যুরিস্ট ভিসা আবেদনের জন্য নিম্মলিখিত সঠিক তথ্য সমূহ প্রদান করুন এবং আপনার কাঙ্খিত ভিসা পেতে আমাদের সহযোগীতা করুন:
১. ০৬ মাস মেয়াদ সম্পন্ন বৈধ পাসপোর্ট কপি
২. সদ্য তোলা ২*২ ইঞ্চি পাসপোর্ট সাইজ ছবি
৩. বর্তমান ঠিকানার ইউটিলিটি বিল
৪. জাতীয় পরিচয়পত্র
৫. আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা উল্লেখ করতে হবে
৬. ভিজিটিং কার্ড (কর্মক্ষেত্রের বিবরণ)
৭. পূর্ববতী সর্বশেষ ইন্ডিয়ান ভিসার কপি (যদি পূর্বে ইন্ডিয়ায় ভ্রমণ করে থাকেন)
৮. বিগত দশ বছরে যেসকল দেশ ভ্রমণ করেছেন সেই সকল দেশের নাম উল্লেখ করুন
৯. যদি আপনি স্টুডেন্ট বা অন্যের ইনকাম সোর্সের উপর নির্ভরশীল হন তবে উক্ত ব্যাক্তির কর্মবিবরণী উল্লেখ করুন (ভিজিটিং কার্ড)
১০. মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে দেখানো ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং টেস্টের কপি।
বি:দ্র: সকল ডকুমেন্ট অবশ্যই স্ক্যান কপি পাঠাতে হবে। (অস্পষ্ট ডকুমেন্টস গ্রহণ যোগ্য নয়)
খরচ সমূহ:
১. এম্বাসি ফি: ৮৫০/-
২. ভিসা প্রসেসিং ফি: ৫০০/- (মেডিকেল ভিসার ক্ষেত্রে ১,৫০০/-)
বি:দ্র:
- ফাইল প্রসেসিং টাইম আনুমানিক সাত কর্ম দিবস।
- ভিসা ইস্যু হওয়া সম্পূর্ণ এম্বাসীর উপর নির্ভরশীল।
- ভিসা ফি এবং প্রসেসিং ফি অফেরত যোগ্য।
সান্দাকফু'র সূর্যোদয়-২
-----------------------------
টংলু, মেঘমা (মেঘের মা; এখানে সবসময় মেঘ থাকে বলে এই নাম), চিত্রে, টুমলিং, গৈরিবাস ও কালিপোখরি হয়ে তবে যেতে হয় সান্দাকফু; সব পাহাড়ী অঞ্চলেই একেক সিজনে একেকরকম সৌন্দর্য থাকে, এখানেও ব্যক্তিক্রম নয়।
এখন শীতের শেষ বলে গাছাগাছালির পাতা ঝরে গেছে, ঘাসগুলো সব শুকিয়ে গেছে, তবে এখন পথঘাট শুকনো, ট্রেকারদের সুসময়, গাড়ি করে যাওয়া যায়, বর্ষায় গাড়ি চলে না।
টংলুতে কাঞ্চনজঙ্ঘা পাওয়ার উত্তেজনা কমে এলে আবার গিয়ে স্বদেশের গাড়িতে বসলাম। গত চারদিন এই গোটা অঞ্চলে সূর্য দেখা যায়নি, অতএব একটা উৎকণ্ঠা ছিলই, কাঞ্চনজঙ্ঘা আর এভারেস্ট এর দেখা পাব কিনা।
সান্দাকফু’র মূল আকর্ষণের অন্যতম হলো, এখানে থেকে পৃথিবীর ৫ টি উচ্চতম পর্বতের চারটির চূড়া দেখা যায়। আর যেটি দেখা যায় না সেটি হলো K2 পর্বত; অবস্থান পাকিস্তানে।
পরের বিরতি দিলাম কালিপোখরিতে; ছোটখাটো একটি লেক এখানে আছে, বর্ষার পানি থাকলে দেখতে ভালো লাগতো, শীতে প্রায় শুকিয়ে গেছে।
লেকের উল্টোদিকে গিয়ে এক বিস্ময়কর সৌন্দর্যের সন্ধান পাওয়া গেল; গভীর গিরিখাদের মত অনেক নীচুতে কিছু ট্রেইল বা রাস্তা ও গাছগাছালি দেখা যাচ্ছে, সেখান থেকে তীব্রবেগে ধেয়ে আসা মেঘ আমাদের গা কেটে বেরিয়ে যাচ্ছে, কেটে মানে কেটে, একেবারে হিম করে দিয়ে যাচ্ছে!
গাড়িতে ফের উঠতে উঠতে বুঝলাম, এই পাহাড়ে বাতাসের যে গতিবেগ থাকবে বলে ফোরকাস্টে দেখেছিলাম, বাতাস সেরকমই থাকবে বা তার চেয়ে বেশী। গৈরিবাসের পরের ১২ কিমি রাস্তা অত্যন্ত ধৈর্য না থাকলে পাড়ি দেওয়া কঠিন।
তবে, বাস্তবতা হলো, আগে তো এই পথ ট্রেকিং করেই যাওয়া লাগতো, এখন বরং ভালো মানের বোলেরো গাড়িতে যাওয়া যায়, তাই অসন্তুষ্টির সুযোগ নেই।
সান্দাকফু যখন পৌঁছলাম, তখন দুপুর দেড়টা প্রায়; যেহেতু সেখানকার সেরা হোটেল সানরাইজ নেপাল অংশে পড়ার কারনে আমরা বাংলাদেশীরা থাকতে পারব না, তাই আমরা বুকিং দিয়েছিলাম দ্বিতীয় সেরা হোটেল ‘শেরপা চ্যালেট’।
এটাও কম সুন্দর নয় কিন্তু ঐ যে, পৃথিবীব্যপী এখন বেনিয়াদের জয়জয়কার; এই হোটেলের দুটি অংশ, ভালো মানেরটি নেপাল অংশে এবং ট্রেকার্স হাটের মত রুগ্ন অবস্থারটি ভারতীয় অংশে,এটির কর্ণধার আমাদের দেখিয়েছেন নেপাল অংশের ডেকোরেশন কিন্তু আমাদের থাকতে হবে ভারতীয় অংশের রুগ্ন আয়োজনের কুঁড়েঘরে! অথচ, তিনি জানতেন, আমরা বাংলাদেশ থেকে আসছি!
তীব্র ঠান্ডা এখানে বিরাজ করছে, প্রায় ৪/৫ ডিগ্রি, সাথে রয়েছে ঝড়ো বাতাস এবং সেই সাথে রুমের এই কন্ডিশন দেখে সবাই হতাশ। এই ফাঁকে আমাদের মুরুব্বী ষাটোর্ধ আহসান ভাই বলে বসলেন, চলেন ফিরে যাই!
মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল; ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬ টায় রওনা দিয়ে ২২ তারিখ দুপুরে সান্দাকফু পৌঁছে সূর্যাস্ত না দেখে, পরেরদিনের সূর্যোদয় না দেখে কিভাবে ফিরে যাই!
আহসান ভাইয়ের টেনশনের যৌক্তিকত ছিল; উনি খুব বেশী শীতের কাপড় আনেননি, প্লাস এমন ঝড় হাওয়ায় রাতে আমরা টিকতে পারব কিনা, যেখানে কোন গিজার নেই, হিটার নেই, কিভাবে এই রাত পার করব, এই ছিল মূল টেনশন।
তিনি এরই মাঝে ৫ জনের মধ্য থেকে একজনকে রাজি করিয়ে ফেলেছেন। আমি বেঁকে বসলাম; বলে দিলাম, আপনারা গাড়ি নিয়ে চলে যান, আমি কালকে যেভাবে পারি অন্য গাড়িতে ফিরে যাব, পরিস্থিতি থমথমে হয়ে গেল!
(চলবে)
~
ভ্রমণে যেখানেই যান, সতর্ক থাকুন যেন আমাদের কারনে পরিবেশের ক্ষতি না হয় এবং ভ্রমণস্থান অপরিষ্কার না হয়। হ্যাপি ট্রাভেলিং।
সান্দাকফু'র সূর্যোদয়-১
--------------------------------
Courtesy by Shaheen Kabir
আজব এক রাস্তা ধরে এগোচ্ছি; বামে নেপাল, ডানে ইন্ডিয়া, নেই কোন বর্ডার। আমরা বাংলাদেশীরা দুই পাশের যে কোন দোকানে বসে খেতে পারব, আড্ডা দিতে পারব কিন্তু নেপাল অংশের কোন হোটেলে থাকতে পারব না; থাকলে নাকি রাতে নেপালি পুলিশ এসে ধরে নিয়ে যাবে!
রওনা দিয়েছি অফসিজনে; মনে দুরু দুরু ভয়, কাঞ্চনজঙ্ঘা কি দেখা দেবে? আশার আলো বলতে কেবল ওয়েদার ফোরকাস্ট; সেই আশায় ভর করে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে রওনা দিয়ে দিলাম আমরা পাঁচজন। শ্যামলীর শিলিগুড়ি পর্যন্ত গাড়ির টিকেট কেটেছি; ২২০০ টাকা প্রতিজন। এই গাড়িতে গেলে বর্ডারে ভিআইপি সার্ভিস পাওয়া যায়।
সবার আগে শ্যামলী এন আর এর এই গাড়িগুলির প্যাসেঞ্জারদের ছাড়া হয়, এরপর অন্যরা। এটাই বুড়িমারি বর্ডারের নিয়ম দেখলাম। এপারে ছিল হুন্দাই, ওপারে পেয়েছি ভলবো; চমৎকার সার্ভিস। এই রাস্তা ধরে গিয়েছিলাম শেষ ২০০১ সালে। বর্ডার থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত রাস্তাটুকু যেন বাংলাদেশের মাটি; একেবারে একইরকম গ্রামীন আবহ।
শিলিগুড়ি থেকে ড্রাইভার স্বদেশ আমাদের নিয়ে রওনা দিলেন মানেভঞ্জনের উদ্দেশ্যে; এটি সমতল থেকে প্রায় সাড়ে ছয় হাজার ফিট উপরে। হোটেল গ্লোরি বুক করা ছিল, মালকিনের ছেলে উজ্জ্বল আমাদের রিসিভ করল, ততোক্ষণে সন্ধ্যা পেরিয়ে গেছে এবং শিলিগুড়ির গরম কমে গিয়ে তীব্র ঠান্ডা আঘাত হেনেছে।
চারিদিকে সুনসান নীরবতা, কোথাও কোন আওয়াজ নেই; গ্লোরির উল্টোদিকের দোকানের বুড়ি দোকান বন্ধ করবে করবে ভাব। বৌদ্ধদের আজ নববর্ষ বলে কেবল একটা আসরের সন্ধান পাওয়া গেল, যেখানে তারা আজ রাতে আনন্দ উৎসব করবে মানে গিলবে আর কি!
রাতের খাবার রেডি করতে বসেছে উজ্জ্বলের মা; ভারতের পাহাড়গুলিতে খাবারের মোটামুটি একই সিস্টেম; থালি সিস্টেমের খাবার, ভাত, ডাল, সবজি আর সাথে পাঁপড় অথবা আলুর শুকনা ভাজি। আমাদেরকে সাথে ডিম ভাজি দিয়েছে। এখানে সব প্যাকেজ সিস্টেমে চলে; দুই বেলা খাবার, একটা মর্নিং স্ন্যাক্স এবং একটা ব্রেকফাস্ট থাকাসহ মোট ১২০০ রুপি পার পারসন।
প্রচন্ড ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে এখানে; তাপমাত্রা ৭/৮ ডিগ্রির মত হবে। গিজার ছিল বলে আরামে গোসল করে নেয়া গেল। রুমে তারা হিটারও দিয়েছে। নামাজ পড়ে ঘুমের অতলে তলিয়ে গেলাম; ভোরে উঠে ফজর পড়ে বারান্দা দিয়ে তাকিয়ে দেখলাম, একেবারে সামনেই নিজের বিশালত্ব জানান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি পাহাড়, তার চূড়ার একপাশে শুভ্র মেঘ জমে আছে, বাসাবাড়িগুলো নীরব নিস্তব্ধ, প্রায় সব বাসাতেই অনেক ফুলের টব আছে; সেসব টব থেকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে নানান রঙের ফুল, আমি এসব দেখে মাতোয়ারা হতেই পাহাড়ে আসি!
সকালে নাস্তা করে বোলেরো গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম পশ্চিমবংগের সবচেয় উঁচু পাহাড় সান্দাকফু যাবার জন্য; এটি প্রায় ১২,০০০ ফুট উঁচু। শুনেছি সেখানে অক্সিজেনের স্বল্পতা জনিত সমস্যা হয়। টংলু পর্যন্ত গিয়ে দেখি, সূর্য তার ঝাঁঝালো তেজ নিয়ে তেতে উঠেছে আর সেই আলোয় জ্বলজ্বল করছে কাঞ্চনজঙ্ঘা! আমরা তীব্র চিৎকারে ফেটে পড়লাম; সহসা মন হলো, আমি পাইলাম, আমি ইহাকে পাইলাম!
(চলবে)
~
ভ্রমণে যেখানেই যান, সতর্ক থাকুন যেন আমাদের কারনে পরিবেশের ক্ষতি না হয় এবং ভ্রমণস্থান অপরিষ্কার না হয়।
হ্যাপি ট্রাভেলিং।
#কাশ্মীর_লাদাখ_মানালি_দিল্লি_আগ্রা ভ্রমণ।
Courtesy by Tanvir Fuyad
সময়ঃ১৪ দিন(১৫-০৯-২২ থেকে ২৯-০৯-২২)।
১৪ দিনের এই ট্যুরে আমাদের মোট খরচ হয়েছে জনপ্রতি প্রায় ৩৯০০০ টাকা।
আমাদের রুট প্লান ছিলো এমন 👇
ঢাকা-(বাস) কোলকাতা- (এয়ার) শ্রীনগর - লাদাখ - মানালি - (বাস) দিল্লি - আগ্রা- দিল্লি - (ট্রেন) কোলকাতা -(বাস) ঢাকা।
ট্রেনে কাশ্মীর যেতে হলে এভাবে যেতে হবেঃ
কোলকাতা- জম্মু ট্রেন।জম্মু থেকে শ্রীনগর বাস বা শেয়ার ট্যাক্সি।
প্রথম পর্বঃ প্রথম পর্বে আজ কাশ্মীর ট্যুরের বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করবো। এই লেখাটা বিশেষ করে তাদের জন্য যারা মোটামুটি বাজেট ট্রাভেলার।
অনেকদিন আগে থেকেই কাশ্মীর ভ্রমণের ইচ্ছে ছিলো কিন্তু সময়,টাকাপয়সা,পার্টনার সবকিছু মিলিয়ে হয়ে উঠছিলো না। এবার লম্বা ছুটি পেয়ে কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা করলাম। সেপ্টেম্বর এর ১২ তারিখ Spice Jet Airlines এর কোলকাতা থেকে শ্রীনগর এর টিকিট কনফার্ম করি।আমাদের ফ্লাইট ছিলো ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯.৪৫ এ। টিকিটের প্রাইস ৭৭৭০ টাকা। এয়ার টিকিট কনফার্ম করার পর থেকে অনেক এক্সাইটেড ছিলাম এই ট্যুর নিয়ে। ২ দিনের মধ্যে ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়া সহ সকল টুকিটাকি কাজ সেরে নিলাম। ১৫ তারিখ রাতে নবীনগর থেকে সোহাগ পরিবহনের বাসে বেনাপোল এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। বাসের টিকিটের মূল্য ছিলো ৭৫০ টাকা।
প্রথম দিনঃ সকাল ৭.৩০ এর দিকে বাস আমাদের বেনাপোল পোর্টের সামনে নামিয়ে দেয়। বাস থেকে নেমে এক মুহুর্ত ও দেরি না করে ইমিগ্রেশন এর লাইনে দাঁড়িয়ে গেলাম। মোটামুটি ১.৫ ঘন্টা মতো সময় লাগলো বাংলাদেশ ইমিগ্রেশন শেষ করতে। বাংলাদেশ অংশের কাজ দ্রুত শেষ হলেও ইন্ডিয়াতে সময় লাগলো প্রায় ৩ ঘন্টার মতো। এক প্রকার ইচ্ছে করেই তারা লেইট করে। অবশেষে দুপুর ১২.৩০ এর দিক আমরা ইন্ডিয়ায় প্রবেশ করি। ইন্ডিয়াতে গিয়েই ৩৫০ রুপি দিয়ে এয়ারটেল এর একটা সিম কিনে নেই,যেটাতে প্রতিদিন এক জিবি করে ডাটা থাকবে। সিম কেনার পর সবগুলো মানি এক্সচেঞ্জ যাচাই করে মানি এক্সচেঞ্জ করি। ১০০ টাকায় ৭১.৯০ রুপি পেয়েছিলাম 😑 মানি এক্সচেঞ্জ শেষে দুপুরের খাবার খেয়ে লন্ডন এক্সপ্রেস এর বাসে উঠে পড়ি। বাসের টিকিট ছিলো ৩৫০ রুপি। বর্ডার থেকে কোলকাতা গেলে বাসে না যাওয়া ই ভালো, অনেক সময় লাগে আবার খরচ ও বেশি। সবচেয়ে ভালো হয় জনপ্রতি ৫০ রুপি অটো ভাড়া দিয়ে বনগাও স্টেশনে গিয়ে ট্রেনে করে গেলে। ট্রেন ভাড়া ২০ রুপি, ২-২.৩০ ঘন্টার মধ্যে শিয়ালদাহ স্টেশনে পৌছে যায় ট্রেন। দুপুর ২ টার সময় বাস ছাড়লো এবং ঠেলাগাড়ীর মতো চলতে চলতে আমাদের এয়ারপোর্টের পাশে নামিয়ে দেয় বিকাল ৫.৩০ এর দিকে। বাস থেকে নেমে আশেপাশে হাটাহাটি করলাম,কিছু স্ট্রিট ফুড খেলাম। হাটাহাটি, খাওয়া শেষ করে ৭ টার দিকে এয়ারপোর্টে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বসে থাকলাম। ৯.৪৫ বাজতে এখনো অনেক দেরি,বসে থাকা, হাটাহাটি করা ছাড়া এখন আর কোনো কাজ নাই। ফ্লাইট টাইম ৯.৪৫ ছিলো কিন্তু ফ্লাইট ডিলে হলো প্রায় দেড় ঘন্টা মতো। অবশেষে ১১.৩০ এর দিকে কোলকাতা থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়াল দিলাম। ২.২০ ঘন্টা মতো ফ্লাই করে প্রায় ২ টার দিকে দিল্লি 'ইন্দিরা গান্ধী এয়ারপোর্টে' পৌছালাম। দিল্লিতে ৮ ঘন্টা এর মতো যাত্রাবিরতি ছিলো। পরদিন সকালে যেখান থেকে বিমান শ্রীনগর যাবে তার আসেপাশে এসে ঘুম দিলাম। দিল্লি এয়ারপোর্টে ভালো ঘুমানোর ব্যাবস্থা আছে।
দ্বিতীয় দিনঃ পরদিন সকালে নির্ধারিত সময়েই বিমান শ্রীনগর এর উদ্দেশ্যে উড়াল দিলো।১.৩০ ঘন্টা ফ্লাই করে আমরা শ্রীনগর পৌছে গেলাম। শ্রীনগর এয়ারপোর্টে নেমে দেখলাম বড় স্ক্রিনে লেখা ''Welcome to paradise on earth '। দীর্ঘদিন এর লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রুপ নিয়েছে,এটা ভাবতেই তখন অনেক ভালো লাগছিলো। এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার পরেই অনেক ট্যাক্সি ওয়ালা ঘিরে ধরলো,কেউ কেউ তার হোটেলে উঠার প্রস্তাব দিলো। আমরা কারো কথা না শুনে সামনে এগোতে থাকলাম। এয়ারপোর্টের পাশেই একটা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড আছে কিন্তু রেট অনেক বেশি। এয়ারপোর্টের রাস্তা ধরে হেটে বের হওয়ার সময় ই অনেক ভালো লাগছিলো। এয়ারপোর্ট থেকে বের হয়ে ৬০০ রুপি দিয়ে একটা এয়ারটেল সিম কিনে নিলাম(কাশ্মীর এর জন্য আলাদা সিম লাগে)। তারপর ৩০০ রুপিতে একটা অটো ঠিক করলাম যেটা আমাদের 'ডাল গেট' নামিয়ে দিবে।দুপুর ১২.৩০ এর দিকে আমরা ডাল গেট আসি। অটো থেকে নেমে দুপুরের খাবার খেয়ে হোটেল খোঁজা শুরু করলাম। কয়েকটা হোটেল খোঁজার পর ডাল লেকের পাশে 'হোটেল ক্রিসেন্ট' এ উঠি,রুম ভাড়া ছিলো ৮০০ রুপি করে।রুমে এসে ফ্রেশ হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে বিকাল ৪.৩০ এর দিকে বের হই।ইচ্ছা ছিলো ডাল লেকে এসে শিকারা রাইড করবো,কিন্তু ডাল লেক এর কাছে আসার পর আর ইচ্ছে করেনি।শিকারা রাইড ওভাররেটেড মনে হয়েছে আমার কাছে। যদিও এই লেখাটা লেখার সময় ডাল লেকের লোকদের বোটিং, বোটিং বলে ডাকাডাকি করা মিস করছি। ডাল গেট থেকে ৫০ রুপিতে একটা অটো ভাড়া করে লালচক আসি। লালচক গিয়ে হালকাপাতলা শপিং করি,স্ট্রিট ফুড খাই। সন্ধ্যার পর লালচক থেকে এসে ডাল লেকের পাশে হাটাহাটি করি। রাতে ডাল লেকের পাশে বসে থাকতে অনেক ভালো লাগে। ডাল লেকে হাটাহাটি শেষে রাতের খাবার খেয়ে মোটামুটি ১১ টার দিকে ঘুম দেই।
তৃতীয় দিনঃ শ্রীনগর- সোনমার্গ।
সকাল ৫ টায় ঘুমথেকে উঠে ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়ে গেলাম TRC স্ট্যান্ডে। TRC স্ট্যান্ড থেকে সবখানে যাওয়ার গাড়ি পাবেন। আমরা TRC স্ট্যান্ডের ভেতরে না ঢুকে বাইরে থেকে গাড়ি ঠিক করলাম। স্ট্যান্ডের ভেতর থেকে গাড়ি নিলে রেট বেশি থাকবে। ৩০-৪০ মিনিট ধরে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের আশেপাশে ঘুরে ৩২০০ রুপিতে ৭ সিটের একটা গাড়ি ঠিক করলাম। শ্রীনগর থেকে সোনমার্গ এর দূরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার,যেতে সময় লাগে মোটামুটি ২.৩০ ঘন্টা মতো। সকাল ৭ টার দিক আমরা সোনমার্গের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।যে রাস্তা দিয়ে আমরা সোনমার্গে যাচ্ছি এটাই লাদাখ যাওয়ার রাস্তা।এই রাস্তায় আপনি পাহাড়ের পাশ দিয়ে স্বচ্ছ নদীর বয়ে চলা দেখতে পারবেন,যেটা অসম্ভব রকমের সুন্দর। পথিমধ্যে সকালের নাস্তা করে ১০ টার দিকে আমরা সোনমার্গ চলে আসি। কাশ্মীরের মোটামুটি সব ট্যুরিস্ট স্পষ্টগুলার একটা নির্দিষ্ট অংশে গাড়ি যায়, তারপর পায়ে হেটে অথবা ঘোড়ায় চড়ে মেইন স্পটে যেতে হয়৷ গাড়িতে থাকা অবস্থায় আমাদের ড্রাইভার বললো ঘোড়া নিতে,তাছাড়া যেতে পারবো না,এই ওই বলে ভয় দেখালো। আমরা আগে থেকেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কাশ্মীরের সবগুলো স্পটে পায়ে হেটে ঘুরবো,এজন্য কারো কথা না শুনে সোজা হাটা শুরু করলাম।অনেক ঘোড়াওয়ালা ঘিরে ধরলো,বিভিন্নভাবে রিকুয়েষ্ট করলো,ভয় দেখালো কিন্তু কারো কথা না শুনে আমরা সামনে এগোতে থাকলাম। সোনমার্গে আসার পর একটু একটু করে বুঝতে পারছি কেনো কাশ্মীর কে 'প্যারাডাইস অন আর্থ' বলা হয়। ১১ টার সময় হাটা শুরু করে দুপুর ২ টার দিক আমরা সোনমার্গ জিরো পয়েন্ট এ চলে আসি। একটানা হেটে আসলে আরও দ্রুত সময়ে আসা যায়। আমরা সোনমার্গের প্রকৃতি দেখতে দেখতে ধীরেসুস্থে ২ টায় দিকে জিরো পয়েন্ট আসি।হাটতে হাটতে বুঝলাম যতটা সময় নিয়ে ঘুরে ঘুরে চারিদিকে দেখে আসছি,ঘোড়ায় উঠলে এতকিছু দেখতে পেতাম না।সোনমার্গের এখানে নাকি বাজরাঙ্গী ভাইজান সিনেমার শুটিং হয়েছিলো। কাশ্মীরের অন্যতম সুন্দর স্থান এই সোনমার্গ। সোনমার্গের সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা কোনোভাবেই সম্ভব না। একদিকে স্বচ্ছ পানির নদী,আরেকদিকে বিশাল পাহাড়,নিচে সবুজ ঘাস 😍 সোনমার্গ জিরো পয়েন্ট এর কাছথেকে ৭০ রুপির নুডুলস খেয়ে ৩ টার দিকে আবার ফেরার পথে হাটা শুরু করলাম। বিকাল ৪.৩০ এর দিকে আমরা সোনমার্গ ত্যাগ করি। সোনমার্গ থেকে আসার সময় ড্রাইভার ভাইকে বলি আমাদের 'হজরত বাল মসজিদ' এর সামনে নামিয়ে দিতে। শ্রীনগর সাইট সিন এর জন্য আলাদা কোনো দিন আমরা রাখিনি,প্রতিদিন এভাবেই লোকাল সাইট ঘুরেছি। ড্রাইভার ভাই আমাদের সন্ধ্যা ৭.৩০ এর দিকে হজরত বাল মসজিদ এর সামনে নামিয়ে দেয়। হজরত বাল মসজিদ এলাকায় অনেক স্ট্রিটফুড পাওয়া যায়, দাম ও তূলনামূলক কম। এখান থেকে ভরপুর খাবার খেয়ে রাত ৯.৩০ এর দিকে ১৫০ রুপিতে একটা অটো ঠিক করে হোটেলে চলে আসি। হোটেলে এসে ১১ টার দিকে দিলাম ঘুম।
চতুর্থ দিনঃ শ্রীনগর - দুধপাত্রী।
প্লান ছিলো দুধপাত্রী অথবা গুলমার্গ এর যেকোনো একটা জায়গায় যাবো। গুলমার্গ মূলত বরফ দেখার জন্য বিখ্যাত। এর আগেও যেহেতু বরফ দেখা হয়েছে দু'বার আর এখন তো গুলমার্গ বরফ ও পাবো না,এজন্য দুধপাত্রী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।আজ ও সকাল ৬ টার দিকে হোটেল থেকে বের হয়ে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে গেলাম দুধপাত্রী যাওয়ার গাড়ি ঠিক করতে।দুধপাত্রী যাওয়া এবং আসার জন্য ২৪০০ রুপিতে একটা ৪ সিটের গাড়ি ঠিক করি। শ্রীনগর থেকে দুধ পাত্রী এর দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার, যেতে সময় লাগে মোটামুটি ২ ঘন্টা মতো। সকাল ৮ টার একটু আগে রওনা দিয়ে আমরা ১০ টার দিকে দুধ পাত্রী চলে আসি। এখনেও সেই একই অবস্থা,হেটে যেতে হবে না হলে ঘোড়ায় আসতে হবে। গাড়ির ড্রাইভার থেকে শুরু করে ঘোড়া ওয়ালা সবাই রিকুয়েষ্ট করলো ঘোড়ায় যাওয়ার জন্য। আমাদের পায়ে অনেক জোর এই বলে হাটা শুরু করলাম। পায়ে হেটে দুধ গঙ্গা নদীর দিকে যেতে থাকলাম। এখানকার রাস্তা পিচ ঢালা, হেটে যেতে খুব বেশি হলে ১.৩০ ঘন্টা লাগবে। এখানে কাশ্মীরের স্থানীয় মানুষজন অনেক বেশি আসে,পিকনিক করতে। সারি সারি বিশাল পাইন গাছ,নিচে সবুজের মাঠ সবকিছু মিলিয়ে অনেক সুন্দর লাগে। সোনমার্গের তূলনায় এই দুধ পাত্রী অনেক বেশি সবুজ।চারিদিকে সবুজের সমারোহ বলতে পারেন। সারি সারি পাইন গাছ আর সবুজে ঘেরা প্রকৃতি দেখতে দেখতে দুধ গঙ্গা রিভারের কাছে চলে আসি। এখানে পাইন গাছের নিচে বসে নদীর প্রবল স্রোতের শব্দ সারাদিন ধরে শুনতেও ভালো লাগবে। ২ ঘন্টা মতো এখানে বসে আড্ডা দিয়ে দুপুর ১.৩০ এর দিকে আমরা ব্যাক করতে থাকি। ২.৩০ এর দিকে আমরা দুধ পাত্রী থেকে শ্রীনগর এর পথ ধরি। শ্রীনগর আসার পথে আমরা ড্রাইভার কে বলেছিলাম আমাদের 'নিশাত বাগ ' নামিয়ে দিতে। উনি আমাদের বিকাল ৪.৩০ এর দিকে নিশাত বাগ মুঘল গার্ডেনে নামিয়ে দেয়। শ্রীনগর ৩ টা মুঘল গার্ডেন আছে,সবগুলো মোটামুটি একই রকমের। নিশাত বাগ বা শালিমার বাগ এর যেকোনো একটা দেখে নিলেই হবে। নিশাত বাগ নেমে ডাল লেকের সামনে থেকে খাবার খেয়ে তারপর মুঘল গার্ডেনে প্রবেশ করি। এখানে প্রবেশমূল্য ১২ বছরের উপর হলে ২৪ রুপি,১২ এর নিচে ১২ রুপি। আমাদের দেশের পার্কগুলাতে যেমন বিভিন্ন রকমের ফুলগাছ থাকে,এখানেও ঠিক এমন।সামনে একটা পাহাড় আছে,মোটামুটি ভালোই লাগে।যদিও আমার এমন পার্ক টাইপ জায়গা খুব একটা ভালো লাগে না। মুঘল গার্ডেন এর মধ্যে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে বের হয়ে ডাল লেকের আশেপাশে হাটাহাটি করি। এদিক থেকে ডাল লেক দেখতে ভালো লাগে। ডাল লেকে সূর্যাস্ত দেখে ১৫০ রুপিতে একটা অটো নিয়ে ডাল গেট চলে আসি। ডাল গেট এসে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে আসি। পরদিন পেহেলগাম যাবো এজন্য ব্যাগ গুছিয়ে হোটেল মালিক আংকেল এর কাছে ব্যাগ রেখে ঘুম দেই।
পঞ্চম দিনঃ শ্রীনগর-পেহেলগাম।
সকাল ৬ টার দিকে হোটেল থেকে বের হয়ে ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে চলে আসি। ডাল গেট ব্রিজ থেকে সোজা হাটলে Govt chest disease hospital এর পাশে একটা ট্যাক্সি স্ট্যান্ড আছে। এখানথেকে খুব সহজে শেয়ার ট্যাক্সিতে পেহেলগাম যাওয়া যায়। প্রথমে শ্রীনগর থেকে ট্যাক্সিতে অনন্তনাগ, তারপর অনন্তনাগ থেকে আরেকটা ট্যাক্সিতে পেহেলগাম। শ্রীনগর থেকে অনন্তনাগ এর ভাড়া জনপ্রতি ১২০ রুপি,এবং অনন্তনাগ থেকে পেহেলগাম এর ভাড়া ১১০ রুপি। সকাল ৭ টায় রওনা দিয়ে মোটামুটি ৯.৩০ এর দিকে পেহেলগাম চলে আসি। ট্রেনে করে যারা যাবেন তারা প্রথম পেহেলগাম ঘুরে তারপর শ্রীনগর আসবেন। পেহেলগাম জম্মু আর শ্রীনগর এর মাঝামাঝি জায়গায় অবস্থিত। শ্রীনগর থেকে পেহেলগাম এর দূরত্ব প্রায় ৯৮ কিলোমিটার এর মতো। পেহেলগাম গিয়ে সোজা চলে গেলাম ট্যাক্সি স্ট্যান্ডে। এখানকার ভাড়া ফিক্সড,দামাদামির কোনো সুযোগ নাই। বাইরের থেকে গাড়ি রিজার্ভ নিয়ে পেহেলগাম ঘুরতে পারবেন না,এখানকার গাড়ি নিতে হবে। প্লান ছিলো আরু ভ্যালি আর বেতাব ভ্যালি ঘুরবো,কিন্তু রাস্তার কাজের জন্য আরু ভ্যালি বন্ধ ছিলো ওইদিন 😥 ১৫০০ টাকার একটা ট্যাক্সি নিলাম,যেটা আমাদের চান্দনওয়ারি আর বেতাব ভ্যালি ঘুরাবে। এখানকার সিস্টেম হলো প্রতিটি স্পটে ১ ঘন্টা করে সময় দেয়,আর এক্সট্রা সময় নিলে ঘন্টাপ্রতি ৪০০ রুপি দেওয়া লাগবে। ড্রাইভার প্রথমে আমাদের চান্দনওয়ারি নিয়ে গেলো। এখানে দেখারমত তেমন কিছু নাই,কিন্তু যাওয়ার রাস্তাটা একটু বেশিই সুন্দর। চান্দনওয়ারি ঘুরে চলে আসি বেতাব ভ্যালিতে। জনপ্রতি ১০০ রুপি এন্ট্রি ফি লাগে এখানে প্রবেশের জন্য। কাশ্মীরের অন্যতম সুন্দর জায়গা এই বেতাব ভ্যালি। সারাদিন এখানে বসে থাকলেও আপনার ক্লান্তি লাগবে না। বেতাব ভ্যালি ঘুরে এসে আমরা ৬০০ রুপিতে একটা হোটেল ঠিক করে হোটেলে উঠে পড়ি। পেহেলগাম আসলে অন্তত এক রাত পেহেলগাম থাকা উচিৎ। ব্যক্তিগতভাবে পেহেলগামকে আমার কাছে কাশ্মীরের সবচেয়ে সুন্দর স্থান মনে হয়েছে। হোটেল থেকে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে একটু ঘুমিয়ে নেই। বিকালের দিকে আশেপাশে ঘুরে দেখি। পেহেলগামের বুকে বয়ে চলা লিডার নদীর পাশে বসে অনেকটা সময় কাটাই। সন্ধ্যায় আশেপাশে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করে রাতের খাবার খেয়ে হোটেলে এসে ঘুম।
ষষ্ঠ দিনঃ বাইসারন ভ্যালি(মিনি সুইজারল্যান্ড)।
সকাল ৬ টার দিকে 'বাইসারন ভ্যালির' উদ্দ্যেশ্যে হাটা শুরু করি। বাইসারন ভ্যালি যাওয়ার রাস্তাটা অনেক সুন্দর, পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে সকাল সকাল হাটতে খুব ভালো লাগছিলো। হাটতে হাটতে স্থানীয় কিছু লোকের সাথে পরিচয় হয়েছিলো। উনারা আমাদের শর্টকাট রাস্তা দিয়ে বাইসারন ভ্যালি নিয়ে আসে। ১.৪৫ ঘন্টা হাটার পর আমরা বাইসারন ভালি চলে আসি। আজকের দিনে আমরা ই সবার আগে এখানে এসেছি। বাইসারন ভ্যালির প্রবেশমূল্য জনপ্রতি ৩০ রুপি,কিন্তু আমরা যখন এসেছি তখন টিকিট কাউন্টার ওপেন হয়নি এজন্য ফ্রিতে ঘুরে এসেছি 😁 বাইসারন ভ্যালিকে মিনি সুইজারল্যান্ড বলা হয়। অসম্ভব রকমের সুন্দর এই বাইসারন ভ্যালি। আমরা যেদিন আসি ওইদিন আকাশে হালকা মেঘ মেঘ ছিলো,এজন্য আরও ভালো লাগছিলো। বাইসারন ভ্যালি দেখা শেষ করে আমরা ৯.৩০ এর দিকে হাটা শুরু করি। ১১ টার দিকে হোটেল চেক আউট করে শেয়ার ট্যাক্সিতে উঠে পড়ি। পেহেলগাম থেকে অনন্তনাগ এর দিকে অনেক আপেল বাগান পাবেন। ড্রাইভার ভাইকে বলি একটা আপেল বাগানের সামনে আমাদের নামিয়ে দিতে। একটা বড় আপেল বাগানের সামনে উনি আমাদের নামিয়ে দেয়। গাড়ি থেকে নামার পর এক চাচার সাথে পরিচয় হয়,উনার নিজস্ব আপেল বাগানে উনি আমাদের নিয়ে যায়। অনেকদিনের ইচ্ছা ছিলো নিজ হাতে কাশ্মীরের আপেল পেড়ে খাবো, ওই চাচার কল্যাণে এই ইচ্ছাটাও আজ পূরন হলো। আপেল বাগান ঘুরে দুপুর ৩ টার দিক আমরা আবার শ্রীনগর চলে আসি এবং আগে যে হোটেলে ছিলাম ওখানে উঠি। ফ্রেশ হয়ে একটা অটো নিয়ে চলে আসি লালচক,উদ্দ্যেশ্যে শপিং করা ও কাশ্মীরের বিখ্যাত 'ওয়াজওয়ান' খাওয়া। শপিং শেষ করে রাতে রেসিডেন্সি রোডের 'করিমা রেস্টুরেন্ট' থেকে ওয়াজওয়ান খেয়ে হোটেলে চলে আসি। আজ সবার একটু মন খারাপ কারন আগামীকাল সকালে কাশ্মীর ছেড়ে লাদাখের দিকে যাবো। আগামীকাল খুব সকালে উঠতে হবে,এজন্য তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়লাম।
লাদাখ ভ্রমনের খুটিনাটি পরবর্তী পর্বে লিখবো ইনশাআল্লাহ।
কাশ্মীর ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন যারা তাদের জন্য হালকা পাতলা হিসাবনিকাশ করবো এখনঃ
ধরলাম আপনি ঢাকা থেকে নন এসি বাসে বেনাপোল যাবেন ও কোলকাতা থেকে জম্মু এসি ট্রেনে যাবেন।ধরে নিলাম আপনার গ্রুপের মেম্বার ৪ জন সেক্ষেত্রে হিসাব হবে এমন👇
*ঢাকা-বেনাপোল ৭৫০+৭৫০=১৫০০ টাকা।
*বর্ডার -কোলকাতা ১০০+১০০=২০০ রুপি।
*কোলকাতা একদিন থাকা খাওয়া=৮০০ রুপি।
*কোলকাতা-জম্মু ট্রেন ২৫০০+২৫০০=৫০০০ রুপি।
(ট্রেনের টিকিটের মূল্য ২০০০-২৩০০ রুপি মতো)
*যাওয়া আসা মিলিয়ে ৪ দিন ট্রেনে খাওয়ার খরচ ১৫০০ রুপি।
*জম্মু থেকে শ্রীনগর -১১০০+১১০০=২২০০ রুপি।
*শ্রীনগর-সোনমার্গ ট্যাক্সি ভাড়া ৮০০ মতো।
*শ্রীনগর-গুলমার্গ=৭০০ রুপি।
*শ্রীনগর-দুধপাত্রী=৬০০ রুপি।
*শ্রীনগর-পেহেলগাম(আপ ডাউন)=৫০০ রুপি।
*পেহেলগাম ট্যাক্সি-৫০০ রুপি,এন্ট্রি ফি ২০০ রুপি।
*লোকাল সাইট সিন(অটো)-৫০০ রুপি।
৬ দিনের মোট হোটেল ভাড়া ৩০০*৬=১৮০০ রুপি হয় । ৬ দিনের মোট খাবার খরচ =২৫০০ রুপি।
মোট=১৭৮০০ রুপি, ১৮০০০ ধরলাম। যেটা বাংলা টাকায় প্রায় ২৫০০০ টাকা,সাথে ঢাকা থেকে বেনাপোল বাসের ভাড়া যোগ করলে আসে ২৬৫০০ টাকা। এই টাকায় খুব ভালোভাবে কাশ্মীর ঘুরে আসতে পারবেন।
এখন আপনি যদি এসি ট্রেনে না গিয়ে স্লিপারে যান সেক্ষেত্রে যাওয়া আসার খরচ আরও ৩০০০ রুপি কমে যাবে। স্লিপারে গেলে মোটামুটি ২২০০০ টাকায় কাশ্মীর ট্যুর শেষ করতে পারবেন।
প্রয়োজনীয় কিছু টিপসঃ
*ট্রেনে গেলে অবশ্যই ১-১.৫ মাস আগেই টিকিট কনফার্ম করে নিবেন।
*৬/৭ জনের গ্রুপ করে গেলে খরচ কম হবে।
*এয়ারপোর্ট এরিয়া থেকে বের হয়ে ট্যাক্সি নিলে খরচ কম পড়বে।
*হোটেল,ট্যাক্সি ঠিক করবেন নিজে নিজে,অন্যকারো সহায়তা নিলে এক্সট্রা টাকা লাগবে। ট্যাক্সি বা রুম লাগবে কিনা জিজ্ঞেস করলে বলবেন নেওয়া হয়ে গেছে।
* TRC স্ট্যান্ডের বাইরে থেকে ট্যাক্সি ঠিক করবেন।হোটেল থেকে বা অন্যকোথাও থেকে গাড়ি নিলে বেশি টাকা গুনতে হবে।
* হোটেল/ট্যাক্সি ঠিক করার সময় জিজ্ঞেস করে নিবেন অতিরিক্ত আর কোনো চার্জ লাগবে কিনা।
* ২ কপি ভ্যাক্সিনেশন সার্টিফিকেট সাথে রাখবেন,বর্ডারে লাগবে।
* কাশ্মীরে গিয়ে বাংলাদেশী পরিচয় দিয়ে সন্মান পাবেন।
* পায়ে হেটে টুরিস্ট স্পটে যাওয়ার সময় হাতে একটা পানির বোতল রাখবেন।
* শপিং করলে অবশ্যই লালচক থেকে করবেন।
****কিছু অনুরোধঃ
কাশ্মীরের মানুষজন অনেক ভালো,কারো সাথে খারাপ ব্যাবহার করবেন না। অনেকে হয়তো শিকারা রাইড বা ঘোড়া নেওয়ার জন্য বারবার রিকুয়েষ্ট করবে। অনেকসময় বিরক্ত লাগতে পারে আপনার কিন্তু এটা উনাদের রুটি রুজির উৎস। বিরক্ত না হয়ে ভালোভাবে না করবেন।পানির বোতল,চিপস/খাবারের প্যাকেট সহ অপচনশীল জিনিসপত্র যেখানে সেখানে ফেলবেন না,নির্ধারিত স্থানে ফেলুন।এমনকিছু বলবেন না যাতে কারো ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে।এমন কোন কাজ করবেন না যেন আপনার জন্য বাংলাদেশীদের বদনাম হয়।
বরেন্দ্র জাদুঘর, রাজশাহী।
🛑 কুমিল্লার নতুন খননকৃত প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা মহন্ত রাজার মুড়া:
কুমিল্লা জেলাধীন আদর্শ উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের মন্তের (মহন্তের) মুড়া অবস্থিত।জেলা শহরের কেন্দ্র থেকে আঁকাবাঁকা সড়কপথে প্রায় ৫ কি.মি. উত্তর দিকে মুন্সির বাজার।এ বাজার থেকে প্রায় ২৩০ মিটার পূর্ব দিকে ইটল্লা গ্রামে এর অবস্থান।
গোমতী নদীর তীর থেকে প্রায় ১ কিলোমিটার উত্তর দিকে প্রত্নস্থানটি থেকে ১৩০ মিটার দক্ষিণ,১৮০ মিটার পশ্চিম,১৫০ মিটার পূর্ব এবং ৩৩০ মিটার উত্তর পাশ দিয়ে একটি সরু জলপথ (কথিত কেওয়াইজুড়ি নদী) রয়েছে।এর উত্তর পাশে ১টি, উত্তর-পূর্ব কোণে ১টি,উত্তর- পশ্চিম কোণে ১টি এবং দক্ষিণ পাশে ৩টি বদ্ধ জলাশয় (পুকুর) রয়েছে।মুড়াটি সমুদ্র সমতল থেকে উচ্চতা (msl) ১২ থেকে ১৪.৫০ মিটার (তথ্যসূত্র: গুগল ম্যাপ)।পাশ্ববর্তী ভূমি থেকে মুড়াটি প্রায় ৩ থেকে ৩.৫ মিটার উঁচু।
কুমিল্লা শহরের উপকণ্ঠে এবং মাত্র কয়েক কিলোমিটার উত্তর-পূর্বদিকে পাঁচথুবী নামক একটি প্রাচীন গ্রামে কিছু কাল আগে পর্যন্ত ৫টি ঢিবি বা স্তূপের অস্তিত্ব ছিল।কাছাকাছি অবস্থানরত ঢিবিগুলিতে প্রচুর প্রাচীন ইট ছিল।এই ৫টি ঢিবি বা স্তূপের অস্তিত্ব থেকেই এ গ্রামের নাম হয়েছিল পরবর্তীকালে পাঁচথুবী (
আমি কানাডা প্রবাসী। ৮৬টা দেশ বেড়িয়েছি। দেশে-বিদেশে ভালো চাকরি করে নির্ধারিত বয়সের আগেই অবসর নিয়েছি। এখন জীবনটা ...
অবশেষে সো কিছু ডিজিটাল হয়ে যাচ্ছে।
বাংলা আমার মায়ের ভাষা!
এ ভাষা আমার সংস্কৃতি, জাতীয়তা, বিশ্ব পরিচয়।
The Zikgak
Sikkim, India
https://www.prothomalo.com/bangladesh/district/0179n4iys6
ফুল উৎপাদনকারী বৈশ্বিক তালিকায় বাংলাদেশের নাম হয়তো তলানির দিকে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এই দেশে টিউলিপ ফুলের উৎ.....
৬৪ জেলা ও দুই বাংলা পাঁয়ে হেঁটে ভ্রমণ
বাংলাদেশের উদ্যমী তরুণ সাইফুল ইসলাম শান্ত সম্প্রতি ঢাকা থেকে ভারতের দার্জিলিং দেড় হাজার কিলোমিটার ৬৪ দিনে পায়ে হেঁটে ভ্রমণ সম্পন্ন করেছে। ইতিপূর্বে সাইফুল ইসলাম শান্ত ৭৫ দিনে বাংলাদেশের ৬৪ জেলা ভ্রমণ করেছিল। ২০২২ সালে সে পায়ে হেঁটে অফিসিয়ালি ভ্রমণ করেছে প্রায় ৫০০০ কি.মি.।
তার এই দুই আলোচিত ভ্রমণে তার পাশে থেকেছে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন।
ধন্যবাদ সাইফুল ইসলাম।
Good morning planet earth.
Shah Amanat international airport
Happy New Year
RIP
শুভ বড়দিন...
DHAKA (DAC) TO LONDON (LHR)
Special Student Fare Available In QATAR AIRWAYS
For details Contract-
01880001210
01921050502
যাঁদের আত্মত্যাগে এ বিজয় মহান বিজয় দিবসে তাঁদের জানাই
বিনম্র শ্রদ্ধা !
মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা 🇧🇩
Dhaka
1216
Be the first to know and let us send you an email when Travellers of Bangladesh posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.
Helpline Travels & Consultancy - HTC
Kathal Bagan Bazar