Mehoman Travels & Tours

Mehoman Travels & Tours We Plan, Prepare and Help you Perform the Holy Hajj and Umrah.

08/10/2023
◈ হজ্জ পরবর্তী উমরাহ্‌ পালনের জন্য Mehoman Travels & Tours এর পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য দাওয়াত রইলো। ◈প্যাকেজে যা যা থাকছে ...
14/08/2023

◈ হজ্জ পরবর্তী উমরাহ্‌ পালনের জন্য Mehoman Travels & Tours এর পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য দাওয়াত রইলো।

◈প্যাকেজে যা যা থাকছে :
☑রিটার্ন এয়ার টিকিট।( টানজিট/ ডাইরেক্ট)
☑ ভিসা।
☑স্ট্যান্ডার্ড মানের হোটেল
☑ অবভান্তরিন ট্রান্সপোর্ট
☑গ্রুপ সাপেক্ষে অভিজ্ঞ মুয়াল্লিম গাইডের উপস্থিতি।
☑মক্কা এবং মদিনা জিয়ারাহ্।
☑উমরাহর সকল আহকাম নিজস্ব তত্ত্বাবধানে বিশুদ্ধভাবে সম্পন্ন করার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

◈ মক্কা জিয়ারার স্পটসমূহ :
☑ নবীজির বাড়ী
☑ আবু লাহাবের বাড়ী,
☑ জাবালে সাওর
☑ হেরা গুহা ( ওহী নাজিলের পাহাড়)
☑ আরাফার ময়দান
☑ মিনা
☑ মুজদালিফা
☑ জান্নাতুল মোআল্লা
☑ জিন মসজিদ

◈ মদিনা মনোয়ারা জিয়ারার স্পটগুলো :
☑ রিয়াজুল জান্নাহ
☑ জান্নাতুল বাকী
☑ খন্দকের কূপ
☑ খন্দকের ময়দান
☑ উহুদ পাহাড়
☑ মাকবারায়ে শোহাদায়ে উহুদ
☑ মসজিদে কিবলাতাইন
☑ মসজিদে কুবা।
☑ মসজিদে বেলাল রাযি.
☑ মসজিদে আবু বকর রাযি.
☑ মসজিদে গমামাহ

◈ ১০/১২/১৪ দিন এর প্যাকেজ।

◈প্যাকেজ মুল্য এয়ার টিকেট(ডাইরেক্ট/ট্রান্সিট),ভ্রমন মাস ও সম্মানিত হাজ্জিদের সংখ্যার উপরে নির্ভরশীল। এছাড়া আলোচনা সাপেক্ষে নিজেদের সুবিধামত ট্যুর প্যাকেজ করার সুযোগ ও রয়েছে।

ক) সর্বনিম্ন - ১৩০,০০০ টাকা।
🕋 মক্কা হোটেলঃ ★( ৫০০-৮০০ মিটার দুরত্বে)
🌄 মদিনা হোটেল ★( ৪০০-৭০০ মিটার দুরত্বে)

খ) সর্বচ্চ - ২২০,০০০+ টাকা।
🕋 মক্কা হোটেলঃ ৫★( ০ মিটার দুরত্বে)
🌄 মদিনা হোটেল ৫★( ০ মিটার দুরত্বে)

☑ এছাড়া তায়েফ সহ আশপাশের আরো অনেক দর্শণীয় স্হান রয়েছে এগুলো যাত্রীদের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে নিজ নিজ খরচে ঘুরিয়ে দেখানো , হবে।

◈ এছাড়া পবিত্র হজ্জ পালনে আগ্রহী সকলকে, আমাদের আমাদের বনানী অফিসে আসার
জন্য দাওয়াত রইল। আপনারা যেকোনো সময়ে যেকোনো প্রয়োজনে আমাদেরকে মেসেজ করতে পারেন।

🌇 যোগাযোগ : House: 05, Road: 17, Block: E, Banani, Dhaka-1213

WhatsApp no: 01676630455, 01626605419, 01674942709

★★★ বিশেষ_দ্রষ্টব্য:
সম্মানিত যাত্রীগণ ইনশাআল্লাহ Mehoman Travels & Tours এর পক্ষ থেকে আপনাদের সাথে যে কমিটমেন্ট ও সার্ভিস দেওয়ার কথা বলা হবে তা পুরাপুরি রক্ষা করার আপ্রাণ চেষ্টা করব
মহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলের সফরকে নিরাপদ করে ওমরাহ্কে কবুল করে নিন।
আমিন

27/04/2023

আগামী শুক্রবার ২৮/০৪/২৩ তারিখ বাদ আসর বনানী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে আমার প্রিয় বাবা এই মসজিদ এর সাবেক ইমাম এবং খতিব,মেহমান ট্রাভেলস & ট্যুরস এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মোঃ লুৎফর রহমান এর আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য দোয়া করা হবে।

আপনারা সকলেই আমন্ত্রিত।

একটি শোক সংবাদ বিগত ২২/০৪/২৩ তারিখ পবিত্র ঈদ এর দিন বিকাল ৫ঃ৩০ এর দিকেবনানী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও খত...
26/04/2023

একটি শোক সংবাদ

বিগত ২২/০৪/২৩ তারিখ পবিত্র ঈদ এর দিন বিকাল ৫ঃ৩০ এর দিকে
বনানী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক ইমাম ও খতিব,মেহমান ট্রাভেলস & ট্যুরস এর প্রতিষ্ঠাতা -
জনাব আলহাজ্জ হাফেজ মাওলানা মোঃ লুৎফর রহমান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।

উনার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে আপনাদের সকলের নিকট আমরা দোয়া প্রার্থী। মহান আল্লাহ তা'আলা যেন আমাদের সকলের বাবা মা কে জান্নাতবাসী করেন।
আমিন

উমরাহ্‌ & হজ্জ - (October, November)আসসালামুয়ালাইকুম, সম্মানিত আল্লাহ্‌র মেহমানগণMehoman Travels & Tours এর পক্ষ থেকে পব...
25/09/2022

উমরাহ্‌ & হজ্জ - (October, November)

আসসালামুয়ালাইকুম,
সম্মানিত আল্লাহ্‌র মেহমানগণ

Mehoman Travels & Tours এর পক্ষ থেকে পবিত্র উমরাহ্‌ পালনের উদ্দেশ্যে October ,Novembver মাসের বিভিন্ন সময়ে আমাদের কাফেলা রয়েছে।

হাজী সাহেবদের সুবিধার্থে আমাদের (10 - 14 Days) এর বিভিন্ন প্রকার Customizable 3⭐ - 5⭐ প্যাকেজ রয়েছে।
পছন্দ মত আপনি আপনার Hajj এবং Umrah সেবা গ্রহন করতে পারবেন।

প্যাকেজ এ যা যা থাকছেঃ-

*Visa
*Air tickets
*Makkah Hotel
*Madinah Hotel
*internal Transportation
*Ziarah
*Guide
*Insurance

এছাড়াও আপনি যদি পবিত্র হজ্জ পালনের নিয়ত করে থাকেন তবে তাহলেও আমাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমরা অভিজ্ঞ্য আলেম এবং সুনিয়ন্ত্রিত ব্যাবস্থাপনায় স্বচ্ছতার সাথে হজ্জ কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকি।
01626605419
01674942709
01676630455

https://mehomanhajj.com/

08/09/2022

বাজেটের মধ্যে উমরাহ প্যাকেজ খুজছেন?

কাস্টমাইজ বাজেট ফ্রেন্ডলি উমরাহ প্যাকেজ নিয়ে এসেছে Mehoman Travels & Tours।
নির্ধারিত প্যাকেজের বাহিরে যে কোনো দিন চাহিদা অনুযায়ী ছোট/বড় উমরাহ প্যাকেজ করে নিতে পারবেন। এছাড়াও শুধু ভিসা নিয়ে নিজের মতো উমরাহ করতে পারবেন।

আপনার প্রয়োজনীয় প্যাকেজের জন্য আজই যোগাযোগ করুন। রব্বে কা'বার মেহমান হিসেবে আপনার আগ্রহকে বরাবরই মুল্যায়ন করে Mehoman Travels & Tours। আপনার যাত্রাকে করুন ভাবনাহীন।

E-mail: [email protected]

#হজ্জ_এজেন্সি #নভেম্বর_উমরাহ

16/06/2022

পবিত্র জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১০ই জুলাই পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হতে পারে। এবার যারা হজব্রত পালনে যাচ্ছেন, তাদের প্রস্তুতি নিতে হবে এখনই।

স্বাস্থ্যপরীক্ষা, টিকা দেওয়া, স্বাস্থ্যসনদ সংগ্রহসহ হজের জন্য প্রয়োজনীয় মালপত্র সংগ্রহ করার পাশাপাশি হজ পালনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে। সরকারি-বেসরকারিভাবে হজ প্রশিক্ষণের সুযোগ রয়েছে। প্রয়োজনে হজ বিষয়ক প্রয়োজনীয় বইপুস্তক কিংবা এ বিষয়ে অভিজ্ঞ কারও কাছ থেকে সাহায্য নিতে পারেন।

সারাজীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের সময় একেবারে ঘনিয়ে এসেছে। আগামী ০২ জুলাই (আমাদের)সকলকে হজ্জ ক্যাম্পে অবস্থান করতে হবে।

যেহেতু হজ ফ্লাইট খুব নিকটে তাই, নিম্নের সামগ্রীগুলো সংগ্রহ করুন-

১. গলায় ঝুলিয়ে ব্যবহারযোগ্য ব্যাগ। যাতে পাসপোর্ট, টিকেট, হজের বই ও প্রয়োজনীয় জিনিস রাখা যায়।

২. ভিসার কপি। কারণ, সৌদি সরকার হজযাত্রীদের জন্য ই-ভিসা চালু করেছে। এই ভিসা পাসপোর্টের সঙ্গে লাগানো থাকে না। কাগজে প্রিন্ট করে দেয়। ফলে হজযাত্রীদের এটি আলাদা সংরক্ষণ করতে হয়। আগে পাসপোর্টের সঙ্গে ভিসা লাগানো থাকত বলে আলাদা করে ভিসা সংরক্ষণের প্রয়োজন হতো না। বিমানের টিকিট, প্রয়োজনীয় রিয়াল বা ডলার। চার-পাঁচ হাজার টাকা যা দিয়ে হজপালন শেষে বাংলাদেশ বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে যাওয়া যায়। ছবি ও ঠিকানা সম্বলিত পাসপোর্টের প্রথম দুই পৃষ্ঠা, ভিসা ওটিকিটের ফটোকপি করে দুই তিন জায়গায় রাখুন। অনেক সময় প্রয়োজন হয়।

৩. ইহরামের কাপড় ২/৩ সেট। একটু মোটা হলে সতর ঢাকতে সুবিধা হয়। ইহরামের কাপড় সাদা ও সুতি হওয়া ভালো। আড়াই হাত বহরের আড়াই গজের পিস নিচে পরার জন্য, আর তিন গজের পিস গায়ের চাদরের মতো ব্যবহারের জন্য। একটি হাজীবেল্ট, শক্ত করে বাধার জন্য ও রিয়াল রাখার জন্য।

৪. মেয়েরা বোরকা, সেলোয়ার, কামিজ ও ব্যবহারের কাপড় প্রয়োজন অনুযায়ী নেবেন। মার্জিত ঢিলে-ঢালা বোরকা ব্যবহার করবেন। সাদা বোরকা জরুরি নয় বরং তা তাড়াতাড়ি ময়লা হয়। মিনায় পর্দা করার জন্য বড় চাদর ও গায়ে দেওয়ার পাতলা কাঁথা নেবেন।

৫. লুঙ্গি, গেঞ্জি, পায়জামা, পাঞ্জাবী, টুপি, গামছা ও রুমাল প্রয়োজন অনুযায়ী নিন।

৬. বিছানার চাদর, মেছওয়াক, পেস্ট ও ব্রাশ, গুড়া সাবান, গোসলের সাবান, শ্যাম্পু, ছোট ছাতা। আরামদায়ক ও মজবুত সেন্ডেল ২/৩ জোড়া, জুতার ব্যাগ, কিছু সুতলি, কয়েক গজ নাইলনের রশি, সাদা কাগজ, কলম ও ডায়রি।

৭. প্লেট, গ্লাস, চামচ ও দস্তরখান, সুগন্ধিমুক্ত তেল ও ভেসলিন নিন।

৮. তায়াম্মুমের জন্য মাটি নিন।

৯. রেজারসহ ব্লেড ৫টি, নেইল কাটার, ছোট চাকু, ছোট আয়না ও কেচি, সুচ, সুতা, সেফটিপিন নিন। লৌহজাত দ্রব্যাদি মনে করে বিমানে বড় ব্যাগে দেবেন, সঙ্গে রাখবেন না।

১০. নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম ও মুফতির লিখিত হজের কিতাব, ফাজায়েলে হজ, মুন্তাখাব হাদিস ও মুনাজাতে মকবুল সঙ্গে রাখুন।

১১. একটি হাওয়াই বালিশ ও শীত হলে শীতের কাপড় নিন।

১২. একটি বড় দামী ও মজবুত ট্রলিব্যাগ ব্যাগ ও প্লেনের কেবিন বক্সে ঢোকার উপযোগী হাত ব্যাগ এবং মিনায় ব্যবহারের জন্য একটি ছোট (পিঠে ব্যবহার উপযোগী) ব্যাগ নিন।

১৩. মাথাব্যথা, ঠাণ্ডা, জ্বর,কাশি, বমি, পেটখারাপ, আমাশয় ও ডায়াবেটিকের ঔষধ। এ ছাড়া খাওয়ার স্যালাইন, এন্টিবায়োটিক, গ্যাস্ট্রিকের ট্যাবলেট, ইনসুলিন এবং প্রয়োজনীয় ঔষধ সঙ্গে নিন।

১৪. মোবাইল চার্জার, মাল্টিপ্ল্যাগ ও জামা আয়রনের ছোট একটি ইস্ত্রিও সঙ্গে নিতে পারেন।

১৫. অল্প কিছু শুকনা খাবার ও পছন্দের কোনো বিস্কুট ইত্যাদি নিতে পারেন।

১৬. লাগেজের ওপরে নাম ঠিকানা ইংরেজিতে লিখুন। কি কি লিখতে হবে এজেন্সির কাছ থেকে জেনে নেবেন। সাধারণত নাম ঠিকানা ও পাসপোর্ট নম্বর লেখা হয়।

উপরোল্লেখিত তালিকা একটি ধারণামাত্র। এসব কিছু আপনি আপনার প্রয়োজন, অভ্যাস ও রুচিমাফিক কমবেশি করতে পারেন।

এসব জিনিসি বড় লাগেজে দিয়ে দিয়ে হাতব্যাগে এক সেট ইহরামের কাপড়, মেয়েদেরও এক সেট কাপড়, কিছু শুকনা খাবার, গামছা, মেসওয়াক, কলম, টিসু ও জরুরি ঔষুধ রাখবেন। অনেক সময় লাগেজ পেতে বিলম্ব হয়, তাই এই বাড়তি সতর্কতা।

15/06/2022

✍️1443 সালে ওমরাহ মৌসুমে ওমরাহ আগতদের মোট সংখ্যা
1746486 তীর্থযাত্রী
1443 সালের জন্য ওমরাহ করতে আসা সর্বোচ্চ দেশের তালিকা:
1- ইরাক - 273,784
2. ইন্দোনেশিয়া - 249,947
3 - পাকিস্তান - 227,064
4- ভারত - 98,819
5 - মিশর - 96,254
6- বাংলাদেশ - 94,060
7- জর্ডান - 70,636
8- ইয়েমেন - 65,797
9- উজবেকিস্তান - 52,660
10- মরক্কো - 46,540
✍️The total number of Umrah visitors during the Umrah season in 1443
1746486 Pilgrims
List of top countries for Umrah for 1443:
1- Iraq - 273,784
2. Indonesia - 249,947
3 - Pakistan - 227,064
4- India - 98,819
5 - Egypt - 96,254
6- Bangladesh - 94,060
7- Jordan - 70,636
8- Yemen - 65,797
9- Uzbekistan - 52,660
10- Morocco - 46,540

10/06/2022

হজ্জের নিয়মকানুন
***********************
এক নজরে হজ্ব ও ওমরাহ্
হজ্জের ফরজ ৩টি
***************************
১। ইহরাম বাধা ২। উ’কুফে আ’রাফা (আরাফাতের ময়দানে অবস্থান) ৩। তাওয়াফুয্ যিয়ারাত
হজ্জের ওয়াজিব ৬টি
(১) ‘সাফা ও মারওয়া’ পাহাড় দ্বয়ের মাঝে ৭ বার সায়ী করা।
(২) অকুফে মুযদালিফায় (৯ই জিলহজ্জ) অর্থাৎ সুবহে সাদিক থেকে সুর্যদয় পর্যন্ত একমুহুর্তের জন্য
হলেও অবস্থান করা।
(৩) মিনায় তিন শয়তান (জামারাত) সমূহকে পাথর নিপে করা।
(৪) ‘হজ্জে তামাত্তু’ ও ‘কি্বরান’ কারীগণ ‘হজ্জ’ সমাপনের জন্য দমে শোকর করা।
(৫) এহরাম খোলার পূর্বে মাথার চুল মুন্ডানো বা ছাটা।
(৬) মক্কার বাইরের লোকদের জন্য তাওয়াফে বিদা অর্থাৎ মক্কা থেকে বিদায়কালীন তাওয়াফ করা।
এছাড়া আর যে সমস্ত আমল রয়েছে সব সুন্নাত অথবা মুস্তাহাব।
ওমরাহর ফরজ, ওয়াজিব
দুইটি ফরজ: (১) ইহরাম পরিধান করা (২) তাওয়াফ
দুইটি ওয়াজিব: (১) সাফা ও মারওয়া মধ্যবর্তী (সবুজ বাতি) স্থানে সাতবার সায়ী করা (২) মাথার চুল
মুন্ডানো বা ছাটা
----------------------------------------------
তালবিয়া
***************
”লাব্বাঈক আল্লাহুম্মা লাব্বাঈক, লাব্বাঈক, লা-শারীকা-লাকা লাব্বাঈক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্ নি’মাতা লাকা ওয়াল-মুল্ক, লা শারীকালাক।”
অর্থ: আমি হাজির হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোন অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সমস্ত প্রশংসা ও সম্পদরাজি আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্য আপনার।
আপনার কোন অংশীদার নেই।

হজ্জের প্রকার ও নিয়তসমূহ
*******************************
প্রথম প্রকার হজ্জে ইফরাদ

বর্ণনা: ওমরাহ্ ব্যতিত শুধু হজ্জের জন্য ইহরাম বাঁধা এবং হজ্জের সাথে ওমরাহকে না মিলানো। (বদলী হজ্জের জন্যও এই হজ্জ)।
নিয়্যাত: আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফায়াসছির হুলিওয়াতা কাব্বালহুমিনি্ন। (বাংলা নিয়ত- আল্লাহ আমি ইফরাদ হজ্জের উদ্দেশ্যে আপনার সন্তুষ্টির জন্য ইহরাম বাধলাম। তা সহজ করে দিন ও কবুল করে নিন)।

দ্বিতীয় প্রকার হজ্জে কি্বরান

বর্ণনা: একত্রে একই স্থান থেকে হজ্জ ও ওমরার নিয়্যাত করে হজ্জের সাথে ওমরাহকে মিলানো এবং একই ইহ্রামে উভয়টি আদায় করা।
নিয়্যাত: আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল উ’মরাতা ফায়াচ্ছির লী-ওয়াতাক্াব্বাল মিন্নী। বাংলা নিয়ত- হে আল্লাহ আমি আপনার উদ্দেশ্যে হজ্জে কি্বরানের জন্য ইহরাম বাধলাম তা সহজ করে দিন ও কবুল করে নিন।

তৃতীয় প্রকার হজ্জে তামাত্তু

বর্ণনা: একই সফরে পৃথক পৃথক ভাবে ‘ইহরাম’ পরিধান করে ‘হজ্জ ও ওমরাহ’ আদায় করা। প্রথম ইহ্রামে ওমরাহর নিয়্যাত করে তা পালন শেষে চুল কেটে ‘ইহরাম’ খুলে হালাল হয়ে দ্বিতীয় বার নতুন করে হজ্জের নিয়্যাতে ৮ই জিলহজ্জ ‘মক্ক শরীফ’ থেকে হজ্জের জন্য ইহরাম বাধা। তামাত্তু করার ইচ্ছা থাকলে প্রথমে ওমরার নিয়্যাত করে এহরাম বাঁধুন।

শুধু ওমরাহর নিয়্যাত

আল্লাহুমা ইন্নী উরীদুল উম’রাতা ফায়াচ্ছির লী-ওয়াতাক্াব্বাল মিন্নী। বাংলা নিয়ত- হে আল্লাহ আমি ওমরাহ্ পালনের জন্য ইহরাম বাধলাম তা সহজ করে দিন এবং কবুল করে নিন।

শুধু হজ্জের নিয়্যাত

আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদুল হাজ্জা ফায়াচ্ছিরহু-লী অ-তাকাব্বালহু মিন্নী। বাংলা নিয়ত- হে আল্লাহ আমি পবিত্র হজ্জ পালনের জন্য ইহরাম বেধে নিয়ত করলাম তা সহজ করে দিন এবং কবুল করে নিন।

তাওয়াফের বিবরণ

হাজীদের সর্বপ্রথম কাজই হলো (তামাত্তু ও ক্বেরান কারীগণ) নিজের মালছামানগুছিয়ে রেখে পাকপবিত্র হয়ে মোটেই দেরী না করে ‘হারাম শরীফে’ হাজিরা দেওয়া এবং ‘তাওয়াফ’ করা। ওমরাহ এবং হজ্জের তাওয়াফ ব্যাতিত নফল তাওয়াফ ও করা যায়। যেমন: রাসূল (দঃ), সাহাবা-আওলিয়া, আহ্লে বাইত, মা-বাবা, পীর-উস্তাদ ও অন্যান্য মুরুব্বী বা সন্তানদের স্মরনে বা তাঁদের নামে তাওয়াফ করা।

তাওয়াফের ওয়াজিব সমূহ

(১) শরীর পাক-সাফ রাখা, ওজু করা। মহিলাদের হায়েজ নেফাছ অবস্থায় তাওয়াফ করা জায়েজ নাই।
(২) ছতর ঢাকা। অর্থাৎ যেটুকু ঢাকা প্রত্যেক পুরুষ-নারীর জন্য ফরজ।
(৩) ‘হাতীমে কা’বার’ বাইরে থেকে ‘তাওয়াফ’ করা।
(৪) পায়ে হেঁটে ‘তাওয়াফ’ করা। অম ব্যক্তি খাটিয়ার মাধ্যমে ‘তাওয়াফ’ করতে পারেন।
(৫) ‘হাজ্রে আস্ওয়াদ’ থেকে শুরু করে ডানদিক দিয়ে ‘তাওয়াফ’ শুরু করা।
(৬) এক নাগাড়ে বিরতিহীন ভাবে ‘সাতবার চক্কর’ দিয়ে ‘তাওয়াফ’ পূর্ণ করা।
(৭) ‘সাত চক্করে’ এক ‘তাওয়াফ’, এটা পূর্ণ হলেই ‘তাওয়াফের’ নামাজ পড়া।
------------------------------------------------------------------------------
তাওয়াফের সুন্নত কার্যাবলী
********************************
(১) ‘তাওয়াফে’র শুরুতে ‘হাজারে আসওয়াদ’ এর দিকে মুখ করা।
(২) সম্ভব হলে ‘হাজ্রে আস্ওয়াদ’ চুম্বন করা। নতুবা হাত দ্বারা দূর থেকে ইশারা করা, এবং মুখে ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আক্বার ওয়ালিল্লাহিল হ্ামদ’ বলা।
(৩) ‘হা্জ্রে অস্ওয়াদ’ বরাবর দাঁড়িয়ে তাকবীরে তাহরিমা’র ন্যায় উভয় হাত সিনা পর্যন্ত উঠান।
(৪) যে ‘তাওয়াফে’র পরে ‘সাঈ’ আছে তাতে ‘এযতেবা’ করা। অর্থাৎ ইহরামের চাদরের (উপরের অংশের) দুই মাথা ডান বগলের নিচ দিয়ে বাম কাঁধের উপর ফেলে দেওয়া।
(৫) ‘সাঈ’ যুক্ত ‘তাওয়াফে’র প্রথম তিন চক্করে ‘রমল’ করা। অথর্াৎ বীরের মত হেলে দুলে জোর ক্বদমে (একের পর এক পা ফেলে) চলা।
(৬) বাকী চার চক্কর সাধারণ গতিতে (ধীরে ধীরে) সম্পন্ন করা।
(৭) প্রত্যেক চক্কর তাওয়াফ শেষ করে এবং শেষ চক্করেরও পরে ‘হাজ্রে অস্ওয়াদ’কে চুম্বন করা।
সম্ভব না হলে দূর থেকে ইশারা করে বিসমিল্লাহে আল্লাহ আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ্”দোয়াটি পাঠ করা এবং ৩ নং নিয়মের ন্যায় দাড়িয়ে ইশারা করে ‘তাওয়াফ’ শেষ করা।

তাওয়াফের নিয়্যাত
***********************
আল্লাহুম্মা ইন্নী উরীদু তাওয়াফা বাইতিকাল হারাম ফায়াচ্ছিরহু-লী, ওয়া তাক্বাব্বাল-হু-মিন্নী, সাবাআ’তা আশ্ওয়াতি্বন লিল্লাহি তায়া’লা। বাংলায় নিয়ত- হে আল্লাহ আমি তাওয়াফ পালনের জন্য নিয়ত করলাম।

সায়ীর নিয়ম
**********************
‘হজ্জ ও ওমরাহ’ ছাড়া নফল ‘তাওয়াফে’র কোন সায়ী নাই। কারো নামে ওমরাহ করতে হলেও সায়ী করতে হবে। সায়ী অর্থ দৌড়ানো। এটা ‘ছাফা’ পাহাড় থেকে প্রথমে শুরু করতে হবে। ছাফা থেকে মারওয়া।মারওয়া থেকে ছাফায়। এভাবে সাতবার সায়ীর সময় প্রথম তিন চক্কর সবুজ বাতির মাঝের অংশটুকু দৌড়ে দৌড়ে হেলে দুলে যাওয়া সুন্নাত (পুরুষদের জন্য)। পরের চার চক্কর সাধারণ গতিতে সম্পন্ন করতে হবে।

সায়ীর সহজ দোয়া
*********************
সুবহানাল্লাহি ওয়াল হামদু লিল্লাহি ওয়া লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার ওয়া লা-হাওলা, ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাবিল্লাহিল আ’লিয়্যিল আ’যীম, রাবি্বগফির ওয়ারহাম ওয়াআনতাল আ-আজ্জুল আকরাম।

সায়ীর কুরআনী দোয়া
***************************
‘ইন্নাছ্ ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন্ শাআ’ইরিল্লাহ্ ফামান হাজ্জাল বাইতা আও-ই’ তামারা ফালা জুনাহা আ’লাইহি আইয়াত্ত্বাওয়াফা বিহিমা ওমান তাত্বাওয়াআ খাইরান ফা-ইন্নাল্লাহা শাকিরুণ আ’লীম।” উপরোক্ত দুই দোয়া সাতবার চক্করের সময় হাটতে চলতে পড়তে হবে। পরেরটি না পারলে উপরেরটিই যথেষ্ট হবে।
---------------------------------------------
একনজরে তিন প্রকার হজ্জের জরুরী কাজ, হুকুম ও তারিখ সমূহ।
*********************************************************************
১ম প্রকার হজ্জে ইফরাদের ১১টি জরুরী কাজ
***********************************************
৩টি ফরজ
********************
(১) ইহরাম (শুধু হজ্জের জন্য)।
(২) ৯ই জিলহজ্জ উ’কুফে আ’রাফা (সূর্য হেলার পর থেকে সুর্যাস্ত পর্যন্ত)।
(৩) ১০ থেকে ১২ই জিলহজ্জ তাওয়াফে যিয়ারাত তবে ১০ই জি্বলহজ্ব তারিখই উত্তম।
(৪) অকুফে মুযদালেফায় ১০ই জিলহজ্জ সুবহে সাদেক সূর্য উদয় পর্যন্ত।
(৫) ১০ই জিলহজ্জ বড় শয়তানকে (জামারাতে আক্কাবায়) ৭টি কঙ্কর মারা। সুর্য হেলার পূর্বে দুপুর ১২টার আগে সুন্নত।
(৬) মাথা মুন্ডানো তবে দম দিতে হবে।
(৭) সায়ী ৯ তারিখের পূর্বে বা পরে) করে দিবেন।
(৮) ১১ তারিখে তিন শয়তানকে (প্রথম ছোট/মেঝ ও পড়ে বড়) ৭ক্ম৩=২১টি পাথর মারা।
(৯) ১২ তারিখে অনুরূপ তিন শয়তানকে ৭ক্ম৩= ২১টি পাথর মারা। সর্বমোট তিন দিনে ৭+২১+২১=৪৯টি কঙ্কর মারা।
(১০) ‘বিদায়ী তাওয়াফে’ (মক্কার বাইরের লোকদের জন্য) বিদায়ের পূর্বে। এটি ওয়াজিব।
(১১) তাওয়াফে কুদুম করা। (মক্কায় গিয়ে সর্বপ্রথম)
------------------------------------------------------
২য় প্রকার হজ্জে কেরানের জরুরী কাজ
***************************************
৩টি ফরজ
(১) ইহরাম (হজ্জ ও ওমরাহর জন্য)
(২) আরাফাতে অবস্থান।
(৩) তাওয়াফুয যিয়ারাত।

১০টি ওয়াজিব
(৪) ওমরাহর তাওয়াফ
(৫) ওমরাহর সায়ী
(৬) হজ্জের সায়ী
(৭) অকুফে মুযদালিফায়
(৮) ১০ই জিলহজ্ব তারিখে বড় শয়তানকে ৭টি পাথর মারা (দুপুর ১২টার পূর্বে) সুন্নত।
(৯) দম দিতে হবে।
(১০) মাথা মুন্ডানো।
(১১) ১১ই জিলহজ্ব তারিখে তিন শয়তানকে পাথর মারা
(১২) ১২ তারিখে তিন শয়তানকে পূর্বের ছকের নিয়মে পৃথক পৃথক ভাবে সূর্য হেলার পরে নিয়ম অনুযায়ী পাথর মারা।
(১৩) বিদায়ী তাওয়াফ।
------------------------------
৩য় প্রকার হজ্জে তামাত্তুর ১৫টি জরুরী কাজফরজ
***************************************************
৪টি ফরজ
(১) ওমরাহর ইহরাম (বাংলাদেশ)।
(২) হজ্জের ইহরাম (৮ তারিখ মক্কায়)
(৩) উ,কুফে আরাফা (৯ই জিলহজ্জ সূর্য হেলার পর থেকে সুর্যস্তের পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত)।
(৪) তাওয়াফে জিয়ারত (১০ তারিখ অথবা ১১, ১২ তারিখ)

১১টি ওয়াজিব
(৫) তাওয়াফে ওমরাহ (মক্কায় গিয়েই)
(৬) ওমরাহর সায়ী (ওমরাহ তাওয়াফের পরই)
(৭) মাথা মুন্ডানো (ওমরাহর পর)।
(৮) হজ্জের সায়ী
(৯) বড় শয়তানকে ৭টি পাথর মারা ( ১০ই জিলহজ্ব তারিখ সুর্য হেলার বা ১২টা পূর্বে) সুন্নত।
(১০) কুরবানী করা (পাথর মেরে ১০ তারিখ)।
(১১) মাথা মুন্ডানো দম দিতে হবে।
(১২) ১১ তারিখ তিন শয়তানকে ৭+৭+৭=২১টি পাথর মারা।
(১৩) ১২ তারিখে তিন শয়তানকে ৭+৭+৭=২১টি পাথর মারা (সর্বমোট তিন দিনে ৭+২১+২১=৪৯টি পাথর মারতে হবে)।
(১৪) বিদায়ী তাওয়াফ।
-------------------------------------------------------------
১ম দিন ৮ই জিলহজ্জ

ইহরাম অবস্থায় (ফরয) মক্কা থেকে হজ্জের নিয়্যাতে মিনায় রওয়ানা হোন।

এ দিনের কাজ দু’টি
(১) ইহরাম (ফরজ) (২) ৫ ওয়াক্ত নামাজ মিনায় আদায় করা (সুন্নাত)।
যোহর, আছর, মাগরিব, এশা ও ৯ তারিখ ফজর সর্বমোট ৫ ওয়াক্ত
২য় দিন ৯ই জিলহজ্জ

১। আরাফাতে অবস্থান (ফরজ)। ২। অকুফে মুযদালিফায় (ওয়াজিব)
আরাফাতে অবস্থান

- ফজরের নামাজ মিনায় পড়ে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হোন।
- আরাফাতে সূর্য হেলার পর অর্থাৎ ১২টার পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত অবস্থান করা হজ্জের গুরুত্বপূর্ণ ফরজ।
- ওয়াক্ত মত তাবুতে (মসজিদে নামেরায় না গেলে) বা আরাফার ময়দানে যে কোন স্থানে জোহরের সময় জোহর নামাজ আদায় করুন।
- আসরের নামাজ আসরের সময় আদায় করুন, নির্দিষ্ট সময় বা আগে পরে, পৃথক পৃথক ভাবে।
- উল্লেখ্য: ‘মসজিদে নামেরায়’ জোহর ও আসরের জামাত এক আযান দুই ইকামাতে একত্রে আদায় করলে একত্রে দুই ওয়াক্ত আদায় করতে হয়, ওটার নাম ‘জমে তাক্বদীম’। কিন্তু তাবুতে বা অন্য কোন স্থানে একত্রে নয়। ভিন্ন সময় ভিন্ন ভাবে ওয়াক্ত মত আদায় করতে হবে।)
অকুফে মুযদালিফায় (ওয়াজিব)

- সূর্যাস্তের পর সাথে সাথে মাগরিব না পড়ে মুযদালিফায় রওয়ানা হোন।

- মুযদালিফায় মাগরিব ও এশার নামাজ এক আযান দুই এক্বামাতে একত্রে আদায় করুন। এটা ওয়াজিব এটার নাম ‘জামে তাখীর জামাতে পড়া উত্তম। মুযদালিফায় অবস্থান (ওয়াজিব) মুযদালিফায় থাকাকালীন পাহাড়ে অথবা তার পাদদেশে যে কোন ঘাস দুবলা থেকে খুঁজে খুঁজে পাথর মারার জন্য ৭২টি (চানাবুটের ন্যায় কঙ্কর) ছোট ছোট পাথর সংগ্রহ করে ইহরামের কাপড়ে বেঁধে নিন।

১০/১১/১২ তিন দিনে (৪৯টি পাথর) তিন শয়তানকে মারতে হবে।
- ১ম দিন ৭টি
- ২য় দিন ২১টি
- ৩য় দিন ২১টি
(সর্বমোট তিন দিনে ৭+২১+২১=৪৯টি )। তবে মিসিং হতে পারে বলে বেশী (৭২) নেওয়া সুন্নাত।
৩য় দিন ১০ই জিলহজ্জ

এ দিনের মোট কাজ ৪টি (১) বড় শয়তানকে পাথর মারা (২) কুরবানী (৩) মাথা মুন্ডানো (৪) তাওয়াফে যিয়ারাত করা
- মুযদালিফায় ফজরের নামাজ পড়ে সূর্য উদয়ের আগ পর্যন্ত অবস্থান করুন (ওয়াজিব)।
- মিনায় পৌছে বড় শয়তানকে ৭টি পাথর সূর্য হেলার আগে (১২টার পূর্বেই) মারুন। (সুন্নাত)।
- তারপর তামাত্তু ও কি্বরান হজ্জকারীগণ কুরবানী করুন (ওয়াজিব)।
- এরপর ইহরাম খুলে হালাল হয়ে স্বাভাবিক পোষাক পরিধান করুন। কিন্তু কোরবানী পূর্বে নয়। (তবে ইফরাদ হজ্জকারী কুরবানী না করলেও চলবে)।
- চুল ছাড়া বা মুন্ডানোর পর মক্কায় গিয়ে (সম্ভব হলে উত্তম) আজই তাওয়াফে যিয়ারত করুন। আজ করা সর্বোত্তম। (এটা ফরজ)।
- তাওয়াফ শেষে মিনায় এসে রাত্রি যাপন করুন সুন্নাত।
৪র্থ দিন ১১ই জিলহজ্জ

- ১০ তারিখে কুরবানী, চুল ছাটা ও তাওয়াফে যিয়ারত না করে থাকলে আজ করুন।
- সূর্য হেলার পর থেকে (১২টার পর) মিনায় তিন শয়তানকে সূর্যাস্তের পূর্বে (প্রথম ছোট, তারপর মেজ অতঃপর বড়) ৭+৭+৭=২১টি পাথর মারুন (ওয়াজিব)। মিনায় রাত্রি যাপন করুন (সুন্নাত)।
৫ম দিন ১২ই জিলহজ্জ

- তাওয়াফে যিয়ারত ১০/১১ তারিখে না করে থাকলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বে অবশ্যই করুন।
- মিনায় সূর্য হেলার পর থেকে (সুন্নাত সময় হল) সূর্যাস্তের পূর্বে ৭+৭+৭=২১টি পাথর (ছোট, মেজ ও বড় ) শয়তানকে মেরে সূর্যাস্তের পূর্বে) মক্কায় রওয়ানার চেষ্টা করুন
জরুরী কথা

(১) তবে ১১/১২ তারিখ সূর্য হেলার পূর্বে পাথর মারলে আদায় হবে না। পূণরায় মারতে হবে। নতুবা দম দিতে হবে।
(২) যদি ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পূর্বে মীনা ত্যাগ করে মক্কায় রওয়ানা না হন তবে ১৩ তারিখ পূনরায় তিন শয়তানকে ৭+৭+৭=২১টি
পাথর (ছোট, মেজ ও বড় ) মেরে (পূর্বের নিয়মে) তারপর মক্কায় আসতে হবে।
(৩) তাওয়াফে যিয়ারতের উত্তম সময় ১০ই জিলহজ্জ (তবে ৩ দিন, এর সব মোট সময়) শেষ সময় ১২ই জিলহজ্জ সূর্যাস্ত পর্যন্ত।
(৪) মক্কা থেকে মিনায় রওয়ানার পূর্বে যদি নফল তাওয়াফ করে হজ্জের নিয়্যাত সায়ী না করে থাকেন (বা মিনায় আসেন) তাহলে হজ্জের পরে তাওয়াফে যিয়ারতের পর অবশ্যই হজ্জের সায়ী করুন।
(ওয়াজিব)।
যিয়ারাতে মদীনাহ

হজ্জের পূর্বে অথবা পরে (সুবিধামত) সময়ে হাজীদল তথা প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ মুস্তাফা (দঃ) এর পাগলপাড়া উম্মতগণ এক মূহুর্তে একদিন/তথা ৮ দিনের জন্য (সম্ভব হলে) নতুবা এক রাত হলেও মদীনা শরীফে যান এবং রাসূলে পাক (দঃ) এর রওজা মোবারক যিয়ারত, রিয়াদুল জান্নাতে বসা (নামাজ আদায় করা) জান্নাতুল বাকী যিয়ারত করা এবং বিশেষতঃ ৮ দিনে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে আদায় করাসহ বহু ঐতিহাসিক স্থান তথা উহুদ পাহাড় ও বদর প্রান্তর দেখার সৌভাগ্য অর্জন করে থাকেন। এছাড়া মদীনা শরীফে আর কোন কাজ নেই। মূলতঃ মদীনা শরীফে মাসজি দে নববীতে নামাজ ও রাসূলের পাক (দঃ) এর রওজা শরীফ যিয়ারতই হল প্রধান কাজ। যদি সম্ভব হয় বা সময় সূযোগ থাকে তাহলে ৪০ ওয়াক্ত নামাজ (সুন্নাত) রয়েছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে, ৮দিন=৪০ ওয়াক্ত থাকতেই হবে। এটা ফরজ বা ওয়াজিব নয়। আসলে এটা সুন্নাত এবং হজ্জের অংশ নয়। মূলতঃ আশেকে রাসূল (দঃ) দের জন্য রাসূলে পাক (দঃ) এর রওজা মোবারক যিয়ারতের নিয়্যাতে যাওয়াই হল মূল।
বদলী হজ্জ

যে সকল মুসলিম নর-নারীর উপর হজ্জ ফরজ ছিল, তাঁদের মধ্যে যদি কেউ মৃতু্যবরণ করে অথবা জীবিত কিন্তু শারিরীক দুর্বলতা ও অসুস্থতা ও অমতার কারণে হজ্জ করতে অপারগ হয়, তাহলে অন্য কাউকে দিয়ে বিশেষ করে বিজ্ঞ আলেম বা হজ্জে পারদশর্ী ব্যক্তি দ্বারা তাঁর বদলী হজ্জ করাতে পারবে। অথর্াৎ যাঁর জন্য বদলী হজ্জ করা হবে তাঁরই নামে ইহরাম পরিধান ও নিয়্যাত করে অন্য একজন হজ্জ আদায়
করতে পারবে।

সংকলনে:হাফেয মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন

09/06/2022

বদলী হজ্বের মাসায়েল

হজ্ব একটি কঠিন ইবাদত। একে জিহাদের সাথেও তুলনা করা হয়েছে। এ কারণে এতে ছওয়াবও বেশি এবং উপকারিতাও অনেক। বিধানগত দিক থেকে হজ্ব আদায় করা সহজ, কিন্তু যেহেতু এর জন্য সফর করতে হয় এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জমায়েত বিশেষ বিশেষ স্থানে একসাথে এই ইবাদত আদায় করে থাকে তাই তা কঠিন ও কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। এ কারণে অনেক মানুষের আর্থিক সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও শারীরিক অক্ষমতার কারণে তা আদায়ের সামর্থ্য থাকে না। এ ধরনের মাজুরদের প্রতি মেহেরবানী করে আল্লাহ তাআলা বদলী হজ্বের অবকাশ দান করেছেন।

বদলী হজ্বের নাম শুনলেই অনেকে মনে করতে পারেন তা আদায়ের জন্য বোধ হয় আলাদা কোনো নিয়ম আছে। তা ঠিক নয়। যেভাবে নিজের হজ্ব আদায় করা হয় সেভাবেই বদলী হজ্বও আদায় করা হয়। পার্থক্য শুধু এইটুকু যে, নিয়ত ও তালবিয়ার সময় বদলী হজ্বে প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে হজ্বের নিয়ত করা হয়। এরপর হজ্বের সকল কাজ এক ও অভিন্ন।

হজ্বের নিয়ম এক হলেও বদলী হজ্ব সংক্রান্ত কিছু বিষয় এমন আছে, যা বদলী হজ্বে প্রেরণকারী ও প্রেরিত উভয়েরই জানা থাকা জরুরি। বর্তমান নিবন্ধে ঐ মাসআলাগুলোই উল্লেখ করা হয়েছে।

বদলী হজ্বের জরুরি মাসায়েল

মাসআলা : যার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে এবং হজ্ব আদায়ের শারীরিক সক্ষমতাও আছে তার নিজে হজ্ব করা জরুরি। এক্ষেত্রে অন্যকে দিয়ে বদলী হজ্ব করানো জায়েয নয়। বদলী করালে এর দ্বারা তার ফরয হজ্ব আদায় হবে না।-হিদায়া ১/২৯৬; আলবাহরুল আমীক ৪/২২৩৯; বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৪

মাসআলা : যার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে এবং হজ্ব আদায়ের সক্ষমতাও ছিল, কিন্তু শক্তি-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ্ব করেনি। অতপর হজ্ব আদায়ের সক্ষমতা হারিয়ে মাজুর হয়ে পড়েছে এমন ব্যক্তির উপর ফরয নিজের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করানো অথবা মৃত্যুর সময় তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করানোর অসিয়ত করে যাওয়া।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, বিদায় হজ্বে খাছআম গোত্রের একজন নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার বাবার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি এত বৃদ্ধ যে, বাহনের উপর স্থির হয়ে বসে থাকতে পারেন না। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে পারব?’ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ। (তার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে পারবে)।’-সহীহ বুখারী ১/২০৫; সহীহ মুসলিম ১/৪৩১

হযরত আলী রা. অতিশয় বৃদ্ধ লোক সম্পর্কে বলেছেন-

يُجَهِّزُ رَجُلاً بَنَفَقَتِهِ فَيَحُجُّ عَنْهُ

সে তার পক্ষ থেকে হজ্ব করাবে এবং এর খরচ বহন করবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৫৯৯

দেখুন : আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬১; মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৩৪

মাসআলা : কারো উপর হজ্ব ফরয হয়েছে এবং সে হজ্বের উদ্দেশ্যে মক্কা শরীফে পৌঁছেছে, কিন্তু হজ্বের মূল সময়ের আগেই তার মৃত্যু এসে গেছে-এই ব্যক্তির জন্য মৃত্যুর সময় তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্বের অসিয়ত করার প্রয়োজন নেই। এক্ষেত্রে তার উপর থেকে হজ্ব রহিত হয়ে যায়। কেননা, সে হজ্ব আদায়ের সুযোগ পায়নি।-ফাতহুল কাদীর ২/৩২৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০৪; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩

যেসব কারণে নিজে হজ্ব আদায়ে অক্ষম গণ্য হয়

১. ফরয হওয়ার পর আদায়ের সুযোগ পাওয়ার আগেই মৃত্যু এসে গেলে। এ ক্ষেত্রে ঐ ব্যক্তি থেকে হজ্ব রহিত হয়ে যায়। সুতরাং তার জন্য মৃত্যুর সময় হজ্বের অসিয়ত করে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

২. কেউ জোরপূর্বক আটকে রাখলে বা হজ্বের সফরে যেতে না দিলে।

৩. এমন কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়লে, যা থেকে সুস্থতা লাভের আশা নেই। যেমন পক্ষাঘাতগ্রস্ত হলে, অন্ধ বা খোড়া হয়ে গেলে কিংবা বার্ধক্যজনিত দুর্বলতা এত বেশি হলে যে, নিজে বাহনের উপর আরোহন করতে

পারে না।

৪. রাস্তা অনিরাপদ হলে। অর্থাৎ সফর করতে গেলে যদি জান-মালের ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।

৫. নারী তার হজ্বের সফরে স্বামী বা উপযুক্ত মাহরাম পুরুষ সঙ্গী না পেলে।

এসব কারণে ঐ ব্যক্তিকে মাজুর বা অক্ষম গণ্য করা হবে এবং সে নিজের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করাতে পারবে।-মানাসিক, মোল্লা আলী কারী ৪৩৫; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২১

মাসআলা : যার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করা হবে বদলী করানোর সময় তার উপর হজ্ব ফরয হতে হবে। হজ্ব ফরয না হওয়া অবস্থায় নিজের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করালে তা নফল হজ্ব বলে গণ্য হবে এবং এর দ্বারা ফরয হজ্ব আদায় হবে না। সুতরাং পরবর্তীতে হজ্বের সামর্থ্য হলে তাকে নিজের ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে। আর নিজে আদায় করতে না পারলে পুনরায় অন্যকে দিয়ে বদলী করাতে হবে।-মানাসিক, ৪৩৫

মাসআলা : যেসব ওজরে বদলী হজ্বের অনুমতি আছে সেগুলো দেখা দেওয়ার আগে বদলী হজ্ব করানোর যাবে না। ওজরহীন অবস্থায় বদলী হজ্ব করালে তা হবে নফল হজ্ব। এর দ্বারা তার ফরয হজ্ব আদায় হবে না। যেমন কারো উপর হজ্ব ফরয হয়েছে এবং তার নিজে হজ্ব আদায়ের শারীরিক সক্ষমতাও আছে, কিন্তু সে এ অবস্থায় নিজে আদায় না করে অন্যের দ্বারা বদলী করিয়েছে তাহলে এর দ্বারা তার ফরয হজ্ব আদায় হবে না। সুতরাং তাকে ঐ হজ্ব নিজে আদায় করতে হবে। যদি নিজে আদায় না করে এবং পরে অক্ষম হয়ে পড়ে তাহলে পুনরায় অন্যের দ্বারা বদলী হজ্ব করাতে হবে, আগের বদলী যথেষ্ট হবে না।-বাদায়েউস সানায়ে ২/৪৫৫; মানাসিক ৪৩৬; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২

মাসআলা : হজ্ব আদায়ে অক্ষমতার ওজর দুই ধরনের হতে পারে : ক) যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা আছে। খ) স্বাভাবিক অবস্থায় যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

যে ওজর দূর হওয়ার সম্ভাবনা আছে যেমন অসুস্থ, পাগল বা কারাবন্দি হওয়া; স্বামী বা মাহরাম পুরুষের ব্যবস্থা না থাকা ইত্যাদি ক্ষেত্রে বদলী হজ্ব জায়েয হওয়ার জন্য শর্ত হল, ওজরটি মৃত্যু পর্যন্ত স্থায়ী হতে হবে। সুতরাং এ ধরনের ওজরে বদলী হজ্ব করানোর পর যদি ঐ ওজর অবস্থায়ই তার মৃত্যু হয় তাহলে তার ফরয হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। পক্ষান্তরে বদলী হজ্ব করানোর পর মৃত্যুর আগে ওজর দূর হয়ে গেলে ঐ হজ্বটি নফল হয়ে যাবে এবং তাকে নিজের ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে।

আর দ্বিতীয় প্রকারের ওজর, অর্থাৎ যা দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই, যেমন অন্ধ বা পক্ষাঘাতগ্রস্ত হওয়া। এক্ষেত্রে বদলী হজ্ব জায়েয হওয়ার জন্য তা মৃত্যু পর্যন্ত স্থায়ী হওয়া শর্ত নয়। অর্থাৎ এ জাতীয় ওজরের কারণে অন্যের দ্বারা বদলী হজ্ব করানোর পর আল্লাহ তাআলার খাছ কুদরতে যদি দৃষ্টিশক্তি বা চলৎশক্তি ফিরে পায় তাহলে তাকে পুনরায় ফরয হজ্ব করতে হবে না। পূর্বের বদলী হজ্বের মাধ্যমে তার ফরয হজ্ব আদায় হয়ে গেছে।-আলবাহরুর রায়েক ৩/৬১; রদ্দুল মুহতার ২/৫৯৯; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২১; যুবদাতুল মানাসিক ৪৪৮

মাসআলা : মাহরাম পুরুষ ছাড়া মহিলাদের হজ্বের সফরে যাওয়া জায়েয নয়। অন্য মহিলাদের সঙ্গী হয়েও হজ্বে যাওয়া নাজায়েয। তারা স্বামী বা মাহরাম পুরুষের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন। যদি মাহরাম পুরুষের ব্যবস্থা না হয় আর এভাবেই এমন বার্ধক্য এসে যায় যে, নিজে হজ্ব করার শক্তি না থাকে তাহলে ঐ সময় কাউকে পাঠিয়ে বদলী হজ্ব করিয়ে নিবে বা বদলী হজ্বের অসিয়ত করে যাবে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘কোনো নারী মাহরাম ছাড়া সফর করবে না।’ জনৈক ব্যক্তি আরজ করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমি অমুক অমুক বাহিনীর সাথে জিহাদে যাওয়ার ইরাদা করেছি। এ দিকে আমার স্ত্রীও হজ্বে যাওয়ার ইচ্ছা করেছে (আমি এখন কী করতে পারি?) রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমিও তার সাথে (হজ্বে) যাও।’-সহীহ বুখারী ১/২৫০; সহীহ মুসলিম ১/৪৩৪

বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রাহ. বলেছেন, ‘নারী মাহরাম ছাড়া হজ্ব করবে না।’

রাই-এর অধিবাসিনী একজন নারী ইবরাহীম নাখায়ী রাহ.-এর নিকট পত্র লিখলেন যে, তিনি একজন বিত্তবান নারী। কিন্তু তার স্বামী নেই এবং কোনো মাহরাম পুরুষও নেই। আর ইতিপূর্বে তিনি হজ্ব করেননি। (এখন তিনি কি স্বামী বা মাহরাম ছাড়া হজ্বে যেতে পারবেন?) উত্তরে ইবরাহীম নাখায়ী রাহ. লিখেছেন-

إِنَّ هَذَا مِنْ أَمْنِ السَّبِيْلِ الَّذِيْ قَالَ اللهُ، وَلَيْسَ لَكِ مَحْرَمٌ فَلاَ تَحُجِّيْ إِلَّا مَعَ بَعْلٍ أَوْ مَحْرَمٍ.

‘মহিলাদের জন্য স্বামী বা মাহরাম পুরুষের ব্যবস্থা হওয়া হজ্বের সামর্থ্যের অন্তর্ভুক্ত, যা আল্লাহ তাআলা কুরআন মজীদের এই আয়াতে বলেছেন-

وَلِلَّهِ عَلَى النَّاسِ حِجُّ الْبَيْتِ مَنِ اسْتَطَاعَ إِلَيْهِ سَبِيلًا

অর্থাৎ মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (কাবা ঘরে) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ্ব করা ফরয। (সূরা আলে ইমরান : ৯৭) আপনার তো মাহরাম পুরুষ নেই। স্বামী বা মাহরাম ছাড়া আপনি হজ্বে

যাবেন না।’

অনুরূপ সিদ্ধান্ত তাউস, আমের, ইকরামা ও উমর ইবনে আবদুল আযীয রাহ. প্রমুখ বিখ্যাত মনীষী তাবেয়ীদের থেকেও বর্ণিত আছে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৬৩৬-৬৪১)

-ফাতহুল কাদীর ২/৩৩০; মানাসিক ৪৩৬; আলবাহরুর রায়েক ২/৩১৪; আদ্দুররুল মুখতার ২/৪৬৫

মাসআলা : যার বদলী হজ্ব আদায় করা হবে তার পক্ষ থেকে আদেশ বা অনুমতি থাকতে হবে। তার আদেশ বা অনুমতি ছাড়া কেউ তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করলে এটি তার নফল হজ্ব গণ্য হবে। এর দ্বারা তার ফরয হজ্ব আদায় হবে না।-মানাসিক ৪৩৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৯৯

মাসআলা : কোনো ব্যক্তির উপর হজ্ব ফরয ছিল, কিন্তু সে তা আদায় করেনি এবং তার পক্ষ থেকে আদায়ের অসিয়তও করেনি। এ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। তার পক্ষ থেকে ওয়ারিশদের বদলী হজ্ব করা বা করানো জরুরি নয়। তবে কোনো ওয়ারিশ বা অন্য কেউ স্বেচ্ছায় তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করলে এর দ্বারা ঐ মৃত ব্যক্তির ফরয হজ্ব আদায় হয়ে যাওয়ার আশা করা যায়।

হযরত বুরাইদাহ রা. বলেন, জনৈক মহিলা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার মা ইন্তিকাল করেছেন। তিনি হজ্ব করেননি। আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে পারি?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি তার পক্ষ থেকে হজ্ব করো।’ (সহীহ মুসলিম ১/৩৬২)

হযরত আতা রাহ. বলেছেন, ‘অসিয়ত না করলেও মৃতের পক্ষ থেকে হজ্ব করানো যাবে।’

উল্লেখ্য, উপরোক্ত ক্ষেত্রে ওয়ারিশগণ যদি মাইয়্যেতের অবণ্টিত পরিত্যক্ত সম্পদ দ্বারা বদলী হজ্ব করাতে চান তাহলে দুটি শর্ত অবশ্যপালনীয় : ক) বদলী হজ্বের অসিয়ত না করার কারণে মৃতের সকল সম্পদের বর্তমান মালিক যেহেতু ওয়ারিশগণ তাই উক্ত সম্পদ দ্বারা বদলী হজ্ব করাতে হলে সকল ওয়ারিশের স্বতঃস্ফূর্ত সম্মতি থাকতে হবে। খ) ওয়ারিশদের কেউ যদি নাবালেগ হয় কিংবা কোনো ওয়ারিশের যদি সম্মতি না থাকে তাহলে তার অংশ থেকে বদলী হজ্বের জন্য কিছুই নেওয়া যাবে না।

দেখুন : মানাসিক ৪৩৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৯৯; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২২, ৩২৮

মাসআলা : বদলী হজ্ব করার জন্য কোনো প্রকার বিনিময় বা পারিশ্রমিক লেনদেন করা যাবে না। কেননা হজ্ব একটি ইবাদত। আর ইবাদতের বিনিময় নেওয়া ও দেওয়া দুটোই নাজায়েয। তাই বদলী হজ্বের জন্য পারিশ্রমিক দেওয়া হলে প্রদানকারী ও গ্রহণকারী দুজনই গুনাহগার হবে। এ ধরনের ক্ষেত্রে প্রেরণকারীর হজ্ব আদায় হয়ে যাবে বটে তবে হজ্ব আদায়কারী পারিশ্রমিকরূপে যা কিছু নিয়েছে তা ফেরত দেওয়া ওয়াজিব। সে শুধু হজ্বের খরচ নিতে পারবে। অতিরিক্ত কিছুই নিতে পারবে না।-আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬৯; মানাসিক ৪৩৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০০

মাসআলা : মহিলাকে দিয়েও বদলী হজ্ব করানো জায়েয যদি তার সাথে স্বামী বা মাহরাম পুরুষ থাকে। আর বিশেষভাবে খেয়াল রাখা দরকার, যার মাধ্যমে বদলী হজ্ব করানো হচ্ছে তিনি হজ্বের মাসায়েল সম্পর্কে ভালোভাবে অবগত কি না।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, বিদায় হজ্বে খাছআম গোত্রের একজন নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার বাবার উপর হজ্ব ফরয হয়েছে, কিন্তু তিনি এত বৃদ্ধ যে, সওয়ারীর উপর স্থির হয়ে বসে থাকতে পারেন না। সুতরাং আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে পারব? রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘হ্যাঁ।’ (সহীহ বুখারী ১/২৫০; সহীহ মুসলিম ১/৪৩১)

দেখুন : আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬৮; মানাসিক ৪৫৩; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৫৭; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০৩; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৫/২৭

মাসআলা : যার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করা হচ্ছে হজ্বের অধিকাংশ খরচ তাকেই বহন করতে হবে। যদি কেউ সম্পূর্ণ নিজের খরচে কারো পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করে তাহলে এর দ্বারা প্রেরণকারীর ফরয হজ্ব আদায় হবে না। তবে প্রেরিত ব্যক্তি কিছু খরচ নিজের পক্ষ থেকে বহন করলে অসুবিধা নেই।

হযরত আলী রা. অতিশয় বৃদ্ধ লোকের সম্পর্কে বলেছেন, সে কাউকে তার পক্ষ থেকে হজ্বে পাঠাবে এবং হজ্বের খরচ বহন করবে।-মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৫৯৯; সুনানে বায়হাকী ৫/২৬; মানাসিক ৪৩৮; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০০

মাসআলা : বদলী হজ্বে প্রেরণকারী যদি এই বলে টাকা দেয় যে, ‘আপনি এ টাকা স্বাচ্ছন্দের সঙ্গে খরচ করতে পারবেন, কিছু বেঁচে গেলে তা ফেরত দিতে হবে না’ তাহলে হজ্ব আদায়ের পর হজ্বের প্রয়োজনে কেনা কাপড়-চোপড়, সামানপত্র ও উদ্বৃত্ত টাকা-পয়সা প্রেরণকারীকে ফেরত দিতে হবে না। এসব বস্ত্ত সে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে।

তবে যদি প্রেরণকারী টাকা দেওয়ার সময় এ রকম কিছু না বলে এবং তার কথাবার্তা বা অবস্থা দেখে বোঝা যায়, উদ্বৃত্ত টাকা-পয়সা ও হজ্বের প্রয়োজনে কেনা বস্ত্তসামগ্রী প্রেরণকারীকে ফেরত দিতে হবে তাহলে প্রেরিত ব্যক্তির উদ্বৃত্ত টাকা ও অন্যান্য সামানপত্র রেখে দেওয়া জায়েয হবে না। অবশ্যই তা প্রেরণকারীকে ফেরত দিতে হবে। হ্যাঁ, ফেরত দেওয়ার পর তিনি যদি খুশি মনে তা দিয়ে দেন তাহলে সেগুলো গ্রহণ করতে অসুবিধা নেই।

বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রাহ. বলেন, ‘কারো পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করার পর যদি প্রেরিতের নিকট প্রেরকের দেওয়া কিছু অর্থ অবশিষ্ট থাকে তাহলে সে প্রেরণকারীকে বিষয়টি জানাবে। সে দিয়ে দিলে প্রেরিতের গ্রহণ করতে বাধা নেই। অন্যথায় প্রেরণকারীকে তা ফেরত দিতে হবে।’ (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/৫৪১) -শরহু মুখতাছারিত তহাবী ২/৪৯৫; মাবসূত, সারাখসী ২৭/১৭২; ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩০৭; মানাসিক ৪৫৯; আলবাহরুল আমীক ৪/২৩৭৮, ২৩৮১

মাসআলা : বদলী হজ্বে প্রেরণকারী যদি বদলী আদায়কারীকে টাকা-পয়সার হিসাব-নিকাশের ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখার জন্য বলে, ‘আমি আপনাকে হজ্বের জন্য প্রদত্ত টাকার মালিক বানিয়ে দিলাম বা আপনাকে হাদিয়া দিলাম তাহলে ঐ টাকায় আদায়কৃত হজ্ব দ্বারা প্রেরকের ফরয হজ্ব আদায় হবে না। কারণ হাদিয়া করার কারণে বা মালিক বানিয়ে দেওয়ার কারণে সে ঐ টাকার মালিক হয়ে গিয়েছে এবং হজ্বটি তার নিজের টাকায় সম্পন্ন হয়েছে। এ কারণে বদলী হজ্বের জন্য টাকাটা প্রেরকের মালিকানায় রেখেই প্রেরিত ব্যক্তিকে হজ্বের খরচ হিসাবে প্রদান করতে হবে। আর হিসাবের ঝামেলা এড়ানোর জন্য পূর্বোক্ত পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। অর্থাৎ প্রেরণকারী টাকা দিয়ে একথা বলে দিবে যে, কিছু অবশিষ্ট থাকলে তা আমাকে ফেরত দিতে হবে না বা কোনো হিসাবও আমাকে দিতে হবে না।-যুবদাতুল মানাসিক ৪৫৯

মাসআলা : বদলী হজ্বের জন্য নিজ দেশ থেকেই কাউকে পাঠাতে হবে। নিজ দেশ থেকে কাউকে পাঠানোর সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও অন্য দেশে অবস্থানরত কাউকে দিয়ে বদলী হজ্ব করানো হলে প্রেরণকারীর ফরয হজ্ব আদায় হবে না। এক্ষেত্রে নিজ দেশ থেকে পুনরায় বদলী হজ্ব করাতে হবে।-মানাসিক ৪৪০; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২৯; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৫

মাসআলা : মৃত ব্যক্তি তার পক্ষ থেকে বদলী হজ্বের অসিয়ত করে গেলে নিয়ম হল, তার কোনো ঋণ থাকলে প্রথমে তার পরিত্যক্ত সম্পদ থেকে তা আদায় করা। এরপর অবশিষ্ট সম্পদের এক তৃতীয়াংশ থেকে বদলী হজ্বের অসিয়ত কার্যকর করা। এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা মৃতের আবাসস্থল থেকে হজ্বের জন্য পাঠানো সম্ভব হলে তার এলাকা থেকেই কাউকে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে অন্য কোনো দেশ থেকে কাউকে দিয়ে হজ্ব করালে মৃতের অসিয়ত ও ফরয হজ্ব আদায় হবে না। কিন্তু এক তৃতীয়াংশ সম্পদ দ্বারা যদি মৃতের এলাকা থেকে হজ্ব করানো সম্ভব না হয় তাহলে ঐ টাকা দিয়ে যেখান থেকে হজ্ব করানো যায় সেখান থেকেই করাবে। অবশ্য ওয়ারিশগণ চাইলে নিজ সম্পদ থেকে কিছু দিয়ে মৃতের এলাকা থেকে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারবে। (প্রাগুক্ত)

মাসআলা : মাইয়েত যদি বদলী হজ্বের অসিয়ত করে না যায় আর ওয়ারিশগণ স্বেচ্ছায় তার বদলী হজ্ব করাতে চায় সেক্ষেত্রে মৃতের এলাকা থেকে বদলী করানো জরুরি নয়। তারা অন্য দেশ যেমন- সৌদি আরব বা তার কাছাকাছি কোনো দেশ থেকেও মাইয়েতের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করাতে পারবে। তবে এক্ষেত্রেও তার দেশ থেকে কাউকে পাঠিয়ে হজ্ব করানো উত্তম। কারণ এভাবে করলে মাইয়েতের উপর যেভাবে হজ্ব ফরয হয়েছিল সেভাবে আদায় করা হয়।-আলবাহরুল আমীক ৪/২৩৪৮; মাআরিফুস সুনান ৬/৩১৬; মানাসিক ৪৩৬; আলমুগনী, ইবনে কুদামা ৫/৪১

মাসআলা : বদলী হজ্বের ইহরাম বাঁধার সময় প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে নিয়ত করতে হবে। এর জন্য উত্তম হল, মুখে এভাবে বলা যে, আমি অমুকের পক্ষ থেকে হজ্বের ইহরাম করছি বা নিয়ত করছি, এমনকি তালবিয়া বলার সময়ও তার নাম যুক্ত করে দেওয়া যেতে পারে। যেমন এভাবে বলবে, লাববাইক আন ফুলান (ব্যক্তির নাম)।

যদি তার নাম জানা না থাকে বা স্মরণ না থাকে তাহলে এভাবে বলবে যে, যিনি আমাকে বদলী হজ্বের জন্য প্রেরণ করছেন বা যার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করছি তার পক্ষ থেকে হজ্বের নিয়ত করলাম। ইহরামের সময় একবার এই নিয়ত করা যথেষ্ট। হজ্বের প্রতিটি কাজে ভিন্ন ভিন্নভাবে প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে নিয়ত করতে হবে না।

বিখ্যাত তাবেয়ী হযরত হাসান বসরী রাহ. বলেন, কারো পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করলে তালবিয়া পড়ার সময় তার নাম নিয়ে একবার এভাবে বলাই যথেষ্ট যে,

لَبَّيْكَ عَنْ فُلَانٍ

(অমুকের পক্ষ থেকে লাববাইক।)

অনুরূপ বক্তব্য হযরত আতা রাহ. থেকেও বর্ণিত আছে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/২৩৪)

দেখুন : মানাসিক ৪৪২; আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬৩

মাসআলা : যদি মুখে প্রেরণকারীর নাম উল্লেখ করতে ভুলে যায়, কিন্তু মনে মনে তার পক্ষ থেকে নিয়ত করেছে, তাহলেও কোনো অসুবিধা নেই।

অন্তরের নিয়তই যথেষ্ট।

হযরত হাসান বসরী ও আতা রাহ. বলেছেন-

إِذَا حَجَّ الرَّجُلُ عَنِ الرَّجُلِ فَنَسِيَ أَنْ يُسَمِّيَهُ فَقَدْ أَجْزَأَ عَنْهُ الْحَجُّ، فَإِنَّ اللهَ قَدْ عَلِمَ عَمَّنْ حَجَّ.

যদি কেউ কারো পক্ষ থেকে (বদলী) হজ্ব করে আর সে (ইহরামের সময়) প্রেরকের নাম উচ্চারণ করতে ভুলে যায় তাহলেও তার হজ্ব আদায় হবে যাবে। কারণ আল্লাহ তাআলা জানেন, সে কার পক্ষ থেকে হজ্ব করেছে। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮-/২৩৫)

দেখুন : আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬৩; মানাসিক ৪৪২; আদ্দুররুল মুখতার ২/৫৯৯

মাসআলা : বদলী হজ্ব আদায়কারী যদি ইহরাম বাঁধার সময় প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে নিয়ত করতে ভুলে যায় তাহলে হজ্বের কাজ শুরু করার আগেই প্রেরকের পক্ষ থেকে নিয়ত করে নিবে। যদি নতুন করে প্রেরকের পক্ষ থেকে নিয়ত না করে হজ্বের আমলসমূহ করতে শুরু করে দেয় তাহলে তখন আর নিয়ত করার সুযোগ থাকে না। তখন এই হজ্ব হবে আদায়কারীর নিজের হজ্ব। প্রেরণকারীর টাকা ফেরত দেওয়া তার জন্য অপরিহার্য।-মানাসিক ৪৪২; রদ্দুল মুহতার ২/৫৯৯; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২৫

মাসআলা : মৃত ব্যক্তি যদি নির্দিষ্ট কাউকে দিয়ে তার বদলী হজ্ব করানোর অসিয়ত করে থাকে যে, অমুক আমার বদলী হজ্ব করবে, অন্য কেউ করতে পারবে না, তাহলে অন্য কাউকে দিয়ে তার বদলী হজ্ব করানো জায়েয নয়। আর যদি অসিয়তের সময় কারো নাম বললেও অন্য কাউকে দিয়ে করাতে নিষেধ না করে থাকে অর্থাৎ শুধু এতটুকু বলেছে যে, অমুককে দিয়ে আমার বদলী হজ্ব করাবে, এক্ষেত্রে উত্তম হল ঐ নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে দিয়েই হজ্ব করানো। তবে ঐ ব্যক্তি যদি রাজি না হয় বা কোনো কারণে করতে সক্ষম না হয় তাহলে অন্য কাউকে দিয়েও করাতে পারবে।

তদ্রূপ ঐ ব্যক্তির অসম্মতি বা অক্ষমতা ছাড়াও যদি তাকে না পাঠিয়ে অন্য কাউকে পাঠায় তাহলেও মৃতের ফরয হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।-আলবাহরুল আমীক ৪/২৩৮৭; মানাসিক ৪৫১; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০০; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২৮

মাসআলা : মৃত ব্যক্তি যদি শুধু এটুকু অসিয়ত করে যে, আমার পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করাবে, কিন্তু কোনো প্রতিনিধি নিয়োগ করেনি তাহলে সকল ওয়ারিশ একত্র হয়ে পরামর্শক্রমে যেকোনো ব্যক্তিকে বদলী হজ্বের জন্য পাঠাতে পারবে। এতে মৃতের ফরয হজ্ব আদায় হয়ে যাবে।-মানাসিক ৫৫১; গুনইয়াতুন নাসিক ৩২৮

মাসআলা : যদি কোনো বদলী হজ্বকারী তাওয়াফে যিয়ারত না করেই দেশে চলে আসে তাহলে এ কারণে হজ্ব বাতিল হবে না। তবে তাকে নিজের খরচে মক্কা মুকাররমায় গিয়ে অবশ্যই তাওয়াফে যিয়ারত করতে হবে। অন্য কাউকে দিয়ে তা করানোর সুযোগ নেই।-মানাসিক ৪৫১

মাসআলা : বদলী হজ্বকারী শুধু এক হজ্বের ইহরাম করবে। তার জন্য একত্রে দুই হজ্বের নিয়তে ইহরাম করা-একটি প্রেরণকারীর পক্ষ থেকে আর অপরটি নিজের জন্য-এটি জায়েয নয় এবং এর দ্বারা প্রেরণকারীর হজ্ব আদায় হবে না। তবে নিজের নিয়তে যে হজ্বের ইহরাম করেছে তা যদি ছেড়ে দেয় তাহলে প্রেরকের বদলী হজ্ব আদায় হবে।

মাসআলা : বদলী হজ্বকারী নির্দিষ্ট এক ব্যক্তির পক্ষ থেকে ইহরাম করবে। একই হজ্বের ইহরাম দুই ব্যক্তির পক্ষ থেকে করা জায়েয নয়। যদি এমনটি করে তাহলে দু’জনের কারো হজ্ব আদায় হবে না। এটি আদায়কারীর নিজের হজ্ব হবে। সুতরাং ঐ দুই ব্যক্তি যদি তাদের পক্ষ থেকে হজ্ব করার জন্য তাকে টাকা দিয়ে থাকে তাহলে তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।-মানাসিক ৪৪৬; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬০৭, ৬০১; গুনয়াইতুন নাসিক ৩২৫, ৩২৭

মাসআলা : বদলী হজ্ব আদায়কারী ইহরাম করবে প্রেরণকারীর মীকাত থেকে। অর্থাৎ প্রেরণকারীর দেশ থেকে মক্কা মুকাররমা যেতে যে মীকাত পরে সেখান থেকে বদলী হজ্বের ইহরাম করবে। যেমন-বাংলাদেশ থেকে সরাসরি মক্কাগামী হজ্বযাত্রীদের জন্য মীকাত হল ‘কারনুল মানাযিল’ ও ‘যাতু ইরক’। এই স্থানদ্বয় অতিক্রমের আগেই ইহরাম করতে হবে। সতর্কতার জন্য বিমানে ওঠার আগে কিংবা বিমানে উঠেই ইহরাম করে নেওয়া ভালো।-মানাসিক ৪৪২; রদ্দুল মুহতার ২/৬০০; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩২

মাসআলা : প্রেরিত ব্যক্তি প্রেরণকারীর আদেশের উল্টো করবে না। যেমন-প্রেরক হজ্বে ইফরাদ করার আদেশ করেছে, কিন্তু আদায়কারী প্রথমে নিজের জন্য উমরাহ করেছে। তারপর প্রেরকের পক্ষ থেকে হজ্ব করেছে। এমনটি করলে প্রেরকের হজ্ব আদায় হবে না। আর আদায়কারীকে অবশ্যই প্রেরকের টাকা ফেরত দিতে হবে।-মানাসিক ৪৪৪; রদ্দুল মুহতার ২/৬০০; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৩

মাসআলা : কেউ কেউ ঈসালে ছওয়াবের উদ্দেশ্যে করা হজ্বকেও বদলী হজ্ব বলে থাকে। স্মরণ রাখতে হবে, এটি পারিভাষিক বদলী হজ্ব নয়। বদলী হজ্ব শরীয়তের একটি বিশেষ পরিভাষা।

ঈসালে ছওয়াবের হজ্ব আর বদলী হজ্ব দুটো এক নয়। বদলী হজ্ব হল নিজে হজ্ব আদায়ে অক্ষম কোনো ব্যক্তি জীবদ্দশায় কাউকে হজ্বের খরচ দিয়ে তার পক্ষ থেকে ফরয হজ্ব আদায়ের জন্য প্রেরণ করা বা মৃত্যুর সময় তার ফরয হজ্ব আদায়ের অসিয়ত করে যাওয়ার ফলে তার পক্ষ থেকে আদায়কৃত হজ্ব।

আর নিজ খরচে কারো পক্ষ থেকে হজ্ব করলে বা করালে সেটিকে পারিভাষিক অর্থে বদলী হজ্ব বলা হয় না। এতে বদলী হজ্বের বিশেষ বিধানগুলো লক্ষণীয় নয়। এটি হল মুলত ঈসালে ছওয়াবের হজ্ব। এক্ষেত্রে হজ্ব আদায়ের সময়ই ঐ ব্যক্তির নিয়তে আদায় করা যায়। আবার আদায়ের পরও তাকে ছওয়াব পৌঁছানোর নিয়ত করা যায়। উভয় ক্ষেত্রেই ঐ ব্যক্তি এর ছওয়াব পেয়ে যাবেন।

মাসআলা : প্রেরক অনুমতি দিলে বদলীকারীর জন্য তামাত্তু বা কিরান হজ্ব করাও জায়েয। তদ্রূপ বিশেষভাবে ইফরাদ হজ্ব করার নির্দেশ না দিলে; সে ক্ষেত্রেও কিরান ও তামাত্তু যে কোনোটি করা জায়েয। হানাফী মুতাআখখিরীন ফকীহগণের অনেকে এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যে, প্রেরকের অনুমতি থাকলে বদলীকারী কিরান ও তামাত্তু যে কোনোটি করতে পারবে, ইফরাদ হজ্ব করা জরুরি নয়। যেমন-আল্লামা ফখরুদ্দীন হাসান ইবনে মানসুর আলউযজান্দী রাহ. (মৃত্যু : ৫৯২ হি.), আল্লামা রহমতুল্লাহ সিন্ধী রাহ. (মৃত্যু : ৯৯৩ হি.), আল্লামা আলাউদ্দীন হাসকাফী রাহ. (মৃত্যু : ১০৮৮ হি.), আল্লামা কাযী হুসাইন ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল গনী হানাফী রাহ. (মৃত্যু : ১৩৬৬ হি.) প্রমুখ। এছাড়া উপমহাদেশের বড় বড় অনেক মুফতী ছাহেব এই ফতোয়া দিয়েছেন। যেমন-মুফতী কেফায়েতুল্লাহ দেহলভী রাহ., মুফতী মুহাম্মাদ শফী রাহ., মুফতী যফর আহমদ উছমানী রাহ., মুফতী রশীদ আহমদ লুধিয়ানবী রাহ., শাইখুল ইসলাম মুফতী তকী উছমানী দা.বা. প্রমুখ।

এছাড়াও রিয়াদস্থ গবেষণা ও ইফতাবোর্ড এবং ভারতের ইসলামী ফিকহ একাডেমীর সিদ্ধান্তও অনুরূপ। দেখুন : ফাতাওয়া খানিয়া ১/৩০৭; লুবাবুল মানাসিক ৪৫৯; আদ্দুররুল মুখতার ২/৬১১; ইরশাদুস সারী ৬৪৭; কেফায়েতুল মুফতী ৪/৩৪৫; জাওয়াহিরুল ফিকহ ১/৫০৮; ইমদাদুল আহকাম ২/৫২৩; ফাতাওয়া উছমানী ২/২২২; ফাতাওয়াল লাজনাহ আদ্দাইমাহ ১১/৮২

মাসআলা : বদলী হজ্ব এমন লোককে দিয়ে করানো উচিত, যিনি নিজের ফরয হজ্ব আদায় করেছেন। যে ব্যক্তি নিজের হজ্ব আদায় করেনি সে যদি এমন হয় যে, তার উপর হজ্ব ফরয নয় তাহলে তাকে দিয়েও বদলী করানো জায়েয আছে। তবে তা মাকরূহ তানযীহি। আর যদি তার উপর হজ্ব ফরয হয়ে থাকে, কিন্তু সে এখনও তা আদায় করেনি তাহলে তার জন্য বদলী হজ্ব করা মাকরূহ তাহরীমী তথা নাজায়েয। তবে কেউ এমন ব্যক্তির দ্বারা বদলী হজ্ব করালে প্রেরণকারীর হজ্ব আদায় হয়ে যাবে। পুনরায় তাকে বদলী করাতে হবে না।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে হজ্বের ইহরাম করার সময়-

لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ

(শুবরুমার পক্ষ থেকে লাববাইক) এভাবে বলতে শুনে বললেন, ‘শুবরুমা কে?’ লোকটি বলল, ‘আমার ভাই (বর্ণনাকারী বলেন) অথবা বলল, আমার নিকটাত্মীয় এক লোক।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি কি নিজের হজ্ব করেছ?’সে বলল, ‘না।’ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আগে তোমার নিজের হজ্ব কর তারপর শুবরুমার পক্ষ থেকে কর।-সুনানে আবু দাউদ ১/২৫২

হযরত আলী রা. থেকে বর্ণিত আছে-

كان لا يرى بأسا أن يحج الصرورة عن الرجل.

যে ব্যক্তি নিজের হজ্ব করেনি যে অন্যের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করাকে তিনি দোষের বিষয় মনে করতেন না।

বিশিষ্ট তাবেয়ী হযরত মুজাহিদ, হাসান বসরী ও সাঈদ ইবনে মুসাইয়্যিব রাহ.ও এমনই মনে করতেন। (মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ৮/১৮৯) দেখুন : মাবসূত, সারাখসী ৪/১৫১; আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬৩; ফাতহুল কাদীর ৩/৭৯; রদ্দুল মুহতার ২/৬০৩

মাসআলা : কাউকে এমনিই নেক কাজের নিয়তে হজ্ব করাতে চাইলে বা হজ্ব আদায়ে আর্থিক সহায়তা করতে চাইলে এমন ব্যক্তিকে করানো উত্তম, যিনি এখনও হজ্ব করেননি।-মাবসূত, সারাখসী ৪/১৫২; আলবাহরুল আমীক ৪/২২৬৮; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৯

মাসআলা : কোনো কোনো কিতাবে আছে যার উপর হজ্ব ফরয হয়নি এমন ব্যক্তি বদলী হজ্বে গেলে কাবা শরীফ দেখার দ্বারা তার নিজের উপর হজ্ব ফরয হয়ে যায়। যদিও সে গরীব হোক না কেন। সুতরাং তার জন্য জরুরি, হজ্বের পর পরবর্তী বছর হজ্বের সময় পর্যন্ত মক্কায় অবস্থান করা এবং হজ্বের নির্দিষ্ট সময় নিজের ফরয হজ্ব আদায় করা। যদি দেশে চলে আসে তাহলে পুনরায় নিজের ফরয হজ্ব আদায়ের উদ্দেশে মক্কা মুকাররমা যাওয়া জরুরি।

এ বক্তব্য ঠিক নয়। বিশুদ্ধ মতানুসারে এমন গরীব ব্যক্তি বদলী হজ্ব করতে গিয়ে বাইতুল্লাহ শরীফ দেখার দ্বারা তার উপর হজ্ব ফরয হয় না। কেননা, সে অন্যের পক্ষ থেকে হজ্বের ইহরাম বাঁধার কারণে তৎক্ষণাৎ নিজের জন্য হজ্ব করতে সক্ষম নয়। আর পরবর্তী বছর হজ্বের সময় আসা পর্যন্ত তার পক্ষে সেখানে অবস্থান করা সম্ভব নয়। আবার স্বদেশে চলে আসার পর পুনরায় হজ্বের জন্য যাওয়ারও তার আর্থিক সামর্থ্য নেই।

এইজন্য মুহাক্কিক উলামায়ে কেরাম উক্ত বক্তব্যটি প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং এ ধরনের গরীব বদলীকারীর উপর বাইতুল্লাহ শরীফ দেখার দ্বারা হজ্ব ফরয না হওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন।-রদ্দুল মুহতার ২/৬০৪; গুনইয়াতুন নাসিক ৩৩৮; জাওয়াহিরুল ফিকহ ১/৫০৭; ফাতাওয়া উছমানী ২/২২২

মাসআলা : অন্যের বদলী হজ্ব করার দ্বারা নিজের ফরয হজ্ব আদায় হয় না। সুতরাং বদলী আদায়কারীর উপর হজ্ব ফরয হলে তাকে পৃথকভাবে নিজের ফরয হজ্ব আদায় করতে হবে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক ব্যক্তিকে ইহরাম করার সময়-

لَبَّيْكَ عَنْ شُبْرُمَةَ

(শুবরুমার পক্ষ থেকে লাববাইক) এভাবে বলতে শুনলেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, শুবরুমা কে? সে বলল, আমার ভাই বা (বলেছে) আমার এক আত্মীয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি কি নিজের হজ্ব করেছ? সে বলল না। তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, আগে তোমার নিজের হজ্ব কর। তারপর শুবরুমার পক্ষ থেকে হজ্ব কর। (সুনানে আবু দাউদ ১/২৫২)

যদি অন্যের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করার দ্বারা নিজের ফরয হজ্বও আদায় হয়ে যেত তাহলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকটিকে আগে নিজের হজ্ব করতে বলতেন না। আরো দেখুন : মাবসূত, সারাখসী ৪/১৪৭; ফাতহুল কাদীর ৩/৬৮; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/২৭৮; আলবাহরুল আমীক ৪/২২৫২

মাসআলা : উমরাহর বদলী করাও জায়েয আছে।

হযরত আবু রাযীন আলউকায়লী রা. থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বললেন, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার বাবা অতিশয় বৃদ্ধ মানুষ। তিনি হজ্ব ও উমরাহ করতে সক্ষম নয়। (আমি কী করতে পারি?)’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তোমার বাবার পক্ষ থেকে তুমি হজ্ব ও উমরাহ আদায় কর।’ (জামে তিরমিযী ১/১১২) দেখুন : গুনইয়াতুন নাসিক ৩২০

মাসআলা : মান্নত হজ্বের বদলী করা জায়েয। অর্থাৎ কেউ হজ্ব বা উমরার মান্নত করেছে, কিন্তু স্বয়ং তা আদায় করতে সক্ষম নয় বা আদায়ের আগেই তার মৃত্যু এসে গেছে তাহলে সে কারো দ্বারা এর বদলী করিয়ে নিবে বা বদলী করানোর অসিয়ত করে যাবে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আববাস রা. বলেন, ‘জুহাইনা গোত্রের এক নারী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে বলল, ‘আমার মা হজ্বের মান্নত করেছিলেন। কিন্তু হজ্ব আদায়ের আগেই তিনি মারা গেছেন। এখন আমি কি তার পক্ষ থেকে হজ্ব করতে পারব?’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তুমি তার পক্ষ থেকে হজ্ব কর। যদি তোমার মায়ের কোনো অনাদায়ী ঋণ থাকত তাহলে তুমি কি তা পরিশোধ করতে না? আল্লাহর ঋণও আদায় কর। আল্লাহর ঋণ আরো বেশি আদায়যোগ্য।’ (সহীহ বুখারী ১/২৫০)

মাসআলা : যে ব্যক্তি নিজের ফরয হজ্ব আদায় করে ফেলেছে তার জন্য নফল হজ্ব করার চেয়ে উত্তম হল, অন্য কারো ফরয হজ্বের বদলী করা।

হযরত আবু হুরায়রা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো মৃতের পক্ষ থেকে বদলী হজ্ব করলে সেও মৃতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।’ (মাজমাউয যাওয়াইদ ৩/৬১৪; আলমুজামুল আওসাতের বরাতে)

হযরত হাসান বসরী রাহ. বলেন, ‘যে ব

Address

Road 17 Banani
Dhaka
1213

Opening Hours

Monday 09:00 - 18:00
Tuesday 09:00 - 18:00
Wednesday 09:00 - 18:00
Thursday 09:00 - 18:00
Saturday 09:00 - 17:00
Sunday 09:00 - 18:30

Telephone

+8801612272675

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Mehoman Travels & Tours posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Mehoman Travels & Tours:

Share