28/08/2024
মা ফুল্লরা
দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর বীরভূমের শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল একটি গ্রাম। আমোদপুর-কাটোয়া ন্যারোগেজ রেললাইনে এর অবস্থিতি। গ্রামের পূর্বপ্রান্তে দেবী ফুল্লরার মন্দির। বিষ্ণুচক্রে খণ্ডিত দেবী পার্বতীর দেহাংশ, অধঃ ওষ্ঠ এখানে পতিত হয়।
‘পীঠনিৰ্ণয়তন্ত্রে’ এই পীঠস্থান সম্বন্ধে উল্লেখ আছে এইরূপ,
“অট্টহাসে চোষ্ঠপাতো দেবী সা ফুল্লরা স্মৃতা
বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র সর্বাভীষ্ট প্রদায়কঃ।।”
এখানে মহাশক্তি দেবী ‘ফুল্লরা’ ও ‘ভৈরব’ ‘বিশ্বেশ’ রূপে পূজিত। ‘বৃহন্নীলতন্ত্র’অনুযায়ী পীঠস্থ দেবী 'ভীমকালী’ নামে আখ্যাত। ‘প্রাণতোষণীতন্ত্র’ মতে দেবীর নাম ‘চামুণ্ডা। কিছু শাস্ত্রগ্রন্থে এই পীঠের দেবীকে ‘মহানন্দা ও পীঠাধীশ ভৈরবের নাম ‘মহানন্দ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ‘শিবচরিত’, গ্রন্থে এই পীঠকে উপপীঠ রূপে, দেবীকে ‘ফুল্লরা’ ও ভৈরবকে ‘বিশ্বনাথ’ নামে আখ্যাত করা হয়েছে।
বৌদ্ধগয়ার শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য মঠের অনুসারী এক সাধক কৃষ্ণানন্দ গিরি (মতান্তরে কৃষ্ণদয়াল) একবার দেবভূমি কাশী দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ধ্যানস্থ অবস্থায় কাশীর বিশ্বনাথ কর্তৃক আদিষ্ট হন এবং লাভপুরে দেবী ফুল্লরার অবস্থানের কথা জানতে পারেন। আনন্দ উচ্ছ্বলিত দৈবাধীন কৃষ্ণানন্দ কাশী থেকে লাভপুরে এসে মাঘী পূর্ণিমার পুণ্যক্ষণে ঘন অরণ্যমধ্যস্থিত গুপ্তস্থান থেকে ‘দেবী ফুল্লরাকে’ আবিষ্কার করেন ও প্রথম আনুষ্ঠানিক পূজা শুরু করেন। তখন হতেই প্রতি বৎসর মাঘীপূর্ণিমার দিন দেবী ফুল্লরার বিশেষ পূজা হয় ও উৎসবের শুরু হয়। ‘জয়দুর্গা ধ্যানে’ দেবী ফুল্লরার পূজার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন যা আজও অনুসৃত হচ্ছে।
দেবী ফুল্লরার বর্তমান মন্দিরটির নির্মাণে ও অলঙ্করণে বিশেষ কোন স্থাপত্যরীতি অনুসৃত হয়নি। সাধারণ দালানরীতির মন্দির। মন্দির সম্মুখে নাটমন্দির। নাটমন্দিরের শেষ প্রান্তে দুটি ছোট শিব মন্দির। এগুলি ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের দানে নির্মিত। মন্দির প্রাঙ্গনে বায়ুকোণে একটি ইষ্টকনির্মিত বাঙলা চারচালারীতির সুপ্রাচীন শিব মন্দির ও তার অলঙ্করণে টেরাকোটা শিল্পকাজ দেখা যায়। কথিত আছে ১২শ শতকে ফুল্লরা মন্দিরের মোহান্ত নারায়ণ গিরি এই মন্দিরে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন।
মন্দিরের পিছনে ঈশানকোণে তান্ত্রিক মতে ‘শিবা ভোগের’ জন্য একটি বাঁধানো চত্বর আছে। দেবী ফুল্লরার অন্নভোগ নিবেদনের সময় পুরোহিতের আহ্বানে মন্দির সংলগ্ন অরণ্য থেকে যা প্রকৃতপক্ষে নিঃশেষ হয়ে গেছে, ‘রূপী’ ও সুপী’ নামে দুই শৃগালী এসে তাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ গ্রহণ করত। শিবা পরিত্যক্ত ভোগের অংশও প্রসাদ বলে গণ্য হতো। পূর্বে শিবাভোগ নিত্য অনুষ্ঠানের অঙ্গ ছিল। বর্তমানে কখন-সখন হতে দেখা যায়।
মন্দিরের পূর্বে ‘দলদলি’ নামে এক মজে যাওয়া জলাশয় আছে। কথিত আছে, রামায়ণে বর্ণিত ‘দেবীদহ’ই এই ‘দলদলি’। পূর্বে প্রায় তিন'শ বিঘা পরিমিত জায়গা জুড়ে এই জলাশয়ের বিস্তৃতি ছিল। একসময় এই জলাশয়ে ‘নীল পদ্ম’ ফুটতো। মহামায়ার অকাল আরাধনায় মহাবীর হনুমান এই দেবীদহ হতে নীলপদ্ম সংগ্রহ করেছিলেন বলে কথিত আছে।
মায়ের শিলাময়ী মূর্তি মন্দির-অভ্যন্তরে স্তূপাকারে আসীন। দেড় দু হাত উঁচু ও দশ বারো হাত পরিধিযুক্ত, সিন্দুর লেপনে রক্তাভ।
মায়ের মন্দিরের ডানদিকে দক্ষিণ পশ্চিম কোণে একটি বৃক্ষতলে পীঠভৈরব ‘বিশ্বেশ- এর’ ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রে মানসিক পুরণে পোড়ামাটির ঘোড়া অর্ঘ্য দেওয়ার ও ঢিল বাঁধার রীতি আছে। যার জন্য এখানে নিবেদিত অসংখ্য পোড়ামাটির ঘোড়া ও ক্ষেত্রবৃক্ষে ঢিল বাঁধা থাকতে দেখতে পাওয়া যায়।
ভোগঘরের পাশে এখানকার ‘পঞ্চমুণ্ডির আসন’ অনেক সাধকের পুতস্মৃতি জড়িত যা রাঢ়ের তন্ত্রাচারের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
নিত্য নৈমিত্তিক পূজা ছাড়াও শারদীয়া দুর্গাপূজার সময় ও মাঘী পূর্ণিমায় এই দেবস্থানে বিশেষ পূজা-অৰ্চনাদি হয়ে থাকে। মাঘী পূর্ণিমায় মাতৃমূর্তি প্রতিষ্ঠার স্মরণে দশদিনব্যাপী মেলা ও উৎসব শুরু হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, এই পীঠভূমি নিয়ে পণ্ডিত গবেষকদের মধ্যে কিছু মতান্তর আছে যা ধর্মানুরাগীদের কোনভাবে প্রভাবিত করেনি। যে ক্ষেত্রটি নিয়ে এই মতান্তর তা হচ্ছে— বর্ধমান-বীরভূম সীমান্তে কেতুগ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ও নিরোল` রেলস্টেশন- এর চার কিলোমিটার দূরে ‘অট্টহাস’ নামে একটি পীঠক্ষেত্র আছে। কিছু গবেষকের মতে এই ‘অট্টহাস’-ই মহাপীঠ বা সতীপীঠ। “তাঁহাদের মতে বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র' এই পাঠ ঠিক নহে, এখানে ‘বিল্বেশো-ভৈরবস্তুত্র’ হইবে। এই প্রমাণানুসারে তাঁহারা অট্টহাস হইতে যোজনাভ্যন্তরে (কাটোয়া হইতে উত্তর পশ্চিমে কুলাই আসিবার পথে) বিল্বেশ-ভৈরবের অধিষ্ঠান ভূমি নির্দেশ করেন। কেতুগ্রামের পীঠাধিষ্ঠাত্রীর নামও ফুল্লরা। সেখানেও শিবাভোগ হয়।
আরও উল্লেখ্য যে, দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর-এর সতীপীঠ হিসাবে পরিচিতি ছাড়া লাভপুরের আরও এক পরিচিতি রয়েছে তা হচ্ছে রবীন্দ্রোত্তরযুগে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী তারাশংকরের জন্মস্থান হিসাবে। তারাশঙ্করের অসংখ্য রচনায় বীরভূমের মাটির গন্ধভরা সমাজজীবনের নবজাগ্রত রূপের চিত্র দেখা যায়
দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর বীরভূমের শিক্ষায়, সংস্কৃতিতে উজ্জ্বল একটি গ্রাম। আমোদপুর-কাটোয়া ন্যারোগেজ রেললাইনে এর অবস্থিতি। গ্রামের পূর্বপ্রান্তে দেবী ফুল্লরার মন্দির। বিষ্ণুচক্রে খণ্ডিত দেবী পার্বতীর দেহাংশ, অধঃ ওষ্ঠ এখানে পতিত হয়।
‘পীঠনিৰ্ণয়তন্ত্রে’ এই পীঠস্থান সম্বন্ধে উল্লেখ আছে এইরূপ,
“অট্টহাসে চোষ্ঠপাতো দেবী সা ফুল্লরা স্মৃতা
বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র সর্বাভীষ্ট প্রদায়কঃ।।”
এখানে মহাশক্তি দেবী ‘ফুল্লরা’ ও ‘ভৈরব’ ‘বিশ্বেশ’ রূপে পূজিত। ‘বৃহন্নীলতন্ত্র’অনুযায়ী পীঠস্থ দেবী 'ভীমকালী’ নামে আখ্যাত। ‘প্রাণতোষণীতন্ত্র’ মতে দেবীর নাম ‘চামুণ্ডা। কিছু শাস্ত্রগ্রন্থে এই পীঠের দেবীকে ‘মহানন্দা ও পীঠাধীশ ভৈরবের নাম ‘মহানন্দ’ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ‘শিবচরিত’, গ্রন্থে এই পীঠকে উপপীঠ রূপে, দেবীকে ‘ফুল্লরা’ ও ভৈরবকে ‘বিশ্বনাথ’ নামে আখ্যাত করা হয়েছে।
বৌদ্ধগয়ার শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য মঠের অনুসারী এক সাধক কৃষ্ণানন্দ গিরি (মতান্তরে কৃষ্ণদয়াল) একবার দেবভূমি কাশী দর্শনে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ধ্যানস্থ অবস্থায় কাশীর বিশ্বনাথ কর্তৃক আদিষ্ট হন এবং লাভপুরে দেবী ফুল্লরার অবস্থানের কথা জানতে পারেন। আনন্দ উচ্ছ্বলিত দৈবাধীন কৃষ্ণানন্দ কাশী থেকে লাভপুরে এসে মাঘী পূর্ণিমার পুণ্যক্ষণে ঘন অরণ্যমধ্যস্থিত গুপ্তস্থান থেকে ‘দেবী ফুল্লরাকে’ আবিষ্কার করেন ও প্রথম আনুষ্ঠানিক পূজা শুরু করেন। তখন হতেই প্রতি বৎসর মাঘীপূর্ণিমার দিন দেবী ফুল্লরার বিশেষ পূজা হয় ও উৎসবের শুরু হয়। ‘জয়দুর্গা ধ্যানে’ দেবী ফুল্লরার পূজার নির্দেশ তিনিই দিয়েছিলেন যা আজও অনুসৃত হচ্ছে।
দেবী ফুল্লরার বর্তমান মন্দিরটির নির্মাণে ও অলঙ্করণে বিশেষ কোন স্থাপত্যরীতি অনুসৃত হয়নি। সাধারণ দালানরীতির মন্দির। মন্দির সম্মুখে নাটমন্দির। নাটমন্দিরের শেষ প্রান্তে দুটি ছোট শিব মন্দির। এগুলি ভক্ত ও পুণ্যার্থীদের দানে নির্মিত। মন্দির প্রাঙ্গনে বায়ুকোণে একটি ইষ্টকনির্মিত বাঙলা চারচালারীতির সুপ্রাচীন শিব মন্দির ও তার অলঙ্করণে টেরাকোটা শিল্পকাজ দেখা যায়। কথিত আছে ১২শ শতকে ফুল্লরা মন্দিরের মোহান্ত নারায়ণ গিরি এই মন্দিরে শিবলিঙ্গ প্রতিষ্ঠা করেন।
মন্দিরের পিছনে ঈশানকোণে তান্ত্রিক মতে ‘শিবা ভোগের’ জন্য একটি বাঁধানো চত্বর আছে। দেবী ফুল্লরার অন্নভোগ নিবেদনের সময় পুরোহিতের আহ্বানে মন্দির সংলগ্ন অরণ্য থেকে যা প্রকৃতপক্ষে নিঃশেষ হয়ে গেছে, ‘রূপী’ ও সুপী’ নামে দুই শৃগালী এসে তাদের উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ গ্রহণ করত। শিবা পরিত্যক্ত ভোগের অংশও প্রসাদ বলে গণ্য হতো। পূর্বে শিবাভোগ নিত্য অনুষ্ঠানের অঙ্গ ছিল। বর্তমানে কখন-সখন হতে দেখা যায়।
মন্দিরের পূর্বে ‘দলদলি’ নামে এক মজে যাওয়া জলাশয় আছে। কথিত আছে, রামায়ণে বর্ণিত ‘দেবীদহ’ই এই ‘দলদলি’। পূর্বে প্রায় তিন'শ বিঘা পরিমিত জায়গা জুড়ে এই জলাশয়ের বিস্তৃতি ছিল। একসময় এই জলাশয়ে ‘নীল পদ্ম’ ফুটতো। মহামায়ার অকাল আরাধনায় মহাবীর হনুমান এই দেবীদহ হতে নীলপদ্ম সংগ্রহ করেছিলেন বলে কথিত আছে।
মায়ের শিলাময়ী মূর্তি মন্দির-অভ্যন্তরে স্তূপাকারে আসীন। দেড় দু হাত উঁচু ও দশ বারো হাত পরিধিযুক্ত, সিন্দুর লেপনে রক্তাভ।
মায়ের মন্দিরের ডানদিকে দক্ষিণ পশ্চিম কোণে একটি বৃক্ষতলে পীঠভৈরব ‘বিশ্বেশ- এর’ ক্ষেত্র। এই ক্ষেত্রে মানসিক পুরণে পোড়ামাটির ঘোড়া অর্ঘ্য দেওয়ার ও ঢিল বাঁধার রীতি আছে। যার জন্য এখানে নিবেদিত অসংখ্য পোড়ামাটির ঘোড়া ও ক্ষেত্রবৃক্ষে ঢিল বাঁধা থাকতে দেখতে পাওয়া যায়।
ভোগঘরের পাশে এখানকার ‘পঞ্চমুণ্ডির আসন’ অনেক সাধকের পুতস্মৃতি জড়িত যা রাঢ়ের তন্ত্রাচারের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করেছে।
নিত্য নৈমিত্তিক পূজা ছাড়াও শারদীয়া দুর্গাপূজার সময় ও মাঘী পূর্ণিমায় এই দেবস্থানে বিশেষ পূজা-অৰ্চনাদি হয়ে থাকে। মাঘী পূর্ণিমায় মাতৃমূর্তি প্রতিষ্ঠার স্মরণে দশদিনব্যাপী মেলা ও উৎসব শুরু হয়।
এখানে উল্লেখ্য যে, এই পীঠভূমি নিয়ে পণ্ডিত গবেষকদের মধ্যে কিছু মতান্তর আছে যা ধর্মানুরাগীদের কোনভাবে প্রভাবিত করেনি। যে ক্ষেত্রটি নিয়ে এই মতান্তর তা হচ্ছে— বর্ধমান-বীরভূম সীমান্তে কেতুগ্রামের প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে ও নিরোল` রেলস্টেশন- এর চার কিলোমিটার দূরে ‘অট্টহাস’ নামে একটি পীঠক্ষেত্র আছে। কিছু গবেষকের মতে এই ‘অট্টহাস’-ই মহাপীঠ বা সতীপীঠ। “তাঁহাদের মতে বিশ্বেশো ভৈরবস্তত্র' এই পাঠ ঠিক নহে, এখানে ‘বিল্বেশো-ভৈরবস্তুত্র’ হইবে। এই প্রমাণানুসারে তাঁহারা অট্টহাস হইতে যোজনাভ্যন্তরে (কাটোয়া হইতে উত্তর পশ্চিমে কুলাই আসিবার পথে) বিল্বেশ-ভৈরবের অধিষ্ঠান ভূমি নির্দেশ করেন। কেতুগ্রামের পীঠাধিষ্ঠাত্রীর নামও ফুল্লরা। সেখানেও শিবাভোগ হয়।
আরও উল্লেখ্য যে, দেবী ফুল্লরা বিরাজিত লাভপুর-এর সতীপীঠ হিসাবে পরিচিতি ছাড়া লাভপুরের আরও এক পরিচিতি রয়েছে তা হচ্ছে রবীন্দ্রোত্তরযুগে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কথাশিল্পী তারাশংকরের জন্মস্থান হিসাবে। তারাশঙ্করের অসংখ্য রচনায় বীরভূমের মাটির গন্ধভরা সমাজজীবনের নবজাগ্রত রূপের চিত্র দেখা যায়
Ma Fullra
According to mythology, when Mahadeva danced around with Sati’s dead body cutting it to pieces, the Lower Lip fell at Fullara.
As per Srimat Shankracharge of Bodhgaya Math, one of the devotes ‘Sri Krishnanada Giri’ went to Kashi. When he was in meditative state, he was advised by Lord Kashi Bishwanath about Ma Fullara at Labpur. Delighted with this information, Sri Krishnananda reached Labpur and found Devi Fullara at a hide out, in deep forest, on the auspicious day of Maghi Purnima. He started the first ceremonial puja of Devi.
It is said that, in the 12th century, the priest of Fullara Temple, Sri Narayan Giri instituted the Shiva Linga in the premises of the temple.
There is a big pond beside the temple. According to hearsay, Hanuman collected 108 blue lotuses from the pond when Sri Ramachandra required them for the worship of goddess Durga.
In the right side of Temple, towards South West corner, there is a place for Pith Bhairab Biseshwar. Here to full fill their wishes, people use to put Terracotta Horse and also tie bricks in the tree.
During the Maghi Purnima there a Ten Day festival being celebrated every year in the remembrances of institution of Matri Murty on this auspicious day.
Labpur is also Birthplace of the famous Bengali writer Tarashankar Bandyapadhyay. He was born at his ancestral home at Labpur in Bengal Province – British India (Now West Bengal) to Haridas Bandyopadhyay and Prabhabati Devi.
Joy MA 🙏