Khaled Rent A Car

Khaled Rent A Car This is a Car Rental service. You can get any kinds of Car for hire to any places tours and Travels. We provide 24 hours services and we have many cars.
(14)

Are you seeking a car for hire. You can get any kinds of cars, pic up from Khaled Rent A Car. just call us we will reach to your door.

খালেদ রেন্ট এ কার থেকে যে কোনো ধরনের গাড়ি ভাড়া পেতে কল করুন। ০১৯৩৩২৪৬৫৭৭
27/09/2023

খালেদ রেন্ট এ কার থেকে যে কোনো ধরনের গাড়ি ভাড়া পেতে কল করুন। ০১৯৩৩২৪৬৫৭৭

খালেদ রেন্ট এ কার থেকে গাড়ি ভাড়া করুন আর উপভোগ করুন আপনার ভ্রমন।
14/01/2022

খালেদ রেন্ট এ কার থেকে গাড়ি ভাড়া করুন আর উপভোগ করুন আপনার ভ্রমন।

23/08/2021
16/08/2021
ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ি------------------আবু মো. ফজলে রোহান০৯:১১, ১৩ আগস্ট, ২০২১ | পাঠের সময় : ১ মিনিট‘বাংলার রেল ভ্রম...
15/08/2021

ঐতিহাসিক ভাওয়াল রাজবাড়ি
------------------
আবু মো. ফজলে রোহান০৯:১১, ১৩ আগস্ট, ২০২১ | পাঠের সময় : ১ মিনিট

‘বাংলার রেল ভ্রমণ’ বইতে (এল.এন. মিশ্র প্রকাশিত ইস্ট বেঙ্গল রেলওয়ে ক্যালকাটা ১৯৩৫) পাওয়া যায়, ১৮৯০ সালে নির্মিত হয়েছে রাজবাড়িটি, জয়দেবপুর রেল স্টেশনের অন্তর্ভুক্ত। বর্তমান গাজীপুরের শহরে অবস্থিত।

যতদূর জানা যায়, বাড়িটির নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন জমিদার লোকনারায়ণ রায়; কিন্তু এর কাজ শেষ করেন রাজা কালীনারায়ণ রায়। ভবনটির দক্ষিণ পাশে মূল ফটক বা প্রবেশদ্বার। প্রবেশদ্বারটি বর্গাকার এবং এর চার কোণে চারটি স্তম্ভ তৈরি করে ওপরে ছাদ নির্মাণ করা হয়েছে। প্রবেশপথের কাঠামোর একদিকের দৈর্ঘ্য ২০ মিটার এবং প্রবেশদ্বারের পরে একটি প্রশস্ত বারান্দা রয়েছে। এর পর রয়েছে হলঘর। হলঘরের পূর্ব এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে তিনটি করে মোট ছয়টি বসার কক্ষ। ভবনের ওপরের তলায় ওঠার জন্য আছে শালকাঠের তৈরি প্রশস্ত সিঁড়ি। ভবনের উত্তর প্রান্তে খোলা জায়গায় নাটমন্দির।

জানা যায়, রাজবাড়ির প্রায় সব অনুষ্ঠানই হতো এই নাটমন্দিরে। বিশাল এই রাজবাড়ির সীমানায় পশ্চিমাংশের দুতলা ভবনের নাম রাজবিলাস। এ ভবনের নিচের তলায় রাজার বিশ্রামাগার ছিল, যার নাম ‘হাওয়া মহল’। দক্ষিণ পাশে উন্মুক্ত কক্ষের নাম ‘পদ্মনাভি’। ভবনের দুতলার মধ্যবর্তী একটি কক্ষ ‘রানীমহল’ নামে পরিচিত। সুরম্য এ ভবনে ছোট-বড় মিলে প্রায় ৩৬০টি কক্ষ আছে।

১৮৯৭ সালে ভূমিকম্পের পর রাজবিলাসসহ অন্যান্য ভবন পুনর্নির্মিত হয়। বর্তমান রাজবাড়িটি গাজীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি)-এর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে।

ইত্তেফাক/কেকে

15/08/2021

সেপ্টেম্বরের আগে খুলছে না সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র
--------------------
এনামুল হক, খুলনা অফিস০৮:৫৪, ১৪ আগস্ট, ২০২১ | পাঠের সময় : ২.১ মিনিট

স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আগামী ১৯ আগস্ট থেকে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুললেও আগামী ১ সেপ্টেম্বরের আগে খুলছে না সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সব ধরনের সাদা মাছ ও কাঁকড়া শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে আগে থেকেই। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রগুলোও রয়েছে। ফলে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করতে পর্যটকদের আগামী ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন, বন বিভাগের কর্মকর্তারা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, করোনার সংক্রমণ রোধে গত বছরের ১৯ মার্চ থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় সাত মাস সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশ বন্ধ ছিল। তবে করোনার সংক্রমণ কমে গেলে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়। পরে করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতে গত ৩ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশে ফের নিষেধাজ্ঞা জারি করে বনবিভাগ। এরপর সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে সুন্দরবনে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞার সময় বাড়ানো হয়। সেই থেকে এখনো বন্ধ রয়েছে সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আযম ডেভিড বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে গত বছরের ১৯ মার্চ থেকে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ রয়েছে। তবে মাঝে কিছুদিন খোলা ছিল। পরে এপ্রিল থেকে ফের বন্ধ রয়েছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগামী ১৯ আগস্ট থেকে দেশের সকল পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সুন্দরবন খুলবে কি-না, সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। তবে এ বিষয়ে আগামী ১৬ আগস্ট ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের পক্ষ থেকে সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে আলোচনার পর পরবর্তী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, সাধারণত জুলাই-আগস্ট মাছের প্রজনন মৌসুম। তবে এবার জুন মাস থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে মাছ শিকার ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে মাছ শিকারের জন্য পাশ পারমিট দেওয়া হবে। তবে পর্যটনকেন্দ্র খোলার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. আবু নাসের মোহসিন হোসেন বলেন, দেশের সকল পর্যটনকেন্দ্র খুললেও সুন্দরবনের পর্যটন কেন্দ্রগুলো ১৯ আগস্ট খুলছে না। আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনে সকল প্রকার মাছ ও কাঁকড়া শিকার বন্ধ রাখার ঘোষণা রয়েছে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রও রয়েছে। ফলে আগামী ১ সেপ্টেম্বরের আগে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র খোলার সম্ভাবনা নেই।

খুলনা আঞ্চলিক বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে সুন্দরবন খোলার ব্যাপারে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। ফলে ১৯ আগস্ট সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্র খোলার সম্ভাবনা নেই। তবে মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত এলে সুন্দরবনের পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হবে। এজন্য মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

ইত্তেফাক/এমআর

15/08/2021

নিষেধাজ্ঞার মধ্যে সমুদ্রসৈকতে পর্যটকরা
মাইকিং করে সরিয়ে দিচ্ছে কক্সবাজার প্রশাসন
-----------------------
সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার০৭:২৮, ১৫ আগস্ট, ২০২১ | পাঠের সময় : ২ মিনিট

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় চার মাস পর বিধিনিষেধ গত ১১ আগস্ট থেকে শিথিল করা হয়। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবকিছু শুরুর নির্দেশ দেওয়া হলেও কক্সবাজার সৈকত ও অন্যান্য পর্যটন স্পটে যেতে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রেখেছিল প্রশাসন। কিন্তু ১২ আগস্ট প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে যে, ১৯ আগস্ট থেকে সব পর্যটন স্পট শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু শুক্রবার থেকেই ভ্রমণ ও সমুদ্রপ্রেমীরা সৈকত এলাকায় ভিড় জমিয়েছেন। তবে প্রশাসনের নির্দেশনা না থাকার কথা বলে বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ডের কর্মীরা সৈকততীরে ভিড় করা নানা বয়সি মানুষকে ফিরিয়ে দিয়েছেন। কিছু কিছু পয়েন্টে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সৈকতে নেমে পড়েন ভ্রমণপ্রেমীরা।

২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে ট্রেনে যাওয়া যাবে কক্সবাজার

সৈকতে হাঁটতে আসা চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার রাসেল দুর্জয় দম্পতি বলেন, ‘অনেক দিন ঘর থেকে বের হতে পারিনি। বাচ্চাদের পাশাপাশি আমরাও হাঁপিয়ে উঠেছি। টিভিতে শুনলাম পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হচ্ছে। সেই খুশিতে শুক্রবার কক্সবাজার সৈকতে এসেছিলাম। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন আমাদের নামতে দেয়নি। এত কাছে এসেও সাগরের ঢেউটা ছুঁতে পারিনি, এটা খুবই কষ্টের। তারা মাইকিং করে বলছে ১৯ আগস্টের পর আসতে। এত দিন তো আমাদের তর সইছে না।’

সৈকতে কাজ করা সি সেইফ লাইফগার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান বলেন, অনেকে প্রতিদিন সৈকতে এসে বালিয়াড়িতে নামতে চান। কিন্তু সরকারি নির্দেশনার কারণে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের ফিরিয়ে দিতে হয়। শুক্রবার কয়েক শ ভ্রমণপিপাসুকে সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে তুলে দেওয়া হয়েছে। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে কক্সবাজারে এসেছেন আমিনুল ইসলামসহ চার বন্ধু। তারা বলেন, ‘মনে করেছিলাম সৈকতে নামাও সম্ভব হবে। কিন্তু প্রশাসনের লোকজন কঠোরতায় তা ঠেকিয়ে দিয়েছে। শুধু আমরা নই, আরো অগণিত নারী-পুরুষকেও একইভাবে ফিরিয়ে দিয়েছে।’

কক্সবাজার হোটেল-মোটেল অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হোয়াইট অর্কিড হোটেলের জি এম রিয়াদ ইফতেখার বলেন, জেলা প্রশাসন বলে দিয়েছে, শুধু জীবন ও জীবিকার তাগিদে যারা কক্সবাজারে আসবেন, তাদেরই হোটেলে রাখা যাবে। স্থপনা যখন করা আছে, তা তো ফেলে চলে যেতে পারছে না কেউ। তাই পূর্বের মতো পর্যটনসেবা নিশ্চিত করতে হোটেল-রেস্তোরাঁ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা শুরু করেছেন সবাই। খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ক্ষুদ্র ও মাঝারি পর্যটন ব্যবসায়ীরাও।

কক্সবাজার গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হোটেলের অর্ধেক কক্ষ ভাড়া দিতে। যেহেতু মহামারির সময়, তাই সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত জরুরি। কক্সবাজার বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ বলেন, সম্ভাবনার পর্যটনশিল্প করোনার কারণে ধুঁকছে। গত বছরের মতো চলতি বছরও বিপুল পরিমাণ লোকসান গুনছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা। করোনা মোকাবিলার পাশাপাশি সব ধরনের ব্যবসা সচল করতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। সেভাবেই পর্যটনও সচল করা হচ্ছে।

ইত্তেফাক/কেকে

15/08/2021

১৯ আগস্ট থেকে খুলছে পর্যটন ও বিনোদন কেন্দ্র
-------------
ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক১১:৫৬, ১২ আগস্ট, ২০২১ | পাঠের সময় : ০.৭ মিনিট

পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। তবে মোট আসন সংখ্যার অর্ধেক ব্যবহার করে পর্যটন, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র খোলার শর্ত দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৯ আগস্ট থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১২ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

অবশেষে বন্ধ কক্সবাজারের পর্যটন
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে সড়ক, রেল ও নৌ পথে সব প্রকার গণপরিবহন চলাচল করতে পারবে। পর্যটন কেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদন কেন্দ্র আসন সংখ্যার শতকরা ৫০ ভাগ ব্যবহার করে চালু করতে পারবে।

শর্তসাপেক্ষে খুলছে হোটেল-রেস্তোরাঁ, বন্ধ থাকবে পর্যটন স্পট

এতে বলা হয়, সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করতে হবে এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে প্রণীত স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

যেকোনো প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে অবহেলা পরিলক্ষিত হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব বহন করবে এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়।

ইত্তেফাক/কেকে

15/08/2021

পদ্মা সেতুর খুঁটিতে ধাক্কা লাগলেই ‘বরখাস্ত’
ভয়ে ফেরি চালাতে অনীহা চালকদের
নিজস্ব প্রতিবেদক ১৫ আগস্ট, ২০২১ ০০:০০ | পড়া যাবে ৪ মিনিটে
---------------------
২৫ দিনের মধ্যে চারবার পদ্মা সেতুর খুঁটিতে (পাইল ক্যাপ) ফেরির ধাক্কা লেগেছে। প্রতিবারই তাৎক্ষণিক ফেরির চালক ও হুইল সুকানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এর ফলে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে চলাচলকারী ফেরির চালকদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ভয়। চালকরা বলছেন, নদীর প্রবল স্রোতে ফেরির নিয়ন্ত্রণ রাখা যাচ্ছে না। পুরনো এসব ফেরির কারিগরি সমস্যাও রয়েছে। তবু দুর্ঘটনার পর কেন তাঁদের বরখাস্ত করা হবে।

গত ২০ জুলাই থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত চারবার পদ্মা সেতুর খুঁটিতে ফেরির ধাক্কা লাগার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ১৬ ও ১৭ নম্বর খুঁটিতে একবার করে এবং ১০ নম্বর খুঁটিতে দুইবার ধাক্কা লাগে। সর্বশেষ গত শুক্রবার ১০ নম্বর খুঁটিতে ধাক্কা দেওয়া কাকলি ফেরির চালক ছিলেন বাদল হোসেন। ধাক্কার ঘটনার পর তাঁকেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তের পর চালক বাদল গণমাধ্যমকে জানান, ফেরিটির যান্ত্রিক জটিলতা ছিল। তিনি এই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আগেই জানিয়েছিলেন। এমনকি তিনি এই ফেরি চালাতে রাজি ছিলেন না। তবু তাঁকে ফেরি চালাতে বলা হয়েছিল। অথচ দুর্ঘটনার পর সবার আগে চালককেই দায়ী করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে চালকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। চালকরা অনীহা প্রকাশ করছেন ফেরি চালাতে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন চালক বলেন, পদ্মায় বর্তমানে যে গতিতে স্রোত বইছে, তাতে এমনিতেই ফেরিগুলো টেনে ভাসিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ইঞ্জিনের গতির চেয়ে স্রোতের গতি বেশি হওয়ায় ফেরি নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। স্রোতের অনুকূলে চলতে গিয়ে সেতুর কাছে পৌঁছলে ফেরির গতি আর ঠিক রাখা যায় না। প্রবল স্রোত ফেরিকে টেনে নিয়ে যায় পিলারের কাছে। এতে পিলারের সঙ্গে ফেরির ধাক্কা লাগছে। আমাদের করার কিছু থাকে না। কিন্তু দোষটা এসে পড়ছে আমাদের ঘাড়ে। সাময়িক বরখাস্ত করা হচ্ছে। কেন বরখাস্ত করা হবে আমাদের?

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিহন সংস্থার (বিআইডাব্লিউটিসি) চেয়ারম্যান সৈয়দ তাজুল ইসলাম গতকাল শনিবার শিমুলিয়া ঘাটে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘চালক ও স্টাফদের মধ্যে ক্ষোভ থাকাটাই স্বাভাবিক। আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে ভারী যানবাহনকে অন্য রুট ব্যবহার করতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে স্বাভাবিক সময়ে ১৫টি ফেরি চলাচল করলেও গতকাল তিন-চারটি ফেরি চলাচল করেছে। এর সব কটিই ছিল মাঝারি আকারের। এই পথে ভারী যান নিয়ে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের দীর্ঘ জট সৃষ্টি হয়েছে। চার দিন অপেক্ষা করেও ঘাট পার হতে পারেনি এমন যানের সংখ্যাও কম নয়। তবে যাত্রীবাহী গাড়িগুলোকে ঘাট পারাপারে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

আবার এই পথে ভারী যান পারাপার বন্ধ থাকায় পণ্যবাহী গাড়ির ব্যাপক চাপ বেড়েছে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া নৌপথে। গতকাল সরেজমিনে এলাকা দুটি ঘুরে দেখা গেছে, পণ্যবোঝাই পাঁচ শতাধিক ভারী যান ফেরি পারাপারে অপেক্ষায় আটকে আছে। আটকে পড়া চালকরা বলছেন, তাঁদের শিমুলিয়া-বাংলাবাজার পথে যাওয়ার কথা ছিল; কিন্তু ওই পথে যেতে না পেরে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে এসেছেন। তিন-চার দিন আটকে থেকে খরচের টাকা ফুরিয়ে গেছে। কিন্তু এখানে অপেক্ষা করা ছাড়া অন্য উপায়ও নেই। তবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীবাহী গাড়ির সংখ্যা স্বাভাবিক রয়েছে।

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটে দিনে চালু রাতে বন্ধ ফেরি

দিনের বেলা সীমিত আকারে ফেরি চলাচল করলেও সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রয়েছে ফেরিগুলো। গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া ঘাটে সেনাবাহিনীর সদস্যদের কড়া নজরদারি করতে দেখা গেছে। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বিশেষ প্রয়োজনে কিছু ফেরি চলাচল করেছে বলে জানিয়েছে বিআইডাব্লিউটিসি।

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি ও শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি]

15/08/2021

বিনোদন পার্ক চলবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে
নিজস্ব প্রতিবেদকঢাকা
প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২১, ১৩: ৩৫
---------------------------------------------
করোনা মহামারির কারণে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশের পর্যটন ও বিনোদন পার্ক বন্ধ। বিশাল জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানসহ সরকারি কোষাগারে আয়কর, মূসক ও অন্যান্য কর বাবদ বিপুল রাজস্ব প্রদানের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০২০ সালে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের প্রথম ধাপের কারণে সরকারি সিদ্ধান্তে বিনোদন পার্কগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলো আর্থিকভাবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ২০২১ সালে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ধাপের কারণে দেশের সব বিনোদন পার্ক সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত এপ্রিল মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। এ কারণে খাতটি পুনরায় আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ থাকায় রাইডস ও যন্ত্রগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। অন্যান্য ব্যবসা খাতের মতো আমাদের বিনোদন পার্কগুলো খুলে না দিলে এ প্রতিষ্ঠানগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

দীর্ঘ সময় বিনোদন পার্ক বন্ধ থাকায় কর্মরত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অনেক ক্ষেত্রে বেতন–ভাতা পরিশোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ কারণে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তাই দ্রুত বিনোদন পার্ক খুলে দেওয়া হোক। অন্যান্য খাত যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হয়, সেভাবে করোনালের বিধি মেনে ধারণক্ষমতার ৫০ শতাংশ দর্শনার্থী নিয়ে পার্ক পরিচালনা করার অনুমতি প্রদানের জন্য আহ্বান এ খাতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের। পার্কগুলোয় সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মানা খুবই সহজ।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব অ্যামিউজমেন্ট পার্কস অ্যান্ড অ্যাট্রাকশনসের (বাপা) সভাপতি শাহরিয়ার কামাল সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করেন যেন বিনোদন পার্কগুলো দ্রুত খুলে দেওয়া হয়। বিজ্ঞপ্তি

15/08/2021

শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথ
ফেরি বাড়ানোর পরও আলুরবাজার ঘাটে গাড়ির জট, দুর্ভোগ
প্রতিনিধি শরীয়তপুর
-----------------------------------
শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথের শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার আলুরবাজার ফেরিঘাটে পাঁচ শতাধিক পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ি আটকা পড়েছে। বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরির সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ায় এই নৌপথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথ থেকে একটি ফেরি এই নৌপথে দেওয়া হয়েছে। এরপরও যানজট কমেনি।

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) সূত্র জানায়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা, বেনাপোল ও ভোমরা স্থলবন্দর এবং মোংলা স্থলবন্দরের পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন শরীয়তপুর-চাঁদপুর সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। আর ওই সড়কের যানবাহন শরীয়তপুরের আলুরবাজার ও চাঁদপুরের হরিনা ফেরিঘাট দিয়ে মেঘনা নদী পারাপার হয়।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে যানবাহন পারাপারের জন্য ৬টি ফেরি রয়েছে। এসব ফেরি দিয়ে ২৪ ঘণ্টায় ৪৫০টি যানবাহন পারাপার হয়। গত বুধবার ফেরি কস্তরি বিকল হয়ে পড়লে তা চাঁদপুরে বিআইডব্লিউটিসির ওয়ার্কশপে পাঠানো হয়।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, গত শুক্রবার পদ্মা সেতুর একটি পিলারে ফেরিতে ধাক্কা দেওয়ার পর বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে মাত্র চারটি ফেরি চলাচল করছে। এ ছাড়া পদ্মায় স্রোত বেড়ে যাওয়ায় রো রো ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। ওই নৌপথে চলাচলকারী পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে বিকল্প নৌপথ ব্যবহার করে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ কারণে গত মঙ্গলবার থেকে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথের আলুরবাজার ফেরিঘাটে গাড়ির চাপ বাড়তে থাকে।

বিজ্ঞাপন

আজ রোববার ফেরিঘাট খায়েরপট্টি পেট্রলপাম্প পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ির দীর্ঘ জট সৃষ্টি জয়েছে।
আজ রোববার ফেরিঘাট খায়েরপট্টি পেট্রলপাম্প পর্যন্ত দুই কিলোমিটার এলাকায় পণ্য ও যাত্রীবাহী গাড়ির দীর্ঘ জট সৃষ্টি জয়েছে। ওই দুই কিলোমিটার ও ফেরিঘাটের টার্মিনালে অন্তত পাঁচ শতাধিক গাড়ি আটকা পড়েছে।

যানবাহনের চাপ বেড়ে যাওয়া রোববার সকালে শিমুলিয়া ঘাট থেকে কাকলি নামের একটি ফেরি আলুরবাজার ফেরিঘাটে আনা হয়। এখন থেকে ওই ফেরি শরীয়তপুর-চাঁদপুর নৌপথে চলাচল করবে। এ ছাড়া ওই নৌপথের বিকল হয়ে পড়া ফেরি কস্তরি মেরামত করার পর শনিবার রাত থেকে আবার চালু করা হয়েছে।

শরীয়তপুর–চাঁদপুর নৌপথের আলুরবাজার ঘাটে পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি । রোববার দুপুরে তোলা ছবি
শরীয়তপুর–চাঁদপুর নৌপথের আলুরবাজার ঘাটে পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি । রোববার দুপুরে তোলা ছবি প্রথম আলো
যশোর থেকে পেঁয়াজ নিয়ে চট্টগ্রাম যাচ্ছেন বাদশা মিয়া নামের ট্রাকচালক। তিনি শনিবার সকাল থেকে আলুরবাজার ফেরিঘাটের টার্মিনালে বসে আছেন। গাড়ির জট থাকার কারণে তিনি ফেরিতে উঠতে পারেননি। ফেরিঘাটে এসে আটকে পড়ায় সমস্যার বিষয়ে জানতে চাইলে বাদশা মিয়া বলেন, ‘বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরি চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। পণ্যবাহী গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে না। এ কারণে চাঁদপুর-শরীয়তপুর নৌপথে যানবাহনের চাপ বেড়েছে। এ জন্য আমরা বিপাকে পড়েছি। দু-তিন দিনেও ফেরির সিরিয়াল পাওয়া যাচ্ছে না।’

বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে কিছু বিধিনিষেধ থাকায় আলুরবাজার ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ওই নৌপথের পণ্যবাহী গাড়িগুলো এ পথে আসছে।
আব্দুল মোমেন, বিআইডব্লিউটিসি, আলুরবাজার ফেরিঘাট, শরীয়তপুর
এ বিষয়ে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থার (বিআইডব্লিউটিসি) আলুরবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক আব্দুল মোমেন প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে ফেরিতে পণ্যবাহী গাড়ি পারাপারে কিছু বিধিনিষেধ থাকায় আলুরবাজার ঘাটে গাড়ির চাপ বেড়েছে। ওই নৌপথের পণ্যবাহী গাড়িগুলো এ পথে আসছে। এ কারণে ঘাটে গাড়ির জট সৃষ্টি হয়েছে। বিকল ফেরিটি সচল করা হয়েছে, আর নতুন একটি ফেরি এ নৌপথে সংযুক্ত করা হয়েছে। এখন দু-এক দিনের মধ্যে ঘাটের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

26/07/2021

খালেদ রেন্ট এ কার ইমার্জেন্সি ক্ষেত্রে গাড়ি ভাড়া দিচ্ছে। কারও যেকোনো ধরনের গাড়ি ভাড়া লাগলে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। 01933246577

https://khaledrentacar.com/যে কোন গাড়ি ভাড়া করুন।
26/05/2021

https://khaledrentacar.com/
যে কোন গাড়ি ভাড়া করুন।

We have big fleet of Car Rental in Dhaka, Micro Bus Rental, Truck and Pickup Rental, Ambulance Rental Services. Call 01933246577 for Quotes.

ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো---------করোনাভাইরাসের হানায় অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল মানুষ। টানা কয়েক মাসের এই...
10/10/2020

ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো

---------
করোনাভাইরাসের হানায় অনেকটা ঘরবন্দি হয়ে পড়েছিল মানুষ। টানা কয়েক মাসের এই বন্দিদশায় হাঁপিয়ে উঠেছিল তারা। এখন তাই বুকভরে শ্বাস নিতে ছুটছে খোলা হাওয়ায়। ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলো। খরা কাটছে পর্যটকনির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যের।

সাগরের নোনা পানিতে পা ভেজাতে এরই মধ্যে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ভিড় করছে বহু মানুষ। কুয়াকাটাও সাগরপ্রেমীদের পদচারণে মুখর হয়েছে। পাহাড়ের কোল থেকে নেমে আসা ঝরনার সৌন্দর্য, কাপ্তাই লেকের শোভা উপভোগ করতে রাঙামাটিতে বাড়ছে মানুষের আনাগোনা। হাওরাঞ্চলে ছুটছে অনেকে। চা বাগান আর পাহাড়ের টানে হবিগঞ্জে যাচ্ছে পর্যটকরা। তবে প্রশাসনের কড়াকড়িতে এখনো সেভাবে গতি ফেরেনি সিলেটের পর্যটনে।

কক্সবাজার : টানা পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার পুরনো কোলাহলময় আবহে ফিরতে শুরু করেছে। ১৮ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১৭ আগস্ট কক্সবাজার ভ্রমণে প্রশাসনের বিধি-নিষেধ ছিল। বিধি-নিষেধ উঠে যাওয়ায় করোনাভীতির মধ্যেও বাড়ছে ভ্রমণপিপাসুদের উপস্থিতি। হাসি ফুটতে শুরু করেছে সাগরপারের ব্যবসায়ীদের মুখে। হোটেল-রেস্তোরাঁর খরা কাটতে শুরু করেছে। গাজীপুর থেকে আসা নাসির উদ্দিন বললেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে ঘরে বন্দি জীবন কাটিয়ে যেন হাঁপিয়ে উঠেছি। তাই কক্সবাজার সৈকতে বসে নির্মল হাওয়া এবং সাগরের ঢেউ উপভোগ করতে এসেছি।’

রাঙামাটি : টানা ছয় মাস বন্ধ থাকার পর সেপ্টেম্বর থেকে চালু হয়েছে সাজেক পর্যটনকেন্দ্র। স্বাস্থ্যবিধি মানার সাতটি শর্তে সাজেক ভ্যালির রিসোর্ট-হোটেল-মোটেল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাঘাইছড়ি উপজেলা প্রশাসন। পর্যটকদের আনাগোনা বাড়ছে পর্যটননির্ভর পাহাড়ের এই জনপদে। এত দিনের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার স্বপ্ন দেখছেন হোটেল মালিকরা।

রাঙামাটি পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়ুয়া বলেন, ‘পর্যটকদের আগমন এখনো চেনা ছন্দে ফেরেনি। আশা করছি শিগগিরই সব স্বাভাবিক হবে।’

হবিগঞ্জ : এ জেলার পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি প্রশাসন। তবে পর্যটকদের ভিড় বাড়ছে। জেলার ২৪টি চা বাগান, তিনটি রাবার বাগান, হাওর, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা জাতীয় উদ্যান, খাসিয়া পুঞ্জি, গ্রিনল্যান্ড পার্ক, শাহজীবাজার ফ্রুটস ভ্যালি, সাগরি দিঘি, মহাগ্রাম বানিয়াচং, সিপাহসালার সৈয়দ নাছির উদ্দিনের মাজারসহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের উপস্থিতি আশানুরূপ বাড়ছে। এ ছাড়া কালারডোবা থেকে নৌকা নিয়ে হাওর ভ্রমণ এবং স্পিডবোট ভ্রমণে আসছে হাজারো মানুষ।

সিলেট : সবুজে মোড়ানো বহু চা বাগান ছাড়াও জাফলং, রাতারগুল ও বিছনাকান্দি, সাদাপাথর, শ্রীপুর, মায়াবী ঝরনা, লালাখাল, জৈন্তাবাড়িসহ বহু পর্যটনকেন্দ্রের অবস্থান সিলেটে। রয়েছে হযরত শাহজালাল (রহ.) ও হযরত শাহপরাণ (রহ.)-এর মাজার। কিন্তু সব স্থান এখনো খাঁ খাঁ করছে। সিলেট নগরীর প্রাণকেন্দ্র জিন্দাবাজারের হোটেল গোল্ডেন সিটির ব্যবস্থাপক মৃদুল কান্তি দত্ত বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে এখন এই শিল্পে টিকে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। অবস্থা আসলেই খুব খারাপ।’ এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দ্রুত পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কলাপাড়া : সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের শোভা উপভোগ করতে আবার কুয়াকাটায় ভিড় করছে সৌন্দর্যপিপাসুরা। গঙ্গামতিচর, ঝাউবন, মিশ্রিপাড়া বৌদ্ধবিহার পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের আনাগোনায় মুখরিত হচ্ছে। দুপুরে কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্টে হাজার হাজার পর্যটক সাগরে নেমে শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছে। বিশেষ করে বৃহস্পতি ও শুক্রবার পর্যটকে সয়লাব হয়ে পড়ছে কুয়াকাটার দর্শনীয় স্পটগুলো।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোতালেব শরীফ জানালেন, ১ জুলাই থেকে কুয়াকাটা পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এর পর থেকে পর্যটকের আগমন বাড়ছে।

কুয়াকাটা হানিমুন কটেজের ম্যানেজার মো. জামাল হোসেন জানালেন, তাঁদের ১০টি কটেজ সপ্তাহের বৃহস্পতি ও শুক্রবার সম্পূর্ণ বুকিং থাকছে। অন্যান্য দিনে ৫০ শতাংশ ঘর বুকিং থাকছে।

[প্রতিবেদনটি তৈরি সহযোগিতা করেছেন বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার; নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট; জেলা প্রতিনিধি, হবিগঞ্জ ও রাঙামাটি; কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি]
-------
khaledrentacar.com থেকে গাড়ি ভাড়া করুন আর ঘুরে আসুন আপনার ভাল লাগার জায়গায়। কল করুন এই নাম্বারে 01933246577
-------

10/10/2020

'আবারো যেতে চাই ওই পাহাড়ে'
মানজুরুল ইসলাম সাজিদ (১৬), বাগেরহাট
--------
যখন করোনাভাইরাসের ভয়াল থাবা ছিল না, যখন আমরা চাইলেই ছুটে বেড়াতে পারতাম, তখন আমি পরিবারের সঙ্গে পাহাড় দেখতে গিয়েছিলাম।
পরিবারের সাথে পাহাড়ের পথে 'চান্দের গাড়িতে' চড়ার যে কী আনন্দ।

আমরা গিয়েছিলাম সাজেকে। আঁকাবাঁকা পথে ছুটছে গাড়ি আর আমিও তাকিয়ে আছি পাহাড় পানে। রাঙ্গামাটির সাজেক ভ্যালিতে এটাই আমার প্রথম ভ্রমণ। সাজেকের রুপটা একটু অন্যরকম। আকাশে হেলান দেওয়া পাহাড়, দিগন্ত জুড়ে সবুজ রঙ যেন অপরুপ দৃশ্য তৈরি করে রেখেছে।
সাজেকে গিয়ে দেখেছি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জীবন। সেখানে গিয়ে আমার নতুন অভিজ্ঞতা হয়।৷ বাঁশের ভেতর মুরগির মাংস রান্না প্রথম দেখেছি। এটিকে বলা হয়, ব্যাম্বু চিকেন।

আমার দেখা অন্যতম একটি সুন্দর জায়গা ছিল এটি।আবারো যেতে চাই ওই পাহাড়ে, মেঘের ভেলায় নিজেকে ভাসাতে চাই।

আমার সপ্তমবার পাহাড় দর্শন ছিল এটি। এর আগে বান্দরবান, সিলেট, কক্সবাজার, পতেঙ্গা, কুয়াকাটা, সুন্দরবন ঘুরেছি।
-------
khaledrentacar.com থেকে গাড়ি ভাড়া করুন আর ঘুরে আসুন আপনার ভাল লাগার জায়গায়। কল করুন এই নাম্বারে 01933246577
-------

10/10/2020

পাহাড়, সমুদ্র আর অরণ্যের ঐকতান
লেখা
লেখা মো: ফয়সাল ইফরান, তেহরান, ইরান
-----------------
ভ্রমণের জন্য বিনিয়োগ হচ্ছে নিজের জন্য বিনিয়োগ
ম্যাথু কার্স্টেন
কবির মতো আমার মনেও সর্বক্ষণ বেজে ওঠে একই সুর, একই ধ্বনি, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর সবার আমি ছাত্র, নানানভাবে নতুন জিনিস শিখছি দিবারাত্র’। তাই এই বিদেশ-বিভুঁইয়েও মন আমার সারাক্ষণ ছুটে চলে বনে-বাদাড়ে, পাহাড়ে-পর্বতে, তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে, কখনোবা সিন্ধুর তীরে।

এবার তাই গ্রীষ্মের ছুটিতে বন্ধুদের সঙ্গে ঠিক করলাম বেরিয়ে পড়ব ভ্রমণে। যেখানে পাহাড়ের সঙ্গে সমুদ্র মিশে একাকার হয়ে গেছে। বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, সিরিয়ান ও ইন্ডিয়ান কজন বন্ধু মিলে ঠিক করলাম ইরানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হরমুজগান প্রদেশ ও সমগ্র পারস্য উপসাগরের দ্বীপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় দ্বীপ ক্বেশম দ্বীপ ভ্রমণে যাব।

হরমুজ প্রণালির উৎসমুখে দ্বীপটির অবস্থান। ক্বেশম দ্বীপের আয়তন প্রায় ১ হাজার ৫০০ বর্গকিলোমিটার, যা সিঙ্গাপুর ও বাহরাইন দেশের তুলনায় বড়। দ্বীপটিতে প্রায় এক লাখ আঠারো হাজার মানুষের বসবাস। তারা ফারসি ভাষার পাশাপাশি তাদের আঞ্চলিক ভাষাতেও কথা বলে।

আমি অনলাইনে ট্রেনে যাওয়া-আসার টিকিট এবং ক্বেশমে এ তিন রাত থাকার জন্য একটি রিসোর্ট বুকিং দিলাম।

আগের দিন বন্ধুরা সবাই একসঙ্গে বসে, কয়েক দফা আলোচনা করে সবকিছু গুছিয়ে নিলাম। পরদিন সকালে উঠে চলে এলাম তেহরান রেলওয়ে স্টেশনে। দুপুর সাড়ে ১২টায় আমাদের ট্রেন ছাড়ার কথা। ঠিক ১২টা ৩০ মিনিটেই ট্রেনটি প্ল্যাটফর্ম ছাড়ল। যাত্রাপথ ছিল তেহরান রেলওয়ে স্টেশন থেকে বন্দর আব্বাস রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৩০০ কিলোমিটার। ট্রেনে এত সময় আগে কখনো কাটাইনি। প্রায় ২০ ঘণ্টা! কিন্তু সবাই মিলে আড্ডা, খাওয়াদাওয়া আর ঘুমের মধ্য দিয়ে সময়টা কী করে যে কেটে গেল, বুঝতেই পারলাম না।

সকাল সাড়ে আটটায় আমরা বন্দর আব্বাস রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছালাম। বন্দর আব্বাস পারস্য উপসাগরের তীরে অবস্থিত একটি সমুদ্রবন্দর। এটি ইরানের হরমুজগন প্রদেশের বৃহত্তম একটি শহর। ইরানি নৌবাহিনীর প্রধান ঘাঁটিটি এখানেই অবস্থিত।
বন্দর আব্বাস রেলওয়ে স্টেশন থেকে আমরা ট্যাক্সিতে করে রওনা হলাম শহীদ হাক্কানি বন্দরে। সেখান থেকে ওয়াটার বাসে করে ৫০ মিনিট যাত্রা শেষে পৌঁছে গেলাম আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য ক্বেশম দ্বীপে। সমুদ্র আর নির্মল বাতাসের সঙ্গে যার রোজকার মিতালি।

ট্যাক্সি থেকে বের হতেই প্রচণ্ড গরম অনুভব করছিলাম। রিসোর্টে পৌঁছে ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপর বেরিয়ে পড়লাম নতুনকে চিনতে, প্রকৃতিকে জানতে।
আমরা রওনা হলাম স্টার ভ্যালি দেখতে। স্টার ভ্যালি নাম হলেও এটি কিন্তু কোনো পাহাড় নয়। জায়গাটি তার অদ্ভুত এবং প্রশস্ত চেহারার কারণে স্টার ভ্যালি হিসেবে পরিচিত। এখানকার আদিবাসীরা বিশ্বাস করেন, এই আকারগুলো আকাশ থেকে নক্ষত্র পতনের কারণে তৈরি হয়েছে। তবে বাস্তবে ঘূর্ণিঝড় ও অতিবৃষ্টির কারণেই মূলত জায়গাটির সৃষ্টি হয়েছে।

আমরা জায়গাটির অপরূপ সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। অসম্ভব সুন্দর একটি জায়গা। সবাই মিলে বেশ কিছু ছবি তুললাম ও জায়গাটি ঘুরে দেখলাম। সন্ধ্যা নামার আগেই আমরা সেখান থেকে চলে এলাম পারস্য উপসাগরের কোল ঘেঁষে নির্মিত জাইতুন পার্কে।

প্রচণ্ড গরমের মধ্যে পানি দেখে আমাদের আর তর সইছিল না। তড়িঘড়ি করে নেমে পড়রলাম সমুদ্রে। আহ! সেকি প্রশান্তি। দেখলাম গুঁড়া থেকে বুড়া—সবাই সমুদ্রের পানিতে গোসল করছে। আমরা এক থেকে দেড় ঘণ্টা গোসল করার পর ফিরে গেলাম রিসোর্টে। সবাই একসঙ্গে ডিনার করে ঘুমিয়ে পড়লাম।

প্রচণ্ড গরমের কারণে পরদিন সকালে আর কোথাও যাওয়া হলো না আমাদের। বলাবাহুল্য যে ক্বেশমে তখন তাপমাত্রা ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
তাপমাত্রা কিছুটা কমে এলে আমরা বিকেলে ভ্রমণে বেরিয়ে পরলাম। ক্বেশম দ্বীপের কাছে অন্যতম আরেকটি সুন্দর দ্বীপ, যার নাম নাজ দ্বীপ। দ্বীপপুঞ্জটি তিনটি পাথরের শিলা নিয়ে সমুদ্রের মাঝখানে অবস্থান করছে। সমুদ্রের পানির স্তর নিচে নেমে গেলে, এই পাথরের তীর থেকে একটি পথ বের হয় এবং তখন আপনি হেঁটে নাজ দ্বীপে চলে যেতে পারবেন। তবে প্রায়ই জোয়ারের পানিতে পথটা ডুবে যায়।

নাজ দ্বীপের সৌন্দর্য আমাকে এখনো টানে। প্রকৃতি এখানে দুই হাত ভরে ছড়িয়ে দিয়েছে উপাচার, মানুষের জন্য। দেখলাম স্থানীয় আদিবাসীদের সমুদ্রসৈকতের আশপাশে জড়ো হতে। হস্তশিল্প, গ্রীষ্মকালীন ফল বিক্রয় এবং হাতে মেহেদির নকশা আঁকা নাজ দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবিকা উপার্জনের অন্যতম উৎস।

অতঃপর নাজ দ্বীপ ভ্রমণ শেষে আমরা রওনা হলাম জাইতুন পার্কের উদ্দেশে। পার্কে পৌঁছে সিরিয়ান পানীয় মাত্তেহর স্বাদ আস্বাদন করতে করতে উপভোগ করলাম সমুদ্রের অবিরাম ঊর্মিমালা। রাতে রিসোর্টে ফিরে খাওয়াদাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম।
পরদিন সকালে উঠে নাশতা করে আমার রওনা হলাম ক্বেশম দ্বীপের একমাত্র ম্যানগ্রোভ ফরেস্টে। ম্যানগ্রোভ বনটি কেবল ক্বেশম দ্বীপ নয়, ইরানেরও অন্যতম বিশেষ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এটি ইরানের অন্যতম জনপ্রিয় একটি দর্শনীয় স্থান। বনটি ফ্লামিংগো, পেলিক্যান এবং কয়েক প্রজাতির বকের অভায়রণ্য। বনে পৌঁছে একটি স্পিডবোট ভাড়া করে রওনা হলাম বনটির সৌন্দর্য আবলোকন করতে। সবাই মিলে বেশ কিছু ছবিও তুলে ফেললাম।

বন পরিদর্শন শেষে আমরা দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য চলে এলাম একটি স্থানীয় রেস্টুরেন্টে। সেখানে ছিল হরেক রকমের সামুদ্রিক মাছের তৈরি খাবার। যার যার পছন্দমতো আমরা অর্ডার করলাম। সত্যিই সামুদ্রিক মাছগুলো খেতে ছিল খুবই সুস্বাদু। আমাদের ওখান থেকে রিসোর্টে ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে গিয়েছিল। পরদিন ছিল তেহরানে ফিরে যাওয়ার পালা।

ক্বেশম থেকে সকাল আটটায় রওনা হলাম বন্দর আব্বাসের দিকে এবং আবার দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা ট্রেনে কাটিয়ে পৌঁছালাম তেহরানে।এইভাবেই আরও একবার শেষ করলাম অজানাকে জানা, অদেখাকে দেখা। উপভোগ করলাম প্রকৃতির নয়নাভিরাম দৃশ্য ও সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টির অসীম সৌন্দর্য।

ক্বেশম ভ্রমণ আমাকে আবার একবার মনে করিয়ে দেয় ম্যাথু কার্স্টেনের সেই বিখ্যাত উক্তি, ‘ভ্রমণের জন্য বিনিয়োগ হচ্ছে নিজের জন্য বিনিয়োগ।’

ক্বেশম ভ্রমণ জীবনের অসাধারণ অনুভূতিগুলোর সাক্ষী হয়ে আজীবন রয়ে যাবে আমার মনের মণিকোঠায়।

লেখক: শিক্ষার্থী, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, খাজা নাসিরউদ্দিন তুসি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
-------
khaledrentacar.com থেকে গাড়ি ভাড়া করুন আর সাজেক ঘুরে আসুন। কল করুন এই নাম্বারে 01933246577
-------

পাহাড়ে নতুন সম্ভাবনা---আহমেদ কুতুব, চট্টগ্রাম---চট্টগ্রাম অঞ্চলের পর্যটনশিল্পের দ্রুত সমৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটছে বেসরকারিভাবেই...
10/10/2020

পাহাড়ে নতুন সম্ভাবনা
---
আহমেদ কুতুব, চট্টগ্রাম

---
চট্টগ্রাম অঞ্চলের পর্যটনশিল্পের দ্রুত সমৃদ্ধি ও বিকাশ ঘটছে বেসরকারিভাবেই। সরকারি পর্যায়ে তেমন কোনো উদ্যোগ না থাকলেও পর্যটনকে এগিয়ে নিতে পাহাড় এবং সমতলের নতুন নতুন পর্যটন স্পটে বৈচিত্র্যময় ও দৃষ্টিনন্দন রিসোর্ট ও কটেজ তৈরি হচ্ছে ব্যক্তি উদ্যোগে। পাহাড়ে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের জন্য প্রথমবারের মতো তৈরি হচ্ছে পাঁচতারকা হোটেল। নীলগিরিতে পর্যটকদের আসা-যাওয়ার সুবিধার্থে বান্দরবানে বিশেষ বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। রাঙামাটিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হাত ধরে খুলছে পর্যটনের দুয়ার। সরকারি সংস্থা পর্যটন করপোরেশন পাহাড়ে একাধিক প্রকল্প নিলেও তার অগ্রগতি চলছে কচ্ছপগতিতে।

পরিবেশবিদ ও পর্যটন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ইদ্রিস আলী বলেন, পাহাড় প্রকৃতির দান। প্রকৃতি সবসময়ই মানুষের মনপ্রাণ সতেজ করে দেয়। তাই পাহাড়ে ক্রমেই পর্যটন বিকশিত হচ্ছে। পরিবেশ ও প্রকৃতি ঠিক রেখেই পর্যটনশিল্পের বিকাশ করতে হবে। সাজেক কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ দেব বর্মণ জানান, প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক সাজেক ভ্রমণে আসছেন। পাঁচ-ছয় বছরে প্রায় শতকোটি টাকা বিনিয়োগ করে সাজেকে ব্যক্তি উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য শতাধিক কটেজ ও রিসোর্ট তৈরি হয়েছে।

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৭০০ ফুট উঁচুতে 'মেঘের রাজ্য' এবং বাংলাদেশের 'দার্জিলিং'খ্যাত সাজেক ভ্যালির রুইলুইপাড়া থেকে কংলাক পাহাড় পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার এলাকা বছরজুড়ে পর্যটকের আনাগোনায় মুখর থাকে।

২০১৫ সালে এখানে শুধু সেনাবাহিনীর একটি রিসোর্ট থাকলেও এর পর থেকেই দিন দিন একের পর এক বৈচিত্র্যময় রিসোর্ট ও কটেজ তৈরি হয়েছে। সাজেকে ২০১৬ সালে ৩৯টি কটেজ ও রিসোর্ট থাকলেও ২০২০ সালে তা শতাধিকে উন্নীত হয়েছে। আদিবাসী বসতঘরের আদলে কটেজের পাশাপাশি তৈরি হয়েছে ইটপাথরের দালানও। প্রথম 'সাজেক রিসোর্ট' ছাড়াও এখন আলো রিসোর্ট, রুন্ময়, মেঘ মাচাং, লুসাই, মেঘপুঞ্জি, ঝিঁঝিঁ পোকার বাড়ি, ম্যাডভেঞ্চার, আদিবাসী ঘর, জুমঘর ইকো রিসোর্ট, রক প্যারাডাইজ, অবকাশ ইকো, মেঘালয়, রুলুই, সারা নীল কুঠির, দার্জিলিং, এভারেস্ট, রয়েল সাজেক, সাগ্রাই, সাজেক হিল ভিউ, মৈত্রী, মেঘ বিলাস, জলবুক রিসোর্টসহ বহু রিসোর্ট ও কটেজ গড়ে উঠেছে।

পাহাড়ে প্রথম পাঁচতারকা হোটেল: পাহাড়ে প্রথম পাঁচতারকা হোটেল হচ্ছে বান্দরবানে। বান্দরবান থেকে ৪৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে নীলগিরিতে তৈরি হচ্ছে 'ম্যারিয়ট হোটেল'। হোটেলের পাশাপাশি সিঙ্গাপুরের আদলে এক পাহাড় থেকে অন্য পাহাড়ে ভ্রমণের জন্য কেবল কার, ১২টি পৃথক ভিলাসহ পরিকল্পিত বিনোদন কেন্দ্রও গড়ে তুলছে সিকদার গ্রুপ। এ ব্যাপারে গত ১২ সেপ্টেম্বর সিকদার গ্রুপ ও সেনাকল্যাণ ট্রাস্টের মধ্যে ৩৫ বছরের একটি চুক্তি হয়েছে। হোটেলটি বাস্তবায়িত হলে পাহাড়ে পর্যটনশিল্পের বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে বলে সংশ্নিষ্টরা মনে করছেন। অন্যদিকে নীলগিরি ভ্রমণের সুবিধার্থে বান্দরবান-নীলগিরি রুটে বিশেষ বাস সার্ভিসও চালু হয়েছে। হোটেল হিলভিউর কর্ণধার কাজল কান্তি দাশ বলেন, ২৭ ফেব্রুয়ারি বিশেষ বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় পর্যটকদের ভোগান্তি কমে এসেছে। প্রতিদিন সকালে পর্যটকরা দুটি বাসে শৈলপ্রপাত, চিম্বুক হয়ে নীলগিরি ঘুরে বিকেলে ফিরে আসতে পারছেন।

পারকি সিবিচ ও খৈয়াছড়া ঝরনা: পর্যটনশিল্পের বিকাশে এগিয়ে এসেছেন আনোয়ারা ও মিরসরাই উপজেলার দুই ইউপি চেয়ারম্যান। ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য আনোয়ারার পারকি সিবিচের পাশেই 'পারকি বিচ লুসাই পার্ক' নামে সাত একর জায়গার ওপর তিনটি কটেজ ও একটি রিসোর্ট তৈরি করেছেন স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান কাইয়ুম শাহ। এ রিসোর্টের ভেতর পিকনিক পার্টির পাশাপাশি বারবিকিউ, ফায়ারক্যাম্প ও তাঁবুবাস করার সুযোগ পাচ্ছেন পর্যটকরা। অন্যদিকে মিরসরাইয়ের অপরূপ খৈয়াছড়া ঝরনায় আসা পর্যটকের জন্য 'চেয়ারম্যান পাহাড়েও' তৈরি হচ্ছে রিসোর্ট।

প্রতিদিন শত শত পর্যটক ঝরনায় ভ্রমণে আসায় তাদের প্রাকৃতিক পরিবেশে থাকা, খাওয়া ও বিনোদন দিতে চেয়ারম্যান পাহাড় ঘিরে ঢাকার কোম্পানি একটি পরিকল্পিত পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান খৈয়াছড়া ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদ ইকবাল চৌধুরী। চেয়ারম্যান কাইয়ুম শাহ বলেন, কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে 'পারকি বিচ লুসাই পার্ক' রিসোর্ট তৈরি করা হয়েছে। পারকি সিবিচকে এগিয়ে নিতে এ রিসোর্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অন্যদিকে খাগড়াছড়িতে স্থানীয় এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পর্যটকদের সেবা দিতে একটি বিনোদন কেন্দ্র ও রিসোর্ট তৈরি করেছেন।
-------
khaledrentacar.com থেকে গাড়ি ভাড়া করুন আর সাজেক ঘুরে আসুন। কল করুন এই নাম্বারে 01933246577
-------

Address

371, 4th Floor, 5 Mirpur Road, Boishakhi Super Market, Mirpur 1
Dhaka
1216

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Khaled Rent A Car posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Khaled Rent A Car:

Videos

Share