04/09/2024
তরুনদের হাতে দেশ, পথ হারাবে না বাংলাদেশ।
কোটা বিরোধী আন্দোলন এর সুবিধা নিয়ে মাঠ গরম করে গুরুত্বপূর্ণ পদে যেতে চাচ্ছেন প্রশাসন ১০ম ব্যাচের কর্মকর্তা মাহাবুব করিম মিলন।
অথচ এই কর্মকর্তা ১৯৮৯ সালে যখন অংশ নেন বি,সি,এস এ, তখন মেধায় নেয়া হতো ৪৪% কোটায় ছিল ৫৬%, এই কোটা আন্দোলনে অনেক শিক্ষার্থী প্রাণ হারিয়েছেন, তিনি তার ফলোয়ার থাকার সুযোগ নিয়ে এই ইমোশন কেই কাজে লাগাচ্ছেন।
প্রসাশন ক্যাডার নেয়া হয় ১৮০ জন, ৪৪% মেধা থেকে ৮১ জন, আর ৫৬% আসে কোটা থেকে এই তালিকায় মাহাবুক কবির মিলনের পজিশন ১৪৭(কোটায় পাওয়া সুযোগ) , যেই কোটার জন্য আন্দোলন, সেই কোটায় সুযোগ পাওয়া একজন এখন অবস্থা বুঝে নিজের লেবাস পালটিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে সুবিধা নিয়ে চাচ্ছেন সচিব হওয়ার।
তার গ্রামের বাড়ি রংপুর, বড় হয়েছেন চট্টগ্রামে, তার বাবা ছিলেন কাস্টস এর ৩য় শ্রেনীর একজন কর্মকর্তা,
অথচ তার বাবা তিনটি বাড়ি করেছেন জমি একাধিক, কথায় বলে বাপ কা বেটা সিপাহি কা ঘোড়া। যেমন বাপ তেমন সন্তান।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ে থাকা অবস্থায় সকল আইন কানুন লংঘন করে (বিগত সরকার এর আমলে) রাজউক থেকে পুর্বাচল এ ১০ কাঠা জমি নেন যার বর্তমান বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকার উপরে , বাংলাদেশের ৯৫% সচিবদের ১০ কাঠা জমি নেই। ইদানিং উনি যেই সচিব কে নিয়ে আক্রমনাত্বক হচ্ছেন, গুজব ছড়াচ্ছেন তার দেশে বিদেশে নামে বেনামে কোনো জমিই নেই।সততার প্রশ্নে তিনি আপসহীন,
কবি ইমতিয়াজ মাহমুদ এর মতো ন্যায় পরায়ন মানুষ সেই সচিব এর পক্ষে দাড়িয়েছে,
মিলন সাহেব এখন শেখ হাসিনা সরকার এর বিরুদ্ধে অনেক সোচ্চার তিনি শেখ হাসিনার আমলে তিনটি পদে পদন্নোতি পেয়েছেন , ১অতিরিক্ত সচিব,২
উপ সচিব, ৩যুগ্ম সচিব
তবে কোটাতে চাকরী পাওয়ার ফলে এবং মেধা তালিকায় অনেক নিচে থাকায় জ্যাষ্ঠতার জন্য ও তার নাম আসে নাই, এখন কি তিনি আক্রমন করছেন সেই রাগ ক্ষোব এর জন্যই। তবে তিনি বিগত সরকার এর আমলে ভালো সুপারিশ করতে পারতেন, যেভাবে ফুসলিয়ে ১০ কাঠা জমি নিয়েছেন সেই ভাবেই সুপারিশ করে পি,এস,সি তে তদবির করে তার মেয়ে কে বি,সি,এস প্রসাশন ক্যাডারে চাকরি দিয়েছেন, সেই মেয়ে সহকারি কমিশনার (ভূমি) হয়ে এক বয়স্ক রিক্সা চালক কে কানে ধরে উঠবস করায়, যেটি সেই সময় নিন্দার ঝড় তোলে,
যেমন দাদা তেমন বাবা তেমন তার মেয়ে।
উনি যেই শাস্তি পেয়েছেন শাস্তি পেয়েছেন বলে সুবিধা নেয়ার চেষ্টা করছেন, উনার সর্বচ্চ শাস্তি ছিল তিরস্কার পর্যন্তই, তদবির করে এর চেয়ে বেশি শাস্তিতে তিনি যান নাই, যেহুতু ক্ষমতাবান দের সাথে বরাবর ই তার সম্পর্ক ভালো রাখেন, রাখার সিস্টেম টা তিনি জানেন।
বাংলাদেশ এর বহু লোকের টাকা আৎসাত করা ইভ্যালির পক্ষ নিয়ে কাজ কাজ করে ইভ্যালি কে সহযোগিতা করেন এই মিলন, তখন তার বস ছিলেন বর্তমানে উপস্থাপিকা কে রাজাকার এর বাচ্চা বলে গালি দেয়া বিচারপতি মানিক
, ইভ্যালির থেকে মোটা অংকের টাকা খেয়ে, ইভ্যালি কে বাচানোর অনেক চেষ্টা তিনি করেছেন, কিছু প্রমান অনলাইন ঘুরলেই আপনারা পাবেন, উনি তো সময়ের সাথে সাথে আগের অনেক কিছুই তো ডিলেট করে দেন এবং পক্ষ পাল্টিয়ে ফেলেন, যেমন টা তিনি এখন আবার করছেন।
এই মিলন সাহেব ইউনি মার্ট কোম্পানী তে ৩ লক্ষ টাকা বেতনের চাকরী করার সময় আধা কাটা তরমুজ এর দাম ৫০০০ এর পক্ষে কথা বলে বেশ সমালচিত হয়। তিনি বলেন "ফকিন্নির বাচ্চাদের তরমুজ খাওয়ার দরকার নেই" তিনি আবার ভোক্তা অধিকার নিয়ে কথা বলেন। ২০১৮ সালে তিনি রংপুরে নৌকা মার্কা প্রার্থীর পক্ষে ব্যাপক প্রচার এবং প্রচারনা চালায়, এখন তিনিই আবার আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কথা বলছেন। তিনি সাধারন মানুষের মেমোরি কে কি এতই দূর্বল ভাবেন। মানুষ কি এত সহজে সব ভুলে যায়। তাই তার এমন দুই মুখো কর্মকান্ড নিয়ে কেও তাকে ফেইসবুকে কমেন্ট করলে তিনি সেটি মুছে দেন, অথবা কমেন্ট সেকশন ই বন্ধ করে দেন। তার যেহুতু ফেইসবুকে ফলোয়ার রয়েছে তিনি পোস্ট করলে অনেক মানুষের কাছে যায় তাই তিনি সেই সুযোগ নিয়ে কারো প্রতি রাগ ক্ষোব হিংসা থেকে যা খুশি তা লিখে ছড়িয়ে দেন কোনো প্রমান ও দেন না। শুধু লিখেই ক্ষান্ত হন। তিনি মনে করেন তিনি ড. ইউনূস এর থেকেও বুদ্ধিমান, এবং উপদেষ্টা মন্ডলী থেকেও, তাই বিভিন্ন সময় তাদের কেও ফেইকবুকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে লেখা লিখে থাকেন।
নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার সময় মুরগীর নিরাপদ খাদ্য কি এটা নিয়ে বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে ঠাট্টা বিদ্রুপ এর স্বীকার হয়, তখন তাকে মুরগী মিলন আখ্যা দেয়া হয়, তাই তিনি ভেবেছেন মুরগীর মতো আবার ও কক কক করে পচা ডিম পারার মতো পচা পচা স্ট্যাটাস দিয়ে নিয়ে একটি পদে বসে যাবেন। জনগন কে এত বোকা ভাববেন না,
আসুন সত্য কে জানি, মিথ্যা অপ প্রচার কারির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলি।