17/08/2024
সম্মানিত সুধী,
আসসালামু আলাইকুম ! সন্তান আপনার, আপনার সন্তানের শিক্ষা, জ্ঞান ও মেধা পূর্ণ বিকাশের অঙ্গীকার নিয়ে আমাদের আয়োজনের আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান "মাদরাসাতুল হিকমাহ্ এন্ড আল- হিকমাহ্ স্কুল, দিনাজপুর" কিন্তু কেন..? একটি শিশুর আদর্শিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য সুপরিকল্পিত সিলেবাসের আলোকে পাঠদান, অত্যন্ত মেধাবী ও সৃষ্টিশীল শিক্ষকমণ্ডলী, অভিজ্ঞ পরিচালনা পর্ষদ এবং আধুনিকতার সকল সুবিধাসমৃদ্ধ ক্যাম্পাস যা অত্র প্রতিষ্ঠানে এর সবই সুনিপুণভাবে সাজানো রয়েছে। তাই সন্তানকে ভর্তির চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পূর্বে সরাসরি প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রিয় অভিভাবক,
আমরা মা-বাবা হিসেবে অনেক আশা ও স্বপ্ন নিয়ে সন্তানকে ট্রাইলিঙ্গুয়াল বা আরবি, বাংলা, ইংরেজি ভাষায় পারদর্শিতা অর্জনের জন্য বিদ্যালয় বা মাদরাসায় ভর্তি করিয়ে থাকি। সকলের চাওয়া সন্তান যেন শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির মাধ্যমে (বুয়েট, মেডিকেল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্বনামধন্য কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) শিক্ষাগ্ৰহণ করে নীতি নৈতিকতা ও মানবীয় গুণাবলী সমৃদ্ধ আদর্শ মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে সমাজ তথা পিতামাতার মুখ উজ্জ্বল, সম্মান ও আত্নমর্যাদা বৃদ্ধি করতে পারে।
দুনিয়া এবং আখিরাতের পরিপূর্ণ কামিয়াবী লাভের জন্য ঈমান- আমল - আখলাকের মাপকাঠিতে যোগ্য মানুষ তথা হাফেজ, হাফেজা ও আলেম, আলেমা হিসেবে গড়ে তুলতেই আপনার সন্তানের জন্য আমাদের এই প্রয়াস।
তাইতো, পিতা-মাতা শত কষ্ট, ত্যাগ আর অক্লান্ত পরিশ্রম দিয়ে চেষ্টা করেন সন্তানকে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর। ঠিক তেমনি, প্রত্যেক সন্তানদেরও ইচ্ছা, আগ্রহ ও প্রচেষ্টা থাকে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার। কিন্তু অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ শিক্ষকের সঠিক দিক নির্দেশনা না পাওয়ার কারণে তারা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে না।
বর্তমানে, SSC এবং HSC উভয় পরীক্ষায় Golden A+ পাওয়া সত্ত্বেও হাজার হাজার শিক্ষার্থী স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে ভর্তির সুযোগ পায় না বা কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণে বাঁধাগ্রস্থ হচ্ছে। কারণ, অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুধুমাত্র পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জনের উপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। ফলে শিক্ষার্থীর বেসিক ভিত্তি মজবুতভাবে বিকশিত হতে পারছে না, এতে করে শিক্ষার্থীরা না বুঝে মুখস্থ নির্ভরতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ফলে, ভালো ফলাফল থাকা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ হয়ে পড়ে অনিশ্চিত।
বর্তমান মেধা প্রতিযোগিতার এই বিশ্বজগতে শুধু বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফল করাই শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য না হয়ে বরং বোর্ড পরীক্ষায় ভাল ফলাফলের পাশাপাশি প্রবল মৌলিক জ্ঞান (Strong Basic Knowledge) তৈরি করে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়ে জ্ঞান অর্জন করাই হোক সকল শিক্ষার্থীর মূল লক্ষ্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, পাবলিক পরীক্ষার পর স্বল্প সময়ের মধ্যে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।
শিক্ষার্থীদের এই স্বপ্ন পূরণে ‘মাদরাসাতুল হিকমাহ্ এন্ড আল-হিকমাহ্ স্কুল’-এ নিয়োজিত রয়েছেন একঝাঁক মেধাবী, দক্ষ, অভিজ্ঞ ও বিচক্ষণ শিক্ষকমন্ডলী। যাদের নিবিড় পরিচর্যা ও দক্ষ পরিচালনায় শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য পূরণে চূড়ান্তভাবে সফল হবে ইনশাআল্লাহ!!
বর্তমান বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিগত ২০১৫ সাল হতে আরবি, বাংলা, ইংরেজি ভাষায় বা ট্রাইলিঙ্গুয়াল শিক্ষা শিক্ষার্থীদের পাঠদানের বাস্তব অভিজ্ঞতায় স্বনামধন্য স্কলার্স দ্বারা পরিচালিত মাদরাসাতুল হিকমাহ এন্ড আল-হিকমাহ্ স্কুল, দিনাজপুর। দক্ষতা, মেধা ও অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বের উপযোগী নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্নকে লালন করে “মাদরাসাতুল হিকমাহ্ এন্ড আল হিকমাহ্ স্কুল ” -এর সম্মানিত প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করেন। সুষ্ঠু, সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পাঠদানের মাধ্যমে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দেশ, জাতি ও বিশ্বের কল্যাণে নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তি উপযোগী করে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ২০১৫ সালে যাত্রা শুর করে প্রতিষ্ঠানটি। অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসের সাথে বলা যায় যে, আল্লাহতায়ালা যদি আপনার সন্তানকে “মাদরাসাতুল হিকমাহ্ এন্ড আল-হিকমাহ্ স্কুলে” শিক্ষার জন্য কবুল করেন, তবে প্রত্যেকেই নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমে আদর্শ মানুষ হয়ে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়ে আপনার স্বপ্ন পূরণসহ সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধি করবে ইনশাআল্লাহ!!
ধন্যবাদান্তে
আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ মোফাজ্জল হোসেন
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মাদরাসাতুল হিকমাহ্ এন্ড আল-হিকমাহ্ স্কুল, দিনাজপুর।