12/04/2021
#এভিয়েশন পলিটিক্স ঘিরে যে কটি সংগঠন আছে, যে কজন চৌকশ সংগঠক আছেন; দয়া করে আপনারা আড়মোড়া ভেঙ্গে বাইরে আসুন।
গত বছরের ক্ষত পুষিয়ে উঠবার সময় পাইনি। এখনো অনেক অনেক দেনায় জর্জরিত হয়ে আছি।
মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে আবারো ফ্লাইট বন্ধ নামের গজব চাপিয়ে দিচ্ছে।
ট্র্যাভেল এজেন্সির স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর ঘরের হাড়ি সম্পর্কে আপনারা খবর নেন? জানেন তাদের কারা কারা এখনো দাঁড়াতেই পারেনি!
জানেন গত মার্চের পর কারা কারা না খেয়ে কাটিয়েছে?
যদি কিছুই না জানেন, যদি জানতে না চান তবে কীসের পলিটিক্স করছেন? কার জন্য করছেন?
শুধু নির্বাচন এলে নিজের থাকা গচ্ছিত টাকার বাহাদুরির জন্যই নির্বাচন! নেতা হওয়া?
তাহলে এখানে কেন! জাতীয় নির্বাচন করুন। সেখানে ইচ্ছেমতো খেলা যায়।
আপনারা একবার ভাবুন, একটু মন দিয়ে ভাবুন...
যেখানে আমরাই ভয়ে আছি যে কখন শ্রমিক নেয়া দেশগুলো (রিসিভিং কান্ট্রি) আমাদের দেশের শ্রমিক নেয়া থামিয়ে দেয়! সেখানে আমরাই আমাদের ফ্লাইট সেসব দেশে পাঠানো থামিয়ে দিচ্ছি!
এতো ছেলে খেলা এই সেক্টর নিয়েই কেন খেলতে হবে? তলা বিহীন এই দেশের তলা সেলাই করেছেন সেই প্রবাসীরা, আজ আমরা তাদের নিরাপত্তা-নিশ্চয়তা দিতে পারছিনা!
হাস্যকর সিদ্ধান্ত ছাড়া কিছুই নয়।
দেখুন যে দেশের সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকারী লোকেরা গার্মেন্টস, বইমেলা, শপিংমল খোলা রেখে অন্য সব বন্ধ করার হুকুম দেয়! সে দেশে উদ্ভট এমন আরো অনেক সিদ্ধান্ত আসতে পারে, তাই বলে আমরা সব মেনে নিয়ে না খেয়ে থাকবো? কেন থাকবো?
#আটাব, #টোয়াব, #বায়রা, #হাব #এসিবি সহ এমন আরো যতো অংগ সংগঠন আছে সব নেতা এক হয়ে আজই বসুন।
যে কোন মূল্যে ফ্লাইট চালু রাখতে হবে।
প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নিন। কীভাবে স্বাস্থ্যগত সচেতনতা বাড়িয়ে টিকিটেড-ভিসা হয়েছে-ভিসার মেয়াদ কম-আকামার মেয়াদ নেই, এমন সব যাত্রীদের ফ্লাইট যাওয়া পর্যন্ত অন্তত ফ্লাইট চালু রাখুক।
একটি ভিসার সাথে সম্পৃক্ততা আমাদের ট্র্যাভেল-রিক্রুটিং এজ্রন্সির অনেকের। যাত্রীর নিজের ভিটা বেচা টাকার হাহাকার তো আছেই!
লাখো পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার মতো এতো নাগরিকবান্ধব সরকারতো আমাদের কোন কালেই ছিলোনা, সে আশার গুঁড়ে বালি।
আর একটি কথা-
আপনারা কিন্তু এয়ারলাইন গুলো থেকে কোন হেল্প বা সাপোর্ট পাবেন না, কেননা গত সাত-আট মাসে মধ্যপ্রাচ্যের টিকিটে যে জুলুম তারা করেছে তাতে আগামী এক-দু মাস/বছর ফ্লাইট অপারেট না করেও তারা টিকে যাবে।
তাছাড়া ফ্লাইট চালু হলে আমাদেরকে আবারো তারা আগুনে চুবিয়ে ফ্রাই করে খাবে, সেটা নিশ্চিত।
বাংলাদেশ বিমানও বিদেশীদের মতো এবার আমাদের উপর জুলুম করছে, আবার করবে। হ্যাঁ তারা লাভজনক, সেটা প্রমানের জন্য তাদের হাতেতো শুধু মধ্যপ্রাচ্যের হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের শ্রমিকেরাই রয়েছে।
এদের ভিসায় জুলুম। মেডিকেলে জুলুম। টিকিটে জুলুম। এ্যামবাসিতে জুলুম। আকামায় জুলুম। ওকালায় জুলুম। ম্যানপাওয়ার ক্লিয়ারেন্সে জুলুম। বিমানবন্দরে জুলুম। হাইকমিশনে জুলুম।
এরা যাবে কার কাছে? সবখানেই তারা মার খাচ্ছে, তবু দেখেন তারাই আমাদের সেরা যোদ্ধা। আমাদের দেশ তারাই সাজাচ্ছে।
দয়া করে তাদের জন্য কিছু করুন।
আজ এই নিউজ পাওয়ার পর আমার থেকে এয়ার টিকিট নেয়া একজন যাত্রী ফোন করে কান্না করেছেন...
তার ওমানের ভিসার মেয়াদ সতেরো এপ্রিলে শেষ হবে, ফ্লাইট চোদ্দ তারিখ রাতের দশটায় বাংলাদেশ বিমানে। তাকে আর তার সেখানকার ভিসার মালিক মেয়াদ বাড়িয়ে দেবেনা।
তার প্রশ্ন সে এখন কী করবে?
আমি টিকিট বিক্রি করেছি মাত্র! আমি তাকে কী জবাব দেবো?
"ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানাই"