25/04/2022
★ প্রশ্ন-১ঃ ট্রাভেল ট্যাক্স : কি, কত, কোথায় দিবেন ও অনলাইনে দেবার উপায়?
বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভ্রমণ কর বা ট্রাভেল ট্যাক্স (Travel Tax) পরিশোধ করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্থল, আকাশ, ট্রেন বা নৌপথে যেভাবেই যতবারই দেশের বাইরে যান আপনাকে প্রতিবারই এই ট্যাক্স দিতে হবে। বর্তমানে আকাশ পথে ও ট্রেনে ভ্রমণের ক্ষেত্রে টিকেটের সাথেই ভ্রমণ কর যুক্ত থাকে। শুধুমাত্র স্থলপথে ভ্রমণের ক্ষেত্রে আপনাকে আলাদা করে ভ্রমণ কর দিতে হবে। ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়া ছাড়া আপনি দেশের বাইরে কোথাও ভ্রমণে যেতে পারবেন না।
★ প্রশ্ন-২ঃ ট্রাভেল ট্যাক্স কত?
বর্তমানে যেকোন স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিবার বিদেশে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্ত বয়স্কদের (১২ বছর+) ভ্রমণ কর ৫০০ টাকা এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের (৫-১২ বছর) জন্য ভ্রমণ কর ২৫০ টাকা।
★ প্রশ্ন-৩ঃ কোথায় ট্রাভেল ট্যাক্স দেওয়া যায়?
এতদিন কেবলমাত্র জেলা ভেদে ১/২টি সোনালী ব্যাংকের নির্ধারিত শাখা ও বেশিরভাগ স্থল বন্দরে ট্রাভেল ট্যাক্স বা ভ্রমণ কর দেওয়ার সুযোগ ছিল ও বর্তমানে অনলাইনে ভ্রমণ কর দেয়ার সুবিধা চালু করা হয়েছে । ফলে সোনালী ব্যাংকে সরাসরি উপস্থিত হয়ে কর দেয়ার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কোন স্থান থেকে অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধ করা যাবে ।
★ প্রশ্ন-৪ঃ অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্স দেবার উপায় কি ?
অনলাইনে ভ্রমণ কর দেবার জন্যে প্রথমে এই লিংকে (https://sbl.com.bd:7070/nbrTravelTax/Collection/Create) যান। পাসপোর্টের সাথে মিল রেখে ইংরেজী তে আপনার নাম, পাসপোর্টের নাম্বার, যাত্রীর ধরণ,পরিবহনের ধরণ (By Land), আপনার গন্তব্য , মোবাইল নাম্বার সঠিকভাবে পূরণ করুন।
পরবর্তী ধাপে আপনার পূরণকৃত তথ্য দেখাবে । কোন ভুল থাকলে এডিট অপশন থেকে ঠি ক করে নিন। সব ঠিক থাকলে পেমেন্ট অপশনে ক্লিক করুন। বর্তমানে অনলাইনে ট্রাভেল ট্যাক্সের অর্থ সোনালী ব্যাংক অনলাইন সিস্টেম থেকে অথবা কার্ড দিয়ে করতে চাইলে মাস্টার কার্ড, ভিসা কার্ড এবং বিকাশের মাধ্যমে পরিশোধের সুযোগ রয়েছে। অনলাইনে ভ্রমণ করের ৫০০ টাকার সাথে ১০ টাকা সার্ভিস চার্জ প্রদান করতে হবে ।
আপনার পেমেন্ট করা হয়ে গেলে একটা ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধের রিসিট পিডিএফ আকারে ডাউনলোড করতে পারবেন। সেই রশিদ প্রিন্ট করে ভ্রমণের সময় সাথে রাখতে হবে ।
★ প্রশ্ন-৫ঃ সরাসরি ট্রাভেল ট্যাক্স কিভাবে জমা দিব?
স্থল বন্দরে ৩৬৫ দিন সকাল ৮:০০ থেকে সন্ধ্যা ৬:০০ পর্যন্ত ভ্রমণ কর দেয়ার সুযোগ রয়েছে ।তবে সময় বাঁচাতে ও জটিলতা এড়াতে সোনালি ব্যাংকের নির্ধারিত কোন শাখায় আগে ই-কর জমা দিয়ে দেয়া ভাল। এছাড়া সীমান্তে ভ্রমণ কর দিতে এক্সট্রা ফি গুনতে হয়। আবার ডাউকিতে ভ্রমণ কর পরিশোধের কোন ব্যবস্থা নেই। কোন কোন ক্ষেত্রে ২০০-৩০০ টাকা অতিরিক্ত দিলে ভ্রমণ ট্যাক্স পরিশোধের রশিদ পাওয়া যায়। এছাড়া আগে থেকে ই-ট্রাভেল ট্যাক্স পরিশোধ করে রশিদ সংগ্রহ করে রাখতে পারেন এবং এতে কোন ঝামেলা নেই কারণ এর কোন নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই।
এছাড়া সোনালি ব্যাংকের কিছু শাখায় চালানের মাধ্যমে ট্রাভেল ট্যাক্স জমা দেওয়া যায়। তবে জেনে নিতে হবে আপনি যে শাখায় যেতে চাচ্ছেন এরা চালানের মাধ্যমে ভ্রমণ কর নেয় কিনা ।চালানের মাধ্যমে ভ্রমণ কর জমা দিতে জোন অনুযায়ী ভ্রমণ কর কোড প্রয়োজন হয়। সোনালী ব্যাংকের জোন অনুযায়ী একেক শাখার কোড একেক রকম। আর চালানের মাধ্যমে কর দেওয়ার ক্ষেত্রে চালানে পাসপোর্ট নাম্বার, নাম, ঠিকানা ইত্যাদি বড় হাতের ইংরেজি অক্ষরে লিখতে হয়।
★ প্রশ্ন-৬ঃ ট্রাভেল ট্যাক্স দিতে কি লাগবে ?
ভ্রমণ কর নিজের বা অন্য কারোর জন্য দিতে গেলে নিজের ও অন্যের মূল পাসপোর্ট বা ফটোকপি /স্ক্যান কপি নিয়ে যেতে হয়। আবার নিজে না গিয়ে অন্য কে দিয়ে ট্যাক্স জমা দিতে পারবেন।
★ প্রশ্ন-৭ঃ সোনালী ব্যাংকের কোথায় দেওয়া যাবে ?
মনে রাখা জরুরী সোনালী ব্যাংকের সকল শাখায় ট্রাভেল ট্যাক্স দেয়ার সুযোগ নেই। ট্রাভেল ট্যাক্স দেয়া যাবে সোনালী ব্যাংকের এমন কয়েকটি শাখার তালিকা নিচের ২ নাম্বার ছবিতে পাবেন।