Exploring Sylhet

Exploring Sylhet Each and every expanse of Bangladesh abounds in greenery, but none can compare with Sylhet. From spinning hills covered in lush green tea gardens and gleam
(5)

ভালবাসার অারেক নাম সিলেট।পর্যটন এলাকা ঘুরতে খুব ভাললাগে।সিলেট জেলাকে ভালবেসেই এই ভিডিও করা, আশা করি ভাললাগবে.... https:/...
01/11/2018

ভালবাসার অারেক নাম সিলেট।
পর্যটন এলাকা ঘুরতে খুব ভাললাগে।
সিলেট জেলাকে ভালবেসেই এই ভিডিও করা, আশা করি ভাললাগবে....
https://youtu.be/3atgL3qYd3k

*রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট বাংলাদেশের একমাত্র মিঠাপানির জলাবন এবং বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য, যা সিলেটের গোয়াইনঘাটে ...

   #জাফলং
07/09/2017

#জাফলং

সুনামগঞ্জ>তাহিরপুর>টেকের ঘাট
04/09/2017

সুনামগঞ্জ>তাহিরপুর>টেকের ঘাট

29/06/2017

সিলেট জেলার গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়নের একটি এলাকা 'পাংথুমাই'। অপূর্ব সুন্দর এই জায়গায় গিয়েছেন কি কখনো ?

17/03/2017

লালা খাল

বন্দর বাজার,সিলেট
05/03/2017

বন্দর বাজার,সিলেট

02/03/2017
জনস্বার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশ .
03/10/2016

জনস্বার্থে ট্যুরিস্ট পুলিশ .

কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না, এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা আমাদের বাংলাদেশেই ! একে "নীলাদ্রি" নামে সবাই চেনে; এর অবস্থ...
14/09/2016

কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না, এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা আমাদের বাংলাদেশেই !
একে "নীলাদ্রি" নামে সবাই চেনে; এর অবস্থান #টেকেরঘাট, সুনামগঞ্জ-এ।।
আমরা যাব খুব শিঘ্রই ..
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ সাবের আহমেদ হোসেন সুকর্ণ

রাতের শহিদ মিনার,  সিলেট ছবি : সংগৃহীত
31/08/2016

রাতের শহিদ মিনার, সিলেট
ছবি : সংগৃহীত

রাতের সিলেট রেল স্টেশন
29/08/2016

রাতের সিলেট রেল স্টেশন

29/08/2016
তামাবিল
29/08/2016

তামাবিল

রাতার গোল
28/08/2016

রাতার গোল

আপনার রাতের সিলেট,  ছবি পাঠান কমেন্টে....
26/08/2016

আপনার রাতের সিলেট, ছবি পাঠান কমেন্টে....

অপরূপ এই সিলেট ....
26/08/2016

অপরূপ এই সিলেট ....

23/08/2016
রুপবতী কুলুমছড়া ঝর্ণা, সিলেট ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Shamima Mitu
23/08/2016

রুপবতী কুলুমছড়া ঝর্ণা, সিলেট
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Shamima Mitu

Bangladesh last House.... জাফলং যাবার পথে  জৈন্তাহিল রিসোর্ট টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকলেই দেখতে পাবেন এই বাড়িটা .... এছাড়াও ঝ...
22/08/2016

Bangladesh last House....
জাফলং যাবার পথে জৈন্তাহিল রিসোর্ট টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকলেই দেখতে পাবেন এই বাড়িটা .... এছাড়াও ঝরা আর মেঘ ছুয়া সবুজ পাহার ত থাকছেই..

বর্ষায়  #বিছনাকান্দি, গোয়াইনঘাট, সিলেটছবি কৃতজ্ঞতাঃ মোঃ যায়েদ বিন হাসেম
22/08/2016

বর্ষায় #বিছনাকান্দি, গোয়াইনঘাট, সিলেট

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ মোঃ যায়েদ বিন হাসেম

বিশেষ পোষ্টঃ আমরা সাধারণত জাফলং গিয়ে দিনেই ঘুরে আসি। অনেকে রাতে থাকার ভালো হোটেল বা রিসোর্ট পাই না। সীমান্ত সম্মেলন কেন্...
22/08/2016

বিশেষ পোষ্টঃ আমরা সাধারণত জাফলং গিয়ে দিনেই ঘুরে আসি। অনেকে রাতে থাকার ভালো হোটেল বা রিসোর্ট পাই না। সীমান্ত সম্মেলন কেন্দ্র বা BGB Resort, তামাবিল কাস্টমস থেকে ৩ কিমি এবং জাফলং পয়েন্ট থেকে ৭ কিমি সামনে একটি সুন্দর ছিমছাম রিসোর্ট। রিসোর্টে ৪ টি রুম আছে। প্রতিটি রুমই সুসজ্জিত। প্রতিটি রুমে এসি, ক্যাবল টিভি, ফ্রিজ এবং দুজনের থাকার মত সুব্যাবস্থা আছে। প্রতিটি রুম থেকে মেঘালয়ের পাহাড়গুলো স্পষ্ট দেখা যায়। এই রিসোর্টটি সম্পূর্ণ BGB পরিচালিত, তাই নিরাপত্তার অভাব আপনি কখনই অনুভব করবেন না আশা করা যায়। রিসোর্টে একটি মসজিদ আছে। আপনি যদি বর্ষাকালে রিসোর্টে থাকেন তাহলে সকালে আপনার ঘুম ভাংবে পাখির ডাকে আর ঝরনার গর্জন শুনে। রিসোর্টের প্রতিটি রুম যথেষ্ট আরামদায়ক।

রিসোর্ট সম্পর্কে কিছু তথ্যঃ

*** চেক ইন এবং চেক আউট টাইম দুপুর ১২ টা।

*** রিসোর্টে খাবার সুব্যাবস্থা আছে। কিন্তু আপনি হয়তো সব পাবেন না। আপনাকে BGB সদস্যদের আগে জানিয়ে দিতে হবে আপনি সকালের নাস্তায়, দুপুরে বা রাতে কি খাবেন। খাবারের দাম যথেষ্ট সহনীয়। আপনাদের আবার জানিয়ে রাখছি আপনি খাবার জন্য সব কিছু পাবেন না। স্থানীয় মাছ, মুরগি এগুলো আপনার মেনুতে থাকবে।

*** প্রতিটি রুমে ঠাণ্ডা ও গরম পানির ব্যাবস্থা আছে।

*** আপনার খাবার বিলের সাথে 30% চার্জ যুক্ত হবে।

*** রিসোর্টে অবস্থানরত BGB সদস্যরা খুব হেল্পফুল। আপনাকে তারা সার্বিকভাবে সাহায্য করবে।

*** রিসোর্টে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জেনারেটর আছে। তাই ইলেক্ট্রিসিটি সমস্যায় পরার চিন্তা নাই। যদিও রিসোর্ট এলাকায় ইলেক্ট্রিসিটির সমস্যা ভয়ানক।

*** রিসোর্টে একমাত্র GP 3G কাজ করে। অন্য অপারেটরের 3G কাজ করে না। টেলিটকের নেটওয়ার্ক নাই।

*** যেহেতু রিসোর্টে রুম মাত্র চারটি তাই আপনাকে আগে থেকে রুম বুকিং করতে হবে। বুকিং এর জন্যে নাম্বারঃ Mr. 01686195633

পোষ্ট কৃতজ্ঞতাঃ Tourism Sylhet

পুরোদমে চলছে অলিম্পিক। আমজনতার মতো পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীদেরও আছে অলিম্পিক নিয়ে মতামত।
21/08/2016

পুরোদমে চলছে অলিম্পিক। আমজনতার মতো পৃথিবীর অন্যান্য প্রাণীদেরও আছে অলিম্পিক নিয়ে মতামত।

বিশেষ পোষ্টঃ ঘুরে আসুন চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গল থেকে - বিস্তারিত তথ্যসহঃশ্রীমঙ্গল শহরটা ছোট্ট, তবে বেশ গোছানো। এই শহরের সব স...
20/08/2016

বিশেষ পোষ্টঃ ঘুরে আসুন চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গল থেকে - বিস্তারিত তথ্যসহঃ
শ্রীমঙ্গল শহরটা ছোট্ট, তবে বেশ গোছানো। এই শহরের সব স্থাপনার মাঝেই নান্দনিকতার ছাপ। শহরের বেশির ভাগটা জুড়েই রয়েছে চা-বাগান। এখানে আপনি যে দিকে-ই তাকাবেন দুচোখ জুড়ে দেখবেন চায়ের বাগান। যা দেখলে চোখ জুড়ে খেলে যাবে এক অপরূপ সুন্দর ও সবুজের সমারোহ। চলুন এবার ঘূরে আসি শ্রীমঙ্গলের আকর্ষণীয় স্থানগুলোর কয়েকটিতে -

চা বাগান
-----------
চা বাগান মানেই ‘অ্যাডভেঞ্চার’ বা রোমাঞ্চ। সবুজের চাদরে মোড়ানো চা বাগান পর্যটকদের কাছে খূবই আকর্ষণীয়। বাংলাদেশে মোট ৭টি ভ্যালী রয়েছে এর মধ্যে সিলেট বিভাগে রয়েছে ৬টি। এই ভ্যালীতে মোট চা বাগানের সংখ্যা ১৩৮টি। শুধু শ্রীমঙ্গলে রয়েছে ৩৮টি চা বাগান। এ জন্য শ্রীমঙ্গলকে চায়ের রাজধানীও বলা হয়। এতো চা বাগান, আপনি কোন বাগান দেখতে যাবেন সিদ্ধান্ত নিতে কষ্ট হবে। কারণ শ্রীমঙ্গলের পূর্বদিকে কিছূ অংশ হাওর ছাড়া পুরো উপজেলা জুড়ে শুধু চা বাগান। আপনি যখন মাইলের পর মাইল চা বাগানের ভিতর দিয়ে চলবেন তখন আপনার মনে হবে বিশ্বের সকল সৌন্দর্য্য যেন আপনার সামনে। একটি রিকশা, মিশুক কিংবা প্রাইভেট কার নিয়ে প্রবেশ করুন চা বাগানের ভিতর। চা বাগানের ঢুকার পর মনে হবে ভিন্ন পরিবেশ। মনে হবে কোনো দ শিল্পী যেন মনের মাধুরী মিশিয়ে স্তরে স্তরে সবুজকে সাজিয়ে রেখেছে। চারপাশে কেবল সবুজের মেলা।

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান
------------------------------
চা বাগান দেখা শেষ হয়ে গেলে আপনি চলে যেতে পারেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে। শ্রীমঙ্গল থেকে ভানুগাছ-কমলগঞ্জ রাস্তায় ৭ কিলোমিটার এগুলেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। জীববৈচিত্র্য ও বন্যপ্রানীর মহামিলনের নান্দনিক সৌন্দর্য্যরে স্থান লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান। প্রকৃতির অপরুপ সৌন্দর্য্য মন্ডিত লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ট্রপিক্যাল ফরেস্ট’ খ্যাত। জীববৈচিত্র্যে ভরপুর এই উদ্যানে পশু-পাখি দর্শনের জন্য একটি আকর্ষণীয় স্থান। যেখানে উঁচু-নিচু পাহাড়ের গায়ে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে আছে হাজার হাজার প্রজাতির লাখ লাখ বৃক্ষ। ন্যাশনাল পার্কের প্রবেশ করা মাত্রই আপনি দেখবেন চারিদিকে হাল্কা অন্ধকার রাস্তায় দুপাশের বৃগুলো দিবাকরের আলোক রশ্মিকে আটকে রেখেছে। মাঝে মাঝে বৃসারির মগডালে চোখ রাখুন দেখবেন বানর আর হনুমান লাফালাফি করছে। একটু ভেতরে প্রবেশ করলে আপনার চোখে পড়বে খাটাস, বনমোরগ, উল্লুক, মেছোবাঘ, বন বিড়ালসহ বিভিন্ন জীবজন্তু আর পার্কের বিশাল বিশাল বৃরাজি, জীবজন্তুর হুঙ্কার, ঝিঝি পোকার শব্দ, বানরের লাফালাফি, ঝাঁকঝাঁক উল্লূকের ডাকাডাকি একটু সময়ের জন্য হলেও আপনার ব্যস্ত জীবনের কান্তি দুর করে মনে এনে দেবে প্রশান্তির ছোঁয়া। সীমিত শহরের ব্যস্ত জীবনের ফাঁকে এখনও মানুষ পেতে চায় শ্যামল অভয়ারণ্যের ছোঁয়া কিংবা একটু নিস্তব্ধতার একাকিত্ব।

শ্যামলী
---------
ভ্রমণ পিপাসুদের কথা ভেবেই লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর শ্যামলীতে নির্মাণ করা হয়েছে একটি পিকনিক স্পট। সবুজের অপরূপ সাজে সজ্জিত শ্যামলী। প্রকৃতিপ্রেমিক, ভ্রমণ বিলাসী ও সৌন্দর্য পিপাসুদের জন্য একটি দর্শনীয় স্থান এটি। এর বাস্তবতা মেলে রাস্তায় দু’পাশে সারিবদ্ধ গাড়ির বহর দেখে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা গাড়িতে বিভিন্ন ধরণের ও রঙের ব্যানার ঝুলানো থাকে, কেউ বা ব্যানারে লিখেন ‘শ্যামলীতে আনন্দ ভ্রমণ’ বা ‘শিক্ষাসফর’ । আবার কেউ বা লিখেন ‘বনভোজনে আমরা ক’জন’। দিন দিন মানুষের ব্যস্ততা বাড়ছে, কাজের চাপে যান্ত্রিক মানুষগুলো একঘেঁয়েমির মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। তাই একঘেঁয়েমি থেকে মুক্তি পেতেই তারা ছূটে আসেন শান্ত, অনাবিল সবুজ প্রকৃতির কাছে। আর মানুষের এসব চাহিদা মেটাতেই বুঝি চির সবুজের সাজে সেজেছে শ্যামলী। পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে শ্যামলীর সুনাম ছড়িয়ে আছে সারাদেশে। এখানে রয়েছে নানা প্রকার বৃরাজি। দেশের আর কোথাও একই সাথে এত বৈচিত্র্যময় বৃ দেখা যায় না। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ভানুগাছ সড়ক ধরে ৭ কিঃমি দুরে শ্যামলীর অবস্থান। শ্রীমঙ্গল থেকে শ্যামলীর উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়র পর পরই প্রথমে চোখে পড়বে রাস্তার দু’পাশে দৃষ্টিজুড়ে চায়ের বাগান। বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের রাস্তা পেরিয়ে চোখে পড়বে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকা বৃগুলো। হ্যাঁ, এগুলোই রাবার গাছ। এরপর পরই সহজেই চোখে পড়বে কাশফুলের সাদা পাহাড়। নীল আকাশের নিচে সবুজের গালিচা, তারই একপাশে শরতের বাতাসে দোল খেয়ে যাচ্ছে কোমল কাশফুল গুলো।

ভেষজ উদ্ভিদ বাগান
-------------------------
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কেই রয়েছে দেশের পূর্বাঞ্চলের একমাত্র ভেষজ বাগান আরোগ্য কুঞ্জ। মাগুর ছড়া গ্যাস কুপ পেরিয়ে প্রায় আড়াই কিঃমি পথ এগুলোই হাতের ডানদিকে চোখে পড়বে ভেষজ বাগান আরোগ্য কুঞ্জ। পার্কের ২ একর জায়গা জুড়ে বি¯তৃত এ ভেষজ বাগানে রয়েছে ৭৯ প্রজাতির ঔষধী গাছ।

বাংলাদেশ চা গবেষনা ইনস্টিটিউট
-----------------------------------------
চারদিকে বিচিত্র সব ফুলের আয়োজন। সারিবদ্ধ পাম, ইউক্যালিপটাস, একাশিয়া ইত্যাদি বৃরাজির শোভা। লেকের জলে ফুটন্ত জলপদ্ম। তারই মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিটিআরআই)। প্রকৃতি আর মানুষের হাতের ছোঁয়া গড়ে ওঠা এলাকাটির সৌন্দর্য্য নিঃসন্দেহে যে কাউকে মুগ্ধ করবে। চা গবেষনা ইনস্টিটিউট ছাড়াও এখানে রয়েছে একটি চা কারখানা। কর্তৃপরে অনুমতি নিয়ে বিজ্ঞানাগার ও চা কারখানায় চা প্রক্রিয়াজাতকরণ দেখার সুযোগ রয়েছে।

নীলকন্ঠ চা কেবিনের ৮ রঙা চা
--------------------------------------
বেড়ানোর ফাঁকে এককাপ চা হলে মন্দ হয়না। রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বিস্ময়করতো বটেই। এক কাপে ৮ রঙা চা! এটি উদ্ভাবন করেছেন রমেশ রাম গৌড়। আলোড়ন সৃষ্টিকারী রমেশের চায়ের দোকানে খুব সহজেই পৌছাতে পারেন। শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট রোড ধরে এগিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রাস্তায় যেতে বাম দিকে চেখে পড়বে বিজিবি’র ১৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর এলাকায় মিনি পার্কের আদলে গড়ে উঠা ‘নীলকন্ঠ চা কেবিন। মিডিয়ার বদৌলতে তার আবিস্কৃত দু’ থেকে আট রঙা চা’র খ্যাতি দেশের সীমা ছাড়িয়ে পৌছে গেছে ভিন দেশে। দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন দূতাবাসের রাস্ট্রদূত, রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকরা তাঁর চা’র স্বাদ নিয়েছেন। রমেশের সাথে তঁরা ছবি তুলেছেন। পরিদর্শন খাতায় লিখে গেছেন বিস্ময়কর রমেশের চা’র ভূয়সী প্রশংসা। এখানে পাবেন ১০ লেয়ারের চা। প্রতি কাপের দাম পড়বে ৩ টাকা থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত্ । রমেশ রাম গৌড় ইতিমধ্যে তার গবেষণা চালিয়ে একই পাত্রে ১০ লেয়ারের চা আবিষ্কারের কৌশল আয়ত্ব করেছেন। চা খাওয়া শেষ হলে যদি সময় থাকে বিস্ময়কর রমেশ রাম গৌড়ের সাথে কথা বলে আসতে পারেন। ইতিমধ্যে রমেশকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা লাধিক টাকা মাসিক বেতনে চাকুরী দেয়াসহ লোভনীয় প্রস্তাব দিলেও রমেশ তাতে রাজী হননি। নিজের দেশের আবিষ্কার বাইরে নিয়ে যাবেন না বলে এসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। চা পান শেষে মন্তব্য খাতায় আপনার অভিমত ব্যক্ত করে আসতে পারেন। ও হ্যাঁ একই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে ফুল ছড়া চা বাগান ঘেষে রমেশের আরেকটি চা দোকান রয়েছে। মনিপুরী পাড়ায় প্রবেশ পথে নীলকণ্ঠ চা কেবিনে একই ধরনের চা পাওয়া যায় ।

টি রিসোর্ট
---------------
টি-রিসোর্টটি উঁচু-নিচু পাহাড়ে ঘেরা। অপূর্ব সৌন্দর্য্য মন্ডিত এই টি-রিসোর্টের চারিদিকে আছে হরেক প্রজাতির গাছ-গাছালি। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দুরে শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়কের পাশে ভাড়াউড়া চা বাগান সংলগ্ন ২৫.৮৩ একর জায়গার ওপর এই টি রিসোর্টের অবস্থান। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর চা বাগানে ঘেরা পাহাড়ের ওপর এই টি-রিসোর্ট অবস্থিত। অত্যন্ত সুরতি এই টি রিসোর্টে ১টি অফিস ভবন, ২টি ভিআইপি লাউঞ্জ, ১৪ টি বাংলো, ৯টি স্টাফ হাউস, ৫০টি শ্রমিক সেড, ২টি পাম্প হাউস, ১টি পানির ট্যাংক, ১টি জেনারেটর হাউস ও ১টি জ্বালানি স্টোরসহ একটি বিদেশী রেস্ট হাউসের সমতুল্য আসবাবপত্রসহ সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। পর্যটকদের জন্য সুইমিংপুলসহ ১টি অত্যাধুনিক টেনিস কোর্ট ও ব্যাডমিন্টন কোর্ট ও রয়েছে। প্রতিটি কটেজে উন্নতমানের ড্রইং, ড্রাইনিং, কিচেন, স্টোর রুম ফ্রিজরুম, বাথরুমসহ ঠান্ডা ও গরম জলের ব্যবস্থা রয়েছে। টি-রিসোর্টে আগে থেকে বুকিং দিয়ে আপনি সহজেই এখানে থাকতে পারেন। এ এলাকাটি আপনাকে মুগ্ধ করবেই। শ্রীমঙ্গলে নেমে রিকশা বা টেক্সিতে করে আপনি ১০/১৫ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছে যেতে পারেন টি-রিসোর্টে। অবশ্য টি-রিসোর্টে আসার আগে আপনাকে অবশ্যই বুকিং দিতে হবে।

হাইল হাওর
---------------
বৃহত্তর সিলেটের টাঙ্গুয়ার হাওর ও হাকালুকির পর শ্রীমঙ্গলের চারটি ইউনিয়ন জুড়ে প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব বৈচিত্র ও জীবিকার বিবেচনায় হাইল হাওর একটি গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি। শ্রীমঙ্গল উপজেলার পশ্চিমপ্রান্তে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে আছে এ বিশাল হাওর। হাওরে গিয়ে আপনি সৌন্দযৃ উপভোগ করতে পারেন। হাইল হাওর দেশী বিদেশী হরেক রকম পাখি, শাপলা- শালুক, ঝিনুক, শামুক ও হিজল- করল গাছসহ নানা প্রাকৃতিক সম্পদ। হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এই হাওরে আপনি ডিঙ্গি নৌকায় চড়ে জেলেদের মাছ ধরা দৃশ্য, অতিথি পাখিদের সাঁতারকাটা, জলকেলি ও জেলেদের মাছ ধরার দৃশ্য দেখতে পারেন। হাওরে পৌঁছে আপনি জেলেদের ডিঙ্গি নৌকা পাবেন। শুভেচ্ছা স্বরুপ ৪০/৫০টাকা খরচ করলেই নৌকা ভ্রমণ নিশ্চিত।

বাইক্কা বিল
---------------
হাইল হাওরে অবস্থিত সংরতি মৎস্য অভয়াশ্রম ‘বাইক্কা বিল’। ইউএস আইডি’র র অর্থায়নে মাচ প্রকল্পের মাধ্যমে গড়ে তোলা হয়েছে মৎস্য ও পাখির অভয়াশ্রম। অপরূপ সৌন্দর্য্যমন্ডিত এ বিল এখন আকর্ষণীয় পর্যটন স্পটে পরিণত হয়েছে। নয়নাভিরাম জলাভূমিতে হাজারও শাপলা আর পদ্মফুল ফুঁটে। বিলের পানির উপর ঘুরে বেড়ায় ফড়িং। সকাল বিকাল চলে রঙিন ফড়িংয়ের বিরতিহীন শোভাযাত্রা। বৃষ্টিহীন উষ্ণ দিনে বিলে ফুলের পাশে আসে রঙিন প্রজাপতির দল। জীববৈচিত্র্য ও মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর বাইক্কা বিল জলজ সম্পদের অমূল্য ভান্ডার। শিা-গবেষণা ও চিও-বিনোদনের জন্য এই বিল এখন অনন্য বিল একটি স্থান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। বিলের পানিতে ফোটা হাজারো পানা, শাপলা, পদ্ম আর নীলপদ্ম শোভিত মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক শোভা দেখে পর্যটক ও প্রকৃতিপিপাসুরা বিমোহিত হন। ২০০৩ সালের ১লা জুলাই ভূমি মন্ত্রণালয় বাইক্কা বিলকে স্থায়ী মৎস্য অভয়াশ্রম হিসেবে সংরণের সিদ্ধান্ত নেয়ার পর এই বিল শুধু মাছের জন্যই নয়, পাখি এবং অন্যান্য প্রাণীর জন্য একটি চমৎকার নিরাপদ আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। এ ছাড়া বাইক্কা বিলে দেখ মেলে পদ্ম,শাপলা, মাখনা স্বাদের জলজ ফুল ও ফল। সুস্বাদু সংরতি মৎস্য অভয়াশ্রমে গত কয়েক বছর ধরে সাইবেরিয়ার সাত সমুদ্র তেরো নদী পার হয়ে অতিথি পাখিরা বাইক্কা বিলে আসছে। এ বিলে এখন মৎস্য সম্পদ যেমন বাড়ছে, তেমনি হাজার হাজার অতিথি পাখির আগমনে এলাকাটি মুখর হয়ে উঠেছে।

মাগুরছড়া পরিত্যক্ত গ্যাসকুপ
----------------------------------
১৯৯৭সালের ১৪জুন গভীর রাতে এ গ্যাসকুপে ড্রিলিংয়ের সময় অগ্নি বিস্ফোরণে আশপাশের খাসিয়া পুঞ্জি, চা বাগান, রেল লাইন, সবুজ বনাঞ্চল পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এই গ্যাসকুপটি এখন পরিত্যক্ত এবং সংরতি এলাকা। চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া। দর্শনার্থীরা এ এলাকায় বেড়াতে এসে অবাক বিস্ময়ে অবলোকন করে মাগুরছড়ার দৃশ্যাবলী।

খাসিয়া পান পুঞ্জি
--------------------
শ্রীমঙ্গল উপজেলার বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে খাসিয়া পানের পুঞ্জি। আপনি যখন পাহাড়ের উঁচুটিলায় খাসিয়াদের পান পুঞ্জি দেখতে যাবেন সেখানে পাবেন অন্যরকম এক অনুভূতি। টিলার পর টিলার যতোদুর পর্যন্ত দৃষ্টি যায়। শুধুই পান গাছের সারি চোখে পড়বে।

ডিনস্টন সিমেট্রি
-------------------
শতবর্ষের স্মৃতিবিজড়িত ডিনস্টন সিমেট্রি। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রায় ১৫কিলোমিটার দূরে ডিনস্টন চা বাগানে এর অবস্থান। পাহাড়টিলায় ঘেরা চিরসবুজ চা বাগানের ভেতর সুনসান নিরবতার মাঝে ডিনস্টন সিমেট্রিতে ঘুমিয়ে আছেন ৪৬জন বিদেশী নাগরিক।

মণিপুরী পল্লী
--------------------
১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে ভাগ্যচন্দ্রের শাসনামলে মনিপুর রাজপুরুষ মোয়ারাংথেম গোবিন্দের নেত্বত্বে একদল মণিপুরী মণিপুর রাজ্য ছেড়ে শ্রীমঙ্গলের খাসপুরে এসে আবাস গড়েন। এই খাসপুরে রয়েছে মোয়ারাংথেম গোবিন্দের স্মৃতিস্তম্ভের ধ্বংসাবশেষ । যা একটি ঐতিহাসিক নির্দশন। স্বতন্ত্র কৃষ্টি-সভ্যতা, ভাষা-সংস্কৃতি, আচার-আচরণসমৃদ্ধ এক বৈশিষ্ট্যময় জনগোষ্ঠীর জীবনপ্রণালীর সঙ্গে পরিচিত হতে চাইলে আপনি এই পাড়ায় যেতে পারেন। এই পাড়ায় আপনি মণিপুরী মেয়েদের তাঁতে কাপড় বুননের দৃশ্য প্রত্য করতে পারেন। তাছাড়া আপনার পছন্দমতো শাড়ি, চাদর, ওড়না, বেড কভার ইত্যাদি ক্রয় করতে পারেন। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কালিঘাট চা বাগানের রাস্তা ধরে ৫ কি.মি. পথ পেরিয়ে ডান দিকে খানিকটা রাস্তা। তারপরেই মণিপুরী পল্লী। মণিপুরীরাও অতিথি পরায়ন। তবে আপনার সঙ্গে মিশতে খানিকটা সময় তাদের দিতে হবে।

রাবার বাগান
--------------
শ্রীমঙ্গলে রয়েছে বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের সিলেট বিভাগীয় অফিস। এ অফিসের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে সরকারী ৪টি রাবার বাগান। এছাড়াও প্রায় প্রত্যেক বেসরকারী বাগানেও এখন রাবার চাষ করা হচ্ছে। আপনি ইচ্ছে করলে যে কোন একটি রাবার বাগান ঘুরে দেখতে পারেন এবং জানতে পারেন কিভাবে রাবার তৈরি হয়, জানতে পারেন রাবার শ্রমিকের জীবন। আপনি যখন হাজার হাজার রাবার গাছের মধ্য দিয়ে হাটবেন তখন আপনি দেখবেন গাছের ডালপালা পুরু আকাশটাকে ঢেঁকে রেখেছে। বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের বাগানের মধ্যে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে রয়েছে শাহজীবাজার রাবার বাগান, বাহুবল রয়েছে রুপাইছড়া রাবার বাগান, এবং মৌলভীবাজার শ্রীমঙ্গলের সাতগাঁও রাবার বাগান এবং কুলাউড়ায় রয়েছে ভাটরা রাবার বাগান।

আনারস বাগান
------------------
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় শ্রীমঙ্গলের আনারসের খ্যাতি রয়েছে দেশ জুড়ে। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে যাওয়ার পথে চোখে পড়বে রাস্তার দু’পাশে আনারস বাগান।

লেবু বাগান
---------------
খুব ভোর উঠে যদি শ্রীমঙ্গলের বাজারে যান, তাহলে দেখবেন শুধু লেবু আর লেবু। নিজের চোখকেই অবিশ্বাস্য মনে হবে এতো লেবু শ্রীমঙ্গলে জন্মে।

ভাড়াউড়া লেক
---------------
চারদিকে চা বাগান মাঝখানে বিশাল এলাকা জুড়ে রয়েছে একটি লেক। লেকে রয়েছে জলপদ্মের মেলা।দেখবেন শাপলা ফুল পরিপূর্ণ লেকটিতে হরেক রকম পাখির সমাহার। লেকের শাপলা ফুলগুলোর দিকে তাকালে মনে হবে সবুজের মধ্যে লালের ছোঁয়া। তবে এ লেকে যেতে হলে পাহাড়ের গা বেয়ে একটু হেঁটে যেতে হবে। হেঁটে চলার পথটি এতোই সুন্দর যে, হাঁটার কান্তি আপনিই ভুলে যাবেন।

ওফিং হিল
--------------
চমৎকার একটি জায়গা অফিং হিল। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে প্রথমে কালিঘাট চা বাগানে পৌঁছান। সেখানে থেকে হাতের বাম দিকে ইটা বিছানো রাস্তায় এগিয়ে যান। চা বাগান আর রাবার বাগানের মাঝ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ২০ মিনিটের মধ্যে পেয়ে যাবেন হুসনাবাদ চা বাগান। ইচ্ছে করলে গাড়িও নিতে পাবেন, সেখান থেকে হেঁটে আগর বাগানের দিকে এগিয়ে যান আগরের বাগান পেরুলেই দেখতে পাবেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। মনে হবে যেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে পৌঁছে গেছেন। আর একটু এগুলোই পাহাড়ের ভিতরে পাবেন একটি লেক। শাপলা, জলপদ্মে ভরা লেকটির এক পাশ থেকে অপর পাশে দেখবেন শত শত পাকৌড়ি আর সরালী ভাসছে। লেকটি এঁকে-বেঁকে অনেক দুর চলে গেছে। একটু দুর বিধায় এ লেকে পর্যটকদের ভীড় হয় কম। লেকটির কাছে গেলে মনে হবে এটিকে যেন আপনিই আবিষ্কার করেছেন। এখানে আপনা আপনিই কেটে যাবে বেশ কিছুটা সময়।

বার্নিস টিলার আকাশ ছোঁয়া সবুজ মেলা
----------------------------------------------
বার্নিস টিলার নামটা শুনেই মনে মধ্যে অজানাকে জানার জন্য আচমকা একটা শিহরণ দিয়ে উঠবে। আকাশ ছোঁয়া সবুজ মেলা দেখতে হলে আপনাকে অবশ্যই যেতে হবে বালিশিরা ভ্যালীর বার্নিশ টিলায়। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে কালিঘাট রোড হয়ে জিপে চড়ে অথবা রির্জাভ কার, লাইটেস, মিশুক, সিএনজি কিংবা রিকশা নিয়ে দুপাশে চা বাগানের মধ্য দিয়ে পিচ রাস্তা ধরে প্রায় ৫ কি: মি: পথ এগুলেই পাবেন ফিনলে হাউজ। এখানেই দাঁড়াতে হবে। দেখবেন পিচ রাস্তাটি চলে গেছে ডানদিকে, সোজা একটি মাটির রাস্তা চলে গেছে চা বাগানের বুকচিড়ে এবং আপনার কাংকিত বার্নিশ টিলার রাস্তাটি চলে গেছে পিচ রাস্তা থেকে বামদিকে ফিনলে হাউসের পাশ দিয়ে। এ রাস্তা ধরে এগুলোই আপনি দেখতে পাবেন ফিনলে রাবার ফ্যাক্টরী। মনে রাখবেন এই ফ্যাক্টরীতে একটি টিউবওয়েল রয়েছে। বার্নিশ টিলা দেখে ফেরার পথে পানি পিপাসা পেলে এখানেই পিপাসা মিটাতে হবে। ফিনলে রাবার ফ্যাক্টরী ছেড়ে একটু সামনে এগুলোই আবার চা বাগান এ চা বাগানের পথ ধরে একটু সামনে গিয়ে ডান দিকে এগুলোই চোখে পড়বে বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৌধামনির বুকে সবুজ ডানা মেলে স্থির হয়ে আছে সু-উচ্চ টিলারাশি। আস্তে আস্তে যখন আপনি একটি টিলায় উঠে পড়বেন তখন আপনার বিশ্বাস করতেই কষ্ট হবে আপনি ভূ-পৃষ্টে দাঁড়িয়ে আছেন। মনে হবে বিমান কিংবা হেলিকপ্টার থেকে শ্রীমঙ্গল দেখছেন। টিলার একপাশে শুধু চা বাগান অন্যপাশে একের পর এক সবুজ টিলা। এ টিলার পরেই বাংলাদেশের সীমানার শেষ প্রান্তে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য।

যজ্ঞ কুন্ডের ঝর্ণা
--------------------
শ্রীমঙ্গলে এসে শুধু সবুজের ছোঁয়া নিবেন তাতো হয়না একটু পানির ছলছল শব্দ শোনাওতো দরকার। তাই চলে যান শহরের কাছাকাছি জাগছড়া চা বাগানের ১৪নং সেকশনে যজ্ঞ কুন্ডের ধারায়। সেখানে রয়েছে অপরূপ সৌন্দর্য সমৃদ্ধ শ্রীমঙ্গলের একমাত্র ঝর্ণা। যারা এ ঝর্ণাকে প্রথম দেখবেন তারা অবশ্যই বিস্মিত হবেন। এটিও অপরূপ একটি সৃষ্টি। ঝর্ণাটি দেখতে আপনি শ্রীমঙ্গল শহর থেকে মৌলভীবাজার রোড হয়ে কাকিয়াবাজার নেমে ডান দিকে জাগছড়া চা বাগানে যাবেন অথবা শ্রীমঙ্গল শহর থেকে ভাড়াউড়া ও সোনাছড়া চা বাগান হয়ে মেটো রাস্তায় জাগছড়া চা বাগানে গিয়ে যে কাউকে জিজ্ঞেস করে আপনি চলে যাবেন জাগছড়ার ১৪নং সেকশনে। সেখানে চোখে পড়বে একটি ব্রিজ। ব্রিজের ডান পাশ দিয়ে ছড়ার পাড় ধরে একটু সামনে এগিয়ে গেলেই শোনতে পাবেন শা শা শব্দ। নেমে পড়বেন পাহাড়ী ছড়ায় দেখবেন কোন যাদুকর মাটিতে অপরূপ কারুকাজ করে পানি প্রবাহের পথ করে দিয়েছেন।

নির্মাই শিববাড়ী
-----------------
শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যবাহী নির্মাই শিববাড়ী ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে একটি আকর্ষণীয় স্থান। এখানে শিব মন্দিরের পাশেই রয়েছে ৯ একর জায়গা জুড়ে বিশাল একটি দিঘী। দিঘীর চারপাশে বিশাল এলাকাজুড়ে রয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির বৃসারি। এই দিঘীর পাড়ে বৃসারির নিচে বসে আড্ডা কিংবা গল্প করেই আপনি কাটিয়ে দিতে পারেন অনেকটা সময়। নির্মাই শিববাড়ীর আশেপাশের প্রবীন ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে আপনি জেনে নিতে পারেন এই মন্দিরের ইতিহাস।

সিতেশ দেবের মিনি চিড়িয়াখানা
---------------------------------------
সিতেশ রঞ্জন দেব। একসময়ের দুধ্বর্ষ শিকারী এখন প্রাণী সংরণবিদ ও পরিবেশবিদ। প্রকৃতি প্রেমী এ মানুষটির প্রেম বনের পশু-পাখিদের সাথে। শ্রীমঙ্গল শহরের মিশন রোডে তার বাসভবন। বাসার রাস্তা ধরেই পশ্চিম ভাড়াউড়া এলাকায় সম্পুর্ন ব্যাক্তিগত উদ্যোগে তিনি গড়ে তুলেছেন মিনি চিড়িয়াখানা।

প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা এবং বিকাল সাড়ে ৩টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সবার জন্য চিড়িয়াখানা খোলা থাকে।

মাধবপুর লেক
-------------------
শ্রীমঙ্গল বেড়াতে এসে আপনি দেখে যেতে পারেন অন্যতম পর্যটনের স্থান মাধবপুর লেক। সকালে কিংবা বিকেলে শ্রীমঙ্গল থেকে একটি ভাড়া গাড়ি নিয়ে যেতে পারেন মাধবপুর লেকে। শ্রীমঙ্গল শহর থেকে দুটি রাস্তায় সেখানে যাওয়া যায়। এটি শ্রীমঙ্গল থেকে ১৫ কি: মি: পূর্বে শ্রীমঙ্গলের পাশ্ববর্তী কমলগঞ্জের মাধবপুর চা বাগানে। লাউয়াছড়া প্রবেশের মূখে হাতের ডান দিকে নুরজাহান চা বাগানের ভিতর দিয়ে অথবা ভানুগাছ বাজার হয়ে সেখানে যাওয়া যায়। গাড়ি থেকে নামতেই আপনার চোখে পড়বে চারদিকে সবুজ পাহাড়। পাশাপাশি উঁচু-উঁচু টিলা। সমতল চা বাগানে শত শত গাছের সারি। হয়তো এরই মাঝে একঝাঁক পাখি আপনাদের আমন্ত্রণ জানাবে তার সুরের মুর্চ্ছনায়।

হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের পদভারে পুরো বছরই মুখরিত থাকে এ লেক।

কিভাবে আসবেন
------------------------
প্রতিদিন ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গলের পথে চারটি আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রা করে কমলাপুর রেলষ্টেশন থেকে। এছাড়া সায়েদাবাদ থেকেও আসতে পারবেন চায়ের দেশ শ্রীমঙ্গলে

কোথায় থাকবেন
-----------------------

কোলাহল মুক্ত পরিবেশে থাকতে চাইলে উঠতে পারেন চা বাগানের ভিতর বিটিআরআই রেস্ট হাউজ অথবা টি রিসোর্ট-এ। এ ছাড়া শ্রীমঙ্গল শহরে ২০টিরও বেশি আবাসিক হোটেল রয়েছে। ভাল দেখে যে কোন একটিতে উঠতে পারেন। ভাড়া মোটামুটি কম। শ্রীমঙ্গল শহরে উখযোগ্য হোটেলগুলো হলো_ টি টাউন রেস্ট হাউজ, নিরালা রেস্ট হাউজ, এলাহী পস্নাজা, হোটেল বিরতি, আল-রহমান, হোটেল মুক্তা প্রভৃতিতে উঠতে পারেন। এছাড়াও সরকারি ও আধা সরকারী সংস্থাগুলোর বেশ কিছু বাংলো রয়েছে এখানে। তবে কর্তৃপক্ষের পূর্ব অনুমতি সাপেক্ষে এখানে ওঠতে পারেন।

Contact us 01686-195633 .
পোষ্ট ও ছবিঃ সংগৃহীত

নীলকন্ঠ চা কেবিনের ৮ রঙা চা--------------------------------------বেড়ানোর ফাঁকে এককাপ চা হলে মন্দ হয়না। রীতিমতো অবিশ্বাস্...
20/08/2016

নীলকন্ঠ চা কেবিনের ৮ রঙা চা
--------------------------------------
বেড়ানোর ফাঁকে এককাপ চা হলে মন্দ হয়না। রীতিমতো অবিশ্বাস্য। বিস্ময়করতো বটেই। এক কাপে ৮ রঙা চা! এটি উদ্ভাবন করেছেন রমেশ রাম গৌড়। আলোড়ন সৃষ্টিকারী রমেশের চায়ের দোকানে খুব সহজেই পৌছাতে পারেন। শ্রীমঙ্গল শহরের কালিঘাট রোড ধরে এগিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রের রাস্তায় যেতে বাম দিকে চেখে পড়বে বিজিবি’র ১৪ রাইফেলস ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তর এলাকায় মিনি পার্কের আদলে গড়ে উঠা ‘নীলকন্ঠ চা কেবিন। মিডিয়ার বদৌলতে তার আবিস্কৃত দু’ থেকে আট রঙা চা’র খ্যাতি দেশের সীমা ছাড়িয়ে পৌছে গেছে ভিন দেশে। দেশের উচ্চপদস্থ সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন দূতাবাসের রাস্ট্রদূত, রাজনীতিবিদ, চলচ্চিত্র ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত পর্যটকরা তাঁর চা’র স্বাদ নিয়েছেন। রমেশের সাথে তঁরা ছবি তুলেছেন। পরিদর্শন খাতায় লিখে গেছেন বিস্ময়কর রমেশের চা’র ভূয়সী প্রশংসা। এখানে পাবেন ১০ লেয়ারের চা। প্রতি কাপের দাম পড়বে ৩ টাকা থেকে ১শ’ টাকা পর্যন্ত্ । রমেশ রাম গৌড় ইতিমধ্যে তার গবেষণা চালিয়ে একই পাত্রে ১০ লেয়ারের চা আবিষ্কারের কৌশল আয়ত্ব করেছেন। চা খাওয়া শেষ হলে যদি সময় থাকে বিস্ময়কর রমেশ রাম গৌড়ের সাথে কথা বলে আসতে পারেন। ইতিমধ্যে রমেশকে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা পর্যটকরা লাধিক টাকা মাসিক বেতনে চাকুরী দেয়াসহ লোভনীয় প্রস্তাব দিলেও রমেশ তাতে রাজী হননি। নিজের দেশের আবিষ্কার বাইরে নিয়ে যাবেন না বলে এসব প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। চা পান শেষে মন্তব্য খাতায় আপনার অভিমত ব্যক্ত করে আসতে পারেন। ও হ্যাঁ একই রাস্তা ধরে এগিয়ে গেলে ফুল ছড়া চা বাগান ঘেষে রমেশের আরেকটি চা দোকান রয়েছে। মনিপুরী পাড়ায় প্রবেশ পথে নীলকণ্ঠ চা কেবিনে একই ধরনের চা পাওয়া যায় ।
Contact Us

তুরং ছড়াগোয়াইনঘাট,সিলেটছবি কৃতজ্ঞতাঃ Gupal Das
20/08/2016

তুরং ছড়া
গোয়াইনঘাট,সিলেট

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Gupal Das

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণে দুই বিদেশিনী... স্থানঃ রাতারগুল, গোয়াইনঘাট, সিলেটছবি কৃতজ্ঞতাঃ Syed Abbas
20/08/2016

রাতারগুল সোয়াম্প ফরেস্ট ভ্রমণে দুই বিদেশিনী... স্থানঃ রাতারগুল, গোয়াইনঘাট, সিলেট
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ Syed Abbas

চায়ের দেশ শ্রিমঙ্গল বিস্তারিত পোস্ট আজ রাত ৮টায়
20/08/2016

চায়ের দেশ শ্রিমঙ্গল বিস্তারিত পোস্ট আজ রাত ৮টায়

কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না, এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা আমাদের বাংলাদেশেই ! একে "নীলাদ্রি" নামে সবাই চেনে; এর অবস্থ...
20/08/2016

কাশ্মীর ভেবে ভুল করবেন না, এই স্বর্গীয় সৌন্দর্যে ভরা জায়গাটা আমাদের বাংলাদেশেই !
একে "নীলাদ্রি" নামে সবাই চেনে; এর অবস্থান টেকেরঘাট, সুনামগঞ্জ-এ।।
আমরা যাব খুব শিঘ্রই ..
ছবি কৃতজ্ঞতাঃ সাবের আহমেদ হোসেন সুকর্ণ

সিলেটের প্রকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করে শেষ করা যায় না। কখনো দিগন্ত বিস্তৃত হাওর,আবার কখনো সবুজ পাহাড়, আর পাহাড় থেকে নেমে...
20/08/2016

সিলেটের প্রকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনা করে শেষ করা যায় না। কখনো দিগন্ত বিস্তৃত হাওর,আবার কখনো সবুজ পাহাড়, আর পাহাড় থেকে নেমে আসা ঝর্ণা, ঢেউ খেলানো সবুজ চা-বাগান, পাহাড়ী নদীতে বালি ও পাথর তোলার দৃশ্য সহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান মন কেড়ে নেয় । এ বিভাগের চার জেলা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সিলেটের নানা স্থানে ছড়িয়ে আছে নয়ন জুড়ানো মনমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও ঐতিহাসিক নিদর্শন। সবুজ সুনিবিড় সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেকেই ছুটে আসেন সিলেটের অনিন্দ্য সুন্দর পর্যটন স্পটগুলোতে।
Ratargul, Sylhet
By: M. A. Wazed

Address

Zinda Bazaar
Sylhet
3100

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Exploring Sylhet posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Exploring Sylhet:

Videos

Share

Category

Sylhet

Each and every expanse of Bangladesh abounds in greenery, but none can compare with Sylhet. From spinning hills covered in lush green tea gardens and gleam

Nearby travel agencies


Other Tour Guides in Sylhet

Show All