15/11/2020
অবৈধ অভিবাসীদের শর্তসাপেক্ষে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া
বেশ কয়েকটি খাতের অবৈধ অভিবাসীদের শর্তসাপেক্ষে বৈধতা দেবার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। জানা যায় – মালয়েশিয়া কনস্ট্রাকশন, ফ্যাক্টরি, পাম অয়েল ও কৃষিখাতের অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতার সুযোগ দিতে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের অধৈব অভিবাসী শ্রমিকরা এর আওতাভুক্ত থাকবে । তবে এই বৈধতার ক্ষেত্রে কোনো এজেন্ট গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অবৈধ অভিবাসীদের বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া
অবৈধ অভিবাসীদের শর্তসাপেক্ষে বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে মালয়েশিয়া। ১২ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার ) বিশেষ বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দাতুক সেরি হামজাহ বিন জায়নুদ্দিন।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের আরো বলেন, বৈধকরণ প্রক্রিয়া ১৬ নভেম্বর শুরু হয়ে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলবে। ইমিগ্রেশন বিভাগ, শ্রম বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সরকারি সংস্থা যৌথভাবে এটি বাস্তবায়ন করবে।
জানা যায়, কনস্ট্রাকশন, ফ্যাক্টরি, পাম অয়েল ও কৃষিখাতের অবৈধরা বৈধতার সুযোগ পাবে। থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, নেপাল, মিয়ানমার, বাংলাদেশসহ ১৫টি দেশের অধৈব অভিবাসী শ্রমিকরা এর আওতাভুক্ত। এক্ষেত্রে কোনো এজেন্ট গ্রহণযোগ্য হবে না বলেও জানান দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
অবৈধ যারা নিজ দেশে ফিরতে চান তাদের সে সুযোগ দেয়া হবে। এদিকে, অবৈধ অভিবাসীদের আটকে এ মুহূর্তে বড় কোনো অভিযান পরিচালনা না করার আহ্বান জানিয়েছে মালয়েশিয়ার মানবাধিকার কমিশন সুহাকাম।
সম্প্রতি দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, করোনাকালীন যারা চাকরি হারিয়েছেন তারা ‘মাই ফিউচার জবস’ অনলাইনে নিয়োগকর্তার মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে। বিদেশি কর্মীদের ক্ষেত্রেও এ প্রক্রিয়া প্রযোজ্য।
বর্তমানে ক’রোনা মহামারির কারণে অসংখ্য অভিবাসীকর্মী কাজ হারিয়ে কঠিন সময় পার করছেন। বৈধতা দেয়ার ঘোষণায় অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে।
সরকারের বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দালাল চক্রও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েক বছর আগে মালয়েশিয়া কর্তৃপক্ষ অবৈধকর্মীদের বৈধতা দেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর দালালরা কর্মীদের বৈধ করার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়।
পরে কর্তৃপক্ষ বৈধ হওয়ার কর্মসূচি স্থগিত করে। এবার যাতে এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য সরকার কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
১৫ অক্টোবর শ্রমবাজার খোলা বিষয়ে মালয়েশিয়া এবং বাংলাদেশের মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক হয়। নতুন করে কর্মী নিয়োগের বিষয়ে দুই মন্ত্রীর মধ্যে ইতিবাচক আলোচনা হয়। দুই দেশের মধ্যে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ও কর্মী নিয়োগের বিষয়ে সমঝোতা সইয়ের বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানানের সঙ্গে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদের মধ্যকার বৈঠকে বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার উন্মুক্তকরণসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। ক’রোনাকোলে দেশে এসে আটকে পড়া শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে দেয়ার আহ্বান জানান ইমরান আহমেদ।
উল্লেখ্য, মালয়েশিয়াতে বিভিন্ন দেশের ২০ থেকে ৩০ লাখ অবৈধ অভিবাসী রয়েছে বলে মনে করছে অভিবাসন খাত নিয়ে কাজ করা এশিয়ার ২০টি দেশের আঞ্চলিক সংগঠন ক্যারাম এশিয়া। তবে বাংলাদেশের অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা কত, সে সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই।