19/03/2020
করোনা ভাইরাস জনিত রোগ Covid-19 প্রতিরোধে সাধারণ মানুষদের করণীয় কী?
[নাম্বার জিরো - ভাইরাসের পরিস্থিতি সম্পর্কে খবরাখবর রাখা বিশ্বস্ত সোর্স থেকে। WHO (World Heath Organization), CDC (Centers for Disease Control and Prevention) এদের কাছে সবচেয়ে অথেন্টিক নিউজ থাকবে। প্রথমটা জাতিসংঘের একটা সংস্থা আর পরেরটা আমেরিকা বেইজড একটা সংস্থা যারা এরকম রোগ নিয়ে কাজ করে। এদের পেইজ ফলো করতে পারেন। নিজেরা জানুন ও অন্যদের জানিয়ে সাবধান করুন। ]
১। ঘন ঘন সাবান দিয়ে নিজের হাত অন্তত ২০ সেকেন্ড ধোবেন ভালোভাবে। ২০ সেকেন্ডের কম না। সাবান/পানি না পেলে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইউজ করতে পারেন, ৬০-৭০% এলকোহল বেইজড। ডিটারজেন্ট মেশানো পানিও কাজের। স্যাভলন মেশানো পানিও কার্যকর হবে।
ঘন ঘন তো ধুবেনই, পাব্লিক প্লেসের যে কোন জিনিস স্পর্শ করলে, হাঁচি/কাশি দিলে ধুতে হবে। বাসায় বাইরে গিয়ে আমরা যাই ধরি, সবগুলোই সন্দেহের মধ্যে রাখতে হবে। ধোয়ার আগে মুখে হাত আনা যাবেনা। আর বাসায় ঢুকেও প্রথমেই হাত ধুয়ে নিতে হবে। এর আগে দরজার হাতল, সুইচ এসব নিশ্চয়ই স্পর্শ করতেই হয়। এসবও সাবান পানি দিয়ে জীবানুমুক্ত রাখার চেষ্টা করতে হবে। কী-বোর্ড, মাউস, এই জাতীয় জিনিস পরিষ্কার করতে হবে দিনে ১বার অন্তত।
কেন করতে হবে? কারণ সাবান দিয়ে ধোয়ার দ্বারা এই ভাইরাস মারা যায়। যদি মারা যাওয়ার আগেই এই ভাইরাস চোখ, নাক বা মুখ দিয়ে ভেতরে ঢুকে পড়ে তাহলেই আপনি এই ভাইরাসের বাহক হয়ে যাবেন। হাত ধোয়ার সাথে সাথে মুখ ধোয়াও ভালো হবে।
২। নিজের ও যে ব্যক্তি কাশি বা হাঁচি দিচ্ছে তার সাথে অন্তত ৩ ফুট (কারো মতে ৬ ফুট) দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। বৃদ্ধ লোকেরা বেশি ঝুঁকিতে আছেন। তাছাড়া ডায়াবেটিস, হার্টের রোগী, হাইপারটেনশনের রোগীও। উনাদের রোগের লক্ষণ না থাকলেও এই দূরত্ব বজায় রাখা উচিত।
কেন করতে হবে? কারণ হাঁচি কাশির সাথে নির্গত ক্ষুদ্র তরল কণার দ্বারা এটা ছড়ায়। সুতরাং বেশি কাছাকাছি হলে এই কণা নিঃশ্বাসের সাথেই আপনার মধ্যে ঢুকতে পারে। দূরে হলে ঝুঁকি কম কারণ এতদূর ছড়িয়ে যেতে পারেনা এই কণাগুলো। আর বাতাসেও বেশিক্ষণ থাকতে পারেনা (সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে)।
৩। হ্যান্ডশেক বা মোসাফাহা না করা। কারণ শ্বাসনালীর ভাইরাসগুলো হ্যান্ডশেকের মাধ্যমেও ছড়ায়। ভাইরাসের বাহকের হাতে লেগে থাকাই স্বাভাবিক। তাই মোসাফাহা করলে তার হাত থেকে আপনার হাতে এবং পরে আপনার হাত থেকে চোখ, নাক, মুখ দিয়ে আপনার শরীরে ঢুকে যেতে পারে।
৪। নিজে হাঁচি কাশি দেয়ার সময় কনুই দিয়ে ঢাকা অথবা কোন টিস্যু ইউজ করা। টিস্যু হলে ওটা একবার ইউজের পর ফেলে দেয়া নির্দিষ্ট জায়গায়। রুমাল হলে সেটা ধুয়ে নেয়া। আর হাঁচি/কাশি দেয়ার পর পরই হাত ধোয়া অন্তত ২০ সেকেন্ড।
এটা কেন করতে হবে? করতে হবে যেন অন্যদের মধ্যে ভুলেও ভাইরাস না ছড়িয়ে দিই আমি।
৫। নিজের চোখ, নাক, মুখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকা। করতে হলে অবশ্যই আগে হাত সাবান দিয়ে ২০ সেকেন্ড ধুয়ে করা। কারণ হতে পারে কিছু স্পর্শের কারণে আমার হাতে ভাইরাস এসে গেলো। এখন চেহারা স্পর্শ করলে নাক, চোখ, মুখ দিয়ে ঢুকে যেতে পারে।
৬। দরকার ছাড়া বাসার বাইরে বের না হওয়া। কারণ ভাইরাস ছড়ানোর হার কমিয়ে দেয়ার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হলো এটা। বের হতে হলেও ১০ বা এর বেশি মানুষের সমাগম না করা। কারণ যদি মানুষ কম বাহির হয়, তাহলে সংক্রমণ কম হবে। সাথে সাথে যারা সুস্থ হবে তাদের সংখ্যাও বাড়বে।
কী কী লক্ষণ থেকে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া অনুমান করা যায়?
২-১৪ দিনের মধ্যে এই লক্ষনগুলো দেখা দিতে পারে
১) জ্বর
২) কাশি
৩) শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া
এসব প্রধান লক্ষণ। বিশেষ করে ৩ নংটা। এগুলোর সাথে সাথে ক্লান্তি, ডায়রিয়াও হতে পারে
যদি এই লক্ষনগুলো দেখা দেয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং নিজেকে আলাদা করে রাখতে হবে। নিজের চারপাশ যথাসম্ভব জীবানুমুক্ত রাখতে হবে। বাহিরে বের হওয়া যাবে না। মাস্ক ব্যবহার করতে হবে যেন অন্যের মধ্যে না ছড়ায়।
আর যদি নিচের লক্ষনগুলোও প্রকাশ পায় তাহলে হয়ত হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে।
১। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া বা অল্প দৈর্ঘের শ্বাস
২। বুকে প্রায় সবসময় চাপ বা ব্যাথা থাকা
৩। নিলাভ ঠোট বা চেহারা
৪। কনফিউজড বা জেগে থাকতে অক্ষম হওয়া
ভয়ের কিছু নেই। বেশিরভাগ রোগীই অল্প লক্ষণ দেখা দিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেন। আর সুস্থ হয়ে উঠলে উনার শরীরে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে উঠে যার ফলে দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা অনেক অনেক কমে যায়।
সূত্রঃ
১। https://www.who.int/…/novel-coronavirus-2…/advice-for-public
২। https://www.cdc.gov/coronavirus/2019-ncov/prepare/index.html
__
Mohammad Anwar Shah
The page or file you are trying to access cannot be found. This is because the web address is incorrect or the file has been moved or deleted.