01/06/2021
একটি জরুরি পোস্ট।
কলকাতা থেকে সুন্দরবনে ঢোকার মূলত পাঁচটি প্রধান প্রবেশপথ রয়েছে যা সড়ক ও রেল যোগাযোগের মাধ্যমে স্থাপিত। ভারতের সুন্দরবনের যে অংশ পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে সেটি ১৫৭ খানা দ্বীপ সম্বলিত যার মধ্যে ৫৪ টিতে মানুষ বসবাস করেন। এই দ্বীপগুলোও আবার ভেতর ভেতর ছোট ছোট নদী ও খাঁড়ি দ্বারা বিচ্ছিন্ন। এযেন দ্বীপের পেটের ভেতর আরো ছোটো ছোটো দ্বীপ। ছাব্বিশে মে এর সাইক্লোন যশ ও প্রাক বর্ষার মুখে বুদ্ধ পূর্ণিমার ভরা কোটালে পাহাড় প্রমান উঁচু জলস্ফীতির ছোবলে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে সুন্দরবনবাসীর ঘরবাড়ি, জীবন জীবিকা। চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে দ্বীপগুলি তৈরির আগে মানুষের বসবাস শুরু কি মারাত্মক বিষময় ফল ডেকে আনতে পারে। যথেচ্ছভাবে ম্যানগ্রোভ নিধন, সে কাঠের চোরা চালানকারী হোক,স্থানীয় মানুষের স্বাভাবিক অধিকারবোধ কিংবা মিন ধরার সময় পায়ের তলায় ম্যানগ্রোভ এর বীজের অঙ্কুরোদগমে বাধা সবটাই একটা জটিল আকার ধারণ করেছে সুন্দরবনের আগামীতে টিকে থাকার পক্ষে। সুন্দরবনের হিউম্যান সেটেলমেন্টের এর যে চিত্র চোখে পড়ে, তা সম্পূর্ণ পরিকল্পনাহীন ও ভালোবাসারহিত অপরিণামদর্শিতা। তাছাড়া করোনা অতিমারি পর পর দুবছর মানুষের জীবন সম্পূর্ণ বিপন্ন করেছে। শহরের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন হয়েছে। গ্রামীন অর্থনীতির বেহাল দশা। আর পর পর দুবছরে দুটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানুষকে জীবন মৃত্যুর ক্ষীণ রেখার উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।
এখানে কারা বসবাস করে? সুন্দরবনের ভারতীয় ভাগের পূবদিকে ওপার বাংলার প্রান্তিক মানুষ যারা দেশভাগের সময় সামাজিক, আর্থিক ও ধর্মীয়ভাবে নিচু ও পিছিয়ে পড়ার কারণে পশ্চিমবঙ্গে স্থান না পেয়ে দণ্ডকারণ্য কিংবা কর্ণাটকের রায়চুর প্রভৃতি স্থানে শরণার্থী হিসেবে ঠাঁই পায় তারা। উদ্বাস্তু ভিটে মাটিহীন সর্বস্বান্ত মানুষ। পরবর্তীতে তাদের ফিরিয়ে এনে ঠাঁই দেওয়া হয় সুন্দরবনের দ্বীপ অঞ্চলে। আর সুন্দরবনের পশ্চিমদিক যেটি পূর্ব মেদিনীপুর লাগুয়া সেখানে বসবাস শুরুকরে অবিভক্ত মেদিনীপুর, বর্ধমান, হাওড়ার জমিদারী দেখাশোনা করার জন্য নায়েব গোমাস্তা ও তার লোক লস্কর। তাই ইতিহাসিকভাবে এই জনপদ সেই শুরুর শুরু থেকে আর্থিকভাবে পিছিয়ে। এই ঝড়, এই অতিমারী, এই নদী বাঁধ ভেঙে নোনা জলের প্রবেশ তাদের এই অবস্থানকে আরো সঙ্গীন করেছে। সুন্দরবনের শিরদাঁড়াটা ভেঙে গেছে।
একদম পূর্বদিকের প্রবেশপথ হাসনাবাদ, ইছামতীর উপরে সদ্য ব্রিজ হওয়ার কারণে যারা সাহায্য নিয়ে যেতে চান তারা ইছামতী পেরিয়ে, বরুনহাট , হিঙ্গলগঞ্জ হয়ে লেবুখালী পর্যন্ত গাড়িতে যেতে পারেন। এই যাওয়ার পথে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বরুনহাটের আদিবাসী গ্রাম বাইলানি দূর্গাপুর,ঘূণি, হিঙ্গলগঞ্জ,সাঁতরা, সিতুলিয়া, খোঁজ নিলে আরো অনেক। এখানে কিছু কিছু জায়গা যেমন বাইলানী, সাঁতরা প্রভৃতি অঞ্চলে নৌকো ভাড়া করে ত্রাণের কাজ করতে হবে।কিছুদিন হলো নদীতে ভেসেলে গাড়ি পেরিয়ে ওপারে দুলদুলি যোগেশগঞ্জ, মাধবকাটি, গোবিন্দকাটি, কালিতলা হয়ে একদম শেষতম প্রান্ত সামসেরনগর, কালিন্দী নদীর পশ্চিমপাড়, আর ওপারে বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশের কালিন্দীর পূবপারের প্রান্তিক মানুষ আয়লায়, আমফানে সেদিন পানীয় জল নিয়ে তখনকার BDR এখন BGB এর চোখ এড়িয়ে আমাদের BSF দের বুঝিয়ে পাশে না দাঁড়ালে আমাদের গ্রামের পর গ্রাম উজাড় হয়ে যেত।আর এখান থেকেই শুরু কাঁটাতার ঘেরা,জীবনমৃত্যুর নিয়ত হাতছানি দেওয়া ঘন রহস্যময়ী সুন্দরবন। নদী বাঁধ ভেঙেছে, সাহেবখালী, শ্রীধরকাটি, পারঘুমটি, গোবিন্দকাটি,উত্তরমালেকানাঘুমটি, কালিতলা, হেমনগর, যোগেশগঞ্জ, জগন্নাথপুর ঘাট প্রভৃতি জায়গায়।এখানে পাড় ভেঙেছে ইছামতী, ডাঁসা, কালিন্দী আর রায়মঙ্গল প্রভৃতি নদীর। লেবুখালী একদিকে যেমন রয়েছে দুলদুলি, তিন নদীর সঙ্গমস্থল হওয়ায় আর একদিকের ভূখণ্ড হলো ভান্ডারখালীর হাটগাছা। নদী পেরিয়ে খেয়া করে যাওয়া যায় ভান্ডারখালী, পারখুলনা প্রভৃতি জায়গায়।
দ্বিতীয় প্রবেশপথ সায়েন্সসিটির পাশ দিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে ধরে ভাঙড়, মালঞ্চ , মিনাখাঁ। এখানে একটি পথ গেছে ন্যাজাট, কালিনগর ভেবিয়া বসিরহাটের দিক আর একটি পথ ধামাখালী। এখানেই সড়ক যোগাযোগ শেষ। এরপর নদীপথে, দ্বীপের মধ্যে মেশিনভ্যানে করে সন্দেশখালী, পার খুলনা, ভান্ডারখালী, ছোটো মোল্লাখালী, কোরাকাটি প্রভৃতি জায়গায় পৌছতে হবে ত্রাণ নিয়ে। এই নদীপথে যাওয়া যায় ধামাখালী থেকে যোগেশগঞ্জ এর সরদার পাড়া ঘাট । সময় লাগে পৌনে দুঘন্টা কমবেশি জোয়ার ভাঁটার উপর নির্ভর করে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য কোনো বিশেষনই যথেষ্ট নয়। ন্যাজাট ,কালিনগর, বিশপুর, আতাপুর, আমতলী, হারিদাসপুর আরো অনেক এখনো জলের নীচে। এই দুর্যোগ আরো তিনদিন চলবে। এখানে ত্রাণকাজ ডিঙি নৌকো কিংবা ভেলায় চেপে করতে হবে। মানুষের ঠাঁই হয়েছে ভেঙে যাওয়া কাঁচা নদী বাঁধ, ঘেরী বাঁধ নয়তো জলকরের বাঁধের উপর। আকাশে বর্ষার কালো মেঘের চোখ রাঙানি যেকোনো সময় কেড়ে নিতে পারে বাঁচার শেষ সম্বলটুকু।
তৃতীয় প্রবেশ পথ ক্যানিং। এখন যেহেতু lockdown চলছে। ট্রেন চলাচল নেই। তাই আপনাকে বারুইপুর ক্যানিং রোডে যেতে হবে। ক্যানিং এ মাতলার উপর ব্রীজ পেরিয়ে বাসন্তী এলাকা যেটি আবার ওই সায়েন্সসিটির পাশ দিয়ে বাসন্তী হাইওয়ে দিয়ে আগারহাটি হয়ে আসা যায়। এই রাস্তায় আপনাকে নিয়ে যাবে বাসন্তী ব্রিজ পার করে একদম গোসাবার গদখালী পর্যন্ত। বাঁধ ভেঙেছে ভাঙ্গনখালী, পাঠানখালী ঝড়খালী, পাখিরালায়, ছোটো মোল্লাখালী, বড় মোল্লাখালি, শম্ভু নগর, তুষখালী, লাহিড়ীপুর, চড়াবিদ্যা অনেক জায়গায়।গদখালী পেরিয়ে ওপারের দ্বীপগুলোর অবস্থা বড়ো সঙ্গীন। গ্রামের পর গ্রাম প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। নোনা জলে সব শেষ হয়ে গেছে। সাধের বসতি শ্রীহীন, বিবর্ণ সাদা হয়ে গেছে। রাঙাবেলিয়া,কালিদাসপুর, বালি, বিজয়নগর, আমলামিথি,সাতজেলিয়া, আনপুর সর্বত্র ধ্বংসের চিহ্ন স্পষ্ট।
চতুর্থ প্রবেশ পথ বারুইপুর জয়নগর লক্ষীকান্তপুর ঢোলা হয়ে রামগঙ্গা, পাথরপ্রতিমা আবার ডায়মন্ড হারবার কূল্পী হয়ে রামগঙ্গা আসা যায়। পথের মাঝে মথুরাপুর, জানার্দনপুর, কৃষ্ণদাসপুর, রায়দিঘি,কঙ্কনদীঘি,কুলতলি জয়নগর, কইখালী, মইপিঠ সব ভেঙে পড়েছে। যশের প্রভাব এই অঞ্চলেই সর্বাধিক।মনি নদী বিপদ সীমার অনেক উপরে।
রামগঙ্গা , পাথর প্রতিমা থেকে নদী পথে ভুটভুটি করে যেতে হবে জোয়ার ভাঁটার উপর ভরসা করে প্রায় কমবেশি দুঘন্টা বঙ্গোপসাগরের বুকে ভেসে থাকা ছোট ছোট দ্বীপ সমূহে। আই প্লট, জি প্লট, বুড়াবুড়ির তট, গোবর্ধনপুর, দক্ষিণ সুরেন্দ্রগঞ্জ, উত্তর সুরেন্দ্রগঞ্জ প্রভৃতি জায়গা কার্যত ভেসে গেছে ঝড় আর বাঁধ ভাঙা নোনা জলের দাপটে। কিছু নেই। কোথাও কিছু নেই। কত কম প্রয়োজন ও চাহিদা নিয়ে মানুষ আনন্দে বাঁচতে পারে এখানে না এলে আপনি ভাবতে পারবেন না। ত্রাণ নিয়ে অনেক কষ্টে অনেক মনের জোরে এখানে পৌঁছতে হবে। যাতায়াতে অনেক খরচ। যারা চেয়ে চিনতে ত্রাণ সংগ্রহ করছেন তাদের কাছে সত্যি খুব বেদনার এই যাত্রা। কিন্তু সেবা করার, ভালোবাসায় বাঁধা পড়ার এমন সুযোগ আর পাবেন না। তাই বেরিয়ে পড়ুন। তথাকথিত শহুরে NGO দের মতো তেলা মাথায় তেল না দিয়ে, কয়েকটি ছবি এর ওর পোস্ট থেকে কপি পেস্ট না করে চলুন সত্যিকার সত্যের সামনে দাঁড়াই।
প্রধান পাঁচটি প্রবেশপথের শেষতম পথ হলো১১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক, ডায়মন্ড হারবার কাকদ্বীপ নামখানা রোড। বেহালা ডায়মন্ড হারবার কূল্পী কাকদ্বীপ ,নামখানা হয়ে যা বকখালী গেছে। ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ধোসা, কূল্পী, ঢোলা, জুমাইনস্করের হাট, কামারহাট তোক্তিপূর, রামগোপালপুর শবর পাড়া,কাকদ্বীপ, চন্দনপিঁড়ি, নারায়নপুর, দেবনগর, সাতমাইল, দশমাইল ,বকখালী, ফ্রেজারগঞ্জ, মৌসুনী দ্বীপ। সাইক্লোন আর ভরা কোটালের জোয়ার কার্যত ছিন্ন ভিন্ন করে দিয়েছে এই সব জায়গার জীবন জীবিকা। তাই ক্ষতচিহ্ন বড়ো গভীর ও হৃদয় বিদারক। এই রাস্তায় ওঠা যায় বারুইপুর আমতলা উস্থি হয়ে হটুগঞ্জ দিয়ে।
ডায়মন্ড হারবার কাকদ্বীপ রোডে কামারহাট এর পর নতুন রাস্তার মোড় থেকে ডানদিকে বেঁকে চার কিলোমিটার গেলে গঙ্গাসাগর যাওয়ার ভেসেলঘাট লট নম্বর আট বা হারউড পয়েন্ট। ওখান থেকে লঞ্চ বা ভুটভুটিতে BDO এর সাথে যোগাযোগ করে যাওয়া যায় সাগরদ্বীপ। করোনাকালে ভেসেল সার্ভিস বন্ধ তাই যাতায়াতের এটিই উপায়। সাগরদ্বীপের দক্ষিণতম প্রান্ত কপিলমুনির মন্দির কার্যত ভেসে গেছে ভরা কোটালের জোয়ারে। ভাঙা চোরা গঙ্গাসাগর মেলা প্রাঙ্গণ এখন জলের তলায়। সমুদ্র আপন নিয়মে সেখানে খেলে চলেছে। এ যেন পাতালপুরিতে কপিলমুনির পেছনে অশ্বমেধের ঘোড়া বাঁধা। আর সগর রাজের ষাট সহস্র পুত্রকে উদ্ধার নয়, গ্রাস করতে উদ্যত ফেনিল সমুদ্র।
মৌসুনি দ্বীপের পশ্চিমদিকের মাঝামাঝি জায়গায়। সাগরদ্বীপরে পূর্বদিক শীলপাড়া, গোবিন্দপুর, শিকারপুর, কয়লাপাড়া, সুমতিনগর, বঙ্কিমনগর , চেমাগুড়ি, বিশালক্ষ্মীপুর, মনসাদ্বীপ,গাঁয়েনবাজার, মনসামন্দির, ধবলাট শিবপুর, শ্রীদাম গঙ্গাসাগর, লাইট হাউস এলাকা নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। পশ্চিমদিকে পাড় ভেঙেছে বকুলতলা, মন্দিরতলা, মায়াগোয়ালিনির ঘাট লাইটহাউস প্রভৃতি জায়গায়। মনসাদ্বীপ রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম প্রতিটি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ভরসার প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে এখানে। গত তিনদিন ধরে এখানে শিবির হয়েছে। সেই স্কুল আশ্রম ও প্লাবিত।সারা দ্বীপের জীবন জীবিকার বড়ো অংশ নির্ভরশীল পানের বরোজের উপর। প্রায় আট হাজার পানের বরোজ ঝড় জোয়ার আর একটানা বৃষ্টিতে ভেঙে পড়েছে শুধু সাগরদ্বীপই।এখন পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী কম করে ১২ থেকে ১৫ টি জায়গায় এক কিলোমিটার দেড় কিলোমিটার করে নদী বাঁধ ভেঙে গেছে। কচুবেড়িয়া পুরো ভেঙে কোম্পানিরচর হয়ে মন্দিরতলা পর্যন্ত নোনাজল গ্রাস করেছে।
প্রচুর গ্রামে নোনাজল ঢুকছে। পুকুরের পর পুকরে মিষ্টি জলের মাছ মরে ভাসছে। নোনাজল এক ঘেরি থেকে অন্য ঘেরিতে ঢুকছে। আজ রাত দশটার পরে আবার ভরা কোটালের জোয়ার। এরকম আরো তিনদিন চলবে। আজ প্রতিপদের জোয়ার। আর কিছু করার নেই। পুরো ভাসবে। সবাই রাত জেগে নিজের গ্রামের ঘেরি বাঁধ পাহারা দিচ্ছে। বুক দিয়ে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে একগলা জলে বুক দিয়ে ঠেলে আগলে রেখেছে নদীবাঁধ। জীবনের এমন সকরুণ ছবি একবিংশ শতাব্দীতে সত্যিই বিরল।এই চিত্র সুন্দরবনের প্রতিটি দ্বীপে। এই দ্বীপগুলোও তো আসলে ছোটো অনেকগুলো দ্বীপের সমন্বয়ে তৈরি। ফলে খাঁড়ি দিয়ে জল ঢুকছে। ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম দ্বীপের ভেতরও। প্রতিটি দ্বীপের মানুষ প্রাণ হাতে রাত জেগে আছে। আবারও আগামী তিন বছর এখানে ফসল ফলবে না। সারা বর্ষাকাল জোয়ারের নোনাজল খেলবে মাঠে। অবর্ণনীয় নিয়তি।
আসুন একটু কষ্ট স্বীকার করে সাগরদ্বীপ, মৌসুনিদ্বীপ, ফ্রেজারগঞ্জ এইসব এলাকায় ত্রাণের কাজে নিজেকে নিয়োজিত করি। আগামী তে এক ইতিহাসের সাক্ষী হোন। আবেগে ত্রাণ করবেন না। সঠিকভাবে স্থান নির্বাচন করে, আগে থেকে অগোচরে সার্ভে করে, সঠিক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের হাত ত্রাণ তুলে দিন। নিজেকে সাহায্য করার এমন সুযোগ জীবনে হয়তো নাও আসতে পারে।
আসুন সবাই মিলে Bengal Tourism at Sundarban এর সাথে এক নতুন সুন্দরবন গড়ায় ব্রতী হই। সুন্দরবন বাঁচলে শহর বাঁচবে। আমি আপনি সবাই বাঁচবো।