Saimum DUNYA

Saimum DUNYA Visa file processing service company

07/07/2024

স্ত্রী চিঠি লিখছে স্বামীর কাছে। কিন্তু, দাড়ি-কমা সম্বন্ধে কোন জ্ঞান না থাকায় ভুল স্থানে দাড়ি বসাতেই সেই প্রিয় চিঠি হয়ে গেল আজব চিঠি !
চিঠিটি হলো••••

" ওগো, সারাটা জীবন বিদেশেই কাটালে এ ছিল। তোমার কপালে আমার পা। আরো ফুলিয়া উঠিয়াছে উঠানটা। জলে ডুবি*য়া গিয়াছে ছোট খোকা।স্কুলে যেতে চায় না ছাগ*লটা। সারাদিন ঘাস খাইয়া ঘুমাইয়া থাকে তোমার বাবা। বার মাস পেটের অসু*খে ভুগি*তেছে বাগানটা।

আমে ভরিয়া গিয়াছে ঘরের চালটা। স্থানে স্থানে ফুটো হয়ে গিয়েছে গা*ভীর পেট। দেখিলে মনে হয় বাচ্চা দিবে করিম এর বাপ। রোজ দুই হালি করিয়া ডিম দেয় বড় বউ। রান্না করিতে গিয়া হাত পু*ড়িঁ*য়া ফেলেছে কু*কুর ছানাটা। সারাদিন লেজ নাড়িয়া খেলা করে বড় খোকা। দাড়ি কাটিতে গিয়ে গাল কাটিয়া ফেলেছে নুড়ীর মা। প্রসব বেদনায় ছটফট করিতেছে নুড়ীর বাপ। বার বার ফিট হইয়া যাইতেছে ডাক্তার। সাহেব আসিয়া গিয়াছে। এমতাবস্থায় তুমি বাড়ী আসিবে না । আসিলে অত্যন্ত দুঃখিত হইব।

ইতি
তোমার বউ।🙂

Collected

- 'শুনলাম তুমি নাকি ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছো।'- 'জ্বী আংকেল সিএসই তে।'- 'বাহ! খুবই ভালো। আমিতো ভেবেছিলাম মাদ্রাসার ছ...
01/07/2024

- 'শুনলাম তুমি নাকি ঢাকা ভার্সিটিতে চান্স পেয়েছো।'
- 'জ্বী আংকেল সিএসই তে।'
- 'বাহ! খুবই ভালো। আমিতো ভেবেছিলাম মাদ্রাসার ছাত্রদের দৌড় ঐ মসজিদ পর্যন্তই। তা যাই হোক আমার ছেলেটাকে পড়াতে পারবে?'
- 'দুঃখিত আংকেল সম্ভব না অনেকগুলো টিউশন ঝুলে আছে কিন্তু সময়ের অভাবে সেগুলো করতে পারছি না।'
- 'আরে তোমাকে টাকা বাড়িয়ে দিবো চিন্তা করোনা। এখন যে পড়ায় তাঁকে চার হাজার দেই তোমাকে ছয় হাজার দিবো।'
- 'দুঃখিত আংকেল! আমি এখন এক সাবজেক্টের জন্যই ছয় হাজার নেই আর সেখানে আপনার ছেলের প্রতি দুইঘন্টা সময় নষ্ট করে এতো কম টাকায় পড়াতে পারবোনা। এখন যে পড়ায় তাঁকেই রেখে দিন সমস্যা কোথায়?'
আমার কথা শুনে অনেকটা অবাক নয়নে তাকিয়ে রইলেন তিনি। হয়তো ভাবতে পারেননি এরকম কিছু বলবো। তার ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে বললাম,
- 'আজ আসি আংকেল! হাতে একদম সময় নেই। আরেকটি টিউশনে যেতে হবে।'
এই বলেই স্থান ত্যাগ করলাম অনেকটা সাবলীল ভঙ্গিমায়। আমি জানি তিনি এখনো আমার চলার পথে একনয়নে তাকিয়ে রয়েছেন।
--
-------
ঘটনাটা চারমাস আগেকার...
অফিস থেকে বাবাকে চাকরিচ্যুত করার দরুন খুব অভাব অনটনে দিন কাঁটছিলো আমাদের। আমি তখন একটি টিউশনের জন্য খুব দৌড়াদৌড়ি করছিলাম। হঠাৎ একদিন প্রতিবেশীর সুবাধে এই আংকেলের বাড়িতে উপস্থিত হই। তিনি নাকি তাঁর ছেলের জন্য একটি ভালো মানের টিউশন টিচার খুঁজছেন। কিন্তু আংকেলের বাড়িতে যেয়ে যে এতোগুলো প্রশ্নের সম্মুখীন হবো তা যেন আমার ভাবনাতেই ছিলনা।
যখন তিনি আমার মুখ থেকে শুনতে পেলেন যে আমি মাদ্রাসা থেকে ইন্টার পাশ করেছি তখন থেকেই আমি বুঝে গিয়েছিলাম তিনি আমাকে রাখতে চাননা। প্রশ্নগুলো ছিলো এমন,
- 'ইংলিশ ভালো করে পারোতো? গণিতে দক্ষতা কীরূপ? আচ্ছা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে ইংলিশে কিছু বলো।'
আমার নিকট মনে হচ্ছিল আমি টিউশন করতে আসিনি বরং ইন্টারভিউ দিতে এসেছি যদিও সবগুলো প্রশ্নের উত্তর খুব দক্ষতার সহিতই দিয়েছিলাম। সর্বশেষ আমার বিগত ভালো রেজাল্টের কথা শুনেও যেন তাঁর মন ভরলো না। কারণ মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে আমার প্রতি তাঁর যে তুচ্ছ মনোভাবটা মনের ভিতরে গেঁথে ছিল সেটা বোধহয় একটুও কাঁটেনি। তিনি হয়তো ভেবেছিলেন মাদ্রাসার ছাত্রদের দৌড়তো মসজিদ পর্যন্তই সে আর আমার ছেলেকে কী অংক আর ইংরেজি শিখাবে? সমাপ্তিতে তিনি অনেকটা ভদ্রতার খাতিরে বললেন,
- 'সকালে আমি আরো একটি টিচারের সাথে কথা বলেছি সে চার হাজার টাকার বিনিময়ে সব সাবজেক্ট পড়াবে। তোমার চাওয়া পাওয়া কীরকম?'
আমি অনেকটা অসহায় হয়েই বলেছিলাম,
- 'আংকেল আমাকে তিন হাজার দিলেই হবে।'
অনেকটা আশা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে সেদিন তাঁর গৃহ ত্যাগ করলেও এক সপ্তাহেও তাঁর দ্বিতীয় ডাক শুনতে পাইনি। পরবর্তীতে জানতে পারি তিনি সেই কলেজ পড়ুয়া শিক্ষককেই চার হাজার টাকার বিনিময়ে নিজ ছেলের জন্য রেখে দিয়েছেন। এই সংবাদটি শোনার পর মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে নিজেকে এতোটাই তুচ্ছ মনে হচ্ছিল যে যা প্রকাশ করার সক্ষমতা আমার আজও তৈরি হয়নি।
---
-----
আজ নাফিসকে যখন পড়ানো শেষ করে বাহিরে বের হবো ঠিক তখনি নাফিসের আম্মু আমায় ডাক দিলেন।
- 'জ্বী আন্টি বলেন।'
- 'তোমার বেতনটা নাও। তুমি কী আগামী মাস থেকে নাফিসকে পড়াবে?'
- 'জ্বী আন্টি অবশ্যই পড়াবো।'
এই বলেই মুচকি হেসে টাকাটা হাতে নিয়ে স্থান ত্যাগ করলাম। সচরাচর স্টুডেন্টের অভিভাবকের সামনে আমার টাকা গণনা করার অভ্যাস নেই তাই দরজা থেকে বের হয়েই টাকায় হাত বুলিয়ে এক এক করে গণনা শুরু করলাম। অবাক করা বিষয় হলো আজ ছয়টা পাঁচশ টাকার নোট কিন্তু এখানেতো চারটা পাঁচশ টাকার নোট থাকার কথা। আমি অনেকটা হন্তদন্ত হয়ে উল্টোদিকে ঘুরে সাথে সাথেই দরজায় নক করলাম। নাফিসের আম্মু দরজা খুলে অনেকটা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে রইলেন।
আমি তাঁর ভাবনায় ছেদ ঘটিয়ে বললাম,
- 'আন্টি! আপনি ভুলবসত হয়তো আমাকে এক হাজার টাকা বেশি দিয়ে ফেলেছেন।'
- 'আরে নাহ! আমি ইচ্ছে করেই তোমাকে এক হাজার টাকা বেশি দিয়েছি। তুমি যে এখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী হয়েও আমার ছেলেকে এতো কম টাকায় পড়াচ্ছো সেটা ভেবেই অবাক হই। চিন্তা করলাম তোমার যোগ্যতার ফলস্বরূপ আমিও আমার সামর্থ্য অনুযায়ী একটু বাড়িয়ে দেই। জানোইতো নাফিসের আব্বু ছোটখাটো একটি চাকরি করে। মাস শেষে যে বেতন পায় তা ঘর ভাড়াতেই চলে যায় অধিকাংশ।'
এই বলেই স্থির হলেন তিনি। আমি ক্ষানিকটা মুচকি হেসে বললাম,
- 'আন্টি! আমি যখন নাফিসকে পড়ানো শুরু করি তখন কিন্তু আমি ঢাকা ভার্সিটির স্টুডেন্ট ছিলাম না কিন্তু প্রভুর কল্যাণে আজ আমি প্রাচ্যের অক্সফোর্ডের একজন সদস্য। তখন আমার টিউশনটা খুব দরকার ছিলো আর আপনারা আমাকে মাদ্রাসার ছাত্র হিসেবে তুচ্ছ না করে বরং আমার জ্ঞানটা কে প্রাধান্য দিয়ে নাফিসের টিউশন টিচার হবার সুযোগ দিয়েছিলেন।
জানেন আন্টি! আপনি যেদিন আমাকে প্রথম বেতন হাতে তুলে দিয়েছিলেন সেদিন অকল্পনীয়ভাবে সেই টাকা মুষ্ঠিবদ্ধ করে আমি আড়ালে বসে খুব কেঁদেছিলাম। এমনকি সেই টাকা দিয়েই আমি মায়ের জন্য ঔষধ কিনেছিলাম। আমার পারিশ্রমিকটা হয়তো কম ছিলো কিন্তু তাঁর গুরুত্বটা ছিলো আকাশচুম্বী। আমি হয়তো আজ টিউশন টিচারের দিক দিয়ে অনেক মর্যাদাসম্পন্ন কিংবা আমার মূল্যটা হয়তো অনেক বেশি কিন্তু নাফিসের শিক্ষক হিসেবে আমি শুরুতে যেমন ছিলাম এখনো তেমনি আছি আর ভবিষ্যতেও তেমনি থাকবো। আর চিন্তা করবেন না, নাফিসকে পড়ানো আমি কখনোই বাদ দিবোনা। আর যদি বাদ দেই তবে সেটা হবে সম্মানের প্রতীক কে নিজ হাতে চূর্ণ করা। এই নিন আন্টি এক হাজার টাকা।'
আন্টি আমার মনের অজানা কথাগুলো শুনে অনেকটা কাঁপা কাঁপা হাতে টাকাটা নিয়ে চোখকে আর স্থির রাখতে পারলেন না বরং দুফোঁটা অশ্রু নিজের অনিচ্ছাসত্ত্বেও ফেলে দিলেন। এই অশ্রুতে কোনো বেদনা লুকিয়ে নেই বরং আছে অজস্র সম্মানের ছোঁয়া।
এটা কোনো কল্প কাহিনী নয় বরং ঢাকা ভার্সিটির ক ইউনিটের ২০১৮-১৯ শিক্ষবর্ষের জাতীয় মেধাতালিকায় ৬৩ নম্বরে থাকা এক মাদ্রাসায় পড়ুয়া ভাইয়ের ঘটনা। অনেকেই হয়তো জানেন না যে মাদ্রাসার ছাত্ররাও দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করে। এমনকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগে প্রতিবছর প্রথম দশ জনের ভিতরে থাকে মাদ্রাসার ছাত্ররা। মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের প্রতি আপনাদের ভুল ধারণা ভাঙ্গানোটাই ছিল মূলত আমার এই লেখনীর প্রয়াস।ধন্যবাদ সবাইকে।

"বাংলাদেশ থেকে মাছের আঁশ যাচ্ছে জাপান-চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশেমাছের আঁশ সাধারণত উচ্ছিষ্ট বা বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করে ...
30/06/2024

"বাংলাদেশ থেকে মাছের আঁশ যাচ্ছে জাপান-চীনসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে

মাছের আঁশ সাধারণত উচ্ছিষ্ট বা বর্জ্য হিসেবে বিবেচনা করে ফেলে দেয়া হয়। তবে টাঙ্গাইলে সেই আঁশ এখন দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আনতে শুরু করেছে, যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে প্রতি বছর ২০০ কোটি টাকার বেশি মাছের আঁশ রফতানি করা হচ্ছে। এ জেলায় মাছের বড় বাজারগুলোসহ প্রায় সব বাজারেই বঁটিওয়ালারা পাইকারদের কাছে ৮০-১০০ টাকা কেজি দরে মাছের আঁশ বিক্রি করছেন। শুধু টাঙ্গাইল নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতি বছর হাজার হাজার টন আঁশ রফতানি হয় জাপান, চীন, ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোয়। প্রতি মন আঁশ ৩৫০-৪৭০ ডলারে বিক্রি হয়।

বিশেষজ্ঞরা জানান, মাছের আঁশের বিশ্বব্যাপী নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। মাছের আঁশে থাকে কোলাজেন যা খাদ্য, ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট ও কসমেটিকস শিল্পে ব্যবহার হয়। কোলাজেন নামক একটি পণ্য বিক্রি হয় ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। চীন ও জাপানে এ আঁশ ব্যবহার করে বায়ো পাইজোইলেকট্রিক ন্যানো জেনারেটর তৈরি করা হয়, যেগুলো দ্বারা রিচার্জেবল ব্যাটারিতে চার্জ দেয়া যায়। ঘরোয়া বিদ্যুৎ উৎপাদনেও এটি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এছাড়া মাছের আঁশ ব্যাটারি তৈরি, বৈদ্যুতিক পণ্য, কৃত্রিম কর্নিয়া, মাছ ও পোলট্রি খাদ্য হিসেবে ব্যবহার হয়।

রফতানি খাতসংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশে বছরে প্রায় ২৭ হাজার ২৭৮ টন মাছের আঁশ উৎপন্ন হয়। এর মধ্যে ৯০ ভাগই রফতানি হয়। মূলত জাপান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও চীনে এসব আঁশ রফতানি হয়। প্রতি টন আঁশ ৩৫০-৪৭০ ডলারে বিক্রি হয়। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশ বছরে ২০০ কোটি টাকার মাছের আঁশ রফতানি করে। এ পেশার সঙ্গে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ সরাসরি জড়িত। ১০-১২টি দেশী-বিদেশী প্রতিষ্ঠান এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।

মৎস্যজীবীরা জানিয়েছেন, মাছের আঁশ সংগ্রহ করার পর সেই আঁশগুলো পরিষ্কার পানিতে অথবা গরম পানিতে ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়। তারপর রোদে শুকানোর পর ঝরঝরে করা হয়। এরপরই বিক্রির উপযোগী হয়। বছরে দুই থেকে তিনবার এ আঁশ বিক্রি করা হয় পাইকারদের কাছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পাইকার এসে মাছের আঁশগুলো কিনে নিয়ে যায়। প্রতি মণ আঁশ বিক্রি করা হয় ৩৬০০ থেকে ৪০০০ টাকা করে। শুধু আঁশ নয় মাছের নাড়িভুঁড়িও বিক্রি হয়। নাড়িভুঁড়ি ব্যবহার করা হয় মাছের খাদ্য হিসেবে। মাছের জাত অনুযায়ী আঁশের দাম ভিন্ন হয়। রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন বড় মাছের আঁশের দাম একটু বেশি। আর ছোট মাছের আঁশের দাম আরেক রকম। শহরের বড় দুই বাজার পার্ক বাজার এবং ছয়আনি বাজার থেকে ১৫-২০ জন মাছ কাটার পাশাপাশি মাছের আঁশ বিক্রি করছেন নিয়মিত।

টাঙ্গাইল ছয়আনি মাছের বাজারে নিয়মিত মাছ কাটেন (বঁটিওয়ালা) সজীব। মাছ কাটতে প্রতি কেজিতে তিনি নেন ২০-৩০ টাকা করে। মাছ কাটেন বেলা ১টা পর্যন্ত। মাছের আঁশ বিক্রি করে বছরে বাড়তি আয় করছেন প্রায় ৩০ হাজার টাকা। প্রতি বছর ছয়-সাত মণ মাছের আঁশ বিক্রি করছেন পাইকারদের কাছে।

একই কাজ করা মো. সোহেল নামের একজন বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমি প্রায় ১৪ বছর ধরে মাছের ব্যবসা করি। আর মাছের আঁশ বিক্রি করি প্রায় সাত বছর ধরে। বছরে দুই-তিনবার মাছের আঁশ বেচা যায়।’

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের সহকারী অধ্যাপক মো. হারুন-অর রশীদ, যিনি মাছের আঁশ থেকে বিভিন্ন খাদ্য উপাদান তৈরির প্রযুক্তি উদ্ভাবন নিয়ে পিএইচডির গবেষণা করছেন। তিনি বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশে মাছের আঁশ থেকে বিভিন্ন উপাদান তৈরির সুযোগ রয়েছে, যার মাধ্যমে পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব না ফেলেও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। কিন্তু এর মূল অন্তরায় হচ্ছে প্রযুক্তির অপ্রতুলতা বা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের গবেষণার অভাব, বাজারে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান সৃষ্টির জন্য সহযোগিতার অভাব সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এ সেক্টরে বিনিয়োগের সংস্কৃতি তৈরি না হওয়া।’

টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘মাছের আঁশের নানাবিধ ব্যবহার রয়েছে। জিন্স প্যান্ট, গ্যাভার্ডিন কাপড়ের ওপর এক ধরনের আঠার প্রলেপ দেয়া হয়, যার ফলে কাপড়ের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। ক্যাপসুলের খোসা ও প্রসাধন সামগ্রী তৈরিতেও মাছের আঁশ ব্যবহার করা হয়। কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে এ আঁশ নিয়ে বিভিন্ন সময় গবেষণা করে সফল হয়েছে"

পা ছুঁয়ে সালাম করা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ইসলামে সালাম বলতে ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বুঝায়। ইসলামে উত্তম ভাবে সা...
29/06/2024

পা ছুঁয়ে সালাম করা ইসলামি সংস্কৃতি নয়। ইসলামে সালাম বলতে
‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বুঝায়। ইসলামে উত্তম ভাবে সালাম দেওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং সালামের উত্তর দেয়ার কথা রয়েছে।

আপনি যাকে পা ছুঁয়ে সালাম দেন,, তাহলে তো সে আপনাকে পা ছুঁয়ে সালামের উত্তর দেওয়া উচিত তাই না,,,,

সাহাবায়ে কেরামরা নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘আসসালামু আলাইকুম’ বলেই সালাম দিয়েছেন। পায়ে ধরে সালাম করেননি। সুতরাং এটি আমাদের করা কোনোভাবেই উচিত নয়।

সুইডেনের নাগরিক হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধাপ এবং শর্তাবলী অনুসরণ করতে হয়। এখানে প্রধান প্রধান ধাপ এবং শর্তাবলী উল্লেখ করা হল...
29/06/2024

সুইডেনের নাগরিক হওয়ার জন্য বিভিন্ন ধাপ এবং শর্তাবলী অনুসরণ করতে হয়। এখানে প্রধান প্রধান ধাপ এবং শর্তাবলী উল্লেখ করা হলো:
1. স্থায়ী বসবাস:
- আবেদনকারীকে সুইডেনে স্থায়ী বাসিন্দা (Permanent Resident) হতে হবে।
- ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক না হলে, নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বৈধভাবে সুইডেনে বসবাস করতে হবে।
2. বাসস্থান সময়কাল:
- সাধারণত ৫ বছর সুইডেনে বাস করতে হবে। তবে, সুইডেনের নাগরিকের সাথে বিবাহিত হলে ৩ বছর পরে আবেদন করা যায়।
- রেফিউজি বা স্ট্যাটলেস ব্যক্তি হলে ৪ বছর সুইডেনে বসবাস করতে হবে।
3. ভাল চরিত্র:
- আবেদনকারীর সুইডেনে ভাল চরিত্র থাকতে হবে। কোন অপরাধমূলক কার্যকলাপের রেকর্ড থাকলে আবেদন বাতিল হতে পারে।
4. আর্থিক স্থিতি:
- আবেদনকারীর আর্থিক স্থিতি সুদৃঢ় হতে হবে। সুইডেনে থাকার সময় অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে হবে।
5. ভাষা ও সমাজের জ্ঞান:
- সুইডিশ ভাষা ও সমাজ সম্পর্কে বেসিক জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। যদিও ভাষা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই, তবে ভাষার জ্ঞান প্রমাণ করতে হতে পারে।
6. আবেদন প্রক্রিয়া:
- সুইডিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে এবং সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সিতে জমা দিতে হবে।
- প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস যেমন পাসপোর্ট কপি, বাসস্থানের প্রমাণ, আয়ের প্রমাণ ইত্যাদি প্রদান করতে হবে।
- আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর একটি সাক্ষাৎকারে অংশ নিতে হতে পারে।
7. অপেক্ষার সময়:
- আবেদন জমা দেওয়ার পর, সুইডিশ মাইগ্রেশন এজেন্সি আবেদনটি মূল্যায়ন করবে। এটি কয়েক মাস থেকে কয়েক বছর পর্যন্ত সময় নিতে পারে।
সুইডিশ নাগরিকত্ব পাওয়ার পর, আবেদনকারী সুইডিশ পাসপোর্ট পেতে পারেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিকার এবং সুবিধাগুলি ভোগ করতে পারেন।

এক ভদ্রলোক ডিম বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলো'ডিম কত করে বিক্রি করছেন?বৃদ্ধ বিক্রেতা বললো' স্যার পাঁচ টাকা করে প্রতিটি।স্যার বল...
28/06/2024

এক ভদ্রলোক ডিম বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করলো'
ডিম কত করে বিক্রি করছেন?
বৃদ্ধ বিক্রেতা বললো' স্যার পাঁচ টাকা করে প্রতিটি।
স্যার বললো, আমি ৬টি ২৫ টাকা দেব, না হয় চলে যাবো!
বৃদ্ধ বিক্রেতা উত্তর দিলো, আসেন স্যার নিয়ে যান আপনার দামে। কারণ সারাদিন একটিও বিক্রি করতে পারিনি। আপনার মাধ্যমেই আজকের বিক্রি শুরু।।
স্যারটি ডিম কিনে জিতে গেল।
তারপর স্যারটি তার দামী গাড়ীতে চড়ে তার বন্ধুর সাথে অভিজাত রেস্তোরাতে গেলো। সেখানে, সে আর তার বন্ধুরা তাদের পছন্দসই অনেককিছু অর্ডার করলো। কিন্তু তারা যা অর্ডার দিলো তার স্বল্প খেলো আর বেশিরভাগ রেখে দিলো। তারপর সে বিল দিতে গেল।বিল আসলো ১৪০০টাকা। সে দিলো ১৫০০টাকা এবং রেস্তোরা মালিককে বললো বাকিটা রেখে দিতে।
এ ব্যাপারটা রেস্তোরা মালিকের কাছে খুবই স্বাভাবিক হতে পারে কিন্তু দরিদ্র ডিম বিক্রেতার কাছে খুবই বেদনাময়।
ভদ্রতার চাদরে আসলে আমরা আমাদের মূল্যবোধকে হারিয়ে ফেলেছি ... যখনি কোন অসহায়, বৃদ্ধ, গরীব লোকের কাছ থেকে কিছু ক্রয় করবেন তখন তাকে মূল্যের চেয়ে একটু বেশী দিবেন ...
সৃষ্টির সকল প্রাণীকে ভালবাসতে শিখি,,,,
অসহায় মানুষকে আপন ভাবতে শিখি।
🙂

24/06/2024

❤️মেয়েদের সুখী হবার গোপন সূত্র........
একজন স্বামী তার স্ত্রীকে কখন পাগলের মত ভালোবাসে জানেন?
এক বৃদ্ধা মহিলার সাক্ষাৎকার। যিনি তাঁর স্বামীর সাথে সফলতার সাথে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ পঞ্চাশটি বছর। তাদের জীবন শান্তিতে ভরপুর ছিল। ঝগড়া তো দুরের কথা, দাম্পত্য জীবনে কখনো কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি।
একজন সাংবাদিক এই বৃদ্ধার কাছে তার পঞ্চাশ বছরের স্থায়ী সফলতার রহস্যের ব্যপারে জানতে চাইলেন।
কী ছিল সে রহস্য? মজার মজার খাবার বানানো? দৈহিক সৌন্দর্য? বেশী সন্তান জন্ম দেয়া? নাকি অন্যকিছু?
বৃদ্ধা বললেন, দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তি প্রথমত আল্লাহর ইচ্ছা অতপর স্ত্রীর হাতেই। একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে জান্নাতের টুকরো বানাতে পারেন আবার চাইলে এটাকে জাহান্নামেও পরিনত করতে পারেন।
কীভাবে? অর্থ দিয়ে? তা তো হতে পারে না। কেননা অনেক অর্থশালী মহিলা আছেন, যাদের জীবনে দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছেই ভিড়তে চান না।
সন্তান জন্ম দান? না, তাও নয়। কারণ, অনেক মহিলা আছেন, যাদের অনেক সন্তান আছে, অথচ স্বামী পছন্দ করেননা। এমনকি এ অবস্থায় তালাক দেওয়ার নজিরও কম নয়।
ভালো খাবার বানানো? এটাও না, কারণ অনেক মহিলা আছেন, যারা রান্না বান্নায় বেশ দক্ষ, সারা দিন রান্না ঘরে কাজ করে, অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হন।
তার কথায় সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন। বললেন, তাহলে আসল রহস্যটা কী?
বৃদ্ধা বললেন, যখনই আমার স্বামী রেগে গিয়ে আমাকে বকাবকি করতেন, আমি অত্যন্ত সম্মান দেখিয়ে নিরবতা অবলম্বন করতাম এবং অনুতপ্ত হয়ে মাথা দুলিয়ে তার প্রতিটি কথায় সায় দিতাম।
সাবধান! বিদ্রুপের দৃষ্টিতে কখনো চুপ হয়ে থেকো না, কেননা পুরুষ মানুষ বিচক্ষণ হয়ে থাকে, এটা সহজেই বুঝতে পারে।
সাংবাদিক: ঐ সময় আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান না কেন?
বৃদ্ধা: সাবধান! সেটা কখনো করবেননা। তখন তিনি মনে করবেন, আপনি তাঁর কথায় বিরক্ত হয়ে পালাতে চাচ্ছেন। আপনার উচিত, চুপ থেকে ওর প্রতিটি কথায় হা সুচক সায় দেওয়া, যতক্ষণ না তিনি শান্ত হন।
অতপর আমি তাকে বলি, আপনার শেষ হয়েছে? এবার আমি যেতে পারি? তারপর আমি চলে যাই, আর আপন কাজে লেগে যাই। কারণ চিৎকার করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
সাংবাদিক: এরপর কি করেন? এক সপ্তাহ খানেক তার থেকে দূরে থাকেন, এবং কথা বলা বন্ধ রাখেন নিশ্চয়?
বৃদ্ধা: সাবধান! এধরনের বদভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
যা দুধারী তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন আপনার সাথে আপোষ করতে চান তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন তিনি একা থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। কখনো কখনো এ অবস্থা তাকে প্রচন্ড জিদের দিকে ঠেলে দেবে।
সাংবাদিক: তাহলে কি করবেন তখন?
বৃদ্ধা: দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ গরম চা নিয়ে তার কাছে যাই, আর বলি, নিন, এগুলো খেয়ে নিন, আপনি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলি। তারপর তিনি বলেন, রাগ করেছো? আমি বলি, না।
তারপর, তার দূর্ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্নেহ ও ভালোবাসার কথা বলেন।
সাংবাদিক: আপনি কি তার কথা তখন বিশ্বাস করেন?
বৃদ্ধা: অবশ্যই। কেন নয়? শান্ত থাকা অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস করব?
সাংবাদিক: তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?
বৃদ্ধা: আমার স্বামীর সন্তুষ্টিই আমার ব্যক্তিত্ব। আমাদের স্বচ্ছ সম্পর্কই আমাদের ব্যক্তিত্ব। আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ব্যক্তিত্ব থাকে না। যার সামনে তুমি পুরোপুরি ভাবে বস্ত্রমুক্ত হয়েছ, তার কাছে আবার কিসের ব্যক্তিত্ব?

সংগৃহীত

23/06/2024

পারিবারিক শিক্ষা কি জানেন ??

একেই বলে পারিবারিক শিক্ষা !!
বিয়ে করতে যাওয়া এক পুত্রকে তার পিতার উপদেশ মালা।
পিতা তার পুত্রকে বললেন, তোমার দাদা বলেছিলেন,
১. নতুন বউকে পালকি করে কেন আনা হয় জানিস ? তাকে তো গরুর গাড়িতেও আনা যেত।
তা না করে পালকিতে আনা হয়, কারণ সে কত সম্মানিত তা বোঝানোর জন্য।
পালকিতে নামানোর পর এ সম্মান কমানো যাবেনা। সারাজীবন পালকির সম্মানেই তাকে রাখতে হবে।

২. নতুন বউ পালকিতে উঠে কী করে জানিস ?
কাঁদে। কেন কাঁদে? শুধু ফেলে আসা স্বজনদের জন্য না। নতুন জীবন কেমন হবে সে ভয়েও কাঁদে।
তোর চেষ্টা হবে পালকির কান্না ই যাতে তার শেষ কান্না হয়। এরপর আর মাত্র দুটো উপলক্ষ্যে সে কাঁদবে।
একটি হলো মা হওয়ার আনন্দে, আরেকবার কাঁদবে তুই চলে যাওয়ার পর। মাঝখানে যত শোক আসবে তুই তার চোখের পানি মুছে দিবি।

৩. স্ত্রী সবচেয়ে কষ্ট পায় স্বামীর বদব্যবহারে,
দেখ আমি খুবই বদমেজাজি, কিন্তু কেউ বলতে পারবেনা আমি তোর মায়ের সামনে কোনোদিন উঁচু গলায় কথা বলেছি।

৪. বিয়ে মানে আরেকটি মেয়ের দায়িত্ব নেওয়া।
এটা ঠিকভাবে পালন না করলে আল্লাহর কাছে দায়ী থাকতে হয়।

৫. আরেকটি কথা, সব মেয়ের রান্নার হাত ভালোনা, কিন্তু সবাই রান্না ভালো করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে।
তাই রান্না নিয়ে বউকে কখনো খোঁটা দিবিনা।

৬. বউয়ের মা-বাবাকে কখনো 'আমার শ্বশুর, আমার শাশুড়ি' এগুলো ডাকবি না। মা-বাবা ডাকবি।
আগের ডাকগুলো কোনো মেয়ে পছন্দ করে না, তুই ওগুলো ডাকলে বউও আমাদের ওই ডাকেই ডাকবে।
তুই ওনাদের সম্মান না করলে সে আমাদের সম্মান করবেনা, এটাই নিয়ম।

৭. বউকে কখনো ভাতের খোঁটা দিবিনা। একটি মেয়ে শুধু ভাতের জন্য কেউ বিয়ে দেয়না। অনেক মা বাবার কাছে ভাতের কোন অভাব নাই, তারপরও মেয়ে বিয়ে দেয় কেন জানিস ? একটু সুখের একটু সম্মানের আশায়।

৮. একটা কথা সবসময় মনে রাখবি, দাম্পত্য জীবন টিকে থাকে শুধু শ্রদ্ধা আর বিশ্বাসের উপর।
তুই তোর স্ত্রীকে যতটুকু বিশ্বাস শ্রদ্ধা সম্মান করবি দাম্পত্য জীবন ততই সুখের হবে।

প্রখ্যাত তাবেয়ী হাসান বাসরি রহ. একদিন তাঁর মজলিসে বসে আছেন। এক লোক এসে নিজের অভাব অনটনের কথা বলল তাঁর কাছে। হাসান বাসরি ...
23/06/2024

প্রখ্যাত তাবেয়ী হাসান বাসরি রহ. একদিন তাঁর মজলিসে বসে আছেন। এক লোক এসে নিজের অভাব অনটনের কথা বলল তাঁর কাছে।
হাসান বাসরি বললেন, 'বেশি বেশি ইস্তিগফার করো।'
কিছুক্ষণ পর দ্বিতীয় আরেক ব্যক্তি এসে বলল, আমার ফসলী জমি শুকিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টির অভাবে। আমাকে একটা আমল বাতলে দিন।
তাকেও তিনি বললেন, বেশি বেশি ইস্তিগফার করো।
কিছুক্ষণ পর আরেকজন এসে বলল, অনেক চেষ্টা করেও আমার সন্তান হচ্ছে না। কী করা যায় হুজুর?
তাকেও বললেন, বেশি বেশি ইস্তিগফার করো।
এরপর চতুর্থবার, এক লোক এসে বলল, দেশ দুর্ভিক্ষের কবলে। এখন আমরা কী করতে পারি?
হাসান বাসরি রহ. বললেন, বেশি বেশি ইস্তিগফার করো।
পাশেই ছিল হাসান বাসরির এক শিষ্য। এতক্ষণ সে চারজনকে দেওয়া উস্তাদের সমাধান শুনেছিল। প্রত্যেককে একই সমাধান দিতে দেখে সে অবাক। জিজ্ঞেস করল, 'শায়খ, আপনি ভিন্ন ভিন্ন চারটি সমস্যার একটি মাত্র সমাধান দিলেন যে? এর রহস্য কী?'
হাসান বাসরি রহ. বললেন: 'এই সমাধান তো আমি দিই নি। খোদ আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন।' এরপর তিনি এ আয়াতগুলো তিলাওয়াত করলেন:
اسْتَغْفِرُوا رَبَّكُمْ إِنَّهُۥ كَانَ غَفَّارًا
يُرْسِلِ السَّمَآءَ عَلَيْكُم مِّدْرَارًا
وَيُمْدِدْكُم بِأَمْوٰلٍ وَبَنِينَ وَيَجْعَل لَّكُمْ جَنّٰتٍ وَيَجْعَل لَّكُمْ أَنْهٰرًا
"তোমরা তোমাদের প্রভুর কাছে ক্ষমা চাও, নিশ্চয়ই তিনি পরম ক্ষমাশীল। তাহলে তিনি তোমাদের জন্য আকাশ থেকে প্রচুর বৃষ্টি বর্ষণ করবেন। তোমাদের ধন সম্পদ ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দেবেন, তোমাদের জন্য বাগান সৃষ্টি করবেন এবং তোমাদের জন্য নদীনালা প্রবাহিত করবেন।"
আমি যা বলেছি তা কুরআনের কথা বলেছি। মনগড়া নয়। ইস্তেগফার এমন একটা আমল যা মানুষের মৌলিক সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে৷
আল্লাহ তা'লা আমাদের সবাইকে ক্ষমা চাওয়ার তৌফিক দান করুন। আমীন।

টাকা উড়ানো সহজ উপার্জন নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প!ঘটনাটি ১৯৯৭ সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহ...
23/06/2024

টাকা উড়ানো সহজ উপার্জন নয়! শিল্পপতি লোহানী সাহেবের ছেলের বাস্তব জীবনের গল্প!

ঘটনাটি ১৯৯৭ সনের, আমি আমার শিল্পপতি বাবা লোহানী সাহেবের একমাত্র ছেলে রবিন চৌধুরী। তখন আমি এ লেভেলের ছাত্র। একে তো শিল্পপতির ছেলে তার উপর ইংলিশ মিডিয়ামে পড়াশুনা করি ভাবই আলাদা। ফ্রেন্ডস নিয়ে ক্লাবে ক্লাবে পার্টি, ট্যুর, নতুন নতুন ড্রিংকস করা, সব কিছু মিলিয়ে অন্য রকম একটা মাস্তির লাইফ কাটছিল।

বন্ধুদের মধ্যে আমার লিডার লিডার একটা ভাবছিলো। তার কারন আমি সবচেয়ে বেশি খরচ করতাম। একদিন প্লান করলাম বন্ধুরা মিলে

থাইল্যান্ড যাব ট্যুরে। আর আমার এইবারের বার্থডে সেখানেই সেলিব্রেট করবো। এর মধ্যে আমার দুই বন্ধু একটু গরীব তাদের খরচ আমাকে বহন করতে হবে।

আজ বাবা বাসায় ড্রয়িং রুমে বসে কফি খাচ্ছে। বাবার সামনে যেতেই আমি কিছু বলার আগে বাবা বললো এমাউন্ট কতো?? না মানে বাবা সামনে আমার জন্মদিনতো তাই মানে এই আর কি। বাবা উচ্চ স্বরে রেগে গিয়ে বললো আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছি এমাউন্ট কত?? ২ লক্ষ বাবা। হুম!!!

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তুমি। জন্ম নিয়ে এই জাতিকে কৃতার্থ করেছ, তোমার জন্মদিনে মাত্র ২ লক্ষ টাকা খরচ হবে কম হয়ে গেলনা??? এর মধ্যে মা চলে আসছে। কি হয়েছে?? আমাদের একমাত্র ছেলে এই সম্পদ সব কিছুইতো একদিন ওর হবে। দিয়ে দাও, ওর মনে কষ্ট দিওনা।আমি যদি আমার ছেলেকে একটা উড়ন্ত বিমানের পাইলটের সিটে বসিয়ে তোমার ছেলের উপর প্লেনের দ্বায়িত্ব দিয়ে নেমে পরি। তখন কেমন হবে তুমিই বল?

শোন রবিনের মা এই সম্পদ একদিনে আসেনি। এর দ্বায়িত্ব নিতেও নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হয়। ঠিক আছে আমি তোমার ছেলেকে ২ লক্ষ টাকা দিব যদি সে আগামীকাল আমাকে পরিশ্রম করে ২০০ টাকা উপার্জন করে এনে দিতে পারে। সারা রাত নাক ডেকে ঘুমিয়েছি মাত্র ২০০ টাকা লুল, বাবা আগামী কালই দেখতে পারবে আমি তার সম্পদের দায়িত্ব নেয়ার মতো যোগ্য হয়েছি।

পরের দিন সকাল ৭ টায় বাবা আমাকে ডেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিল। কি যে বিরক্ত লাগছিল মাত্র ২০০ টাকার জন্য এতো সকালে ঘুম থেকে উঠতে হবে?? রেডি হয়ে একে বারে ফুল বাবু সেজে ২০০ টাকা উপার্জন করতে বের হয়েছি। পকেটে এক টাকাও নাই সাথে বাবা একজন স্পাইও দিয়েছে।

ঘর থেকে বের হওয়ার পর এখন মনে হচ্ছে আমি একটা সমুদ্রের মাঝে পরে গেলাম। বিনা পুঁজিতে টাকা কোথায় পাই। কার কাছে থেকে ধার করতে পারছি না, কারো সাহায্য নিতে পারছিনা। ভিক্ষাও করতে পারবো না। ভাবতে ভাবতে দুপুর হয়ে গেল। অবশেষে একটা রিক্সার গ্যারেজে গেলাম, মনে মনে ভয়ও পাচ্ছিলাম অনেক মানুষ আছে রিক্সাওলার গায়ে হাত তুলে যদি আমাকে কেউ রিক্সাওয়ালা ভেবে মারে??

তখনি বিবেক আমাকে বুঝিয়ে দিল রিক্সাওয়ালাও আমারি মতো মানুষ। তাদের গায়ে হাত তুলা অন্যায়। রিক্সার গ্যারেজে গেলাম কিন্তু অপরিচিত মানুষকে তারা রিক্সা দিবেনা। হঠাৎ মাথায় বুদ্ধি এলো রিক্সা না পেয়েছিতো কি হয়েছে রিক্সা ঠেলতেতো পারবো। আমি আমার বাবার ছেলে এতো সহজে হার মানবোনা। তখন উচুঁ উচুঁ ব্রিজগুলোকে পেছন থেকে একজনকে রিক্সাওলার সাথে ঠেলে উঠিয়ে দিতো হতো। বিনিময়ে যাত্রীরা ১ টাকা করে দিতো।

জীবনে কোন কাজ করিনি, এক গ্লাস পানিও নিজে ঢেলে খাইনি। আর আজ তপ্ত রোদে রিক্সা ঠেলেছি, এই ভাবে ১ ঘন্টায় ১০ টা রিক্সা ঠেলে ১০ টাকা উপার্জন করেছি, ১১ নাম্বার রিক্সা ঠেলতে গিয়ে পরে হাঁটু ছিলে গেল। আবার উঠে দাড়ালাম। যখন যাত্রী আমার হাতে ১ টাকার একটা কয়েন দিচ্ছিল তখন চোখ দিয়ে কেন যেন কান্না চলে আসলো। ঘন্টা খানেক পর হাঠুর ব্যথা আরো তিব্র হতে লাগলো।

সন্ধ্যা পর্যন্ত গুনে দেখি মাত্র ৪০ টাকা হয়েছে। আর পারছি না। প্রচন্ড ক্লান্ত হয়ে মনে হচ্ছে শরীরও যেন নিজের সাথে প্রতারণা করছে, আমার সঙ্গ ছেড়ে দিচ্ছে। অবশেষে ৪০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেলাম। বাবার সামনে গিয়ে দাড়ালাম ৪০ টাকা বাবার হাতে দিয়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে কাঁদতে বললাম, আমি পারিনি বাবা। ভেবেছিলাম আমার বিধ্বস্ত ক্লান্ত চেহারা, হাঠুর কাছে ছেঁড়া পেন্ট দেখে বাবাও হয়তো কেঁদে দিবে। হয়তো আমার মাথায় হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দিবে।

না সে এগুলো কিছুই করেনি। বরং আমাকে বললো এখন আমার সাথে ধানমন্ডি থেকে হেঁটে বুড়িগঙ্গা সেতুর কাছে যাবে, কোন প্রশ্ন না।

আমি অবাক হলাম। এখন মনে হচ্ছে তিনি সত্যিই একজন ব্যবসায়ী। এরপরেও প্রশ্ন করলাম বাবা হেঁটে কেন। তিনি বললেন বাবা আমিতো আজকের এই পজিশনে এই ভাবে একটু একটু করেই এগিয়ে এসেছি। গাড়ি বা বিমানের গতিতে আসিনি। তুমিতো মাত্র একদিন কষ্ট করছো। একটু ধৈর্য ধর।

বাবাকে কি করে বুঝাই আমার ক্লান্তির কথা। এর চাইতে মৃত্যু যন্ত্রণা অধিক শ্রেয়। বাবা আমার হাত ধরে হাটতে হাটতে রাত তিনটায় আমরা ব্রিজ উঠলাম। শান্ত নদী ব্রিজে আমি আর বাবা। ব্রিজের রেলিং ধরে দাড়িয়ে বাবা আমাকে বললো দেখ রবিন নিচের কেমন অথৈই পানি টলমল করছে। তুমি আমার হাতে ৪০ টাকা দিয়েছে তাই না!!

জ্বি বাবা, আমার জীবনের প্রথম উপার্জন। আমি জানি রবিন এই টাকা গুলো উপার্জন করতে তোমার অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। এখন তোমাকে যা বলি শোন। আমি জানি আমার ছেলে ছোট বেলা থেকেই ম্যাথমেটিক্সে খুবই ভাল। তাহলে ভাল গুনতেও পারো আশা করি। এখন আমি তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলবো আর তুমি বলতে থাকবে বাকি কয়টা রইলো।

বাবার কথা শুনে আমার চোঁখে আবার পানি চলে আসলো। বাবা তার সমস্ত শক্তি দিয়ে একটা কয়েন সেতু থেকে দূরে পানিতে ছুড়ে ফেলে বললো রবিন এখন কয়টা রইলো। আমি কাঁদতে কাঁদতে বললাম বাবা ৩৯ টা। এই ভাবে এক এক করে আমার চোখের সামনে আমার জীবনের প্রথম উপার্জিত এতো কষ্টের সব গুলো টাকা পানিতে ফেলতে লাগলো আমি এক এক করে গুনছি।

এমন একটি পরিস্থিতির বর্ননা দেয়ার ভাষা আমার জানা নেই। শুধু জানি আমার চোঁখ থেকে ঝরে পরা প্রতিটি অস্রু যেন কেরোসিনের তেলের মতোই আমার হৃদয়কে পুড়িয়ে ছাই করে দিচ্ছে। বাবা আমার গায়ে কোন দিন হাত তুলেননি, কোন দিন একটা বকাও দেয়নি, আজ মনে হচ্ছে সব সুদে আসলে পুসিয়ে নিচ্ছে। শেষের টাকাটা বাবা ফেলোনা।

তারপর বললো রবিন তোমার উপার্জনের ৪০ টাকা আজকে আমি নষ্ট করতে তুমি কাঁদলে আর আমার কতো টাকা তুমি এইভাবে নষ্ট করেছো কোথায় আমিতো একবারও কাঁদিনি। তোমার অনুভুতিতে যেমন কষ্ট লাগেছে আমারও ঠিক তেমনি অনুভূতি আছে কষ্ট উপলব্ধি করার জন্য। তোমার শেষের টাকা আমি রেখে দিলাম এটা আমার সন্তানের প্রথম উপার্জিত টাকা এটা এক জন পিতার জন্য গর্বের একটা প্রাপ্তি, এটা স্মৃতি হিসেবে আমি মৃত্যু পর্যন্ত সাথে রাখবো।

তুমি কাল তোমার মায়ের কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়ে নিও। বাবার এই কথা গুলো শুনার পর নিজেকে বড় বেশি অপরাধী মনে হচ্ছিল। আবেগ আর ধরে রাখতে পারছিলাম না। আমি বাবাকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে কান্না করতে করতে বললাম বাবা আমার টাকা লাগবে না।আমি এতো দিন স্কুলে কলেজে কিছুই শিখিনি, যেটা তুমি আজকে শিখালে, তুমি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ বাবা। একজন আদর্শ বাবার চাইতে বড় শিক্ষক কেউ হতে পারেনা। একজন আদর্শ পিতাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক।

রফিক'কে সেলসম্যান  হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে দোকানের বিক্রি ছয়গুন বেড়ে যাওয়ায় মালিক চিন্তায় পড়ে গেলো। এতো বিক্...
23/06/2024

রফিক'কে সেলসম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে দোকানের বিক্রি ছয়গুন বেড়ে যাওয়ায় মালিক চিন্তায় পড়ে গেলো।

এতো বিক্রি কিভাবে সম্ভব সেটা দেখার জন্য একদিন সে দোকানে গিয়ে দেখল রফিক এক ক্রেতার কাছে মাছ ধরার ছিপ বিক্রি করছে।

রফিক ক্রেতার কাছে একটা ছিপ ২৫০ টাকায় বিক্রি করল, তারপর-
রফিকঃ স্যার এ-রকম জুতা পড়ে তো মাছ ধরা যাবে না, মাছ ধরতে হলে আপনার স্পোর্টস সু লাগবে।

ক্রেতা ১৬০০ টাকা দিয়ে স্পোর্টস সু কিনলো।
রফিকঃ রোদের মধ্যে যেহেতু অনেক সময় বসে থাকতে হবে তাই একটা ক্যাপও লাগবে।
ক্রেতা একটা ক্যাপ কিনলো।
রফিকঃ যেহেতু দীর্ঘ সময় বসে থাকতে হবে তাহলে তো স্বাভাবিক ভাবে ক্ষুধাও লাগবে।
ক্রেতা কিছু বিস্কিট এবং চিপস কিনলো।
রফিকঃ মাছ যে ধরবেন সেইটা রাখবেন কিসে? আপনার একটা বস্কেট লাগবে মাছ রাখার জন্য।
ক্রেতা একটা বস্কেটও কিনলো।
এভাবে রফিক ক্রেতার কাছে মোট ২৫০০ টাকার পন্য বিক্রয় করলো।

মালিক খুব খুশি হয়ে বললঃ “তুমি তো দেখি অনেক ভালো একজন বিক্রেতা, একটা মাছের ছিপ কিনতে আসা ক্রেতার কাছে এতো কিছু বিক্রি করে ফেললা !”

রফিকঃ মালিক, আসলে ঐ ব্যাক্তি বৌয়ের জন্য স্যানোরা কিনতে আসছিল। আমি তাকে বললাম চার দিন বাসায় বসে থেকে কি করবেন, সময় কাটানোর জন্য বরং মাছ শিকার করেন...........🤣🤣🤣

(সংগৃহীত)

04/06/2024
28/05/2024

মালিবাগে এখন্ও অনেক রাস্তা পানির নিচে.........

24/05/2024

সুইডেন এম্বাসি ঢাকায় সহজে সেনজেন ভিসার বিশাল সুযোগ,
সুইডেন এম্বাসি ঢাকা নতুন করে একটি অসাধারণ সুযোগ দিচ্ছে যেখানে ইন্টারভিউ এবং অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়াই খুব কম সময়ে সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সুইডেন, সেনজেন কান্ট্রির সদস্য হিসেবে, আরও ৮টি সেনজেন দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এই দেশগুলো হলো: ফিনল্যান্ড, আইসল্যান্ড, বেলজিয়াম, স্লোভেনিয়া, পোল্যান্ড, লাটভিয়া, লুক্সেমবার্গ এবং নেদারল্যান্ডস। এই ৮টি দেশের যে কোনো একটিতে ভ্রমণের জন্য আপনাকে সুইডেন এম্বাসির মাধ্যমে ভিসার আবেদন করতে হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া সহজীকরণ:
এই নতুন সুবিধা ইন্টারভিউ এবং অ্যাপয়েন্টমেন্টের ঝামেলা ছাড়াই দ্রুত ভিসা পাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে। যেকোনো সময় আপনি আবেদন করতে পারবেন এবং এতে সময়ের সাশ্রয় হবে।

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস:
সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে কিছু নির্দিষ্ট ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টসগুলো হলো:
- পূর্ণাঙ্গভাবে পূরণকৃত ভিসা আবেদন ফর্ম।
- দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।
- বর্তমান পাসপোর্ট এবং পূর্বের সব পাসপোর্ট।
- ভ্রমণের উদ্দেশ্য সম্পর্কিত বিবরণ এবং স্পন্সর লেটার (যদি থাকে)।
- ভ্রমণ স্বাস্থ্য বীমা যা সেনজেন এলাকায় বৈধ।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট (সর্বশেষ ৬ মাসের)।
- কর্মসংস্থান প্রমাণপত্র বা শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র।

ভ্রমণ ইতিহাস:
সেনজেন ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে সাধারণত পূর্বে কিছু দেশের ভ্রমণ ইতিহাস থাকতে হয়। এতে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। তবে প্রথমবারের আবেদনকারীরাও আবেদন করতে পারেন, কেবল যথাযথ ডকুমেন্টস প্রদান নিশ্চিত করতে হবে।

সময়সীমা:
সাধারণত, সেনজেন ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সময় ১৫ দিন থেকে ৩০ দিন পর্যন্ত হতে পারে। তবে সুইডেন এম্বাসি ঢাকা থেকে নতুন সুবিধার আওতায় এই সময় আরও কম

14/05/2024

কানাডার টুরিস্ট ভিসায় সফলতা পাওয়ার জন্য কিছু ধাপ আছে যেগুলো আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ।
🔶 প্রথমত যেই ধাপটি কানাডার ভিজিট ভিসা পাওয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো VISA APPLICATION LETTER অথবা SOP (Statement of Purpose). অনেকেই হয়ত জানেন কানাডার টুরিস্ট ভিসা হলো ডকুমেন্টস নির্ভর ভিসা তবে ডকুমেন্টস থেকেও অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলো এই VISA APPLICATION LETTER. আপনার ডকুমেন্টস অনেক স্ট্রং তবে আপনি যদি এই লেটারে নিজের ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যকে সঠিক ভাবে উপস্থাপন করতে না পারেন তাহলে আপনার ভিসা পাওয়ার সম্ভাবনা কম। সুন্দর এবং সুমধুর একটি VISA APPLICATION LETTER এর মাধ্যমে আপনার ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা এবং প্রয়োজনীয়তা গুলো উল্লেখ করা লাগবে। এই লেটারে আপনি যা উল্লেখ করবেন তা অবশ্যই আপনার প্রোফাইলের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ হওয়াটা জরুরি। তাই একজন প্রফেশনাল এক্সপার্ট কাওকে দ্বারা এই VISA APPLICATION LETTER লিখাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
🔶 দ্বিতীয়ত কানাডার ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে যেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো অর্থনৈতিক অবস্থা প্রমান করা অথবা Proof of income. আপনি ব্যবসা বা চাকরি যেটাই করেন না কেনো, আপনার মাসিক আয় যে ভালো সেটা প্রমান করাটা জরুরি। তবে এর মানে এই নয় যে আপনার ব্যাংকে অনেক অনেক পরিমাণ টাকা থাকা লাগবে। শুধুমাত্র কানাডা ঘুরে আসার জন্য যতোটুকু টাকা প্রয়োজন অতটুকু টাকা ব্যাংকে থাকাটাই যথেষ্ট।
🔶 তৃতীয় যেই জিনিষটি কানাডার ভিসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সেটি হলো ট্রাভেল হিস্ট্রি বা পুর্বে অন্যান্য দেশে ট্রাভেল করার অভিজ্ঞতা থাকা। কানাডার মতো দেশে ট্রাভেল করার জন্য আপনার অবশ্যই দুই একটি দেশ ট্রাভেল থাকাটা জরুরী তবে ব্যাপারটি এমন নয় যে আপনি অনেকগুলো দেশ ভিজিট করলেই সহজে কানাডার ভিসা পেয়ে যাবেন। পূর্ববর্তী ট্রাভেল হিস্ট্রি কেবল একটি সহায়ক ভুমিকা পালন করে মাত্র। ট্রাভেল হিস্ট্রি এর পাশাপাশি আপনাকে সঠিক নিয়মে ডকুমেন্টস গুছাতে হবে এবং VISA APPLICATION LETTER লিখতে হবে।
🔶 চতুর্থ গুরুত্বপূর্ণ জিনিষ হলো ইনভাইটেশন। আপনার পরিচিত কেও কানাডাতে থাকলে তার থেকে ইনভাইটেশন নিয়ে আসতে পারেন। ইনভাইটেশন এর ফরমেট আমরাই আপনাকে দিয়ে দিবো। ইনভাইটেশন একটি সহায়ক ভুমিকা পালন করে অবশ্যই তবে এটি বাধ্যতামুলক নয়। আপনার যদি কানাডাতে কেও না থেকে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি ইনভাইটেশন ছাড়া হোটেল এড্রেস ব্যবহার করতে পারেন।
🔶 পঞ্চম এবং সর্বশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো আপনার কান্ট্রি টাই প্রমান করা৷ আপনার যে নিজ দেশের প্রতি টান আছে এবং আপনি যে কানাডা থেকে ফেরত আসবেন সেটা প্রমান করাটা গুরুত্বপূর্ণ এবং এটি প্রমান করার পথ হলো VISA APPLICATION LETTER এর মাধ্যমে নিজের দেশে যে আপনার শক্ত একটি অবস্থান আছে সেটা উল্লেখ করা।
🔷 কানাডার ভিজিট ভিসার জন্য যেসব ডকুমেন্টস প্রয়োজন তা সহজে আপনাদের জন্য উল্লেখ করার চেষ্টা করছিঃ
১. বর্তমান পাসপোর্ট এর স্ক্যানড কপি (ইনফরমেশন পেজ অর্থাৎ যেখানে আপনার তথ্য রয়েছে সেই পেজ) অবশ্যই পিডিএফ ফরমেটে হতে হবে।
২. পুরাতন পাসপোর্ট এর স্ক্যানড কপি (যেখানে বিগত ১০ বছরের এন্ট্রি এবং এক্সিস্ট সিল রয়েছে অর্থাৎ শুধু ভিসা ও সিল রয়েছে সেই পেজ গুলা লাগবে) অবশ্যই একটা পিডিএফ ফরমেটে হতে হবে।
৩. শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত তথ্য যেমন ইউনিভার্সিটির নাম, পোস্ট গ্রাডুয়েশন এর পাশের সাল। কোন ধরনের সার্টিফিকেট লাগবে না শুধুমাত্র পাশের সাল গুলো (ব্যবসায়িদের ক্ষেত্রে পড়াশোনা খুব বেশি জরুরী না,থাকলে দিতে পারেন না থাকলে খুব বেশি জরুরি না)
৪. বিগত ৪ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সলভেন্সি এফডিআর থাকলে দিতে পারেন (এটাসটেড)
৫. ব্যবসায়ী হলে ট্রেড লাইসেন্স এর কপি ইংলিশ নোটারাইজড
৬. অ্যাসেট ভাল্যুশন (এটা সিএ ফার্ম থেকে করে দিতে হবে এবং নোটারাইজড হতে হবে)
৭. চাকুরীজীবি হলে স্যালারি স্ট্যাটমেন্ট অথবা পে স্লীপ লাগবে
৮. ওয়াইফ, ভাই-বোন, সন্তান এর বাসার এড্রেস, ফোন নাম্বার ইমেল আইডি
৯. বাবা মা এর জন্ম সাল যদি জীবিত থাকে, মৃত্যু হলে প্রয়োজন নেই।
১০. ম্যারেজ সার্টিফিকেট ইংলিশ করে দিতে হবে। (নোটারাইজ)
১২. ভোটার আইডির স্ক্যান কপি বা বার্থ সার্টিফিকেট এর স্ক্যান কপি (ভোটার আইডির সাথে যদি পাসপোর্ট এর কোন প্রবলেম ও থাকে সেই ক্ষেত্রে চিন্তার কোন কারণ নেই sop তে লিখে দিলেই হবে
১৩. ৩৫*৪৫ সাইজ এর ছবি কানাডায়িন সাইজ।
১৪. পাসপোর্ট, বাসার এড্রেস, ইমেইল আইডি, ফোন নাম্বার।
বর্তমানে কানাডার এম্বাসি ফি এবং ভিএফএস ফিংগার দেয়ার ফি হলো $১৮৫ কানাডিয়ান ডলার।
সকল ডকুমেন্টস এবং এম্বাসি ফি জমা দেয়ার পর আপনাকে গুলশানের ভিএফএসে যেয়ে ফিংগার প্রিন্ট দেয়া লাগবে তারপর কেবল অপেক্ষা করা লাগবে এম্নাসি এর সিদ্ধান্তের জন্য। যদি এম্বাসি আপনার ভিসা অনুমোদন করে থাকে তাহলে ইমেইল এর মাধ্যমে পাসপোর্ট গুলশানের ভিএফএসে জমা করতে বলবে। আপনার পাসপোর্ট ভিএফএস থেকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হবে এবং সেখান থেকেই ভিসা প্রিন্ট হয়ে পরবর্তীতে ভিএফএস থেকেই আপনার পাসপোর্ট আপনাকে ফেরত দেয়া হবে।

Address

House-24, Road-6, Rupnagar, Mirpur/7
Dhaka
1216

Telephone

+8801841717563

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Saimum DUNYA posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Saimum DUNYA:

Videos

Share

Category


Other Travel Companies in Dhaka

Show All