Bike-e Bangladesh - বাইকে বাংলাদেশ

Bike-e Bangladesh - বাইকে বাংলাদেশ We wish to travel our whole country by Motorbike.. Stay with us to see our beautiful Bangladesh in a

01/08/2022

***Warning***

Always Wear Helmet
Never Speed Up in City Road
Always Keep an Eye on Side Mirror
Strictly Maintain Lane







বেরাইদ নৌকাঘাট অনেকে বেরাইদ ৩০ ফিট বলে থাকে। বিকেলে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার একটি জায়গা।ভাটারা পুলিশ স্টেশন থেকে বসুন্ধরা...
30/07/2022

বেরাইদ নৌকাঘাট

অনেকে বেরাইদ ৩০ ফিট বলে থাকে। বিকেলে সময় কাটানোর জন্য চমৎকার একটি জায়গা।

ভাটারা পুলিশ স্টেশন থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দক্ষিণ গেটের সামনের ১০০ ফিট মাদানি এভিনিউ দিয়ে মাত্র ৭ কিলোমিটার।

#বেরাইদ
#১০০ফিট



16/07/2022

Drive safely, Drive responsibly







Hello Biker Brothers 🖤ঈদ মানে আনন্দ কিন্তু ঈদ আসলেই   অত্যাধিক  পরিমানে  বাইক অ্যাক্সিডেন্ট  হয় এইজন্য  বাইকার ভাইরা এক...
29/04/2022

Hello Biker Brothers 🖤

ঈদ মানে আনন্দ কিন্তু ঈদ আসলেই অত্যাধিক পরিমানে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট হয় এইজন্য বাইকার ভাইরা একটু সাবধান বাইক রাইড করবেন।
#ঈদে_বাড়ী_মুখো_বাইকার_ভাইদের_জন্য_টিপস

# যে সকল বাইকার ভাইরা হাইওয়েতে বাইক চালিয়ে বাড়ী যাবেন আপনজনের সাথে ঈদ উৎযাপন করতে, সেই সকল বাইকার ভাইদের জন্য আমার সামান্য অভিজ্ঞতা শেয়ার করলাম। আশা করি এই টিপস্ আপনার অনেকটা কাজে আসবে।

এবার আসুন মূল কথায়ঃ

#প্রথমত_পোষাকঃ-

১। অবশ্যই জিন্স পড়বেন।
ফরমাল পেন্ট পড়বেন না।
২। ফুল হাতা গে‌নজি অথবা শার্ট পড়‌বেন।
এটা যেন একটু ফিটিং হয়।
৩। অবশ্যই কেডস্ পড়বেন।
৪। হাতে গ্লাভস্ পড়বেন।
৫। অবশ্যই ফুল ফেস হেলমেট পড়বেন। চলন্ত অবস্থায়
হেলমেটের গ্লাস উঠিয়ে রাখবেন না।
৬। এলবো এবং নি-গার্ড থাকলে পড়ে নিবেন।
৭। সামনের পকেটে মোবাইল রাখবেন না।
৮। পিছনের পকেটে মানিব্যাগ রাখবেন না।
৯। মোবাইল এবং মানিব্যাগ রাখার জন্য
ওয়েষ্ট ব্যাগ ব্যবহার করবেন।
১০। অবশ্যই রিফ্লেক্টিং জ্যাকেট পড়বেন।
১১। যেহেতু বৃষ্টির দিন, তাই
রেইনকোট অবশ্যই সাথে রাখবেন।

#দ্বিতীয়তে_আসি_আপনার_বাইকেঃ-

১। যেদিন আপনি রওনা দিবেন তার এক/দুই দিন আগেই একজন ভালো মেকানিক দিয়ে আপনার বাইকটা চেক করিয়ে নিবেন। যদি সামান্যতম ত্রুটিও থাকে, সেটা অবহেলা না করে সমাধান করে নিবেন।

২। চাকার হাওয়ার প্রেসারঃ-
সামনের চাকায় সর্বোচ্চ ৩০, এবং
পিছনের চাকায় সর্বোচ্চ ৪০ রাখবেন। এবং তা নিজের চোখে মেপে দেখে নিবেন ।

৩। ড্রাইভিং লাইসেন্সের এর মূল কপি।
ট্যাক্স টোকেন এর মূল কপি।
রেজিস্ট্রেশন কাগজ এর মূল কপি।

৪। বাইক স্টার্ট করার আগে দুই চাকার ব্রেক, ক্লাস, হেড লাইট, হর্ণ, ইন্ডিকেটর লাইট চেক করে নিবেন। এবং চাকায় লিক আছে কিনা চেক করে নিবেন।

৫। আপনার কাপড়ের ব্যাগটা বাইকের বেক সীটে ভালো করে টাইট করে বেঁধে নিবেন। সামান্য প্রকারও যেন নড়াচড়া না করে।

৬। ব্যাগ কোন অবস্থাতেই কাধে বা
পিঠে নিবেন না।

৭। বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রা‌তে বাইক
জার্নি করবেন না।

৮। হাইওয়েতে যখন উঠবেন তখন আপনার বাইকের ব্যাক লাইট, হেড লাইট / ফগ লাইট জ্বালিয়ে রাখবেন।

#এবার_আসুন_সতর্কতাঃ-

১। বিসমিল্লাহ বলে বাইক স্টার্ট করবেন।

২। আপনি যত এক্সর্পাট বাইকারই হোন না কেন, হাইওয়েতে ৯০+ স্পিডের বেশি চালাতে যাবেন না।

৩। ৪৫ থেকে ৫০ কিঃমিঃ পর পর ১০ থেকে ১৫ মিনিটের বিরতি দিবেন। এতে আপনার বাইকের রেস্ট হবে, সাথে আপনারও। এই বিরতিতে আপনি চা/পানি খেয়ে নিতে পারেন।

৪। নিরিবিলি জায়গায় বিরতি দিবেন না। এতে আপনি ছিনতাইকারির কবলে পড়তে পারেন।

৫। বাইক স্টার্ট করা থেকে শুরু করে, প্রতি বিরতির পর বাইক স্টার্ট করার আগে একটা সেন্ট্রার ফ্রেস/ফ্রুট মুখে দিয়ে নিবেন।

এই সেন্ট্রার ফ্রেস/ফ্রুট আপনি আপনার বাসার কাছের দোকান থেকে নিয়ে নিবেন।
এই সেন্ট্রার ফ্রেস/ফ্রুট আপনাকে চলন্ত বাইকে প্রানবন্ত রাখবে।

৬। পানির বোতল ও স্যালাইন সাথে রাখবেন।
যেটা আপনি আপনার বাসা থেকেই বা বাসার কাছের দোকান থেকে নিয়ে নিবেন।

৭। চলন্ত বাইকে মোবাইলে কথা বলবেন না।

৮। পুলিশের পোষাক ছাড়া কেউ সিগনাল দিলে দাড়াবেন না।

৯। পুলিশের পোষাকে পুলিশ সিগনাল দিলে অবশ্যই দাড়াবেন। এবং বিনয় ও সন্মানের সহিত কথা বলবেন।

১০। আপনি যদি সিঙ্গেল বাইকার হোন তাহলে আপনার বাইকের গতির সাথে মিলিয়ে যে কোন একটা চার চাকার গাড়ির পিছু পিছু যাবেন। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া তাকে ওভারটেক করবেন না।
এবং ঐ গাড়ির ডান চাকার দাগে দাগে চালাবেন। দুই চাকার মাঝ বরাবর চালাতে যাবেন না। এতে আপনার বিপদ হতে পারে। এবং উক্ত গাড়ি থেকে কমপক্ষে ১০০ হাত দূরুত্ব বজায় রাখবেন।

১২। তিন চাকার পরিবহন (অটোরিক্সা, রিক্সা, সিএনজি, টেম্পু) থেকে ১০০০ হাত দূরে থাকবেন। কারন এরাই হবে আপনার দূর্ঘটনার প্রধান কারন।

১২। হাইওয়েতে কেউ লিফ্ট চাইলে দাড়াবেন না।

১৩। হাইওয়েতে কেউ বিপদগ্রস্থ হয়ে আপনার কাছে সাহায্য চাইলে ভুলেও দাড়াবেন না। কারন ছিনতাইকারি বিপদগ্রস্থ মানুষ সেজে আপনাকে দাড় করিয়ে আপনার বাইক সহ মূল্যবান জিনিস পত্র নিয়ে যাবে। যদি সত্যি সত্যি বিপদগ্রস্থ হয়, তাহলে হাইওয়ে পুলিশকে জানাতে পারেন।

১৪। চলন্ত বাইকে লুকিং গ্লাস ফলো করবেন।

১৫। যে কোন গাড়ি আপনাকে ওভারটেক করার সময় অথবা আপনি ওভারটেক করতে গেলে কমপক্ষে ৫ হাত দূরত্ব বজায় রাখ‌বেন।

১৬। বাইকের তেল ফুল ট্যাংকি ভরে নিবেন।

১৭। ভাংতি টাকা সাথে রাখবেন।
ব্রীজ/ফেরি তে টোল দিতে কাজে আসবে।

১৮। গান শুনতে শুনতে বাইক চালাবেন না।

১৯। মোবাইলে লাস্ট ডায়ালে এমন একজনের নাম্বার রাখবেন, যেন কোন সমস্যা হলে সাথে সাথে তাকে কল দিতে পারেন।

২০। রাস্তা ঘাটে না পারতে কোন খাবার খাবেন না। যদি খেতেই হয় তাহলে ইনটেক্ট খাবারের প্যাকেট কিনবেন। অথবা বাসা থেকে শুকনা খাবার সাথে নিতে পারেন।

সাবধানে বাইক চালাবেন, সতর্ক থাকবেন।

সবাইকে োবারক। ❤❤❤ কালেক্টেড ❤❤❤

10/03/2022

Sajek Tour 2021: Video Final Part

Road to Sajek Valley

#সাজেক #মেঘ #হাপংটং #কংলাক

03/02/2022
২০ নভেম্বর ২০২১সাজেক ট্যুর (Final Part)সাজেক ভ্যালি মূলত দুইটি এলাকায় বিভক্ত। রুইলুই পাড়া ও কংলাক পাড়া। সাজেকে উঠেই যেই ...
03/12/2021

২০ নভেম্বর ২০২১

সাজেক ট্যুর (Final Part)

সাজেক ভ্যালি মূলত দুইটি এলাকায় বিভক্ত। রুইলুই পাড়া ও কংলাক পাড়া। সাজেকে উঠেই যেই এলাকা এটার নাম রুইলুই পাড়া। এই এলাকার উচ্চতা সমতল থেকে ১৭০০ ফুটেরও বেশি। মেঘপুঞ্জি, অবকাশ ইকো, মেঘ কাব্য ইত্যাদি রিসোর্ট গুলি এখানে। এগুলো পার হয়ে হেলিপ্যাড, বিজিবি ক্যাম্প ছাড়িয়ে আরও ২/৩ কিলো পাহাড়ি পথ গেলে পড়বে কংলাক পাহাড়। এই পাহাড় রুইলুই পাড়া এলাকা থেকে ১০০ ফুট উঁচু। পাহাড়ের গা কেটে তৈরি করা রাস্তা বেয়ে উপরে উঠলে পড়বে কংলাক পাড়া। ক্লাউড ক্যাসেল, রক প্যারাডাইজ, কংলাক স্কাই ভিউ ইত্যাদি খরচবহুল রিসোর্টগুলি এখানে অবস্থিত। এখান থেকে ভোরবেলা মেঘের খুব ভালো ভিউ পাওয়া যাবে। তবে খাবার পানি থেকে শুরু করে সবকিছুর দামই এখানে অনেক বেশি পড়বে। এছাড়াও এখানে কোনো রিসোর্টে উঠলে গাড়ি নিয়ে এখানে আসা যাবে না। গাড়ি পাহাড়ের নিচে রেখে হেঁটে পাহাড়ে উঠে রিসোর্টে ঢুকতে হবে।
পাহাড়ের মাথায় একেবারে টপ পয়েন্টে ছোট একটা খোলা জায়গা আছে যেখান থেকে প্রায় পুরো পৃথিবী দেখতে পাবেন।😄 এই পাহাড় থেকে যতদুর চোখ যায় দিগন্ত পর্যন্ত ছোট ছোট উঁচুনিচু পাহাড় আর খুব খেয়াল করে দেখলে আঁকাবাঁকা রাস্তা চোখে পড়বে। গভীর রাতে আশপাশের ছোটো ছোটো পাহাড়ের ফাঁকে ফাঁকে মেঘ জমতে শুরু করে। মাথার উপরের আকাশে ফিনিক ফোটা জোৎস্নার আলোয় দেখলে মনে হবে হয়তো কোনো সমুদ্রের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছি। কখনো মেঘ সরে গেলে হাজার ফুট নিচে কোথাও কোথাও আবছাভাবে দেখা যায় টিমটিমে কোনো বৈদ্যুতিক বাতি কিংবা আঁকাবাঁকা রাস্তায় উঠে আসতে থাকা কোনো চান্দের গাড়ির আলো। সুনসান নিস্তব্ধতা আর হঠাৎ করে ডেকে ওঠা কোনো রাতপাখির ডাক সবমিলিয়ে অপার্থিব এক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায় রাতের বেলায় এই কংলাক থেকে।
আমাদের এবারের ট্যুর এপর্যন্তই ছিলো। আবারও ফিরে আসব দুই চাকায় ভর করে নতুন কোনো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখতে।
#হ্যাপি_রাইডিং✌️

#সাজেক
#কংলাক

#মেঘ
#হাপংটং



২০ নভেম্বর ২০২১সাজেক ট্যুর (Part 2)উঠেছিলাম হাপংটং কটেজে। সাজেক ভ্যালিতে উঠতেই হাতের বামে রুইলুই পাড়ায় অবস্থিত কাঠের তৈর...
30/11/2021

২০ নভেম্বর ২০২১

সাজেক ট্যুর (Part 2)

উঠেছিলাম হাপংটং কটেজে। সাজেক ভ্যালিতে উঠতেই হাতের বামে রুইলুই পাড়ায় অবস্থিত কাঠের তৈরি কটেজটিতে দোতলায় রুম আছে একটি। অন্যান্য রুম গুলি নিচের তলায়। ভিউ ভালো পাওয়া যায় এই দোতলার রুম থেকেই। এখানে রুম ভাড়া ছুটির দিনে 2500 অন্যান্য দিন 2000 করে। টয়লেটের অবস্থা অন্যান্য কটেজের তুলনায় যদিও খুব একটা ভাল না তারপরও বাজেট ট্যুরের জন্য কটেজটি মোটামুটি বেস্ট হবে।
চলবে..

#সাজেক



#হাপংটং
#মেঘ

২০ নভেম্বর ২০২১সাজেক ট্যুর (Part 1)ঢাকা থেকে ৩৬৬ কি.মি (৮ ঘন্টা)আরও গিয়েছিলাম আলুটিলা গুহা,খাগড়াছড়ি, তেরাংতৈ কালাই রিছাং...
26/11/2021

২০ নভেম্বর ২০২১

সাজেক ট্যুর (Part 1)
ঢাকা থেকে ৩৬৬ কি.মি (৮ ঘন্টা)

আরও গিয়েছিলাম আলুটিলা গুহা,খাগড়াছড়ি, তেরাংতৈ কালাই রিছাং ঝর্ণা, খাগড়াছড়ি, হর্টিকালচার পার্ক খাগড়াছড়ি

অনেকের ধারণা বাইক নিয়ে যেকোনো সময়ই দীঘিনালা বা বাঘাইহাট থেকে সাজেকের দিকে যাওয়া যায়। ব্যাপারটা এমন না। বাঘাইহাট থেকে বিজিবির এসকর্ট সকাল ১০টায় আর দুপুর ৩টায় সাজেকের দিকে যায়। সকল ট্যুরিস্টদের চান্দের গাড়ি, প্রাইভেট কার, সিএনজি বা বাইক শুধুমাত্র ওইসময়টাতেই যেতে দেওয়া হয়। আবার সাজেক থেকে ফেরার সময়ও একই শিডিউলে সবাই ফেরত আসে। অযথা বেশি আগে আসলেও লাভ নেই আবার লেট করে ফেললেও যাওয়া যাবে না। সুতরাং এখানে আসার আগে সবাই এই সময় শিডিউল অনুসারে ট্যুর প্ল্যান করে আসবেন।
হ্যাপি ট্রাভেলিং✌️


#হাপংটং
#সাজেক
#কংলাক


#মেঘ

23/11/2021



#সাজেক


25/10/2021

১৪ অক্টোবর ২০২১
ঢাকা - ফরিদপুর
১২০ কি.মি (৪ ঘন্টা)



ভাটেরচর, মুন্সিগঞ্জঢাকা থেকে ৪৫ কিলোমিটার সময় লাগবে ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট map link: https://maps.app.goo.gl/1BukbdWFQasVsAmU9...
01/10/2021

ভাটেরচর, মুন্সিগঞ্জ
ঢাকা থেকে ৪৫ কিলোমিটার
সময় লাগবে ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট
map link: https://maps.app.goo.gl/1BukbdWFQasVsAmU9

#কাশফুল
#লুটেরচর
#ভাটেরচর
#মুন্সিগঞ্জ

Rate us & leave a review please. your valuable feedback paves the way of our future.
24/09/2021

Rate us & leave a review please. your valuable feedback paves the way of our future.

19/09/2021

#কাশফুল
#উত্তরা_দিয়াবাড়ি
শরতের বিকেলে কাশফুল দেখতে বাইকে বাংলাদেশের সাথে উত্তরা দিয়াবাড়ি🌸🌼🌿

২২/০৮/২০২১শারিঘাট, কেরানীগঞ্জ ঢাকা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটারসময় লাগবে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট ম্যাপ লিংকঃ https://maps.app.goo.gl...
22/08/2021

২২/০৮/২০২১
শারিঘাট, কেরানীগঞ্জ
ঢাকা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার
সময় লাগবে ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট
ম্যাপ লিংকঃ https://maps.app.goo.gl/ARV29wMJhrCzfQpJ6

#সারিঘাট

19 May 2021Total 417 km round trip
30/06/2021

19 May 2021
Total 417 km round trip

LONGEST TOUR OF THE YEAR (PART-3)আলীকদম মারায়তং, আলী কদম, বান্দরবান।   আলীর গুহা-Ali's Cave  ডিমপাহাড়, আলীকদম, বান্দরবান...
25/01/2021

LONGEST TOUR OF THE YEAR (PART-3)

আলীকদম
মারায়তং, আলী কদম, বান্দরবান।
আলীর গুহা-Ali's Cave
ডিমপাহাড়, আলীকদম, বান্দরবান
থানচি, বান্দরবান
দ্যা দামতুয়া ইন
Yasin Hotel (Marayong Tong)
Chittagong Patenga & Naval Sea Beach চট্রগ্রাম পতেঙ্গা এবং নেভাল সি বিচ

ঢাকা থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (১২ ঘন্টা ড্রাইভিং টাইম)

১ম পর্বের লিংকঃ https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=218150456671555&id=106567471163188

২য় পর্বের লিংকঃ
https://www.facebook.com/106567471163188/posts/226325489187385/

(৩য় পর্ব) মেরাইথং এর চূড়া

২৭/১২/২০২০

মেরাইথং এর চূড়ার কাছাকাছি পৌঁছে দেখি পেছন থেকে একটা ইট ভর্তি ট্রাক উঠে আসছে। এত খাড়া পথে এত ওজন নিয়ে কিভাবে ট্রাকটা এত উপরে উঠে আসছে দেখে বিস্মিত হলাম। হেরিং বন্ড রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। যেখানে এখন আছি এখানে কোন রাস্তা নেই। এই শেষ অংশের রাস্তাটুকু বানানোর জন্যই এই ট্রাকে করে ইট নিয়ে আসা। শেষপর্যন্ত উঠে এলাম চূড়ায়। সৌন্দর্যের কথা ভাষায় প্রকাশ করার মত না। যতদূর চোখ যায় শুধু উঁচুনিচু সবুজ পাহাড়ের সারি, নিচে সমুদ্রের মত মেঘ আর মাথার উপর পরিস্কার ঝকঝকে নীলাকাশ। বসে রইলাম কিছুক্ষণ স্তম্ভিত হয়ে। চূড়ার উপরটা বেশ সমতল। এখানে দুইটি মন্দির দেখতে পেলাম। একটিতে বুদ্ধমূর্তি অন্যটিতে কিসের বা কার মূর্তি চিনতে পারলাম না। চূড়ার ঠিক মাঝখানে একটি বিশালাকৃতির বটগাছ। এর নিচেই ট্যুরিস্টরা ক্যাম্পিং করে থাকে। বেশকজন ট্যুরিস্ট দেখলাম যারা রাতে ক্যাম্পিং করেছিল এখন মালামাল গোছাচ্ছে। ঘুরে দেখতে দেখতে আর ছবি তুলতে তুলতে কখন যে ঘন্টা পার হয়ে গেল বুঝলামই না। এদিকে সূর্য মাথার উপর উঠে আসছে। তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথে নিচের সমস্ত মেঘ পরিষ্কার হয়ে গিয়ে ছোটছোট বাড়িঘর, রাস্তা আর সাপের মতো এঁকেবেঁকে চলা মাতামুহুরি নদী স্পষ্ট হয়ে উঠলো। দেখার মত আর কিছু নেই তবুও নিশ্চুপ পাহাড়ের মাথায় ঝকঝকে নীল আকাশের নিচে বসে থেকে একাকীত্ব, শূণ্যতা আর নির্জনতার মিশ্রনে যে অদ্ভুত অনুভূতিটা হচ্ছিল সেটা ঝেড়ে ফেলে নামতে ইচ্ছা করছিল না একটুও। মনে হচ্ছিল যেন নিচের পৃথিবীর আনন্দ, দুঃখ, হতাশা, মায়া, ভালোবাসা সবকিছু ছাড়িয়ে অপার্থিব এক জগতে চলে এসেছি। একটু পর দেখলাম ইটের ট্রাকটা ইট নামিয়ে চলে যাচ্ছে। তড়িঘড়ি করে গিয়ে ড্রাইভারকে বললাম আমাদের পাহাড়ের নিচ পর্যন্ত লিফট দিতে। রাজি হল সহজেই। বসেছিলাম সামনের সিটে। ওই সংকীর্ণ রাস্তা দিয়ে ১৭০০ ফুট উঁচু পাহাড় থেকে দক্ষ ড্রাইভার কিভাবে যে ট্রাকটা নামিয়ে নিয়ে এলো চিন্তা করা যায় না! কোনো কারণে ব্রেকটা ফেল করলেই ভবলীলা সাঙ্গ হয়ে যেতো😅। যাই হোক যেই পথ উঠেছিলাম ৩ ঘন্টায় নেমে এলাম আধাঘন্টারও কম সময়ে! ইয়াসিনের হোটেলের সামনেই ট্রাকটা আমাদের নামিয়ে দিল। অতিথিপরায়ণ ইয়াসিন ভাইয়ের হোটেলে কিছুক্ষণ রেস্ট নিয়ে হালকা নাস্তা করে বাইক নিয়ে আবারও ফিরে এলাম হোটেলে। শরীর আর চলছে না। পায়ের মাংসপেশিতেও ব্যথা শুরু হয়েছে। তারপরও রেস্ট নিয়ে আর সময় নষ্ট করা যাবে না। কারণ আজই ট্যুরের শেষদিন। যা দেখার আজ এই দিনের আলো থাকতে থাকতেই দেখে নিতে হবে। তাই দ্রুত গোসল আর লাঞ্চ সেরে বের হয়ে পড়লাম আবারও।

(চলবে)

ম্যাপ লিংকঃ https://maps.app.goo.gl/qqduw79DVb41AkEN8 (দামতুয়া ইন)
https://maps.app.goo.gl/LZRKBFa2RYoFzeZ47 (আলীকদম)
https://maps.app.goo.gl/T6xbZc1f2dXQJXKq9 (আলীর গুহা)
https://maps.app.goo.gl/wd65QzUC4nkm2MND7 (মেরাইথং জাদি)
https://maps.app.goo.gl/ecZpWfEJ3kGAcE659 (ইয়াছিন হোটেল আবাসিক বাজার)
https://maps.app.goo.gl/dnBwTtfwDWHxg1HKA (ডিম পাহাড়)
https://maps.app.goo.gl/t1eWmKnKqC2WHxPV7 (থানচি)
https://maps.app.goo.gl/8QLUhW7vbDewCbyh6 (পতেঙ্গা সী বীচ)

#আলীকদম #বান্দরবান #মেরাইথং #মারায়নতং #ডিমপাহাড়

LONGEST TOUR OF THE YEAR (PART-2)আলীকদম মারায়তং, আলী কদম, বান্দরবান।  আলীর গুহা-Ali's Cave ডিমপাহাড়, আলীকদম, বান্দরবান থ...
15/01/2021

LONGEST TOUR OF THE YEAR (PART-2)

আলীকদম
মারায়তং, আলী কদম, বান্দরবান।
আলীর গুহা-Ali's Cave
ডিমপাহাড়, আলীকদম, বান্দরবান
থানচি, বান্দরবন
দ্যা দামতুয়া ইন
Yasin Hotel (Marayong Tong)
Chittagong Patenga & Naval Sea Beach চট্রগ্রাম পতেঙ্গা এবং নেভাল সি বিচ
ঢাকা থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (১২ ঘন্টা ড্রাইভিং টাইম)

১ম পর্বের লিংকঃ https://www.facebook.com/story.php?story_fbid=218150456671555&id=106567471163188

(২য় পর্ব) আলীর গুহা ও মেরাইথং যাত্রা

২৬/১২/২০

সময় খুবই সংক্ষিপ্ত। হাতে দিনের আলো পাবার মত সময় আছে আর মাত্র দুঘন্টা। কাছাকাছি কোথাও যাবার মত জায়গা ঠিক করলাম আলীর সুড়ঙ্গ। আলীকদম থেকে পানবাজার হয়ে আলীকদম-থানচি রোড দিয়ে ৪ কি.মি পথ গেলে হাতের ডানে ঢালু রাস্তা নেমে গেছে। এই রাস্তা ধরে কিছুদূর গেলেই আলীর বাজার। এখান থেকেই হেঁটে পৌঁছাতে হয় আলীর সুড়ঙ্গ। বাজার বলতেই যেমনটা চোখে ভেসে ওঠে জায়গাটা মোটেও সেরকম না। পাহাড়ের ঢাল কেটে বানানো রাস্তার উপর দুই তিনটি স্থায়ী পাকা দোকান। রাস্তা এখানেই শেষ। পাহাড়ের গা বেয়ে নিচে কাঁচা রাস্তা নেমে গেছে। পাহাড়ের নিচে আছে একটা খাল। খালের পানি খুবই স্বচ্ছ। গভীরতা হাঁটু পর্যন্ত। এই খাল পার হলেই আবারও পাহাড়ের খাড়া ঢাল শুরু। ওই পাহাড়েই আছে আলীর সুড়ঙ্গ। দুই পাহাড়কে একত্রিত করার জন্য একটি সেতু নির্মাণাধীন রয়েছে। সেতুর কাজ শেষ হয়নি বলে পাহাড় থেকে নেমে হেঁটেই খাল পার হতে হয়। বাইক পার্ক করে হাঁটা শুরু করলাম ঘড়িতে তখন বাজে প্রায় পাঁচটা। নামতে নামতে একদল ফিরতি পথের ট্যুরিস্টের সাথে দেখা হল। সন্ধ্যা হতে মাত্র আধাঘন্টা বাকি এসময় আলীর সুড়ঙ্গে যাচ্ছি শুনে নিষেধ করল যেতে। কারণ ভরদুপুর বেলায় সুড়ঙ্গে ঢুকতেই টর্চ বা আলাদা লাইটের প্রয়োজন হয়। তাই এই সন্ধ্যার পূর্বমুহূর্তে মাত্র দুজন সুড়ঙ্গে ঢোকা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। কথা অত্যন্ত যৌক্তিক। কিন্তু এত কাছে এসে ফিরে যেতে মন চাচ্ছিল না। ভাবলাম দেখি কতদূর যাওয়া যায়। খাল পার হতে জুতা খুলে হাতে নিলাম। পায়ে কাদাপানি লেগে যাওয়ায় খাল পার হয়েও জুতা আর পরা হলো না। অগত্যা খালি পায়েই আবারও পাহাড়ের ঢালে ওঠা শুরু করলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই বেশ ঘন জঙ্গলের মধ্যে এসে পড়লাম। সেই সাথে পাহাড়ে ওঠার পথটাও আরও বেশি খাড়া হয়ে গেল। ভেজা মাটিতে খালি পায়ে বারবার পিছলে যাচ্ছিলাম। বেশ খানিকটা ওঠার পর চারপাশ অন্ধকার হয়ে এলো। ওঠার পথটাও ভয়ানক পিচ্ছিল হয়ে গেল। খালি পায়ে প্রতিটা স্টেপেই পিছল খেয়ে সামনে আর আগাতে পারছিলাম না। এদিকে শুধু আমরা দুজন ছাড়া আশেপাশে যতদুর চোখ যায় আর কাউকেই দেখা যাচ্ছে না। অগত্যা ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিলাম। মনটা খুবই খারাপ হল। আগামীকাল মেরাইথং পাহাড়ে উঠে এই মন খারাপ পুষিয়ে নেয়া যাবে চিন্তা করে মনকে সান্ত্বনা দিলাম। বাইক নিয়ে ফিরে এলাম হোটেলের কাছাকাছি। আলীকদম সেনানিবাসের পাশেই মাতামুহুরি নদীর ওপর ছোট্ট একটা ব্রিজের ওপর থামলাম। পরিবেশটা অদ্ভুত সুন্দর। দূরে দিগন্তের কাছাকাছি পাহাড়ের রেখা। তার ওপাশেই সূর্যটা কিছুক্ষণ আগে অস্ত গিয়েছে। আকাশে ঝকঝকে চাঁদ আর তারা দেখা যাচ্ছে। নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীতে আকাশের প্রতিফলন ভেসে উঠছে। সবমিলিয়ে অপার্থিব রহস্যময় পরিবেশ। বেশ কিছুক্ষণ কাটানোর পর ঠান্ডা জেঁকে বসলো। সন্ধ্যা তখন প্রায় ৭টা। মাথা ভিজে যাচ্ছে শিশির পড়ে। তাই হোটেলে ফিরে এলাম। মেরাইথং পাহাড়ের চূড়া থেকে খুব সকালে মেঘ দেখা যায়। চূড়া থেকে নিচের দিকে দেখলে মনে হয় নিচের পৃথিবীটা সম্পূর্ণই সাদা মেঘে ঢাকা। সূর্য মাথার উপর ওঠার সাথে সাথে মেঘ পরিষ্কার হয়ে যেতে থাকে। এই সৌন্দর্য দেখতে হলে খুব ভোরে রওনা দিতে হবে মেরাইথং এর উদ্দেশ্যে। তাই দ্রুত ঘুমিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। রাত ১০ টার দিকে হোটেলের বারান্দা থেকে দেখি মেঘের মত ঘন কুয়াশায় মাত্র ১০ হাত দূরের জিনিসও অদৃশ্য হবার পথে। ভোরে এই ঘন কুয়াশার মধ্যে কিভাবে বাইক চালিয়ে মেরাইথং এর নিচ পর্যন্ত পৌঁছাবো সেটা চিন্তা করতে করতে ঘুমিয়ে গেলাম।

২৭/১২/২০

ভোর ৪টায় ঘুম থেকে ওঠার প্ল্যান থাকলেও শরীর প্রচুর ক্লান্ত থাকায় উঠতে উঠতে ৫ টা বেজে গেলো। গুনে গুনে জ্যাকেটসহ পাঁচটা সোয়েটার আর দুইটা প্যান্ট পরলাম😄। বাইরে বের হয়ে দেখি কয়েকহাত দূরের জিনিসও দেখা যাচ্ছে না। বাইক, গাছপালা, রাস্তা সবকিছু ভিজে চুপসে আছে। নিস্তব্ধ প্রকৃতিতে গাছের পাতা থেকে টুপটাপ শিশির ঝরে পড়ার শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। রওনা দিলাম ভোর সাড়ে পাঁচটায়। রাস্তায় কোনো জনমানব নেই। হটাৎ একজন বা দুজন পাহাড়ি আদিবাসী দেখা যাচ্ছে পিঠে টুকরি ঝুলিয়ে হেঁটে চলেছে। বেশ অন্ধকার আছে তখনও। তাই হেডলাইট জ্বালিয়ে দিলাম। তাপমাত্রা মনে হল ১০ ডিগ্রিরও নিচে। রাস্তার সাথেই পাহাড়। অথচ সেটুকুও স্পষ্ট নয়। মনে হচ্ছে দুপাশে দেয়াল। মুখের যেটুকু অংশ বের হয়ে আছে সেটুকু আক্ষরিক অর্থেই জমে গিয়ে অবশ হয়ে গেল কিছুক্ষণের মধ্যে। চোখের পাতা ফেলতে কষ্ট হচ্ছে আবার এদিকে ঠোঁটের চামড়ায়ও টান ধরল। অবশেষে হোটেল থেকে ১০ কি.মি পঅথ পাড়ি দিয়ে মেরাইথং এর কাছাকাছি আবাসিক বাজারে যখন এসে পৌঁছালাম তখন বাজে ভোর সোয়া ছয়টা। সম্পূর্ণ মুখ অবশ হয়ে গেছে। রেইনকোট ভিজে চুপচুপা। ইয়াসিন হোটেলের পাশে বাইক পার্ক করে কিছুক্ষণ সময় নিলাম ধাতস্থ হবার জন্য। এরপর শুরু হল মেরাইথং পাহাড়ের চূড়ার উদ্দেশ্যে হাঁটা। দুই পাশের ফসলের মাঠের মধ্যখান দিয়ে গ্রামের হেরিং বন্ড রাস্তা ধরে হেঁটে চললাম। জানি আর ১ কি.মি এর মধ্যেই পাহাড় শুরু তারপরও সামনে ঘন কুয়াশার জন্য একদমই বোঝা যাচ্ছে না সামনে এত বিশাল কিছু আছে। মেরাইথং পাহাড়ের উচ্চতা প্রায় ১৭০০ ফুট। পাহাড়ের একেবারে চূড়ায় রয়েছে এক বৌদ্ধ উপাসনালয়। গ্রামের ভেতর থেকে প্রায় ৪/৫ কি.মি এই হেরিং বন্ড রাস্তা শুরু হয়ে শেষ হয়েছে চূড়ার কাছাকাছি এসে। চূড়ার ওপরের অংশটুকু সমতল। এখানেই ট্যুরিস্টরা ক্যাম্পিং করে থাকে। আমরা মাত্র দুজন ছিলাম আর সাথে বাইক ছিল বলে ক্যাম্পিং করার মত প্ল্যান করে আসিনি। ২০-২৫ মিনিট হাঁটার পর রাস্তার ঢাল খাড়া হতে থাকল। চারপাশে মেঘের মত কুয়াশা। আকাশের দিকে তাকালে দ্রুতবেগে উড়ে যাওয়া কুয়াশার আড়ালে হঠাৎ হঠাৎ আবছা সূর্যের অবয়ব বোঝা যায়। ঢালু রাস্তায় ওঠা খুবই কষ্টকর। কিছুক্ষণ পরপর হাঁফ ধরে যাচ্ছিল। পাহাড়ে ওঠার সময় মুখ খোলা রেখে নিঃশ্বাস নিলে খুব দ্রুত টায়ার্ড হয়ে যেতে হয় জানতাম তারপরও চেষ্টা করেও পারছিলাম না মুখ বন্ধ রাখতে। তাই ক্যালরি বার্ণ হচ্ছিল অনেক বেশি। সবগুলো সোয়েটার খুলে হাতে নিয়ে হাঁটতে থাকলাম। ঘন্টাখানেক ওঠার পর মনে হল হৃৎপিণ্ডটা বুঝি গলার কাছে এসে ধ্বকধ্বক করছে। উঠেছি অর্ধেকেরও কম পথ। একটু জিরিয়ে নিলাম পথের একপাশে বসে। মিনিট পনেরো বসে আবার শুরু করলাম ওঠা। বেশিক্ষণ রেস্ট নিলে শরীর আর চলবে না। হঠাৎই একসময় চারপাশের কুয়াশা পরিষ্কার হয়ে গেল। এতক্ষণে হয়তো মেঘের স্তরের উপরে উঠে এসেছি। আশেপাশের গাছপালার ফাঁক দিয়ে সূর্যরশ্মি ঠিকরে পড়ছে পথের উপর। অদ্ভুত এক সৌন্দর্য। আমরা এতক্ষণে উঠে এসেছি প্রায় ১০০০ ফুট উচ্চতায়। উঠতে উঠতে একটু খোলা জায়গা পেলে দেখা যাচ্ছে তুলট সাদা মেঘ জমে আছে নিচে। বেশ কজন আদিবাসীর দেখা পেলাম যারা পাহাড়ি কলার কাঁদি কিংবা অন্যান্য ফসল নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে আসছে। এখানে ছোট্ট একটি জনবসতির দেখা পেলাম। নাম মুরং পাড়া। এখানে বসবাসকারী সবার পরনে আদিবাসী পোশাক। ভাষা একবর্ণও বুঝি না। এদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস পাহাড়ি জমিতে জুম চাষ আর শূকর পালন। এখানে সেখানে ঘোঁৎঘোঁৎ করে ঘুরে বেড়াচ্ছে শূকরের পাল। একটা বেঞ্চ পাতা দেখে শুয়ে পড়লাম এবার। কিছুক্ষণ পর উঠে আবার রওনা দিলাম। আর আধাঘন্টা উঠলেই চূড়া। এই আধাঘন্টাকে এক বছর ধরে উঠছি মনে হল।

(চলবে)

ম্যাপ লিংকঃ https://maps.app.goo.gl/qqduw79DVb41AkEN8 (দামতুয়া ইন)
https://maps.app.goo.gl/LZRKBFa2RYoFzeZ47 (আলীকদম)
https://maps.app.goo.gl/T6xbZc1f2dXQJXKq9 (আলীর গুহা)
https://maps.app.goo.gl/wd65QzUC4nkm2MND7 (মেরাইথং জাদি)
https://maps.app.goo.gl/ecZpWfEJ3kGAcE659 (ইয়াছিন হোটেল আবাসিক বাজার)
https://maps.app.goo.gl/dnBwTtfwDWHxg1HKA (ডিম পাহাড়)
https://maps.app.goo.gl/t1eWmKnKqC2WHxPV7 (থানচি)
https://maps.app.goo.gl/8QLUhW7vbDewCbyh6 (পতেঙ্গা সী বীচ)

LONGEST TOUR OF THE YEAR (PART-1)আলীকদম মারায়তং, আলী কদম, বান্দরবান। আলীর গুহা-Ali's Caveডিমপাহাড়, আলীকদম, বান্দরবান থান...
03/01/2021

LONGEST TOUR OF THE YEAR (PART-1)
আলীকদম
মারায়তং, আলী কদম, বান্দরবান।
আলীর গুহা-Ali's Cave
ডিমপাহাড়, আলীকদম, বান্দরবান
থানচি, বান্দরবান
দ্যা দামতুয়া ইন
Yasin Hotel (Marayong Tong)
পতেঙ্গা সী বিচ, চট্টগ্রাম
ঢাকা থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার (১২ ঘন্টা ড্রাইভিং টাইম)

২৫/১২/২০২০

(১ম পর্ব)

বাইক নিয়ে বিরিশিরি থেকে শুরু করে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, ফরিদপুর, চাঁদপুর মিনি কক্সবাজার ঘুরে আসলেও কুমিল্লা পার হয়ে আর কোথাও যাওয়া হয় নি। বহুদিনের ইচ্ছা ছিল বান্দরবানের পাহাড়ে পাহাড়ে বাইক নিয়ে রাইড করার। বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বলে শেষ করা যাবে না। এই সৌন্দর্য দেখতে আগে বহুবার গিয়েছি। এবার শুধু সৌন্দর্য অবলোকন না সেই সাথে পাহাড়ি পথে নিজের রাইডিং স্কিল টেস্ট করার ঝোঁকটাও চেপে বসেছিল মারাত্মক ভাবে। পরামর্শের জন্য কারোর সাথেই ব্যপারটা শেয়ার করতে পারছিলাম না কারণ ডিসেম্বরের এই হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে বাইক চালিয়ে বান্দরবানের পাহাড়ের মাথায় ওঠার কথা শোনামাত্র সবাই নিষেধ করছিল যেতে। এদিকে মনকেও মানাতে পারছিলাম না। তাই কারও সাথে আর কথাবার্তা না বলে সমস্ত দ্বিধাবোধ ঝেড়ে ফেলে মানসিকভাবে প্রস্তুত হতে থাকলাম। কারণ সেইফ ড্রাইভিং একই সাথে যতটা না শারীরিক অবস্থার উপর ডিপেন্ড করে তার চেয়ে অনেক বেশি মানসিক শক্তির উপর নির্ভর করে। প্রাথমিক গন্তব্যস্থান ঠিক করলাম বান্দরবানের আলীকদম। দীর্ঘ ৫০০ কিলোমিটার পথ। টানা ড্রাইভ করলেও সময় লাগবে ১১ ঘন্টারও বেশি। কবি বলেছেন 'যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে রে তবে একলা চলো রে'😄। নিরাপত্তার ইস্যু চিন্তা করে একলা যাবার চিন্তাটা বাদ দিলাম। একলা যেতে হলো না। পিলিওন হিসেবে এক ভাইগ্নাকে পেয়ে গেলাম। আমার মতই মাথার বেশ কিছু তারছিড়া ছিল বিধায় বলতেই সহজেই রাজি হয়ে গেল ও। ভাইগ্না পরামর্শ দিল ঢাকা টু আলীকদম সরাসরি না গিয়ে মাঝখানে চট্টগ্রামে এক রাত রেস্ট নিলে শরীর এবং বাইক দুইটার উপরেই প্রেশার কম পড়বে। কথাটা মনে ধরল। যাত্রার দিন ঠিক করলাম ২৫ ডিসেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা। লাগেজের ওয়েট টা অনেক বেশি হয়ে গেছিল। বান্দরবানের আবহাওয়া কিছুটা অন্যরকম। দিনের বেলায় প্রখর রোদ। রোদে দাঁড়ালে মনে হয় চামড়া পুড়ে যাচ্ছে। আবার বিকেল নামার সাথে সাথে জেঁকে বসে ভয়াবহ শীত। এইকারণে লাগেজে গরম কাপড় হালকা কাপড় দুইটাই নেয়া লেগেছিল। সেই সাথে ছিল ২ লিটার অকটেনের বোতল যা আগের দিন রাতেই ট্যাংক থেকে পাইপ দিয়ে টেনে বের করে রেখেছিলাম। চকরিয়া পার হয়ে আর কোনো ফিলিং স্টেশন পাবো না ব্যপারটা মাথায় ছিল এই কারণেই এই রিজার্ভ ফুয়েলটা সাথে নেয়া। দুপুর হলেও ঢাকায় ওইদিন বেশ ঠান্ডা ছিল। ভাইগ্না সাধারণ কাপড়ের উপর হাতের ও পায়ের সেফটি গার্ড পরে নিলো। আমি সাধারণ কাপড়ের উপর পরলাম রেইনকোট জ্যাকেট। যেতে যেতে রাত হবে কুয়াশা পড়বে সেই চিন্তা করেই রেইনকোটটা পরা। কুয়াশার মধ্যে বাইক চালানোর সময় যত মোটা কাপড় বা সোয়েটারই পরি না কেন সেটা একসময় ভিজে যায়। এই অভিজ্ঞতা হয়েছিল একবার। তাছাড়া ধুলাবালি থেকেও জামাকাপড় কে রক্ষা করার কাজটা চমৎকার ভাবে করে এই রেইনকোট।
যাই হোক যাত্রা শুরু করলাম দুপুর ৩টায়। হানিফ উড়ালসড়ক পার হয়ে ফোর লেন রাস্তা হওয়ায় বাইকের স্পিড রেখেছিলাম 75 kmph। সন্ধ্যার আগেই ফেনী পার হয়ে গেলাম। আধাঘন্টা পর পর ১০ মিনিটের ব্রেক নিচ্ছিলাম। সীতাকুণ্ড পার হবার পর শীতের প্রকোপটা বুঝতে পারলাম ভালভাবে। শরীর কাঁপছিল অনবরত। ব্যাগ খুলে আরও একটা সোয়েটার বের করে পরে নিলাম রেইনকোটের নিচে। চট্টগ্রাম শহরে যখন প্রবেশ করি তখন রাত ৯টা বেজে গেছে। বাইকের ট্যাংকও প্রায় খালি। যাত্রার শুরুতে রিজার্ভ বাদে ফুয়েল ছিল ৭ লিটারের মত। পাম্প থেকে ট্যাংক ফুল করে নিলাম। চট্টগ্রাম শহরের তাপমাত্রা ঢাকার তাপমাত্রা থেকে একটু বেশি মনে হল কারণ বেশ গরম লাগছিল। উঠলাম চট্টগ্রাম ইপিজেড এলাকার কাছাকাছি একটি হোটেলে। সেমি ডাবল বেড রূমের ভাড়া নিল এক রাতের জন্য ১০০০ টাকা। এতক্ষণে আমরা আমাদের গন্তব্যের মাত্র অর্ধেক পথ এসেছি। বাকি আছে আরও প্রায় অর্ধেকের কিছুটা কম পথ। তাই পরদিন সকাল সকাল রওনা দেয়ার জন্য দ্রুত ফ্রেশ হয়ে খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে গেলাম।

২৬/১২/২০

প্রথমদিন ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ইপিজেড পর্যন্ত দূরত্ব ছিল প্রায় ২৮০ কিলোমিটার। আজ আলীকদম যেতে অতিক্রম করতে হবে প্রায় আরও ২০০ কিলোমিটার পথ। দেরি না করে ঘুম থেকে উঠেই সকাল ৮টার মধ্যে বেরিয়ে পড়লাম। নাস্তা করার সময় পেলাম না। চট্টগ্রাম শহরের ভেতরের রাস্তার অবস্থা তেমন ভালো না। ঘনঘন ঝাঁকুনি আর বারবার স্পিড কমিয়ে আনতে খুবই বিরক্ত লাগছিল। অবশেষে শাহ আমানত সেতুতে উঠার পর ভালো রাস্তা পেলাম। ব্রিজের দুপাশে কর্ণফুলী নদীতে দাঁড়িয়ে থাকা অসংখ্য ছোট ছোট শিপ, ফ্রেইটার, ফেরি, লঞ্চ ইত্যাদি দৃশ্য দেখে বেশ ভালো লাগছিল। তবে ভালো লাগাটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হল না। পটিয়ার কাছাকাছি এসে রাস্তা সিঙ্গেল লেন হয়ে গেল আর সেই সাথে হেভি ট্রাফিক। বড়বড় কার্গো ট্রাক আর ট্রেইলার ট্রাক দিয়ে রাস্তা ভর্তি। শুরুতে ওভারটেক করতে সাহস হচ্ছিল না। কারণ ওভারটেক করার জন্য মাথাটা বের করলেই দেখছি বিপরীত দিক থেকে গাড়ি ছুটে আসছে। পরে চিন্তা করলাম এভাবে ট্রাকের পিছে পিছে ৪০/৪৫ স্পিডে যেতে থাকলে আজ সারাদিনেও আলীকদম পৌঁছাতে পারবো না। একটা ব্রেক নিলাম নাস্তা করার জন্য। এরপর ঠান্ডা মাথায় বাইক স্টার্ট দিলাম। রাইট ইন্ডিকেটর অন রেখে হর্ণের উপর্যুপরি ব্যবহার আর মাঝেমাঝে ডিপার দিয়ে শুরু করলাম ওভারটেকিং করা। প্রচুর জ্যাম ছিল রাস্তায় আর সেইসাথে ছিল অটোরিকশা আর ভটভটির দৌরাত্ম্য। হাইওয়ে রাস্তায় পিছনে না দেখেই এরা হুট করে ঘুরিয়ে ফেলে। আর যাত্রী নেয়ার জন্য হঠাৎ করে কোনোরকম সিগনাল না দিয়েই দাড়িয়ে যায়। এমনিতেই সিঙ্গেল লেন রাস্তা। তার উপর এভাবে সামনের গাড়ি হুট করে থামিয়ে দিলে না পারা যায় হার্ড ব্রেক করতে কিংবা লেন চেঞ্জ করে ওভারটেক করে সামনে চলে যেতে। সাবধানে হর্ণ দিতে দিতে আগাতে থাকলাম। লোহাগাড়া পার হতে প্রায় দুপুর সাড়ে ১২টা বেজে গেল। চকরিয়ার কাছাকাছি এসে রাস্তার পরিবেশ আমূল বদলে গেলো। রাস্তার দুপাশে ছোট ছোট টিলা আর টিলার উপর ঘন শালবন। রাস্তায় তেমন ট্রাফিকও নাই। খুবই ভালো লাগছিল ড্রাইভ করতে। প্রকৃতি দেখে মনে হচ্ছিল এ যেন পাহাড়ের হাতছানি। জানি পাহাড় আরও ৮০ কিলোমিটার দূরে তারপরও প্রকৃতির এইটুকু ইশারা পেয়ে মনের উত্তেজনা বেড়ে গেল বহুগুণ আর সেইসাথে দূর হয়ে গেল সব ক্লান্তি। চকরিয়ায় পৌঁছে হাইওয়ে ছেড়ে লামা-আলীকদমের রাস্তায় ঢোকার আগে একটা ব্রেক নিলাম সেইসাথে যথেষ্ট ফুয়েল থাকা সত্ত্বেও আবারও ট্যাংক ফুল করে নিলাম। ম্যাপে দূরত্ব দেখাচ্ছে আর মাত্র ৫০ কিলোমিটার অথচ সময় লাগবে দেখাচ্ছে দুই ঘন্টা ত্রিশ মিনিট। ব্যাপারটা বুঝে উঠতে পারলাম না। ৫০ কিলো দূরত্ব অতিক্রম করতে কখনোই আড়াই ঘন্টা লাগার কথা না। কিছুদূর যেতেই যখন পাহাড়ি পথ শুরু হল তখন বুঝতে পারলাম ম্যাপে দেখানো সময়ের ব্যাপারটা। পাহাড়ের মাঝখান দিয়ে কিংবা ধার ঘেঁষে ঢালু আঁকাবাঁকা রাস্তা। এতটাই আঁকাবাঁকা যেন মনে হচ্ছে ইউটার্ন নিচ্ছি। এদিকে রাস্তা কখনো ঢালু বা কখনো খাড়া উঁচু। হয়ত ঢাল নেমে গেছে সোজা ২০০ মিটারের মত তারপরেই ঢালের শেষ মাথায় তীক্ষ্ণ বাঁক। পিলিওন আর সাথে লাগেজের ওয়েট নিয়ে বাইক কন্ট্রোল করা বেশ কঠিন মনে হচ্ছিল। কোনোভাবেই স্পিড ৪০/৫০ এর বেশি ওঠাতে পারছিলাম না। মনে হচ্ছিল এই পথ হয়ত আড়াই ঘন্টাতেও শেষ করা সম্ভব হবে না। তারপরও বেশ ভালো লাগছিল। একসময় আবাসিক বাজার নামের একটা জায়গায় পৌঁছালাম। এখানে একটা আর্মি চেকপোস্ট রয়েছে। সেখানে আমাদের নাম ঠিকানা গন্তব্য এন্ট্রি করলাম। এনআইডির ফটোকপি জমা দিলাম। এখান থেকে হোটেল আর মাত্র ১০ কিলোমিটার। আলীকদম শূন্য কিলোমিটার মাইলস্টোন পার হয়ে দামতুয়া ইন হোটেলে যখন পৌঁছালাম ঘড়ির কাঁটা তখন দুপুর ৩টা ছুইঁছুঁই। সাজানোগোছানো হোটেলটা বেশ মনে ধরল। প্রবেশপথটা লতাপাতা দিয়ে সাজানো। একপাশে রেস্টুরেন্ট। হোটেলের মূল ভবনের পেছনে খেলাধুলা করার জন্য ছোট একটা ওপেন স্পেস, পার্কিং স্পেস, হাঁটার জন্য বাঁধানো রাস্তা, বসার জন্য ছোট ছোট ছাউনি করা, রয়েছে একটা পুকুরও। সবমিলিয়ে অনেকটা রিসোর্টের মত লাগলেও প্রকৃতির ক্ষতি করা হয়নি একটুও। এদিকে ক্লান্তিতে শরীর ভেঙে আসলেও দিনের আলো নষ্ট করার মত সময় হাতে নেই একটুও। তাই দ্রুত রুমে লাগেজ রেখে, গোসল, লাঞ্চ সেরে বের হয়ে পড়লাম আবারও।

(চলবে)

ম্যাপ লিংকঃ https://maps.app.goo.gl/qqduw79DVb41AkEN8 (দামতুয়া ইন)
https://maps.app.goo.gl/LZRKBFa2RYoFzeZ47 (আলীকদম)
https://maps.app.goo.gl/T6xbZc1f2dXQJXKq9 (আলীর গুহা)
https://maps.app.goo.gl/wd65QzUC4nkm2MND7 (মেরাইথং জাদি)
https://maps.app.goo.gl/ecZpWfEJ3kGAcE659 (ইয়াছিন হোটেল আবাসিক বাজার)
https://maps.app.goo.gl/dnBwTtfwDWHxg1HKA (ডিম পাহাড়)
https://maps.app.goo.gl/t1eWmKnKqC2WHxPV7 (থানচি)
https://maps.app.goo.gl/8QLUhW7vbDewCbyh6 (পতেঙ্গা সি YEAR

11/12/2020

২৮ নভেম্বর, ২০২০
সোহানা হোটেল, গোয়ালখালী, রোহিতপুর-কেরানীগঞ্জ ইনসার আলীর খুদের ভাকা, গোয়ালখালী, রুহিতপুর কেরানীগঞ্জ
ঢাকা থেকে ২৫ কি.মি (৩০ মিনিট)
🍚
ঢাকা শহর থেকে খুব বেশি দূরে নয়। কেরানীগঞ্জ উপজেলার একটি গ্রাম, নাম রোহিতপুর। রাস্তার দু’পাশে টিনের ঘর, ফাঁকা জায়গাগুলোতে কোথাও ছোট ছোট ডোবা, কোথাও বা ধানি জমি। পুরোপুরি গ্রাম্য পরিবেশ। দু’পাশের প্রকৃতি দেখতে দেখতেই কখন সোহানা হোটেলে পৌঁছে যাবেন, টের পাবেন না। সাইনবোর্ডে বড় বড় করে লেখা সোহানা হোটেল। এক যুগ আগে এক অতি সাধারণ মানুষ ইনসার আলী চালু করেছিলেন সোহানা হোটেল। ছোট্ট হোটেলটিতে সাধারণ খাবার-দাবার বিক্রি হতো। তবে বিশেষ একটা জিনিস রান্না করতেন তিনি, খুদের খিচুড়ি। কৃষি শ্রমিক ইনসার আলী মাত্র ৭০০ টাকায় এ হোটেল শুরু করেন। তিনি মনে করেছিলেন গ্রামের শ্রমিকরা ২০ টাকায় অন্য নাস্তা না খেয়ে একই দামে এক প্লেট খিচুড়ি খেলে শরীরে শক্তি পাবেন আর ভাতের ক্ষুধাও মিটবে। কিন্তু খুদের খিচুড়ি তো কেউ খেতেনই না বরং তাকে নিয়ে সবাই হাসিঠাট্টা করতেন। কয়েক বছর পর এক সকালে একদল সাইক্লিস্ট সোহানা হোটেলে নাশতার বিরতি দেয়। খুদের খিচুড়ি সেদিন সবার মনে ধরেছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা ছড়িয়ে দেন খুদের খিচুড়ির কথা। বাকিটা আজ ইতিহাস!
ছুটির দিনগুলোতে তো রীতিমতো সমাবেশের মতো মানুষের সমাগম। ইনসার আলীর এ খিচুড়ি এখন বিখ্যাত। স্বাদও মনে রাখার মতো। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খুদের খিচুড়ি বিক্রির ধুম লেগে থাকে। জায়গা না পেয়ে প্লেট হাতে বাইরে দাঁড়িয়ে খেতেও আপত্তি নেই মানুষের।
কি আছে এই খুদের খিচুড়িতেঃ
চাল ঝাড়ার পর ভাঙা ছোট ছোট যে চালটা পাওয়া যায়, সেটাই খুদ। সেই খুদ ইনসার আলী রাঁধেন পোলাওয়ের মতো। সঙ্গে ভর্তা আর ডিম। রান্নার এই চালকে কেরানীগঞ্জের ভাষায় বলে ‘খুদের ভাকা’। টেবিলের ওপর বড় একটা হাঁড়িতে রাখা খুদের ভাকা। পাশে গুটিকয় প্লাস্টিকের বাটিতে সাজানো নানা রঙের ভর্তা। প্লেটে প্রথমে দেওয়া হয় গরম গরম খুদের ভাত, এরপর প্লেটের চারপাশে সাজিয়ে দেওয়া হয় চিংড়ি, শুঁটকি, বেগুন, আলু, কালো জিরা, সরিষা, মরিচসহ ৭/৮ পদের ভর্তা। প্লেটের মাঝখানে ডিম ভাজা। এই ডিম ভাজাটা একদমই আলাদা, তুলার মতো নরম আর গরম গরম পরিবেশনে স্বাদটা যেন দ্বিগুণ বেড়ে যায়। প্রতি প্লেটের দাম ৫০ টাকা। চাইলে গরু এবং মুরগির মাংসও নেওয়া যায়। খাওয়া শেষে গরুর দুধের চায়ের ব্যবস্থাও আছে এখানে। এ ছাড়া নিজেদের তৈরি দই ও কয়েক প্রকারের মিষ্টি তো আছেই।
ঢাকার খুব কাছে হওয়ায় এখানে যে কেউ দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসতে পারবেন। ঢাকার খুব কাছে এমন গ্রাম দেখার সৌভাগ্য খুব কমই আছে। কেউ চাইলে ইনসার আলীর সুখ্যাত খুদের ভাতের স্বাদ নিয়ে গ্রামটি ঘুরে ফিরতে পারেন।
যাওয়ার উপায়ঃ
মোহাম্মদপুর বছিলা ব্রিজ ধরে কেরানীগঞ্জের আঁটিবাজারের ওপর রোহিতপুরের সড়ক। আঁটিবাজার থেকে পাঁচ কিলোমিটার যাওয়ার পর রোহিতপুর বাজার। বামের পথ ধরে গোয়ালখালী বাজার থেকে অল্প একটু গেলেই ইনসার আলীর সোহানা হোটেল।

আজ এপর্যন্তই। যেখানেই যাবেন সুস্থ থাকবেন, নিরাপত্তার ব্যপারে সতর্ক থাকবেন এবং যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলে যথাস্থানে ফেলুন, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখুন।
ভিডিও লিংকঃ https://youtu.be/X1AAIC7FIY8
ম্যাপ লিংকঃ
https://maps.app.goo.gl/5TrZ2kx3vrajkDxE8
#হ্যাপি_ট্রাভেলিং✌

২০ নভেম্বর, ২০২০মিনি কক্সবাজার, চাঁদপুর  #ট্যুর ঢাকা থেকে ১২০ কি.মি (৩ ঘন্টা)🏝️প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যের দেশ আমাদের বাংলাদে...
27/11/2020

২০ নভেম্বর, ২০২০
মিনি কক্সবাজার, চাঁদপুর #ট্যুর
ঢাকা থেকে ১২০ কি.মি (৩ ঘন্টা)
🏝️
প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্যের দেশ আমাদের বাংলাদেশ। রয়েছে হাজারো প্রাকৃতিক নিদর্শন। যার মাঝে অন্যতম চাঁদপুরের তিন নদীর মোহনা। মেঘনা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় নদীর মধ্যে অন্যতম। এর পাশ দিয়েই বয়ে গেছে ডাকাতিয়া, আর এর পাশেই বহমান রয়েছে পদ্মা। এই মেঘনা, ডাকাতিয়া, আর পদ্মা ঘিরে রয়েছে চাঁদপুরের বড় স্টেশন নামক জায়গাকে যাকে বলা হয় মোলহেড। এছাড়াও রুপালী ইলিশ চাঁদপুরকে এনে দিয়েছে ‘ইলিশের বাড়ি’ নামের সুখ্যাতি। ঢাকা হতে দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসা যায় বিধায় তাজা ইলিশের স্বাদ গ্রহণ এবং অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক চাঁদপুরে অবস্থিত বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোতে ভিড় করেন। চাঁদপুরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে মিনি কক্সবাজার অন্যতম। মিনি কক্সবাজার চাঁদপুর জেলার তিন নদীর মোহনা বড়স্টেশন মোলহেড থেকে মাত্র দেড় কিলোমিটার দূরে পদ্মা, মেঘনা ও ডাকাতিয়া নদীর মিলনস্থলে অবস্থিত একটি চর। এর চারদিকে নদী হওয়ায় বছরের মার্চ এপ্রিলে চরের বালু শুকিয়ে সাদা বর্ণ ধারণ করে যা কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের মতো দেখায় তাই পর্যটকরা এর নাম দিয়েছে মিনি কক্সবাজার। স্থানীয়ভাবে বালুর চর, পদ্মার চর কিংবা মেঘনার চর নামেও এর পরিচিতি রয়েছে। নদীপৃষ্ঠ থেকে কিছুটা উঁচু হওয়ায় শুষ্ক ও বর্ষা মৌসুমের ভরা জোয়ারেও এটির পুরো অংশ পানিতে ডুবে যায় না। তাই বছরজুড়েই পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। ২০১৮ সালের শুরুর দিক থেকে মিনি কক্সবাজার ধীরে ধীরে দেশব্যাপি মানুষের কাছে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। নদী ভাঙ্গন আর গড়ার মধ্যেই প্রাকৃতিকভাবে এ স্থানটির উৎপত্তি।
যেভাবে যাবেনঃ চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড থেকে ট্রলার ভাড়া করে মাত্র ২৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিটের ভেতর পৌঁছে যাবেন এই চরে। বিকেলটা চরে ঘুরে বেড়িয়ে সূর্যাস্ত দেখে ট্রলারে আবার বড় স্টেশনে ফিরে যেতে যাওয়া আসা মিলিয়ে ভাড়া নেবে মাথাপিছু মাত্র ১০০-১২০ টাকা। আর অবশ্যই বড় স্টেশন থেকে ট্রলারে উঠার আগে পদ্মার টাটকা ইলিশ দিয়ে লাঞ্চ করে নিতে ভুলবেন না। চাইলে ঘাট থেকে সদ্য ধরা ইলিশ কিনে হোটেলে গিয়ে ফ্রাই করে দিতে বলতে পারেন। তবে হোটেল থেকে কিনে খেলে প্রতি পিস ইলিশ ভাজা পড়বে মাত্র ১০০-১১০ টাকা। তাহলে আর দেরি না করে মিনি কক্সবাজারের মুক্ত বাতাস উপভোগ করতে আর পদ্মার টাটকা ইলিশের স্বাদ নিতে আজই চলে আসুন ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে।
যেখানেই যাবেন সুস্থ থাকবেন, নিরাপত্তার ব্যপারে সতর্ক থাকবেন এবং যত্রতত্র চিপসের প্যাকেট, খাবারের প্যাকেট, প্লাস্টিকের কাপ ইত্যাদি আবর্জনা না ফেলে যথাস্থানে ফেলুন, পরিবেশ দূষণমুক্ত রাখুন।
#হ্যাপি_ট্রাভেলিং ✌️

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Bike-e Bangladesh - বাইকে বাংলাদেশ posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category

Nearby travel agencies