05/02/2024
এই যে...
আমার প্রিয় আদরের মেয়েরা...
যারা বর্তমানে স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী ক্লাস এইট নাইনের ছাত্রী যারা, বা তার চেয়েও কম বা তার চেয়ে বেশি শ্রেণীতে পড়ছে যারা, বাবা-মা এর লক্ষীসোনা মায়েরা... তোমাদেরকে বলছি!
নিজেদের স্কুল ছাড়া ঘরের বাইরে কোচিং এ গিয়ে ক্লাসমেট ছাড়া অন্য কোন ভাবে পরিচিত ছেলেদের কে কোচিংয়ের বাইরে ডেকে এনে দেখা করবে না।
হয়তো সেই ছেলেটি তোমার ফেসবুক অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় অনলাইনে পরিচিত হয়েছে, তার সাথে সখ্যতা গড়ে উঠেছে...
তার সাথে তোমার বন্ধুত্ব হয়েছে। অনলাইনের ভার্চুয়াল জগতে তুমি যার সাথে বন্ধুত্ব করেছ হয়তো তুমি নিজেও জানো না যে -সেই ছেলেটি কি রকম হবে, বা সে কোন পরিবারের থেকে আসছে।
সে হয়তো তোমাকে অনেক মিথ্যা ভুল ভ্রান্ত ধারণা দিয়ে তোমাকে তার নিজের ব্যাপারে উপস্থাপন করেছে। কিন্তু দেখা গেল তুমি কোচিং এর বাইরে সেই ছেলেটিকে এনে ডেকে তার সাথে দেখা করার সময় দেখলে যে তুমি যা আশা করেছিলে, সেই ছেলেটি যা বলেছিল- তার নিজের সম্বন্ধে.. নিজের ব্যাপারে.. তার সাথে তার কোন মিল নেই!!!
হয়তো যদি তুমি যদি সত্যবাদী এবং ন্যায়এর উপর প্রতিষ্ঠিত থাকো, অর্থাৎ নিজে যদি সৎ হও, নিজের ব্যাপারে যদি পরিষ্কার ধারণা তোমার নিজের থাকে, তাহলে তুমি উপস্থিত সময় হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়ে নিবে কি করতে হবে তোমাকে।
আর যদি তুমি নিজের ব্যাপারে অস্পষ্ট থাকো.. তোমার সম্পর্কে তোমার ধারণা যদি থাকে অস্পষ্ট.. তাহলে হয়তো তুমি কনফিউশনে অথবা লোকলজ্জার কারণে ছেলেটির সাথে হয়তো কথা বলে ফেলবে, এবং কোন একপর্যায়ে হয়তো ছেলেটির সাথে তুমি কোন একটা রিলেশনে জড়িয়ে যাবে...।
তখন হয়তো তোমার মনে হতে পারে কিভাবে সেখান থেকে পিছাবে। অথবা তোমার ভালোলাগা বাড়তে পারে। তুমি আবেগতাড়িত হয়ে অনেক অন্যায় কাজও করে ফেলতে পারো।
বাবা মাকে মিথ্যা কথা বলা তো আছেই, পাশাপাশি তুমি অনেক অপরাধেও জড়িয়ে যেতে পারো।
মেয়েরা তোমাদেরকে বলছি...
তোমরা নিজেদের ব্যাপারে সচেতন হও।
নিজেদের ভবিষ্যৎ নিজের হাতে গড়ার সোনার মত স্বপ্নের সময়টাকে যত্রতত্রভাবে হাতছাড়া করে নষ্ট করো না।
জীবনে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য স্থির কর। সে অনুযায়ী জীবনের প্রস্তুতি গ্রহণে সচেষ্ট থাক। যে যে ধর্মে থাকো না কেন সৃষ্টিকর্তাকে সর্বক্ষণ স্মরণে রেখে প্রতিটি কাজ করো। দেখবে তোমার প্রতিটা দিন ভালো থেকে ভালো, উন্নতি থেকে উন্নতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।
নির্দিষ্ট একটি বয়স রয়েছে প্রত্যেকটি কাজের জন্য মানুষের জীবনে নির্ধারিতভাবে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত।
সে অনুযায়ী চিন্তা ভাবনাকে নিজের জীবনের ব্যাপারে স্পষ্ট রাখো।
কখন কোন কাজটি করতে হবে সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখে জীবনে প্রতিটি মুহূর্তের প্রতিটি কাজ করে যাও অর্থাৎ পড়াশোনার সময় প্রেম করা উচিত নয়। ইউনিভার্সিটিতে উঠার পর প্রেম যদি হয়েও যায় তারপরও পড়াশোনা সব সময়ই তোমার প্রধান মুখ্য বিষয়। প্রেমকেন্দ্রিক জীবনকে গড়ে তুলনা। পড়াশোনাটাকে বাস্তবে রূপদান করতে জীবনের লক্ষ্য অর্জন করার জন্য সর্বাত্মক কাজ করো।
প্রেম বা প্রেমিক এমনি তোমার পিছনে ঘুরঘুর করবে।
তুমি যদি কোন একজন সুপ্রতিষ্ঠিত নারী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হও, তাহলে তোমার কোনদিন খুঁজে বেড়াতে হবে না তোমার মনের মানুষকে। তোমার মনের মানুষ তোমার সামনেই এসে হাজির হবে তখন।
ভার্চুয়াল জগতে নানান উপায়ে নানান ভাবে নানান প্রকার খারাপ সন্ধি নিয়ে দালাল প্রকৃতির অনেক ধরনের মানুষ বিভ্রান্ত চরিত্রের এই সমাজের নানা অঙ্গনের নানান ধরনের বিচিত্র সব মানুষেরা নানান অসংগতিপূর্ণ অন্যায় কাজ করে বেড়াচ্ছে অসামাজিক উপায়ে অনৈতিকভাবে এবং অসংগত মানসিক বিকৃতির কারণে।
অনলাইনের জগতে তাদের অনেক প্রভাব রয়েছে, দাপট রয়েছে। তাদের প্রভাবে কখনো প্রভাবিত হয়ো না।
জুয়া বা অন্যকোন নেশা জাতীয় জগতে কোনভাবেই সম্পৃক্ত হয়ো না- সেটা স্কুলে পড়া অবস্থাতেই হোক, কলেজে হোক, অথবা ইউনিভার্সিটি লাইফেই হোক- কখনোই না!
আর, বর্তমান সময়ে যেসব ছেলেরা, বাবা-মা এর দুচোখের মনি যারা, সোনা লক্ষী বাবারা...
তোমাদেরকে বলছি..
তোমরা যারা সদিচ্ছায় পড়ালেখা বাদ দিয়ে দিয়েছে অথবা আর্থিক বা পারিবারিক কারণে পড়াশোনা বাদ দিয়ে দিয়েছে, তা সে যেকোনো কারণেই হোক- পড়াশোনাকে বাদ দিয়ে যারা জীবনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে অন্য সব কাজে, যার মাধ্যমে তোমার যে জ্ঞান অর্জনের পথ বন্ধ রয়েছে, এবং সেই জন্য আর্থিক অর্থে সেসব ছেলেদের শিক্ষার আলোকিত জ্ঞান চর্চা থেকে বিরত থাকার ফলে তাদের ক্রমাগত বিকাশে অবনতি ঘটেছে।
বিবেক বুদ্ধির বিচার এবং জীবন সম্পর্কে যে সব ব্যাপারে যেভাবে সঠিক ধারনা সৃষ্টি যতটুকু হওয়া উচিত ছিল, সেটুকু হওয়া থেকে তাদের বিরত থাকার কারণে তাদের জ্ঞান বিকশিত হতে পারেনি সেই পর্যায়ে- যা দরকার ছিল বর্তমান সময়ে তার থাকার নিজের মধ্যে।
যেমন, সেটা বয়স হোক বা না হোক- ভালো লেগেছে, একটি মেয়েকে গিয়ে প্রপোজ করে ফেলতে হবে, বা একটি মেয়েকে অনলাইনে ডিস্টার্ব করতে হবে- এই ধরনের মন মানসিকতা যা তৈরি হয়ে গিয়েছে, সেই ছেলেটিকে বলা উচিত খুব স্বাভাবিকভাবেই ছেলেটি বিপথে চলে গিয়েছে। বয়স অনুযায়ী ছেলেটির হয়তো জ্ঞান অর্জন করা সম্পন্ন করা উচিত ছিল স্কুল-কলেজ লাইফ, ইউনিভার্সিটি লাইফ- এগুলাতে পড়াশোনা করার পাশাপাশি জীবনের প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য কাজের জগতের প্রতি তার ধ্যান-ধারণা সৃষ্টির সময় হচ্ছে এই তার সোনালী সময়টি স্বপ্নীল এই সময়টি।
তখন হয়তো সে প্রেম করতে চাচ্ছে বা প্রেমে ধোঁকা খাচ্ছে, এবং পাশাপাশি সে নেশার জগতে জড়িয়ে পড়ছে বন্ধু-বান্ধবের পাল্লায় পড়ে।
অভিভাবকের অগোচরে সে নানান অন্যায় অপরাধের জগতের সাথে জড়িয়ে পড়ছে যা সে নিজেও জানে না বা সে বুঝতে পারছে না যে সে কি করছে।
অস্থির একটি সময় এই সময়ের ছেলেরা পার করছে।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম যত এগিয়ে যাচ্ছে দিনদিন, বয়স অনুযায়ী ছেলেদের যে কাজ যে কিছু যে দায়িত্ব পালন করার কথা, সেই কাজ বা সেই দায়িত্ব থেকে ছেলেগুলো পথভ্রষ্ট হয়ে অন্ধকারের দিকে চলে যাচ্ছে আলোর দিকে উঠার বদলে।
পড়াশোনা করতে না পারাটা কোন দুর্ভাগ্য বা কোন খারাপ কিছু নয়, কিন্তু তাই বলে নিজের জ্ঞান অর্জনের ইচ্ছাকে ছেড়ে দেওয়াটাও কোন বুদ্ধিমানের কাজ নয়।
হাতের কাজ জানা থাকলে হাতের কাজ করলে বাজে যে কাজই করুক সেই কাজ করতে থাকলে কাজের স্কিল বৃদ্ধির মাধ্যমে নিজেকে আরও পারদর্শী করে তোলার মাধ্যমে একটি সুপ্রতিষ্ঠিত জায়গায় নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য হচ্ছে একটি ছেলের আদর্শ লক্ষ্য।
সেটি সব যুগে বিদ্যমান থাকবে। আদর্শ সব লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত না হওয়াকেই একজন মানুষের সত্যিকারের পরিচয় বলে বিবেচনা করা হয় বর্তমান বিশ্বের আধুনিক সমাজে।
জীবনে আধুনিক হওয়াটা এই ভাবেই হয়।
স্মার্টনেস পোশাকে নয়, স্মার্টনেস বুদ্ধিতে।
স্মার্টনেস নিজের মস্তিষ্কের প্রতিফলনে...।
তোমার প্রত্যেকটি কাজের মাধ্যমে -তোমার চলনে, বলনে, কাজে, কথায়- সবকিছুতে যেন মিল থাকে, তুমি যেন সচেতন মানুষ হও সময়ের ব্যাপারে। প্রত্যেকটি সেকেন্ডের মূল্যায়ন করার ব্যাপারে।
তাহলেই তখন তুমি সফল হয়ে উঠবে।
জীবন হবে ছন্দময় গতিময় এবং প্রাচুর্যময়।
জীবনে তখন তোমার অর্থবিত্তের অভাব হবে না...
জীবনে প্রভাবশালী ব্যক্তি হওয়ার ক্ষেত্রে তোমার বেশি বাধাও থাকবে না।
তখন প্রেম করার জন্য তোমার কোচিং এর সামনে গিয়ে মেয়েদের জন্য অপেক্ষা করতে হবে না।
তখন ভালো ভালো মেয়েদের অফার তুমি ঘরে বসেই পাবে। হাঁটতে বসতে তুমি বিরক্ত হয়ে যেতে পারো একটা সময় হতে পারে আসবে, যখন তুমি শুধু অফার পেতেই থাকবে পেতেই থাকবে মেয়েদের কাছ থেকে।
আকর্ষণীয় সব মেয়েদের কাছ থেকে যাদের কথা তুমি হয়তো কোনদিন কল্পনাও করনি।
এটাই হচ্ছে প্রকৃত সত্য..
প্রকৃত বাস্তবতা..।
এবং এতে যদি তুমি সচেষ্ট থাকো, এই পথ সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারো, তাহলে তুমি অবশ্যই জীবনে সফল মানুষ হিসেবে সু প্রতিষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।