Maa Tara and Ashe Pashe- www.matara.in

Maa Tara and Ashe Pashe- www.matara.in in Birbhum. Matara.in is providing a very good facility for you. to visit religious places like All 06 Shaktipiths, Birchadrapur, Akalipur etc.
(2)

www.matara.in is providing a very good facility for you to visit religious places like Tarapith, Six Shaktipiths, Birchadrapur, Akalipur, Maluti Ma Moulikha Mandir and 108 Teracotta Mandir, Hazarduari Palace etc. Other places in Birbhum & in nearby area are Hazarduari Palace, Mesanjore Dam, Maluti (108 Teracotta Temples) etc.

কিরীটেশ্বরী মন্দির: পশ্চিমবঙ্গের একটি পবিত্র শক্তিপীঠমুর্শিদাবাদের দামরুল গ্রামে অবস্থিত, যা ডাহাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থে...
21/11/2024

কিরীটেশ্বরী মন্দির: পশ্চিমবঙ্গের একটি পবিত্র শক্তিপীঠ

মুর্শিদাবাদের দামরুল গ্রামে অবস্থিত, যা ডাহাপাড়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে, কিরীটেশ্বরী মন্দির ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি। এই প্রাচীন মন্দিরটি সেই স্থান হিসেবে পরিচিত যেখানে দেবী সতীর কিরীট বা মুকুট পড়েছিল। এটি মুর্শিদাবাদের প্রাচীনতম মন্দির হিসেবেও বিবেচিত।
মূল মন্দিরটি রাজা দর্পনারায়ণ রায় নির্মাণ করেছিলেন, তবে ঐতিহাসিক তথ্য অনুসারে এটি ১৪০৫ সালে ভেঙে পড়ে। আরেকটি মত অনুযায়ী, ভগবান রায় নামক একজন স্থানীয় নেতা, মুঘল সম্রাট আকবরের সহায়তায় মন্দিরটি নির্মাণ করেন। কথিত আছে, ভগবান রায়ের মন্দিরটি দক্ষিণমুখী ছিল, এবং পরবর্তীতে রাজা দর্পনারায়ণ পূর্বমুখী একটি নতুন মন্দির নির্মাণ করেন। পরবর্তীতে, লালগোলার রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় মন্দিরটির সংস্কারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং মা কিরীটেশ্বরীকে মুর্শিদাবাদের রাজাদের কুলদেবী ঘোষণা করেন।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুসলিম আক্রমণ এবং ব্রিটিশ শাসনের ফলে মন্দিরের গৌরব কমে যায়। তবে, এই মন্দিরটি এখনও একটি পূজনীয় স্থান হিসেবে বিদ্যমান, যেখানে দেবী সতীর মুকুট রানী ভবানীর গুপ্তমঠে সংরক্ষিত রয়েছে।
এই পবিত্র মন্দিরকে ঘিরে বিভিন্ন কাহিনি প্রচলিত:
• বেঙ্গলের বিশ্বাসঘাতক মীর জাফর, মৃত্যুশয্যায় গুটিবসন্তে আক্রান্ত হয়ে এই মন্দিরের চরণামৃত পান করার অনুরোধ করেছিলেন।
• আরেকটি কাহিনি রানী ভবানীর কন্যা তারা সম্পর্কে। কথিত আছে, নবাব সিরাজ-উদ-দৌলার খারাপ উদ্দেশ্য থেকে বাঁচার জন্য তারা সাময়িকভাবে গুটিবসন্তে আক্রান্ত হন। দেবী মা ভীমলা বা কিরীটেশ্বরীর আশীর্বাদে তিনি পরে সুস্থ হন।
এই কিংবদন্তিগুলি মন্দিরের আধ্যাত্মিক গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
টেরাকোটার লাল রঙে রঙিন মন্দিরটি বাংলার শক্তিপীঠগুলির সহজ সৌন্দর্যের প্রতীক। যদিও এটি শিল্পসমৃদ্ধ নয়, এটি বহু শতাব্দীর ভক্তির সাক্ষী। মন্দিরের অভ্যন্তরে একটি লাল কাপড়ে মোড়া পাথর দেবী কিরীটেশ্বরী হিসাবে পূজিত হয়। পূণ্যার্থীদের তাজা ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
নিকটেই ভাগীরথী নদীর তীরে অবস্থিত ভৈরব মন্দিরটি তুলনামূলকভাবে কম রক্ষণাবেক্ষিত এবং প্রায়ই বন্ধ থাকে।
পশ্চিমবঙ্গ, তার সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের জন্য পরিচিত, যেখানে ১৪টিরও বেশি শক্তিপীঠ রয়েছে। এর মধ্যে কিরীটেশ্বরী অন্যতম। দুর্গাপূজা, কালীপূজা এবং মহাশিবরাত্রির মতো উৎসবগুলির সময় পূণ্যার্থীরা মন্দিরে ভিড় করেন। পৌষ মাসে (ডিসেম্বর-জানুয়ারি) অনুষ্ঠিত বার্ষিক কিরীটেশ্বরী মেলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
• দৈনিক পূজা: দেবীর পূজা সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা এবং সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত হয়। ফল, ফুল, ধূপ এবং প্রদীপ নিবেদন করা হয়। অন্নভোগ (ভাত, ডাল, এবং সবজি) এবং মিষ্টান্ন দেবীর কাছে নিবেদন করা হয়।
• বিশেষ পূজা: দুর্গাষ্টমীতে দেবীকে স্নান করানো হয় এবং নতুন লাল কাপড়ে মোড়া হয়। প্রতিটি অমাবস্যায় বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করা হয়।
• সময়সূচি: মন্দির প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ৩টা এবং সন্ধ্যা ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
• পোশাক বিধি: যদিও নির্দিষ্ট পোশাক বিধি নেই, তবে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিধান করা ভক্তদের কাছে প্রত্যাশিত।
এই মন্দিরের গভীর আধ্যাত্মিকতা এবং সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক উত্তরাধিকার বাংলার ধর্মীয় মানচিত্রে এক বিশেষ স্থান দখল করে।

Jay Maa kalii🙏🌺
04/11/2024

Jay Maa kalii🙏🌺

Wish You a Very Happy diwali...🙏🙏🙏
31/10/2024

Wish You a Very Happy diwali...🙏🙏🙏

Maa Nandikeswari 🌺🌺🙏🙏🌺
29/10/2024

Maa Nandikeswari 🌺🌺🙏🙏🌺

Maa Nandikeswari ll Shakti Peeth Darshan II For more details please visit our websit...

🌺🙏🙏🙏জয় মা তাঁরা।।🙏🙏🙏🌺তারাপীঠ দর্শন উপভোগ করুন আরো সুন্দর ভাবে।মা তাঁরা র দর্শনভিলাসী সমস্ত ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে তারাপী...
22/10/2024

🌺🙏🙏🙏জয় মা তাঁরা।।🙏🙏🙏🌺
তারাপীঠ দর্শন উপভোগ করুন আরো সুন্দর ভাবে।
মা তাঁরা র দর্শনভিলাসী সমস্ত ভক্তবৃন্দের উদ্দেশ্যে তারাপীঠ দর্শন আরো মনোরম করে তোলার জন্য *মা তাঁরা এবং আসে পাশে* আমাদের একটি সুন্দর ও সুব্যবস্তিত উদ্যোগ।
আপনারা যদি কেও
তারাপীঠ দর্শন এর সঙ্গে বীরভূম এর শক্তিপীঠ দর্শন এবং বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলি ঘুরে দেখতে চান তাহলে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমরা বিভিন্ন প্যাকেজ টুর এর মাধ্যমে আপনাদের মনোরম ভাবে বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান গুলি ঘোরাব, এবং আপনারা সুষ্ঠ ভাবে দর্শন এবং পুজো করতে পারবেন।🙏


Ten Unknown Facts About

1. Founding and History: BMW, Bayerische Motoren Werke AG, was founded in 1916 in Munich, Germany, initially producing aircraft engines. The company transitioned to motorcycle production in the 1920s and eventually to automobiles in the 1930s.

2. Iconic Logo: The BMW logo, often referred to as the "roundel," consists of a black ring intersecting with four quadrants of blue and white. It represents the company's origins in aviation, with the blue and white symbolizing a spinning propeller against a clear blue sky.

3. Innovation in Technology: BMW is renowned for its innovations in automotive technology. It introduced the world's first electric car, the BMW i3, in 2013, and has been a leader in developing advanced driving assistance systems (ADAS) and hybrid powertrains.
Ok
4. Performance and Motorsport Heritage: BMW has a strong heritage in motorsport, particularly in touring car and Formula 1 racing. The brand's M division produces high-performance variants of their regular models, known for their precision engineering and exhilarating driving dynamics.

5. Global Presence: BMW is a global automotive Company

6. Luxury and Design: BMW is synonymous with luxury and distinctive design, crafting vehicles that blend elegance with cutting-edge technology and comfort.

7. Sustainable Practices: BMW has committed to sustainability, incorporating eco-friendly materials and manufacturing processes into its vehicles, as well as advancing electric vehicle technology with models like the BMW i4 and iX.

8. Global Manufacturing: BMW operates numerous production facilities worldwide, including in Germany, the United States, China, and other countries, ensuring a global reach and localized production.

9. Brand Portfolio: In addition to its renowned BMW brand, the company also owns MINI and Rolls-Royce, catering to a diverse range of automotive tastes and luxury segments.

10. Cultural Impact: BMW's vehicles often become cultural icons, featured in fi

Birbhum Darshan through Package Tour
17/10/2024

Birbhum Darshan through Package Tour

08/10/2024

    To see package tour details, please visit www.matara.in
02/09/2024


To see package tour details, please visit www.matara.in

It is one of the Shakti Peethas, where the Waist (or kankal in Bengali) of Sati fell.

মা ফুল্লরা দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর বীরভূমের শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল একটি গ্রাম। আমোদপুর-কাটোয়া ন্যারোগেজ রেললা...
28/08/2024

মা ফুল্লরা
দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর বীরভূমের শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল একটি গ্রাম। আমোদপুর-কাটোয়া ন্যারোগেজ রেললাইনে এর অবস্থিতি। গ্রামের পূর্বপ্রান্তে দেবী ফুল্লরার মন্দির। বিষ্ণুচক্রে খণ্ডিত দেবী পার্বতীর দেহাংশ, অধঃ ওষ্ঠ এখানে পতিত হয়।

‘পীঠনিৰ্ণয়তন্ত্রে’ এই পীঠস্থান সম্বন্ধে উল্লেখ আছে এইরূপ,

“অট্টহাসে চোষ্ঠপাতো দেবী সা ফুল্লরা স্মৃতা

বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র সর্বাভীষ্ট প্রদায়কঃ।।”

এখানে মহাশক্তি দেবী ‘ফুল্লরা’ ও ‘ভৈরব’ ‘বিশ্বেশ’ রূপে পূজিত। ‘বৃহন্নীলতন্ত্র’অনুযায়ী পীঠস্থ দেবী 'ভীমকালী’ নামে আখ্যাত। ‘প্রাণতোষণীতন্ত্র’ মতে দেবীর নাম ‘চামুণ্ডা। কিছু শাস্ত্রগ্রন্থে এই পীঠের দেবীকে ‘মহানন্দা ও পীঠাধীশ ভৈরবের নাম ‘মহানন্দ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ‘শিবচরিত’, গ্রন্থে এই পীঠকে উপপীঠ রূপে, দেবীকে ‘ফুল্লরা’ ও ভৈরবকে ‘বিশ্বনাথ’ নামে আখ্যাত করা হয়েছে।

বৌদ্ধগয়ার শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য মঠের অনুসারী এক সাধক কৃষ্ণানন্দ গিরি (মতান্তরে কৃষ্ণদয়াল) একবার দেবভূমি কাশী দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ধ্যানস্থ অবস্থায় কাশীর বিশ্বনাথ কর্তৃক আদিষ্ট হন এবং লাভপুরে দেবী ফুল্লরার অবস্থানের কথা জানতে পারেন। আনন্দ উচ্ছ্বলিত দৈবাধীন কৃষ্ণানন্দ কাশী থেকে লাভপুরে এসে মাঘী পূর্ণিমার পুণ্যক্ষণে ঘন অরণ্যমধ্যস্থিত গুপ্তস্থান থেকে ‘দেবী ফুল্লরাকে’ আবিষ্কার করেন ও প্রথম আনুষ্ঠানিক পূজা শুরু করেন। তখন হতেই প্রতি বৎসর মাঘীপূর্ণিমার দিন দেবী ফুল্লরার বিশেষ পূজা হয় ও উৎসবের শুরু হয়। ‘জয়দুর্গা ধ্যানে’ দেবী ফুল্লরার পূজার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন যা আজও অনুসৃত হচ্ছে।

দেবী ফুল্লরার বর্তমান মন্দিরটির নির্মাণে ও অলঙ্করণে বিশেষ কোন স্থাপত্যরীতি অনুসৃত হয়নি। সাধারণ দালানরীতির মন্দির। মন্দির সম্মুখে নাটমন্দির। নাটমন্দিরের শেষ প্রান্তে দুটি ছোট শিব মন্দির। এগুলি ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের দানে নির্মিত। মন্দির প্রাঙ্গনে বায়ুকোণে একটি ইষ্টকনির্মিত বাঙলা চারচালারীতির সুপ্রাচীন শিব মন্দির ও তার অলঙ্করণে টেরাকোটা শিল্পকাজ দেখা যায়। কথিত আছে ১২শ শতকে ফুল্লরা মন্দিরের মোহান্ত নারায়ণ গিরি এই মন্দিরে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন।

মন্দিরের পিছনে ঈশানকোণে তান্ত্রিক মতে ‘শিবা ভোগের’ জন্য একটি বাঁধানো চত্বর আছে। দেবী ফুল্লরার অন্নভোগ নিবেদনের সময় পুরোহিতের আহ্বানে মন্দির সংলগ্ন অরণ্য থেকে যা প্রকৃতপক্ষে নিঃশেষ হয়ে গেছে, ‘রূপী’ ও সুপী’ নামে দুই শৃগালী এসে তাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ গ্রহণ করত। শিবা পরিত্যক্ত ভোগের অংশও প্রসাদ বলে গণ্য হতো। পূর্বে শিবাভোগ নিত্য অনুষ্ঠানের অঙ্গ ছিল। বর্তমানে কখন-সখন হতে দেখা যায়।

মন্দিরের পূর্বে ‘দলদলি’ নামে এক মজে যাওয়া জলাশয় আছে। কথিত আছে, রামায়ণে বর্ণিত ‘দেবীদহ’ই এই ‘দলদলি’। পূর্বে প্রায় তিন'শ বিঘা পরিমিত জায়গা জুড়ে এই জলাশয়ের বিস্তৃতি ছিল। একসময় এই জলাশয়ে ‘নীল পদ্ম’ ফুটতো। মহামায়ার অকাল আরাধনায় মহাবীর হনুমান এই দেবীদহ হতে নীলপদ্ম সংগ্রহ করেছিলেন বলে কথিত আছে।

মায়ের শিলাময়ী মূর্তি মন্দির-অভ্যন্তরে স্তূপাকারে আসীন। দেড় দু হাত উঁচু ও দশ বারো হাত পরিধিযুক্ত, সিন্দুর লেপনে রক্তাভ।

মায়ের মন্দিরের ডানদিকে দক্ষিণ পশ্চিম কোণে একটি বৃক্ষতলে পীঠভৈরব ‘বিশ্বেশ- এর’ ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রে মানসিক পুরণে পোড়ামাটির ঘোড়া অর্ঘ্য দেওয়ার ও ঢিল বাঁধার রীতি আছে। যার জন্য এখানে নিবেদিত অসংখ্য পোড়ামাটির ঘোড়া ও ক্ষেত্রবৃক্ষে ঢিল বাঁধা থাকতে দেখতে পাওয়া যায়।

ভোগঘরের পাশে এখানকার ‘পঞ্চমুণ্ডির আসন’ অনেক সাধকের পুতস্মৃতি জড়িত যা রাঢ়ের তন্ত্রাচারের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।

নিত্য নৈমিত্তিক পূজা ছাড়াও শারদীয়া দুর্গাপূজার সময় ও মাঘী পূর্ণিমায় এই দেবস্থানে বিশেষ পূজা-অৰ্চনাদি হয়ে থাকে। মাঘী পূর্ণিমায় মাতৃমূর্তি প্রতিষ্ঠার স্মরণে দশদিনব্যাপী মেলা ও উৎসব শুরু হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, এই পীঠভূমি নিয়ে পণ্ডিত গবেষকদের মধ্যে কিছু মতান্তর আছে যা ধর্মানুরাগীদের কোনভাবে প্রভাবিত করেনি। যে ক্ষেত্রটি নিয়ে এই মতান্তর তা হচ্ছে— বর্ধমান-বীরভূম সীমান্তে কেতুগ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ও নিরোল` রেলস্টেশন- এর চার কিলোমিটার দূরে ‘অট্টহাস’ নামে একটি পীঠক্ষেত্র আছে। কিছু গবেষকের মতে এই ‘অট্টহাস’-ই মহাপীঠ বা সতীপীঠ। “তাঁহাদের মতে বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র' এই পাঠ ঠিক নহে, এখানে ‘বিল্বেশো-ভৈরবস্তুত্র’ হইবে। এই প্রমাণানুসারে তাঁহারা অট্টহাস হইতে যোজনাভ্যন্তরে (কাটোয়া হইতে উত্তর পশ্চিমে কুলাই আসিবার পথে) বিল্বেশ-ভৈরবের অধিষ্ঠান ভূমি নির্দেশ করেন। কেতুগ্রামের পীঠাধিষ্ঠাত্রীর নামও ফুল্লরা। সেখানেও শিবাভোগ হয়।

আরও উল্লেখ্য যে, দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর-এর সতীপীঠ হিসাবে পরিচিতি ছাড়া লাভপুরের আরও এক পরিচিতি রয়েছে তা হচ্ছে রবীন্দ্রোত্তরযুগে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী তারাশংকরের জন্মস্থান হিসাবে। তারাশঙ্করের অসংখ্য রচনায় বীরভূমের মাটির গন্ধভরা সমাজজীবনের নবজাগ্রত রূপের চিত্র দেখা যায়
দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর বীরভূমের শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল একটি গ্রাম। আমোদপুর-কাটোয়া ন্যারোগেজ রেললাইনে এর অবস্থিতি। গ্রামের পূর্বপ্রান্তে দেবী ফুল্লরার মন্দির। বিষ্ণুচক্রে খণ্ডিত দেবী পার্বতীর দেহাংশ, অধঃ ওষ্ঠ এখানে পতিত হয়।

‘পীঠনিৰ্ণয়তন্ত্রে’ এই পীঠস্থান সম্বন্ধে উল্লেখ আছে এইরূপ,

“অট্টহাসে চোষ্ঠপাতো দেবী সা ফুল্লরা স্মৃতা

বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র সর্বাভীষ্ট প্রদায়কঃ।।”

এখানে মহাশক্তি দেবী ‘ফুল্লরা’ ও ‘ভৈরব’ ‘বিশ্বেশ’ রূপে পূজিত। ‘বৃহন্নীলতন্ত্র’অনুযায়ী পীঠস্থ দেবী 'ভীমকালী’ নামে আখ্যাত। ‘প্রাণতোষণীতন্ত্র’ মতে দেবীর নাম ‘চামুণ্ডা। কিছু শাস্ত্রগ্রন্থে এই পীঠের দেবীকে ‘মহানন্দা ও পীঠাধীশ ভৈরবের নাম ‘মহানন্দ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ‘শিবচরিত’, গ্রন্থে এই পীঠকে উপপীঠ রূপে, দেবীকে ‘ফুল্লরা’ ও ভৈরবকে ‘বিশ্বনাথ’ নামে আখ্যাত করা হয়েছে।

বৌদ্ধগয়ার শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য মঠের অনুসারী এক সাধক কৃষ্ণানন্দ গিরি (মতান্তরে কৃষ্ণদয়াল) একবার দেবভূমি কাশী দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ধ্যানস্থ অবস্থায় কাশীর বিশ্বনাথ কর্তৃক আদিষ্ট হন এবং লাভপুরে দেবী ফুল্লরার অবস্থানের কথা জানতে পারেন। আনন্দ উচ্ছ্বলিত দৈবাধীন কৃষ্ণানন্দ কাশী থেকে লাভপুরে এসে মাঘী পূর্ণিমার পুণ্যক্ষণে ঘন অরণ্যমধ্যস্থিত গুপ্তস্থান থেকে ‘দেবী ফুল্লরাকে’ আবিষ্কার করেন ও প্রথম আনুষ্ঠানিক পূজা শুরু করেন। তখন হতেই প্রতি বৎসর মাঘীপূর্ণিমার দিন দেবী ফুল্লরার বিশেষ পূজা হয় ও উৎসবের শুরু হয়। ‘জয়দুর্গা ধ্যানে’ দেবী ফুল্লরার পূজার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন যা আজও অনুসৃত হচ্ছে।

দেবী ফুল্লরার বর্তমান মন্দিরটির নির্মাণে ও অলঙ্করণে বিশেষ কোন স্থাপত্যরীতি অনুসৃত হয়নি। সাধারণ দালানরীতির মন্দির। মন্দির সম্মুখে নাটমন্দির। নাটমন্দিরের শেষ প্রান্তে দুটি ছোট শিব মন্দির। এগুলি ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের দানে নির্মিত। মন্দির প্রাঙ্গনে বায়ুকোণে একটি ইষ্টকনির্মিত বাঙলা চারচালারীতির সুপ্রাচীন শিব মন্দির ও তার অলঙ্করণে টেরাকোটা শিল্পকাজ দেখা যায়। কথিত আছে ১২শ শতকে ফুল্লরা মন্দিরের মোহান্ত নারায়ণ গিরি এই মন্দিরে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন।

মন্দিরের পিছনে ঈশানকোণে তান্ত্রিক মতে ‘শিবা ভোগের’ জন্য একটি বাঁধানো চত্বর আছে। দেবী ফুল্লরার অন্নভোগ নিবেদনের সময় পুরোহিতের আহ্বানে মন্দির সংলগ্ন অরণ্য থেকে যা প্রকৃতপক্ষে নিঃশেষ হয়ে গেছে, ‘রূপী’ ও সুপী’ নামে দুই শৃগালী এসে তাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ গ্রহণ করত। শিবা পরিত্যক্ত ভোগের অংশও প্রসাদ বলে গণ্য হতো। পূর্বে শিবাভোগ নিত্য অনুষ্ঠানের অঙ্গ ছিল। বর্তমানে কখন-সখন হতে দেখা যায়।

মন্দিরের পূর্বে ‘দলদলি’ নামে এক মজে যাওয়া জলাশয় আছে। কথিত আছে, রামায়ণে বর্ণিত ‘দেবীদহ’ই এই ‘দলদলি’। পূর্বে প্রায় তিন'শ বিঘা পরিমিত জায়গা জুড়ে এই জলাশয়ের বিস্তৃতি ছিল। একসময় এই জলাশয়ে ‘নীল পদ্ম’ ফুটতো। মহামায়ার অকাল আরাধনায় মহাবীর হনুমান এই দেবীদহ হতে নীলপদ্ম সংগ্রহ করেছিলেন বলে কথিত আছে।

মায়ের শিলাময়ী মূর্তি মন্দির-অভ্যন্তরে স্তূপাকারে আসীন। দেড় দু হাত উঁচু ও দশ বারো হাত পরিধিযুক্ত, সিন্দুর লেপনে রক্তাভ।

মায়ের মন্দিরের ডানদিকে দক্ষিণ পশ্চিম কোণে একটি বৃক্ষতলে পীঠভৈরব ‘বিশ্বেশ- এর’ ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রে মানসিক পুরণে পোড়ামাটির ঘোড়া অর্ঘ্য দেওয়ার ও ঢিল বাঁধার রীতি আছে। যার জন্য এখানে নিবেদিত অসংখ্য পোড়ামাটির ঘোড়া ও ক্ষেত্রবৃক্ষে ঢিল বাঁধা থাকতে দেখতে পাওয়া যায়।

ভোগঘরের পাশে এখানকার ‘পঞ্চমুণ্ডির আসন’ অনেক সাধকের পুতস্মৃতি জড়িত যা রাঢ়ের তন্ত্রাচারের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।

নিত্য নৈমিত্তিক পূজা ছাড়াও শারদীয়া দুর্গাপূজার সময় ও মাঘী পূর্ণিমায় এই দেবস্থানে বিশেষ পূজা-অৰ্চনাদি হয়ে থাকে। মাঘী পূর্ণিমায় মাতৃমূর্তি প্রতিষ্ঠার স্মরণে দশদিনব্যাপী মেলা ও উৎসব শুরু হয়।

এখানে উল্লেখ্য যে, এই পীঠভূমি নিয়ে পণ্ডিত গবেষকদের মধ্যে কিছু মতান্তর আছে যা ধর্মানুরাগীদের কোনভাবে প্রভাবিত করেনি। যে ক্ষেত্রটি নিয়ে এই মতান্তর তা হচ্ছে— বর্ধমান-বীরভূম সীমান্তে কেতুগ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ও নিরোল` রেলস্টেশন- এর চার কিলোমিটার দূরে ‘অট্টহাস’ নামে একটি পীঠক্ষেত্র আছে। কিছু গবেষকের মতে এই ‘অট্টহাস’-ই মহাপীঠ বা সতীপীঠ। “তাঁহাদের মতে বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র' এই পাঠ ঠিক নহে, এখানে ‘বিল্বেশো-ভৈরবস্তুত্র’ হইবে। এই প্রমাণানুসারে তাঁহারা অট্টহাস হইতে যোজনাভ্যন্তরে (কাটোয়া হইতে উত্তর পশ্চিমে কুলাই আসিবার পথে) বিল্বেশ-ভৈরবের অধিষ্ঠান ভূমি নির্দেশ করেন। কেতুগ্রামের পীঠাধিষ্ঠাত্রীর নামও ফুল্লরা। সেখানেও শিবাভোগ হয়।

আরও উল্লেখ্য যে, দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর-এর সতীপীঠ হিসাবে পরিচিতি ছাড়া লাভপুরের আরও এক পরিচিতি রয়েছে তা হচ্ছে রবীন্দ্রোত্তরযুগে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী তারাশংকরের জন্মস্থান হিসাবে। তারাশঙ্করের অসংখ্য রচনায় বীরভূমের মাটির গন্ধভরা সমাজজীবনের নবজাগ্রত রূপের চিত্র দেখা যায়

Ma Fullra

According to mythology, when Mahadeva danced around with Sati’s dead body cutting it to pieces, the Lower Lip fell at Fullara.

As per Srimat Shankracharge of Bodhgaya Math, one of the devotes ‘Sri Krishnanada Giri’ went to Kashi. When he was in meditative state, he was advised by Lord Kashi Bishwanath about Ma Fullara at Labpur. Delighted with this information, Sri Krishnananda reached Labpur and found Devi Fullara at a hide out, in deep forest, on the auspicious day of Maghi Purnima. He started the first ceremonial puja of Devi.

It is said that, in the 12th century, the priest of Fullara Temple, Sri Narayan Giri instituted the Shiva Linga in the premises of the temple.

There is a big pond beside the temple. According to hearsay, Hanuman collected 108 blue lotuses from the pond when Sri Ramachandra required them for the worship of goddess Durga.

In the right side of Temple, towards South West corner, there is a place for Pith Bhairab Biseshwar. Here to full fill their wishes, people use to put Terracotta Horse and also tie bricks in the tree.

During the Maghi Purnima there a Ten Day festival being celebrated every year in the remembrances of institution of Matri Murty on this auspicious day.

Labpur is also Birthplace of the famous Bengali writer Tarashankar Bandyapadhyay. He was born at his ancestral home at Labpur in Bengal Province – British India (Now West Bengal) to Haridas Bandyopadhyay and Prabhabati Devi.

Joy MA 🙏

মা কিরীটেশ্বরী মন্দির- মুর্শিদাবাদকিরীটেশ্বরী মন্দির মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীনতম, পবিত্রতম এবং একটি বিখ্যাত ধর্মীয় স্থা...
22/08/2024

মা কিরীটেশ্বরী মন্দির- মুর্শিদাবাদ

কিরীটেশ্বরী মন্দির মুর্শিদাবাদ জেলার প্রাচীনতম, পবিত্রতম এবং একটি বিখ্যাত ধর্মীয় স্থান এবং এটি মুকুটেশ্বরী মন্দির নামেও পরিচিত।

এটি 51টির মধ্যে অন্যতম প্রধান শক্তিপীঠ। বিশ্বাস অনুসারে, এখানে সতীর "মুকুট" বা কিরিত পড়েছিল। এখানে দেবীকে বিমলা বা শুদ্ধরূপে এবং শিবকে সংবর্ত্ত বা সম্বার্তা রূপে পূজা করা হয়।

মা কিরীটেশ্বরী মন্দিরের শক্তিপীটটিকে উপপীট হিসাবে বিবেচনা করা হয়, কারণ এখানে শরীরের কোন অঙ্গ বা অংশ পড়েনি, তবে তার অলঙ্কারের একটি অংশ এখানে পড়েছিল। এটি বাংলার মুষ্টিমেয় মন্দিরগুলির মধ্যে একটি যেখানে কোনও দেবতা না, কিন্তু একটি শুভ কালো পাথরের পূজা করা হয় ।

সতী, কিরীট শক্তিপীঠে, তার মুকুট স্থাপন করে আশীর্বাদ করেছিলেন।

কিরীটেশ্বরীর পূর্ব নাম ছিল কিরীটকানা। কিরীট মানে মুকুট। কিরীটকানা বা কিরীটেশ্বরী মধ্যযুগে রচিত একটি সাহিত্য ভবিষ্যপুরাণে উল্লেখ আছে। আর এমনও শোনা যায় যে শঙ্করাচার্য ও গুপ্ত যুগে কিরীটেশ্বরীর অস্তিত্ব ছিল।

মন্দিরটির নির্মাণ 1000 বছরেরও বেশি পুরানো এবং এই স্থানটিকে মহামায়ার শয়নস্থান হিসাবে বিবেচনা করা হত। স্থানীয় লোকেরা এই মন্দিরটিকে "মহিষ মর্দিনী" বলে ডাকে এবং এটি কিরীটেশ্বরীতে স্থাপত্যের প্রাচীনতম নিদর্শন।

মা কিরীটেশ্বরী মন্দিরটি 19 শতকে রাজা দর্পনারায়ণ রায় দ্বারা নির্মিত হয়েছিল। লালগোলার প্রয়াত রাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় দর্পনারায়ণ রায় কর্তৃক নির্মিত মন্দিরটির সংস্কার ও তত্ত্বাবধান করেছিলেন। শোনা যায় যে পুরানো মন্দিরটি 1405 সালে ধ্বংস হয়েছিল। কথিত আছে যে মা কিরীটেশ্বরী ছিলেন মুর্শিদাবাদের শাসক বাড়ির অধিপতি দেবতা। রাজধানীর মুর্শিদাবাদের শাসক পরিবারগুলি যখন গৌরবের শিখরে ছিল, তখন কিরীটেশ্বরী দেবীকে প্রতিদিন শত শত ভক্তরা পূজা করতেন।

এই কমপ্লেক্সে বর্তমানে বিভিন্ন দেবদেবীর ১৬টি মন্দির টিকে আছে। মন্দির সংলগ্ন ‘ভৈরব’ ভাগীরথী নদীর তীরে একটি ছোট মন্দিরে অবস্থিত

Maa Kiriteswari Temple - Murshidabad

Kiriteswari Temple is the oldest, holiest, and a famous religious place of Murshidabad district and is also known by the name Mukuteshwari temple.

This is one of the major Shakti peethas among the 51. According to belief, the “crown” or the kirit of Sati had fallen here. Here Devi is worshipped as Vimala or pure and Shiva as Sangbart or Sambarta.

The Shakti Peet at Maa Kiriteswari temple is considered as an Upapeeta, as no limb or part of the body fell here, but only a portion of her ornament fell here. It is one among the handful of temples in Bengal where no deities but an auspicious black stone is worshipped.

Sati had blessed by placing her crown at Kirit Shakti peeth.

The previous name of Kiriteswari was Kireetkana. Kireet means the crown. Kireetkana or Kiriteswari is mentioned in the Vabisyapuran, a literature written in the medieval period. And it is also heard that in the time of Shankaracharya and the Gupta age the Kiriteswari had the existence.

The construction of the temple is more than 1000 years old and this place was considered to be the sleeping place of Mahamaya. Local people call this temple “Mahish Mardini” and this is the oldest mark of Architecture in Kiriteswari.

Maa Kiriteshwari temple was built by King Darpanarayana Roy during the 19th century. Yogendranaryan Roy, the late king of Lalgola had renovated and taken care of the temple built by Darpanarayan Roy. It is heard that the old temple was destroyed in 1405. It is said that Maa Kiriteshwari was the presiding deity of the ruling house of Murshidabad. When the ruling families of Murshidabad capital were at the height of glory, Kiriteshwari Devi was worshipped by hundreds of devotees every day.

In this complex 16 temples of different deities are at present surviving. Adjacent to the temple ‘Bhairav’ is situated in an unclean and filthy small temple, on the banks of the river Bhagirathi.

19/08/2024
আকালিপুরবীরভূম জেলার পূর্ব্বপ্রান্তে অবস্থিত ঐতিহাসিক গ্রাম, নাম ভদ্রপুর, যেখানে কয়েক বৎসর পূর্ব্বেও বিরাজ করছিল মহারাজ...
15/08/2024

আকালিপুর
বীরভূম জেলার পূর্ব্বপ্রান্তে অবস্থিত ঐতিহাসিক গ্রাম, নাম ভদ্রপুর, যেখানে কয়েক বৎসর পূর্ব্বেও বিরাজ করছিল মহারাজ নন্দকুমারের বিশাল রাজ বাড়ীপ্রাসাদের ভগ্নাবশেষ । বর্তমানে যদিও তার চিহ্নমাত্রও নেই । শুধু নূতনভাবে গড়ে ওঠা বাড়ী-ঘরগুলির স্থান নির্দেশ করে বলা যাবে যে, এইখানেই অবস্থিত ছিল সেই রাজবাড়ী যাহাতে মহারাজ নন্দকুমার বাস করতেন।

এই ভদ্রপুর গ্রাম সংলগ্ন পশ্চিমদিকের ছোট্ট একটি গ্রাম আকালীপুর যাহার দক্ষিণপ্রান্তে ব্রাহ্মণী নদীর তীরে এখনও মহারাজ নন্দকুমারের স্মৃতি বহন করছে দুই শত বত্রিশ বছরের এই প্রাচীন মন্দির। এই মন্দিরের বাইরের পলস্তরাবিহীন দেওয়াল দেখলেই পর্যটকগণ নির্ভুল না হলেও মোটামুটি আন্দাজ করতে পারবেন যে মন্দিরের বয়স কত। এই মন্দির গর্ভে প্রতিষ্ঠিতা আছেন বিরাটাকার কষ্টিপাথর নির্মিত অপূর্ব বিগ্রহ । মসৃন কষ্টিপাথরের উপর নিখুঁতভাবে ফুটে উঠেছে সাধক শিল্পীর দক্ষ-হাতের কল্পনাতীত করুকার্য্যে কালিমূর্ত্তির বৈশিষ্টগুলি। অনেকেই ভুল করে এই বিগ্রহের নাম ভদ্রকালি, আকালিকালি বলে থাকেন। এমনকি খবরের কাগজের সাংবাদিকগণ ও বিভিন্ন কাগজে অনুরূপ ভুল নাম ছাপিয়েছেন।

মহাকাল ভৈরবেব বুকের উপর চরণ রেখে নরমুন্ড, খাঁড়া, বর এবং অভয় মুদ্রাযুক্ত চতুর্ভূজ সম্পন্না শ্রীশ্রী শ্যামাকালি বিগ্রহের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত। মহাকাল অর্থাৎ সময়, যাহা ছিল, আছে এবং থাকবে। মহাকাল ভৈরব তাহার প্রতীক। এই সময়ের বুকে প্রকৃতির সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের খেলা তাহাই চতুৰ্ভূজা মাতৃ-মূৰ্ত্তি। মহাকাল ভৈরবেব উপর দাঁড়িয়ে মহাকালি । মা এক হস্তে সৃষ্টিহেতু বীজ অর্থাৎ নরমুন্ড ধারন করেছেন। অপর দুই হস্তে যথাক্রমে বর এবং অভয় মুদ্রায় জীব-জগৎকে পালন করছেন । চতুর্থ হস্তে প্রলয়। অর্থাৎ বিনাশ কাৰ্য্যহেতু খড়্গ ধারন করেছেন। সাধক ভক্তগণের উপাসনা কার্য্যের হিত নিমিত্ত ব্রহ্মের রূপ কল্পনা করা হয়েছে দেবদেবীর মূর্ত্তিতে। দেবদেবীর বিগ্রহ ভক্তের ভক্তির আধার ।

মহারাজ নন্দকুমার প্রতিষ্ঠিত এই মন্দিরে অধিষ্ঠিতা বিগ্রহ উপরোক্ত সৃষ্টি ও প্রলয়ের পরবর্ত্তী কালীন পরিকল্পিত মায়ের রূপ। মা এখানে সৃষ্টি কার্য্য থেকে বিরত তাই বস্ত্র পরিহিতা এবং বীজস্বরূপ নরমুন্ডযুক্ত হস্ত নাই । বিনাশ করছেন না তাই বিনাশ কার্য্য হেতু খড়্গহস্ত নাই। শুধু বর এবং অভয় মুদ্রাযুক্ত দুই হস্তে মা জীব জগৎকে লালনপালন করছেন । সেজন্য মা এখানে দ্বিভূজা ।

Maa Kali - Akalipur

Bhadrapur is a historical village situated at the eastern edge of Birbhum district, where the ruins of Maharaj Nandakumar's grand palace were standing a few years ago. At present, however, there is no sign of it. Just pointing out the location of the newly built houses, it can be said that the palace where Maharaja Nandakumar lived was located here.

Adjacent to Bhadrapur village is Akalipur, a small village in the west, on the southern bank of Brahmani river, this ancient temple of two hundred and thirty two years still carries the memory of Maharaj Nandakumar. By looking at the unplastered walls outside this temple, tourists can give a rough guess as to how old the temple is. In this temple there is a wonderful idol made of huge hard stones. The features of Kalimurti are perfectly carved on the smooth granite by the skillful hand of the saintly artist. Many mistakenly call this idol Bhadrakali, Akalikali. Even newspaper reporters and various papers printed similar wrong names.

Many of us are familiar with the Sri Sri Shyamakali Vigraha with Mahakala Bhairabeva resting her feet on his chest and having four arms with Narmund,(Human Head), Scimitar (খাঁড়া), Boon and Abhay mudras. Mahakala means time, which was, is and will always remain here. Mahakal Bhairav is it’s symbol. The play of nature's creation-existence-destruction in the lap of this time is the Four handed mother-image. Mahakala standing on Bhairaveva is Mahakali. Mother holds the seed of creation i.e. Narmund (Human Head) in one hand. In the other two hands, she is holding the creation (জীব-জগৎ)with the boon and abhaya mudras (অভয় মুদ্রা) respectively. The fourth hand is the cataclysm. In other words, she has taken the sword for the purpose of destruction. The form of Devine is visualized in the idols of the deities for the benefit of the devotional activities of the saintly devotees. Idols of Gods and Goddesses are the source of devotee's devotion.

On the other hand, The Adhisthita Vigraha (Existing Idol of Maa Kali) in this temple founded by Maharaja Nandakumar is the form of the mother conceived during the above creation and post- cataclysm period. The mother is here absent from the work of creation, so she is clothed and does not have arms having seeds. She is not destroying, so there is no sword in her hand for the purpose of destruction. Mother Jiva is nurturing the world with only two hands bearing the boon and Abhaya mudras (অভয় মুদ্রা). That's why, here, Maa has two hands only.

matara.in

Happy Independence day 🎆
15/08/2024

Happy Independence day 🎆

Matara.in is providing a very good facility for you to visit religious places like All 06 Shaktipiths, Birchadrapur, Aka...
08/08/2024

Matara.in is providing a very good facility for you to visit religious places like All 06 Shaktipiths, Birchadrapur, Akalipur etc. Other places in Birbhum & in nearby area are Hazarduari Palace, Mesanjore Dam, Maluti (108 Teracotta Temples) etc.

Address

Prakriti Food & Agro Products, NH/14 , Near Highway Bus Stand, Ward No: 7
Rampur Hat
731224

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Maa Tara and Ashe Pashe- www.matara.in posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Nearby travel agencies


Other Rampur Hat travel agencies

Show All