HQ Travels

HQ Travels I have specially service Air Ticket , Tour Package and Visa support any kind of country.
(2)

11/11/2023
আজ থেকে প্রায় আটশত বছর আগে,হালাকু খান বাগদাদকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল।অবস্থা এতটা শোচনীয় ছিলো যে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ...
12/10/2023

আজ থেকে প্রায় আটশত বছর আগে,হালাকু খান বাগদাদকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছিল।অবস্থা এতটা শোচনীয় ছিলো যে আপাত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছিলো,ইসলাম এখানেই শেষ।

কিন্তু সেই বংশ দিয়েই এসেছিলেন বারকে খান যিনি মুসলমান হয়ে এই মঙ্গল ধংসযজ্ঞের পথে দেয়াল হয়ে দাড়িয়েছিলেন।শত বর্ষ পার না হতেই চেঙ্গিস সভ্যতা ইতিহাস হয়ে যায়।

একদিকে ইসলামের কেন্দ্রস্থল বাগদাদ মাটির তলায় চলে যাচ্ছিল ঠিক সময়ে তুরস্কের আনাতোলিয়াতে উসমান গাজীর জন্ম হয়, যার হাত ধরে মাটি ফুড়ে বের হচ্ছিলো আরেক সাম্রাজ্য।দ্যা গ্রেট অটোমান নামে পাশ্চাত্যরা আজও যাকে স্মরন করে।যেই সভ্যতা স্থায়ী হয়েছিল প্রায় পাচশত বছরের উপরে।

ইসলাম মানুষের তৈরি সভ্যতা কিংবা রুলস-রেগুলেশনের নাম না।এর বিধানও মানুষের চিন্তাভাবনার ফল না,যে মানুষের প্রস্থান আর সভ্যতার উত্থান পতনের সাথে ইসলামের বিলুপ্তি ঘটবে।

বহুত জালেম ইসলাম নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করেছেন,উত্থান ঠেকানোর চেষ্টা করা হয়েছে পয়গম্বরদের।মূসা(আ.) কে আসতেই দিবে না,সব শিশুদের হত্যা করা হলো।তবুও কি সে পথ থেমে গেছে?

সেই ফেরাউন থেকে আবরাহা, আবু জেহেল থেকে আতাতুর্ক।এদের প্রত্যেকেই সবচেয়ে নিকৃষ্ট পরিনতির স্বাক্ষী হয়ে আছে কিন্তু ইসলাম.....

বায়তুল মাকদিস সালাউদ্দীন আইয়ুবি বিজয়ের পূর্বে প্রায় ১০০ বছর মুসলমানদের শুধু রক্তই ঝরেছে সেখানে।আজান ছিলো না,নামাজের সুযোগ নাই,সে চত্ত্বর ছিলো আস্তাবল।রক্তের দাগ শুকানোর পূর্বেই সালাউদ্দিন আইয়ুবি সেই মাটিতে পুনরায় সিজদাহ্ দিলেন।পরবর্তী ৮০০ বছর সেখানে শান্তিই ছিলো।

গত ৭৫ বছর যাবৎ বিশ্বের সবাইকে স্বাক্ষী রেখে ফিলিস্তিনের মানুষেরা সন্ত্রাসী ইসরায়েলের হাতে রক্তাক্ত হচ্ছে।রক্তের নজরানা যতই বাড়তেছে সুবহে সাদিকের সোনালী আভা ততই নিকটবর্তী হচ্ছে।হয়তো আরও কিছুকাল রক্তের নদী পাড়ি দিয়ে ইতিহাস তার গতিপথ পাল্টাবে।

"পানিতে ভেজার দরুন মানুষ কাপড় বদলায়
চেষ্টার ঘামে ভেজার দরুন মানুষ তাকদীর বদলায়
ত্যাগের রক্তে ভেজার দরুন মানুষ ইতিহাস বদলায়"...
Copy Hanif H ভাইয়ের ওয়াল থেকে

29/09/2023

আসসালামু আলাইকুম !! ব্রেকিং নিউজ!! ব্রেকিং নিউজ!! পবিত্র মক্কায় হোটেলের লাইসেন্স (তাসনীফ) ছাড়া হাজী রাখা নিষিদ্ধ করেছে সৌদি ট্যুরিজম মিনিস্ট্রি, তাসনীফ ছাড়া সব বিল্ডিং ও হোটেল থেকে বিদেশি সব হাজীদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাসনীফ ওয়ালা হোটেলে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে।

ইতিমধ্যে মিসফালাহ আখের রসের গলি, দাহলা এরিয়ায় অনেক তাসনীফ ছাড়া বিল্ডিং, হোটেল সিলগালা করে দিয়েছে সৌদী পুলিশ,
এসব হোটেল গুলো আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে খালী করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

সম্মানিত বাংলাদেশী হজ্জ-ওমরাহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমুহের মালিক অপারেটর গ্রুপ লিডারগণ আপনাদের কারো যাত্রী তাসনীফ ছাড়া বিল্ডিং এ থাকলে দ্রুত পদক্ষেপ নিন এবং সামনে হোটেল বুকিং করার সময় বিষয়টি মাথায় রাখবেন ।

23/12/2022

সংক্ষিপ্তভাবে উমরা আদায়ের পদ্ধতি :
শেয়ার করে টাইমলাইনে রেখে দিন; ইনশাআল্লাহ কাজে লগবে❤️❤️

১. উমরাকারী যখন মীকাতে পৌঁছবে তখন তার জন্য মুস্তাহাব হলো গোসল করা এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া; অনুরূপভাবে উমরা আদায়কারী মহিলাও গোসল করবে এবং পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হবে, যদিও এ সময় তার হায়েয বা নিফাস থাকে। হায়েয বা নিফাসওয়ালী মহিলা ইহরাম বাঁধতে পারবে, তবে সে তার হায়েয বা নিফাস থেকে পবিত্র হওয়া ও গোসল না করা পর্যন্ত বায়তুল্লাহ’র তাওয়াফ করবে না।
ইহরামের পূর্বে উমরা পালনকারী পুরুষ গায়ে সুগন্ধি লাগাবে, তবে তার ইহরামের কাপড়ে নয়। যদি মীকাতে পৌঁছার পর গোসল করা সম্ভব না হলে তাতে দোষের কিছু নেই।

মনে রাখবেন ইহরামের জন্য কোনো নির্দিষ্ট সালাত নেই। তবে কোনো ফরয বা নফল সালাতের পরে ইহরাম হওয়া উত্তম। যদি সম্ভব হয় তবে তা করা যেতে পারে, নতুবা সেটাকে বাধ্যতামূলক মনে করা যাবে না।
২. পুরুষগণ সকল প্রকার সেলাইযুক্ত কাপড় (যেমন জামা, পাজামা, গেঞ্জী ইত্যাদি যা পোশাকের আকারে তৈরি তা) পরিধান থেকে বিরত থাকবে। একটি লুঙ্গি ও চাদর পরিধান করবে, তার মাথা খোলা রাখবে। আর পুরুষের ইহরামের কাপড় দু’টি সাদা ও পরিষ্কার হওয়া মুস্তাহাব।
তবে মহিলা তার সাধারণ পোশাকেই ইহরাম বাঁধবে, লক্ষ্য রাখবে যাতে কোনো প্রকার চাকচিক্য ও প্রসিদ্ধি লাভ করে এমন পোশাক যেন না হয়।
৩. তারপর উমরার কাজে ঢুকার জন্য মনে মনে নিয়ত (দৃঢ় সংকল্প) করবে, আর মুখে উচ্চারণ করে বলবে,
لَبَّيْكَ عُمْرَةً
“লাব্বাইকা ‘উমরাতান”
অর্থাৎ, আমি উমরা আদায়ের জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত হলাম।
অথবা বলবে:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً
“আল্লাহুম্মা লাব্বাইকা ‘উমরাতান”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমি উমরা আদায়ের জন্য আপনার দরবারে উপস্থিত হলাম।
৪. অন্য কারো জন্য উমরা করতে চাইলে (যদি আপনি পূর্বে আপনার উমরা আদায় করে থাকেন তবে) উচ্চারণ করবেন:
اَللَّهُمَّ لَبَّيْكَ عُمْرَةً مِنْ فُلانٍ
‘‘আল্লাহুম্মা লাববাইকা ‘উমরাতান মিন পুলান’’
অর্থাৎ, হে আল্লাহ আমি অমুকের (তার নাম ধরে) পক্ষ হতে উমরা পালনের জন্য হাজির।
৫. যদি মুহরিম ব্যক্তি ভয় করে যে, সে রুগ্ন অথবা শত্রুর ভয়ের কারণে উমরা করতে সামর্থ্য হবে না, তবে তার জন্য ইহরামের সময় শর্ত করে নেওয়া জায়েয। সে বলতে পারবে,
«فِإِنْ حَبَسَنِيْ حَابِسٌ فَمَحَلِّيْ حَيْثُ حَبَسْتَنِيْ»
“ফায়িন হাবাসানি হাবিসুন ফামাহাল্লি হাইছু হাবাস্তানী”
অর্থাৎ, যদি কোনো বাধাদানকারী আমাকে বাঁধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্ত হবো সেখানেই হালাল হয়ে যাবো।
মহিলা সাহাবী দ্বুবা‘আহ বিনতে যুবাইর (রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা) তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বললেন, আমি হজ করতে চাই তবে রোগাক্রান্ত হয়ে যাওয়ার ভয় করছি, তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন,
«حجي واشترطي أن محلي حيث حبستني»
“হজ করতে শুরু কর এবং শর্ত করে নাও এবং বলো, যদি কোনো বাধাদানকারী আমাকে বাধা দেয়, তাহলে যেখানে আমি বাধাগ্রস্থ হবো সেখানেই হালাল হয়ে যাবো।”
৬. তারপর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর তালবিয়া পাঠ করবেন, আর তা হলো,
«لَبَّيْكَ اللّهُمَّ لَبَّيْكَ، لَبَّيْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ، إِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ لَا شَرِيْكَ لَكَ»
(লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারীকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি‘মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারীকা লাক।)
অর্থাৎ, উমরার জন্য আমি আপনার দরবারে হাজির। হে আল্লাহ! আমি আপনার দরবারে হাজির, আমি আপনার দ্বারে উপস্থিত, আপনার কোনো অংশীদার নেই, আপনার দরবারে উপস্থিত হয়েছি। সর্বপ্রকার প্রশংসা ও নি‘আমতের সামগ্রী তোমারই, তোমারই রাজত্ব, তোমার কোনো অংশীদার নেই।

উল্লিখিত দো‘আ ইহরাম পালনকারী পুরুষগণ জোরে জোরে উচ্চারণ করবে, আর স্ত্রী লোকেরা চুপে চুপে বলবে। অতঃপর অধিক মাত্রায় তালবিয়া পড়বে এবং দো‘আ, যিকির-ইস্তেগফার করবে।
৭. পবিত্র মক্কায় পৌঁছার পর সম্ভব হলে গোসল করবেন, এ গোসল সুন্নাত। সেটি আপনার আবাসস্থল হোটেলেও হতে পারে।
৮. তারপর মসজিদে হারামে ঢুকার সময়ে ডান পা দিয়ে ঢুকবেন এবং মসজিদে ঢুকার দো‘আ পড়বেন, তা হলো,
«بِسْمِ اللهِ وَالصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ عَلى رَسُوْلِ اللهِ، أَعُوذُ بِاللَّهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنْ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ، اللَّهُمَّ افْتَحْ لِيْ أَبْوَابَ رَحْمَتِكَ»
(বিসমিল্লাহ ওয়াস্‌সালাতু ওয়াস্‌সালামু ‘আলা রাসূলিল্লাহ, আউযুবিল্লাহিল আযীম ওয়া বিওয়াজহিহিল কারীম ওয়া সুলতানিহিল কাদীম মিনাশ শায়তানির রাজীম। আল্লাহুম্মাফতাহ্ লি আবওয়াবা রাহমাতিক।)
অর্থাৎ, আল্লাহর নামে, আর তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর ওপর দুরূদ পাঠ করছি, আমি বিতাড়িত শয়তান হতে মহান আল্লাহর কাছে তাঁর সম্মানিত চেহারার এবং তাঁর অনাদি ক্ষমতার অসীলায় আশ্রয় প্রার্থনা করছি, হে আল্লাহ! আপনি আমার জন্য আপনার রহমতের দ্বারসমূহ উন্মুক্ত করে দিন।

৯. তারপর যখন কা‘বার কাছে পৌঁছবেন তখনি তালবিয়া পাঠ বন্ধ করে দিবেন। এরপর যদি তাওয়াফ শুরু করতে চান তবে হাজারে আসওয়াদ বরাবর যাবেন। হাজারে আসওয়াদের কাছে যাওয়ার পর তার দিকে ফিরবেন, সম্ভব হলে ডান হাত দিয়ে তা স্পর্শ করবেন এবং চুমু খাবেন, তবে ভীড় করে মানুষকে কষ্ট দিবেন না। হাজরে আসওয়াদ স্পর্শ করার সময়ে বলবেন,
بِسْمِ اللهِ، وَاللهُ أَكْبَرُ
(বিসমিল্লাহে ওয়াল্লাহু আকবার)
অথবা বলবেন,
اللهُ أَكْبَرُ
(আল্লাহু আকবার)
যদি হাজরে আসওয়াদ চুমু দেওয়া কষ্টকর হয় তাহলে হাত অথবা লাঠি দিয়ে স্পর্শ করার পর যে বস্তু দিয়ে স্পর্শ করেছেন তাতে চুমু খাবেন, আর যদি স্পর্শ করা কষ্টকর হয় তবে হাজারে আসওয়াদের দিকে হাত বা হাতে থাকা কিছু দিয়ে ইশারা করবেন এবং বলবেন,
اللهُ أَكْبَرُ
(আল্লাহু আকবার)

তবে এ অবস্থায় হাত অথবা যা দ্বারা ইঙ্গিত করেছেন তাতে চুমু খাবেন না।
মনে রাখবেন, তাওয়াফ শুদ্ধ হওয়ার জন্য শর্ত হলো: ছোট-বড় সর্বপ্রকার নাপাকী হতে পবিত্র থাকা; কেননা তাওয়াফ সালাতের মতো, শুধুমাত্র তাওয়াফের সময় কথা বলার অনুমতি আছে।

১০. তাওয়াফ করার সময় আল্লাহর ঘর কা‘বাকে বাম পার্শ্বে রাখবেন এবং সাত চক্কর কা‘বার চারদিকে তাওয়াফ করবেন। ইচ্ছা করলে পায়ে হেঁটে, কিংবা বাহনে চড়ে তাওয়াফ করতে পারেন। যখন রুকনে ইয়ামানীর কাছে আসবেন তখন যদি সম্ভব হয় তা ডান হাতে স্পর্শ করবেন। কিন্তু রুকনে ইয়ামানীকে চুমু খাবেন না। যদি রুকনে ইয়ামানী স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে তা ছেড়ে সামনে চলে যাবেন এবং তাওয়াফ করতে থাকবেন, কোনো প্রকার ইশারা বা তাকবীর দিবেন না; কেননা রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে তা বর্ণিত হয়নি। কিন্তু হাজারে আসওয়াদের নিকট যখনই পৌঁছবেন তখনি তা স্পর্শ করবেন এবং চুমু খাবেন এবং তাকবির বলবেন, (যেমনটি পূর্বে বর্ণিত হয়েছে), যদি স্পর্শ করা সম্ভব না হয় তবে সে দিকে ইশারা করবেন এবং তাকবীর বলবেন।
এ তাওয়াফে পুরুষদের জন্য সুন্নাত হলো এদতেবা‘ করা, অর্থাৎ গায়ের চাদরের মধ্যভাগকে ডান বোগলের নিচ দিয়ে দু’পার্শ্বকে বাম কাঁধের উপর রাখা।

তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করাও পুরুষদের জন্য সুন্নাত। রমল হলো ছোট ছোট পদক্ষেপে দ্রুত হাঁটা।
তাওয়াফকালীন সময়ে সুনির্দিষ্ট কোনো দো‘আ বা যিকির নেই, প্রত্যেক চক্করেই ইচ্ছা মতো শরী‘আতসম্মত যিকির ও দো‘আ পাঠ করা মুস্তাহাব। তবে তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করেই রুকনে ইয়ামানী ও হাজারে আসওয়াদের মধ্যবর্তী স্থানে নিম্নলিখিত দো‘আ সম্বলিত আয়াতটি পড়া সুন্নাত:
﴿رَبَّنا آتِنا فِي الدُّنْيا حَسَنَةً وَفِي الْآخِرَةِ حَسَنَةً وَقِنا عَذابَ النَّارِ﴾ [البقرة:201]
(রাব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া হাসানাতাঁও ওয়াফিল আখিরাতে হাসানাতাঁও ওয়া ক্বিনা ‘আযাবান-নার)

অর্থাৎ, হে আমাদের রব! আমাদেরকে দুনিয়ায় কল্যাণ দান করুন এবং আখেরাতেও কল্যাণ দান করুন। জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের রক্ষা করুন। [সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ২০১]
সম্ভব হলে তাকবীর সহ হাজারে আসওয়াদকে স্পর্শ করা ও চুমু দেওয়ার মাধ্যমে সপ্তম চক্কর শেষ করবেন, কিন্তু সম্ভব না হলে পূর্বের মতো শুধু ইশারা এবং তাকবীর পড়লেই যথেষ্ট।

তাওয়াফ শেষে গায়ের চাদর ভালো করে পরিধান করে নিবেন, অর্থাৎ কাঁধে এবং বুকে কাপড় দিয়ে নিবেন। ইদতেবা‘ অবস্থায় থাকবেন না। তারপর সম্ভব হলে মাকামে ইবরাহীমের পিছনে কিছুটা দূরে হলেও দু’ রাকাত সালাত পড়বেন। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তবে মসজিদের যে জায়গায় সম্ভব সেখানেই সালাত পড়বেন। প্রথম রাকাতে সূরা ফাতিহার পরে قُلْ يا أَيُّهَا الْكافِرُونَ (সূরা কাফিরূন) এবং দ্বিতীয় রাকাতে قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ (সূরা ইখলাস) পড়া উত্তম। অন্য কোনো সূরা পাঠ করলেও কোনো দোষ নেই। এ দু’রাকাত সালাতের পর যদি হাজারে আসওয়াদ চুমু দেওয়া সম্ভব হয় তবে তা করবেন।

১১. তারপর সম্ভব হলে যমযমের পানি পান করবেন। সম্ভব হলে যত ইচ্ছা তত খাবেন।

১২. তারপর সাফা পাহাড়ের দিকে যাবেন, যাওয়ার সময় আল্লাহর এ বাণী পাঠ করবেন,
﴿إِنَّ الصَّفا وَالْمَرْوَةَ مِنْ شَعائِرِ اللَّهِ﴾ [البقرة:158]
(ইন্নাচ্ছাফা ওয়াল মারওয়াতা মিন শা‘আ-ইরিল্লাহ)
অর্থাৎ, নিশ্চয় সাফা এবং মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্গত। [সূরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ১৫৮]

১৩. অতঃপর সাফা পাহাড়ের উপর আরোহণ করবেন অথবা এর নিচে দাঁড়াবেন, তবে সম্ভব হলে পাহাড়ের কিয়দংশে উঠা উত্তম। এরপর পবিত্র কা‘বাকে সামনে রেখে প্রার্থনাকারীর ন্যায় দু’ হাত উর্ধ্বে তুলে আল্লাহ তা‘আলার প্রশংসা করে তিনবার তাকবীর পড়ুন (আল্লাহু আকবার বলুন)। তিনবার করে দো‘আ করা সুন্নাত। অতঃপর তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আ পড়ুন:
«لاَ إِلهَ إِلا اللهَ وَحْدَه لا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَه الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْر لا إِلهَ إِلا الله وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَر عَبْدَه وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়া‘দাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।)

অর্থাৎ, একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবূদ নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে বিজয় দিয়েছেন এবং তিনি একাই শত্রুকে পরাজিত করেছেন।

এই দো‘আর কিয়দংশ পড়লেও কোনো দোষ নেই। তবে যেহেতু শরী‘আতে এখানে বেশি বেশি দো‘আ করার কথা বলা হয়েছে সেহেতু সকল প্রকার দো‘আই এখানে করতে পারেন।
১৪. অতঃপর সাফা হতে নেমে মারওয়ার দিকে যাবেন। যাওয়ার সময় পুরুষগণ দু’ সবুজ আলোর মধ্যবর্তী স্থানে দ্রুত চলবেন, এ দ্রুত চলাকে সা‘ঈ বলা হয়। এ সময় যদি নিম্নোক্ত দো‘আটি পড়েন তবে তা উত্তম,
رَبِّ اغْفِرْ وَارْحَمْ إِنَّكَ أَنْتَ الْأَعَزُّ الْأَكْرَمُ
“আল্লাহুম্মাগফির ওয়ারহাম, ইন্নাকা আনতাল আ‘য়ায্যুল আকরাম”
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! ক্ষমা ও দয়া করুন, নিশ্চয় আপনিই অতীব পরাক্রমশালী ও সম্মানিত।

সা‘ঈ এর আগে ও পরে স্বাভাবিকভাবে চলবেন। মহিলাগণ কোথাও দ্রুত চলবেন না; কারণ মহিলাগণ পর্দা করবেন, আর দ্রুত হাঁটার কারণে তাদের পর্দা লঙ্ঘন হয়।

১৫. এরপর যখন মারওয়া পাহাড়ের কাছে যাবেন, তখন তার উপর আরোহণ করবেন অথবা নিচে দাঁড়াবেন এবং আল্লাহর প্রশংসা জ্ঞাপন করবেন এবং সাফায় যেমনটি করেছেন এখানেও তেমনটি করবেন। অর্থাৎ, মারওয়ার উপরে উঠার পরে কা‘বা শরীফকে সামনে রেখে প্রার্থনাকারীর ন্যায় দু’ হাত উর্ধ্বে তুলে আল্লাহ্ তা‘আলা তা‘আলার প্রশংসা করে তিনবার (আল্লাহু আকবার) তাকবীর উচ্চারণ করবেন। অতঃপর তিনবার নিম্নোক্ত দো‘আ পড়বেন :
«لاَ إِلهَ إِلا اللهَ وَحْدَه لا شَرِيْكَ لَه لَهُ الْمُلْكُ وَلَه الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْر لا إِلهَ إِلا الله وَحْدَه أَنْجَزَ وَعْدَه وَنَصَر عَبْدَه وَهَزَمَ الأَحْزَابَ وَحْدَه»
(লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু, আনজাযা ওয়া‘দাহু, ওয়া নাছারা আবদাহু, ওয়া হাযামাল আহযাবা ওয়াহদাহু।)

অর্থাৎ একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো মাবুদ নেই। তাঁর কোনো শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব ও প্রশংসা তাঁরই। তিনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান। একমাত্র আল্লাহ্ ছাড়া প্রকৃত কোনো উপাস্য নেই। তিনি তাঁর ওয়াদা পূর্ণ করেছেন, তাঁর বান্দাকে বিজয় দিয়েছেন এবং তিনি একাই শত্রুকে পরাজিত করেছেন।
সাফার মতো মারওয়াও বেশি বেশি করে দো‘আ করার স্থান। সকল প্রকার দো‘আই এখানে করতে পারেন।

তবে এখানে পাহাড়ে উঠার সময় পূর্বে বর্ণিত সাফা পাহাড়ে উঠার আগের কুরআনের আয়াতটুকু পাঠ করবেন না; কেননা কুরআনের আয়াতটুকু রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করে শুধুমাত্র সাফা পাহাড়ে উঠার আগে পড়তে হয়।

১৬. তারপর মারওয়া থেকে নামবেন এবং যেখানে স্বাভাবিকভাবে হাঁটার সেখানে স্বাভাবিকভাবে হাঁটবেন, আর যেখানে দ্রুত চলার সেখানে দ্রুত চলবেন। এভাবে সাফা পাহাড়ে পৌঁছবেন। এভাবে সাতবার সা‘ঈ করবেন। সাফা থেকে মারওয়া যাওয়া এক চক্কর, আবার মারওয়া থেকে সাফা পাহাড়ে আসা আরেক চক্কর ধর্তব্য হবে।

১৭. তাওয়াফের মতো যদি কেউ কোনো কিছুর উপর উঠে সা‘ঈ করে তবে তাতেও দোষ নেই, বিশেষ করে যখন তার প্রয়োজন হবে।

১৮. তাওয়াফের মতো সা‘ঈর জন্যও কোনো নির্দিষ্ট ওয়াজিব যিকির নেই। বরং যেকোনো যিকির, দো‘আ ও কুরআন তিলাওয়াতের যা তার জন্য সহজসাধ্য হবে তা-ই পাঠ করতে পারবেন। তবে এ সকল ব্যাপারে নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে যেসব যিকির ও দো‘আ সাব্যস্ত রয়েছে, তার প্রতি লক্ষ্য রাখা মুস্তাহাব।

১৯. অনুরূপভাবে সকল প্রকার নাপাকী হতে পবিত্র হওয়াও মুস্তাহাব। তবে যদি কেউ অপবিত্র অবস্থায়ও সা‘ঈ করে তার সা‘ঈ শুদ্ধ হবে, কোনো অসুবিধা নেই।

২০. সা‘ঈ পূর্ণ করে মাথার চুল হলক করবেন (কামাবেন) অথবা ছোট করে ছেঁটে নিবেন। তবে কামানো উত্তম। যদি হজের আগে আপনি মক্কা এসে থাকেন এবং হজের বেশি দিন বাকী না থাকে তবে উত্তম হলো উমরার পর চুল ছোট করে ছাঁটা; যাতে হজের ইহরাম থেকে হালাল হওয়ার সময় হলক করতে পারেন।

খেয়াল রাখবেন, আপনার চুল কাটা বা ছাঁটা যা-ই- করেন না কেন সম্পূর্ণ মাথা থেকে হতে হবে। সামান্য কিছু কাটলে বা ছাঁটলে হবে না। এটা শুধু পুরুষদের ক্ষেত্রে ।

মহিলাগণ তাদের চুল একত্র করে চুলের অগ্রভাগ থেকে এক আঙুলের অগ্রভাগ পরিমাণ কাটবেন। এভাবে আপনার উমরা পূর্ণ হয়ে যাবে এবং ইহরামের কারণে ইতোপূর্বে যা হারাম ছিল, এক্ষণে তা হালাল হয়ে যাবে।

ডিসেম্বরে ছুটিতে আপনি সাস্রয়ী খরচে ওমরা করে আসতে পারেন। আমরা আপনাদেরকে দিচ্ছি কম খরচে সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা। যোগাযোগে ...
28/11/2022

ডিসেম্বরে ছুটিতে আপনি সাস্রয়ী খরচে ওমরা করে আসতে পারেন।
আমরা আপনাদেরকে দিচ্ছি কম খরচে সর্বোচ্চ সেবার নিশ্চয়তা। যোগাযোগে whartsapp : 01748116167

Hello Everyone! How are you
10/11/2022

Hello Everyone! How are you

ওমরাহ এবং সকল ধরনের এয়ার টিকিটের জন্য যোগাযোগ করুন। ০১৭৪৮১১৬১৬৭
09/11/2022

ওমরাহ এবং সকল ধরনের এয়ার টিকিটের জন্য যোগাযোগ করুন।
০১৭৪৮১১৬১৬৭

21/09/2022

#সতর্কীকরন_পোস্ট
ঘটনা_১ঃ গত ডিসেম্বর মাসে আমরা চারজন কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলাম,উঠেছিলাম সুগন্ধা পয়েন্টের এক হোটেলে।সেখানে পৌছে সকালে সমুদ্রে ঝাপাঝাপি করে বিকেলের দিকে ইনানি যাওয়ার জন্য একটা অটো ঠিক করি।যাওয়ার পথে সব ই ঠিকঠাক ছিলো।সমস্যা শুরু হয় আসার পথে।এসব জায়গায় অটো বা সিএনজি চালকরা খুব সুবিধার হয়না এই ধারনা আমার আগেই ছিলো।সন্ধ্যার সূর্যাস্ত দেখার পর ফেরার পথে অটো চালকের বারংবার কল আসছিলো ফোনে।আমার সাথে সাথে সন্দেহ হয় সামনে কোনো বিপদ আছে।যাই হোক হিমছড়ি অবদি যে আমরা সেইফ সেটাও মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম কারন এখানেই চেকপোস্ট শেষ।একটু পর খেয়াল করলাম অটো চালক এক হাত দিয়ে অটো চালাচ্ছে আর এক হাত দিয়ে ফোনে ম্যাসেজ করছে।বুঝে ফেললাম আমাদের লোকেশন কাউকে অবগত করছে।আমি কোনো রিস্ক না নিয়ে অটো চালককে কিছু বুঝতে না দিয়ে হিমছরির পরে ছোটখাটো একটা বাজারে অটো থামিয়ে ভাড়া দিয়ে তাকে বিদায় করে দিই।স্পষ্ট তার চোখে মুখে ভয় ছিলো।সাথে মেয়ে থাকায় অচেনা জায়গায় ঝামেলা বাড়ায়নি।
ঘটনা_২ঃ
এবারের ঘটনা ও সেইম!সেইম প্যাটার্ন এই অটো চালকদের।এবার আমরা ছয়জন ছিলাম এবং সবাই ছেলে!তারপরেও এরা এত সাহস কিভাবে পায় বুঝলাম না।এবার ও সেইম ভাবে ফেরার পথে কল আসলো,চালক ম্যাসেজিং করলো!হিমছড়ি পার হয়ে চালক অটো অনেকটাই ধীরে চালানো শুরু করে।কি হয়েছে জিজ্ঞেস করলে সে জানায় অটোতে চার্জ প্রায় শেষ।এটা বলার সাথে সাথে আমি বুঝি সামনেই তাহলে অটো থামিয়ে দিবে চার্জের দোহায় দিয়ে।এবার অনেকটা ফাকা রাস্তাতেই পরে গেছিলাম এই সিচুয়েশনে।তারপরেও আমি অটো থামাতে বলি,সাথে সাথে রাস্তা ক্রস করে ২ টা গাড়ি থামিয়ে দিই যে আমরা একটু প্রব্লেমে পড়েছি।এরপর অটোচালককে কিছু টাকা কম দিয়ে বিদায় করে সব ঘটনা গাড়িচালকদের খুলে বলি।তারা জানালো এখানে প্রায় ই এমন হয়।পাহাড়ের মানুষের সাথে এদের কন্টাক্ট আছে।পাহাড় থেকে নেমে ছিনতাই করে আবার চলে যায়!
যা বুঝলাম এরা আমাদের নামিয়ে দিয়ে নিজেদের গ্রুপ্রের লোকদের সব জানিয়ে রাখে এবং জায়গামতো আসলে ছিনতাই করে।
সবাইকে অনুরোধ করবো কক্সবাজার গেলে ইনানি-কলাতলি রোড টা দিনে দিনে ঘুরে আসবেন।না পারলে অটো-সিএনজি পরিহার করে চান্দের গাড়ি ইউজ করবেন।
ধন্যবাদ।

লেখা: ওবায়দুর রহমান
#সংগৃহীত #কালেক্টেড

20/09/2022
28/08/2022
১ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে  ফ্লাইট চালু করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ১১.১০ টায় চট্টগ্র...
21/08/2022

১ সেপ্টেম্বর থেকে চট্টগ্রাম-কলকাতা রুটে ফ্লাইট চালু করবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ১১.১০ টায় চট্টগ্রাম ত্যাগ করে স্থানীয় সময় দুপুর ১১.৪০ টায় কলকাতায় পৌঁছবে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট। কলকাতা থেকে স্থানীয় সময় দুপুর ১২.৪০ টায় ফিরতি ফ্লাইটটি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে কলকাতা ত্যাগ করবে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে ট্রলি নিয়ে বিমানবন্দরের উত্তর পাশের বহুতল( ৩ তলা) পার্কিং ভবনে প্র...
17/08/2022

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল থেকে ট্রলি নিয়ে বিমানবন্দরের উত্তর পাশের বহুতল( ৩ তলা) পার্কিং ভবনে প্রবেশ করা যায়।

ফলে আপনাকে রিসিভ করতে আসা গাড়ি টার্মিনালের সামনে খোলা আকাশের নিচে পার্কিং না করে বহুতল কার পার্কিং ভবনে রাখতে বলুন আপনার স্বজনদের। আপনার সঙ্গে ভারি লাগেজ থাকলে ট্রলিতে নিয়ে ২ নাম্বার গেট দিয়ে বের হয়ে সহজে বহুতল কার পার্কিং ভবনে যেতে পারবেন।

টার্মিনাল থেকে বের হবার সময় বহুতল কার পার্কিং ভবনের যাবার এমন নির্দেশনা অনুসরণ করুন।

লাগেজ সংক্রান্ত বিষয়ে এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগের হট লাইন নাম্বার...
12/08/2022

লাগেজ সংক্রান্ত বিষয়ে এয়ারলাইন্সের সাথে যোগাযোগের হট লাইন নাম্বার...

12/08/2022

ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেস স্থাপনের অনুমতি পাচ্ছে না ফ্লাইটের অপেক্ষায় থাকা বেসরকারি এয়ারলাইনস এয়ার অ্যাস্ট্রা। বিকল্প হিসেবে সিলেট থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করার পরিকল্পনা নিয়েছে তারা। এ নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তুতিও শুরু করেছে এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বলছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালের নির্মাণ কাজ চলমান থাকায় এই মুহূর্তে এই বিমানবন্দরে নতুন করে কোনো এয়ারলাইনসকে জায়গা দেয়ার সুযোগ নেই। টার্মিনালের নির্মাণ কাজ শেষ হলে এ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে।

এদিকে এয়ার অ্যাস্ট্রা বলছে, আগামী সেপ্টেম্বরের প্রথমার্ধে তাদের প্রথম উড়োজাহাজটি দেশে পৌঁছাতে পারে। এটিআর সেভেনটি টু মডেলের এই উড়োজাহাজটি বেবিচকের এয়ারওর্দিনেস সার্টিফিকেট (এওসি) পাওয়ার পর এটি দিয়েই যাত্রা শুরু করবে এয়ারলাইনসটি।

এয়ার অ্যাস্ট্রার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ বলেন, ‘বেবিচক আমাদের বলেছে, এই মুহূর্তে শাহজালালে ওভারনাইট পার্কিংয়ের সুযোগ নেই। আমাদের অন্য কোনো বিমানবন্দরে রাতে পার্কিং করতে বলেছে। আমরা সে অনুযায়ী সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও চট্টগ্রামের শাহ আমানত বিমানবন্দরে রাতে পার্কিংয়ের সব ব্যবস্থা করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমরা অপারেশন শুরুর পর সকালে সিলেট বা চট্টগ্রাম থেকে ফ্লাইট ঢাকায় নিয়ে আসব এবং সারাদিন এখান থেকে অপারেট করে রাতে আবার সিলেট বা চট্টগ্রামে ফ্লাইট নিয়ে গিয়ে সেখানে রাত্রিকালীন পার্কিং করব।’

08/08/2022
Thailand Visa done❤️❤️
08/08/2022

Thailand Visa done❤️❤️

04/08/2022

প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের যাত্রীদের সৌদি আরবের জেদ্দা নিয়ে যাবে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী উড়োজাহাজ থাই এয়ারওয়েজ...

03/08/2022

আলহামদুলিল্লাহ দীর্ঘ আড়াই বছর পরে কাবাঘর স্পর্শ করার সুযোগ হচ্ছে
প্রেসিডেন্ট শেখ সুদাইস কাবার চারপাশের বেরিকেট অপসারণ এবং হজ্ব, ওমরাহকারী ও দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন

01/04/2022

আপনি কোন দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে গেছেন এমন একটি ছবি কমেন্ট করুন।

03/02/2022

কতটুকু অশ্রু গড়ালে
হৃদয় জলে সিক্ত
কত প্রদিপ শিখা জালালেই
জীবন আলোয় উদ্দিপ্ত
কত ব্যাথা বুকে চাপালেই
তাকে বলি আমি ধৈর্য
নির্মমতা কতদুর হলেই
জাতী হবে নির্লজ্জ
আমি চিতকার করে কাদিতে চাহিয়া করিতে পারিনি চিতকার
বুকের ব্যাথা বুকে চাপায়ে
নিজেকে দিয়েছি দিক্কার।

27/05/2021

আপনার কাছে ২ মিনিট সময় হবে কি?
মৃত্যু নিকটবর্তী হওয়ার ৬ টি লক্ষন।
মৃতের ৬ টি ধাপ রয়েছে :

প্রথম ধাপের নাম ইয়াউমুল মাউত!
এই দিনেই মানুষের জীবনের সমাপ্তি ঘটবে,হায়াত ফুরিয়ে যাবে। আল্লাহ ফেরেশতাদের নির্দেশ দিবেন জমিনে গিয়ে রুহু কবজ করে নিয়ে আসতে। দুঃখজনক হলেও সত্য, কেউ এই দিন সম্পর্কে জানেনা। এমনকি যখন এইদিন চলে আসবে সেইদিন ও সে জানবে না আজ তার মৃত্যুর দিন। মৃত্যুর বিষয়টি উপলব্ধি না করা সত্বেও দেহে কিছু পরিবতর্ন অনুভব করবে। মুমিনের অন্তরে প্রশান্তি অনুভব হবে আর পাপিষ্ঠ বুকে খুব চাপ অনুভব করবে। এই স্তরে শয়তান এবং দুষ্ট জীন ফেরেশতাদের নামতে দেখবে। কিন্তু মানুষ তাদের দেখবেনা। এই পদক্ষেপটি কোরআনে বর্ণিত হয়েছে
﴿وَاتَّقُوا يَوْمًا تُرْجَعُونَ فِيهِ إِلَى اللَّهِ ۖ ثُمَّ تُوَفَّىٰ كُلُّ نَفْسٍ مَّا كَسَبَتْ..﴾۱).
তোমরা সেই দিনকে ভয় কর যেদিন তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে আল্লাহর কাছে। অতঃপর প্রতিটি নফসকে পরিপূর্ণভাবে বুঝিয়ে দেওয়া হবে তার কর্মফল। (সূরা বাক্বারা)

এরপর আসবে দ্বিতীয় ধাপ!
এটা হচ্ছে ধীরেধীরে রুহু কবজ করার পালা। এই ধাপে রুহ পায়ের পাতা থেকে আরোহণ শুরু করে গোছা, হাটু,পেট,নাভি ও বুকের উপর হয়ে মানব দেহের "তারাক্বী" নামক স্থানে পৌছে যায়। এই সময় মানুষ ক্লান্তি ও অস্থিরতা অনুভব করেন। এবং একধরণের অসহনীয় চাপ অনুভব করেন। তখনও তিনি জানতে পারেন না যে তার রুহু বের হয়ে যাচ্ছে।

তারপর শুরু হয় তৃতীয় ধাপ!
এই ধাপের নাম " তারাক্বী " কোরআনে এই স্তরের কথা বর্ণনা করা হয়েছে এভাবে ;
﴿كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ (26) وَقِيلَ مَنْ رَاقٍ (27) وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ (28) وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ (
﴾ (سورة القیامة)
‘কখনও না, যখন প্রান কণ্ঠাগত হবে। এবং বলা হবে, কে ঝাড়বে। এবং সে মনে করবে যে, বিদায়ের ক্ষন এসে গেছে’।পায়ের গোছা অন্য গোছার সাথে জড়িয়ে যাবে।(সূরা কিয়ামাহ)

তারাক্বী বলা হয় কণ্ঠনালিরর নিচে ২ কাধ পর্যন্ত বিস্তৃত হাড়কে। "কে ঝাড়বে" অর্থাৎ আত্মিয়-স্বজনদের কেউ কেউ বলবে : ডাক্তার ডাকি, অন্যজন বলবে ইমারজেন্সিতে কল করি, আবার কেউ বলবে কোরআন পড়ে ফু দেই। এই পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ জীবনে ফিরে আসার আশা করতে থাকবে । সে বিশ্বাসই করতে চাবেনা যে রুহু তার দেহ ত্যাগ করছে!! (وَظَنَّ أَنَّهُ الْفِرَاقُ সে মনে করবে,বিদায়ের ক্ষন এসে গেছে) অর্থাৎ সে এখনো মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত নয়।সে বাচার চেষ্টা করতে থাকে। কিন্তু আল্লাহ তা'লা বলেন :(وَالْتَفَّتِ السَّاقُ بِالسَّاقِ) পায়ের গোছা অন্য গোছার সাথে জড়িয়ে যাবে)
অর্থাৎ মৃত্যুর বিষয় এখন চূড়ান্ত। রুহু গোছাদ্বয় থেকে বেরিয়ে গেছে।সে আর পা নাড়াতে পারবেনা।এবং রুহু দেহ থেকে বের হয়ে তারাক্বীতে পৌছে গেছে।
("كَلَّا إِذَا بَلَغَتِ التَّرَاقِيَ")
‘কখনও না, যখন প্রান কণ্ঠাগত হবে!

অতঃপর আসবে চতুর্থ ধাপ।
এই ধাপের নাম হুলক্বুউম :
মৃত্যুর এটাই শেষ স্তর এবং মানুষের জন্য চূড়ান্ত পর্যায়ের কঠিন স্তর। এই সময় তার চোখেরপর্দা সরিয়ে দেওয়া হবে।এবং সে চারপাশে উপস্থিত ফেরেশতাদের দেখতে পাবে। এখান থেকেই আখেরাত দর্শনের স্তর শুরু হবে।
فَكَشَفْنَا عَنكَ غِطَاءَكَ فَبَصَرُكَ الْيَوْمَ حَدِيدٌ ﴾ ( سورة - ق)
আমি তোমার সামনে থেকে পরদা সরিয়ে দিয়েছি, এখন তোমার দৃষ্টি প্রখর। (সূরা ক্বফ)
এই স্তরকে হুলক্বুউম নামকরণ করা হয়েছে আল্লাহর কালামের কারনে :
{ فَلَوْلَا إِذَا بَلَغَتْ الْحُلْقُوم (83) وَأَنْتُمْ حِينَئِذٍ تَنْظُرُونَ (84) وَنَحْنُ أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ }
প্রান যখন কণ্ঠাগত হয় তখন তোমরা তাকিয়ে থাক। আর আমি তোমাদের চেয়ে তার নিকটতর। কিন্তু তোমরা তা দেখতে পাওনা।(সূরা ওয়াকিয়াহ)
ُ আল্লাহ তার চতুর্পাশে উপস্থিত ব্যক্তিদের সম্বোধন করে বলছেন ; তোমরা যেখানে আছো সেও সেখানেই আছে ।সে যা দেখতে পাচ্ছে তোমরা তা দেখতে পাচ্ছ না। হয়তো সে আল্লাহ তাআলার রহমত দেখছে অথবা মাআ'যাল্লাহু আল্লাহর আজাব এবং গজব দেখছে যদি সে পাপী হয়। এজন্যই আপনারা তাকে দেখবেন নির্দিষ্ট একটি জায়গা এবং এক বিন্দুতে একদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে।
وَنَحْن أَقْرَبُ إِلَيْهِ مِنْكُمْ وَلَكِنْ لَا تُبْصِرُونَ
অর্থাৎ আমি তোমাদের অপেক্ষা তার অধিক নিকটতর কিন্তু তোমরা তা দেখতে পাও না । মানুষের রুহ কবজ এর সময়টা জীবনের সবচেয়ে কঠিন মুহূর্ত। কেননা তখন সে আল্লাহর সকল প্রতিশ্রুতি ও ভীতি দেখতে পায়। ফেরেশতাদের দেখতে পায়। জীবনে যত আমল করেছে তা চোখের সামনে ভাসতে থাকে। আর এই অবস্থায় মৃত্যুর ফেতনা ঘটে যায়। শয়তান এই ফেতনায় প্রবেশ করে এবং আকিদায় সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে। আল্লাহর ব্যাপারে ,নবীর ব্যাপারে ,দ্বীনের ব্যাপারে ও কোরআনের ব্যাপারে সন্দেহ সৃষ্টি করতে থাকে তার অন্তরে। এবং সে তার সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করতে থাকে যেন সে কাফের হয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেয়। এইসময় শয়তান নিশ্চিত যে এটা এই মানুষটির শেষ মুহূর্ত এবং মালাকুল মাউত তার নিকটবর্তী ।এইজন্য সে তার অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী চূড়ান্ত আঘাত হানতে থাকে। এজন্যই কোরআন আমাদের মৃত্যুর ফেতনা থেকে আল্লাহর আশ্রয় নিতে বলছে :
﴿وَقُلْ رَبِّ أَعُوذُ بِكَ مِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ(۹۷) وَأَعُوذُ بِكَ رَبِّ أَنْ يَحْضُرُونِ﴾ (سورة المؤمنون).
আপনি বলুন ;হে আমার রব! আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি শয়তানের প্ররোচনা থেকে। এবং আমি আপনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি তাদের উপস্থিতি থেকে। (সূরা মুমিনুন)

তুমি যদি ইসলাম অনুযায়ী তোমার জীবন পরিচালিত করো এবং তোমার অন্তরে আল্লাহ তার রাসুল এর ভালোবাসা থাকে তাহলে তুমি এই অবস্থায় দুনিয়া থেকে বের হবে। মৃত্যুর শেষ মুহূর্ত যখন চলে আসবে তখন শয়তান তার কোন একজন নিকটাত্মীয়ের আকৃতিতে উপস্থিত হবে যিনি আগেই মারা গেছেন। সে উচ্চকণ্ঠে চিৎকার করে বলবে ; আমি তোমার পূর্বে মারা গিয়েছি । ইসলাম সত্য ধর্ম নয় এবং নবী সত্য দ্বীন নিয়ে আসেননি। এবং অবশ্যই তোমাকে বলবে; তুমি সবকিছু অস্বীকার করো।
এই পরিস্থিতির চিত্র আল্লাহ কোরআনে বর্ণনা করেন;
﴿كَمَثَلِ الشَّيْطَانِ إِذْ قَالَ لِلْإِنسَانِ اكْفُرْ فَلَمَّا كَفَرَ قَالَ إِنِّي بَرِيءٌ مِّنكَ إِنِّي أَخَافُ اللَّهَ رَبَّ الْعَالَمِينَ﴾ ١٦).
তাদের তুলনা হচ্ছে শয়তান যখন সে মানুষকে বলবে তুমি কুফরি করো ।যখন মানুষ কুফরি করবে তখন শয়তান বলবে ; তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নাই ।আমি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি।(সূরা হাশর)

এরপর পঞ্চম ধাপ শুরু হবে !
যেখানে আজরাইল আলাইহিস সালাম প্রবেশ করবে। এই স্তরে মানুষ পরিপূর্ণভাবে বুঝতে পারবে সেকি জান্নাতি না জাহান্নামী। সে তার আমলের ফলাফল দেখবে এবং তার পরিণতি সম্পর্কে জানতে পারবে রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এই স্তর নিয়ে বিস্তারিত বলেছেন। বিশেষভাবে যারা বিভিন্ন গুনাহে লিপ্ত ছিল এবং তাওবা না করেই পাহাড় সমূহ পাপ নিয়ে আল্লাহর সাথে মিলিত হয়েছে। আল্লাহ তা'আলা বলেন;:﴿وَالنَّازِعَاتِ غَرْقًا﴾ (
শপথ সেই ফেরেশতাদের যারা নির্মমভাবে(রুহ) টেনে বের করে।(সূরা নাযিয়াত)
জাহান্নামে একদল ফেরেশতা থাকবে যারা আগুনের কাফন প্রস্তুত করে এবং খুব নির্দয়ভাবে পাপী ব্যক্তির রুহ কবজ করে। আরেকটি আয়াতে এই কঠিন পরিস্থিতির চিত্র বর্ণিত হয়েছে ;
﴿فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ الْمَلَائِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَارَهُمْ﴾
ফেরেশতারা যখন তাদের মুখমন্ডল এবং পৃষ্ঠদেশে আঘাত করতে করতে তাদের প্রাণ হরণ করবে তখন তাদের কী দশা হবে???(সূরা মোহাম্মদ)

এই ধাপের পর শুরু হবে ষষ্ঠ ধাপ!
এই ধাপে মানুষের রুহ প্রস্তুত হয়ে তারাক্বীর উপর সম্ভাব্য সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে যাবে। এবং রুহ বের হওয়ার জন্য এবং আজরাইল আলাইহিস সালাম এর নিকট আত্মসমর্পণের জন্য নাকে মুখে অবস্থান করবে। বান্দা যদি পাপীষ্ঠ হয় তখন আজরাইল তাকে বলবে;হে নিকৃষ্ট আত্মা! তুই আগুন ও জাহান্নামের এবং ক্রোধান্বিত ও পপ্রতিশোধপরায়ন রবের উদ্দেশ্যে বের হয়ে আস। তখন তার আভ্যন্তরীণ চেহারা কালো হয়ে যাবে। এবং চিৎকার করে বলবে ;
﴿رَبِّ ارْجِعُونِ. لَعَلِّي أَعْمَلُ صَالِحًا فِيمَا تَرَكْتُ ۚ﴾
হে আমার রব! আমাকে পুনরায় পাঠান যাতে আমি সৎকাজ করি যা আমি পূর্বে করিনি। (সূরা মুমিনুন)
কারন আমি নেককাজ করতে পারিনি।তখন সে শুনতে পাবে;
﴿كَلَّا ۚ إِنَّهَا كَلِمَةٌ هُوَ قَائِلُهَا ۖ وَمِن وَرَائِهِم بَرْزَخٌ إِلَىٰ يَوْمِ يُبْعَثُونَ﴾
না এটা হতে পারেনা। এটা তো তার একটি উক্তিমাত্র। তাদের সামনে বারযাখ থাকবে পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত। (সূরা মুমিনুন)
আল্লাহ তা'লা আরও বলেন;
وَجَاءَتْ سَكْرَةُ الْمَوْتِ بِالْحَقِّ ذَلِكَ مَا كُنْتَ مِنْهُ تَحِيدُ
মৃত্যুযন্ত্রণা অবশ্যই আসবে, যা থেকে তুমি পালাচ্ছিলে।(সুরা ক্বফ)
﴿قُلْ إِنَّ الْمَوْتَ الَّذِي تَفِرُّونَ مِنْهُ فَإِنَّهُ مُلَاقِيكُمْ﴾
আপনি বলুন; যেই মৃত্যু থেকে তোমরা পালায়ন কর সেই মৃত্যুর সাথে তোমাদের সাক্ষাত হবেই। (সূরা জুমআ'হ)
শেষ কথা
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞাসা করা হল ;আমরা কেন মৃত্যুকে ভয় পাই?
তিনি উত্তর দিলেন: কারণ তোমরা দুনিয়াকে আবাদ করেছ আর আখেরাতকে বরবাদ করেছ।
যে মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করবে সে আখেরাতের জন্য বেশি প্রস্তুত থাকবে।
فاكثروا من ذكر هادم اللذات
তোমরা সকল স্বাদ কর্তনকারী মৃত্যুকে বেশি বেশি স্মরণ করো।

যিনি লেখাগুলো লিখেছেন আল্লাহ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন..

05/03/2021

১। নরম মানেই নিরাপদ নয়। কতো নরম শামুকের মুখ, কিন্তু তার আছে ২৫ হাজার দাঁত

২। গতি দিয়েই বীর হওয়া যায় না। একটি নোংরা মাছিও মিনিটে ৮ কিলোমিটার উড়তে পারে

৩। দু’ একটি বিশেষত্বই কাউকে মহান করে না। মানুষের চেয়ে
২৮,০০০ গুণ অধিক ঘ্রাণশক্তি থাকা সত্তেও কুকুর কুকুর হয়ে আছে

৪। কেবল সংখ্যাধিক্য দিয়েই ক্ষমতা লাভ হয় না। পৃথিবীর প্রাণীদের মধ্যে ৮০ ভাগই পোকামাকড়

৫। কোনো কারণে যাকে তুচ্ছ ভাবা হচ্ছে, ভিন্ন কারণে সে হয়তো মূল্যবান। ১৫০টি বাদুড় বছরে যে পরিমাণ ক্ষতিকর পোকা খেয়ে ফেলে, তাতে অন্তত ১ বিলিয়ন ডলারের ফসল রক্ষা পায়

৬। উটপাখিদের থেকে শেখার আছে। সংসারের সামান্য কাজকেও তারা একার উপর চাপিয়ে দেয় না। নিজেদের ডিমে তা দিতেও করে ভাগাভাগি। দিনের বেলায় স্ত্রী উটপাখি ডিমে তা দেয়, রাতের বেলায় দেয় পুরুষ উটপাখি

৭। সৃষ্টিকর্তা যাকে যেভাবে সাজিয়েছেন, তাতে খুশি না থাকলে পিঁপড়াদের দিকে তাকাও! পৃথিবীতে পিঁপড়া আছে প্রায় ১০ কোয়াড্রিলিয়ন এর মত। [১ কোয়াড্রিলিয়ন = ১০,০০,০০০ বিলিয়ন] তারা আকারে আরেকটু বড় হলে পৃথিবী পিঁপড়াদের দখলে চলে যেতো

৮। লাফ দিতে হয় এগিয়ে যাবার জন্য, মাথা দেখানোর জন্য নয়। লাফ দিয়ে ব্যাঙ নিজের থেকে ২০ গুণ উচ্চতা অবধি উঠতে পারে। কিন্তু সে যতই উপরে উঠতে চায়, ততই কমে যায় সামনে যাবার শক্তি

৯। অতিমাত্রায় যৌনতার চর্চা গর্বের হলে গর্ব করার বেশি অধিকার ইঁদুরের। ইঁদুরজগতে প্রজনন এতো বেশি যে, মাত্র ১৮ মাসে একজোড়া ইঁদুর থেকে ১০ লাখের বেশি স্বজন তৈরি হতে পারে

১০। সৌন্দর্য দেখেই মজে যেতে নেই। জেলিফিশ দেখতে খুবই সুন্দর। কিন্তু তার বিষাক্ত শুঁড় ৩৬ মিটার পর্যন্ত লম্বা হতে পারে

১১। শক্তির ব্যবহারে হিসেবী হতে হয়। বিষের অপচয়ের ভয়ে এনাকোন্ডা সাপ কামড়ের বদলে শিকারকে চেপে শ্বাসরুদ্ধ করে সময় নিয়ে মারে

১২। অন্যকে কষ্ট দিয়ে বেশিদিন টিকে থাকা যায় না। বাড়িতে ভনভন করা মাছি বেঁচে থাকে দুই থেকে তিন সপ্তাহ

১৩। দুর্বলের সঙ্গে দুর্বলের ঐক্য থেকে জন্ম নিতে পারে নতুন শক্তি। দুর্বল চুলের সঙ্গে চুল একত্রিত হয়ে জন্ম নিয়েছে গণ্ডারের মাথার সামনের দিকে থাকা অত্যন্ত শক্তিশালী শিং। এতে না আছে কোনো হাড়, না অন্য কোনো পদার্থ

১৪। যারা বিপজ্জনক, তাদের দেখার শক্তিই আলাদা। চোখ বন্ধ করলেও সাপ দেখতে পায়

১৫। প্রয়োজন যেখানে যেমন, প্রাকৃতিকভাবে যোগ্যতার সরবরাহ সেখানে অনুরূপ। হাতির প্রবলভাবে চাই পানি। অতএব পানি প্রায় ১২ মাইল দূরে থাকলেও হাতি তা বুঝতে পারে

১৬। বাহ্যিক দৃশ্য দেখেই কিছু একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়া ভুল। হাতিরা পরস্পরে শুড় নাড়াচাড়া করছে দেখে অনেকেই ভাবে ঝগড়া হতে যাচ্ছে। আসলে তারা দেখা হলে শুড় দিয়ে একে অপরকে শুভেচ্ছা জানায়

১৭। পরিবেশের কাছে হেরে গেলে চলে না, তাকে নিজের অনুকূলে ব্যবহারের পথ করে নিতে হয়। ব্যাঙ পানিতে থাকে, কিন্তু পানি পান করে না। শরীরে যে পরিমাণ পানি প্রয়োজন তা ত্বকের সাহায্যে শুষে নেয়

১৮। তোমার কিছু একটা নেই। সেজন্য থেমে যেয়ো না। যা নেই, এর বিকল্প সামনে আসবেই। পিঁপড়ার কান নেই। শোনার জন্য এরা ভূমির কম্পাঙ্ক ব্যবহার করে

১৯। আরো চাই আরো চাই ভালো না। খাদ্য পেটে থাকলে কিং কোবরার মতো সাপ শক্তি ও সুযোগ থাকার পরেও প্রায়ই এক মাস পর্যন্ত শিকার করে না

২০। নিয়মিত নিজেকে নবায়ন করা ভালো। কিন্তু যা কিছু পুরাতন, তাও পরিহারের নয়। ব্যাঙ প্রায় প্রতি ১ সপ্তাহ পরে নিজের গায়ের চামড়া বদলায়। নতুন চামড়া গজালে পুরনো চামড়া নষ্ট হতে দেয় না, সাধারণত খেয়ে ফেলে

২১। অদম্য ইচ্ছা ও প্রয়াস অসম্ভব থেকে ‘অ’কে সরিয়ে দেয়। থাকে শুধু সম্ভব। সকল প্রাণী কমবেশি ঘুমালেও পিঁপড়া একদমই ঘুমায় না! কাজের নেশা কেড়ে নিয়েছে তার ঘুমের আয়োজন

২২। শামুক হার মেনেছে ঘুমের নেশার কাছে। একটানা তিন বছর ঘুমাতে পারে সে। শামুকের জীবন আছে, কিন্তু বলার মতো তেমন কাজ নেই জীবনে

২৩। একেবারে নিদ্রাত্যাগ মানুষের কাজ নয়। নিদ্রা চাই, কিন্তু যতটা আবশ্যক, ততটা। হরিণের প্রতি লক্ষ্য করুন। প্রতিদিন মাত্র ৫ মিনিটের মতো ঘুমালেই তার চলে

২৪। সৃষ্টি হচ্ছে বিধাতার শিল্পকর্ম। কোনোকিছুতেই একঘেয়েমি নেই, আছে বৈচিত্র্য। ধরুন, কানের অবস্থান। ফড়িং এর কান রাখা হয়েছে তার হাঁটুতে

২৫। চালাক লোকেরা তৃতীয় চোখের বাহাদুরি করে। তাদের জানা উচিত প্রজাপতির চোখের সংখ্যা ১২ হাজার

২৬। স্বাদ আস্বাদনের জন্য যারা জীবনযাপন করে, তারা কি জানে, প্রজাপতি স্বাদ আস্বাদন করে তার পা দিয়ে?

২৭। নিজের কদমকে মজবুত করো। বাঘ মরে যাওয়ার পরেও আপন পায়ের উপর খাড়া থাকতে পারে

২৮। শক্তি দেখিয়ে বেড়ানোর জিনিস নয়। একমাত্র শিকারের মুহূর্ত ছাড়া বাঘ সবসময় নিজের নখরকে গুটিয়ে রাখে

২৯। জোর দিয়েই সব করা যায় না। শক্তি হিসেবে কৌশল সবচেয়ে উপাদেয় । শিকারের প্রয়োজনে বাঘকে কুকুর, বিড়াল, হরিণ কিংবা বানরের ডাক নকল করে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে হয়

৩০। ক্ষুদ্র লক্ষ্য জীবনের অপচয় ডেকে আনে। পুরুষ মাছি তার ১৪ দিনের জীবন কাটিয়ে দেয় স্ত্রী মাছির মনোরঞ্জনে, যেখানে সে প্রায়ই ব্যর্থ হয়

৩১। কাজ যতোই করা হবে, বাড়তে থাকবে কর্মশক্তি। ‘কাজের লোক’ পিঁপড়া নিজের ওজনের প্রায় ১০ গুণ ভারি জিনিস বহন করতে পারে, যা পারে না অন্য কোনো প্রাণী

৩২। জিরাফের ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করে সিংহ যখন তার উপর হামলে পড়ে, জিরাফ তখন হিংস্র হয়ে উঠে। তখন তার একটি শক্ত লাথিতে নিমেষেই মারা যেতে পারে একটি সিংহ

৩৩। অন্ধকারে দেখার ক্ষমতা বাঘের বাঘ হওয়ার অন্যতম কারণ। অন্ধকারে মানুষের চেয়ে ছয়গুণ বেশি দেখতে পারে বাঘ

৩৪। পরস্পরের শক্তি দিয়ে পরস্পরের দুর্বলতা ঢেকে দেয়াই বন্ধুত্ব। উটপাখি ও জেব্রা ভালো বন্ধু। শিকারী থেকে বাঁচার জন্য উটপাখির দৃষ্টিশক্তি জেব্রাকে সহায়তা করে, কারণ দৃষ্টিশক্তিতে জেব্রা দুর্বল। জেব্রার ঘ্রাণ ও শ্রবণশক্তি উটপাখিকে সহায়তা করে। কারণ ঘ্রাণ ও শ্রবণের শক্তিতে উটপাখি দুর্বল

৩৫। যেখানে যে প্রথা, তাকে সমীহ করতে হয়। বাঘেরা লেজ নাড়াচাড়া করে পরস্পরে ভালোবাসা বিনিময় করে

৩৬। মর্যাদায় বড় হতে হলে মনেও বড় হতে হয়। একটি বাঘের শিকার করা খাবারে শেয়াল, হায়েনা ও শকুনেরা ভাগ বসায়। বাঘের এতে আপত্তি থাকে না

৩৭। একটি তেলাপোকা তার মাথা ছাড়া নয়দিন পর্যন্ত বাঁচতে পারে। কিন্তু কিছু মানুষ মাথা ছাড়া কাটিয়ে দেয় পুরো জীবন

৩৮। লক্ষ্য ও পরিকল্পনাহীন ঘুম জীবনকে নিরর্থক করে, লক্ষ্য ও পরিকল্পনাহীন জাগরণ জীবনকে করে হত্যা। সিডকা পোকা একটানা ১৭ বছর মাটির নিচে ঘুমায়। তারপর মাটি থেকে বেরিয়ে এসে চিৎকার করতে করতে তিনদিনের মাথায় মারা যায়

৩৯। অধিক উৎপাদন অধিক মান নিশ্চিত করে না। টিকটিকি একসঙ্গে ডিম পাড়ে ত্রিশটি। প্রাণীদের মধ্যে সে অনুল্লেখ্য প্রায়। কিন্তু উটপাখি ডিম দেয় একটি, পাখিদের রাজা হয়ে সে টিকে আছে ১২০ মিলিয়ন বছর ধরে

৪০। বর্ষায় শুধু পুরুষ ব্যাঙ চিৎকার করে বলে পুরুষদের প্রতি বিরক্ত হয়ো না। মানুষকে কখনো পুরুষ মশা কামড়ায় না। মানুষের রক্তচোষা মশাটি হয় নারী। নারী-পুরুষের কেউ একাই দোষে নেই

৪১। শুধু গর্জনেই বাঘ হওয়া যায় না। পরিকল্পনা করে বাঘ যখন শিকারকে ফাঁদে ফেলে দেয়, তারপর দেয় গর্জন। বাঘের গর্জনেই অধিকাংশ শিকার হতবুদ্ধি কিংবা প্যারালাইজড হয়ে যায়

৪২। কিছু সিংহ নিজেকে হারিয়ে ফেলে। যখন আক্রান্ত হয়, নিজেকে খুঁজে পায়, আবারো সিংহ হয়ে যায়

৪৩। জন্মের পর বাচ্ছা বাঘ অন্ধ থাকে একসপ্তাহ, সিংহ থাকে দুই সপ্তাহ। বাঘ ও সিংহের জীবনযাপনে তাদেরকে প্রথমেই যা অর্জন করতে হয়, সেটা হচ্ছে প্রখর দৃষ্টিশক্তি

৪৪। যে কাজের নয়, তাকে দিয়েও বড় কাজ হতে পারে। বাঘ তার প্রস্রাব দিয়ে নিজের সীমানা চিহ্নিত করে নেয়

৪৫। শুধু সামাজিক না হওয়ার কারণে সিংহের কাছে বনের রাজার মর্যাদা হারিয়েছে বাঘ

৪৬। যে মৌমাছির মুখে মধু আছে, তার পেছনের হুলে আছে বিষ! একটি আরেকটিকে দিয়েছে পূর্ণতা

৪৭। দাঁড়িয়ে থাকা মানেই জাগ্রত থাকা নয়। ঘোড়ার মতো প্রাণীও দাঁড়িয়ে ঘুমায়

৪৮। যেখানে সমস্যা প্রবল, সেখানে আছে সমানমাত্রার সম্ভাবনা। বাঘের জিহ্বা এতোই রুক্ষ্ম, তা দিয়ে মানুষকে চাটলে গায়ের চামড়া ছিলে যায়, কিন্তু বাঘের লালায় আছে রোগের নিরাময়

৪৯। যাকে নিরর্থক ভাবছো, হয়তো ভাবনার পেছনে আছে নিজের সীমাবদ্ধতা। বাঘের লেজ নাড়ানোকে লোকেরা ভাবে অর্থহীন। কিন্তু লেজ নাড়িয়ে বাঘেরা ভাববিনিময় করে

৫০। অন্যের জন্য ভয়ঙ্কর হলেই টিকে থাকা যায় না। ডাইনোসর হারিয়ে গেছে পৃথিবী থেকে

#সংগৃহীত

Address

Baridhara, Block-J, Road/12, House-04, 5th Floor
Dhaka
1212

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when HQ Travels posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to HQ Travels:

Share


Other Dhaka travel agencies

Show All