31/01/2024
পাহাড়ি ফরেস্টে ঘেরা রোমাঞ্চক ডুয়ার্স..
#বক্সা, #জয়ন্তী #চিলাপাতা #জলদাপাড়া #সিসামারা #মূর্তি #লাটাগুড়ি #ঝালং #বিন্দু #সুন্তালে #ডলগা #চীসাং
Team Gharebaire Booking:
☎️ 8250347767 ॥ 8641920248
*Message Ghare Baire on
082503 47767 https://wa.me/message/LXJPVHI5GZ4CO1
ব্যস্ততার ঘেরাটোপ থেকে একটু হাফ ছাড়তে বাঙালি মন উচাটন। প্রথম থেকেই ভ্রমণবিলাসিদের বেশি পছন্দের জায়গা ছিল উত্তরবঙ্গের পাহাড়। ফলে পাহাড়ে ভিড় বেড়েই থাকে সাধারণত, বিশেষ করে অফবিট জায়গাগুলোতে। এর হোমস্টেগুলোও হয়ে উঠে টইটম্বুর। পাহাড়ি মানুষগুলো তাঁদের স্বাভাবিকতায় অতিথিদের যত্ন করেছেন সব সময়ের জন্যই।
আর তাদের জন্যই আজ লিখবো ডুয়ার্স নিয়ে। ডুয়ার্স পাহাড়ি সৌন্দর্যের চেয়ে কোন অংশে কম নয়। ছোট পাহাড়-জঙ্গল-নদী আর বন্যপ্রাণ নিয়ে ডুয়ার্স বসে আছে অতিথির অপেক্ষায়। ডুয়ার্সের মূলত দু'টো অংশ।
#ইস্টার্ন_ডুয়ার্স আর #ওয়েস্টার্ন_ডুয়ার্স।
ইস্টার্ন ডুয়ার্সের মধ্যে আছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ, জয়ন্তী, চিলাপাতা, মেন্দাবাড়ি, কুচবিহার, সিকিয়াঝোরা, জলদাপাড়া।
ওয়েস্টার্ন ডুয়ার্সের মধ্যে পড়ছে লাটাগুড়ি, গরুমারা, মূর্তি, বিন্দু, ঝালং, পারেন, চিসং, সুন্তালেখোলা, সামসিং ইত্যাদি।
ডুয়ার্সের ট্যুরপ্ল্যান সাধারণত যাঁরা যাবেন তাঁদের সময় আর পছন্দের উপর নির্ভরশীল। ইস্টার্ন ডুয়ার্সেরই একটা স্ট্যান্ডার্ড ট্যুরপ্ল্যান এখানে দিলাম। প্রয়োজন মতো কাটাছেঁড়া করা যেতে পারে।
#ইস্টার্ন_ডুয়ার্সঃ মানুষের মনে ডুয়ার্স বলতে ধারণা আছে শুধু গরুমারা, কারণ অনেক কটা, মূলতঃ NJP থেকে কাছে, অনেক রিসোর্ট আছে। কিন্তু অনেক সুন্দর আর রহস্যময় জঙ্গল আমার মনে হয় বক্সা - জয়ন্তী - চিলাপাতা। এখানে জঙ্গলের রহস্যময়তা, নির্জনতা আর গা শিরশির করা পরিবেশ একইরকম আছে, লাটাগুড়ির মতো মানুষের অত্যাচারে সেগুলো নষ্ট হয়নি।
সাধারণভাবে একটা ৪ রাত্রি ৫ দিনের প্ল্যান করেছি কয়েকটা অপশন রেখে রেখে। সময় ও সুবিধামতো নিজেরা কাস্টোমাইজ করে নেবেন ।
াত্রি_৫_দিন :
#দিন_১ঃ
সব থেকে ভালো হয় ভোরের ট্রেন এ নিউ আলিপুরদুয়ার পৌঁছাতে পারলে, গাড়ি আগের থেকেই বলা থাকবে, স্টেশনে একটু ফ্রেশ হয়ে নিয়ে বাইরে এসে গাড়ি নিয়ে সোজা রওনা বক্সা টাইগার রিজার্ভের দিকে, রাস্তায় পড়বে দমণপুর ( বক্সা এর জঙ্গল যেখান থেকে শুরু), এখানে একটু দাড়িয়ে ধাবার ধোঁয়া ওঠা চা হাতে নিয়ে একটু মাঝেরডাবরি চা-বাগান, পাশে বয়ে চলা নোনাই নদীটা ভোরের মিষ্টি আলোয় দেখে নিলে মন্দ হবে না। এরপর সোজা রাজাভাতখাওয়া ( বক্সা টাইগার রিজার্ভ এর কোর এরিয়া শুরুর আগের গ্রাম) ।
এই ভাতখাওয়া নদীর একটা ইতিহাস আছে , যখন কুচবিহার এর রাজার সাথে ভুটান এর রাজার যুদ্ধ হয়, পরিসমাপ্তিতে তারা এই নদীর পাশে বনভোজন করে মৌ স্বাক্ষর করেন, সেই কারণেই নাকি জায়গাটার নাম রাজাভাতখাওয়া। এখানে ফরেস্ট অফিস থেকে পারমিট করিয়ে চেকপোস্ট পার করে ১৭ কিমি ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে চলে আসুন বক্সা হিলসের গ্রাম সান্তালাবাড়িতে। হোমস্টেতে চেক ইন করে একটু রেস্ট নিয়ে পায়ে হেঁটে ঘুরে নিতে পারেন গ্রামটিকে। এখানে পাহাড়ি নদী 'মাসানিখোলা'র প্রেমে আপনি পরবেনই। একেবারেই ভার্জিন। এলাকার মানুষের সাহায্য ছাড়া খোঁজ পাওয়াই মুসকিল, অথচ কি তার সৌন্দর্য! হেঁটে পৌঁছে যেতে পারেন সান্তালাবাড়ি বাজারে। পাহাড়ি ছোট বাজার, হাতেগোনা কিছু দোকান। প্রতি বুধবার এখানে হাট বসে। দীর্ঘ ট্রেন জার্নির ক্লান্তি দূর করতে আজ এইটুকুই থাক। সন্ধ্যায় হোমস্টেতে বসাতে পারেন বনফায়ার সহযোগে গানের আসর। কেউ হাততালি দিক বা না দিক, তক্ষকের ডাক আপনাকে উৎসাহিত করবেই।
#দিন_২ঃ
কষ্ট করে একটু সকালে উঠে নিচের গ্রামটির দিকে হেঁটে এলে মন্দ লাগবে না, সকালের পরিবেশে বক্সার সাজ টা খুব সুন্দর, হাঁটতে হাঁটতে জঙ্গল ট্রেল এ ময়ূর, হরিণ দেখতে পেলে তো কথাই নেই , ফিরে এসে ব্রেকফাস্ট করতে করতে দেখবেন গাড়ি চলে আসবে , আজকের গন্তব্য - বক্সা ফোর্ট - লেপচাখা ট্রেক, বক্সার রানি বলা হয় এই জায়গাটাকে , বাস্তবেই তাই মেঘ পিওনের গ্রাম। ওখান থেকে জিরো পয়েন্ট। আর গাড়ি যাবে না, ট্রেক রুট প্রায় ৩ কিমি , খুব কষ্টকর না হলেও পরিশ্রম আছে , হেঁটে সোজা একের পর এক ভিউ , ঝর্না , কাঠের ক্যানোপি পেরিয়ে বক্সা ফোর্ট দেখে সোজা লেপ চা খা। লেপচা খা একটি ভূটানিদের গ্রাম। একটা মনাস্ট্রী আছে, পাশে বাগিচার মত লম্বা বাগান, শেষ পয়েন্টে দাড়ালে একদিকে গোটা বক্সা - জয়ন্তী দেখতে পাওয়া যায় , উল্টো দিকে ভুটান পাহাড় , সবুজ মাঠে বসে আড্ডা সাথে মোমো কফি খেতে মন্দ লাগবে না , বিকেল গড়ালে নামা শুরু , আবার ব্যাক টু হোম স্টে , ফিরে স্ন্যাকস নিয়ে রাতে দেশি মুরগি সহযোগে ডিনার করে ঘুম ।
অথবা,
যারা ট্রেক টা করতে পারবেন না তারা এই দিন কুচবিহার / ভুটান - ফুন্টসেলিং টা করে নিন।
#দিন_৩ঃ
সকালে বেড টি আর ব্রেকফাস্ট করে, ব্যাগ গুছিয়ে বক্সাকে টা টা জানিয়ে রওনা দিন জয়ন্তীর উদ্দ্যেশে, রাস্তায় বালা নদীর চরে খানিকটা সময় কাটিয়ে সোজা জয়ন্তী রিভার বেড , রিভার বেড এর উপর বেশ কয়েকটা হোটেল , সরকারি বাংলো( বুকিং পাওয়া দুষ্কর) , আর হোম স্টে আছে । #ঘরে_বাইরের অ্যাসোসিয়েট হোমস্টেতে চেক ইন করে রেস্ট নিন ।
দুপুর বেলা স্নানটা ইচ্ছেমতো জয়ন্তী নদীতেও করতে পারেন।
লাঞ্চ করে আজ গাড়ি নিয়ে নদী পেরিয়ে চলে যান জয়ন্তী সাফারি তে , ১) চুনিয়াঝোরা ওয়াচ টাওয়ার, মূলতঃ সল্ট পিট তাই বন্য প্রাণের আনাগোনা থাকেই , ২) ভুটিয়া বস্তি, একটা লেকের পাশে ওয়াচ টাওয়ার। সন্ধ্যেবেলা জল খেতে আসা বন্যপ্রাণী দেখতে পাওয়ার চান্স প্রবল , এই দুটো ওয়াচ টাওয়ার দেখে ফিরতেই সন্ধ্যে হয়ে যাবে ।
ফিরে ফ্রেশ হয়ে সোজা রিভার বেড এর উপর পড়ে থাকা শুকনো কাঠের লগে বসে আড্ডা সাথে স্ন্যাকস, পাশে খরস্রোতা জয়ন্তী কুল কুল শব্দে বয়ে চলবে, একদম পরিষ্কার আকাশ- প্রত্যেকটা তারা যেন গোনা যাবে, নদীর ওপারে গহীন অরণ্য সব মিলিয়ে একটা অদ্ভুত রোমাঞ্চ অনুভব করা যায় । রাতে হোমস্টেতে ডিনার সেরে ঘুম। ফিরে এসে লাঞ্চ করে বেরিয়ে পড়ুন মহাকাল। নদী পেরিয়ে উপরে বেশ কয়েকবার কাঠের বাঁশের ব্রিজ পেরিয়ে পৌঁছাবেন মহাকাল মন্দিরে, সত্যি বলতে গেলে মন্দির তো বাহানা , রাস্তা আর ভিউটা অসাধারণ সুন্দর।
** ছোটো মহাকাল পেরিয়ে বড়ো মহাকাল যেতে হয় , সেটা কিন্তু ভুটানের সীমান্তে পড়ে , যারা পারবেন বড়ো মহাকাল যাবেন ( ২ ঘণ্টার ট্রেক ), কথা দিচ্ছি শেষ শ্বাস পর্যন্ত মনে থাকবে এই রুদ্ধশ্বাস ট্রেক ।
এছাড়াও পুখরি যেতে পারেন গাড়ি নিয়ে।
#দিন_৪ঃ
ভোর ভোর জয়ন্তী থেকে চেক আউট করে আমরা চলে আসবো সোজা চিলাপাতা অথবা মেন্দাবাড়ী, পুরো যাকে বলে আনএক্সপ্লোরড ভার্জিন জঙ্গল। রাস্তায় বেশ কয়েকটা নদী পড়বে, দেখতে দেখতে আসাটাই ভাল হবে। আসার পথে রাজাভাতখাওয়া মিউজিয়াম, বাটারফ্লাই পার্ক দেখে নিতে পারেন। #ঘরে_বাইরের জঙ্গল ক্যাম্প-এ চেক ইন করে ব্রেকফাস্ট সেরে নেওয়া, তারপর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়তে হবে খয়েরবাড়ি রেসকিউ ক্যাম্প। এই জার্নির পথটা বড্ড সুন্দর, একপাশে চা বাগান , অন্যপাশে জঙ্গল। দেখতে দেখতে পৌঁছে যাবো ওখানে। পাশের জঙ্গল ট্রেল গুলোও দেখা যেতে পারে, সব দেখে ফিরতে দুপুর হবে।
ফিরে এসে লাঞ্চ করে জিপ সাফারি নেওয়া ভালো। বারান্দা থেকে রাতের জঙ্গল অনুভব করার মজা আছে, আজ শেষ রাতে একটু উল্লাস হলে ক্ষতি নেই। এরপর ব্যাগ প্যাক করে নেবার পালা, কাল বেরোতে হবে তো!
#দিন_৫ঃ
ভোর ভোর বেড টি নিয়ে চেক আউট করে বেরিয়ে যাবো , যাবার আগে যতটা পারবো বক্সা কে সাথে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা মাফিক আজ যাওয়া যাক #শিকিয়াঝরা ( আমাজন অফ ডুয়ার্স ) , কুচবিহার যাবার রাস্তায় পড়বে। একটা ঘন জঙ্গলের বুক চিরে একটা ছোটো নদী চলে গেছে , একটা বোট সাফারি হয় এখানে ( টিকিট -৫০ টাকা ), সাফারি করার সময় নদীতে হাতির স্নান দেখে অবাক হবার কিছু নেই , সাফারি শেষ করে হাতে সময় থাকলে কুচবিহার রাজ বাড়ি দেখে ট্রেন , নাহলে সাফারি করে নিউ আলিপুরদুয়ার থেকে ট্রেন ধরে ফের বাড়ি ফেরার পালা।
যাঁরা জলদাপাড়া একই সাথে দেখে নিতে চান, তাঁরা একদিন বাড়িয়ে নিতে পারেন।
#ঘরে_বাইরে এর রয়েছে : ( ইস্টার্ন ডুয়ার্স )
১. রাজাভাতখাওয়া ( বক্সা টাইগার রিজার্ভ)
২. সন্তলাবাড়ি , বক্সা হিলস (বক্সা টাইগার রিজার্ভ )
৩. লেপচা খা, (ট্রেকিং রুট) (বক্সা পাহাড়)
৪. জয়ন্তী ( বক্সা টাইগার রিজার্ভ )
৫. চিলাপাতা ( জলদাপাড়া নেশনাল পার্ক )
৬. সালকুমার ( জলদাপাড়া নেশনাল পার্ক)
৭.মেন্ডাবাড়ি ( জলদাপাড়া নেশনাল পার্ক )
৮. কোদালবস্তি ( জলদাপাড়া নেশনাল পার্ক )
৯. সিসামারা ( জলদাপাড়া নেশনাল পার্ক )
এর পর আসি তিন চার দিনের প্লান নিয়ে
#ওয়েস্টার্ন_ডুয়ার্স:
#দিন_১:
njp থেকে গাড়ি করে চলে আসুন লাটাগুরির জঙ্গলে অথবা আপনার গন্তব্য হতেই পারে মূর্তি নদীর তীরের আমাদের কোন অ্যাসোসিয়েট পোপোর্টিতে। এই দিনই বিকালে সেরে ফেলুন জঙ্গলের সাফারি গাড়ি কিংবা হাতিতে ।
#দিন_২:
এই দিন সকাল সকাল ব্রেক ফাস্ট করে বেড়িয়ে পড়ুন সেভেন পয়েন্ট । সান্তালিখোলা , বিন্দু, ঝালং , পারেন, রকি আইল্যান্ড , ডলগাও ইত্যাদি।
সন্ধায় ফিরে রিসোর্টেই ব্যবস্থা হতেই পারে ট্রাইবাল ডান্স এর।
এর পরের দিন গুলি মনে করলে গরুবাথাণ হয়ে ঝন্ডি লাভা করে নিতেই পারেন ।
সর্বত্রই আমরা থাকা ,খাওয়া , সাইটসীনের ব্যবস্থা,
পিক আপ এর পুরো ব্যবস্থা #ঘরে_বাইরের তত্ত্বাবধানে হবে ।
আপনাদের স্বাচ্ছন্দই আমাদের একমাত্র প্রচেষ্টা ।
" GHARE BAIRE
:
82503 47767
:
82503 47767 ॥ 9434451744 ॥ 8641920248
https://www.facebook.com/gharebaire2020/
INSTAGRAM