RainTrip

RainTrip RainTrip is working in the field of tour packages, air ticket processing and hotel booking services. We are providing tour & travelling services in Bangladesh.

Introduction
RainTrip is a reputed name in the field of tourism industry in Bangladesh since 2022. We are the specialized in the field of inbound and outbound tour packages, visa and ticket processing, Star Cruise, domestic and international hotel booking worldwide services. RainTrip started its journey in the year 2022 and since then we have established a solid branding and earned good reputatio

n from many top-level companies and organizations. Business Concept
RainTrip is looking forward to develop a fully functional online travel portal and focusing mainly on hotels online, both domestic & international. Gradually, we are heading towards a platform from where customers can search, book and pay for a flight online. Moreover they can search, book and pay for a hotel online from anywhere anytime. Thus raintrip .com is going to open a new dimension of opportunity and enabling customers a great deal of benefits & ensuring maximum comfort. The trend of outbound and inbound package tour was basically inaugurated by us in Bangladesh in the year 2022. It gave customers the flexibility to get all the facilities in one place like visa & ticket processing, hotel booking, sightseeing, guide and all kinds of transportation. This package concept was greatly accepted by customers during that time. Gradually, we Company Profile introduced many domestic and international packages and started working with reputed airlines in Bangladesh. We provide ones stop solution to all kinds of touring or travel related services with a worm and fresh smile. Business Goal & Objective
Our mission towards strengthening our business policy and managing customers is as strong as it was in the very beginning. We believe that “Customer is always right”- keeping this in mind we are dedicated towards developing a different entity in reliable travel related services whether it is about visa or ticketing, any tour packaging or booking hotels online. Our customer care team is very efficient and most of our officials are serving in RainTrip for many years because of many facilities and the credit goes to good management and flexibility.

04/07/2023

𝑶𝒖𝒓 𝒗𝒊𝒔𝒂 𝒑𝒓𝒐𝒄𝒆𝒔𝒔𝒊𝒏𝒈 𝒐𝒇𝒇𝒆𝒓:
🇮🇳 Indian (Visit) ৳999 (Including fee)
🇮🇳 Indian (Medical) ৳2500
🇳🇵 Nepal (Pre-Arrival) ৳1000
🇸🇬 Singapore with LOI ৳5500
🇲🇾 Malaysia ৳5000 (Student / Visit)
🇹🇭 Thailand ৳5500
🇭🇰 Hong Kong ৳11000
🇮🇩 Indonesia ৳18000
🇯🇴 Jordan ৳8500
🇪🇬 Egypt ৳9000
🇦🇪 Dubai ৳15000
🇯🇵 Japan ৳4000
🇰🇷 South Korea ৳3000
🇻🇳 Vietnam ৳8500
🇰🇭 Cambodia ৳5000
🇵🇭 Philippines ৳6500
🇧🇭 Bahrain ৳6000
🇲🇩 Moldova ৳11500
🇲🇦 Morocco ৳11500
🇺🇿 Uzbekistan ৳9500
🇹🇿 Tanzania ৳11500
🇿🇲 Zambia ৳7500
🇶🇦 Qatar (Tourist) ৳ 6500
🇶🇦 Qatar (Haya Card) ৳12500
ℹ 𝑉𝘪𝑠𝘢 𝘱𝑟𝘰𝑐𝘦𝑠𝘴𝑖𝘯𝑔 𝑓𝘦𝑒𝘴 𝘢𝑟𝘦 𝘴𝑢𝘣𝑗𝘦𝑐𝘵 𝘵𝑜 𝑐𝘩𝑎𝘯𝑔𝘦 𝘢𝑡 𝑎𝘯𝑦 𝑡𝘪𝑚𝘦.
𝑩𝒂𝒔𝒊𝒄 𝑫𝒐𝒄𝒖𝒎𝒆𝒏𝒕𝒔 𝑹𝒆𝒒𝒖𝒊𝒓𝒆𝒅:
Recent photograph
Passport (Six Months Validity)
TIN Certificate/Tax Return
National ID.
Marriage Certificate
Birth certificate & school ID copy for child
𝐅𝐨𝐫 𝐁𝐮𝐬𝐢𝐧𝐞𝐬𝐬 𝐩𝐞𝐫𝐬𝐨𝐧,
Trade License (Translated & Notarized)
Last Six months Statement & Solvency
Letter Pad & Visiting Card
𝐅𝐨𝐫 𝐒𝐚𝐥𝐚𝐫𝐲 𝐩𝐞𝐫𝐬𝐨𝐧,
N.O.C.
Six Months Salary Statement/ Pay slip
Official ID Card & Visiting Card.

𝑭𝒐𝒓 𝒅𝒆𝒕𝒂𝒊𝒍𝒔 𝒂𝒏𝒅 𝒇𝒆𝒍𝒍 𝒇𝒓𝒆𝒆 𝒕𝒐 𝒂𝒔𝒌:
Office: Rupsa Tower, Plot-07 Road 17, Dhaka 1213
Helpline : 📶01581-437080
(𝑾𝒆 𝒂𝒓𝒆 𝒄𝒊𝒗𝒊𝒍 𝒂𝒗𝒊𝒂𝒕𝒊𝒐𝒏 𝒂𝒑𝒑𝒓𝒐𝒗𝒆𝒅 𝒕𝒓𝒂𝒗𝒆𝒍 𝒂𝒈𝒆𝒏𝒄𝒚)

𝗠𝗮𝗸𝗲 𝘆𝗼𝘂𝗿 𝗼𝘄𝗻 𝘁𝗶𝗰𝗸𝗲𝘁✈
𝑽𝒊𝒔𝒊𝒕:

B2C Portal

নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্ক (Zinda Park) ভ্রমন গাইড:-----------------------------------------------------গন্তব্য যদি হয় খা...
22/10/2022

নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্ক (Zinda Park) ভ্রমন গাইড:
-----------------------------------------------------
গন্তব্য যদি হয় খানিকটা দূরে, আর হাতে যদি থাকে সারা দিনের সময়, তাহলে ঘুরে আসতে পারেন নারায়ণগঞ্জের জিন্দা পার্ক (Zinda Park) থেকে। ঢাকাতে সময় কাটানোর মতো অনেক পার্ক আছে,তবে নোংরামি ও অশ্লীলতার কারনে পার্কগুলোতে যেতে এখন মানুষের ভয় করে৷ ঢাকার যানযট, কোলাহল থেকে কিছুক্ষনের জন্য মুক্তি পেতে হলে ঘুড়ে আসা উচিত জিন্দা পার্ক থেকে৷ অসাধারন স্থাপত্যশৈলীর ব্যাবহার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পার্কটিতে৷ পার্কটি কোন সরকারি উদ্যাগের ফসল নয়। আবার কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের নির্মাণও নয়। পার্কটি তৈরী হয়েছে এলাকাবাসীর স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং তাদের প্রাণান্ত অংশগ্রহনের মাধ্যমে। এলাকার ৫০০০ সদস্য নিয়ে “অগ্রপথিক পল্লী সমিতি” ১৯৮০ সালে যাত্রা শুরু করে। এ দীর্ঘ ৩৫ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম আর ত্যাগের ফসল এই পার্কটি। এ রকম মহাউদ্দেশ্য, এত লোকের সক্রিয় অংশগ্রহন এবং ত্যাগ স্বীকারের উদাহারণ খুব কমই দেখা যায়। অপস ক্যাবিনেট, অপস সংসদ এবং অপস কমিশন নামে পার্কটিতে ৩টি পরিচালনা পর্ষদ রয়েছে। বর্তমানে জিন্দা গ্রামটিকে একটি আদর্শ গ্রাম ও বলা হয়৷

জিন্দা পার্ক এর অবস্থান নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে। প্রায় ১০০ বিঘা জায়গা জুড়ে গড়ে ওঠা জিন্দা পার্কে রয়েছে একটি কমিউনিটি স্কুল, কমিউনিটি ক্লিনিক, নান্দনিক স্থাপত্যশৈলী বিশিষ্ট একটি লাইব্রেরি, মসজিদ, ঈদগাহ, কবরস্থান, রয়েছে একটি রেস্তোরা। ২৫০ প্রজাতির ১০ হাজারের বেশী গাছ-গাছালী আছে পার্কটিতে। গাছের এই সমারোহ এর পরিবেশকে করেছে শান্তিময় সবুজ, কলকাকলীতে মুখর করেছে অসংখ্য পাখীরা। শীতল আবেশ এনেছে ৫ টি সুবিশাল লেক। তাই গরম যতই হোক পার্কের পরিবেশ আপনাকে দেবে শান্তির ছোঁয়া।

ফ্যামিলি পিকনিকের জন্য জিন্দা পার্ক এখন বেশ পরিচিত জায়গা। কাঠের ব্রিজ পার হয়ে দিঘির মাঝামাঝি তৈরি করা বাঁশের টি রুমে বসে প্রিয়জনের সঙ্গে এক কাপ চা কিংবা জলে পা ডুবিয়ে বসে থাকার সময়গুলো দারুণ উপভোগ করবেন। সঙ্গে গাড়ি না থাকলেও সমস্যা নেই। বাড়ি ফেরার জন্য পার্কের সামনেই পাবেন গাড়ি, সিএনজি। আর হ্যাঁ, পিকনিক করতে চাইলে দু-তিন দিন আগেই যোগাযোগ করুন। পিকনিকের খাবারের ব্যবস্থা পার্ক কর্তৃপক্ষই করে।

টিকেট মূল্য
জিন্দা পার্কে প্রবেশের টিকিট মূল্য প্রাপ্তবয়স্ক প্রতিজন ১০০ টাকা। ৫ বছরের নিচে ছোট বাচ্চাদের টিকেট ৫০ টাকা। খাবার নিয়ে প্রবেশ করলে টিকিটের মুল্য হবে ১২৫টাকা। এছাড়া লাইব্রেরিতে প্রবেশমুল্য ২৫ টাকা এবং পুকুরে নৌকায় ঘুরে বেড়াতে পারেন, খরচ পড়বে ৩০ মিনিট ২০০ টাকা।

পার্কিং খরচ
পার্কিং খরচ গাড়ি ভেদে ৫০/- থেকে ১০০ টাকা।

জিন্দা পার্ক যাওয়ার উপায়
ঢাকা থেকে জিন্দা পার্ক এর দূরত্ব ৩৭ কিঃ মিঃ। ঢাকার যেখানেই থাকুন না কেন প্রথমেই চলে যান কুড়িল বিশ্বরোড। কুড়িলের বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকে কাঞ্চন ব্রিজের টিকিট কেটে নামতে হবে কাঞ্চন ব্রিজ। এ পর্যন্ত ভাড়া পড়বে ২৫ টাকা। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে জিন্দা পার্ক বাইপাসে যেতে লেগুনা বা অটোতো গুনতে হবে ২০-৩০ টাকা। বাইপাসে নেমে ডিরেকশন অনুযায়ী হেটেই পৌছাতে পারবেন পার্কের গেট পর্যন্ত। তবে রিক্সায় গেলে ভাড়া পড়বে ৮০-১০০ টাকা। রিক্সা করে সরাসরি পার্কের গেটে চলে যেতে পারবেন।

ফেরার সময় একইভাবে অটো বা রিক্সায় কাঞ্চন ব্রীজ চলে আস্তে হবে। সেখান থেকে বিআরটিসি বাসে কুড়িল বিশ্বরোড। কাঞ্চন ব্রিজ থেকে ১৫ মিনিট পর পর বাস পাবেন।

এছাড়া কুড়িল বিশ্বরোড থেকে সিএনজি নিয়েও সরাসরি পার্কে যাওয়া যায়, ভাড়া ৪০০ টাকা।

খাওয়া দাওয়া এর ব্যবস্থা
খাওয়ার জন্য পার্ক এর ভিতর মহুয়া স্ন্যাকস অ্যান্ড মহুয়া ফুডস রেস্টুরেন্ট আছে। এখানে বিভিন্ন রকম দেশীয় খাবার পাওয়া যায়, যার প্যাকেজ মূল্য জনপ্রতি ২২০ টাকা থেকে ৬৭০ টাকা। পিকনিক এর জন্যও এখানে খাবার অর্ডার দেয়া যায়। সেক্ষেত্রে নির্ধারিত দিনের অন্তত একদিন পূর্বে অর্ডার নিশ্চিত করতে হবে। যোগাযোগ: 01715025083, 01716260908

এছাড়া জিন্দা পার্ক থেকে বের হয়ে পার্কের ঠিক সামনের রাস্তায় অবস্থিত “নাহার হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে” খাওয়া দাওয়া সারতে পারেন। জনপ্রতি ১৫০/- থেকে ২০০/- বেশ ভালো মানের লাঞ্চ করতে পারবেন।

তবে পার্কে ঘুরা শেষে ৩০০ ফিট এসে খেলে ভালো হয়। ৩০০ ফিটে খাওয়া ভালো এবং খরচও কম হবে। তবে বাহিরে থেকে খাবার নিয়ে পার্কে যেতে চাইলে অতিরিক্ত ২৫/- জন প্রতি দিতে হবে।

থাকার ব্যবস্থা
জিন্দা পার্ক এ ঘুরতে ঘুরতে যদি কখনও মনে হয় যে রাতে থেকে যেতে পারলে মন্দ হতো না, সেক্ষেত্রেও কোন চিন্তার কারন নেই। কারন রাতে থাকার জন্যে আছে মহুয়া গেস্ট হাউজ।

জিন্দা পার্কের যোগাযোগের ঠিকানা
ওয়েবসাইটঃ http://zindapark.com
ই-মেইলঃ [email protected]
ফোনঃ +৮৮০ ১৭১৬২৬০৯০৮, +৮৮০ ১৭১৫০২৫০৮৩, +৮৮০ ১৮১৬০৭০৩৭৭

পানাম নগর (Panam City) :পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এ অবস্থিত। পানাম বাংল...
22/10/2022

পানাম নগর (Panam City) :
পৃথিবীর ১০০টি ধ্বংসপ্রায় ঐতিহাসিক শহরের একটি যা নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও এ অবস্থিত। পানাম বাংলার প্রাচীনতম শহর। এক সময় ধনী হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের বসবাস ছিল এখানে। ছিল মসলিনের জমজমাট ব্যবসা। প্রাচীন সেই নগরীর তেমন কিছু আর অবশিষ্ট নেই। এখন আছে শুধু ঘুরে দেখার মতো ঐতিহাসিক পুরনো বাড়িগুলো। World Monument Fund ২০০৬ সালে পানাম নগরকে বিশ্বের ধ্বংসপ্রায় ১০০টি ঐতিহাসিক স্থাপনার তালিকায় প্রকাশ করে। ঈসা খাঁ এর আমলের বাংলার রাজধানী পানাম নগর। বড় নগর, খাস নগর, পানাম নগর -প্রাচীন সোনারগাঁর এই তিন নগরের মধ্যে পানাম ছিলো সবচেয়ে আকর্ষণীয়। এখানে কয়েক শতাব্দী পুরনো অনেক ভবন রয়েছে, যা বাংলার বার ভূইয়াঁদের ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত। ঢাকার খুব কাছেই ২৭ কি.মি দক্ষিণ-পূর্বে নারায়নগঞ্জ এর খুব কাছে সোনারগাঁতে অবস্থিত এই নগর। সোনারগাঁর ২০ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে এই নগরী গড়ে ওঠে। ঐতিহাসিকভাবে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি শহর। জানা যায়, ১৪০০ শতাব্দীতে এখানে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় যেখানে পৃথিবীর নামি-দামি শিক্ষকরা পড়াতে আসতেন। এখানে একটি ভৃত্য বাজার ছিল বলে জানা যায়।

পানাম নগরী এর দুই ধারে ঔপনিবেশিক আমলের মোট ৫২টি স্থাপনা রয়েছে। এর উত্তরদিকে ৩১টি এবং দক্ষিণদিকে ২১টি স্থাপনা অবস্থিত। স্থাপনাগুলোর স্থাপত্যে ইউরোপীয় শিল্পরীতির সাথে মোঘল শিল্পরীতির মিশ্রণ লক্ষ করা যায়। পানাম নগরী নিখুঁত নকশার মাধ্যমে নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই কূপসহ আবাস উপযোগী নিদর্শন রয়েছে। নগরীর পানি সরবরাহের জন্য দুপাশে খাল ও পুকুরের অবস্থান লক্ষ করা যায়। এখানে আবাসিক ভবন ছাড়াও উপাসনালয়, গোসলখানা, পান্থশালা, দরবার কক্ষ ইত্যাদি রয়েছে। পানাম নগরের আশে পাশে আরো কিছু স্থাপনা আছে যেমন- ছোট সর্দার বাড়ি, ঈশা খাঁর তোরণ, নীলকুঠি, বণিক বসতি, ঠাকুর বাড়ি, পানাম নগর সেতু ইত্যাদি। এখানে আরো আছে চমৎকার একটি লোকশিল্প যাদুঘর।

পানাম নগর বন্ধ থাকে কোনদিন?
পানাম নগর সপ্তাহের রবিবার বন্ধ থাকে এবং সোমবার প্রথম বেলা বন্ধ থাকে। এছাড়া সরকারী ছুটির দিনগুলোতে শুধুমাত্র জাদুঘর বন্ধ থাকে কিন্তু পানাম সিটি খোলা থাকে।

পানাম নগরে ঢুকতে টিকেট মূল্য কত?
পানাম নগরে ঢুকতে ১৫ টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হবে। এছাড়া জাদুঘরের জন্যে ৩০টাকা দিয়ে টিকেট কাটতে হবে।

পানাম সিটি যাওয়ার উপায়
ঢাকা হতে পানাম নগর এর মোট দূরত্ব ২৭ কি.মি যা সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন জাদুঘর হতে ০.৫ কি.মি. উত্তরে অবস্থিত। যে কেউ প্রাইভেটকার অথবা মাইক্রোবাস নিয়ে সরাসরি পানাম নগর যেতে পারবেন। আর যদি বাসে যেতে চান তাহলে গুলিস্তান থেকে বাসে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় এসে নামতে হবে। গুলিস্তান থেকে এসি বাসের ভাড়া ৬০/৭০ টাকা এবং দোয়েল, স্বদেশ বাসগুলোতে ভাড়া ৪০/৫০ টাকা। এসব বাস আপনাকে মোরগাপারা চৌরাস্তা নামিয়ে দিবে। এরপর মোরগাপারা থেকে অটোতে জনপ্রতি ১০ টাকা দিয়ে সোনারগাও যাদুঘর। আর যাদুঘর থেকে জনপ্রতি দশটাকা ভাড়ায় পানাম নগর পৌঁছে যাবেন।

কোথায় থাকবেন
ঢাকার আশে পাশে হবার কারনে আপনি দিনে যেয়ে দিনেই ফিরতে পারবেন, তাই ওখানে থাকার চিন্তা না করলেও হবে। এরপরও যদি আপনি নারায়নগঞ্জে রাত্রিযাপন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নারায়নগঞ্জ সদরে এসে হোটেল নিতে হবে। এই লিঙ্কে কিছু নারায়নগঞ্জে থাকার হোটেলের ঠিকানা পাবেন।

নারায়নগঞ্জের বাংলার তাজমহল ভ্রমন গাইড: বিশ্বের প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য আগ্রার তাজমহলের আদলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেল...
22/10/2022

নারায়নগঞ্জের বাংলার তাজমহল ভ্রমন গাইড:
বিশ্বের প্রাচীন সপ্তাশ্চর্য আগ্রার তাজমহলের আদলে নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার পেরাব গ্রামে নির্মিত হয়েছে অনুপমশৈলীর স্থাপত্যে বিশ্বের ২য় বাংলার তাজমহল। বাংলার তাজমহল (Banglar Tajmahal) আগ্রার তাজমহলের মডেলেই গড়া হয়েছে। ঢাকা থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৩৩ কিলোমিটার। সোনারগাঁও এর দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে বাংলার তাজমহল অন্যতম। তাজমহলের মূল ভবন স্বচ্ছ ও দামি পাথরে মোড়ানো। এর অভ্যন্তরে চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক আহসানউল্লা মনি ও তার স্ত্রী রাজিয়া দু’জনের কবরের স্থান সংরক্ষিত আছে। চার কোণে চারটি বড় মিনার, মাঝখানে মূল ভবন, সম্পূর্ণ টাইলস করা। সামনে পানির ফোয়ারা, চারদিকে ফুলের বাগান, দুই পাশে দর্শনার্থীদের বসার স্থান। এখানে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রাজমনি ফিল্ম সিটি রেস্তোরাঁ, উন্নতমানের খাবার-দাবারের ব্যবস্থা। রয়েছে রাজমনি ফিল্ম সিটি স্টুডিও। ইচ্ছা করলে যে কোনো দর্শনার্থী এখানে ছবি তুলতে পারবে। তাজমহলকে ঘিরে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন হস্তশিল্প সামগ্রী, জামদানি শাড়ি, মাটির গহনাসহ আরও অন্যান্য পণ্য সামগ্রী।

বাংলার তাজমহলের কাছাকাছি পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম মিসরের পিরামিডের আদলে গড়ে তোলা হয়েছে পিরামিড। করা হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর। এখানে ইন্দিরা গান্ধী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি ভাস্কর্য নির্মাণ করা হচ্ছে। এছাড়াও পাশেই রয়েছে, শুটিং স্পট সেখানে যে কোনো নাটক, সিনেমার সব ধরনের শুটিং করা সম্ভব। আরও রয়েছে, ২৫০ আসনবিশিষ্ট সিনেমা হল ও সেমিনার কক্ষ। সুইমিংয়ের কাজ চলছে, তার সঙ্গে পরিকল্পনা রয়েছে আইফেল টাওয়ার করার। বর্তমানে দেশ-বিদেশ থেকে প্রতিদিন অসংখ্য পর্যটক ভীড় করছেন তাজমহল দর্শনের জন্য। তাজমহল এর অবস্থান সহজে চেনার জন্য মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে স্থাপন করা হয়েছে নির্দেশনার সাইনবোর্ড।

তাছাড়া তাজমহল দেখা শেষে মুড়াপাড়ার জমিদার বাড়ি, পানাম নগর, লোকশিল্প জাদুঘর, চৌদ্দার চর, জিন্দাপার্ক ঘুড়ে আসতে পারেন।

খোলা-বন্ধের সময়সূচী ও টিকেট মূল্য
তাজমহল প্রতিদিন খোলা থাকে সকাল ১০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। জনপ্রতি প্রবেশ ফি ১৫০ টাকা।

বাংলার তাজমহল কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে মাত্র ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে বাংলার তাজমহলে খুব সহজেই যাওয়া যায়। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে কুমিল্লা, দাউদকান্দি অথবা সোনারগাঁ গামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে মদনপুর বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়। সেক্ষেত্রে ভাড়া লাগে ১৫ টাকা। সেখান থেকে সিএনজি বা স্কুটারে জনপ্রতি ২৫ টাকা ভাড়ায় সহজে যাওয়া যায় তাজমহলে।

অন্যভাবে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দিয়ে ভৈরব, নরসিংদী, কিশোরগঞ্জগামী যেকোনো গাড়িতে চড়ে বরপা বাসস্ট্যান্ডে নামতে হয়, সেক্ষেত্রে ভাড়া হবে ২০ টাকা। এখান থেকে সিএনজি স্কুটারে জনপ্রতি ১০ টাকা ভাড়ায় পৌঁছে যেতে পারেন বাংলার তাজমহল।

সোনারগাঁও যাদুঘর:-------------------বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনটি সোনারগাঁও যাদুঘর হিসেবেই পরিচিত। রাজধানী ঢাকা থ...
22/10/2022

সোনারগাঁও যাদুঘর:
-------------------
বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনটি সোনারগাঁও যাদুঘর হিসেবেই পরিচিত। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দূরে। রুপগঞ্জ ও সোনারগাঁও এক সময় মসলিনের জন্য জগত বিখ্যাত ছিল। মসলিনের বিকল্প জামদানি শাড়ি তাঁতিদের সরাসরি তৈরি করতে দেখা যাবে কারুপল্লীর রুপসী কাজীপাড়ার বিসিক পল্লীতে। এখানে দেখার মতো রয়েছে লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন যাদুঘর এবং ফাউন্ডেশন চত্বর।

নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি প্রাচীন ও আধুনিক স্থাপত্যশৈলীর অনুপম নিদর্শন সোনারগাঁ। এখানে ১৯৭৫ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন। পানাম নগরের সর্দার বাড়িতে স্থানান্তরের মাধ্যমে সোনারগাঁ লোকশিল্প জাদুঘর হিসেবে এটি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করে। এখানে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে বেশ কিছু গ্যালারি, রয়েছে কারুপল্লী, লোকজমঞ্চ, লাইব্রেরি ও ডকুমেনটেশন সেন্টার। ফাউন্ডেশন চত্বরে রয়েছে জয়নুলের সংগ্রাম ভাস্কর্য, শিল্পাচার্যের আবক্ষ ভাস্কর্য, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের আদলে আবক্ষ ভাস্কর্য, টিকেট কেটে মাছ ধরার সুবিধাসহ আরও রয়েছে ফুলগাছ লতাপাতায় সবুজের সমারোহের মাঝে খালের মধ্যে ময়ূরপঙ্খি নৌকায় ওঠার চমৎকার সুযোগ।

লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন (Sonargaon Folk Art and Craft Museum) থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গোয়ালদী গ্রামে অবস্থিত ঐতিহাসিক পানাম নগর। প্রাচীন এ নগরীর ধ্বংসাবশেষ এখনো বিদ্যমান এখানে। পানাম নগরের পাশেই রয়েছে ঐতিহাসিক পানাম পুল। যারা যাদুঘর দেখতে আসেন, তারা সাধারণত একটি বারের জন্য হলেও ঘুরে যান পানাম নগরীতে। এছাড়া এর কাছাকাছি রয়েছে আগ্রার তাজমহলের আদলে বানানো বাংলার তাজমহল।

খোলা-বন্ধের সময়সূচী

সোনারগাঁও লোকশিল্প জাদুঘর সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার বন্ধ থাকে।

টিকেট মূল্য
কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা আর বিদেশি পর্যটকদের জন্য ১০০ টাকা।

কিভাবে যাবেন
ঢাকার গুলিস্তান এর স্টেডিয়াম এর সামনে থেকে সোনারগাঁও গামী অনেক বাস আছে, যেমন – বোরাক,দোয়েল। ভাড়া নিবে ৪৫-৬০ টাকা। স্পেশাল বাস গুলো ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে যায় তাই ভাড়া একটু বেশি হলেও সময় কম লাগে। বাসে করে সোনারগাঁ মুরগা বা মোগড়া পাড়া স্টেশনে নেমে রিক্সা অথবা সিএনজি করে সোনারগাঁ জাদুঘরের গেইটের সামনে চলে যাবেন। ভাড়া নিবে রিক্সা ২০-৩০ টাকা আর সিএনজি জনপ্রতি ১০ টাকা।

কোথায় থাকবেন
ঢাকার আশে পাশে হবার কারনে আপনি দিনে যেয়ে দিনেই ফিরতে পারবেন, তাই ওখানে থাকার চিন্তা না করলেও হবে। এরপরও যদি আপনি নারায়নগঞ্জে রাত্রিযাপন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে নারায়নগঞ্জ সদরে এসে হোটেল নিতে হবে। এই লিঙ্কে কিছু নারায়নগঞ্জে থাকার হোটেলের ঠিকানা পাবেন।

শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম :------------------------------------নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন প...
22/10/2022

শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম :
------------------------------------
নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম অবস্থিত। লোকনাথ ব্রহ্মচারী এটি তৈরী করেছিলেন। শ্রী শ্রী বাবা লোকনাথ ব্রম্মচারীর আশ্রমের ঠিক দক্ষিণের উঠোনে, তাঁর সমাধিস্থলের পশ্চিমে, মূল গেটের ঠিক সামনে, পথ আগলে শত বৎসর ধরে কালের নানা ঘটনার সাক্ষী যে হয়ে দাঁড়িয়ে আছে, সে হলো বিশাল আকৃতির একটি বকুল গাছ। সে আজও তেমনি করে ছায়া দেয়। দেয় অসংখ্য পাপড়িযুক্ত হালকা মাটি রঙা ছোট ছোট সুগন্ধি ফুল। আশ্রমের ভেতরে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর বিশাল তৈলচিত্র। এখানে সকাল সন্ধ্যা পুজা হয়। মুল আশ্রমের পেছনে খোলা একটু উঠান পেরিয়েই বিশাল পাঁচতলা ভবনের যাত্রীনিবাস। পশ্চিমে আরও দুটি বিশালাকার যাত্রীনিবাস। যাত্রীদের যে কেউ থাকতে পারবে এখানে। এই জন্যে কোন অর্থ দিতে হবে না। একটু অবাক করনের বিষয়ই বটে, বর্তমান যুগে বিনে পয়সায় রাত যাপন।

প্রতি বছর উনিশ জৈষ্ঠ এখানে সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে। ১২৯৭ সালের এই দিনে পরমপুরুষ শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রম্মচারী মৃত্যুবরণ করেন। তার এই মহাকাল প্রয়াণের দিনটিকে ভক্তি শ্রদ্ধার মধ্য দিয়ে স্মরণ করার জন্যই এই মেলার আয়োজন হয়। আশ্রমের ঠিক সামনে বিশাল সবুজ মাঠ। এখানেই মেলা বসে। এই মেলাকে কেন্দ্র করে বিশাল আয়োজন করা হয় এখানে। নানান এলাকা থেকে হাজারও পন্য আসে। আসে বাহারী তৈজসপত্র, আহারের ফল ফলাদি আরও কত কি। বহুদেশে বহু ধর্মাবলম্বী মানুষের আগমন ঘটে এই মেলায়। এ এক বিশাল আয়োজন। এক সপ্তাহব্যপি চলতে থাকে রাতদিন।

বারদীর লোকনাথ আশ্রম (Baba Lokenath Brahmachari Ashram) এখন শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থানই নয়, বরং ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সকল ধর্মের, সকল মানুষের কাছে এক মিলন মেলায় রুপ নিয়েছে। নাগরিক ব্যস্ততা আর ইট-কাঠের জীবন নিয়ে যখন ক্লান্ত দেহ-মন, আর ঘুম ভাঙ্গা থেকে শুরু করে ঘুমুতে যাওয়া পর্যন্ত সামগ্রিক জীবনের একঘেয়েমিতে হাঁপিয়ে উঠার আগেই ঘুরে আসতে পারেন “বারদী”, শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী আশ্রম থেকে।

কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বারদীর দূরত্ব বড়জোর ঘণ্টা দুয়েকের পথ। গুলিস্তান থেকে প্রতি ঘণ্টায় সরাসরি বারদীর উদ্দেশে বাস ছেড়ে যায়। ঢাকা থেকে মোগড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে নেমে স্কুটার নিয়েও যাওয়া যায়। ভাড়া মাত্র ৬৫/- টাকা। সোনারগাঁও চারু ও কারুশিল্প জাদুঘর থেকেও সরাসরি বারদী যাওয়া যায়।

মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি (Murapara Jamidar Palace):------------------------------------------------------নারায়ণগঞ্জ জেলার রূ...
22/10/2022

মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি (Murapara Jamidar Palace):
------------------------------------------------------
নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার অতি পরিচিত একটি স্থান। এটি ঢাকা থেকে ২৫ কি.মি. দূরে নরসিংদী রোডে অবস্থিত। জমিদার রামরতন ব্যানার্জী ১৮৮৯ সালে ৪০ হেক্টর জমির উপর নির্মাণ শুরু করেন মুড়াপাড়া জমিদার বাড়িটির। তিনি নাটোর স্টেট এর কোষাধ্যক্ষ ছিলেন এবং তার সততার কারণে একটি উচ্চ পদে উন্নীত হন। কিন্তু প্রচলিত আছে, রামরতন ব্যানার্জী শুধু এই বাড়িটির ভিত্তি ও কাঠামো তৈরি করেছিলেন, কিন্তু তার মৃত্যুর পর তার পুত্র প্রতাপ চন্দ্র ব্যানার্জী ১৮৮৯ সালেই তার পুরনো বাড়ি ছেড়ে পেছনে আরো একটি প্রাসাদ তৈরি করেন। বিশাল এই জমিদার বাড়িতে প্রায় একশত’র উপরে কক্ষ রয়েছে, যার প্রায় সবগুলোতেই পাবেন কারুকার্যের ছোঁয়া। এই জমিদার বাড়ীতে রয়েছে কাছারিঘর, অতিথিশালা, নাচঘর, পুজা মণ্ডপ, বৈঠকখানা, ভাঁড়ার সহ বিভিন্নভাগে ভাগ করা অংশ।

১৯০৯ সালে জগদিশ চন্দ্র ব্যানার্জী এই ভবনটি সম্পন্ন করেন এবং নিজেই একজন জমিদার হয়ে ওঠেন। জগদিশ চন্দ্র ব্যানার্জী একজন অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন, কারণ তিনি দুই বার দিল্লীর কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হন। জগদিশ চন্দ্র ব্যানার্জী তার শাসনামলে অনেক কিছু তৈরি করেছিলেন প্রজাদের জন্য। অন্যদিকে তিনি সেই প্রজাদের প্রতি ছিলেন অনেক কঠোর। তিনি একজন শক্তিশালী জমিদার ছিলেন। তার শাসনামলে কোন প্রজা যদি সময়মতো খাজনা না দিতো তাহলে তিনি তাদের মাথার চুল কেটে দিতেন এবং অনেক সময় তাদের ঘরবাড়ি আগুণ দিয়ে জ্বালিয়ে দিতেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির সময় জগদিশ চন্দ্র ব্যানার্জী কলকাতা চলে যান।

এখনো টিকে থাকা জমিদার বাড়ীগুলোর মধ্যে ঢাকার খুব কাছেই রয়েছে বেশ কয়েকটি, যার মধ্যে এই মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ীটি অন্যতম। জমিদার বাড়ির মূল ভবনটিই মুরাপাড়া ডিগ্রী কলেজ ভবন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তার পাশে ১৯৯৫ সালে আরও একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মিত হয়। আরও অনেক জমিদার বাড়ী’র মত এটিও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে ধীরে ধীরে ক্ষয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের দেশের বেশীরভাগ জমিদার বাড়ীর চাইতে তুলনামুলক ভালো অবস্থায় রয়েছে এই জমিদার বাড়ীটি। কিন্তু মূল ভবনের পেছন দিকে চলে গেলে দেখা যায় কিভাবে ক্ষয়ে যাচ্ছে এই জমিদার বাড়ীটিও।

কিভাবে যাবেন
রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ, গুলিস্থান অথবা যাত্রাবাড়ি থেকে মেঘলা, গ্লোরী, আসিয়ান পরিবহন অথবা নরসিংদী ভৈরবগামী যে কোন বাসে চেপে রূপসী বাসষ্টান্ড অথবা ভুলতা। তারপরে রিকশাযোগে জমিদার বাড়ি। রূপসী বাসস্টেশন থেকে সিএনজি করে ( ২০ টাকা জন প্রতি ভাড়া ) মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি।

রাজধানীর ডেমরাঘাট হয়ে উত্তর দিকের রাস্তা ধরে মাঝিনা ঘাট পাড় থেকে নৌকায় শীতলক্ষ্যা নদী পার হলেই রূপগঞ্জের এই প্রাচীন ঐতিহ্যের স্মৃতি বিজড়িত কালের সাক্ষী হয়ে আজো দাড়িঁয়ে আছে এই জমিদার বাড়ি।

নারায়নগেঞ্জ সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট:------------------------------------নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুরের নাজিম উদ্দিন ভূইয়া কলেজে...
22/10/2022

নারায়নগেঞ্জ সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট:
------------------------------------
নারায়ণগঞ্জ জেলার মদনপুরের নাজিম উদ্দিন ভূইয়া কলেজের বিপরীতে নিরিবিলি পরিবেশে গড়ে উঠেছে বিলাসবহুল সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট। ঢাকা থেকে মাত্র ২২ কিলোমিটার দূরের এই রিসোর্টটি ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও আশপাশের এলাকার ভ্রমণপিপাসুদের কাছে সাড়া জাগিয়েছে। কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে এ বিনোদন কেন্দ্রটিতে বিশাল পুকুরের এক পাশে রয়েছে ছোট ছোট কটেজ, আছে পরিবার-পরিজন নিয়ে থাকার উপযোগী বড় কক্ষ। খাবার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আধুনিক বিনোদনের সব ব্যবস্থাই রয়েছে সায়রা গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট (Shaira Garden Resort) এ।

সায়রা গার্ডেন রিসোর্ট এ রয়েছে ৭ ধরনের রুম যাতে আছে টিভি, এসি সুবিধা, ওয়াইফাই, জিমনেশিয়াম, জেনারেটর, সুইমিংপুল, বার-বি-কিউ, ফিশিং, লন্ড্রি সার্ভিস, কার পার্কিং, গরম এবং ঠান্ডা পানি সরবারহ সহ আধুনিক সকল সুবিধা। আছে ২৫০ লোকের ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন কনফারেন্স হল।

নারায়ণগঞ্জের দুর্গম চরাঞ্চল মায়াদ্বীপ (Maya Dwip):------------------------------------------------------সোনারগাঁও উপজেলা...
22/10/2022

নারায়ণগঞ্জের দুর্গম চরাঞ্চল মায়াদ্বীপ (Maya Dwip):
------------------------------------------------------
সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের মেঘনা নদীবেষ্টিত দুর্গম চরাঞ্চল মায়াদ্বীপ (Maya Dwip)। অবিনাশী মেঘনা নদীর ঠিক মাঝখানে জেগে ওঠা একটা ত্রিভুজ আকৃতির চর। দ্বীপটা বেশি একটা বড় না তবে চারিপাশে শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজ দ্বীপের ত্রিভুজের ঠিক মাথায় দাঁড়িয়ে আকাশ পানে চোখ বন্ধ করে দুই হাত প্রসারিত করে কয়েক মুহূর্ত এখানে কাটিয়ে ফেলার নামই জীবন! নদী থেকে উঠে আসা সতেজ-নির্মল বাতাস একটানা বইতে থাকে এখানে। সাঁই সাঁই বাতাসে উড়তে থাকা চুল জানিয়ে দেয় মুক্তির আনন্দ! ইট-কাঠের জঞ্জাল থেকে মুক্তির আনন্দ। জীবন এখানে হাসে গায়।

মায়াদ্বীপ যাওয়ার উপায়
রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েক মিনিট পরপর বিভিন্ন বাস ছেড়ে যায়। বাসে গিয়ে সোজা নামতে হবে সোনারগাঁওয়ে। তারপর সেখান থেকে ইজি বাইকে বৈদ্যের বাজার নেমে নৌকা ভাড়া করে যেতে হবে। সময় লাগবে ৪০ মিনিটের মত। সারাদিনের জন্য নৌকা ভাড়া পড়বে ১০০০-১২০০ টাকা পর্যন্ত।

একটা কথা মনে রাখবেন, সন্ধ্যার পর ওখানে থাকা চলবে না। নৌকা এমনভাবে ছাড়বেন যাতে সন্ধ্যার আগে বৈদ্যের বাজার এসে পৌছায়। বন্দর এলাকা বৈদ্যের বাজারে প্রয়োজনীয় সকল কিছু কিনতে পাওয়া যায়।

নারায়ণগঞ্জ হাজীগঞ্জ কেল্লা (Hajiganj Fort) :--------------------------------এটি একটি ঐতিহাসিক দূর্গ যা নারায়ণগঞ্জ জেলা...
22/10/2022

নারায়ণগঞ্জ হাজীগঞ্জ কেল্লা (Hajiganj Fort) :
--------------------------------
এটি একটি ঐতিহাসিক দূর্গ যা নারায়ণগঞ্জ জেলা সদরে হাজীগঞ্জের কিল্লাপুর নামক স্থানে অবস্থিত। হাজীগঞ্জ কেল্লা বাংলার বার ভূইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁ এর কেল্লা হিসেবে পরিচিত। হাজীগঞ্জ দুর্গ মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ যা শীতলক্ষ্যা নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। এটি খিজিরপুর দুর্গ নামেও পরিচিত। ১৬৫০ সালের দিকে মোঘল আমলে, যখন মীর জুমলা বাংলার সুবাদার ছিলেন তৎকালীন সময়ে সমৃদ্ধ শহর ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকাকে নদী পথে আগত মগ ও পর্তুগিজ শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ও জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে রক্ষ্যা করার জন্য নদীর তীরে ৩টি দূর্গ তৈরি করা হয়। যাদেরকে ত্রিভূজ জল দুর্গ বা ট্রায়াঙ্গল অব ওয়াটার ফোর্ট বলা হতো, তারই একটি হলো এই হাজীগঞ্জ দুর্গ। অন্যটি শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে সোনাকান্দা দূর্গ এবং অন্যটি মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর দূর্গ।

দূর্গের চারদিকে বিশাল দেয়ালের বেষ্টনী, প্রবেশ দারে সিঁড়ি বেয়ে উঠতে হয়। একপাশে কালের সাক্ষী হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে ওয়াচ টাওয়ার। বেস্টনীর সাইড দিয়ে ওয়াক ওয়ে, দেয়ালে তিন ছিদ্র বিশিষ্ট অস্ত্র চালানোর গর্ত। কেল্লার ভেতরে এখন পুরোটাই ফাকা শুধু কিছু গাছপালা দাঁড়িয়ে আছে, আর আছে বিশাল সবুজ মাঠ। বর্তমান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অফিসের পাশেই এর অবস্থান এবং বিপরীত দিকে গুদারাঘাটের অবস্থান। চাইলে ঘাট দিয়ে শীতলক্ষ্যা নদীতে ছাউনী ওয়ালা নৌকা নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন, এছাড়া ওপারে আছে কদম রসূল মাজার।

হাজীগঞ্জ দুর্গ যাওয়ার উপায়
ঢাকা এর গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জগামী উৎসব/বন্ধন/হিমাচল/শীতল বাসে করে সোজা চাষাড়া। ভাড়া ৩৬ টাকা (এসি বাস ভাড়া ৫৫ টাকা)। সেখান থেকে একটু সামনে এসে অটো স্ট্যান্ড থেকে ৫ টাকা দিয়ে নবিগঞ্জ ৫ নং ঘাট/হাজিগঞ্জ কেল্লা।

ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর এর নারায়ণগঞ্জ শহরতলী প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে করে চাষাড়া স্টেশন। ভাড়া ১৫ টাকা। চাষাড়া থেকে রিকশা হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশন/নবীগঞ্জ ঘাট/কেল্লার কথা বললে নামিয়ে দিবে। হাজিগঞ্জ দূর্গ দেখে ৫ নং খেয়াঘাট পার হয়ে ৫ টাকা জন প্রতি। তারপরে অটোরিক্সা রিজার্ভ নিয়ে চলে জেতে পারেন সোনাকান্দা দুর্গে। অথবা ১০ টাকা জন প্রতি দিয়ে ১ নং খেয়াঘাট, সেখান থেকে জন প্রতি ১০ টাকা দিয়ে অটোরিক্সা নিয়ে সোজা সোনাকান্দা কেল্লা। অটোরিক্সা রিজার্ভ ৪০ টাকা।

কোথায় থাকবেন
ঢাকার খুব কাছে হোয়ার কারনে এক দিনের মধ্যেই হাজীগঞ্জ কেল্লা ঘুরে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রাতে থাকার জন্যে আপনার কোন চিন্তা করতে হবে না। তবে যারা দূর থেকে যাবেন তাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদরে থাকার বেশ ভালো ব্যবস্থা আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – হোটেল মেহরান, হোটেল সোনালি, হোটেল নারায়ণগঞ্জ, হোটেল সুগন্ধা, হোটেল সুরমা ও হোটেল রুপায়ন ইত্যাদি।

নারায়ণগঞ্জে সোনাকান্দা দুর্গ (Sonakanda Fort) মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ।-----------------------------------------...
22/10/2022

নারায়ণগঞ্জে সোনাকান্দা দুর্গ (Sonakanda Fort) মুঘল আমলে নির্মিত একটি জল দুর্গ।
---------------------------------------------------------------------
এটি ১৬৫০ সালের দিকে তৎকালীন বাংলার সুবাদার মীর জুমলা কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। এটি নারায়ণগঞ্জে জেলার বন্দর উপজেলায় শীতলক্ষা নদীর পূর্বতীরে অবস্থিত। সপ্তদশ শতকে ঢাকা শহরকে বাহিরের শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করতে যে তিনটি জল দুর্গ নির্মাণ করা হয়েছিল সোনাকান্দা দুর্গ তারমধ্যে অন্যতম। ডে ট্রিপের জন্যে আদর্শ একটা জায়গা।

সোনাকান্দা কেল্লা মোঘল আমলে তৈরি করা একটি জলদূর্গ। ১৬৫০ সালের দিকে মোঘল আমলে যখন মীর জুমলা বাংলার সুবাদার ছিলেন তৎকালীন সময়ে সমৃদ্ধ শহর ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকাকে নদী পথে আগত মগ ও পর্তুগিজ শত্রুদের আক্রমণ প্রতিহত করতে ও জলদস্যুদের আক্রমণ থেকে রক্ষ্যা করার জন্য নদীর তীরে ৩টি দূর্গ তৈরি করা হয়। এই তিনটি দূর্গকে “জলদূর্গ” বলা হতো। ৩টি জলদূর্গের ২টি হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যার দুই পাড়ে। একটি শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পাড়ে হাজীগঞ্জ দুর্গ, আরেকটি শীতলক্ষ্যার পূর্ব পাড়ে সোনাকান্দা দুর্গ এবং অন্যটি মুন্সীগঞ্জের ইদ্রাকপুর দুর্গ।

চতুর্ভুজাকৃতির সোনাকান্দা দূর্গটি চারপাশে মজবুত উঁচু দেয়াল দিয়ে ঘেরা। দূর্গের ভিতরে নিরাপদে থেকে দেয়ালের মধ্য দিয়ে গোলা নিক্ষেপের জন্য বহুসংখ্যক প্রশস্ত-অপ্রশস্ত ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ছিদ্র আছে। সেগুলি দিয়ে বন্দুক এবং হালকা কামান ব্যবহার কর যেতো। দূর্গের চার কোনায় অষ্টভুজা-কৃতির চারটি বুরুজ রয়েছে। দূর্গের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ হচ্ছে এর পশ্চিম অংশে উঁচু বিশাল গোলাকার কামান প্ল্যাটফর্ম। অনেকগুলি বড়বড় সিঁড়ি টপকে উঠতে হয় প্ল্যাটফর্মে। দূর্গের পশ্চিম দিক দিয়েই বয়ে যেতো শীতলক্ষ্যা নদী। তাই এই পশ্চিমমুখী কামান প্ল্যাটফর্মের উঁচু মঞ্চে শক্তিশালী কামান স্থাপন করা ছিল নদীপথে আগত জলদস্যুদের ঠেকাতে।দূর্গের উত্তর পাশের প্রাচীরে উত্তরমুখী একটি মজবুত প্রবেশ তোরণ রয়েছে। এটিই দূর্গের একমাত্র প্রবেশ তোরণ। প্রবেশদ্বারটি একটি আয়তাকার তোরণ কাঠামোর মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে। এই দুর্গ নির্মাণের তারিখ সম্বলিত কোন শিলালিপি পাওয়া যায় নি তবে ঐতিহাসিকদের মতে এটি ১৬৬০ থেকে ১৬৬৩ খৃষ্টাব্দের মধ্যে নির্মিত হয়েছিল।

জিপিএস কোঅর্ডিনেশন: 23°36’25.0″N 90°30’43.5″E

সোনাকান্দা দুর্গ ও সোনাকান্দা নাম নিয়ে লোক সমাজে দু’টি চমৎকার মর্মস্পর্শী জনশ্রুতি প্রচলিত রয়েছে।

প্রথম জনশ্রুতিটা হচ্ছে, বার ভূঁইয়াদের অধিপতি ঈশা খাঁ বিক্রমপুরের জমিদার কেদার রায়ের বিধবা কন্যা সোনাবিবিকে জোরপূর্বক বিয়ে করে এই দুর্গে নিয়ে আসেন। বিষয়টা মেনে নিতে পারেননি সোনাবিবি। তিনি নীরবে নিভৃতে দুর্গে বসে রাত-দিন কাঁদতে থাকেন। সেই থেকে দুর্গের নামকরণ হয় সোনাকান্দা।

দ্বিতীয় জনশ্রুতিটা হচ্ছে, রাজা কেদার রায়ের মেয়ে স্বর্ণময়ী এসেছিলেন লাঙ্গলবন্দে পুণ্যস্নান করতে। একদল ডাকাত স্বর্ণময়ীর বজরায় হানা দেয়। প্রচুর স্বর্ণালংকারসহ স্বর্ণময়ীকে অপহরণ করে। পরে ঈশা খাঁ তাঁকে উদ্ধার করে কেদার রায়ের কাছে ফেরত পাঠাতে চান। কিন্তু মুসলমানের তাঁবুতে রাত কাটানোয় জাত গেছে এ অভিযোগে কেদার রায় স্বর্ণময়ীকে আর ফেরত নেননি। এ খবর শুনে স্বর্ণময়ী কেল্লার তাঁবুতে দিনের পর দিন কেঁদে কেঁদে কাটিয়েছেন। আর তাই এর নাম হয় সোনার কান্দা বা সোনাকান্দা।

সোনাকান্দা দূর্গ যাওয়ার উপায়
ঢাকা এর গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জগামী উৎসব, বন্ধন, হিমাচল, শীতল বাসে করে সোজা চাষাড়া চলে যান। নন এসি বাসে ভাড়া ৩৬ টাকা এবং এসি বাসে ভাড়া পড়বে ৫৫ টাকা। সেখান থেকে একটু সামনে এগিয়ে অটো স্ট্যান্ড থেকে ৫ টাকা দিয়ে নবিগঞ্জ ৫ নং ঘাট/হাজিগঞ্জ কেল্লা। হাজিগঞ্জ দূর্গ দেখে ৫ নং খেয়াঘাট পার হয়ে নিন, ভাড়া ৫ টাকা জনপ্রতি। তারপরে রিকশা রিজার্ভ নিয়ে চলে যেতে পারেন সোনাকান্দা দুর্গে। অথবা ১০ টাকা জনপ্রতি দিয়ে ১ নং খেয়াঘাট, সেখান থেকে জন প্রতি ১০ টাকা দিয়ে ওটোতে সোজা সোনাকান্দা কেল্লা। রিক্সা রিজার্ভ নিলে ভাড়া পড়বে ৪০ টাকা।

ট্রেনে যেতে চাইলে কমলাপুর এর নারায়ণগঞ্জ শহরতলী প্লাটফর্ম থেকে ট্রেনে করে চাষাড়া স্টেশন। ভাড়া ১৫ টাকা। চাষাড়া থেকে রিক্সা করে হাজীগঞ্জ ফায়ার স্টেশন/নবীগঞ্জ ঘাট/কেল্লার কথা বললে নামিয়ে দিবে। সেখান থেকে উপরের মতো করে চলে যেতে পারবেন।

আরেকটি উপায় হলো, ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে নবীগঞ্জ হয়ে সোনাকান্দা দূর্গ।

কোথায় থাকবেন
ঢাকার খুব কাছে হোয়ার কারনে এক দিনের মধ্যেই সোনাকান্দা কেল্লা ঘুরে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রাতে থাকার জন্যে আপনার কোন চিন্তা করতে হবে না। তবে যারা দূর থেকে যাবেন তাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদরে থাকার বেশ ভালো ব্যবস্থা আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – হোটেল মেহরান, হোটেল সোনালি, হোটেল নারায়ণগঞ্জ, হোটেল সুগন্ধা, হোটেল সুরমা ও হোটেল রুপায়ন ইত্যাদি।

সদাসদী জমিদার বাড়ি (Sodasodi Zamindar Palace) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার:---------------------------------------------...
22/10/2022

সদাসদী জমিদার বাড়ি (Sodasodi Zamindar Palace) নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার:
-------------------------------------------------------
নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার উপজেলার গোপালদী পৌরসভার সদাসদী গ্রামে অবস্থিত প্রাচীন একটি বাড়ি। আড়াইহাজার উপজেলা থেকে প্রায় ৭/৮ কিলোমিটার পূবে প্রায় ৬০ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত সদাসদী জমিদার বাড়িটি যার মূল নাম গোপালদী জমিদার বাড়ি (Gopaldi Jomidar Bari) যেটি ১৩২৩ বঙ্গাব্দে গড়ে তোলা হয়েছিলো বলে জানা গেছে।

ইতিহাস থেকে জানা যায়, একসময় গোপালদীতে তিনজন জমিদার ছিলেন – সর্দার, তেলি ও ভূঁঞা। শ্রী প্রসন্ন কুমার সর্দার ছিলেন অত্র এলাকার সবচেয়ে বড় জমিদার। সর্দার বাড়ির বিশাল দ্বিতল দালানের ভেতরের শৈল্পিক কারুকাজ দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। যদিও কালের আঁচড়ে অনেক কারুকাজ নষ্ট হয়ে গেছে। বাড়িটির নেই সেই আগের সৌন্দর্য। তবে একটু সংস্কার করলেই আগের রূপ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। দালানের সামনের দিকে সুদৃশ্য বারান্দা। বারান্দার প্রতিটি পিলার কারুকার্য খচিত। সামনে সুন্দর উঠান। সর্দার বাড়ির উত্তর দিকে পুকুর ঘাট। বিশাল পুকুরের চারদিকে শান বাঁধানো ঘাট। দক্ষিণ দিকে মূল দুটি ঘাট। একটি ঘাটে পুরুষ, অন্যটিতে মেয়েরা গোসল করতো। এখনো পুকুরঘাটের সিঁড়িগুলো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

সুবিশাল সদাসদী জমিদার বাড়িতে ১০১টি কক্ষ ছাড়াও বাড়ির চারদিকে কারুকার্য খচিত বিশাল ৪টি ভবন রয়েছে। জমিদার বাড়ির প্রতিটি কক্ষেই রয়েছে কারুকার্য খচিত দরজা জানালা। জমিদার বাড়ির সীমানায় শত শত বিরল প্রজাতির বৃক্ষ রয়েছে।

সদাসদীর আরেকটি জমিদারবাড়ি হলো ভুঁঞাদের। তাঁরা দুই ভাই — হরিচন্দ্র ভুঁঞা ও রামকানাই ভুঁঞা। তাঁদের জামাই ঋষিকাজ বাবুও ছিলেন জমিদার। এই বাড়ির সর্বশেষ জমিদার জগবন্ধু বাবু। তবে জমিদারি দেখাশোনা করতেন তাঁর স্ত্রী বিনোদিনী সাহা। তিন বাড়ির ভবনগুলোর সব কিছুই আজ ধ্বংসের দিকে। দেয়ালে দেয়ালে জন্মেছে পরগাছা। জড়িয়ে ধরেছে শেকড়বাকড়। কয়েক জায়গায় দেয়াল ভেঙে পড়েছে, খসে পড়েছে পলেস্তারা।

সদাসদী জমিদার বাড়ি যাওয়ার উপায়
রুট ১ঃ সায়েদাবাদ থেকে অভিলাস পরিবহন বাস ছাড়ে। ভাড়া ৬৫ টাকা। এটা মদন পুর দিয়ে যাবে। অথবা গুলিস্তান থেকে দোয়েল /সদেশ পরিবহন এ মদনপুর ৪৫ টাকা নেমে আড়াইহাজার এর সি এন জি ৫০ টাকা।

রুট ২ঃ কলাবাগান থেকে মেঘলা পরিবহন বাস ছাড়ে। ভুলতা/গাউসিয়া। ভাড়া ৬৫ টাকা। গাউসিয়া নেমে একটু সামনে যেয়ে লোকাল সি এন জি তে আড়াইহাজার বাজার। ভাড়া ৩০ টাকা।

রুট ৩ঃ কুরিল ফ্লাইওভার এর ৩০০ ফিট ক্রসিং থেকে লোকাল ট্যাক্সিতে গাউসিয়া। ভাড়া ৮০ টাকা। গাউসিয়া নেমে একটু সামনে যেয়ে লোকাল সি এন জি তে আড়াইহাজার বাজার। ভাড়া ৩০ টাকা।

আড়াইহাজার বাজার থেকে লোকাল সি এন জি তে সোজা গোপালদী পৌরসভার সদাসদী রোডের জমিদার বাড়ি, ভাড়া ১৫ টাকা। স্থানীয়রা সদাসদী জমিদার বাড়িকে “ভূঁইয়া বাড়ী” নামেই বেশী চিনেন।

কোথায় থাকবেন
ঢাকার খুব কাছে হোয়ার কারনে এক দিনের মধ্যেই সদাসদী জমিদার বাড়ি ঘুরে আসতে পারেন। সে ক্ষেত্রে রাতে থাকার জন্যে আপনার কোন চিন্তা করতে হবে না। তবে যারা দূর থেকে যাবেন তাদের জন্য নারায়ণগঞ্জ সদরে থাকার বেশ ভালো ব্যবস্থা আছে। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো – হোটেল মেহরান, হোটেল সোনালি, হোটেল নারায়ণগঞ্জ, হোটেল সুগন্ধা, হোটেল সুরমা ও হোটেল রুপায়ন ইত্যাদি।

রিবেরেনো এডভেঞ্চার ক্যাম্পসাইট ভ্রমন গাইড:-------------------------------------------------আমাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলো দিনে...
22/10/2022

রিবেরেনো এডভেঞ্চার ক্যাম্পসাইট ভ্রমন গাইড:
-------------------------------------------------
আমাদের পর্যটনকেন্দ্রগুলো দিনে দিনে ব্যয়বহুল হয়ে উঠছে। কোথাও ঘুরতে গেলে নিমিষেই হাজার পাঁচেক টাকা চলে যায় পকেট থেকে। এদিকে দ্রব্যমূল্যের ক্রমাগত উর্ধ্বগতিতে আমরা দিশেহারা। তাই বলে কি ঘোরাঘুরি বন্ধ হয়ে যাবে? আমরা আজ এমন এক স্থানের গল্প বলব যা পড়ে আপনার ভ্রমণ সম্পর্কে নতুন করে আগ্রহ জন্মাবে। এখানে নামমাত্র খরচে ঘুরতে পারবেন। আর সেই ক্যাম্পসাইটটির নাম রিবেরেনো এডভেঞ্চার।

এ জায়গাটি ঢাকার পাশেই নারায়ণগঞ্জ জেলায় অবস্থিত। নারায়ণগঞ্জ জেলার লাঙ্গলবন্দ এরিরায় চর ইসলামপুর কালীবাড়ির পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের তীরে গড়ে উঠেছে Ribereno Adventure নামে ক্যাম্পসাইট। পানির উপর তৈরি করা হয়েছে বিশাল এক মাচাং। সেই মাচার উপর তাবু পিচ করা হয়। এভাবে পানির উপর মাচাতে তাবু ফেলার সুযোগ কম জায়গাতেই পাবেন।

মাচাটাও দেখতে দৃষ্টিনন্দন। দুই মাথায় কিছুটা বাড়তি অংশ আছে নদীর দিকে। সেখান বসে চুটিয়ে আড্ডা মারা যায় কিংবা নদীতে লাফিয়ে পড়ে শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে যাওয়া যায়। গাছে গাছে ঝোলানো আছে হ্যামক। হ্যামকে দুলতে দুলতে নদীর বিশালতা উপভোগ করা যায়। পূর্ণিমার রাত হলে কথাই নেয়। তাবুতে শুয়েই পূব আকাশে দেখা মেলে স্নিগ্ধ চাঁদের। চাঁদের কিরণ পানিতে প্রতিফলিত হয়ে নদীতেও দেখা মেলে আরেক চাঁদের। ক্যাম্পিং করলেও তাবুবাসের চেয়ে গল্পগুজব করেই রাত কাটিয়ে দেন অনেকে।

সূর্যোদয়ের আগেই পাখির ঝাঁক আপনাকে স্বাগত জানাবে কিচিরমিচির ধ্বনি তুলে। প্রভাতে পূর্ব আকাশ ভেদ করে যখন সূর্য মামা উঁকি দিবে তখন মনে হবে কোন স্বপ্নরাজ্যে আছেন। এই ক্যাম্পসাইটের (Campsite) পরিপার্শ্বিক পরিবেশ আপনাকে মুগ্ধ করবেই। বিশেষ করে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের পরের সময়টা খুবই উপভোগ্য।

এখানে সব কিছু তৈরি করা হচ্ছে ইকো-ট্যুরিজমকে মাথায় রেখে। দেখা মেলবে চমৎকার কাঠের ব্রিজ ও ছনের ঘরের। ক্যাম্পিং করার জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ তারাই দিবে। নদীতে ঘুরার জন্য পাবেন নৌকা। চাইলে নদীর স্বচ্ছ পানিতে সাঁতারও কাটতে পারবেন। সাঁতার না জানলে লাইফ জ্যাকেট ভাড়া নিতে পারবেন। সময় কাটানোর জন্য টেবিল টেনিস, ক্যারমও খেলা যাবে।

যেহেতু এটা ব্যক্তিগত জায়গায় গড়ে উঠেছে তাই যথেষ্ট নিরাপদ। রাতে মেইন গেটে তালা লাগানো থাকে। এ ছাড়া নাইটগার্ডও আছে। পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নিয়ে নিশ্চিন্তে ক্যাম্পিং (Camping) করতে পারবেন।

খরচ কেমন
রিবেরেনো এডভেঞ্চার ক্যাম্পসাইটে খুবই সুলভে ক্যাম্পিং করা যায়। মাত্র ১৫০ টাকার বিনিময়ে এক রাত তাবুতে থাকা যাবে। যারা ডে ট্যুরে আসবেন তাদেরও সম পরিমাণ টাকা গুনতে হবে। এ ছাড়া লাইফ জ্যাকেট ১০০ টাকা, বোট রাইড ৩০০ টাকা/ঘণ্টা (২ জন), টেবিল টেনিস ও ক্যারমের জন্য প্রতি ঘণ্টায় ২০০ টাকা ফি প্রযোজ্য।

খাওয়া-দাওয়া
কিছুদিন আগে তাদের ফুড সার্ভিস শুরু হয়েছে। ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার ও বারবিকিউ পাওয়া যায়। লাঞ্চ ও ডিনারে একই মেন্যু যার মূল্য ২৫০ টাকা। ব্রেকফাস্টে ১৫০ টাকায় পাবেন খিচুড়ি আর বারবিকিউর জন্য ২০০ টাকা। খাবারের দাম বেশি হলেও কোয়ালিটি নিয়ে তারা আপোষ করে না। এ ছাড়া সব কিছুই মোটামুটি ব্যুফের মত দেওয়া হয়।

রিবেরেনো এডভেঞ্চার ক্যাম্পসাইট যাওয়ার উপায়
যারা ঢাকা দক্ষিণে থাকেন তারা গুলিস্তান থেকে স্বদেশ, দোয়েল বা বোরাক এসিতে উঠে লাঙ্গলবন্দ স্টেশনে নামবেন। তারপর রাস্তা পাড় হয়ে ছোট দল হলে রিক্সা বড় দল হলে অটো রিজার্ভ নিবেন চর ইসলামপুর কালীবাড়ি মোড়। রিক্সায় নিবে ৪০ টাকা, অটোতে ১২০-১৩০ টাকা। কালীবাড়ি মোড় নেমে একটু উত্তরে হাঁটলেই মেইন গেট পেয়ে যাবেন।

যারা মিরপুর, উত্তরার দিকে থাকেন তারা এয়ারপোর্ট রোডের যে কোন জায়গা থেকে আসমানিতে উঠে মদনপুর নামবেন। তারপর ফারজানা, নাফ, ইনসাফের মত ছোট বাসে লাঙ্গলবন্দ স্টেশনে নামবেন। বাকিটা আগের মতই।

যোগাযোগ এবং বুকিং

ঠিকানা – চর ইসলামপুর, জহুরপুর, মুসাপুর ইউনিয়ন, নারায়ণগঞ্জ।

Address

Rupsa Tower, Plot-07, Road/17
Dhaka
1213

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when RainTrip posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to RainTrip:

Videos

Share

Category

Nearby travel agencies